অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী সপ্তত্রিংশ পর্ব (৩৭ পর্ব)

0
210

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

সপ্তত্রিংশ পর্ব (৩৭ পর্ব)

“অপরূপা নামের কেউ কি এখানে ইনভলভ আছে?”

আহনাফের প্রশ্নে ইন্সপেক্টর রাব্বি বিরক্ত হয়। বেশ কিছুক্ষণ থেকে আহনাফের প্রশ্নের উত্তর একের পর এক দিয়েই যাচ্ছে সে। এবারে বেশ রাগ দেখিয়ে বলল,
“আপনি কি আমাকে রি°মা°ন্ডে বসিয়েছেন?”

ইন্সপেক্টরের কথায় আহনাফের চোখ কুঁচকে যায়৷ একজন অপরাধীর আরো অপরাধ থাকতেই পারে, দায়িত্ব নিয়ে তা খুঁজে বের করা উচিত। কিন্তু রাব্বির মধ্যে এমন কোনো ইচ্ছা আহনাফ দেখলো না। বুকে লাগানো নেমপ্লেটে ‘ফজলে রাব্বি’ নাম দেখে আহনাফ বেরিয়ে আসে। এখন তার মনে হচ্ছে ইমতিয়াজের কথা ঠিক, লি°গ্যাল পথে এরকম মানুষকে শা°স্তি দেয়া যাবে না।

আহনাফের চিন্তাভাবনায় আরো অনেক কিছু আছে। যেমন অপরূপা কি শাফিনের সাথে সত্যিই যুক্ত কিনা, জামিল যুক্ত কিনা নাকি ওর চিন্তাভাবনা ভুল। এতো এতো চিন্তার মাঝে তার ফোন বেজে উঠে।

সারাহ্-র নাম্বার দেখে রিসিভ করে,
“জি, ঐশী।”
“আপনি থানায় কি করছেন?”

আহনাফ চমকে উঠে আশেপাশে তাকায়। কই সারাহ্ তো কোথাও নেই, তবে কিভাবে জানলো সে এখানে।

“আপনি মি°থ্যা বলে ঢাকায় গেছেন, আপনি থানায় গেছেন মানে কোনো সমস্যা আছে। আপনি আমার সাথে লুকোচুরি করছেন আহনাফ।”

আহনাফ গলা ঝে°ড়ে বলল,
“আমাকে একটু কথা বলতে দাও। আমি একটা কাজে…”

আহনাফের কথা শেষ হওয়ার আগেই সারাহ্ উত্তর দেয়,
“হ্যাঁ, কাজে গেছেন, যেতেই পারেন। তাই বলে আমাকে বলতে এতো প্রবলেম?”
“ঐশী রানী, জান আমার। শুনো তো।”

সারাহ্ রাগ করে কল কে°টে দিলো। আহনাফ কলব্যাক করলেও রিসিভ করে না। আহনাফ হতাশ হয়ে ফোন রেখে দেয়

থানা থেকে আহনাফ কাকরাইল গো°র°স্থানে আসে। তাহসিনার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করলো। তারপর হাঁটু গেড়ে বসে বলল,
“তাহু, কি এমন হয়েছিল সেদিন? গল্পটা কি অন্যরকম হতে পারতো না? আমরা নতুন করে লিখতে পারতাম না এটা? এতো রহস্য থাকতো না, শুধুই ভালোবাসা থাকতো।”

আহনাফ থামে, চুপ করে অপেক্ষা করে তার তাহুর জবাবের। কিন্তু তাহু যে তার সাথে মান করেছে, জবাব দিবে না কিছুতেই। হঠাৎ কান্নার শব্দে আহনাফ চমকে উঠে। দূরে একটা মেয়ে কাঁদছে।

আহনাফ উঠে সেদিকে গেল। মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঘোমটার আড়ালে লুকানো মেয়েটাকে প্রশ্ন করে,
“কাঁদছেন কেন আপনি?”

মেয়েটা ফুঁপিয়ে উঠে একটা কবর ইশারা করে বলল,
“ওই কবরে আমার কেউ শুয়ে আছে।”

আহনাফ ঘাড় ঘুরিয়ে কবরটা দেখে বলল,
“কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে হয় না।”

আহনাফ বেরিয়ে যেতে নিলে মেয়েটি বলে,
“নার্গিসকে সা°ক্ষী দিতে নিষেধ করো, নাহলে সারাহ্-কে আর খুঁজে পাবে না। ঢাকা থেকে কুমিল্লা কিন্তু দুই ঘন্টার পথ।”

আহনাফ ফিরে মেয়েটিকে ধরতে গেলে অন্য একটা ছেলে ওর সামনে চলে আসে। অত°র্কি°ত আ°ঘা°ত করে আহনাফের উপর, টাল সামলাতে পারে না। পেছন থেকে আরেকটা ছেলে ওকে আ°ঘা°ত করে। মেয়েটা ততক্ষণে সরে গেছে। একটু দূরে গিয়ে ঘোমটা খুলে ফেলে। অপরূপা, এই মেয়েটিই অপরূপা। শাফিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সা°ক্ষী ওরা নার্গিস পারভিন ও রোমি খন্দকারকে মনে করছে।

আহনাফ শান্তশিষ্ট ছেলে, মা°রা°মা°রি সে কোনো কালেই করেনি। এসবে বড্ড কাঁচা। তবুও তো পুরুষ। প্রতিরোধের চেষ্টা করে, তবে দুজনের সঙ্গে ঠিক পেরে উঠে না। বেশ করে আ°হত হলে ছেলেদুটো চলে যায়। পায়ে প্রচন্ড ব্য°থা পেয়েছে সে। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে, রাস্তায় লোকজনও বেশ কম।
______________________________________

বাসায় এসে সুরভিকে নিজের শাশুড়ী আর ননদকে দেখে অবাক হয় না। ওর বাবাকে পুলিশ গ্রে°ফ°তার করেছে, সেই সংবাদ শুনেই এসেছেন উনারা।

“আসসালামু আলাইকুম, মা।”
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম।”
সুরভির শাশুড়ী অনিচ্ছাকৃত জবাব দিলো।

“আপনারা বসুন, আমি নাস্তা নিয়ে আসছি।”

কথাটা বলে সুরভি দ্রুত নাস্তার ব্যবস্থা করতে যেতে নিলে ওর শাশুড়ী বলল,
“লাগবে না। আমরা কথা বলতে এসেছি। (একটু থামে) তুমি আর আমাদের বাসায় ফিরে যেও না।”

সুরভি হা করে তাকিয়ে থাকে শাশুড়ীর দিকে। ওর শাশুড়ী বলতে থাকে,
“তোমার বাবা খু°নের আ°সামী, বলা তো যায় না তুমি কেমন?”

ওর ননদ পাশ থেকে উনাকে খোঁ°চা দিতেই উনি বলেন,
“দেখো, আত্মীয়রা নানা ধরনের কথাবার্তা বলছে। তাই আমরা আর তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছি না, তবে (আবারো থামে) তবে বাচ্চার সব দায়িত্ব আমরা নিতে রাজি আছি।”

সুরভির পৃথিবীটা থমকে গেছে। তার বাবার জন্য তার সংসার ভে°ঙে গেল। ওর কি দোষ ছিল? আর লোকে কি বুঝবে?

সুরভির শাশুড়ী আর ননদ বেরিয়ে যায়। সুরভি ওখানেই স্থির দাঁড়িয়ে থাকে। নিজের সন্তানের জন্য চিন্তা হতে লাগলো তার। একসময় লোকে হয়তো তাকেও খু°নি বলে সন্দেহ করবে।
______________________________________

আহনাফ বাসায় এসেছে রাত আটটায়। নাকমুখ ফুলে আছে, মুখের এখানে সেখানে র°ক্ত জমাট বেঁধেছে। পায়ের ব্য°থায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছে সে। আব্বাস সাহেব দরজা খুলে আহনাফের অবস্থা দেখে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই আহনাফ বলে,
“আমি ঠিক আছি, চিন্তা করো না।”

আহনাফ চলে যেতে নিলে আব্বাস সাহেব বললেন,
“এটা ঠিক থাকা?”

আহনাফ কিছু না বলে রুমে চলে গেল। সারাহ্ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, আহনাফকে সে খেয়াল করেনি। আহনাফও তাকে ডাকেনা। ফোন আর ওয়ালেট টেবিলে রেখে ওয়াশরুমে চলে যায় সে। ক্ষ°ত°স্থানগুলো নিজে নিজেই ওয়াশ করতে থাকে আহনাফ।

দরজা বন্ধের শব্দ পেয়ে সারাহ্ রুমে আসে। টেবিলে আহনাফের ফোন দেখে সারাহ্ বুঝতে পারে আহনাফ এসেছে। বিকেল থেকেই আহনাফের সাথে রেগে আছে সে। আহনাফ তাকে কেন মি°থ্যা বলেছে।

আহনাফ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ওকে দেখে কাছে টেনে গালে চুম্বন করে বলে,
“রেগে আছো নাকি এখনো?”

সারাহ্ ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে চুপসে যায়। আহনাফের মুখে আ°ঘা°তের চিহ্ন। সারাহ্ ওর গালে, ঠোঁটে হাত দিয়ে বলে,
“কি হয়েছে এসব?”

ওর চিন্তিত কন্ঠ আহনাফ চিনে ফেলে। মাথা নেড়ে বলল,
“কিছু না, একটু ব্য°থা পেয়েছি।”

সারাহ্ ওর দুগালে হাত রেখে বলে,
“থানায় ছিলেন? এখন আবার এসব দেখছি? কি হয়েছে বলেন না? আমার..”

ওকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আহনাফ নিজের ওষ্ঠোধর সারাহ্-র ওষ্ঠে স্পর্শ করে দেয়৷ গভীরভাবে স্পর্শ করে আহনাফ সরে যায়।

আহনাফ শার্ট খুলে টিশার্ট পড়তে পড়তে বলল,
“তুমি কি করে জানলে আমি থানায় গেছিলাম?”

সারাহ্ এগিয়ে এসে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর পিঠে মাথা ঠেকিয়ে বলে,
“একদম হঠাৎ করেই জেনেছি, টিভিতে একটা নিউজে দেখলাম আপনাকে।”

আহনাফ হেসে উঠে বলল,
“শেষে সাংবাদিক আমার বউয়ের কাছে আমার মিথ্যা ধরিয়ে দিলো?”
“বলুন না কি হয়েছে?”

আহনাফ ফিরে তাকায়। সারাহ্-কে যত এসব থেকে দূরে রাখতে চাইছে, ততই যেন সারাহ্ এসবের কাছে চলে আসছে। আহনাফ ওকে জড়িয়ে ধরে। গো°র°স্থানের মেয়েটি বলেছিল নার্গিস পারভিন সা°ক্ষী দলে সারাহ্-র ক্ষতি হবে৷ আহনাফের হাতের বাঁধন শক্ত হতে থাকে, কোন শত্রুতা ঘিরেছে ওদেরকে?
______________________________________

দুইদিন পর, “রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান।”
টিভিতে খবর প্রচারিত হচ্ছে।

তানজিমদের বাসায় আছে মৃত্তিকা। ওই টিভি ছেড়েছে রমজানের খবর শোনার জন্য। হাসিহাসি চেহারা নিয়ে মমতাজ বেগমকে বলে,
“বড়মণি চাঁদ দেখা গেছে।”
“হুম।”

ছোট করে জবাব দিলো মমতাজ বেগম। শাফিনের গ্রে°ফ°তারের পর থেকেই উনি আবারো চুপচাপ আছে। মৃত্তিকা রান্না শেষ করে তানজিমকে বলে,
“সেহরিতে গরম করে নিও। তোমার ভাইয়া আসলে আমি চলে যাবো।”
“প্রথম রোজার দিনটা একসাথে কাটাই?”

মৃত্তিকা মুচকি হেসে বলল,
“অফিস থেকে কালকে এখানে আসবো সোজা। ইফতার একসাথে হবে, ইনশাআল্লাহ।”

ইমতিয়াজ বাসায় এসেই ওদের কথা শুনে বলে,
“ইনশাআল্লাহ।”

মৃত্তিকা পিছনে তাকিয়ে বলল,
“এতো দেরি?”
“অফিসে তো একা সব সামলাতে হচ্ছে।”
“হুম, তো যাওয়া যাক?”
“ওয়েট।”

ইমতিয়াজ ভিতরের রুমে গিয়ে মমতাজ বেগমের সাথে কথা বলে আসে। তারপর দুজনে নিজেদের বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।

বাসায় এসে মৃত্তিকা আবারো কাজে লেগে গেল। সেহরি তৈরি তো করতে হবে। ইমতিয়াজ ফ্রেশ হয়ে এসে বলল,
“আগে তারাবি পড়ে নিবে চলো।”

মৃত্তিকা চোখের ইশারা পুরো রান্নাঘর দেখিয়ে বলে,
“এতো কাজ?”

পেঁয়াজ কা°টছিল বলে মৃত্তিকার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ইমতিয়াজ এগিয়ে এসে ওর চোখ মুছে দিয়ে ওর থেকে ছু°ড়ি নিয়ে বলে,
“তুমি অন্য কাজ করো, আমি কে°টে দিচ্ছি।”

দুজনে মিলেমিশে রান্না শেষ করে নেয়। তারপর দুজনে একসাথে তারাবির নামাজ আদায় করে নেয়। এবারের রমজানটা দুজনের জন্যই খুশির হয়ে এসেছে।

নামাজ শেষে মৃত্তিকা জায়নামাজে বসে জিকির করছে। ইমতিয়াজ বলল,
“চলো, ছাদে যাই।”
“কেন?”
মৃত্তিকা জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়।

ইমতিয়াজ ওর হাত ধরে বলল,
“নতুন চাঁদ দেখবো, এসো।”

কোনোরকমে জায়নামাজ রেখে দরজার লকটা দিয়েই ছাদে যায় দুজনে। ওরা চলে গেলে অপরূপা ওদের ফ্ল্যাটে আসে। মৃত্তিকার ফোনটা খুঁজে না পেয়ে রাগ উঠে। তারপর চুলার গ্যাস চালু করে দিয়ে বেরিয়ে যায়। মুখে বলে,
“আ°গুন জ্বা°লা°লেই বুম।”
______________________________________

তারাবি পড়ে বাসায় এসেছে আহনাফ ও আব্বাস সাহেব। সারাহ্ এখনো জায়নামাজে বসে আছে। আহনাফ-সারাহ্ দুজনের মোনাজাতে সন্তানের সুস্থতা।

আহনাফ রুমে আসলে সারাহ্ ওর দিকে তাকিয়ে বলে,
“নামাজ বাকি আছে?”
“বেতের তাহাজ্জুদের পর।”

সারাহ্ হেসে মোনাজাত সেরে নেয়। তবে জায়নামাজ থেকে উঠার আগেই আহনাফ ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।

“ওমা এসব কি?”

সারাহ্-র প্রশ্ন সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আহনাফ ওর হাত ধরে নিজের গালে রেখে সূরা আর রহমান তেলাওয়াত করা শুরু করে। সারাহ্ মুচকি হাসে৷ ওর মন প্রশান্ত হয়। চোখ বন্ধ করে সে তেলাওয়াত শুনে। আহনাফের তেলাওয়াত বেশ সুন্দর। সারাহ্ উপলব্ধি করে সূরা আর রহমানের সেই আয়াত,
“আর তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?”

সত্যিই তো রবের কোনো নেয়ামত অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সারাহ্-র জীবনে আহনাফ নেয়ামত হয়েই এসেছে। যার কাছে তার শান্তি মেলে, অন্তর শান্ত হয়।
______________________________________

আকাশে আজ চাঁদ নেই, তারা নেই। কেবলই মেঘে ঢাকা আকাশ। ইমতিয়াজ-মৃত্তিকা হতাশ হলো। মৃত্তিকা ছাদের গালে হাত দিয়ে বসে বলল,
“যাবো না আমি কোথাও।”

ইমতিয়াজ ওর বাচ্চামো দেখে হাসে। মেয়েটা শুধু ওর সামনেই এমন বাচ্চার মতো আচরণ করে। সকলের সামনে শক্ত সাহসী মেয়েটা ওর সামনে ননীর পুতুল হতে চেষ্টা করে।

“আহ্লাদী আমার।”
খুব আস্তেধীরে কথাটা বলে ইমতিয়াজ। মৃত্তিকা শুনে না।

গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো। ইমতিয়াজ বলে,
“এই যা, অসময়ের বৃষ্টি। চলো মৃত্তিকা, বৃষ্টি ভিজে না।”

মৃত্তিকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে মৃত্তিকা ওর হাত ধরে উঠে দাঁড়ায়। বৃষ্টির বেগ বাড়ে। ইমতিয়াজ চলে যেতে নিলে মৃত্তিকা ওর হাত টেনে ধরে বলল,
“এমন কেন আপনি?”
“কেমন?”
“কিছু না।”

দুজনে ভিজে একাকার। ইমতিয়াজ ওকে পাঁজাকোলে করে নিচে নিয়ে আসে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে,
“বৃষ্টিতে ভিজলে জ্ব°র হবে।”

বাসায় প্রবেশ করতেই গ্যাসের গন্ধে দুজনে ঘাবড়ে যায়। মৃত্তিকাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে ইমতিয়াজ ভিতরে গেলেও মৃত্তিকা ওর পিছুপিছু ভিতরে যায়। রান্নাঘরের চু°লা বন্ধ করে ইমতিয়াজ জানলা খুলে দেয়৷

পেছনে মৃত্তিকাকে দেখে প্রশ্ন করে,
“চু°লা অফ করোনি?”
“করেছিলাম তো।”
“তবে অন কেন? কেউ..”

ইমতিয়াজ ধীরে ধীরে দরজার কাছে যায়। কেউ নেই এখানে। মৃত্তিকা রান্নাঘরে ভালো করে দেখে। কেউ আসার কোনো চিহ্ন নেই। কিন্তু যখন ওরা শোবার রুমে যায়, তখন বুঝে কেউ এসেছিল। পুরো রুম এলোমেলো।

“কেউ এসেছিল, কিছু খুঁজেছে।”

মৃত্তিকার কথায় ইমতিয়াজ সম্মত। কেউ অবশ্যই কিছু খুঁজেছে। নাহলে রুম এলোমেলো হবে কেন?

“শাফিন কি ছাড়া পেয়ে গেল?”

মৃত্তিকার কথায় ইমতিয়াজ ফ্যা°লফ্যা°ল করে তাকায় ওর দিকে। ওর কথা তো সঠিক হতে পারে, ছাড়া পেতেই পারে সে।

মৃত্তিকা আলমারি খুলে বলে,
“আলমারি খুলেনি, তবে রুমে ঘাটাঘাটি করেছে।”
“এমন কিছু খুঁজেছে যা রুমে পাবে আলমারিতে না।”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here