অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী অষ্টাত্রিংশ পর্ব (৩৮ পর্ব)

0
184

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

অষ্টাত্রিংশ পর্ব (৩৮ পর্ব)

মৃত্তিকা শুকনো কাপড় ইমতিয়াজের হাতে দিয়ে বলল,
“আপনি ভেজা কাপড় পালটে নিন, আমি রুমটা গুছিয়ে নিই।”

ইমতিয়াজ এখনো আশেপাশে তাকাচ্ছে। মৃত্তিকা ওর মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,
“যে এসেছিল, চলে গেছে। চিন্তা কম করেন, জানা যাবে সবটা। (একটু থেমে) এসব তো আর নতুন কিছু নয়।”
“তবুও বিষয়টা জরুরি, কেউ আমাদের মা°রতে চেয়েছিল।”
“জানি আমি, বুঝি তো। শাফিন-দুলাল একা এতো বড় ষ°ড়°যন্ত্র করেনি। আরো লোক আছে।”
“শাফিন ছাড়া পেয়ে যাবে মৃত্তিকা। তুমি মিলিয়ে নিও আমার কথা।”

মৃত্তিকা জানে ইমতিয়াজের কথা ঠিক। তবে আগে আগে এতো চিন্তা করার কিছুই নেই, যা হবে দেখা যাবে।

সে কাপড়গুলো বিছানার কোনায় রাখে৷ ড্রেসিং টেবিলের উপরের জিনিসগুলো দেখছে ইমতিয়াজ। মৃত্তিকা এসে পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো। ইমতিয়াজ ভ্রূ চুলকালে, মৃত্তিকাও চুলকায়। ইমতিয়াজ চুলে হাত রাখলে মৃত্তিকাও রাখে। এবারে ইমতিয়াজ খেয়াল করে মৃত্তিকা তাকে নকল করছে। মৃত্তিকার দিকে চোখ কুঁচকে তাকালে সে হেসে চোখ কুঁচকায়।

“নকল করছো আমাকে?”

মৃত্তিকা জবাব না দিয়ে একই কথা পুনরাবৃত্তি করে,
“নকল করছো আমাকে?”
“এসব ঠিক নয় মৃত্তিকা।”
“এসব ঠিক নয় মৃত্তিকা।”

ইমতিয়াজ হেসে বারান্দার দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে শার্ট খুলে ফ্লোরে ফেলে বলে,
“আরো করো নকল।”

মৃত্তিকা দুহাতে মুখ ঢেকে ফেলে, আবার আঙ্গুলের ফাঁ°ক দিয়ে ইমতিয়াজের দিকে তাকায়। ইমতিয়াজ এগিয়ে এসে ওর হাত সরিয়ে ওর থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটা উপরে তুলে। মৃত্তিকা তাকায় না ওর দিকে, চোখ নামিয়ে রেখেছে। কিন্তু মুখে বলে,
“রি°ভে°ঞ্জ নিলাম, সেদিন যেমন আমাকে নকল করেছিলেন।”

মৃত্তিকার কোমড়ে আলতো করে হাত দেয় ইমতিয়াজ, কাছে নিয়ে আসে ওকে। লজ্জায় কুঁ°কড়ে আসে সে। ইমতিয়াজের সাথে যেন মিশে যেতে চাইছে। কিছু বলতে চেয়েও আটকে যাচ্ছে বারবার। ওষ্ঠদ্বয় অনবরত কাঁপছে, তা শান্ত হয় ইমতিয়াজের ওষ্ঠের ছোঁয়ায়। মৃত্তিকাকে কোলে তুলে নিলো। বিছানায় বসিয়ে ইমতিয়াজ পাশে বসে, মৃত্তিকা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

ইমতিয়াজ আলতোভাবে ওর হাত ধরে, মৃত্তিকা ওর বুকে হাত দিয়ে সরাতে চাইলে ইমতিয়াজ ওকে আরো কাছে নিয়ে আসে। মৃত্তিকার গালে হাত দিলে মৃত্তিকা চোখ বন্ধ করে বলল,
“ইমতিয়াজ, শুনুন তো…”

ওর ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয় ইমতিয়াজ। শব্দহীন অনুভূতিগুলো আর ভাষায় আনা হলো না। চোখের পলকে ভালোবাসা ছড়িয়ে গেল, ঠোঁটের উষ্ণ পরশে ভালোবাসা প্রকাশ পেল। কিন্তু ধ্বনিতে তা উচ্চারিত হলো না।

বাইরে বিদ্যুতের ঝল°কা°নি আর ঝুম বৃষ্টি থেকে দূরে গেল ওরা। লজ্জার পর্দা আজ পড়ে গেল। ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়ায় কাছে আসে দুজনে।
______________________________________

সেহরির সময় হয়েছে, সারাহ্ খাবার টেবিলে সাজিয়ে রেখে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে যায়। আহনাফ ঘুম থেকে উঠলেও বিছানায় বসে ঝিমাচ্ছে।

“ফয়েজ স্যার উঠুন, নামাজ পড়ে নেন।”
“হুম।”

সারাহ্ হিজাব বাঁধতে বাঁধতে বলে,
“আমি কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।”
“তাহলে দ্রুত আসছি।”

আহনাফ লাফিয়ে উঠে সারাহ্-র গালে চুম্বন করে ওয়াশরুমে চলে যায়। সারাহ্ হেসে জায়নামাজ বিছিয়ে অপেক্ষা করে আহনাফের জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যে আহনাফ চলেও আসে। দুজনে একসাথে নামাজ পড়ে নেয়। তারপর আব্বাস সাহেবের সাথে দুজনে একসাথে সেহরি সেরে নেয়।

ফজরের পর সারাহ্ কোরআন তেলাওয়াত করতে বসে। আহনাফ এসে পাশে বসে বলল,
“ঐশী, তুমি অপরূপা নামের কাউকে চেনো?”

সারাহ্ কোরআন শরীফ বন্ধ করে বলে,
“না তো, কেন?”
“এমনিই।”
“ভোর বেলা এখন আবার মেয়েদের কথা মনে পড়ে কেন?”
“তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।”
বলতে বলতে আহনাফ উঠে বারান্দায় যায়। সারাহ্ মুচকি হেসে আবারো তেলাওয়াত করা শুরু করে।

কিছুক্ষণ পর সারাহ্ কোরআন গুছিয়ে রেখে বারান্দায় গেল। আহনাফকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“সেদিন ঢাকা থেকে ওভাবে আসলেন কেন? কোথায় ব্য°থা পেয়েছিলেন?”
“সেটা দূরে থেকেও বলতে পারো তো, আমার রোজা হালকা করো কেন?”

সারাহ্ হুট করে সরে গেল। এই লোকটা আজন্মকাল অ°সভ্যই থাকবে, জীবনেও ভালো হবে না। আহনাফ ফিরে তাকিয়ে মুচকি হাসে।

সারাহ্ মিনমিনে স্বরে বলল,
“অ°সভ্য।”

আহনাফ ওর মুখের সামনে এসে নিজের চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
“গা°লা°গাল দিয়ে লাভ নেই, তুমি ইচ্ছা করে আমার রোজা হালকা করতে এসেছো।”
“সরেন।”

সারাহ্ ওকে ধা°ক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়৷ আহনাফ হাসতেই থাকে, সারাহ্ রাগ করে রুমে চলে যায়। সে চলে যেতেই আহনাফের হাসি থামে। সেদিনের একটা ঘটনা বলতে গেলেই বাকি ঘটনাও সারাহ্ জানতে চাইবে, তারপর শুরু করবে দু°শ্চিন্তা। আহনাফ চায় না এসব।
______________________________________

শাফিনকে তিনদিনের রি°মা°ন্ডে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। আজকেই নিয়ে যাবে৷ খবর পেয়ে দুপুরের পর ইমতিয়াজ তার সাথে দেখা করতে এসেছে। অফিস থেকে সরাসরি চলে এসেছে যেন মৃত্তিকা না জানে।

সময় নির্দিষ্ট, এর মধ্যেই কথা বলতে হবে তার সাথে। ইমতিয়াজকে দেখেই শাফিন হাসে, তাচ্ছিল্যের সেই হাসি। ইমতিয়াজ চোখ ছোট করে তাকাতেই শাফিন বলে,
“আহারে, কষ্ট হয় তাহমিনার জন্য। যে মেয়েটা তোমার নাম জ°পতে জ°পতে ম°রে গেল তাকে ভুলে তুমি কিনা আরেকটা সংসার করছো?”

ন্যূনতম অনুশোচনা শাফিনের নেই। ইমতিয়াজ কিড়মিড়িয়ে বলে,
“তাহমিনার জন্য কোনো শেয়াল কুকুরের কষ্ট পাওয়ার দরকার নেই।”
“আর মৃত্তিকা? তার জন্য পেতে পারি?”

ইমতিয়াজ উত্তর দেয়ার আগে আবারো বলে,
“চেয়েছিলা বউকে মা°রার জন্য আমাকে তুমি মা°রবে, কিন্তু পেরেছো? পারোনি।”
“এখান থেকে বেঁচে বের হতে পারবে না, আর যদি বের হও তবে আমার হাতে ম°রবে।”
আঙ্গুল উঁচিয়ে কথাটা বলে ইমতিয়াজ।

শাফিন লোহার বেড়াজালের কাছে এসে বলল,
“ম°রার আগে মৃত্তিকাকে মা°রবো, তাহমিনার মতো করে মা°রবো। সেও চেঁ°চা°বে ইমতিয়াজ বলে।”

ইমতিয়াজ তাকে ধরতে গিয়েও পারে না, লোহার ছোট ছোট ফাঁক দিয়ে ওর হাত ভিতরে যায় না। শাফিন দাঁত বের করে হাসে।

ইমতিয়াজকে আরো রাগানোর জন্য বলে,
“আমি বের হওয়ার আগে মৃত্তিকা প্রেগন্যান্ট হলে ভালো হবে। একই কষ্ট, একই চিৎকার, শুধু মানুষটা ভিন্ন।”
“খবরদার মৃত্তিকার দিকে তাকিয়েছো তো।”
“সে তাকানো আমার শেষ, শুধু ছুঁয়ে দেখা বাকি।”

ইমতিয়াজ র°ক্ত°চক্ষু নিক্ষেপ তাকায়। শাফিনকে এখনই খু°ন করতে ইচ্ছা করছে ইমতিয়াজের। তবুও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সে বেরিয়ে আসে, সময় যে শেষের পথে৷

ইমতিয়াজ বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর অপরূপা ভিতরে প্রবেশ করে৷ তার আর অনুমতি লাগে না। ইন্সপেক্টর রাব্বিসহ উপরতলার বড়বড় মানুষের সাথে যোগাযোগ থাকায় অপরূপা সেলের ভিতরে গিয়েই শাফিনের সাথে কথা বলতে পারে।

“যা বুঝেছি সবাই মিলে তোমাকে ফাঁ°সি°তে ঝু°লানোর বন্দোবস্ত করে ফেলেছে।”

অপরূপার কথায় মাথা দুলায় শাফিন। বেশ শান্তভাবে বলে,
“ইমতিয়াজ হু°ম°কি দিয়েছে জীবন্ত বের হলে সে আমাকে খু°ন করবে।”
“ব্যাপারটা জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো হলো না।”

অপরূপা ঘাবড়ে গেলেও শাফিন মোটেও ঘাবড়ায় না। বলে,
“নার্গিসের কি খবর?”
“আহনাফকে হুমকি দিয়েছি, নার্গিস মুখ খুললে সারাহ্ ম°রবে।”
“জামিলের কথায় আহনাফের সাথে সারাহ্-র বিয়ে দেয়াটাই ভুল হয়েছে।”

অপরূপা শাফিনের দিকে তাকালে শাফিন ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল,
“জীবিত না বের হতে পারি, ম°রে তো বের হতে পারবো? আমার লা°শই বের হবে এখান থেকে।”
“মানে?”
“কবরটা খুলনায় হবে, বাবার কবরের পাশে। ঠিক যেভাবে খুঁড়তে বলবো সেভাবে খুঁড়াও। আর আমার ফাঁ°সির বন্দোবস্ত করো।”

অপরূপা ভ°য়া°র্ত মুখে কিছু বলতে নিলে শাফিন আবারো বলে,
“যারা কবর খুঁড়বে তাদেরও শেষ করে দিবে।”

হাতের মুঠোয় থাকা ছোট কাগজটা অপরূপাকে দিয়ে বলে,
“আমার স°মা°ধীর মানচিত্র।”
______________________________________

সারাদিন ডিউটিতে ছিল মৃত্তিকা। ইমতিয়াজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিসে না থাকলেও বাকি সময়টুকু ছিল। এখন দুজনেই চলে এসেছে তানজিমের বাসায়। মৃত্তিকা ভিতরে চলে গেছে আর ইমতিয়াজ গেছে গো°র°স্থানে।

মৃত্তিকা ভিতরে এসে তানজিমের সাথে ইফতার বানানোতে হাত লাগায়। দুই ভাইবোন বেশ আনন্দেই কাজ করছে। সব পেঁয়াজ তানজিম আগেই কে°টে রেখেছে। মৃত্তিকা বলে,
“এতো পেঁয়াজ কা°টা কেন?”
“ভাইয়া বলেছে কে°টে রাখতে, তুমি কা°টলে নাকি কান্নাকাটি করো।”

মৃত্তিকা মুচকি হাসে। মানুষটা চুপচাপ থাকলেও খেয়ালটুকু রাখতে ভুলে না। কোথায় ওর আনন্দ আর কোথায় ওর কষ্ট ঠিক বুঝে নিতে পারে।

তানজিম আবারো বলে উঠে,
“আপু, জানো আম্মু আজকে কি বলেছে?”
“কি?”
মৃত্তিকা কাজ করতে করতে জবাব দেয়।

তানজিম ধোয়া প্লেটগুলো রেখে বলল,
“বলেছে ম°রে গেল গেল আবার আমার ভাইকেও নিয়ে গেল।”

মৃত্তিকা অবাক চোখে তাকিয়ে বলে,
“উনি কি তাহমিনার কথা জানে না?”
“উহু, বলিনি। সিনক্রিয়েট করতে পারে।”
“এজন্যই নিজের ভাইকে সাধু ভাবছে।”

তানজিম শরবত বানানো শুরু করেছিল। কাজ থামিয়ে বলে,
“নিজেই কি এমন সাধু যে ভাইকে ভাববে।”

মৃত্তিকা তাকাতেই তানজিম চলে গেল। মৃত্তিকা তাকিয়ে তার চলে যাওয়ার পথের দিকে। কেন যেন মমতাজ বেগমকেও সন্দেহ হচ্ছে তার। পরক্ষণেই নিজেকে বুঝায়,
“নিজের মেয়েদের কেউ মা°রে না মিউকো, এসব ভুল চিন্তা তোর।”
______________________________________

কলেজ বন্ধ, সমস্তটা দিনই বাসায় কাটিয়েছে সারাহ্। আহনাফও বাসার ভিতরেই ঘুরঘুর করেছে, এখনো তাই করছে। তবে রোজা বলে আজ তার মুখে বেশ লাগাম লেগেছে, তবে ওই বলে না কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।

ইফতার বানাচ্ছে সারাহ্। হেল্প করার নামে আহনাফও এখানে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও এসব কেবল নামমাত্রই, সে বিশেষ কোনো কাজে লাগছে না।

“ঐশী, একদিন বাবা-মাকে ইফতারের দাওয়াত দিই। কি বলো?”
“কাকে?”
“আরে, আমার গুণধর বউকে যে জন্ম দিছে ওই কাপলের কথা বলতেছি।”

সারাহ্ দাঁত খিঁ°চি°য়ে বলল,
“ভালো করে বললেই তো হয়।”
“ভালো করেই তো বললাম বাবা মা, তুমিই তো বুঝলে না। আমার কি মা আছে? আমি তো একজনকেই মা বলি।”

সারাহ্ তাকিয়ে আছে আহনাফের দিকে। ‘আমার কি মা আছে?’ কথাটা বলা কত কঠিন।

আহনাফ এগিয়ে এসে ওর থেকে খুন্তি নিয়ে বেগুনীগুলো উলটে দিতে দিতে বলে,
“পু°ড়ে যাবে তো।”

সারাহ্ আবারো ভাজাভাজি শুরু করে। বলল,
“দেন, আপনার ইচ্ছা।”
“এখন আমি রোজা, তুমি চাইলে তোমাকে চুমু দিতে পারবো না।”

সারাহ্ কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
“দাওয়াত দিতে বলেছি।”
“ওকে, তোমাকে সহস্র চুমোর দাওয়াত ইফতারের পর।”

কথাটা বলেই আহনাফ হেসে দেয়৷ সারাহ্ ওর পিঠে ধু°ম করে একটা কি°ল দিয়ে দরজার দিকে ইশারা করে বলে,
“বের হন।”

আহনাফ যেতে যেতে বলে,
“স্বামীকে মা°র°ধর করা ভালো না।”

সারাহ্ কথায় ন্যাকামো সংযুক্ত করে বলল,
“ওগো সোয়ামি, আপনার পাকনা কথায় আপনাকে কি°ঞ্চি°ৎ আ°ঘা°ত করার জন্য আমি অতি দুঃখ প্রকাশ করতেছি।”
“থাক থাক, যতসব গরু মে°রে জুতা দান।”

সারাহ্ হেসে আবারো কাজে মন দেয়। ইফতারের সময় যে হয়ে আসছে।
______________________________________

অপরূপা খুলনা যাচ্ছে। সাথে দুজন লোক আছে, এরা শাফিনের জন্য কবর খুঁড়বে।

উকিলকে কল করে সে,
“হ্যালো, এডভোকেট বীথি বলছেন?”
“জি, আপনি অপরূপা?”
“ইয়েস, আ’ম অপরূপা।”

বীথি একটা কাশি দিয়ে বলল,
“আপনারা কেইসটা হা°রতে চাচ্ছেন কেন? তাও এমন ইচ্ছা করে?”
“সেসব জানার বয়স কি আপনার হয়েছে?”
“শাফিনকে বহুবার আমিই বাঁচিয়েছি মনে রাখবেন। তার বহু কুকীর্তি আমি জানি।”

অপরূপা নিচের ঠোঁট কা°মড়ে বলল,
“শাফিন বেঁচে থাকবে, তবে ফাঁ°সি°তে ঝু°লেই বের হবে।”
“মানে?”
বীথি চোখমুখ কুঁচকে ফেলে।

অপরূপা হেসে বলে,
“মানে পুরো দেশ, মিডিয়া জানবে শাফিন মা°রা গেছে। সবাই জানবে ওর স°মাধী হয়ে গেছে। কিন্তু সে জীবিত হয়ে ফিরবে৷ তাই ওর ফাঁ°সির জন্য কেইসটা হা°রতে হবে। (একটু থেমে) তারপরের কাজ শাফিন করে নিবে।”
“আর ইউ শিউর?”
“ইয়াহ।”

অপরূপার কথায় বোঝা যাচ্ছে সে শতভাগ নিশ্চিত যে শাফিন বেঁচে যাবে। কিন্তু বীথি এসবে অনেক বি°ভ্রা°ন্তিতে পড়ে। ফাঁ°সি হলে কেউ কিভাবে বাঁচবে, কবর হলে কেউ কিভাবে ফিরবে?

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here