যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয় #আফসানা_মিমি |পর্ব: পনেরো|

0
249

#যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয়
#আফসানা_মিমি
|পর্ব: পনেরো|

বরই পাতা ও উশনান ঘাষ দিয়ে গরম পানি জ্বাল দেয়া হচ্ছে। মহিলারা এক ঘরে বসে দোয়া ইউনুস ও ইয়াসিন সুরার খতম পড়ছে। সুগন্ধি, সুরমা সাদা কাফন তৈরী করা হয়েছে মৃত ব্যক্তিতে পরিধানের জন্য। আগরবাতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছে মাইয়্যাতের মাথা ও পায়ের কাছে। মোল্লা বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। পারিবারিক গোরস্থানে করব খোঁড়া হচ্ছে। কায়েস দাঁড়িয়ে থেকে কবর খোঁড়ার কাজ দেখছেন। একদিন তারও এই ঘরের বাসিন্দা হতে হবে। শুধু কায়েস নয় প্রতিটা মুসলমানেরই একদিন এই ঘরই শেষ ঠিকানা হবে। মিষ্টি বিছানায় শায়িত অবস্থায় পড়ে আছে। অতিরিক্ত কান্নার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। আফিয়া মেয়েকে কোলে নিয়ে মিষ্টির পাশে বসে আছে। মোল্লা বাড়িতে পা রাখার পরদিনই যে এমন ঘটনা ঘটবে তা প্রত্যাশা করেনি সে। লায়লা বেগম নিজের ঘরে বিলাপ করছেন, কলি সকালেই চলে এসেছে মাকে স্বান্তনা দিচ্ছে। বসারঘরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসেছেন ফিরোজকে স্বান্তনার দেয়ার জন্য। অন্তিক ও পিয়াস ভদ্রতার খাতিরে দাঁড়িয়ে সকলের কথোপকথন শুনছে। মসজিদের ইমাম নাজিমউদ্দীনের গোসল কার্য সম্পন্ন করেছেন সবে। এখন শুধু নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষা! এরপরই নাজিমউদ্দীনের শেষ ঠিকানায় চির নিদ্রায় শায়িত করা হবে।
অন্তিকদের বাড়ির প্রধান ফটকে দুইজন মহিলার আগমন ঘটে। একজন ষাটোর্ধ বৃদ্ধা অপরজনকে দেখে অনুমান করা যাবে না। বৃদ্ধার সাথে আগমনকারী অতিথি নিজের আপাদমস্তক কালো বোরকার আড়ালে আবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি বৃদ্ধাকে ধরে ধরে বাড়িতে প্রবেশ করেন। অন্তিক সেদিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়। আগমন কৃত বৃদ্ধা তার পূর্ব পরিচিত। তিনি মিষ্টির দাদী। বিয়ের দিন তিনিই মিষ্টির হাত অন্তিকের হাতে তুলে দিয়েছিল। সময় অপচয় না করে অন্তিক সেদিকে এগোয়। বৃদ্ধার হাত সাবধানে হাতপর মুঠোয় ধরে শুধায়, ” এত কষ্ট করে এতো পথ আসতে গেলেন কেন, দাদী! চলুন আপনাকে ঘরে নিয়ে যাই।”

” আমাকে নাজিম ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাও, নাত জামাই।”

বৃদ্ধা থমথমে সুর শুনে অন্তিক হতভম্ব হয়। তার সাথে অন্তিকের দাদাকে নাজিম বলে সম্বোধন করায় অবাক হয় সে। আমরা সাধারণত আপনজনকেই নাম ধরে সম্বোধন করতে পারি, অপরিচিতদের নয়। অন্তিক নাজমা অর্থাৎ মিষ্টির দাদীকে ধরে খাটিয়ার কাছে নিয়ে যায়। সাদা কাপড়ে আবৃত নাজিমউদ্দীনীর চেহারা অনাবৃত করার সাথে সাথে মিষ্টির দাদী নুইয়ে পড়েন। অন্তিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পেরে খাটিয়ার পাশে বসে ক্রন্দনরত কণ্ঠে বলেন, ” তোমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারলাম না নাজিম ভাই। আমাকে ক্ষমা কইরা দিও তুমি। আমি তোমার লাইগা পাটি বুনছি গো নাজিম ভাই, তুমি না যাইবা কইছিলা! আমার হাতে সরিষাবাটা দিয়া ইলিশ রান্না খাবা? কেন চইলা গেলা। আমারে শাস্তি দেওয়ার লাইগা? সারাজীবনের কষ্ট কী কম ছিল নাজিম ভাই?”

অন্তিক মনোযোগ সহকারে মিষ্টির দাদীর আর্তনাদ শুনে। এতটুকু বুঝতে পারে, তার দাদা মিষ্টির দাদীর পূর্ব পরিচিত ছিল। অন্তিক দাদীকে শক্ত করে ধরে রাখে। বৃদ্ধা মহিলা তখনো বিড়বিড় করছে। নাজমার সাথে আসা আগন্তুক মহিলা এবার তার কাঁধে হাত রাখে, মিষ্টির দাদী আগন্তুকের দিকে ফিরলে চোখ মুছে উঠে দাঁড়ায়। নাজিমউদ্দীনের দিকো পুনরায় ফিরে বলে, ” পরকালে আমগোর সাক্ষাৎ হইবো তো, নাজিম ভাই!”

কথাটা অন্তিকের বুকের মধ্যে লাগে। এতো কষ্ট, এতো হাহাকার না পাওয়ার তীব্র যন্ত্রণা! অন্তিক নির্বাক দৃষ্টি ফেলে। নাজমা বেগম অন্তিকের উদ্দেশ্যে বলে, ” মিষ্টির কাছে লইয়া যাও, নাত জামাই। মাইয়াটা কানলে অসুস্থ হইয়া পড়ে।”

নাজিমউদ্দীনকে কবরে চিরতরে শায়িত করে রেখে আসা হয়েছে। সবাই চলে আসলেও কায়েস ও অন্তিক কবরের পাশেই থেকে যায়। অন্তিক থেমে থেমে কাঁদছে। একাকীত্বের সময়ে আড়ালে অবডালে নাজিমউদ্দীন তাকে সাহস জুগিয়েছিল। লায়লা বেগম যখন তার দুই সন্তানকে আদর করতো অন্তিকের মন খারাপ হতো। নাজিমউদ্দীন তখন তাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরতো। কায়েসের কাছে অন্তিক যা না বলতে পারতো নাজিমউদ্দীনের কাছে তা বলতো। রুনা চলে যাওয়ার পর কায়েসের নিস্তব্ধতায় অন্তিকও আঁধারে তলিয়ে যাচ্ছিল নাজিমউদ্দীন সেই জীবন থেকে তাকে বের করে সুন্দর জীবন দিয়েছিল। অন্তিকের ভাবনার মাঝেই কায়েস বলতে শুরু করে, ” আমি এতিম হয়ে গেলাম রে, বাপ!”

অন্তিক দীর্ঘশ্বাস ফেলে উদাস সুরে বলে, ” দাদা বলেছিল, মা একদিন ফিরে আসবে। কতো বছর হয়ো গেলো তাই না, বাবা! দাদাও চলে গেলো। এখন আমায় কে আশায় রাখবে?”

বাবা ছেলের বুক ছারখার হয়ে যাচ্ছে একই কষ্টে। মৃত্যুর যন্ত্রণা যেমন কঠিন, অমৃত্যু তত কষ্টের। আমাদের প্রিয়জনেরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও আমাদের স্মৃতি থেকে বিদায় নেয় না। তাদের স্মৃতিচারণে আমরা আজীবন পাড় করতে পারি।
মোল্লা বাড়িতে প্রবেশ করতেই কলি অন্তিকদের দিকে দৌড়ে আসে। বুকে হাত চেপে হাঁপাচ্ছে সে। হাতের ইশারায় দুইতলার দিকে করে বলে, ” ভাবী, ভাবীর কী যেন হইছে। পিয়াস ভাই আর তার বউ হাসপাতালে নিয়ে গেলো। উপরে বুড়ি মহিলা কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভাবী বলে গেছে,তোমাকে বুড়ি মহিলাকে দেখে রাখতে। ”

একদিকে প্রিয়তমা স্ত্রী অপরদিকে স্ত্রীর নিকটবর্তী আত্নীয়া কাকে দেখবে অন্তিক। দুতলা সিঁড়ি ডিঙিয়ে তাদের ঘরে যেতেই মিষ্টির দাদীর শুকনো মুখখানা দেখতে পায় অন্তিক। মাথার কাছে ভদ্রমহিলা বসে হাত পাখার বাতাস করছে। অন্তিকের পিছু পিছু কায়েসও ঘরে প্রবেশ করে। অন্তিক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করে, ” দাদীকেনিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে?”

” বুজান ঔষধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই।”

কায়েস মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনে ভদ্রমহিলার দিকে তাকায়। আপাদমস্তক কালো কাপড়ে আবৃত নারীর কোনোকিছু দেখার সম্ভাবনা নেই। এই কণ্ঠস্বর কায়েসের খুব পরিচিত। অন্তিক হাফ ছেড়ে বাঁচে এবার সে মিষ্টির কাছে যেতে পারবে। দাদীর খেয়াল রাখার কথা বলেই আফিয়ার হাসপাতালের দিকে চলে যায় সে।

অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজটায় অনেকের মনে আনন্দ বয়ে আনে তো অনেকের মনে কষ্ট। হাসপাতালে পৌঁছালে সজনদের আহাজারি ও ডাক্তারদের অস্থিরতা দেখলেই অন্তর অশান্ত হয়ে যায়। কার ভাগ্যে সুখের ছন্দ আর কার ভাগ্যে দুঃখের ছায়া কেউ জানে না। শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে আফিয়ার চেম্বারে এসে উপস্থিত হয় অন্তিক। মিষ্টি তখন জুস খাচ্ছিল। আফিয়া সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মাত্রই কেবিনে বসেছে অন্তিককে দেখে বলতে শুরু করে, ” এসেছো ভালোই হয়েছে। মিষ্টিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাও। আমি রিপোর্ট নিয়ে বিকালে আসছি।”

অন্তিক মিষ্টির দিলে এগোয়। মিষ্টির দুর্বল হাসি বুকে গিয়ে বিঁধে তার। সে ভাবছে, এ কোন পরীক্ষায় ফেলল উপরওয়ালা তাকে। একদিকে প্রাণ প্রিয় দাদার ওফাত অন্যদিকে স্ত্রীর অসুস্থতা। মিষ্টিকে পাঁজাকোলে তুলে কপালে অধর ছুঁয়ে দেয় অন্তিক। অপরাধী হয়ে বলে, ” আমি সত্যিই অকর্মক স্বামী,তাই না চন্দ্রিমা!”

মিষ্টি অভিমানের সহিত উত্তর দেয়, ” এতো দেরী করলে কেন, অন্তু!”

অন্তিক পুনরায় মিষ্টির কপালে চুমু এঁকে বলে, ” সরি সোনা, আর এমন হবে না।”

মিষ্টি অন্তিকের বুকে মাথা গুঁজে বলে, ” বাড়ি চলো, অন্তু। তোমাকে মন ভরে দেখব। মনে হচ্ছে, তোমাকে হাজার বছর ধরে দেখি না।”

অন্তিক দ্রুতগামী হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসে।

——————–

পাড়া পড়শীদের প্রস্থানে লায়লা বেগমের কান্নাও থামে। সে বিছানায় আয়েশ করে বসে স্বামীর জন্য পান সাজাচ্ছে। ফিরোজ কপালে হাত রেখে শুয়ে আছে। বাড়ির প্রধান মাথা যে গত হয়েছে সেই সম্পর্কে লায়লা বেগমের কোনো চেতনা নেই। স্বামীকে পাশে পেয়ে দিন দুনিয়া সব ভুলে বসেছে। পান সাজিয়ে স্বামীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করে, ” বাড়িতে নয়া কুটুম আসছে। অনৃতিকের শ্বশুর বাড়ির লোক। কথা বলছিলে?”

ফিরোজ নিরুত্তর হয়ে পান মুখে পুরে নেয়। লায়লা বেগমও মুচকি হেসে পান মুখে পুরে। রসালো পানের স্বাদের সাথে গল্প জুড়ে বসে।

আফিয়া বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার পরে। আজ মোল্লা বাড়ি নিস্তব্ধ, নীরবতায় জানান দিচ্ছে বাড়ির সকলের মনের অবস্থা। আফিয়ার হাতে মিষ্টির রিপোর্ট। লায়লা বেগম সেই সময়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। আফিয়াকে তার পছন্দ হয়নি। শ্বশুরের মুখের উপর কিছু বলতে পারেননি তিনি কিন্তু আজ তো হুকুমজারি করার মতো কেউ বেঁচে নেই। অনেকদিন পর রাজ্যের রাজা ও রাজত্ব তার হাতের মুঠোয়। একটু হুকুমমত না চালালে হয় নাকি? লায়লা বেগমের মুখে পৈশাচিক হাসি ফুটে ওঠে সে এগিয়ে এসে বলতে শুরু করে, “বুড়া ম’রে যাওয়ার আগে সমস্ত সম্পত্তি ভাগাভাগি করে গেছে নাকি? নাকি এই বাড়ির গুপ্তধন সম্পর্কে জানিয়ে দিয়ে গেছে।”

লায়লা বেগমের কথায় রসিকতা ছাপ স্পষ্ট। আফিয়ার এই মুহূর্তে লায়লা বেগমের কথা পছন্দ হয়নি সে লায়লা বেগমকে উপেক্ষা করে দু তলা ডিঙিয়ে উপরে উঠে সরাসরি অন্তিকের ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে মিষ্টির দাদীর থেকে জানতে পারে তারা অন্য ঘরে আছে। আফিয়া দেরী না করে পিয়াসের ঘরে চলে যায়। পথে পিয়াসের সাথে দেখা হয় আফিয়ার। রিপোর্ট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় সব খুলে বলে সে। পিয়াস রিপোর্ট শুনে মুখে হাত দেয়, এমনটাও কী হতে পারে? কলি তাদের সমস্ত কথা শুনে দৌড়ে লায়লা বেগমকে জানাতে চলে যায়।

মিষ্টিকে বুকের সাথে মিশে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে অন্তিক। দাদার মৃত্যু অন্তিকের সাথে মিষ্টির মনেও প্রভাব ফেলেছে। দুজন দুজনের ছায়া হয়ে পাশে রয়েছে। অন্তিকের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। দাদার জন্য মন খারাপ লাগছে তার। মিষ্টি বুঝতে পেরে বলতে শুরু করে,
” দাদা আমাদের মাঝে নেই অন্তু! কিন্তু ওনার বলা প্রতিটা কথা, আদেশ, উপদেশ আমাদের সাথেই রয়েছে।”
” গতকাল রাতেও না সব ঠিক ছিল চন্দ্রিমা। হঠাৎ কী হয়ে গেলো, এজ রাতের মধ্যেই সব শেষ।”

মিষ্টি অন্তিকের কথায় ভাবনায় পড়ে যায়। সত্যিই তো! দাদার হঠাৎ মৃত্যু কেউ কাম্য করেনি। দাদা রাতেও সুস্থ ছিল। মিষ্টি চোখ বন্ধ করে নাজিমউদ্দীনের শেষ দেখার স্মৃতি স্বরণ করে। নাজিমউদ্দীনের খোলা চোখ, হাতের শক্ত মুঠো ও এলোমেলোভাবে শোয়া স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হচ্ছে না তার কাছে। মিষ্টির ভাবনার মাঝেই আফিয়া ও পিয়াসের আগমন ঘটে। অন্তিক ও মিষ্টিকে একসাথে দেখতে পেয়ে দুজনেই চোখ বন্ধ করে বলে, ” এবার আলাদা হওয়ার সময় হয়েছে দেবর সাহেব। দশমাস বউয়ের কাছাকাছি আসা নিষেধ আপনার জন্য।”

অন্তিক কিছু বুঝতে পারছে না। মিষ্টি কিছু একটা বুঝতে পেরে মুখে হাত রাখে। তার ছলছল চোখ ও হাস্যজ্বল মুখশ্রী জানান দিচ্ছে তার খুশির মুহূর্ত। অন্তিক জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে আফিয়া রিপোর্টখানা অন্তিকের হাতে দিয়ে বলে, ” নতুন অতিথির আমন্ত্রণের আয়োজন করো দেবর সাহেব। তুমি বাবা হতে চলেছো।”

অন্তিক অবিশ্বাস্যের দৃষ্টিতে আফিয়ার দিকে তাকিয়ে কাঁপা হাতে রিপোর্ট খানা উল্টিয়ে দেখে। আফিয়ার কথা সত্য মিষ্টি দেড় মাসের প্রেগন্যান্ট। ইউরিন ও ব্লাড টেস্টের রেজাল্ট ও পজিটিভ। অন্তিকের হাত থেকে রিপোর্ট পড়ে যায়। সে জমিনে হাঁটু গেড়ে স্তব্ধ বনে যায়। আফিয়া হতবিহ্বল হয়ে প্রশ্ন করে, ” তুমি খুশি না, অন্তিক?”

অন্তিক কাঁপা স্বরে উত্তর দেয়, ” এটা কীভাবে সম্ভব।”

অকস্মাৎ দরজা খোলার আওয়াজে সকলে ভয় পেয়ে যায়। লায়লা বেগম এসেছে তার মুখশ্রীতে ভীতি বিদ্যমান। পিছনেই কলি ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেন সে সুযোগ পেলে মিষ্টিকে চোখের আগুনে ভস্মীভূত করে দিবে। লায়লা বেগম নিচু হয়ে রিপোর্ট হাতে নেয়। কলির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,”পড়ে শোনা, কী লেখা আছে।”
কলি রিপোর্ট পড়তে শুরু করে, ” মিষ্টি দেড় মাসের প্রেগন্যান্ট।”

লায়লা বেগম কিছু একটা ভেবে বিকট শব্দে হাসতে শুরু করে। এরপর ঠাট্টার ছলে বলে, ” কার পাপের ফল তোর মিষ্টি সতী বউয়ের পেটে, অন্তিক? তুই না কখনো বাবাই হতে পারবি না!”

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here