উধয়রনী #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ ||পর্ব-০৫||

0
492

#উধয়রনী
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-০৫||

০৮।
দরজায় কড়ার নাড়ার শব্দে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো আহি। ফোন হাতে নিয়ে দেখলো সকাল দশটা বেজে ত্রিশ মিনিট। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে রাদের অনেকগুলো মিসড কল আর মেসেজ। আহি মাথায় হাত দিয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলো। কারণ রাতেই রাদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। আহি মেসেজগুলো দেখতে লাগলো। মেসেজে কোনো কিছু লেখা নেই, শুধু রাগের ইমোজি পাঠিয়েছে। ছেলেটার মাথাটা এখন চরম খারাপ হয়ে আছে, তা আহি নিশ্চিত। দরজায় এবার খুব জোরেই ধাক্কা পড়লো। আহি থতমত খেয়ে গেলো। সে তো ভুলেই গিয়েছিল কড়ার নাড়ার শব্দে তার ঘুম ভেঙেছিল। আজকাল মাথাটা ঠিকভাবে কাজই করছে না তার৷ আহি তড়িঘড়ি করে উঠে দরজা খুলে দিতেই রাদের রাগী মুখটা তার সামনে দৃশ্যমান হলো। রাদের কপাল ছুঁইয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। আশেপাশে দু’একজন লোক জড়ো হয়েছে। হোটেলের ম্যানেজারও দাঁড়িয়ে আছেন। রাদ এদিক-সেদিক না তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
“কি মরার ঘুম ঘুমাচ্ছিলি তুই? আমি তো ভেবে ফেলেছি তুই ফ্যানের সাথে ঝুলে আছিস। আরেকবার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও যদি না খুলতি এই দরজাটা আজ ভাঙা লাগতো।”

আহি ভ্রূ কুঁচকে রাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। রাদ পেছন ফিরে ম্যানেজারকে বলল,
“এখন আসুন আপনার। নাটক শেষ হয়ে গেছে।”

রাদ আহিকে সরিয়ে হনহনিয়ে রুমে ঢুকে পড়লো। আহি ম্যানেজারের দিকে এক নজর তাকিয়ে কাচুমাচু মুখে দুঃখ প্রকাশ করতে যাবে তখনই রাদ হাত ধরে তাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দিলো। আহি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে রাগী স্বরে বলল,
“পাগল হয়ে গেলি না-কি?”

রাদ কোনো উত্তর না দিয়ে রুমে ঢুকে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগলো। আহি বুকে হাত গুঁজে বলল,
“কি খুঁজছিস?”

“মরার চেষ্টা করছিলি কি-না দেখছি।”

রাদ বিছানার নিচে উঁকিঝুঁকি দিয়ে মাথা তুলে বলল,
“রশি কই?”

“কিসের রশি?”

“যেটা দিয়ে ঝুলতে যাচ্ছিলি?”

“ফাজলামো করছিস আমার সাথে?”

“মোটেও না। তুই আমার জান বের করে দিয়েছিলি।”

“তোর কি মনে হয় আমি চার বছর আগের ঘটনার জন্য এখন স্যুসাইড করবো? তাও আবার দেশে এসে?”

“বলা তো যায় না। হয়তো তাই। দেশে তো খবরের অভাব আছে। তাই খবর হওয়ার জন্য এসেছিস। যাতে ওই ব্যাটার নজরে আসে।”

“তুই বাড়াবাড়ি করিস না তো। এখন বল, রাতে কোথায় ছিলি?”

“তোর পাশের রুমেই ছিলাম। ভাগ্যক্রমে ওই রুমটা খালি ছিল। নয়তো সারারাত তোর রুমের বাইরে মশা মারতে হতো। আর হোটেলের যা অবস্থা দেখছি, যে-কোনো ঋতুতেই রুম খালি পাওয়া যাবে।”

আহি চোখ ছোট করে জিজ্ঞেস করলো,
“ক’টায় এসেছিস?”

“সাড়ে বারোটায়। আর তুই তো নিশাচরী, তাহলে কাল রাতে এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলি কেন?”

“সরি রে। মাথায় ভীষণ ব্যথা ছিল। ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম। তাই খেয়াল ছিল না।”

“রাতে তোকে ডাকিনি লোকে আবার কি-না কি ভাববে তাই। সকাল ছয়টায় ঘুম ভেঙেছিল আমার। ভদ্রতার খাতিরে ন’টা পর্যন্ত বসেছিলাম। ফোনের উপর ফোন দিচ্ছি, তুই মদন ফোনটাও ধরলি না। শেষে অধৈর্য হয়ে রুমের দরজায় ঠোকা দিলাম। আর তোর যে মরার ওষুধের সাইড ইফেক্ট। ঠেলা দিয়েও উঠানো যায় না। আরেকটু হলে পুলিশ, মিডিয়া এসে হাজির হতো। তখন তো তোর সেলেব্রিটি বাবাও সুড়সুড় করে চলে আসতো।”

“এসব কথা বাদ দে৷ নাস্তা খাবি চল। হাত-মুখ ধুয়ে নে। চেহারার যা অবস্থা!”

“জ্বি, আমার চেহারা তোমার জন্য ক্লান্ত হয়েছে। তুমি আছো তেলাপোকার শোকে, আর আমি আছি মৌমাছির চিন্তায়।”

আহি হেসে বলল, “তুই কি তাহলে মশা?”

“আমি কি তোর রক্ত খাইছি? নাকি ওই তেলাপোকার রক্ত খাইছি? মশা তোর বাবা। আমি এসব যেমন-তেমন কীটপতঙ্গদের দলভুক্ত নই। আমি বুদ্ধিমান পতঙ্গ।”

“পতঙ্গ আবার বুদ্ধিমান হয়?”

“পিপীলিকা বুদ্ধিমান হয়, বুঝেছিস? আর তুই এসব বুঝবিও না। তুই আছিস তেলাপোকা নিয়ে ব্যস্ত। এখন চল। না-কি মুখে তুলে দিতে হবে? নিজ হাতে খেতে পারবি তো?”

আহি মুখ বাঁকিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো।

(***)

নাস্তা খাওয়া শেষে রাদ আহির দিকে তাকালো। আহি এখনো খাচ্ছে। ঠোঁট বন্ধ করে মুখ ঘুরাচ্ছে। রাদ ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে বলল,
“এখানে কি কেউ তোর ভিডিও করছে?”

আহি চকিত দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক তাকালো। তারপর রাদের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কোথায়? কাউকে তো দেখছি না!”

“তাহলে এমন ঢং করে খাচ্ছিস কেন? তাড়াতাড়ি খেয়ে, উঠ না।”

আহি চেঁচিয়ে বলল,
“তুই সকাল থেকে আমার উপর চেঁচাচ্ছিস! এখানে কি চেঁচামেচি কর‍তে এসেছিস?”

“হ্যাঁ। তোর মগজের স্ক্রুগুলো একটু শক্ত করতে হবে তো! আবার যদি খুলে পড়ে যায়? তাই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে স্ক্রুগুলো নিজেদের জায়গায় সেট করাচ্ছি।”

আহি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“আমি যেই কাজে এখানে এসেছি সেটাই বলি।”

“হুম, বল। স্ক্রু তাহলে একটু শক্ত হয়েছে।”

আহি চোখ ছোট করে বলল,
“আতাউল গণির নাম শুনেছিস?”

“না। কে সে?”

“নামকরা উকিল। উনার সাথে দেখা করতে এসেছি।”

“তোর বাবা জানে?”

“না। পাগল তুই? বাবা জানলে আমাকে একা ছাড়তোই না।”

“আংকেল জিজ্ঞেস করে নি ঢাকায় কেন এসেছিস?”

“হুম, লাবীবের দাদা মারা গিয়েছিল বলেছিলাম। ওর বাড়িতে যাবো বলেছি।”

“মাই গড। কোথায় খুলনা, আর কোথায় ঢাকা। আংকেল যদি তোর সাথে লাবীবের বাড়ি যেতে চাইতো?”

“বাবাকে তুই চিনিস না। আমার সাথে দেখা করবে এই আশা করাও আমার জন্য আকাশ-কুসুম ছিল। লাবীবের বাড়ি নিয়ে যাবে সেটা তো সোনার পাথর বাটি। বাবা এতো পজেজিভ না। আমাকে যথেষ্ট ফ্রিডম দিয়েছে। শুধু একটা জায়গায় আমার সব স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়েছে।”

“আর ওটাই মৌলিক স্বাধীনতা। এগুলো স্বাধীনতা না। এগুলোকে বলে মাথায় উঠিয়ে আছাড় মারা।”

আহি দ্বিরুক্তি করলো না। নিশ্চুপ বসে রইলো। রাদ ধীর কন্ঠে বলল,
“চল, উকিলটার কাছে যাই। তোকে মুক্ত করার দায়িত্ব আমার।”

আহি রাদের হাত ধরে মলিন মুখে বললো,
“আমি বের হতে পারবো তো!”

“চেষ্টা করে দেখ। পারতেও পারিস। তুই এখন এডাল্ট। এখন তোর উপর জোরাজুরি খাটাতে পারবে না।”

“মা যে বললো আমি ফেরাউনের গর্তে পড়েছি। মৃত্যু ছাড়া আমার রেহাই নেই।”

রাদ আহির হাত শক্ত করে ধরে বলল,
“এই ফেরাউনকে কর্ণফুলীতে ভাসিয়ে দেবো।”

“বাবা কিন্তু সাঁতার জানে।”

রাদ আহির কথায় শব্দ করে হাসলো। রাদের হাসি দেখে আহিও নীরবে হাসলো৷ রাদ নিজের হাসি আটকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে আহির হাসি দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আহির দুই গাল ঈষৎ লাল হয়ে গেছে। নয়ন পল্লব চোখের নিচের অংশ ঢেকে দিয়েছে। নাকের দুই পাশে ভাঁজ পড়েছে। ভীষণ সুন্দর লাগছে আহিকে। রাদ আনমনে বলল,
“এভাবে হাসতে জানলে অনেক আগেই আমাদের প্রেম শুরু হতো, আহি। আর তুই আছিস শুধু ওই তেলাপোকার ভাবনায়।”

০৯।

এডভোকেট আতাউল গণির অফিসের বাইরে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আহি আর রাদ তার সাথে দেখা করার সুযোগ পেলো। আহি তার ফাইলগুলো এগিয়ে দিয়ে নিজের সমস্যার কথাগুলো গণি সাহেবকে জানালো। আতাউল গণি ফাইলটি হাতে নিয়ে উল্টে-পাল্টে দেখলেন। তারপর কৌতূকময় হাসি ফেরত দিয়ে বললেন,
“মিস্টার রিজওয়ান কবিরের বিরুদ্ধে গিয়ে যদি আমি কোনো কেইস নেই, তাহলে কারোই লাভ হবে না। বরং আমার ক্ষতি হবে। আমার সামনে তার একমাত্র মেয়ে বসে আছে, আর এই কথা যদি তিনি জেনেও যান তাহলে হয়তো পত্রিকায় কোনো খারাপ সংবাদ আসবে না। কারণ সমস্যা তো চার দেয়ালের
মধ্যেই চুকে যাবে। কিন্তু মিস ওয়াসিকা কবির, আপনার পাশের জনের গুম হয়ে যাওয়ার খবরটা তড়িৎ গতিতে নিউজ চ্যানেলে প্রচার হতে পারে।”

গণি সাহেব রাদের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললেন,
“সাবধান মিস্টার এক্স, ওয়াই, জেড।”

রাদ আর আহি চকিত দৃষ্টিতে আতাউল গণির দিকে তাকিয়ে রইলো। গণি সাহেব টেবিলে হাত রেখে রাদের দিকে ঝুঁকে বললেন,
“শীঘ্রই এই মেয়ের সঙ্গ ত্যাগ করো। নয়তো তোমার বাবা-মা নিজের সন্তান হারিয়ে উন্মাদ হয়ে যাবেন।”

আহি তার ফাইলগুলো নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“আমি আপনার কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিলাম, আর আপনি আমাদের হুমকি দিচ্ছেন?”

গণি সাহেব দুই গালে আঙ্গুল ছুঁইয়ে জিহ্বায় হালকা কামড় বসিয়ে মাথা দুলাতে দুলাতে বললেন,
“উপদেশ যদি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আমার কিছুই করার নেই। আর আমার চেয়ে তুমি তোমার বাবাকে ভালোই চেনো। নিজের জীবনের মায়া কার না থাকে? এখন তুমি তোমার প্রেমিকের জীবন ভিক্ষা দাও।”

রাদ হাত মুঠো করে উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই আহি তাকে থামিয়ে দিয়ে চাপা স্বরে বলল,
“চল রাদ। আমার সমস্যার কোনো সমাধান নেই।”

রাদ আহির হাত ধরে তাকে নিয়ে আতাউল গণির রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। গণি সাহেবের অফিসের বাইরে এসেই আহি ধপ করে সিঁড়িতে বসে পড়লো। রাদ আহির হাত ধরে তার পাশে বসে বলল,
“তুই এতো ভাবিস না তো। দেখিস, এর চেয়ে ভালো কোনো উকিল আমাদের সাহায্য করবেন।”

আহি ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“না, রাদ। আমাকে হয়তো এটাই মেনে নিতে হবে। দিনশেষে ক্ষমতার কাছে সবাই হেরে যায়।”

“যে যতোই ক্ষমতাবান হোক, সন্তানের খুশি সবার আগে। চার বছর আগে তুই হয়তো আংকেলের কাছে ছোট ছিলি। এখন তুই যথেষ্ট বড় হয়েছিস। দেখিস, আংকেল তোর ইচ্ছের গুরুত্ব দেবে।”

(***)

আহি ব্যাগপত্র নিয়ে টিকেট কাউন্টারে বসে আছে। আধাঘন্টা পর বাস ছাড়বে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। রাদ একটা চিপসের প্যাকেট খুলতে খুলতে তার পাশে বসে বলল,
“এখনো মুখ ভার করে বসে থাকবি?”

আহি মলিন হেসে বলল, “উহুম। আমি ঠিক আছি।”

রাদ আহির দিকে নিগূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। আহি রাদের চাহনি দেখে ভ্রূ কুঁচকে তাকালো। আহির প্রশ্নবিদ্ধ নয়নের প্রতিত্তোরে রাদ বলল,
“এই যে একটু আগে হাসলি, এই হাসিটার নাম কি জানিস?”

“কী নাম?”

“নীল হাসি।”

আহি ভ্রূ কুঁচকালো। রাদ বলল,
“শুনেছি নীল রং কষ্টের, হতাশার। তোর মুখে নীল হাসি মানায় না, আহি। তোর মুখে হলুদ হাসি মানায়।”

আহি নিঃশব্দে হাসলো। রাদ আহির দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। আহি রাদের মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,
“আর তোর মুখে এমন গম্ভীর কথাবার্তা মানায় না, দোস্ত।”

রাদ আহির কথা উপেক্ষা করেই বলতে লাগলো,
“হাস্যরত একজন মানুষের মুখে তার মনের ছায়া দেখা যায়।”

“আচ্ছা!”

“এটা আমার কথা নয়। হুমায়ুন স্যারের কথা।”

“তুই বইও পড়িস না-কি?”

“একটু-আধটু।”

“এতো বছর এই কথা জানলাম না!”

“আমাকে জানার চেষ্টা করেছিস কখনো?”

আহি ভ্রূ কুঁচকে রাদের দিকে তাকালো। রাদ আহির চোখে হাত রেখে বলল,
“চোখ বন্ধ করে হাসার চেষ্টা কর। দেখবি মনের সব কষ্ট চুটকির মধ্যে মিলিয়ে গেছে।”

আহি মৃদু হেসে চোখ বন্ধ করলো। রাদ বলল,
“কল্পনা কর, হাসলে মানুষকে কতো সুন্দর লাগে।”

আহি কল্পনা করতেই তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আফিফের সেই হাস্যোজ্জ্বল মুখ।

………………………

সেদিন চারুশিল্পের ক্লাস শেষে স্যারের সাথে সাবলীলভাবে হেসে কথা বলছিল আফিফ। যেই হাসিতে কোনো জড়তা নেই, কোনো জড়িমা নেই। ভীষণ চমৎকার সেই হাসি! আহি ইচ্ছে করে ধীর গতিতে ব্যাগে খাতা-কলম ঢোকাচ্ছিল। যাতে একটু বেশি সময় ধরে ক্লাসে থাকা যায়, আর আফিফের চমৎকার হাসিটা দেখা যায়। আহির লোভ চড়েছিল ভীষণ। সেই হাসিটা মুখস্থ করতে বাসায় এসে স্কেচ বানিয়েছিল সে। একদম হুবহু সেই হাসির স্কেচ। যে-কেউ দেখলে বুঝে ফেলবে এটাই আফিফ। আহির এআর। ততোদিনে নিঁখুত স্কেচ করা শিখে ফেলেছিল আহি। তবে আহির এই নিঁখুত অংকন সম্পর্কে একমাত্র সে ছাড়া আর কেউই অবগত ছিল না। ক্লাসে সে ঠিকই কোনো না কোনো ভুল করতো, যাতে তাকে উপরের ক্লাসে উঠিয়ে দেওয়া না হয়। কারণ আফিফকে সে এখনই হারাতে চায় না।

………………………

মচমচ শব্দ কানে আসতেই আহি চোখ খুলে দেখলো রাদ গম্ভীরমুখে আহির দিকে তাকিয়ে চিপস খাচ্ছে। আহি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,
“চল, বাসে উঠে বসি।”

রাদ কাঁধে ব্যাগ উঠিয়ে নিতে নিতে বলল,
“আমি ভেবেছিলাম হাসি কল্পনা করতে গিয়ে একেবারে ঘুমিয়ে পড়েছিস।”

আহি চোখ ছোট করে রাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। নিজেই উদ্ভট সব কাজ করতে বলবে, আবার এখন নিজেই মজা নিবে।

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here