হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৩৩) #Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

0
522

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৩৩)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

(৮৬)
খান ভিলায় ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে আছেন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। সেইসময় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে মুবিন খান চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বললেন…

—“কি ব্যপার চেয়ারম্যান এতো রাতে আবার কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমার বাসায় এসেছেন?”

আমজাদ হোসেন বসাবস্থা থেকে উঠে মুবিন খানের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক স্বরে বললেন….

—“ছোট খান…আপনার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলার ছিলো আমার। তাই এই রাতের বেলাতেই আপনার বাসায় আসতে আমি বাধ্য হলাম।”

মুবিন খান নিজের জন্য নির্ধারিত সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে বললো….
—“কি এমন বিষয় নিয়ে কথা বলার আছে আপনার! বলুন শুনছি।”

—“ছোট খান…আপনার কথানুযায়ী আমার জমিতে কামলা খাঁ*টে এমন একজন চাষীকে পাঠিয়েছিলাম কুশল চৌধুরীকে আহত করার জন্য। সেই চাষী একটু আগে আমার কাছে এসে বললো, সে কুশল চৌধুরীর পেটে ও বুকে পরপর বেশ কয়েকবার ছু*ড়ি দ্বারা আ*ঘা*ত করেছে। কুশল চৌধুরীর গার্ডসদের হাত থেকে ধরা পড়তে পড়তে বেঁ*চে গিয়েছে সে। কুশল চৌধুরীর বর্তমান অবস্থা একদমই সুবিধার নয়। ইতিমধ্যে ওনাকে শহরে নিয়ে গিয়েছে বাঁচবে কিনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু চিন্তার বিষয় দাঁড়ালো যদি কুশল চৌধুরী এতো ক্ষ*তে*র শিকার হওয়ার পরেও প্রাণে বেঁচে যান তাহলে ঐ চাষীকে তো যেকোনো মূল্যে খুঁজে বের করবেন তিনি। তারপর আমাদের কাছে পৌঁছাতেও তার খুব বেশি সময় লাগবে না।”

চেয়ারম্যানের কথাগুলো শুনে মুবিন খান স্বশব্দে হেসে উঠেন। আমজাদ হোসেন অবাক চাহনী স্থির করে রেখেছেন মুবিন খানের মুখশ্রীর উপর। কিছুসময় পর মুবিন খান হাসি থামিয়ে বললেন….

—“এতোবছরের চেষ্টার পর আজ সেই দিন তবে এসেই গেলো। আমার যে কি পরিমাণ আনন্দ হচ্ছে চেয়ারম্যান। আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।”

—“মানে!”

—“মানেটা খুব সহজ। আপনাকে আর কোনোরকম ভ*য় বা চিন্তা করতে হবে না। এতোগুলো বছর ধরে এই দিনটা দেখার জন্য কুশল চৌধুরীর বিরুদ্ধে কতো কতো যে ষ*ড়*য*ন্ত্র করেছিলাম তার হিসাব নেই। অবশেষে কুশল চৌধুরীকে নিজের জীবন ও মৃ*ত্যু*র সাথে ল*ড়া*ই করার পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হলাম। এখন কুশল চৌধুরী পুরোপুরি ভাবে মৃ*ত্যু*পুরীতে পৌঁছে দিতে আমায় খুব বেশি বেগ পেতে হবে না চেয়ারম্যান।”

—“কুশল চৌধুরীর সাথে কি করতে চাইছেন আপনি ছোট খান?”

—“আজই আমি আমার সিক্রেট কাজ করে দেয় এমন কয়েকজন গার্ডদের শহরে পাঠিয়ে দিবো। কুশল চৌধুরীকে যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ওরা সেই হাসপাতালে যাবে। কুশল চৌধুরীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের মোটা টাকা দিয়ে কিনে নিবে। এরপর খুব দক্ষতার সাথে কুশল চৌধুরীর জীবনের লাল বাতিও জ্বালিয়ে দিবে। যদি কুশল চৌধুরী হাসপাতাল থেকে আর জিবীত অবস্থায় বের হতেই না পারে তখন ঐ চাষীকেই বা খুঁজে বের করবে কিভাবে আর আমাদের কাছেই বা পৌঁছাবে কি করে বলুন চেয়ারম্যান! তবুও যদি ঐ চাষীর জন্য আপনার মনে চিন্তা বা ভ*য় কাজ করে তাহলে ঐ চাষীর হাতেও মৃ*ত্যু*পুরীতে যাওয়ার টিকিট ধরিয়ে দিবেন খুবই সিম্পল বিষয়।”

সেইসময় খান ভিলার মূল দরজা দিয়ে একজন সার্ভেন্ট ‘ছোটওওও খাননননন’ বলে দৌড়ে ভিতরে প্রবেশ করে মুবিন খানের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কমোর হেলে দুই হাঁটুর উপর দু’হাত রেখে হাঁ*পা*তে শুরু করে। মুবিন খান ভ্রু যুগল কুঁচকে সার্ভেন্টটির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন….

—“কি হয়েছে সাত্তার চাচা! এভাবে হাঁ*পা*চ্ছেন কেনো?”

সাত্তার নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে বললো…
—“কু-কুশল চৌধুরী সা-সাহেব….বা-বাহিরে…!”

সাত্তার পুরো কথা শেষ করার পূর্বে কুশল নিজের গার্ডসদের ও পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে খান ভিলায় প্রবেশ করে। কুশলকে নিজের চোখের সামনে অ*ক্ষত অবস্থায় দেখে মুবিন খানের চোখ যুগল যেনো কপালে উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়ায়। চেয়ারম্যান দ্রুত কদমে মুবিন খানের পাশ থেকে সরে কুশলের পাশে এসে দাঁড়ায়। কুশল চেয়ারম্যানের শার্টের উপরিভাগ থেকে একটা বোতাম টান দিয়ে খুলে নিয়ে বাঁ*কা হেসে বললো….

—“আমার হাতে মৃ*ত্যু*পুরীতে যাওয়ার টিকিট ধরিয়ে দেওয়ার আগে নিজেই নিজের মৃ*ত্যু*পুরীতে যাওয়ার টিকিট কনফার্ম করলেন মি.মুবিন খান। অনেক বছর ধরেই আমাকে মা*রা*র ও গ্রামবাসীর ক্ষ*তি করার জন্য অজস্র কূ*ট*নৈ*তি*ক পরিকল্পনা করেছিলেন আপনি। কিন্তু কোনোবারই সফল হতে পারেন নি। প্রতিবারই যোগ্য প্রমাণের অভাবে আপনি শা*স্তি*র হাত থেকে বেঁ*চে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর বাঁচতে পারলেন না। নিজের করা সব অ*ন্যা*য় ও পা*প কর্মের কথা নিজমুখেই স্বীকার করেছেন। আর তার যথাযথ প্রমাণ এই বোতাম ক্যমেরায় রেকর্ড করা রয়েছে। এবার এমন কোনো প্রাণী নেই যে আপনাকে উপযুক্ত শা*স্তি পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে।”

আকস্মিক ঘটে যাওয়া সম্পূর্ণ ঘটনা বুঝে উঠতে মুবিন খানের কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। পরক্ষণেই মুবিন খান উচ্চস্বরে চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বললেন….

—“যার নুন খেয়ে দিন কাটালি তারই সাথে নে*মো*খা*রা*মি করলি! বে*ই*মা*ন, প্র*তা*রক তোকে আর প্রাণেই মে*রে ফেলবো আমি।”

মুবিন খান কুশলদের দিকে অগ্রসর হতে নিলে কুশল৷ পুলিশ অফিসারকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“অফিসার… এরেস্ট হিম।”

কুশলের কথানুযায়ী ৪জন পুলিশ কনস্টেবল মুবিন খানকে খুব শক্ত ভাবে ধরে ফেলেন। মুবিন খান নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা নিয়ে কুশলকে উদ্দেশ্য করে রাগ নিয়ে উচ্চস্বরে বললো….

—“আজ আমাকে পুলিশের হাত তুলে দিলি কুশল চৌধুরী। কিন্তু কতোদিন আমাকে জে*ল*খানায় আঁটকে রাখতে পারবে এরা? বড়জোর ৫ বছর নয়তো ১০-১৫ বছর! কিন্তু তারপর? তারপর তো আমি মুক্তি পাবোই। জীবন শেষ নিঃশ্বাস পড়ার পূর্বমুহূর্তেও যদি আমি জে*ল থেকে বের হতে পারি তবে মনে রাখিস সেই দিনটাই হবে তোর জীবনের শেষ দিন। তোকে নিজ হাতে না মা*রা পর্যন্ত আমার শান্তি হবে না।”

অতঃপর পুলিশ অফিসার মুবিন খানকে নিয়ে খান ভিলা থেকে বেড়িয়ে যান। কুশলের সাথে থাকা ২জন গার্ডস চেয়ারম্যানকে ধরে গার্ডসদের গাড়িতে উঠিয়ে নেন। কুশল নিজ গাড়িতে বসে খান ভিলা থেকে বেড়িয়ে নিজের বাগান বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে।

(৮৭)
বাগান বাড়িতে নিজ রুমে তরুনিমা বিছানায় বসে একটু পর পর দরজার দিকে দৃষ্টিপাত করছে। সেইসময় কুশল ক্লান্ত ও বি*ষ*ন্ন মুখশ্রী নিয়ে রুমের ভিতর প্রবেশ করে বিছানার পাশে রাখা হেলানো চেয়ারের পিঠ ঠেকিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে নেয়। তরুনিমা কুশলের দিকে শান্ত দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে। কিছুসময় পর কুশল ওভাবেই বসে চোখ মেলে তরুর দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বললো…

—“আগামীকাল সকালে আমার ছায়াসঙ্গীকে লা*শ*বাহী খাটে শুইয়ে তার ভাড় নিজের কাঁধের উপর নিয়ে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে রেখে আসতে হবে। পৃথিবীর ভিতর সবথেকে কঠিন আর নি*ষ্ঠু*র দায়িত্বটা কাল সাবলীল ভাবে সম্পন্ন করতে হবে আমায়। ঘন্টা ২-৩ এর ভিতরেই সম্পূর্ণ প্রমাণ সহ সাদিকের খু*নে*র সাথে জড়িত সব অ*প*রা*ধীকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। একজনকে ইতিমধ্যেই জে*ল বন্দী করা শেষ। আর বাকিদের যথাযথ শা*স্তি আগামীকাল সকালের ভিতরেই দেওয়া হয়ে যাবে। কিন্তু বাহিরে সাদা চাদরে মোড়ানো ঐ মানুষটা আর কখনও চোখ মেলে তাকাবে না, আমাকে আর স্যার বলেও ডাকবে না। কেনো জানি না এখন বুকের বামপার্শে চিনচিনে ব্য*থা অনুভব করছি। প্রিয় মানুষগুলো ছেড়ে চলে গেলে এতোটা য*ন্ত্র*ণা কেনো হয় তরুনিমা!”

কুশলের কথাগুলো শুনে তরুর চোখ দু’টো ছলছল করে উঠে। এইমুহূর্তে কুশলকে ওর ঠিক কি বলা উচিত তা তরু বুঝে উঠতে পারছে না। সম্পূর্ণ রুমজুড়ে পিনপিনে নিরবতা বিরাজ করছে, তরুনিমা আর কুশল একে অপরের দিকে শীতল দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে।

(৮৮)
অনন্যা আর কনক ওদের রুমে বিছানায় বসে আছে। সেইসময় অনন্যা কিছুটা লজ্জা ভাব নিয়ে হাসিমুখে কনককে বললো…..

—“কনক…আই এম প্রেগন্যন্ট।”

অনন্যার মুখে আকস্মিক এমন কথা শুনে কনক অনেক বেশি অবাক হয়ে ওভার রিয়াক্ট করে বললো…..

—“হোয়াট! কি বলছো টা কি তুমি? তোমার মাথা কি খারাপ হয়ে গিয়েছে অনন্যা?”

কনকের মুখে এমন কথা শুনে অনন্যার হাস্যোজ্জ্বল মুখটি মলিন হয়ে যায়। অনন্যা শান্ত স্বরে বললো…

—“আমি সত্যিই প্রেগন্যান্ট কনক। আজ সন্ধ্যাতেই প্রেগন্যন্সি কি*ট দিয়ে পরীক্ষা করেছিলাম পরপর ৩বার। ৩বারই রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। দারাও তোমাকে কি*ট গুলো এনে দেখাচ্ছি।”

অনন্যা কনকের পাশ থেকে উঠে ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে ড্রয়ার খুলে ওর ব্যবহৃত তিনটা প্রেগন্যন্সি কি*ট বের করে আবারও কনকের সামনে এসে দাঁড়িয়ে কি*টগুলো ওর দিকে বাড়িয়ে দেয়। কনক অনন্যার হাত থেকে কি*ট গুলো নিয়ে দেখে ৩টা কি*ট এই পজেটিভ রেজাল্ট এসেছে। কনক কি*ট গুলো বিছানার উপর রেখে বসাবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক স্বরেই বললো…..

—“আমি এখন বাচ্চা নেওয়ার বিষয় নিয়ে কোনোরকম চিন্তা ভাবনা করি নি অনন্যা।”

—“চিন্তা-ভাবনা করো নি এর জন্য কি হয়েছে? এখন চিন্তা-ভাবনা করো।”

—“না, সেটা সম্ভব না।”

অনন্যা অবাক স্বরে বললো…
—“সম্ভব না মানে? কি বলতে চাইছো তুমি কনক?”

—“মানেটা খুবই সহজ। আমি এখনি আমাদের জীবনে বাচ্চা-কাচ্চার ঝামেলা চাই না। মাত্র ৭দিন হলো বিয়ে হয়েছে আমাদের। আর এখনি কিনা কন্সিভ করলে তুমি? এখন আমাদের মজা-মাস্তি করে জীবন কাটানোর সময়। বিবাহের বছর ৫-৬ যাবে তারপর এসব বাচ্চা নেওয়ার বিষয় নিয়ে প্লানিং করবো আমরা। প্রেগন্যন্সির বিষয় নিয়ে বাড়িতে ২য় কোনো ব্যক্তিকে ভুলেও কিছু জানাবে না। তুমি আগামীকালই আমার সাথে হাসপাতালে যাবে আর এই বাচ্চাকে এ্যবোশন করবে।”

কনকের মুখে এ্যবোশনের কথা শোনামাত্র অনন্যা যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। অনন্যা অবাক স্বরে বললো….

—“বিয়ের মাত্র ৭দিন হয়েছে মানে? আমরা যে ৩মাস আগেই কানাডা থাকা কালীন সময়েই বিয়ে করে নিয়েছিলাম আর একসাথে থাকতেও শুরু করেছিলাম তুমি হয়তো সেসব কথা ভুলে গিয়েছো কনক। সন্তান হলো সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবথেকে বড় রহমতের অংশ। এই ছোট্ট প্রাণটির অস্তিত্ব যে একটু একটু করে আমার মাঝে বেড়ে উঠছে তা আমি আজই জানতে পারলাম আর তুমি কি না আমাকে এ্যবোশন করার কথা বলছো? একজন মা হিসেবে তোমাকে আমি এই অধিকার দেই নি যে তুমি আমার গর্ভের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই তাকে মে*রে ফেলার চেষ্টা করবে।”

কনক রাগ নিয়ে অনন্যা দুই হাতের দুই বাহু শক্ত করে চে*পে ধরে বললো….
—“ভুলে যেও না তুমি আমার বিবাহিতা স্ত্রী। আর তোমার গর্ভে সেই প্রাণটি আছে এই প্রাণটি আমিই তৈরি করেছি। তাই আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে ওকে বাঁচিয়ে রাখবো নাকি মে*রে ফেলবো সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এতো বেশি কথা বলো না। আগামীকাল তুমি আমার সাথে হাসপাতালে যাবে আর এ্যবোশনও করবে এটাই আমার শেষ কথা।”

অনন্যা কনকে ধা*ক্কা দিয়ে নিজের থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিয়ে বললো….
—“আমি এ্যবোশন করবো না, করবো না, করবো না। এটা আমারও শেষ কথা। এরপর তুমি যা খুশি করতে পারো।”

এই বলে অনন্যা রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে নিলে কনক বললো….
—“যদি তুমি এ্যবোশন না করো তাহলে আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।”

কনকের মুখে ডিভোর্সের কথা শুনে অনন্যা থমকে যায়।

চলবে ইনশাআল্লাহ……

(বি:দ্রঃ- এখন আবার বলিয়েন না আপনারা কনক আর অনন্যাকে চিনেন না🥹। এরা দু’জন কুশলের বড় ভাই আর ভাবী হয় 😐 বলে রাখলাম আবারও।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here