#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_১৪
রাত ৯:৪৪,,,
হলুদের সাজে নিজেকে সজ্জিত করেছে তিশু।,,,বাকিরাও কাচা হলুদ রঙের শাড়ি,পাঞ্জাবি পড়েছে।,,,
বাড়ি থেকে ব্যান্ডের তালে তালে নাচতে নাচতে বেরিয়ে এলো তিশু,,তারই চারপাশ জুড়ে বাকিরাও,,, স্টেজের সামনে আসতেই চোখ বড়বড় হয়ে গেলো তার,,,নাচ থামিয়েই দু গালে হাত দিয়ে বলে উঠলো..
“ওরে আল্লাহ রেহ,,,,এইটা আমি কি দেখছি?,,পুরাই স্বর্গ?,,,”
সবাই তিশুর এমন রিয়েকশন দেখে হাসতে হাসতে ফেটে পড়লো।,,স্টেজে উঠানো হলো তাকে।,,,,,অনেক মজার সাথেই কাটতে লাগলো পুরো অনুষ্ঠান।তবে এসবই কেমন ঝাপসা লাগছে মোমের কাছে।,চোখে ঘোলা দেখছে।,,মাথাটাও যন্ত্রনা করছে।,,,তবুও কাউকে বুঝতে না দিয়ে দিব্বি বসে আছে কোনায় একটা চেয়ারে।,,,,নভও আছে।তবে দুরে দুরে।গেস্টদের সাথে সাথে।তবে একটু পর পর ঠিকই মোমের দিকে খেয়াল রাখছে।,,,,
কিছুক্ষন পর নোভা এসে মোমকে টেনে নিয়ে গেলো স্টেজে,তিশুকে হলুদ ছোয়ানোর জন্য।,,,ইচ্ছে না থাকলেও কোনোমতে গেলো মোম।, নিচে নেমে এসে দেখলো তার আগের বসা জায়গাটায় খালি নেই।আশপাশেও নেই।,,,,,তা দেখে ইশু তাকে অন্যপাশে নিয়ে যেতে যেতে বললো…
“কি তখন থেকে এখানে একা একা বসে আছিস,,,আমাদের সাথে নাচবি আয়।”
“আরেহ ইশু আপু,, আমি এসব নাচ টাচ পারিনা,,”
“আরে ধুর,,এই নাচ শিখা লাগে না।,,,হাত নাড়াবি, পা নাড়াবি,,কোমড় নাড়াবি আর মাঝে মাঝে দু একটা লাফ দিবি।তাহলেই পারবি।,,”
মোম ক্যাবলার মতো বলে উঠলো..
“এ্যা!!,, এভাবেও নাচ হয়?”
ইশু হেসে দিলো,,
,,মোমকে নিয়ে এগিয়ে গেলো সবার কাছে।এতোক্ষন একটু দুরে থাকায় গানের সাউন্ড এতো জোরে শোনা যায় নি।তবে এবার যেন মাথাটা ফেটে পরবে মোমের।,,
সবাই তাকে টানছে,,একটু পর পর তার হাত তুলে নাড়াচ্ছেও,,,,
এসবের মাঝেই মাথাটা একবার চক্কর দিয়ে উঠলো মোমের।পরক্ষনে নিজেকে সামলেও নিলো।,,,সবার চোখের আড়াল হয়ে ডান্স স্টেজের কিনারায় এসে দাড়ালো।মনে মনে বললো..
”আল্লাহ,,,আর একটু সামলানোর ক্ষমতা দাও আমায়,,,বাড়ির ভেতরে যাওয়া পর্যন্ত যাতে ঘুম না আসে আল্লাহ,,,”
তবে এবার যেন সৃষ্টিকর্তা তার ডাকে সাড়া দিলো না,,,চলে আসলো তার সেই অনিয়ন্ত্রিত ঘুম।,,,স্টেজ থেকে পেছনের দিকে হেলে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলো।,,,,তবে ভাগ্য ভালো থাকায়,,স্টেজে থাকা তুলেন দ্রুত তার ডান হাতের বাহু টেনে ধরলো…
“হেই মোম,,,,”
তার ডাক শুনে পাশ থেকল জিয়া আর চৈতিও চেচিয়ে উঠলো..
“মোম,,,”
একে একে প্রায় সবারই খেয়াল হলো,,,নোভা এগিয়ে গিয়ে তুলেনের সাথে মোমকে সোজা করালো।,,,,তুলেনের গায়ে ঠেক দিয়ে ধরে রাখলো মোমকে।স্টেজের সবাই এগিয়ে এসে অতিষ্ঠ কন্ঠে ডাকতে লাগলো মোমকে।,,,,তবে তার কোনো রেসপন্স নেই।,,,,,,
একটু পরেই নভ দৌড়ে এসে উঠলো স্টেজে, তুলেনের থেকে মোমকে আলাদা করে নিজের সাথে চেপে ধরলো।,, কিছুক্ষন মোমের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে,,, পাজা কোলে তুলে নিলো মোমকে।,,,
“তোরা তোদের মতো এনজয় কর,,,আমি ওকে দেখছি।”
অবাক হলো উপস্থিত প্রত্যেেকেই,,নভ এতো স্বাভাবিক কি করে?,,একবারও মোমের জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করলো না??
নোভা আগ বাড়িয়ে বললো…
“ভাইয়া ওর তো জ্ঞান ফিরছে না??”
“ও ঘুমাচ্ছে।সময় হলেই উঠে যাবে।”
আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলো সে মোমকে নিয়ে।,,,
সোজা এসে ঢুকলো নোভার রুমে।,,আলতো করে শুইয়ে দিলো বিছানায়।,,৷, তখনই রুবি এসে ব্যস্ত গলায় বললো..
“নভ বাবা,,,কি হয়েছে মোমের?,,ও নাকি জ্ঞান হারালো? ”
“তুমি ব্যস্ত হইও না কাকিয়া,,,ও ঘুমাচ্ছে।,,, ”
“কি বলছিস তুই?,,,সবার সামনে এভাবে জ্ঞান,,… ”
নভ আগের মতোই ক্লান্ত স্বরে বললো..
“চিন্তা করো না কাকিয়া।,, এটা ওর একটা প্রবলেম,,,”
রুবি যেন কিছুই বুঝলো না।,,
নভ ঝুকলো মোমের দিকে,,, আলতো করে বাম হাত দিয়ে মোমের ডান হাতটা ধরলো।,,,হাতটা এনে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বললো,,,
“আমি চেয়েও আমার মোমের এই প্রবলেমটা সলভ করতে পারছি না।,,,এই দহনটা আমার হৃদয় টা পুড়ে ফেলছে কাকিয়া,,”
রুবি হাত রাখলো নভের কাধে,,, স্তম্ভিত ফিরলো নভের।,,,
“কি হলো নভ,,,তুই এভাবে কথা বলছিস যে?”
“ক্ কিছু না কাকিয়া,,,ত্ তুমি চিন্তা করো না।,,,আমি আছি আমার মোমের সাথে।,,যাও,,তিশুর হয়তো তোমাকে প্রয়োজন পড়তে পারে।”
চুপ রইল রুবি।অপলক তাকিয়ে রইলো নভের দিকে।,,নভ তার থেকে কোনো রেসপন্স না পেয়ে তাকালো..
“কি হলো কাকিয়া?,,,যাও?”
“ভালোবাসিস মোমকে?”
নভ উত্তর দিলো না।তবে একটু থেমে বললো…
“সময় হোক,,, তোমাকেই সব বলবো।”
রুবি হয়তো একটু আশা দেখলেন।হাসলেন তিনি।তা দেখে নভ গম্ভীর কন্ঠে বললো..
“হেসো না কাকিয়া।,,,এই গল্পটা এতোটা সহজ নয়।,,,আমার আর মোমের গল্পটা অতি দীর্ঘ হবে। অনেকটাই দীর্ঘ।,, ”
রুবির নিখুঁত মস্তিষ্ক কিছুটা ধারণা করে নিলো যে কিছু তো একটা আছেই।,,নভের আচরন গুলো ঠিক স্বাভাবিক ঠেকছে না একদমই।,,তবুও এটুকু বুঝে খুশি হলো যে নভও একটা মেয়ের মায়ায় আটকালো।,,হয়তো এবার ওর ক্ষুন্ন মনে একটু তারাবাজি জ্বলবে।,,,
কথা বাড়ালো না রুবি।,,,বেরিয়ে গেলো,,,,,নভ দরজাটা লক করে আবার ফিরে এলো মোমের কাছে।,,,পাশে বসলো নিঃশব্দে।,, নিজের শক্তপোক্ত ডান হাতটা ছোয়ালো মোমের গালে।,,,আলতো করে বুলিয়ে দিলো,,,,আপন মনেই বলে উঠলো..
“আমাদের কপালটাই কেন এমন হলো মোমবাতি?,,,, নিজের অনুভূতি তোমার কাছে প্রকাশ করারও সুযোগ দিলো না তোমাট তিক্ত সত্যটা,,,,এমন কেন হলো গো?,,,,,”
একটু থামলো নভ।তবে একটু পরেই আত্মবিশ্বাসী স্বরে বললো..
“তবে তুমি চিন্তা করো না মোম,,আমি তোমায় ঠিক করে তুলবো,, তুমি না থাকলে আমি কি করবো বলো তো?,,পারবোনা তো থাকতে,,আবারও হৃদয় ভাঙতে পারবো না নিজের।,,তোমাকে চাই,,,আমার শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু গড়িয়ে পড়ার সময় টুকুতেও চাই তোমায়।,,,”
উতলা হয়ে উঠছে নভ।,,,,মোমের গাল ঠেকলো হাতটা নেমে গলায় পৌছালো,,,,
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো মোমকে।,,,সেই প্রথম দিনের মতোই লাগছে।কাচাহলুদ শাড়ী,,।এমন একটা শাড়ীতেই তো মোম তার সামনে এলোমেলো কদমে এসেছিলো।,,,বন্দুকের নল মাথায় ঠেকতেই এই শাড়ীর আদলে লুকিয়ে রাখা বক্ষস্থল কাপাতে লাগলো,,,,কি ইনোসেন্ট মুখ,,,গোল গোল চোখ, কাপা কাপা ঠোট,,,সবই ভাসছে চোখের সামনে।মনে পড়ে গেলো প্রথম পরিচয়ের কাজ গুলো,,, নিজের প্রতি ঘৃণা হতে লাগলে একটু,,,বলে উঠলো..
“আমি কি করে পারলাম এমন কোমল ফুলটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করার??,,কি করে পারলাম তোমায় একত্রে এতেগুলো ছেলের কাছে পাঠাতে?,,ঐ দিন যদি কিছু হতো,,তাহলে হয়তো আজ আর তুমি আমার সামনে থাকতে না,,,ইশশ,,আমি সত্যিই খুব খারাপ মোম,,,খুব খারাপ।তবে এই খারাপের মাঝেও ভালো লাগছে কি জানো?,,,আমি এতগুলো দিন ধৈর্য ধরে তোমায় নিজের কাছে রেখেছি।,,নাহলে তো অনুভূতি গুলো বুঝতেই পারতাম না।,,,পেতাম না এমন একটা কোমল ফুলকে,,,,,”
থামলো নভ।,,শুধু স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার মোমের দিকে।,, অনুভব করছে তার পৌরুষচিত্ত উন্মোচিত হচ্ছে।তার এমন অনুভবকে আরো এক ধাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে বেখেয়ালি ভাবে সরে যাওয়া শাড়ীর আদল থেকে উকি মারতে থাকা মোমের স্বচ্ছ কোমল পেটটা।,,,
চুম্বকের ন্যয় টানছে নভকে,,,,অনুভুতিও অন্যরকম।,,কত মেয়ের সাথে নভ ক্লোজ হয়েছে।তবে তাদের মধ্যে তো কারোর প্রতি এমন অনুভব হয়নি?,,,তাহলে এটাই কি ভালোবাসাময় অনুভুতি?,,যেটা শুধু তার মোমকেই টানে?,,,,আচ্ছা, মোম যদি এতো কোমল না হতো,,যদি অযত্নে বেড়ে উঠা তরুলতার ন্যয় হতো?,,তাহলেও কি নভকে এমন মোহনীয় ভাবে টানতো মোম?,,,,,,
মনগহীনের প্রশ্ন গুলোর উত্তর মিললো না নভের,,,,আর ভাবতেও চাইলো না।,,,,নিজেকে আর সামলাতেও পারলো না।,,,,,বাম হাতের সাহায্যে মোমের পেটের উপরে থাকা বাকি শাড়ীটা সড়ালো,,,এবার পুরোপুরি ভাসমান হলো মোমের উদর।,,,,মুখটা এগিয়ে নিলো নভ,, ঠোট ছোয়ালো মোমের উষ্ণ, সুগঠিত নাভীতে।,,,,,সর্বাঙ্গ তড়িৎ ঝঙ্কার দিয়ে উঠলো নভের।,,,,,,,,,নভ নিজেই খামছে ধরলো মোমের শাড়ীর কুচির দিকটা।,,,
নিজেকে আজ উন্মাদের মতো লাগছে।বুঝতে পারছে এমন চলতে থাকলে আজ সত্যিই কোনো অঘটন ঘটে যাবে।,,,যা এই মুহুর্তে নভের মন চাইলেও মস্তিক চায় না।,,,এতে যে ক্ষনিক সুখের তাগিদে সে আজীবনের মোমকে হারাতে পারে?,,,,
তাকালো নিজের হাতের দিকে,,যা নিবদ্ধ মোমের কুচিতে।,,,মুষ্টি খুলে ফেললো দ্রুত,,,হাত নিয়ে রাখলো মোমের কোমল গালে,,,,মুচকি হাসলো..
“দেখো মোম,,,,তোমার জন্য আমি নিজেকে সামলাতে শিখে গেলাম।,,,,,ওনলি ফর ইউ,,,তুমি ভয় পেও না মোম,,,,তোমার অনুমতি ছাড়া আমি তোমায় গ্রহন করবো না,,,,উপস,সরি,,,একটু মিস্টেক হয়ে গেছে।,,,,তোমার শরীর গ্রহন করবো না।,,,,তোমাকে তো আমি গ্রহন করেই নিয়েছি,,,যেদিন ভালোবাসতে বুঝেছি তোমায়,,সেদিনই।,,,প্রথমে তুমি সুস্থ হবে দেন বাকি সব।,,,,আর যা হবে,,,সব হালাল হবে।,,,তোমায় আমি হারাম ভাবে নিজের করবো না।,,, আই প্রমিস ইউ।,,,”
থামলো নভ।,,,নির্লিপ্ত তাকিয়ে রইলো মোমের দিকে।,,, আর ভাবতে লাগলো অনেক কিছু।,
()()()
ভোরে ঘুম ভাঙতেই পাশে নোভাকে পেলো মোম।৷,, সে ঘুমাচ্ছে।,, গতকাল রাতের কথা মনে পড়তেই উঠে বসলো মোম।নড়াচড়ার কারনে ভেঙে গেলো নোভার পাতলা ঘুম।,,চোখ মেলে মোমকে বসে থাকতে দেখে নিজেও উঠে বসলো,,,আলতো হেসে বললো..
“গুড মর্নিং কিউটিপাই।”
মোমও উত্তর দিলো..
“গুড মর্নিং।আপু,,”
“শরীর ঠিক লাগছে এখন?”
“হ্যা আপু,ঠিক আছি।,,”
“তাহলে চল,,আজ আবার অনেক কাজ।,,,ভাইয়া ব্যস্ত,,,তাই তোর মেডিসিন গুলো আমায় দিয়ে গেছে।,,নাস্তা করে নে,,তারপর মেডিসিন দেবো।”
রাজি হলো মোম।,,,উঠে ফ্রেশ হয়ে নোভার সাথেই নিচে গেলো।,,ডায়নিংএ বসতেই চোখাচোখি হলো পলির সাথে।তিনিও বসেই ছিলেন,,,জুস খাচ্ছিলেন।,,,মোম এসে বসতেই তিব্র চাহনি নিক্ষেপ করে হনহনিয়ে উঠে চলে গেলো সেখান থেকে।,,,তার যাওয়ার পানেই তাকিয়ে রইলো মোম।,,তা দেখে নোভা তাকে বললো..
“এসব নিয়ে ভাবিস না তো কিউটিপাই।,,,এটা আমাদের বাড়ির রেগুলার থিংকস।”
“আপু,,,,আন্টির সাথে তোমাদের কি হয়েছে?,,উনি তো তোমাদের মা,, তাই না?রোমিওটাও কেমন করে কথা বলে উনার সাথে।?”
নোভা কিছুক্ষণ অপলক তাকিয়ে রইলো মোমের দিকে,,,,মোমের কথাগুলো যে সত্যি,,,তবে এটাও সত্যি,,সে পলিকে আর কখনোই আগের স্থান দেবে না।,,,সময়ের সাথে সাথে এইটা অভ্যাস হয়ে গেছে তার আর নভের।,,,,
তবে তা ঠিক প্রকাশ করলো না এই মুহুর্তে। হেসে বললো…
“সে অনেক কাহিনি। পরে একদিন বলবো তোকে।,, ”
একটু পরেই সেখানে এসে উপস্থিত হলো অবন,,,এসেই মোমের মাথায় হাত রাখলো..
“তোর শরীর ঠিক আছে তো?মোমমা?”
কথাটা শুনেই তড়িৎ বেগে অবনের দিকে তাকালো মোম।,,,কি বলে ডাকলেন উনি?,,এটা তো আব্বুর ডাক।,,,মোমের মুখ থেকে আপনাআপনিই অস্পষ্ট স্বরে বেরিয়ে এলো..
“আব্বু,,?”
ধীরে বললেও কথাটা ঠাওর হলো অবনের।হাসলেন তিনি?,,
মোম দ্রুত গতিতে বলে উঠলো..
“ক্ কি ডাকলেন আমায়?”
অবন হেসে বললো..
“কেন?,,,মোমমা?,,তুই তো আমার মেয়েরই মতো।,,তাই নামের সাথে মিলিয়ে মোমমা,,,যেমন নোভাকে ডাকি নোভামা।,,”
মোমের চোখ ছলছল করছে,,,আজ কতদিন আব্বু,আম্মু ভাইয়ার সাথে কথা হয়না।,,,তারা কি ভুলে গেলো মোমকে?,,,নাই বা নিলো আগের মতো কাছে টেনে,,সমাজ নাহয় থাকতে মানা করেছে।তাই বলে কি কথা বলতেও নিষেধ নাকি?,, ;একদম নয়,,তাহলে তারা কেন মোমের খোজ নেয় না?,,মোম নিজে থেকে নেবে বলে?,,,হ্যা,,নেবে মোম তাদের খবর,,কথা বলবে সবার সাথে।,
মোমের বিতৃষ্ণা চোখে পড়লো সবার,,,অবনও একটু চিন্তিত হলো,,,,কি এমন বললেন তিনি?,,,চিন্তিত কন্ঠে বললো..
“কি হলোরে মা?,,শরীর খারাপ লাগছে আবার??”
মোম উত্তর দিলো না,,,,তবে বললো..
“আ্ আব্বু,,,আব্বুর সাথে কথা বলবো।,,,”
+++চলবে+++