#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_৬
“প্লিজ স্যার,,,,আমি আপনার কাছে এটুকু চাইছি।আমার বোনির জন্য এতটুকু দয়া করুন আমায়।,,,,”
নভের পা জড়িয়ে বসে কাদোকাদো কন্ঠে কথা গুলো বলছে মৌয়ান।বেশি নয়,,,নভের চাইতে বছর ২-৩ এর ছোট হবে মৌয়ান,,,,
বাবার থেকে নভের অফিসের খবর নিয়ে প্রায় আধঘন্টা আগে এখানে এসেছে মৌয়ান।উদ্দেশ্য আপাতত একটাই,,,আজকের জন্য তার বোনটাকে চাই।মাস যে শেষ হতে চললো,,।সে জানে অবয়ব রায়ানিশের মতো লোকের কাছে এমন কিছু চাওয়া খুবই বেমানান।তবুও আজযে তাকে কাজটা করতেই হবে।,,
নভ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিজের পায়ে পরে কাকুতি করতে থাকা ছেলেটার দিকে।এতক্ষন কথা বলে বেশ বুঝতে পারলো যথেষ্ট শান্ত স্বভাবের ছেলে।,,,তবে এই ছেলে যে আত্মসম্মানের তোয়াক্কা না করে এভাবে সামান্য কারনে পায়ে পর্যন্ত পরবে তা ধারণার বাইরে ছিলো নভের।,,,,কি এমন প্রয়োজন আজ মোমকে?যে নেওয়ার জন্য এভাবে পায়ে পড়বে?,,,
মৌয়ান ব্যস্ত ভঙ্গিতে মাথা তুলে বললো..
“আমি কথা দিচ্চি স্যার,, বিকেলের মধ্যেই বোনিকে আবার ফেরত দিয়ে যাবো।তবুও প্লিজ স্যার,,আজ একটু রহম করুন।,,আমি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আপনার সব টাকা ফেরত দিবো স্যার,,,তবুও প্লিজ,,,”
নভ কিছুই বলছে না,,,নির্লিপ্ত তাকিয়েই রইলো মৌয়ানের দিকে।একজন ভাই হিসেবে মৌয়ানকে বাহবাটা দিয়েই দিলো মনে মনে সে।নাহলে বোনের জন্য পায়ে পর্যন্ত পরবে?,,,,, বেশ অনেকক্ষন পর নভ গম্ভীর গলায় বললো..
“ঠিক আছে,,,,বাট,,,আমিও যাবো তোমাদের সাথে,,”
মৌয়ান কথা থামালো,,,তাকালো নভের দিকে।নভ বুঝলো,,মৌয়ান তাকে নিতে খুব একটা পছন্দ করছে না।,,তাই সে বললো..
“এতে রাজি না হলে চলে যাও।তোমার বোন ভালোই আছে,,,,বেচে আছে,,,।গো..”
মোয়ান যেন অন্য মনস্ক হলো৷ বিরবিরানি শব্দে মুখ থেকে বেরিয়ে এলো..
“ও ভালো নেই,,,সত্যিই বোনি ভালো নেই।”
নভের কন্ঠে ধ্যান ভাঙলো তার..
“কি হলো যাও,,,,আমার টাইম ওয়েস্ট হচ্ছে। ‘”
সাথে সাথেই মোয়ানের উত্তর পাওয়া গেলো..
“আমি রাজি,,,আপনিও চলুন,,,কোনো সমস্যা নেই,,,,তবুও প্লিজ অনুমতি দিন স্যার।”
মোয়ানের প্যান্টের পকেটে থাকা ফোন বায়ব্রেট হচ্ছে বারবার।তবে সেদিকে তার কোনো ধ্যান নেই,,,,সে ব্যস্ত নভকে রাজি করাতে,,,,,একটু থেমে নভ উত্তর দিলো..
“লেটস গো,,,”
বলেই মোয়ানের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগলো,,,সাথে সাথে মোয়ানও উঠে দাড়ালো।মুখে ফুটে উঠলো হালকা খুশির ঝলক,,,,এতক্ষণের রিং হতে থাকা ফোনটা তুলে কানে ধরলো…
“বল?,,”
—–
“আমার আসতে লেইট হবে,,,, এই ধর সন্ধ্যার দিকে,,,একটু ম্যানেজ করে নিস।”
কল রেখে দিলো নভ,,,,বাইরে এসেই নিজের গাড়িতে উঠে বসে মোয়ানকেও ইশারা করলো গাড়িতে বসতে।,,,মোয়ানও দ্বি মত করলো না,,,তার এখন একমাত্র লক্ষ্য বোনির কাছে যাওয়া।,,,,উঠে বসতেই নভ গাড়ি স্টার্ট দিলো।,,,,
শাঁ শাঁ করে ছুটতে ছুটতে গাড়ি এসে থামলো সেই রিসোর্টের সামনে।,,,,নভের পিছু পিছু মোয়ানও এগোতে লাগলো,,,,ইতোমধ্যেই নভ অনেক প্রশ্ন করে ফেলেছে মোয়ানকে।,,,,সব প্রশ্নের উত্তর না দিলেও নভ জানতে পারলো মোয়ান এই মুহুর্তে মোমকে নিয়ে হসপিটাল যেতে চাইছে,,,,তবে তা কি কারনে তা ঠিক জাননা নেই,,, নভও আর জোর করেনি।ভাবলো গেলে নিজেই দেখবে।,,,,
রুমের লক খুলে ভেতরে ঢুকলো নভ।পিছু পিছু মোয়ানও গেলো।,,,,চোখের সামনে ভাসমান হলো মোমের হাটু ভেঙে একপাশ ফিরে ঘুমিয়ে আছে।চুলের খোপাটাও হালকা হয়ে আছে।,,,
মোয়ানের হৃদয় নড়ে উঠলো।আজ প্রায় ১ মাস পর নিজের কলিজার টুকরো বোনটাকে দেখছে।তার বাচ্চাসুলভ ছোট্ট বোনটার প্রতি অন্য ভাইদের তুলনায় মোয়ানের একটু বেশিই টান কাজ করে।মোম একদিকে যেমন ভাই ভাই করে সারাক্ষণ তেমনি মোয়ানও যে বোন অন্ত প্রাণ।,,,যখনই মনে পড়ে তার এই সদ্য ফোটা ফুলের মতো তুলতুলে বোনটা আর মাত্র কিছুদিন তার সান্নিধ্যে থাকবে,,তখনই নিজের চার টুকরোর কলিজটাকে টেনে খুবলে শরীর থেকে বের করে দিতে মন চায়।এযে এক মর্মাহত বড় ভাইয়ের আত্ম তৃপ্তিময় জিনিস,তার বোনের অন্তরেখা।,,,,অথচ দেখো,,তার এই ছোট্ট বোনটা এই অল্পকিছু দিনেই যেন হুট করে পরিবর্তন হয়ে গেছে। নিজের করুন পরিনতির কথা জানা মাত্র থেকেই বড়দের মতো শান্ত, নিশ্চল হয়ে গেছে।এতটাই বড় হয়েছে যে আব্বু এখন তার বিয়ের কথা ভাবতেও দ্বিধা বোধ করে না।,,,,,
কলিজার টুকরো বোনের ঘুমন্ত স্নিগ্ধ মুখটা লোচন হতেই আপনা আপনি চোখের কোনে কৃষ্ণ মেঘ জমলো মোয়ানের।,,,ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে বসলো মোমের মাথার কাছে।এখন আর তার নভের দিকে তেমন খেয়াল নেই।,,,,
কাপাকাপা হাতটা তুলে মোমের মাথায় রাখলো।বুলাতে লাগলো তার ছোট্ট বোনটার রুক্ষ চুলে।,,,
মোমের ঠোট জোরা হালকা ফাক হয়ে আছে।সেখান থেকেই মুখের ভেতরের লালা বেয়ে পরছে একপাশে মাথার নিচের বালিশটায়।,,,মোয়ান বুঝলো তার বোনটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এমন হলেই যে মোম হা করে শ্বাস ছাড়ে।,,,,,,ডান হাতের বৃদ্ধাঙুল দিয়ে মোমের ঠোটের কোনের লালা গুলো আলতো মুছে দিলো মোয়ান।,,,সাথে সাথেই মোমের ঠোট জোরা আলতো কেপে উঠলো।পরে আবার ঠিকও হয়ে গেলো।,,,,মোয়ান আরো খেয়াল করলো মোমকে।ইশশ তার ছোট্ট বোনটা শাড়ী পরে আছে।বেসামাল মেয়েটা তার ঠিক সামলাতেও পারেনা।এই যেমন শাড়ীটা হালকা সরে তার ফর্সা পিঠের কিছু অংশ দৃশ্যমান হয়ে আছে।,,,,,মোয়ান ধীরে সুস্থে শাড়ীটা টেনে ঠিক করে দিলো।,,,পায়ের দিকের উঠে যাওয়া শাড়ীটাও টেনে ঢেকে দিলো মোমের মেদহীন ছোট্ট গোলগোল পা জোড়া।,,,,
নভ দরজার সামনে দাড়িয়ে পকেটে দু হাত গুজে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে মোয়ানের কাজ গুলোকে।,,,,,বাব্বাহ,,ভাই হয়ে বোনের এতো খেয়াল রাখে?,,কই সে তো তার ছোট বোন নোভার এমন খেয়াল রাখে না?মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে হালকা খোজ খবর নেয় এই যা।আর দেখা হলেই মাথায় একটু আদুরে হাত বুলিয়ে দেওয়া।,,,তাহলে কি সে একজন ভাই হিসেবে পার্ফেক্ট না এখনো?মোয়ানকে দেখেতো এখন তাই মনে হচ্ছে।,,,
নভের দৃষ্টি লক্ষ্য করলো মোয়ান।,,,তা দেখেই শান্ত স্বরে বললো…
“ও আমার কলিজা স্যার,,,,ওর এমন হাজারো আগোছালো কাজ আমি গুছিয়ে দিই,,,ভালো লাগে আমার এসবে মনে তৃপ্তি আসে,,তখনই মনে হয় আমি ওর মতো মাখনের ভাই হওয়ার যোগ্য। ”
কথা গুলো অন্তরে আঘাত করলো নভের,,,ভাবলো,,সত্যিই আমি ভাই হিসেবে অযোগ্য।,,,,,,,,
তবে এমন অনুভূতি আর প্রকাশ করলো না মুখে।শুধু এটুকুই বললো..
“তুমি বসো,,আমি ওর খাবার অর্ডার দিয়ে আসছি।”
বলেই বেরিয়ে গেলো।,,,,,,
প্রায় ৫ মিনিট পর ফিরলো সে।মোমের কথা কানে আসতেই আর ভেতরে ঢুকলো না সে।দরজায় দাড়িয়েই দেখতে লাগলো তাদের।,,,
মোম কাদছে,,ভাইকে জড়িয়ে ধরে কাদছে।নানা রকম অভিযোগের খাতা খুলেছে আজ সে।এই ভাইটাই যে তার আদালত।যেকোনো অভিযোগ তুলে ধরা যায় তার কাছে।,,,,,,মোয়ানও সন্তর্পণে আগলে রাখলো নিজের প্রাণ প্রিয় বোনটাকে।,,,আর শুনতে লাগলো বোনের এতদিনের কাটানো অন্যরকম অভিজ্ঞতার জীবনি।,,,,,
“তুমি জানো ভাইয়া,,,,ঐ রোমিওটা না,?খুব পচা,,,আমায় একটুও বাইরে যেতে দেয় না।,,সারাদিন এই রুমটায় রেখে চলে যায়।একা একা থাকতে কার ভালো লাগে বলো তো তুমি?,,”
মোয়ান মুচকি হাসলো,, সে অনুভব করতে পারছে তার বোনটার কথার গভীরতা।,,
“খুব কষ্ট পেয়েছিস তাই নারে বোনি?,,অন্নেক বেশি?”
মোম কাদতে কাদতে মাথা ঝাকিয়ে বললো…
“হুম,,,আমার এখানে একটুও ভালো লাগে না ভাইয়া,,, তুমি আমায় নিয়ে যেও আজ।তবে আমরা আর ঐ বাড়ি যাবো না ভাইয়া,,,আর যাবো না।”.
” হয়েছে বোনি,,,সব শুনবো।তবে এবার একটু কান্না থামা বোন আমার,,তোর কষ্ট হবে তো,,”..
“কাদলে কষ্ট হয় না ভাইয়া,,,কমে যায়,,”
“যানি বোনি,,,তবে তোর ক্ষেত্রেযে বিষয়টা আলাদা।তুই কাদলে তো কষ্ট বাড়বে,,,তাই কাদে না বোনি,,,,প্লিজ।,ভাইয়া বলছি তো?”
মোম কোনো রকম হিচকি তুলে কান্না আটকালো। মুখ তুলে সরাসরি তাকালো মোয়ানের দিকে।,,
মোয়ান মুচকি হেসে বললো..
“এই তো আমার লক্ষী বোনটা।,,,তুই তো এই কয়দিনে খুব গুলুমুলু হয়ে গেছিস,,”
নভ তাকালো মোমের দিকে। সত্যিই মোম একটু মোটা হয়েছে আগের থেকে।,প্রথমদিন তো একদম পাটকাঠি ছিলো।,,,,একটু বলতে একটুই মুটিয়েছে।এই হবে হয়তো ৪৫-৪৬ কেজি।,,,,হবেনা?,,,সারাদিন তো কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমায়,,,এমন ঘুমালে তো মোটা হবেই।,,,,,
মোয়ান আরো বললো…
“শাড়ীও পরছিস?”
মোম মুখ কুচকালো,,,,
“ইশশ, কি যে বিচ্ছিরি একটা জিনিস এই শাড়ী জানোতো ভাইয়া,,,আমার একটুও ভালো লাগে না।,,ঐ রোমিওটা এসব দিয়ে গেলো।এখানে তো আমার আর কোনো ড্রেসই নেই যে সেগুলো পড়বো।,,,আর কি সব এনেছে দেখো,,,ব্লাউজ গুলোও ঢিলা,,,শয়তানটার চোখেও সমস্যা আছে জানো তো,,,”
নভ ভ্রু কুচকে শুনতে লাগলো মোমের কথা,,,আহ,,কি সুন্দর মেয়েটা তার নামে বিচার দিয়ে যাচ্ছে,,, দারাও মেয়ে,,তোমায় মজা পরে দেখাবো।,, আর ঐ এনি৷ না,,,বললাম দেখে শুনে শাড়ী গুলো আনতে,,আরে চোখে সমস্যা আমার নাহ,,ঐ এনির আছে।ঠিক মতো মাপ নিয়ে ব্লাউজও কিনতে পারে না।,৷
মুখে কিছুই বললো না নভ।সে শুনতে চায় তার মোমের মুখের ঐ মাখন মাখানো কথা গুলো।কেন যেন মোমের এই বাচ্চা বাচ্চা বিচার গুলো নভের কাছে বেশ লাগছে।মজাদার৷ মসলাদার।,,,
“একি বোনি,,তুই চুল কেটে ফেললি?,,আর চুলগুলো এমন রুক্ষ কেন?শ্যাম্পু করিস নি?”
মোমের মুখটা আবার কাদো কাদো হয়ে উঠলো…
“দেখো না ভাইয়া,,,ঐ রোমিওটা আমার চুলগুলো কেটে ছোট করে দিয়েছে।,,,আমার কত্তো শখের লম্বা চুলগুলো সব কেটে ফেললো ঐ লোকটা।আমি বাধা দিতে গিয়েও পারলাম না।উলটে আমাকে সাজিয়ে গুজিয়া কতগুলো পচা ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিলো ঐ দিন।”
মোয়ানের যেন মন নড়ে উঠলো।তার মানে তার ধারণাই ঠিক।তার বোনের সাথে…. ”
আর ভাবতে পারলো না মোয়ান। কিছু বলতে যাবে,,তার আগেই মোম আবার বলে উঠলো..
“হুহ,,পরে আবার নিজে গিয়েই নিয়ে আসলো আমায়।দেখেছো কেমন বদ লোকটা?”
মোয়ানের যেন সস্থি ফিরে এলো,,,,তুতলিয়ে বোনকে জিজ্ঞেস করলো..
“ত্ তার মানে,,,তোর সাথে ক্ কিছু হয়নি?”
মোম তাকালো মোয়ানের দিকে।মোয়ানের কথার মানে বুঝতে বেগ পেতে হলো না তার।কি বলবে ভাবলো,,৷ মোয়ান আবার প্রশ্ন ছুড়লো…
“আই মিন,,,তোর সাথে ইন্টিমেন্ট?,,,,প্লিজ বোনি,,হেজিটেইড ফিল না করে বল।আমি তোর ভাইয়াই তো,,,আমাদের মধ্যে ইটস নরমাল,, না বোনি?”
মোম দু দিকে মাথা নাড়ালো।অর্থাৎ না।,,,
মোয়ান আবার প্রশ্ন ছুড়লো..
“স্যার,,,,আ্ আই মিন তোর ঐ রোমিও,,উনি কিছু করেছে?,,,”
মোম মুখটা নিচু করে ফেললো…
“নাহ,,,তবে…,,,ভয় দেখায় শুধু।”
মোয়ানের একটু খটকা লাগলো..
“লোকটাতো তার বোনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেনি।আর ঐ ছবিটা?,,,ছবিটা কি ছিলো?”
নভ এবার জবাব দিলো….
“তোমার লেইট হচ্ছে না?”
তার কথায় দুজনই ফিরলো তার দিকে।,,,মোয়ান কথা এড়ালো।,,,,মনে পড়লো তার বোনকে নিয়ে হসপিটাল যাওয়ার কথা,,,মোমের দিকে তাকিয়ে বললো…
“বোনি…,,তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে,,,আমি তোর জন্য একটা ড্রেস নিয়ে আসি ততক্ষণে। আর গোসল নিয়েছিস?”
“নাহ,,, এখনো নেই নি।এসেছি ধরে চুলে শ্যাম্পুও করিনি।,,,ভাইয়া,,তুমি আজ আমায় শ্যাম্পু করিয়ে দেবে?”
মোয়ান হেসে দিলো..
“ওকেয় মাই বোনি,,,তুই যা ফ্রেশ হ।আমি ড্রেস নিয়ে এসেই করিয়ে দিচ্ছি। ”
বলেই গাল টেনে দিলো মোমের।মোমও খিলখিলিয়ে হেসে দিলো।,,,
নভ ব্যস্ত হয়ে দেখতে লাগলো মোমের এমন হাসি।এর আগে মোম কখনোই এভাবে হাসেনি।,,,কি সুমধুর হাসি,,,ইশশশ মেয়েটা এভাবে সবসময় হাসে না কেন?,,,,
++++চলবে+++