#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_৭
“আমি তোমার বোনের সাথে কিছুই করিনি,,ঐ ছবিটা যাস্ট তোমাদের একটু বিশ্বাস করানোর জন্য ছিলো।ব্যাস।”
মোয়ান অবাক হয়ে শুনলো নভের নির্লিপ্ত কথা গুলো।কথা গুলো যেন বিশ্বাস হয়েও হচ্ছে না।,,,,জোর করে কিছু করতে গেলে মোম নিশ্চই বাধা দিতো।এতে তো তার ব্রেনেও স্ট্রেস পড়তো,, কিন্তু এমনটা হয়নি।তাই নভের কথাটা বিশ্বাস যোগ্য।তবে প্রশ্ন একটাই,,,নভ একজন পুরুষ,,,সে কিভাবে পারলো এতোটা সুযোগ পেয়েও নিজেকে সামলাতে? এটাও কি সম্ভব হয়েছে….?…
মোয়ানের কোনো প্রকার উক্ত না শুনেই নভ বেরোতে বেরোতে বললো…
“তাই বলে এটা ভেবো না আজ তুমি ওকে এখান থেকে পার্মানেন্ট নিয়ে যেতে পারবে,,,।,,,তুমি এখানেই থাকো।আমি ১০ মিনিটে ওর জন্য নর্মাল ড্রেস নিয়ে আসছি”
চলে গেলো নভ।৷ তার যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো মোয়ান।,,,
“ঐ রোমিওটা চলে গেছে? ভাইয়া?”
পেছম থেকে মোমের কন্ঠ কানে আসতেই তার দিকে ফিরে তাকালো মোয়ান।,,,
ইশৎ হেসে ওয়াশরুমের দিকে এগোতে এগোতে বললো…
“চল,,,তোর চুলে শ্যাম্পু করিয়ে দিই।”
মোমও এগিয়ে গেলো,,,, এ প্রথম নয়,,,মুলত সব সময়ই তার একগোছা লম্বা চুলে শ্যাম্পু করে দিতো তার এই ভাইয়া নয় তো আম্মি।নিজে নিজে সে কখনোই এই চুল সামলাতে পারতো না,,,তবে এখন সামলানোর মতো হলেও ইচ্ছে যেন সহায় হলো না মোমের।পুরোনো অভ্যেস কে বদলানো তো আর এতো সহজ নয়।,,,
:::
এতোদিন নিজের এক পরিচিত মেয়েকে দিয়ে মোমের শাড়ি টারি সব আনালেও আজ আর নভের ইচ্ছে করলো না তাকে আনতে বলতে।মেইন টাউনে হওয়ায় রিসোর্ট থেকে দু কদম এগোতেই পাওয়া যায় নামি এক শপিং মল।,,,,নভও সেখান থেকে ছাই রঙা এক রেডিমেড থ্রিপিজ নিলো সে।কল্পনায় আকতে গিয়ে মনে হলো মোমের দুধ ফর্সা শরীরটা যখন এই কালছে ছাই রঙা জামাটায় ঢেকে থাকবে,, তখন তাকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগবে।,,ভাবনা মতো তাই সেটাই কিনে নিলো নভ।ওয়েস্টার্নের কথা মাথায় এলেও পরক্ষণেই মনে পড়লো মোমকে সে কিছুতেই ওমন ওভার স্টাইল যুক্ত ড্রেস পড়ে বের হতে দিবে না।,,
নিজের এই অধিকার বোধটা জন্মানোর কারন নভের অজানা,,,সরি,,ঠিক অজানা নয়,,,সন্দিহান বলা যায়।হ্যা,,সে সত্যিই সন্দেহে আছে যে সেকি তার মনের কোনে ঐ মেয়েটাকে জায়গা দিয়ে ফেলোছে?নাকি সবটাই কিডনাপ করে আনার জন্য,নিতান্তই দায়ীত্ববোধ।,,,,,তার এই দ্বিধাকে আরেক ধাপ ঘুলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট তেজের মুখের ইউনিক টাইপ ভাষা গুলো।,,,,,,এই যেমন মাত্রই ফোন করলো নভকে.
“শালা,,,কোন্ডাই তুই?”
“শপিং মলে”
“আইচ্ছা আই আধা ঘন্টার ভিত্তে আইয়ের।”
“তাহলে ন্যাশনাল হসপিটালের সামনে দাড়াবি।আমরূ ওখানেই থাকবো।”
আর একটা কথাও বলার সুযোগ দিলো না তেজকে।,,,,,
রুমে ঢুকতেই ওয়াশরুমের দিক থেকে এক কোমল নারি কন্ঠের খিলখিলিয়ে হাসির শব্দ কানে বাজলো নভের।একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলো,,,ওয়াশরুমের দরজা খোলাই আছে।সেখান দিয়েই দেখা যাচ্ছে মোমকে। যে এই মুহুর্তে বাথটবে বসে হাসতে ব্যাস্ত,,আর পেছনেই মোয়ান আলতো হাতে তার চুলে শ্যাম্পু মাখিয়ে দিচ্ছে।,,,,
নভ বুঝলো মোয়ান মোমকে কিছু না কিছু বলে এমন হাসাচ্ছে।,,নভ মুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলো মোমের দিকে।,,,,বাচ্চাদের মতো চোখ ছোট ছোট করে হাসছে সে।হাসির সাথে সাথে নিজেও বারবার দুলে উঠছে।,,,পোশাক তার মার্জিত অবস্থাতেই আছে।তাই নভ ডাকলো…
“মোয়ান?,,,ওর ড্রেসটা?”
দুজনেই তাকালো দরজার দিকে।সাথে সাথে মোমের হাসিও বন্ধ হলো।মোয়ান হাত ধুয়ে এসে প্যাকেটটা নিয়ে ওয়াশরুমের ভেতরে হ্যাঙ্কারে রাখতে রাখতে বললো…
“গোসল নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে আয় বোনি,,,আমরা বাইরে ওয়েট করছি।,,”
বলেই বেরিয়ে দরজা টেনে দিলো।মোমও উঠে গিয়ে দরজা লক করে শাওয়ার নিতে লাগলো।,,,
,,,, সাদা রঙের টাওয়াল দিয়ে নিজের কোমর সমান চুল গুলো মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো মোম।দেখলো মোয়ান এবং নভ, দুজনই খাটে বসে।,,,,,
নভ তাকালো মোমের স্নিগ্ধ শরীরের দিকে।ছাই রঙা জামাটা মোমের শরীরের সাথে চিপকে আছে।,,,নভ আগে থেকেই একটু সন্দেহে ছিলো,,যে এই মাপটা ঠিক হবে কি না?,এখন তো দেখছে এটাই একদম পার্ফেক্ট।নিজের ভাবনার চেয়েও অধিক সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে।,,,নভ মনে মনে নিজেকে হালকা গালিও দিয়ে দিলো।…”ইশশ কেন যে আগেই নিজে পছন্দমতো করে ওর জন্য ড্রেস আনলাম না?,,,শুধু শুধুই ঐ মেয়েকে দিয়ে আনাতে গেলাম।,,,এবার থেকে মোমের সব আমি নিজ হাতেই আনবো।৷ ”
,,,,,,মোয়ানের হাত ধরে নভের পেছন পেছন বেরিয়ে এলো মোম,,,তার ননস্টপ বকবকানি শুনেই যাচ্ছে মোয়ান।,,,নভ এতক্ষণে বুঝে গেলো,,,যে মোয়ান এতে অভ্যস্ত।,,,রিসোর্টের বাইরে আসতেই নভ গাড়ি আনতে যাবে,,এই সময় মোম,মোয়ানের হাত ঝাকিয়ে বললো…
“আমরা রিক্সায় যাবো,,,প্লিজ ভাইয়া,,,,”
মোয়ান কি বলবে বুঝতে পারছে না,,, নভের দিকে তাকাতেই দেখলো বভ ভ্রু কুচকে মোমের দিকে তাকিয়ে আছে।,,একটু পরেই নভ মোয়ানকে বললো…
“যাও,,,,আমি আসছি গাড়ি নিয়ে,,, ”
অনুমতি পেয়ে মোয়ান আর মোম দুজনেই খুশি হলো,,,হুট তোলা রিক্সায় চড়ে দুই ভাইবোন রওনা দিলো গন্তব্যে,,,,
()()()()()()()
“হেই,,,,ওর সাথে এমন করছো কেন?,,ওপেন দা ডোর ড্যামেড,,,ছেড়ে দাও আমার মোমকে,,,,”
নভের এমন পাগল প্রায় চিৎকারে ছুটে আসলো তেজ,,,তাকে আটকানোর চেষ্টা করলো,,,,কিন্তু নভের পেশি বহুল দেহের কাছে এই চেষ্টা অতি নগন্য,,,, নভ অবিরত হসপিটালের থেরাপি কেবিনের দরজায় বারি দিচ্ছে,,,,,
দরজার উপর দিকে চৌকোনাকৃতির ছোট্ট গ্লাস দিয়ে ভেতরের প্রায় সবই দেখছে নভ।,,,,,ভেতরে তিন চারজন ডক্টর নার্স,,,তার মাখনের মতো মোমের ছোট্ট মাথার দুপাশে কি একটা চেপে ধরে আছে।,,,আর এদিকে মোম যন্ত্রণায় হাত পা ছুড়ছে,,,তাও ঠিক মতো করতে পারছে না,,নার্সরা তাকে চেপে ধরে রেখেছে বিছানার সাথে।৷ চোখ ওলটাচ্ছে,,ঠোট দুটো থরথর করে কাপছে তার,,এসব দেখেই দরজার বাইরে দাড়িয়ে থাকা নভের হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মিনিট তিনেক আগেও সে ধারনা করতে পারেনি তার মোমের সাথে এমন কিছু হতে যাচ্ছে,,, যদি জানতো,,তাহলে কখনোই সে মোয়ানকে অনুমতি দিতো না মোমকে নিয়ে আসার।,,,,,,
হসপিটালের করিডোরে দাড়িয়ে অনেকেই দেখছে নভের এমন পাগলামো,,,তবে সেদিকে তার কোনো মন নেই,,,সে তো ব্যাস্ত তার প্রাণোশিখাকে ফিরিয়ে আনতে,,,,সে জানেনা কেন সে এমন করছে,,,তবে এই মুহুর্তে তার ইচ্ছে করছে ঐ বিছানায় কাতরানো মোমকে টেনে এনে নিজের মন গহীনে লুকিয়ে রাখতে,,,যাতে কেউ আর তাকে খুজে না পায়,,,আর না কষ্ট দিতে পারে তার প্রাণোশিখাকে।,,,
তবে সেই ইচ্ছেকে পুর্নতা দিতে পারলো না নভ।ভাঙতে পারলো না তার আর মোমের মধ্যকার দূরত্ব দেয়াল খানা,,,,ভেতর থেকে ডক্টর নার্সরা নভের এমন কান্ড ঠিকই দেখেছে,,,তবে তাদের এখন নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়াটাই বেশি জরুরি,,,,
তেজ একা পারছিলো না নভকে সামলাতে,,,এদিকে চিৎকার শুনে রিসেপশানের কাছ থেকে দৌড়ে এলো মোয়ানও,,,তেজ তাকে দেখেই বললো…
“আমায় হেল্প করো মোয়ান,,,নভকে সামলাতে হবে,,,”
মোয়ানও এগিয়ে গেলো,,,,নভ চিৎকার করে তেজকে বলছে…
“আমার মোম কষ্ট পাচ্ছে তেজ,,,,ওকে ছারতে বল,,,,মোমের খুব কষ্ট হচ্ছে,,, ছটপট করছে তো ও,,,আমায় ছাড় তোরা,,,আমার মোমের কাছে যেতে হবে,,,,ছাড় বলছি…”
মোয়ান নভকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললো…
“বোনির কিছু হবে না স্যার,,,এটা একটা থেরাপি মাত্র,,,ওর কিচ্ছু হবে না,,,”
তেজও বললো…
“শান্ত হ নভ,,প্লিজ শান্ত হ,,,এমন হাইপার হোস না প্লিজ।,,”
অনেক কষ্টে নভকে দরজার কাছ থেকে টেনে আনলো মোয়ান আর তেজ মিলে,,,ফ্লোরে বসে পড়েছে সে,,,তবুও ছোড়াছুড়ি করেই যাচ্ছে। আগের থেকেও দ্বিগুণ চিৎকার করে বলছে…
“আমার মোমকে ছাড়তে বল তোরা,,,,নাহলে আমি ওদের ছাড়বো না,,,,লাশ ফেলে দেবো সবকটার,,,,ছাড়তে বল আমার মোমকে,,,,”
রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো ডক্টর আদনান,,,বয়স প্রায় ৫০ এর কাছাকাছি।,,,তবে সেদিকে লক্ষ্য করলো না নভ।ফ্লোর ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে বড়বড় পা ফেলে এগিয়ে গেলো আদনানের কাছে।ন্যনো সেকেন্ডের মধ্যে তার গলা চেপে ধরে পাশের দেয়ালে চেপে ধরলো।,,,,নভের চোখ গুলো হিংস্র বাঘের ন্যয় হয়ে আছে।মুখের হিংস্রতাই জানান দিচ্ছে এই মুহুর্তে যার তার সাথে যা ইচ্ছে করে ফেলবে সে,,,দাতে দাত চেপে সজোরে বললো..
“কি করেছিস আমার মোমের সাথে,,,,কেন ওকে কষ্ট দিয়েছিস তুই,,,,আজ তোকে আমি ছাড়বো না,,,,”
নভের হঠাৎ এমন কান্ড দেখে আৎকে উঠল মোয়ান, তেজ সহ করিডোরের সবাই।তেজ দ্রুত গিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো,,তবে ব্যর্থ সে।,,,ড. আদনানকে প্রায় শূন্যে উচিয়ে তুললো নভ।এদিকে ডক্টরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা।,,,, মোয়ানও ছাড়াতে গেলো নভকে,,,তবে এবার আর পারছে না।শেষমেষ বুদ্ধি করে তেজ বলে উঠলো…
“মোমের কাছে যাবি না নভ?”
হুস ফিরলো নভের,,,,হাত ছেড়ে দিলো আদনানের গলা থেকে,,,সাথে সাথেই আদনান মুখ থুবরে ফ্লোরে পড়লো।,,,,নভ দৌড়ে গেলো কেবিনের ভেতরে,,,
এদিকে তেজ আর মোয়ান ড. আদনামকে সামলাতে লাগলো..
“সরি,,,সো সরি ড.,,,ইটস আ মিস্টেক”
ড. ও কোনো মতে নিজেকে সামলে নিলো।,,,
,,,,,,এদিকে মাত্রই মোমের মাথার নিচের বালিশটা ঠিক করে দিতে লাগলো একজন নার্স। তখনি তড়িৎ বেগে ছুটে এসে মোমকে তুলে ঝাপটে ধরলো নভ।মুখখানা গুজে দিলো মোমের মসৃন ঘাড়ে।,,,,
হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে রইলো নার্স গুলো।,,,দরজা দিয়ে মোয়ান আর তেজ প্রবেশ করলো।,,হাতের ইশারায়া নার্সদের বেরিয়ে যেতে বলতেই বেরিয়ে গেলো নার্স গুলো।,,,
নভের শরীর এখনো কাপছে,,তবে শান্ত লাগছে মনটায়।এতক্ষণের চাতক পাখির ন্যয় লাফাতে থাকা অন্তঃকরণটা ধীরে ধীরে স্থির হয়ে এলো।
ধীরে ধীরে মুখ তুললো নভ।,,,মোমের হেলে যাওয়া মাথাটা স্বযত্নে নিজের হাতে তুলে নিলো।বদ্ধ চোখের পাতায় বিন্দু বিন্দু জল লক্ষ্য করলো।,,,ভ্রু কুচকে তেজকে প্রশ্ন ছুড়লো..
“মোম এমন করে আছে কেন?,,কি হয়েছে ওর?”
তেজ এসে নভের কাধে হাত রাখলো…
“কিচ্ছু হয়নি মোমের,,,একটু পরই ঠিক হয়ে যাবে।”
মোয়ান জিজ্ঞেস করলো..
“আপনি ঠিক আছেন স্যার?”
নভ এবার তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়লো..
“সত্যিই মোম ঠিক হয়ে যাবে তো?”
“হ্যা,,সত্যি।আপনি একটু নিজেকে সামলান,প্লিজ।”
সময় নিয়ে শান্ত হলো নভ,,,মোমে সুইয়ে দিলো। কারন একটু আগেই একজন নার্স এসে মোমের হাতে এক ব্যাগ রক্তের সিরিঞ্জ পুশ করে গেলো।ব্লাড দেওয়া হচ্ছে মোমকে।আী সে নিথরতার সাথে ঘুম।,,
শান্ত হয়ে নভ শুনলো সব।,,,একটা কারনে মোমকে প্রায় একমাস পরপর এই থেরাপিটা দেওয়া হয়।তবে নভের মনে প্রশ্ন জাগলো,কি কারনে এমন থেরাপি?জানতে হবে তাকে।কি এমন হয়েছে তার মোমের?,,,,
ঘাড় ফিরিয়ে তেজের দিকে তাকালো নভ।,,,
“মোয়ান কোথায়?”
“কইছে তো রিসেপশনে গেছে।”
“আমি একটু আসছি।,,,মোমকে দেখে রাখবি।”
বলতে বলতেই চলে গেলো নভ।রিসেপশনের কাছদকাছি যেতেই কানে এলো মোয়ানের সামনে দাড়িয়ে থাকা রিসেপশনিস্টের কথা।
“সরি স্যার,,,আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। মোট ৪৭ হাজার এসেছে।,,,”
মোয়ানের চিন্তিত কন্ঠ..
“কিন্তু গত মাসেই তো ৩২ হাজার ছিলো।”
“তখন শুধু থেরাপিটা ছিলো।লো স্কেলে,,,বাট এইবার হাই স্কেলে পরেছে থেরাপিটা,,,কারন গত একমাস ধরে উনার মেডিসিনগুলো কন্টিনিউ হচ্ছে না।,,এছাড়াও উনার এর মধ্যে একবার মস্তিষ্ক থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাই এক্সট্রা ব্লাডও দেওয়া হচ্ছে। তাই কস্ট একটু বেশি।,,,”
মোয়ানের চিন্তিত মুখটা আরেকটু গম্ভীর হলো।,,বললো..
“ওকে,,,আমি টাকাটা কিছুক্ষণ পরে পেমেন্ট করছি।”
“শিওর স্যার”
মোয়ান একটু সরে এলো।কিছুক্ষণ ভেবে কাকে যেন কল করলো…
“হ্যা রানা,,,ইম্পিডিয়েট আমায় ১৫ হাজার টাকা দিতে পারবি দোস্ত?”
—-
“একটু প্রয়োজন ছিলো আরকি,,,”
“কি?,,,পারবি না?,,,ওকেয় ঠিক আছে।”
কল কেটে দিলো,,আবার আরেকজনকে কল লাগালো..
“নিরব?,,,আমার কিছু টাকা লাগবে দোস্ত,,,একটু ম্যানেজ করবি?”
“—-”
“হ্যা,,,ব্ বোনির জন্যই।”
—-
“ঐ,,,আমার বোনির নামে একটা বাজে কথাও বলবি না,,,,সাহায্য না করতে পারলে চুপ থাক,,,”
—-
“নিরব!!,,,যাস্ট শ্যাটআপ,,তোর মতো বন্ধুর চেয়ে বনের কুমির পালা ভালো,,,,”
ফোন কেটে রাগে ফুসছে লাগলো মোয়ান,,,নভ এক্ষুনি মোয়ানের কাছে গেলো না,,,রিসেপশনে গিয়ে কথা বলতে লাগলো,,,তবে একটু পর পর মোয়ানকেও দেখছে,,,,,বুঝে নিলো…
“নিশ্চই ফোনের ওপাশ থেকে মোমকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে।”
+++চলবে+++
[অনেকেই বলছে নভের চরিত্রটা ভালো লাগছে না।,,,আমি প্লটটাই এভাবে সাজিয়েছি। ধীরে ধীরে নভের চরিত্রও পরিবর্তন হবে।তাই ধৈর্য ধরুন প্লিজ।আর মোমের ব্যাপারেও জানানো হবে নিশ্চই।]