#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_৯
সকালের রোদ বড্ড মিষ্টি। আর তা যদি হয় অগ্রহায়ণের শীত শীত ভাবের মাঝে,,,তাহলে তো আর কথাই নেই।,,স্বর্বাঙ্গে ঐ তৃপ্ত রোদ মেখে নেয় লোকে।উহুম,,ভিটামিন -ডি পাওয়ার লোভে নয়।নিজের শীতল শরীরে উষ্ণতা আনতে।,,,
সেই তৃপ্ত রোদের প্রখর রশ্মি থাই গ্লাস ভেদ করে চোখে এসে পড়তেই হালকা চোখ খুললো নভ।,,,সারাক্ষণের মতো মাথায় ঘুরপাক খেলো মোমকে দেখার ইচ্ছে টা।পাশ হাতরিয়ে না পেয়ে ভ্রু কুচকালো নভ। মোম নেই পাশে।,,,কোথায় গেলো মেয়েটা?,,,
তড়িৎ গতিতে দরজার পানে তাকালো।নাহ,,,বাইরে যায় নি।দরজা তো ভেতর থেকে লক করা।,,,হালকা চিন্তা মুক্ত হলো।তবে এই ভোর সকালে কোথায় গেলো? শরীর ঠিক আছে তো ওর?,,,হাটতে পারছে?,,,
ভাবনার মাঝেই নিঃস্তব্ধতার রেশ কাটিয়ে ঝুমঝুম সুরে ভেসে এলো এক শব্দ।,,, কান খাড়া করে শুনলো নভ।,,,আওয়াজটা ওয়াশরুম থেকে আসছে।ঝর্ণার আওয়াজ।,,,ব্যপার কি?এই পিনপিনে শীতে মোম এত সকালে শাওয়ার নিচ্ছে??
কিঞ্চিৎ রাগ হলো নভের।এই সকালে গোসল করে কি সর্দি কাশি না বাধালেই নয়?,,মেয়েটা পারেও বটে।,,,
গায়ে জড়িয়ে রাখা পাতলা উইলের কম্বলটি সরাতে যাবে এই সময় মনে হলো ঝর্ণার আওয়াজ থেমে গেছে।,,,আর নামলোনা নভ।নিজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কর্তৃক বুঝে নিলো, এখন সে ডাকলেও মোম বের হবে,,,আর না ডাকলেও বের হবে।,,,
আবারো কম্বল জড়ালো শরীরে।চোখ বুজে রাখলো।অপেক্ষা এখন মোমের।,,,ভেবে রাখলো নভ।,,,মেয়েটা বের হলেই আচ্ছা করে একটা বকা দিবে।,,,চোখ বন্ধ করেই প্রস্তুতি নিতে লাগলো কিভাবে বকবে,,,বেশি? নাকি কম?, বেশি বকলে যদি মোম আবার কেদে দেয়?,,নাহ,,মোমকে কাদানো যাবে নাহ।,,অল্প টুকুনই বকবে।,,,
কিছুটা সময় কাটলো।নভ চোখ এখনো বন্ধ করে আছে।,,,মোমের আওয়াজ আসলেই খুলবে।,,,কিন্তু আসছে না কেন?,,,এখনো কি বের হয়নি মেয়েটা?,,,,
তখনই কানে বাজলো গুনগুনানির শব্দ…
“আমি তোমারও বিরহে..
রহিবো বিলীন,,,তোমাতে করিবো বাস,,,
দীর্ঘ দিবস,, দীর্ঘ রজনী,, দীর্ঘ বড় শৌভাস,”
নভ চোখ খুলে তাকালো।,,,ঘোলাটে চোখে প্রথমেই ভেসে উঠলো মোমের ফর্সা গোলাপি রঙের মসৃণ পিঠটা।,,,ব্লাউজের গলাটা বড় হওয়ায় বেশিরভাগ অংশই দৃশ্যমান।,,,নভ ভাবলো, আগে কি কখনো দেখেছে?,,,উমম,,নাহ দেখেনি,,কারন মোম সবসময় শাড়ীর আচল দিয়ে খোলা জায়গা গুলো পরিবেষ্টন করে রাখে।,,,নভ আবারও মনোযোগ দিলো।,,,
মোম চুল গুলো একপাশে নিয়ে টাওয়াল দিয়ে মুছছে।কিছুক্ষণ পর পর ব্লাউজের ঢিলা হাতাটাও টেনে টেনে উপরে উঠাচ্ছে।,,,,,, মুখটা তার ড্রেসিং টেবিলের দিকে নিবন্ধ।,,,
নভ ধ্যান হারালো,,,,মুহুর্তেই বেমালুম ভুলে গেলো মোমকে বকে দেওয়ার কথাটা।,,,নিঃশব্দে বিছানা ছেড়ে মোমের পেছনে এসে দাড়ালো।,,,বাম হাতটা দিয়ে শাড়ীর উপর দিয়ে মোমের কোমর আগলে ধরলো। ,,, একটু ঝুকে নিজের মুখ ঠেকালো ঐ ফর্সা গোলাপি মসৃণ পিঠে।,,,,
কেপে উঠলো মোম,,,আয়নায় দৃষ্টি দিতেই চোখে আটকালো নভের অবয়বে।অবয়ব রায়ানিশের অবয়বে।,,,যা মুখ না দেখেও ন্যানো সেকেন্ডে বুঝে নিলো মোম।,,, বাম হাত থেকে টাওয়ালটা আনমনেই খসে পড়ে গেলো টেবিলের কর্নারে। হাতটা চলে গেলো নিজের কোমরে থাকা নভের শক্ত হাতের উপর,,,, কন্ঠ ক্ষীণ হলো তার,,,সাথে কাপাকাপি তো ফ্রীতে পাওয়া যায়।
“ক্ ক্ কি করছেন আপনি?”
নভের দিক থেকে উত্তর এলো নাহ,,,সে ব্যস্ত নিজের কাজে।
“ক্ কি হলো ছাড়ুন আ, আমায়,,, ”
মুখটা মোমের পিঠে রেখেই নভ মাতাল কন্ঠে বললো…
“শরীরে কি মাখো হুম?,,আ্যলকোহল?,,এত্তো টানে কেন?,,,ইশশশ,,এই গ্রাণ টা না?,,,”
নভের প্রতিটি কথায় মুখবিবরের বাতাস এসে আছড়ে পড়ছে মোমের খোলা পিঠে। সাথে সাথেই মোম শিউরে উঠছে।
“অস্বস্তি হচ্ছে আমার,,,ছ্ ছাড়ুন না?,,”
নভ শুনলো।মুখটা তুলে নিজের থুতনি ঠেকলো মোমের কাধে,,আয়নায় তাকিয়ে বললো…
“গোসল নিলে যে?তাও এতো সকালে?,,,”
মোম একটু স্বাভাবিক হলো,,,
“গা থেকে কেমন হসপিটালের গন্ধ আসছিলো,,,তাই আরকি।,,, ”
“আরেকটু পরে নিতে?শরীর ঠিক আছে?”
“হুম,,,,”
“ওকেয়,,,খাটে বসো,,আমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা আনতে বলছি।,,খেয়ে মেডিসিন নিতে হবে তোমার।”
” মেডিসিন? ”
“হুম,,,এতোদিন বলোনি কেন,, তোমার তিন বেলাতে মুড়ির মতো ঔষধ চেবানোর অভ্যাস আছে?”
মোম চুপ রইলো,,,, নভ আর তেমন জোর করলো না।,,,সরে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।,,,
ফ্রেশ হবে বললেও একেবারে শাওয়ার নিয়ে বের হলো নভ।কাবার্ড থেকে শার্ট নেওয়ার সময় খেয়াল হলো মোম ঘরে নেই।দরজাটাও খোলা।,,চমকালো নভ।,,,
মেয়েটা পালিয়েছে??,,মাথার ভেতরের স্নায়ু তন্ত্র গুলো তড়িৎ গতিতে রক্ত সঞ্চালন করতে লাগলো।মুহুর্তেই চোখ দুটো লাল হয়ে উঠলো নভের।,,
দ্রুত গতিতে শার্ট গায়ে জড়াতে জড়াতে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।৯ নং ফ্লোর পুরোটা খুজে ফেললো,,,তবে মোমের কোনো হদিস নেই। নিচ তলায় এসে রিসেপশনিস্ট থেকে জানতে চাইলে,,,,
“মোমকে বের হতে দেখেছো?”
“সরি স্যার,,,কে মোম?,,”
“আরে,,মোম আরকি,,,,,একটা মেয়ে,,,হালকা খাটো করে চিকন।,,চেহারায় বাচ্চা বাচ্চা একটা ভাব রয়েছে।,,,শ্ শাড়ী,,হ্যা শাড়ী পড়া।হালকা গ্রীন কালারের শাড়ী পরেছে,,,,”
“নো স্যার,,,এমন কেউই এখনো বের হয়নি।হলে আমি অবশ্যই দেখতাম।”
“তুমি শিওর যে দেখো নি?”
“হ্যা স্যার,,আম ড্যাম শিওর।”
নভ সরে এলো,,,,”তার মানে মোম বাইরে যায়নি। রিসোর্টেই আছে।বাট কোথায়?,,,”
সবগুলো তলা তন্ন তন্ন করে খুজেও পেলো না মোম কে।,,,,তারপর নভের হঠাৎ মনে হলো…মেয়েটা আবার ছাদে যায়নি তো?,,,
দৌড়ালো ছাদের দিকে।,,,ছাদের দরজা দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো মোমকে।ঐ তো গুনগুন করছে।মুচকি হাসির দরুন বা গালে ছোট্ট একটা টোল পরছে।নয়নতারা ফুল গাছের সামনে দাড়িয়ে সে।সেখান থেকেই একটা ফুল ছিঁড়ে বা পাশে কানের কাছে চুলে গোজার চেষ্টা চালাচ্ছে।,,,,
নভ বুকে হাত দিয়ে নিঃশ্বাস ফেললো।৯ তলা বিল্ডিং এর পুরোটাই যে সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছে।,,এই শীতের সকালেও ঘাম চিকচিক করছে শরীরে।,,,
নভ আবার চোখ তুলে তাকালো,,,। হালকা বাতাসে মোমের শাড়ির আচলের সাথে কোমন পর্যন্ত চুল গুলোও হালকা দোল খাচ্ছে।,,,
নভ হাপিয়ে যাওয়া কন্ঠে ডাকলো…
“মোম?”
মোম ফিরে তাকালো।মুখে ফুটে উঠলো বিস্তির্ণ হাসি।এগিয়ে এলো নভের কাছে।
“আপনার ফ্রেশ হওয়া শেষ?,,,এখানে এতো ফুল গাছ কে লাগিয়েছে?,,সুন্দর তাই না?,,,রিসোর্টের মালিক নিশ্চই।না না,,,সে এতো শৌখিন না,,,দেখলেন না?রুম গুলোতে একটা বারান্দাও দিলো না।,,,আস্ত খাটাস ঐ মালিক ব্যাটা।”
নভ নাক মুখ কুচকে ফেললো,,,তা দেখে মোম বললো…
“কি হলো??”
“ঐ খাটাস মালিককে চেনো?”
মোম ভাব নিলো,,,
“চেনার কি আছে,,এই রকম খাটাশকে চিনতেও চাইনা।,,,আপনি চিনেন?”
“ওটা আমিই,,”
“এ্যা!!!!”
“জ্বি ম্যাডাম।”
মোম লজ্জা পেলো,, সাথে ভয়ও,,,কি বলবে বুঝতে পারছে না,, তখনই নভ শান্ত কন্ঠে বললো…
“এখানে কেন এলে তুমি?”
“আমিইইই?”
“হ্যা,,তুমিইইই।কেন এলে না বলে?সাহস হলো কি করে?”
মোম ভয় পাচ্ছে,,, সে খুব করে টের পাচ্ছে নভের মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।,,, কি করবে বুঝতে পারছে না,,,,তবুও কোনো মতে মিনমিনিয়ে বললো…
“কাপরগুলো শুকাতে দিতে এসেছি।রুমে মেললে ২-৩ দিনেও শুকায় না।আর ভাবলাম ছাদটাও দেখা হয়ে যাবে।তাই আমি….”
কি ইনফোসিস উত্তর,,,, আর কি রাগ করে থাকা যায়?যায় না তো।নভও পারলো না।শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো…
”বলে আসতে?”
“বললে তো আপনি আর আসতে দিতেন না।তাই দরজা খোলা পেয়ে…”
নভ আর কিছু বললো না।গভীর ভাবে চোখ বোলালো মোমের মুখশ্রীতে।,,,
কিছুক্ষণ কাটলো নিরবতায়।নভের দিক থেকে কোনো আওয়াজ না পেয়ে পিটপিট করে তার দিকে তাকালো মোম।সাথে সাথেই দুজনের চোখাচোখি হলো।মোম দৃষ্টি সরিয়ে ফেললো।এই নভকে সে ঠিক চিনে উঠতে পারছে না।কখনো এমন তো কখনো ওমন।,,,,,,আমতাআমতা করে জিজ্ঞেস করলো…
“কি ভেবেছেন, পালিয়ে যাবো?”
“সেটা ভাবাটা কি স্বাভাবিক নয়?”
তাচ্ছিল্য হাসি হাসলো মোম।
“পালিয়ে যাবো কোথায়?,,,আমার কি আর যাওয়ার জায়গা আছে?,,,,আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।আমি কোথাও পালাচ্ছি না।”
নভ পারলো না আর প্রতিউত্তর করতে।,,,,হাত বাড়িয়ে মোমের কানের কাছের গড়িয়ে পড়তে নেওয়া নয়নতারা ফুলটা ঠিক করে গুজে দিলো। মোম আড়ষ্ট হয়ে তাকিয়ে রইলো নভের দিকে।,,,,
তখনই ক্লিক করে একটা সূক্ষ শব্দ হলো।আর ভেসে এলো তেজের উচ্ছ্বসিত কন্ঠ…
” পার্ফেক্ট শর্ট।”
মোম নভ দুজনেই তাকালো তেজের দিকে।,,মুখে এক গাল হাসি নিয়ে সে এগিয়ে এলো তাদের কাছেই।ফোনে মাত্র তোলা ছবিটা দেখিয়ে নভকে বললো..
“ছা,, সুন্দর ওইছে না?,,,”
মোম ভ্রু কুচকালো..
“ছবি তুললেন কেন ভাইয়া?”
তেজ তাকালো মোমের দিকে।
“এম্মা,,,এই বেডি কিয়া কয়,,,এরে,,আআই তোগো এতো হোয়াইদ্দা এক্কান মোমেন্ট দেখছি,,আর বুঝি ছবি তুইলতান নো?,,কিয়া কস এগিন বোইন।,,,”
ইতোমধ্যেই তেজের সাথে মোমের আলাপ হয়েছে।তার সম্পর্কে ধারণাটা মোমের পজেটিভই লেগেছে।তেজ একদমই নভের মতো নয়।সবসময় হাসি খুশি আর মজাদার একটা ছেলে।বিশেষ করে তেজের প্রো লেভেলের ভাষাগুলো মোমের বেশ লাগে।এই যেমন এখনো কিটকিটিয়ে হেসে মোম।,,,
“রুমে যাও মোম।তোমার খাবার সার্ভ করা হয়েছে।খেয়ে নাও,,আমি আসছি।”
মোম আর কথা বাড়ালো না।চঞ্চল পায়ে নামতে লাগলো সিড়ি বেয়ে।,,,, একটু পর তেজ বললো..
“বিয়াট দাবাত ত হাইছি দোস্ত? ”
“হুম,,,,তো যাবি।,,”
“আরে হালা,,,আই কেন্নে জেট্টশের বিয়াতে যামু ক তো,,,সরম লাগের যে।,,”
নভ নাক কুচকে বললো…
“শালা,,,তোরে ঐ বাড়ির জামাই হিসেবে নাহ,,,আমার বন্ধু হিসাবে দাওয়াত দিয়েছে। ”
“তো কনদিন যাইবি?”
“ভাবছি।”
“কিয়া ভাবছের?,,,তুই আইজ্জা কতদিন বাড়িত যাওরি না খবর আছে নি?,,ওওন ও যদি না যাস,,,কেরকুম লাইগবো?,,”
“মোমের কথাটা ভাবতে হবে।,,,ওকে বাড়ির সবাই কিভাবে নেবে কি জানি?,,বিশেষ করে আম্মু,,,”
তেজ সিরিয়াস…
“তুই কি মোমকে তোদের বাড়িতে নিয়ে যাবি?”
“তো আর কি,,,বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় ৩-৪ দিন।এতদিন ওকে না দেখে থাকবো নাকি আমি?,,ইম্পসিবল। ”
তেজ হাসলো…
“শেষমেষ প্লেবয়টাও প্রেমে পড়লো তাহলে?”
নভও হেসে দিলো।
“তা আর বলতে?,,,একেবারে পা পিছলে পরেছি।”
“তো মোমকে জানাবি কবে?”
“সময় হোক,,,তার আগে নয়।”
“ওকেয়,,,তো বাড়ি যাবি কবে?”
“মোমকে নিয়ে একেবারে পরশু,, আই মিন হলুদের দিন সকালেই যাবো।”
” এতো লেইট?,,চাচাতো হলেও তিশুর বড় ভাই তো তুই,,,”
“চিন্তা করিস না,,,আমার দায়ীত্ব আমি ঠিক পালন করবো ”
()(()()()
ডিনার শেষ করে এসে বিছানায় বসতে নিলেই মোম বললো…
”এই,,আপনি আজও এখানে থাকবেন?”
নভের ডোন্ট কেয়ার ভাব
“অবশ্যই,,, তোমার সমস্যা?,,, ”
মোমের রাগ হলো,, নাকের ডগাটা লাল হয়ে উঠলো..
“ঠিক আছে।আপনি বিছানায় আরাম করে ঘুমান।,,,আমি গেলাম।”
“বলেই ড্রেসিং টেবিলের সামনের টুলটায় গিয়ে বসলো মোম দৃষ্টি তার নভের দিকে।তবে মাথায় এক শয়তানি বুদ্ধি। একটু পরেই যে সার্কাস দেখবে সে।
নভ একবার মোমের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।ফোন টিপতে টিপতে বিছানায় পিঠ দিয়ে শুলো।
মিনিট পাচেক পরেই কেমন যেন করতে লাগলো শরীরটা তার।চোখ মুখ কুচকে এলো তার,,,,কি হচ্ছে এসব?,,,হঠাৎ পিঠে এমন চুলকাচ্ছে কেন?,,,হাত দিয়ে পিঠ চুলকাতে লাগলো সে।চুলকানি বারছে ধীরে ধীরে।,,,, কিছু একটা ভেবে মোমের দিকে তাকাতেই মুহূর্তে সব খোলাসা হয়ে গেলো নভের কাছে।,,,মনে মনে আওড়ালো…
” এই মেয়েটা এত্তো পাঁজি??”
+++চলবে+++