আঁধারের_তারাবাজি #অভ্রায়ীনি_ঐশি #পর্ব_১০

0
383

#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_১০

পৃষ্ঠদেশ চুলকাতে ব্যস্ত নভ।চুলকানির চোটে খাট থেকে নেমে দাড়িয়েছে।চোখে মুখে ফুটে উঠেছে অসহ্য বিরক্তির ছাপ।,,

এদিকে নভের এই অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে মোম।খিলখিলিয়ে হাসির শব্দে কেপে উঠছে পুরো রুমটা যেন।,,,নভ চরম রাগ নিয়ে বললো..

“এই সব,,তোমার প্ল্যান, তাই না?,,,”

মোম কোনো মতে নিজের হাসি থামিয়ে বললো..

“কি রোমিও?খুব শখ না?আমার সাথে ঘুমানোর?,,কেমন লাগছে এখন?,,ইচিং পাওডার কি খুব হেল্প করছে?”

বলেই আবার হাসতে লাগলো মোম।ডান হাত মুখে চেপে হাসতেই আছে সে।চোখদুটোও হাসির চোটে ছোট ছোট হয়ে গেছে।

“এই মেয়ে,,খুব হাসি পাচ্ছে তাই না?ওয়েট দেখাচ্ছি মজা।”

হনহনিয়ে এগিয়ে এলো মোমের কাছে।কিছু বুঝে ওঠার আগেই নভ এসে মোমকে পাজাকোলে তুলে নিলো।,,,

“আরে,,আরে,কি করছেন?,,ইশশ,পড়বো তো আমি..”

নভের কানে যেন কোনো কথাই যাচ্ছে না।,,,,মোমকে ফেললো বিছানার মাঝ বরাবর।মোম দ্রুত উঠতে যাবে তার আগেই নভ একপাশ থেকে বেড কাভার নিয়ে মোমকে ঢেকে দিলো।,,সাথে সাথে অন্য পাশ থেকেও ঢেকে দিলো।এমন ভাবে দিলো,যে মোম হাতরিয়েও বের হতে হীমসীম খাচ্ছে।

” এবার বোঝো মজা।আমার পিঠে ইচিং পাওডার লাগানো তাই না?নট সো ইজি ডেয়ার।”

বলেই আর দাড়ালো না নভ।দ্রুত পায়ে ঢুকলো ওয়াশরুমে।এক্ষুনি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল না করলে এই চুলকানি কমবে না।,,,

প্রায় ৬-৭ মিনিট পর,,,,

ওয়াশরুমের দরজায় অনবরত বারি পড়তেই শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে থাকা নভ বাকা হাসলো।এবার বুঝুক মোম,,চুলকানির জ্বালা কেমন।,,,

“শুনছেন?,,,আর কতক্ষন,,,বের হোন না,,প্লিজ।,,,”

মোমের বিচলিত কন্ঠ যেন আরো একটু তৃপ্তি দিচ্ছে নভ কে।,,সে শুনেই গেলো।তবে কোনো শব্দ করলো না।

“এই,,,আ্ আমার খুব খারাপ লাগছে।বের হন না?,,,খুব চুলকাচ্ছে।,,,,শুনছেন?,,,আহ,,,আর পারছি না,,,এই,,,”

মোম দিশা হারিয়ে ফেলছে।ঘন ঘন ওয়াশরুমের দরজায় বারি দিচ্ছে।
নভের যেন কিছুই যায় আসে না।,,,দে নির্বিকার শাওয়ার নিচ্ছে।,,

একটু পরেই মোমের বিচলিত কন্ঠ আরো বিচলিত হলো।সাথে ভেসে এলো ক্রন্দনরত সুর..

“এইহ, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।,,,শুনুন না?,, কি করবো আমি?,,আর পারছি না সহ্য করতে।এইই,,কথা বলছেন না কেন?,,,আমার কিন্তু খুব রাগ হচ্ছে। ”

নভ ভাবলো,,,” নাহ,,,আর মোমকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।এটুকুই যথেষ্ট ছিলো শিক্ষা পাওয়ার জন্য।,,, ”

শাওয়ার অফ করে টাওয়াল নিয়ে শরীর মুছতে লাগলো। ওয়াশরুমে প্রায়সই তার দু এক সেট জামা থাকেই,,,আজও ছিলো ভাগ্যবসত।,,,সেখান থেকেই একটা কালো রঙের টাওজার পড়ে গলায় টাওয়াল ঝুলিয়ে দরজা খুললো নভ।,,সোজা তাকালো নভ।কই,,মোম নেই তো।,,,একপা আগাতে নিবে তখনই মোমের হালকা আর্তনাদ ভেষে এলো।,,,

দ্রুত গতিতে নিচে তাকালো নভ।,,,,

একিহ!!!কি অবস্থা হয়েছে মোমের?,,ফর্সা শরীর জুড়ে লাল লাল রেশ দেখা দিয়েছে।, চুলকানির ফলে মুখ গলা কান সব ফুলে একাকার হয়ে আছে।,,,,,মোম অস্থির হয়ে একবার হাত চুলকাচ্ছে, আবার পা চুলকাচ্ছে। আবার গিয়ে গলা মুখ সব চুলকাচ্ছে,,,, কিছু কিছু যায়গায় চুলকানির ফলে চামড়া উঠে রক্তের কনাও চিকচিক করছে।,,,,কি হাল করেছে মেয়েটা,,,,,

নভ দ্রু এগোলো তার কাছে,,এলোমেলো দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করে নিলো মোমকে।,,উৎকন্ঠা হয়ে বললো..

“এটা কি করেহ?,,,,উপপহ,,,আসো,,এদিকে আসো..”

বলতে বলতেই মোমের হাত ধরে টান দিলো,,তবে মোমের কোনো টনক নড়লো না।,,সে নিজের মতো চুলকাতে ব্যস্ত,,নভ আর কিছু ভাবলো না।,,,দ্রুত ঝুকে মোমকে পাজা কোলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো।,,,তাকে শাওয়ারের নিচে বসিয়ে শাওয়ার ছাড়লো। সাথে সাথেই ঠান্ডা পানির ধারা গড়িয়ে পড়লো মোমের শরীরে।,,

নভ দ্রুত পাশ থেকে বডি ওয়াশ নিয়ে মোমের হাতে লাগাতে লাগলো,,

“আআআহ,,,জ্বলছে খুব।,,”

“কিচ্ছু হবে না মোম,,,চামড়া উঠে গেছে,,তাই একটু জ্বলছে।,,চুলকানো কমে যাবে।একটু ধৈর্য ধরো। ”

বলতে বলতেই মোমের দুহাতে বডিওয়াশ লাগিয়ে দিলো জাল দিয়ে।,,এরপর জালটা তুলে গলায় ধরতেই মোম তার হাত আকড়ে ধরলো,,,,,আরেক হাতে চুলকাতে চুলকাতে বললো…

”আ্ আমি পারবো,,,আপনি যান।”

নভ থামলো।বুঝলো মোম অস্বস্তি ফিল করছে।তাই আর এগোলো না নভ।,,,

“দ্রুত গোসল সেড়ে ফেলো।দেখবে কমে গেছে চুলকানি।,,আমি বাইরে আছি।,,,,, তোমার শাড়ী এনে দিচ্ছি। ”

বলেই বের হলো নভ।,,একটু পর হাতে শাড়ী ছাড়া শাড়ী পড়ার বাকি সবই নিয়ে এলো।হ্যাংকারে রাখতে রাখতে বললো…

“এখানে শাড়ী পড়তে পারবে না,,,রুমে গিয়ে পড়ে নিও।,,আপাতত এগুলো পড়ে বেরিয়ে এসো ”

মোমকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দরজা আটকে বেরিয়ে গেলো নভ।,,,আর এদিকে মোম নিজেকে সামলাতে ব্যস্ত হলো।,,,

()()()()

ফ্যাচফ্যাচ করে নাক টানার শব্দে মোমের দিকে তাকালো নভ।,,,পুরো কম্বল গায়ে মুড়িয়ে খাটে হেলান দিয়ে বসে আছে সে।,,,তার দিকে তাকিয়েই নভ ফোন কানে তুললো…

“9 ফ্লোরের কর্নার রুমের বেডকাভারটা ক্লিন করে দিও।রুমটাও ক্লিন করো।হাতে গ্লাভস ইউজ করো।ওটায় ইচিং পাওডার আছে।”

ফোন রাখলো নভ।,,,বেডের পাশ থেকে টিস্যু নিয়ে এগিয়ে দিলো মোমের দিকে।,,, বিড়াল ছানার মতো হাত বের করে টিস্যুটা নিলো মোম।নাকটা মুছে নিলো।

“কি দরকার ছিলো আমায় জব্দ করার।এখন নিজের হাল দেখছো তো?”

মোম তেতে উঠলো…

“বেশ করেছি,,,আপনি কেন আমার পাশে ঘুমাবেন।পুরো রিসোর্টটাই তো আপনার।তো যেকোনো একটা জায়গায় থাকলেই তো পারেন।আমার কাছে কেন?”

“কেন?,,,তোমার কাছে থাকলে কি প্রবলেম?”

মোমেট কন্ঠ ক্ষীন হলো,,,

“প্রবলেম মানে??, আমার বুঝি অস্বস্তি হয় না?”

নভ তাকালো মোমের দিকে,,, আস্তে করে এগিয়ে এলো মোমের দিকে।মুখটা ঝুকালো মোমের মুখের উপর,।মোম গোলগোল চোখ করে তাকিয়ে আছে।,,,

“অস্বস্তি হওয়ার কি আছে?,,আমি কি কিছু..করি?,,,তোমার সাথে?”

নভের উষ্ণ নিঃশ্বাস আছড়ে পরছে মোমের মুখের উপর।,,,কাপা কাপা কন্ঠে মোম বললো…

“,,আ্ আমি একটা ম্ মেয়ে,,,এভাবে একটা ছে্ ছেলের সাথে,,,কি করেহ?,,”

নভ আরেকটু এগিয়ে এলো,,,লো ভয়েজে বললো…

“তাই?,,কি করে বলবো?”

মোম আর কথা বলতে পারলো না।নাক চুলকে এলো।,,,জোরচে একটা হাঁচি দিয়ে কম্বলে মুখ ঢাকলো সে।,,,

এদিকে হঠাৎ এমন হওয়ায় মোমের মুখের কিছু থু থু নভের মুখে এসে পড়লো।,,,সাথে সাথেই নভ সরে এসে নাক মুখ কুচকে ফেললো।,,বাম হাত দিয়ে নিজের মুখ মুছে তাকালো মোমের দিকে। মোম ভয় ভয় চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।,,একটু পর হঠাৎই সে কিটকিটিয়ে হেসে ফেললো।হাসতে হাসতে আবারও কম্বলে মুখ লুকালো সে।,,,

আর এদিকে মোমের এমন বাচ্চামো দেখে,,ফিক করে হেসে ফেললো নভ।তবে তা আড়ালই রয়ে গেলো মোমের কাছে।,,,

একটু পরই একটা মেয়ে স্টাফ এসে তাদের নাস্তা দিয়ে গেলো।,,,নাস্তা শেষে নভ মোমকে মেডিসিন দিয়ে দিলো,,,একটু পর মোম জিজ্ঞেস করলো..

“আ্ আপনি আজ যাবেন নাহ?”

“কেন?,,,থেকে গেলে সমস্যা? ”

“আ্ আমি সেটা বলিনি,,,অন্যদিন তো আরো আগেই চলে যান,,,তাই বললাম।”

নভ কিছু বললো না।উঠে গিয়ে কাবার্ড থেকে একটা হুডি বের করলো। ড্রেসিন টেবিলের সামনে গিয়ে হুডিটা গায়ে জড়াতে জড়াতে বললো…

“আজ আর ঐ রুমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।,এখানেই থেকো। টিভি আছে।দেখতে পারো।আর হ্যা,,,ভেতর থেকে দরজা লক করে রেখো,,আমি বাইরে থেকে আটকাবো না।,,,চাইলে ছাদেও যেতে পারো,,,বাট একদম রোদে দাড়াবে না।,,আমি দুপুরবেলায় আসবো।,,,বুঝেছো সব?”

গড়গড় করে বলা কথাগুলো শুনে মোম বললো..

‘বাব্বাহ,,কতো গুলো অর্ডার।”

নভ ফিরে তাকালো,,,হাতে ঘড়ি পড়ে এগিয়ে এলো মোমের কাছে।,,,,,,মোমের পায়ের দিকের কম্বলটা আরেকটু টেনে দিয়ে কোমল কন্ঠে বললো…

“শরীর বেশি খারাপ লাগলে টেলিফোন থেকে ফোন কোরো।ওকেয়?”

মোম মাথা কাত করে বললো..

“ওকেয়,,,”

নভ হাসলো,,,মোমের নাকটা টেনে দিয়ে বললো..

“বাই মাই কিউটি,,”

উঠে চলে গেলো নভ,,,এদিকে মোম ঠোট উলটিয়ে বললো..

“এটা কি হলো?”

()()()()()()()()

কথা মতোই নভ দুপুরে ফিরে এলো।সাথে নিয়ে এলো অনেকগুলো প্যাকেট।সবগুলোই ড্রেস।তবে এবার আর শাড়ী নেই।মোম একটু খুশি হলো।যাক,,এবার থেকে আর শাড়ী সামলানো লাগবে না।,,লাঞ্চ করে নিলো দুজনই।মোমকে মেডিসিনও খাইয়ে দিলো নভ।,,,একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য বিছচানায় গা এলিয়ে দিতেই ফোন বেজে উঠলো তার,,,,হাতে তুলে নিলো সে।তেজ ফোন করেছে,,,

“কিরে?,,,,”

“ড. সোহান তোকে একবার দেখা করতে বলেছে হসপিটালে,,,”

ভ্রু কুচকে এলো নভের।,,,মুখ তুলে একবার তাকালো সোফায় বসে থাকা মোমের দিকে। নিজ মনে টিভিতে কার্টুন দেখছে।আপাতত নভের দিকে তেমন খেয়াল নেই তার।,,,নভ স্বস্তি পেলো,,,,

“কেন?,,তুই গিয়ে রিপোর্টটা নিয়ে চলে আয়?”

“আমায় দেয় নি রিপোর্ট,,, বলছে তোর সাথে ইম্পর্ট্যান্ট কথা বলবে।,,,”

নভ কিছু একটা ভেবে উঠতে উঠতে বললো..

“ওকেয়,,,আমি আসছি।”

কল কেটে রেডি হয়ে দাড়ালো মোমের সামনে।,,তাকালো মোমের মায়া ভরা চেহারার দিকে।,,,কেন জানেনা নভের মনটা খুব কু ডাকছে।এমন কেন হচ্ছে? জানা নেই তার।,,,,,

মোমের মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিলো,,, তারপর ঝুকে মোমের কপালে একটা ঠোটের পরশ দিয়ে বললো…

“আমি একটু বেরোচ্ছি।,,সাবধানে থেকো।আর দরজা লক করে দাও।,,,আমি ছাড়া আর কেউ আসলে দরজা খোলার দরকার নেই।,,,”

আর কিছু না বলে বেরিয়ে গেলো নভ।,,,মোম উঠে গিয়ে দরজা লক করে এসে আবার এসে মনোযোগ দিলো টিভিতে।,,,,

()()()()

হসপিটালে ড. সোহানের পার্সোনাল কেবিনে বসে আছে ড. সোহান।তার সামনেই দুটো চেয়ারে নভ আর তেজ।দুজনই কিছু একটা জানার জন্য আগ্রহী।,,,ফাইল থেকে মুখ তুলে তাকালো সোহান।,,সাথে সাথেই নভ বিরক্ত মুখে বললো..

“ওয়াট হ্যাপেন্ড ড.,,রিপোর্টটা পাঠিয়ে দিলেই তো হতো।ডাকলেন যে?”

সোহান একটু নড়েচড়ে বসলো..

“আপনি যে রিপোর্ট নিয়ে কথা বলছেন সেটা আমি পেয়েছি,,,বাট আমার মনে হলো আপনার সাথে কথা বলা উচিৎ।”

নভ বিরক্ততা নিয়ে বললো..

“তো বলুন না কি বলবেন?”

তেজ বুঝতে পারছে, নভের টেনশন হচ্ছে,, তাই সে নভকে শান্ত করতে বললো..

“রিলাক্স ইয়ার,,,কুল,,,,ড.,, আপনি বলুনতো ব্যপারটা কি?”

“দেখুন,,,সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে….”

নভের ভয় যেন ধীরে ধীরে বারতে লাগলো,,,উতলা হয়ে বললো.

“ড. কি হয়েছে,, সোজাসাপ্টা বলুন।প্লিজ,,,”

সোহান একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো…

“ওকেয়,,আমি ঝামেলা না করেই বলছি,,,আপনার পেশেন্ট,, মানে মৌচাক এহসান,,, উনি প্রায় বছর খানেক ধরে ব্রেইন ক্যান্সারে ভুগছেন,,,”

থমকে গেলো নভ,,,নিজের কানকে বিশ্বাস করতে মন চাইছে না।বারবার মন বলছে,,এটূ ভুল নভ,,এটা ভুল।,,,তবে মনের ধারনা ঠি রইলো না।নভের মনকে আরো একধাপ বিক্ষত করার জন্য যথেষ্ট ছিলো ড. এর বলা আরো একটি কথা..

“লাস্ট স্টেজে আছে উনি।,,,উনার হাতে আর মাত্র কিছু মাস সময় আছে।”

নিজের অজান্তেই নভ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে গেলো।,,,চোখের সামনে ভেসে উঠলো মোমের গোলগোল করে তাকিয়ে থাকা মুখটি,,,কি নির্মল সেই চেহারা,,,কি মায়া,,ঐ মায়াতেই তো ডুবেছে নভ।এখন?কি করবে এখন সে?

এই প্রথম বারের মতো নভের নিজেকে একা লাগছে।মনে হচ্ছে সে শূন্য,,, কিচ্ছু নেই তার কাছে।,,,,,মাথাটা হঠাৎ ঘুরে উঠলো তার,,,হেলে পরে যেতে নিলেই তেজ ধরে ফেললো তাকে।

“নভ,নভ,নভ,,,সামলে,, প্লিজ শক্ত হ,,সামলা নিজেকে।”

নব হুশে ফিরলো,,,কাতর চোখে তাকালো ডাক্তারের দিকে,,,

“আপনি,,,আপনি শ্ শিওর?না জেনে এসব বলছেন না তো?,, আমার মোম,,,আমার মোম,,,এটা,,,এটা হতে পারে নাহ।নেভার,,,”

“আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর মি. অবয়ব।,,”

নভ নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারছে না। কেমন যেম সব ঘোলপাক খাচ্ছে,,,

তেজ ডক্টরকে জিজ্ঞেস করলো…

“এখন উপায়?,,,উপায় কি ডক্টর?”

ডক্টর কন্ঠ ক্ষীণ করলো…,,

“সরি মি.,,,,,আমার জানা মতে এখনো এর কোনো সু চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি।,,,,তাই উনাকে বাচানো…. সম্ভব নয়। ”

সারা দুনিয়া থেমে গেলো নভের।,,,কিচ্ছু ভাবতে পারছে না সে।মাথায় শুধু একটা কথাই ঘোরপাক খাচ্ছে..

“আমার মোম আর বেশিদিন নেই।থাকবে না?,,,থাকবে না সে আমার সাথে?”

+++++চলবে++++

(নিন,,,অবশেষে জানিয়েই দিলাম মোমের কি হয়েছে।,,,)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here