ভালোবাসার_কাব্য_গাঁথবো (১৩)

0
205

#ভালোবাসার_কাব্য_গাঁথবো

(১৩)
পাঁজাকোলা করে ফাহাদ কে নিয়ে প্রস্থান করে ছেলে পক্ষ রা। ফাহাদ বলে,
” বাবা লাবিবাকে আটকে রাখলেই তো হলো। আপনি চলে আসলেন কেন?”

” সে কথা তো আমিও ভাবছি ব্যাটা। একটা কথার পরিপ্রেক্ষিতে দেখলি না কিভাবে সবগুলো জেঁকে ধরলো ঐ মেয়েকে বিয়ে করিয়ে আনলে ঝামেলাই হবে শুধু শান্তি পাবি না।”

” আপনি পঁচিশ লাখে স্বীকার করলেই তো হতো। এতো ঝামেলা এখন আর হত না। ”

” আমিও তো উঠে আসতে চাই নাই। ভাবছি ইসমাইল চুপসে যাবে কিন্তু এ তো মেয়ের জন্য এক চুল ও ছাড় দিতে রাজী না। তবে যা হয়ছে ভালোই হয়ছে। তোকে কিভাবে বলি বাবা! এতো খোঁজ খবর নেবার পরেও যে ঐ মেয়ের আসল রুপ ধরতে পারবোনা এটা তো বুঝি নাই। ছবি গুলো যদি থাকতো তোকে দেখাতে পারতাম।”

” আমি সব জানি বাবা। তবুও আমার লাবিবাকে চাই বাবা। ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। ”

” কোথায় যাস? বাড়ি থেকে এক পাও বের হবিনা।”

” লাবিবাকে বিয়ে করেই ফিরবো। এর আগে না।”

” ঐ সুবোল ওরে আটকা। বাড়ির বাইরে যেন যেতে পারে না।”

“না সুবোল কাকা। আমাকে আটকাবে না। ”

সুবোল কথা শুনে না। ভাতিজাকে ধরে ফেলে। যে বাড়ি থেকে অপমানিত হয়ে ফিরেছে সেই বাড়িতে বংশের কাউকেই পা রাখতে দিবে না।

ইসমাইল কে হসপিটালাইজড করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত ঘটনা মেনে নিতে পারেননি সে। অনেক শখ করে বড় বাড়িতে আয়োজন করে বিয়ে টা দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিল শেষে কিনা বিয়েটা ভেঙে গেলো। তার ফুলের মতো পবিত্র মেয়েটার গায়ে কলঙ্ক ছড়িয়ে দিলো! এতো বড় ভুল করতে যাচ্ছিলো। ভালোমানুষীর মুখোশ পড়া লোককে চিনতে পারেনি। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সে। হাউমাউ করে কাঁদছেন সাবিনা বেগম। জা রা তাকে সামলাচ্ছেন। ইসমাইলের ভাইয়েরা ইসমাইলকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। ঘটনা শুনে নিতু ইসলামও এসেছেন। তামিমও বাদ যায়নি। নিতু এসেই লাবিবাকে খুঁজছেন। বাপ ভক্ত মেয়ে, ঠিক আছে তো! লাবিবাকে খুঁজে পেয়েও যান। বাবাকে যে কেবিনে রাখা হয়েছে সেই কেবিনে ফ্লোরে গুটি শুটি হয়ে ফ্লোরে হাটু মুড়ে বসে আছে লাবিবা। কেবিনে পেশেন্ট ব্যতীত অন্য কেউ নেই সে ছাড়া। হাতের ভাজে মুখ গুঁজে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। নিতু ইসলাম পারমিশন নিয়ে কেবিনে ঢুকে। লাবিবার কাছে গিয়ে লাবিবার কাঁধে হাত রাখতেই লাবিবা ফিরে নিতু ইসলাম কে দেখে আর কান্না আটকে রাখতে পারেনা। নিতু ইসলামের বুকে মাথা রেখে চিপে চিপে কাঁদে। একদম শব্দ করে কাঁদে না। যাতে বাবার অসুবিধা না হয়। নিতু ইসলাম শান্তনা দিতে থাকে। কিই বা বোঝাবে মেয়েটাকে? বিয়ে ভাঙা তার উপর বাবা হসপিটালে কম কষ্ট সহ্য করছে মেয়েটা? লাবিবা নাক টানে। বুকে মুখ গুজেই বলে,
” আমার জন্য হয়েছে সব। আমিই দোষী। আমার জন্য আব্বু এখানে শুয়ে আছে।”

” না মা। এসব ভেবো না। আব্বু ঠিক হয়ে যাবে। তোমার কোনো দোষ নেই। সব দোষ ঐ ছোট লোক গুলোর।”

“আমিই আমার আব্বুকে এখানে এনেছি। আমার জন্য ই হয়েছে এসব। সব এই বিয়ের জন্য। আমি জীবনেও বিয়ে করবো না। ”

লাবিবাকে নিয়ে বাইরে চলে আসে নিতু ইসলাম। আজ মেয়েটার বিয়ে হবার কথা ছিলো। সাদা লালে কি সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে। কেঁদে কেটে চোখ মুখ ফুলিয়ে চেহারা ভয়ঙ্কর বানিয়ে ফেলেছে। দোপাট্টাটা ফ্লোরের উপর গড়িয়ে যাচ্ছে। সীতা হারের চাক টাও উল্টে গেছে। নিতু সোজা করে দেয়। ‌ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দেয়। ম্যাট লিপস্টিক এর জন্য তুলতে পারেনা। সাদা মাটা একটা সিগ্ধ বউ লাগছে। লাবিবা উঠে দাঁড়ায়।
” আমি বাসায় যাচ্ছি। ”

কলিজা কেঁপে উঠে সাবিনার। ঝাঁপ দিয়ে হাত চেপে ধরে। আতঙ্কিত গলায় বলে,
” কোথাও যাবিনা। এখানেই থাক। আমার সামনে। ”

” তুমি থাকো তোমার জামাইয়ের কাছে। আমি থাকছি না আর এখানে। ”

” তোর আব্বু হসপিটালে শুয়ে আছে এখনো জেদ দেখিয়ে যাবি?”

” কে জেদ দেখায়? আমি না তোমরা? আমি বলেছিলাম আমাকে বিয়ে দাও? পছন্দ করে এনেছিলাম তোমাদের দ্যা গ্ৰেট ফাহাদ কে? নাকি বলেছিলাম অসুস্থ হয়ে হসপিটালে আসতে? ”

রাগে লাবিবার শরীর থরথর করে কাঁপছে। সাবিনা দুই হাতে আঁকড়ে ধরে মেয়েকে।
” কোথাও যাবিনা। এখানেই থাক। আমার সামনে থাক। আমার ভয় হয় মা। তোকে ছাড়া যে আমরা বাঁচবো না।”

পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে। হাতেও এসেছে সকল রিপোর্ট। তানভীর এতো সময় হসপিটালে ছিলো না। জ্ঞান ফেরার পর পর ই তানভীরকে দেখা যায়। এক পলক লাবিবার দিকে তাকিয়ে সোজাসুজি গিয়ে ইসমাইলের কেবিনে ঢুকে। পেছন পেছন তামিম ও যায়। তামিমকে জিজ্ঞেস করতেই হালকা ভাবে বলে,
” আমি রিপোর্ট চেক করেছি। আঙ্কেলের তেমন কিছুই হয়নি। সামান্য একটা এট্যাক। বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন। টেনশন করবেন না।‌”

কিছুক্ষণ পর কেবিন থেকে তামিম মাথা বের করে। নিতু ইসলামকে বলে,” খালামনি। আসো তো। ”

নিতু ইসলাম সাবিনার মুখ পানে চায়। লাবিবা উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে। ব্যাগটা কাঁধে তুলে কেবিনে যায়। পর পর লাবিবার দুই কাকাও গিয়ে ঢুকে। সাবিনার বুক ভার হয়ে আসছে। ছোট জা কে বলে,
” আমাকে একটু দেখা করে আসতে দাও তোমার ভাইয়ের সাথে। ছোটকে ডাকো। বলো ভাবী যেতে চায়।”

“সবাই ভেতরে কি করছে ভাবী? বুঝতে পারছিনা।”

কিছুক্ষণ বাদেই ডাক পড়ে তাদের। লাবিবা মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। দৃঢ কিন্তু কাপা কন্ঠে জেদ ধরে,
” তোমরা যাও। আমি আব্বুর কাছে যাবো না।”

” জেদ করেনা লাবি মা। আব্বু তোমাকে ডাকছে। আব্বু কাঁদবে তো। আব্বু তোমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে। আর কষ্ট দিও না। ”

“এতোক্ষনে কেনো ডাকে? সবার শেষে আমার কথা মনে পড়েছে। ”
অভিমানে ঠোঁট ভেঙে আসে লাবিবার।

কেবিনের ভেতরে গিয়েই থ হয়ে যায়। সবার দৃষ্টি লাবিবার দিকে। ইসমাইল আধ শোয়া। হাতে স্যালাইন খোলা হয়েছে। ঐ হাতেই ইশারা করে কাছে যেতে। লাবিবা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে কাছে যায়। শিয়রের পাশেই এক পা তুলে বসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে হো হো করে কেঁদে উঠে। ইসমাইল ও মেয়েকে দু বাহুতে আগলে নিয়ে বুকে জায়গা করে দেয়। কপালে চুমু দিয়ে মেয়েকে কাঁদতে সাহায্য করে। কাদুক। কাঁদলে হালকা হবে। সবার উদ্দেশ্যে বলে,
” আমি আমার অস্বিত্বকে এভাবেই আগলে রাখি। আমি চাই আমার মৃত্যুর পরেও তাকে কেউ এভাবেই আগলে রাখুক।”

রাত নয়টায় বাড়ি ফেরা হয় ইসমাইল কে নিয়ে। দশটার আগেই চত্বরে হাজির হয় পর পর তিনটি গাড়ি। ফিরোজ খানের পা পড়ে ইসমাইলের বাড়িতে। ইসমাইল এসে আর নিজ রুমে যায়নি। আগে নিশ্চিন্ত হবে তার পরেই সে রেস্ট নিবে। ড্রয়িংরুমেই সোফায় বসে আছে। বন্ধু রেজাউল তড়িঘড়ি করে বাসায় ঢুকে। দু হাত দুই দিকে রেখে ইসমাইলের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলে,
” এতো কিছু ঘটে গেছে আমাকে জানালিও না তুই? শালাদের পশ্চাৎদেশে ডান্ডা ফেললেই সোজা হয়ে যেতো।”

” হারামজাদা দের কথা বাদ দে। তুইও তো আসলি না।”

” আরে ছুটি পাই নাই। লাবি মা ঠিক আছে?”

” মেয়েটাকে তুই বুঝা।”

” আচ্ছা বোঝাবো। এমনিতেই আমার মা অনেক বুঝদার। এমপি সাহেব আসছে তো?”

“কবির গিয়েছে আনতে।”

ফিরোজ খানের পেছন পেছন সোহানা ইসলাম উপস্থিত হয় সোহানা ইসলাম। তার পাশেই খবিরুল ইসলাম এবং নিতু ইসলাম। তামিম আর কবির একসাথেই প্রবেশ করে। তারপর তানভীর । তার সাথেই আশিক, রমেশ, নাকিব। ফিরোজ খানকে এই অব্দি আনতে সবাইকে একটু হিমশিম খেতেই হয়েছে। তানভীর বিয়ে করবে শুনে বড্ড খুশি হয়। কিন্তু খোঁজ খবর না নিয়েই যে বিয়ে করবে এটা মেনে নিতে পারেনি। তার ঘরের লক্ষী দেখে শুনে তারপর ঘরে তুলবে এটাই জানায়। বড় ছেলের বেলায় যে ভুল করেছিলো ছোট ছেলের বেলায় সেই ভুলটা একদমি করতে চাইছেনা। বরং বেকে বসে। সোহানা ইসলাম কে বলে,
” তোমার ছেলেকে বলো আমি আগে মেয়ের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিবো। তারপর মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হবো। এরকম হুডমুড়ানো কাঁচা বুদ্ধিটা কার? কি ঠেকা পড়েছে যে তানভীরকেই বিয়ে করে সেই মেয়ের সম্মান বাঁচাতে হবে?”

তামিম কাঁচুমাচু করে। ফোনের দিকে চোখ বুলিয়ে সাহস নিয়ে বলে,
” আমিই প্রস্তাবটা দিয়েছি পাপা। ”

” কি মনে করে? তুমি চেনো মেয়েটাকে? তোমার পরিচিত? তুমি তার কাছে দায়বদ্ধ?”

“খালামনির কথায় প্রস্তাব রেখেছি পাপা। ”

“তোমার খালামনি এ কাজ কিভাবে করতে পারলো?”
সোহানা ইসলাম বোনের পক্ষে সায় জানায়।

” মেয়েটাকে আমিও দেখেছি। পছন্দ করেছি তানভীরের জন্য।”

“ব্যাস এতোদূর! তাহলে তো হয়েই গেলো।”

নিতু ইসলাম এসে সামলে নিলো।
“দুলাভাই। মেয়েটা আমার স্টুডেন্ট। খুবই ক্লোজ। জেনে বুঝেই আমি এগিয়েছি।”

ফিরোজ খান তানভীরের দিকে তাকালো। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
” তুমি তো মা, খালা, ভাইয়ের কথা শুনার ছেলে নও! তাহলে কেন আমি সেই বাড়িতে যাব?”

” আমি সেচ্ছাই বিয়ে করছি। সেজন্যই আপনি আপনার পুত্রবধূ কে দেখতে যাবেন।”

ফিরোজ খান মনে মনে হাসলো। মনে মনে লাবিবাকে দেখার প্রবল ইচ্ছা পোষন করলো। নিশ্চয় এই মেয়ের মাঝে কিছু একটা আছে। নয়তো তার ছেলে তার সামনে স্বভাবের বিপরীত আচরণ করতো না।

ফিরোজ খানের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় ইসমাইল। ফিরোজ খান ও হ্যান্ডসেক করে আমোদ মেজাজে উচ্চস্বরে বলে,
” এই শরীরে বসে আছেন ভাই সাব। এখন তো ভালো আছেন। ”

” এখন ভালো আছি। গরীবের বাড়ি আসতে অসুবিধা হয়নি তো আপনাদের? ভালো আছেন ?”

” হাফ ভালো আছি। এমন নিউজ এতো তাড়াতাড়ি শুনবো ধারণা করি নাই। আপনার মেয়েকে আগে দেখি। তারপর ডিপেন্ড করবে বাকিটা ভালো হবো কিনা যতটুকু আছি ততোটুকুও খোয়াবো। ”

“এই ব্যপারে আমি গ্যারান্টি ভাই সাহেব। আমার মেয়ের মাথার উপর থেকে হাত তুলতে পারবেন না। ”

” তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। ”

উপস্থিত গোল বৈঠকে লাবিবাকে নিয়ে আসা হয়। উর্মিলা ছোট কাকী এক প্রকার টেনেই নিয়ে আসে। লাবিবা বলতে থাকে,
” আবার কি করতে চাইছো তোমরা? আবার কোন নাটক?”

” আরেকটু ধৈর্য্য ধর মা। তারপরে ই শেষ। বিয়েটা হয়ে গেলেই শান্তি।”

” আবার কোন গবেটকে ধরে এনেছে তোমাদের ভাই? করবোনা আমি এই বিয়ে।”

” আল্লাহ লাবি মা চিৎকার করে না। এমপি সাহেব বাড়িতে।”

” উনি কেন এখানে? উনার ছেলে দিয়ে কাজ হয়নি এখন বুঝি উনি ঘটক গিরি করতে এসেছে?”
উর্মিলা মুখ চেপে ধরে। এবার চুপ যা মা। আগে চল।

লাবিবাকে বসিয়ে দিয়ে কলম হাতে ধরিয়ে দেয়। রেজিস্ট্রেশন পেপার সামনে। ফিরোজ খান লাবিবার মুখ দেখে ‘ মাশাআল্লাহ ‘ বলে উঠে। পকেট দেখে ওয়ালেট বের করে সেলামী ধরিয়ে দেয়। সোহানা উঠৈ এসে লাবিবাকে একহাতে বুকে জড়িয়ে ধরে। কপালে চুমু দিয়ে দু হাতে মোটা চুর পড়িয়ে দেয়। খবিরুল ইসলামের ওয়েইফ বলে,
” এই ওয়ালেট বের করো।”

” আরে আরে। এতো অস্থির কেনো? ভাগিনা বউকে একদম ভরিয়ে নিয়ে যাবো তো। ”

ইসমাইল হাত ধরে পেপারের দিকে এগিয়ে বলে,
“সাইন করো ।”

লাবিবা টলমল চোখে ইসমাইলের দিকে তাকায়। অভিমানে চোখ থেকে দু ফোটা গড়িয়ে পড়ে। কাঁপা হাতে সাইন করে দেয়। কাজী সাহেব বলেন ,
” এমপি সাহেব দেনমোহর কতো ধরবো? ”

ফিরোজ খান তানভীরের দিকে তাকায়। ছেলের দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসে। তানভীর গা ঝাড়া দিয়ে বসে। স্ট্রং গলায় বলে,
” পঁচিশ লাখ লিখেন।”

ফিরোজ খান টিপ্পনি কাটেন।
” কম হয়ে গেলো না বাবা?”

তানভীর ও কম যায় না। কাজীকে বলে,
” সাথে উত্তরায় একটা ফ্ল্যাট এবং টাউন হলে একটা ফ্ল্যাট এড করে দেন।”

ছেলের কথায় কেশে উঠে ফিরোজ। আস্তে আস্তে বলে,
” তোমার ফ্ল্যাট তুমি দিতেই পারো। কিন্তু উত্তরার ফ্ল্যাট টা তো তোমার মমকে দিয়েছি বাবা।”

” প্রব্লেম কি? মমের আর আমার তো একি হলো। মম আমাকে দিবে। আমি আমার বউকে দিবো।”

” তোমার একটা বড় ভাই আছে বাবা।”

” ভাইয়ের জন্য আমি খুঁজে নিচ্ছি। পেয়ে গেলে পেমেন্ট টা করে দিবেন। ”

ফিরোজ খান তানভীরের কথায় আর টু শব্দ করে না। এই ছেলে সব সময় বাপের উপর দিয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক।

চলবে ___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here