তপ্ত ভালোবাসা #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ২৬

0
733

#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ২৬

.
🍁
দাদীর খাদ্য টর্চার থেকে কোনো রকম বাঁচলাম আমি, এখন দাদীর পাশে বসে গল্প করছি নানান সব বিষয়ে,, দাদী আমাকে দেখতে চাওয়ায় মূলত রুদ্র আমাকে এখানে নিয়ে আসাটা,, আপাতত রুদ্র আমাদের সাথে নেই কিচেন এ আছে আমাদের জন্য “রুদ্র স্পেশাল কফি” বানাচ্ছে তাই মহাশয় এখন মহা ব্যাস্ত তার হট কফি বানাতে, আর আমরা ব্যাস্তা গল্পের আসর জমাতে,, দাদীর সঙ্গ পেয়ে আমি মেতে উঠেছি গল্প ভান্ডার নিয়ে আমার ননস্টপ বকবকা গুলো দাদীও বেশ মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে যাচ্ছে ক্রমাগত, আমার বকবকানি মধ্যে দিয়েই দাদী আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হাসি মুখে হঠাৎ করে আমাকে জরিয়ে ধরে কপালে আলতো করে একটা চুমু খায়,, দাদীর এমন কাজে মূহুর্তেই আমি চুপ করে যায় দাদীর দিকে তাকিয়ে থেকে,, দাদী আমার দুগাল আঁকড়ে ধরে খানিকটা থেমে আমাকে বলে উঠে……

.

—” তোকে যদি আমার কাছে কাছে রাখতে পারতাম তাহলে আমার ও এই বাড়ির একাকিত্বটা দূর হয়ে যেতে, খান বাড়িটা আনন্দমহলে পরিবর্তন হতো, তোর সাথে যদি আমার রুদ্র বিয়েটা না হয়ে রিদের বিয়েটা দিতে পারতাম তাহলে তোকে সবসময় আমার সাথে রাখতে পারতাম,, আর এখন যে রাখতে পারবো না তেমনটাও নয় কিন্তু,, আমি রুদ্রকে শর্ত দিয়ে রাখবে মাসে পনেরো দিন তুই রুদ্রের বাসায় থাকবি আর বাকি পনেরো দিন তুই এই বাসায় থাকবি আমার সাথে,,, নয়তো তোদের বিয়েটা আমি কেন্সেল করে দিব এমন বললেই রুদ্র আমার কথায় রাজিয়ে হয়ে যাবে কারণ তোকে বিয়ে করার জন্য যে পাগলামো না করেছে পাগলটা, রিদও শান্ত করতে পারছিল না পরে হার মেনে নেয় রুদ্র কাছে রিদ, তোকে রুদ্রের সাথে বিয়ে দিবে এমনটা বলতেই রুদ্র শান্ত হয়,,,,

.

দাদীর এমন কথায় আমি মূহুর্তে চমকে উঠি তার মানে রুদ্র আমাকে পছন্দ করে বিয়েটা করছে আর সেটা রিদ খান আগে থেকেই জানতো, আর সেটা জেনেও আমাকে বিয়ে করে এখন চুপ করে আছে কিন্তু কেন কি করতে চাই উনি,,, আর উনি আমাকে পছন্দ করে না সেটা আমি জানি উনি শুরু থেকেই এটা বলে আসছে কিন্তু অপছন্দ করা শর্তেও আমাকে ডিভোর্সটাও কেন দিচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছি না,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই দাদী আমার গাল ছেড়ে দু’হাত নিজের দুহাতে আঁকড়ে ধরে একটা দীঘ নিঃশ্বাস ফেলে কিছুক্ষণ থেমে আবারও বলে উঠে……

.

—” একাকিত্বটা তো আমার থেকেই যাবে সবসময়, জানিস মায়া রিদ কখনোই আমার মনে কথা গুলো বুঝতে চাই না কত করে বলছি বিয়ে কর বিয়ে কর ওহ আমার কথায় কান পযন্ত দিচ্ছে না, এই বিষয়ে কোনো কথায় বলে না আমাকে সবসময় চুপ করে থাকে,,,,

.

দাদী এমন কথায় আমি কোতুহলী হয়ে বলে উঠি……

.

—” কেন, উনার কি কোনো পছন্দ ছিল নাকি আগে…..

.

আমার কথায় দাদী একটা দীঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলে….

.

—” আমার রিদের আবার পছন্দ ওহ কাউকে পছন্দ করতেই পারেনা, কে করবে ওকে পছন্দ ওর কাছে কোনো মেয়ে ঘেষতেও পারেনা,,, ওহ ছোট থেকেই এমন এমন একরোখা টাইপে ছেলে ছিল যাহ বলবে তাই করবে কারও কথা শুনতো না হাসতো না সহজে এমন টাইপের ছেলে ছিল তবে…..

.
দাদীকে চিন্তা হয়ে থামতে দেখে আমি দ্রুত তাড়া দিয়ে কৌতুহল নিয়ে দাদীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি……

.

—” তবে কি দাদী…..

.
—” আমি জানি না কিছুই তবে গত দুই বছর আগেও বেশ একটা হাসিখুশি দেখাতো আমার রিদকে, প্রায় হাসতে দেখতাম ওকে তখন বিয়ে কথা বললে বলতো এখন না পরে করবে একটু সময় দিতে ওকে,আর এখন বিয়ে কথা বললে একদমই না করে দেয় অথবা চুপ থেকে আমার কথাটা এড়িয়ে যায়……

.

দাদীর এমন কথায় কপাল কুচকে এলো আমার রিদ খান দুই বছর আগে বেশ হাসিখুশি ছিল কিন্তু এখন নেই, বিষয়টা আমার ভালো টেকছেনা, বিষয়টি আমাকে ভাবাচ্ছে ভিষণ ভাবে আর এর পিছনে কি কারণ লুকায়িত থাকতে পারে, আচ্ছা কোনো মেয়েলি বিষয় নয়তো, হতেও পারে উনার গফ হতো উনাকে ছেড়ে চলে গেছে দুই বছর আগে তার জন্য ব্যাটা আরও বদমেজাজী একরোখা টাইপ হয়ে গেছে, ইশশশ যাওয়ার সময় ব্যাচারার হাসিটা সাথে করে নিয়ে গেছে মেয়েটি, আমি আমার মতো করে ভেবে নিয়ে দাদী দিকে তাকায় উনার অপদার্থ নাতি যে আমাকে জোর করে বিয়ে করেছে সেটা বলে দিব উনাকে, আচ্ছা আমার কি এখন বলা উচিত হবে,, বলার পর দাদী আমাকে বুঝবে তো আর রুদ্র বা আমাকে খারাপ ভাববে নাতো,, আমি এমন সব চিন্তা ভাবনায় করেই নিজের মধ্যে খানিকটা সাহস জুগিয়ে নিয়ে দাদীকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠি…..

.

—” দাদী আমার কিছু বলার ছিল তোমাকে……

.
আমার এমন কথায় দাদী আমার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে……

.

—” তোর কথা পরে শুনব তুই আগে আমার কথা গুলো শুন মনোযোগ সহকারে তুই কিন্তু আমার সাথেই থাকবি কেমন আর……

.

দাদীর বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই আমি বলে উঠে……

.

—” থাকবো দাদী তোমার সাথেই থাকবো, তার আগে তুমি একটা বার আমার কথা গুলো শুনে নাও প্লিজ…… (হাত ধরে)

.

আমাকে এমন অসহায় দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে দাদী মূহুর্তে চুপ করে যায়, আমি কি এমন বলতে চাই বিষয়টি ভেবেই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে কপাল কুচকে আমি দাদীর এমন দৃষ্টি দেখে খানিকটা নড়েচড়ে ওঠে বসি দাদীর পাশে, ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে কিছু সাহস জুগিয়ে বলে উঠি…..

.

—” দাদী আসলে তোমার নাতি সাথে বিয়ে……

.

আমার বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই রুদ্র তার স্পেশাল কফি নিয়ে আমার সামনে খাজির হয় মুখে শিশ বাজাতে বাজাতে, এতে করে দাদীর মনোযোগ নষ্ট হয় আমার ওপর থেকে, দাদী রুদ্র দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে থেকে রুদ্রের কফিটা একহাতে তুলে নেই, রুদ্র দাদীকে কফি দিয়ে সাথে সাথে আমাকেও একটা কফি তুলে দেয়, আমি রুদ্র কফিটা হাতে নিয়ে দীঘ নিঃশ্বাস ফেলে একটা চুমুক দেয় কফিতে,

.

আমার না বলা কথা গুলো কাউকেই শুনাতে পারিনি, এবারও থেকে গেলো নিজের মধ্যেই, সেটা আমার মধ্যে চেপে গেলো, আর এখন দুজনের সামনে একসাথে বলা ঠিক হবে না, একজন একজন করে বললে হয়তো আমি বুঝাতে পারবো দুজনকে,, একসাথে দু’জনকে বুঝাতে আমি অক্ষম,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে রুদ্র ধুপ করে আমার পাশে বসে পরে কফি হাতে, পরে দাদীকে ফাঁকি দিয়ে আমার কানে কানে ফিসফিস করে বলে উঠে…..

.

—” কফিটা কেমন হয়েছে রানী সাহেবা……

.

রুদ্রের কথায় আমি পাশ না ফিরেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে নিজের মাথাটা নাড়িয়ে সুমতি জানায় যে কফিটা অনেক ভালো হয়েছে, আমার সুমিত পেয়েই রুদ্র হেসে উঠে আমার দাদীর অগোচরে একটা চোখ টিপ মারে ঠিক করে বসে পরে……

.

আর আমি রুদ্রের এমন কাজে সাথে সাথে দাদীর দিকে তাকায় দাদী আপাতত তার কফি খাওয়ায় মনোযোগী তাই রুদ্র দিকে তার তেমন কোনো দৃষ্টি নেই, তাই আমিও আর পরে রুদ্র দিকে তাকায় নি লজ্জায়,

.

কফি সাথে সাথে আমাদের আড্ডা আসরটাও শেষ হয়, দাদী আমাকে ও রুদ্রকে পাঠিয়েছে পুরো খান বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখতে, রুদ্রও আমাকে সাথে করে নিয়ে পুরো খান বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছে সাথে গল্প করতে করতে,,, খান বাড়িটি অতিমাত্রায় সৌন্দর্যে ভরপুর যতটা দেখছি ততটাই মুগ্ধ হচ্ছে বার বার বাড়ির সৌন্দর্য দেখে,,,,

.

আমি আর রুদ্র সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠে দুইতলার সবগুলো রুম হাটতে হাটতে দেখার পরে একটা লক করা রুমের সামনে এসে রুদ্র হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায় পরে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…..

.

—” এই লক করা রুমটি হলো রিদের, এই রুমে প্রবেশ করা কারও অনুমতি নেই, এমন কি রিদের রুমটি পরিষ্কার করাই ওর পারসোনাল ছেলে এসিস্ট্যান্ট দিয়ে,,, বাড়ি কোনো সার্ভেন্ডই ওর রুমে যেতে পারে না, আমি নানাভাই-নানুর ছাড়া কেউ ডুকতে পারে নাহ ওর রুমে তাও আমরা কাজ ছাড়া ওর রুমে যেতে পারি না ওটা ওর পছন্দ না,, এখন ওহ দেশের বাহিরে আছে তাই এখন ওর রুমটা লক তবে তুমি আমার বউ হবে তাই তোমাকে তো সবকিছু দেখাতেই আসো আমার সাথে…..

.

কথা গুলো বলেই রুদ্র নিজের পকেটে হাত গজিয়ে একটা চাবি বের করে সেটা দিয়ে রুমটি খুলে আমকে নিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে, রুটি ভিতরে প্রবেশ করেই আমার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে আসে মূহুর্তেই, আল্লাহ এটা কি কোনো রুম নাকি, আমার তো মনে হচ্ছে ছোট খাটো একটা আস্ত বাড়িও বলা যায়, কারণ বিশাল এরিয়া নিয়ে রুমটি তৈরি করা হয়ে,,,,,,

.

রুমটি দক্ষিণ ও পশ্চিম সাইটে সম্পূর্ণ কাঁচের তৈরি, সেখানে সাদা মধ্যে বড় বড় পর্দা টাঙানো রয়েছে, তার সাথেই নিচে ফ্লোরে দামী সাদা সোফায় সেট রয়েছে, পশ্চিম পাশে সাদার মধ্যে বড় বেট পাতানো রয়েছে সাথে রয়েছে বড় আয়না বিশিষ্ট সাদা ডেসিন টেবিলটি সাথে রয়েছে একটি কাচে দরজাও এখান থেকে দেখা যাচ্ছে এই কাচের দরজাটি দিয়ে এই রুমের সাথে এটাচ করা সুইমিং পুলের যাওয়া হয়, পূব পাশে বিশাল বড় একটি কবাট রয়েছে, উওর পাশে কাঁচের এটাচ বার্থরুম ভিতর থেকে পর্দা দেওয়া, তার সাথে বড় একটি বুক রেকও রয়েছে দেয়াল সাথে এটাচ করা বইয়ে,,,

.

আমি চোখ বড় বড় করে হা হয়ে রিদ খানের রুমটি পযবেক্ষন করছি আমার এমন করে দেখার মধ্যে দিয়েই হঠাৎ রুদ্রের ফোন বেজে ওঠে, রুদ্র দ্রুততা সঙ্গে ফোনটি হাতে নেই পরে ফোনটি দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে আমার দিকে তাকায় পরে বলে উঠে….

.

—” মায়ুপাখি তুমি রুটি ঘুরে ঘুরে দেখ আমি একটু কথা বলে আসছি, আসলে কলটি একটু আর্জেন্ট তাই, তুমি থাকো আমি আসছি……

.

কথা গুলো বলেই রুদ্র রুম থেকে প্রস্থান করে, আমি রুদ্রের যাওয়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে ঠোঁট উলটিয়ে আবারও মনোযোগী হয় রিদ খানের রুম দেখায়, আমি রিদ খানের রুমটির মধ্যে সবকিছু ছুয়ে ছুয়ে দেখছি,, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমি এই রুমটিও আগেও দেখেছি কোথাও, শুধু দেখেছি নয় এখানের প্রতিটি জিনিসও আমার ভালো করে চেনা মনে হচ্ছে,, আমার এমন কেন মনে হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি, এখানে আমি আগে কখনোই আসিনি আর আমাকে এখানের কেউ চেনেও না তাহলে আমার কি করে রিদ খানের রুমটা পরিচিত মনে হতে পারে,,

.

এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই হঠাৎ আমার দৃষ্টি স্থির হয় আমার সাথে বুক সেলফ এর উপর, আমি ধীর পায়ে এগিয়ে এসে সবগুলো বই ছুয়ে ছুয়ে দেখছি, রিদ খান মতো মানুষ বই পরার মতো শখ রাখতে পারে তা আমার চিন্তা ভাবনায় বাহিরের ছিল,, সাজানো বই গুলো ছুয়ে ছুয়ে দেখছি আমার বেশ ভালো লাগছে সবকিছু আমার ভালো লাগার সাথে সাথে আমি সব বইয়ের নিজের চোখ বলাচ্ছি, আমি চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাৎ করেই আমার চোখ আটকায় একটা নীল ডাইরি ওপর,,, আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ডাইরিটা দিকে তাকিয়ে থেকে কৌতুহল নিয়ে সামনে এগিয়ে ডাইরিটা হাতে নেয় ভিতরে কি আছে পরার জন্য,,,,,

.

আমি নীল ডাইরিটি হাতে নিতেই সাথে সাথে অটোমেটিকলি আমার সামনে বুক সেলফটি ঘুরে গিয়ে একটি দরজা তৈরি হয় সেটা ধরে ভিতরে একটি রুম দেখা যাচ্ছে,,, আমার চোখের সামনে হঠাৎ করেই বুক সেলফটি ঘুরে দরজা হতে দেখে সাথে সাথে আমি ভয়ে চমকে উঠি দুই কদম পিছিয়ে গিয়ে পরে ভিতু চোখে এদিক ওদিক তাকায়,, চোখের সামনে কাউকে কোথাও দেখতে না পেয়ে বুঝতে পারি এটি একটি গুপ্ত রুম,, যাহ সবার থেকে লুকায়িত, আর এই গুপ্ত রুমটি রিদ খান নিশ্চয়ই কোনো গুপ্ত কাজের জন্য তৈরি করেছে,,,,,,,

.

গুপ্ত বিষয়টি মাথায় আসতেই রুমটি ভিতরে এমন কি আছে জানার জন্য আমার কৌতুহলটা হাজার গুণ বেরে যায়, আমি কৌতুহলী হয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে যায় রুমটি ভিতরে কি আছে দেখার জন্য নীল ডাইরিটা হাতে নিয়েই,,, আমি রুমটি ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে রুমের দরজাটা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় আমি চমকে ঐদিকে তাকাতে তাকাতে দরজাটি একে বারে বন্ধ হয়ে যায়, আমি দ্রুত দরজায় বার বার ধাক্কা দিয়ে খুলার চেষ্টা করেও দরজাটি আর খুলতে পারিনি,,,,,,,

.

কান্ত হয়ে হতাশ চোখে তাকায় চারপাশে, গুপ্ত রুমটি চারপাশে তাকাতেই সাথে সাথে আমার হাত থেকে নীল ডাইরিটা পরে যায় ফ্লোরে, চোখের সামনে আশ্চর্য কিছু দেখে মূহুর্তেই আমি পাথর মূতি মতো দাঁড়িয়ে থাকি জায়গায়,,, চোখের সামনে যাহ কিছু দেখছি তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি, এই গুলো কি? কি করে সম্ভব এইসব, রিদ খান কি তাহলে,,,! নাহ এমন কিছুই হতে পারে না,, উনি এমনটা কি করে করতে পারে,,, আমি টলমলে চোখে ডলতে ডলতে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেয়ালে জুলে থাকা সব কয়টি জিনিস পএ নিজের হাতে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছি আর আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে অঝর দ্বারা,,,,,,,,,

.

এই সবকিছু দেখার সাথে সাথে আমার মাথাটাও ভিষণ ভাবে চাপ মেরে ওঠে ব্যাথায়,, প্রচন্ড ব্যাথার সাথে ফ্লোরে বসে পরি ধুপ করে হাটু গেড়ে,, সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে বারবার পরে নিজের দুহাত দিয়ে মাথার দুপাশে চেপে ধরে নিচের দিকে তাকাতেই সেখানেও আরও একটি অদ্ভুত জিনিস চোখে পরলো, আমি জিনিসটা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখে নিতেই সেই জিনিসটা হাতে নিয়েই ফ্লোরে লুটিয়ে পরি আমি,, আর কিছু নেওয়ার মতো আমার ধারণ ক্ষমতা ছিল না, প্রচন্ড অক্ষমতার সাথে সাথে নিজের চোখের পাতা দুটো বন্ধ হয়ে আসছিল তখনি ঝাপসা ঝাপসা চোখে সামনের দিকে তাকাতেই দেখতে পারি কেউ একজন পাগল পাগল হয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসছে, ব্যাক্তিটি আমার খানিকটা সামনে আসতে ঝাপসা চোখে দেখতে পেলাম রিদ খানকে, উনি অগোছালো ভাবে আমার দিকে দৌড়ে আসছে তারপর আর কিছু বলতে পারিনি আমি ঐখানেই অজ্ঞান হয়ে যায়…….

.

.

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here