আগন্তুকের_আসক্তি #পলি_আনান [পর্ব সংখ্যা ৩]

0
364

#আগন্তুকের_আসক্তি
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ৩]

কলিং বেলের শব্দে বার বার কেঁপে উঠছে অলীদ তার মাঝে তৈরি হয়েছে ভয়ের সঞ্চার।যতদিন,যতবার ইনানের বাবার সাথে তার দেখা হয়েছে প্রতিবার তাকে বকা শুনতে হয়েছে কখনো কখনো তাকে মারার জন্য তেড়ে এসেছে।তার একমাত্র কারন ইনান কেন তার মামার সঙ্গে রাজনীতিতে মেতে আছে?বন্ধু হিসেবে তারাও তো বোঝাতে পারে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ইনান এভাবে নিজের জীবনটা হেলদোল হীন ভাবে কাটানো উচিত নয়।
একে একে টানা আঠারো বার কলিংবেল বাজার পর নিজের রুম থেকে বেরিয়ে আসে ইনান।

– সমস্যা কি আলীদ,দরজা খুলছিল না কেন?

– আব…আমার ভয় লাগছে।

– দ্রুত দরজা খোল কিচ্ছু হবে না আমি বলছি।

অলীদ আমতা আমতা করে দরজা খুলতে গেলো।দরজা খুলে দেখে ইনানের বাবা ‘ইব্রাহিম’ আগুনের চুল্লি মুখ করে তাকিয়ে আছে তার দিকে।

– আস…আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।

ইব্রাহিম এবং ইনানের মা ‘নাসরিন’ সালামের জবাব নিলেন না বরং পাশ কাটিয়ে তারা ঘরে ডুকলেন।ইনানের বাবা ডানে বামে না তাকিয়ে ইনানকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে সশব্দে চড় লাগায় তার গালে।

চড়টা এতটাই জোরে লেগেছে ইনানের কান,গাল রক্তিমভাব ছড়িয়ে গেছে।চড়ের শব্দে রুম থেকে ছুটে আসে ইতিকা।মাঝ বয়সী একজোড়া দম্পত্তিকে দেখে তার বুঝতে বাকি নেই এরাই ইনানের বাবা-মা।ইতিকা ভ্রু কুচকে অলীদের দিকে তাকায় অলীদ তাকে ইশারা করছে সালাম করার জন্য।ইতিকা ঝটপট দুজনের পা ছুঁয়ে সালাম করে দাঁড়িয়ে যায়।তার মুখটা হাসি হাসি রেখে বলে,

– আম্মা-আব্বা আপনারা বসুন।আপনাদের বেশ ক্লান্ত লাগছে।

ইতিকার দিকে তাকিয়ে অবাক না হয়ে পারলেন না ইব্রাহিম।নাসরিন মুখে আচঁল গুজে এবার কেঁদেই দিলেন

– আমার ছেলের মাথায় ব্যামো হয়েছে গো ব্যামো।এই বাচ্চা মেয়েটাকে বিয়ে করে কি বোঝাতে চাইছে সে?

ইব্রাহিম এবার ইনানের কলার টেনে আরেকটি চড় বসিয়ে দিলো।পর পর দুটো চড়ে এবার অলীদের মুখের ভাব পালটে এসেছে।ইতিকা কি করবে বুঝতে পারছেনা।ইনানের দিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে।ইব্রাহিম ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে সোফায় বসে যান।তার প্রেসার বেড়ে গেছে।এসির মাঝেও সে ঘামছে।

ডায়নিং টেবিল থেকে পানির গ্লাস এনে ইব্রাহিমের দিকে বাড়িয়ে দিলো ইতিকা।কিন্তু ইব্রাহিম হাতে তুলে নিলেন না।বরং ইতিকাকে আপাদমস্তক একবার দেখে ইনানের উদ্দেশ্য বলে,

– এই মেয়েকে ছেড়ে দেবে তুমি আর তোমার বিয়ে করার শখ হয়েছে?বেশ আমরা মেয়ে খুঁজে তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করবো।

– সরি, বিয়ে যখন একবার করেছি তখন ছেড়ে দেওয়ার জন্য করিনি ;সংসার করবো বলেই করেছি।
– এই বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে সংসার করবে তুমি?মাই গুড নেস।

– সে বাচ্চা নয় তোমাদের থেকেও সেয়ানা।

ইনানের কথার উলটা পিঠে আর কথা বললেন না ইব্রাহিম।রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে কিছুক্ষণ পর বলেন,

– কার অনুমতিতে বিয়ে করেছো তুমি?কে দিয়েছে বিয়ে করার অনুমতি।

– আমি মামুকে বলেই বিয়ে করেছি।আপনাদের আপত্তি থাকলে আমার বাসা থেকে চলে যান।

ইনানের কথায় স্পষ্ট রাগ ।ছেলের এমন অপমান সূচক ব্যবহারে চমকে যায় ইব্রাহিম এবং নাসরিন।নিশ্চুপ দু’চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছে নাসরিন।তখনি ইনানের বুকে কেউ ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।টাল সামলাতে না পেরে ইনান ছিটকে দেয়ালের সঙ্গে বাড়ি খায়।ইতিকা কোমড়ে হাত গুজে রাগি সুরে তাকিয়ে আছে ইনানের দিকে।

– খবরদার বলে দিচ্ছি বাবা মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।দাঁত থাকতে আপনি দাঁতের মর্ম বুঝতে পারছেন না।

ইতিকার শাসানো কথায় উপস্থিত সবাই নিশ্চুপ অবাক।ইনান কিছু বলার জন্য এগিয়ে আসলে আবারো ইনানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ইতিকা।

– আম্মা-আব্বাকে সরি বলুন।আমার মতো যদি এতিম হতেন তবে বুঝতে পারতেন দুনিয়া কোন নিয়মে চলে এখন তো বাবা মায়ের হোটেলে চলে তেল মাখাচ্ছেন শরীরে।

ইনান কি বলবে বুঝতে পারছেনা।তবে ইব্রাহিম এবং নাসরিন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে অবাক হয়ে।ইনান নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে আদেশ সুরে বলে,

– রুমে যাও ইতিকা।
– যাবো না।
– যেতে বলেছি আমি।
– তো?

ইতিকার আচরণে রাগ সামলানো দায় হয়ে পড়েছে ইনানের।তাই তাকে টেনে হিচড়ে রুমে বন্দি করে দেয়।আজকের পরিস্থিতিতে তাজ্জব বনে গেছেন ইনানের বাবা মা দুজনেই।তাই দু’বাক্য না করে চুপচাপ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

__
গায়ের শার্টটা এক টানে ছিড়ে ফেলে ইনান শরীর জুড়ে ভয়ংকর রাগের সঞ্চার হয়েছে।কাকে রেখে কাকে মারবে সে বুঝতে পারছেনা।ইচ্ছে করছে ইতিকাকে দু’চড়ে অচেতন করে দিতে।অলীদ তার দিকে তাকিয়ে আছে চঞ্চল দৃষ্টিতে।

– অলীদ সিগারেট দে।
– এ..এখন?
– দিতে বলেছি দিবি ডোন্ট টক।

অলীদ সিগারেটটা বাড়িয়ে দিলো তার দিকে।সিগারেট ছুঁয়ে দেওয়ার আগেই ফোনের স্কিনে তার মামুর নাম্বার দেখে ভ্রু কুচকে গেলো।বিনা বাক্যে ফোন রিসিভ করে জানতে পারে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছেন।

.
বারান্দায় দাঁড়িয়ে খোলা আকাশটার দিকে বিষন্নতার চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে ইতিকা।নিস্তব্ধত মূহুর্তে হুট করেই সে অনুভব করে তার উন্মুক্ত পেটে কারো নখের আঘাত বেশ তীব্র ভাবে লাগছে।ধীরে ধীরে নখ দেবে যাচ্ছে তার মাংসপিন্ডে।ইতিকা স্থির থাকলো না তড়িৎ গতিতে পেছনে ঘুরে তাকাতেই তার মুখটা কেউ হাতের তালুতে চেপে ধরে।

– খবরদার চিৎকার করবে না ইতিবউ।

ইনানের আদেশ বাক্য ইতিকা মান্য করলো না বরং ছুটাছুটি দ্বিগুণ বাড়িয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে।তীব্র ব্যাথায় পেটের অংশটা যেন অবশ হয়ে আসছে তার।শ্বাস নেওয়া ধীরে ধীরে কমে আসতেই ইনান একটানে তাকে বক্ষঃস্থল ঝাপটে ধরে।

– কেমন দিলাম?একটু ছোঁয়ায় কুপকাত।আমার সাথে লাগতে এসো না ইতিবউ, পরিণাম খুব ভয়ংকর হবে।

– আপনার ছোঁয়া বড্ড বাজে,বিশ্রী,একদম জঘন্য।
– তবে কি ওয়াসিমের ছোঁয়া সুমিষ্ট ছিল ইতিবউ?

ইনানের প্রশ্নে বিষ্ফরিত নয়নে তাকায় ইতিকা।বুকের ভেতর ধরাস ধরাস শব্দ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।শ্বাস উঠা নামার ছন্দটা প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ইনানের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে প্রশ্ন ছোড়ার আগেই কানে আসে ইনানের আদেশ বাক্য।

– কোন কথা নয়।মুখটা কন্ট্রোল করো।মামু আসছে তোমার দুরুক্তি কথা বার্তা কিঞ্চিৎ পরিমানে তার কানে পৌঁছালেও বিপদ তোমার জীবনে ঘনিয়ে আসবে।তাই বার বার সাবধান করছি নতুন বউয়ের মতো ব্যবহার করো।লজ্জায় নুইয়ে থাকো সাহসিকতার পরিচয় আমি তোমার কাছ থেকে আপতত চাইছি না।দ্রুত শাড়ি ঠিক করে বাইরে এসো।

ইতিকা তাজ্জব বনে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইনানের দিকে। ওয়াসিম’কে কি করে চেনে এই লোকটা?আর জানেই বা কি ভাবে ওয়াসিমের সাথে ইতিকার সম্পর্ক আছে?
.
ইনানের মামা বাহরুল ইসলাম বেশ কিছুক্ষণ পরেই ফ্লাটে উপস্থিত হয়।তিনি ইতিকার আচরণে ভালো ভাবেই বুঝে নিয়েছেন মেয়েটি বিয়েতে এখনো রাজি নয়।ইতিকার ত্যাড়ামো স্বভাবটা বেশ ভালো ভাবেই লক্ষ্য করেছেন তিনি।লেখনীতে পলি আনান। এদিকে বাহরুল ইসলামের সামনে ইতিকার এমন দুরক্তি ব্যবহারে লজ্জায় মাথা নুইয়ে নেয় ইনান।ইতিকার হাতে উপহার হিসেবে ভারী গহনার বাক্সটা হাতে তুলে দিতেই তা গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায় সে।

এতে বেশ অপ্রতিভ অবস্থায় পড়ে ইনান এবং বাহরুল ইসলাম।যাওয়ার আগে ইনানের মামু তাকে জড়িয়ে ধরে বলে,

– মেয়েটা সুবিধার নয় ইনান।সাবধানে থাকিস গ্রামের মেয়ে তোকে মারতেও দু-বার ভাববে না।আজকের ব্যবহারটা তার কাছে আশা করিনি।

– তুমি কিছু মনে নিও না মামু সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি সব ঠিকঠাক ভাবে সামলে নেবো।

– হুম।
.

গয়নার বাক্স গুলো বিছানায় ছুড়ে ফেলে দেয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে কাদঁছে ইতিকা।ইনানের মুখে তার প্রেমিক ওয়াসিমের কথা শুনে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তার।দুঃখের জীবনে তার একমাত্র সঙ্গী ওয়াসিম বেশ কয়েকবছর থেকেই তাকে চেনে জানে তবে প্রেমিক হিসেবে সম্পর্কটা মাত্র সাড়ে সাত মাসের।এই সাতমাসে যেন ইতিকার জীবনে নেমে এসেছে স্বর্গীয় সুখ।সেই সুখের ভাটা হয়ে তার জীবনে নতুন করে আগমন ঘটলো “ইফতিহার ইনান” নামক ব্যাক্তিটির।

সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে ব্যস্ত ইনান।ইতিকাকে শায়েস্তা করার কোন কলাকৌশল খুঁজে পাচ্ছে না সে।তার অবস্থা বুঝতে পেরে অলীদ ক্ষীণ স্বরে বলে,

– ইতিকাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করিস না দোস্ত।ছোট মেয়ে হয়তো এইভাবে বিয়েটা মেনে নিতে পারছেন না।

– ছোট মাই ফুট!কিসের ছোট মেয়ে?এই টুকুনি মেয়ে সাত মাস ধরে প্রেম লীলায় জড়িত আর তোর কাছে তাকে ছোট লাগছে?সে বয়সে ছোট বুদ্ধিতে নয়।

ইনানের গমগমে কথায় বাকরুদ্ধ অলীদ।সোফায় বসে দু’হাত দিয়ে মুখ ঠেকে কিছুক্ষণ মেঝেতে তাকিয়ে রইলো।তার অবস্থা যে এখন শকে আছে তা বুঝতে পেরে বাঁকা হাসে ইনান।অলীদ স্থির কন্ঠে ইনানের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়,

– তুই জানিস সে প্রেম করে তবুও মেয়েটাকে বিয়ে করলি কেন?

– কার সাথে প্রেম করছে আগে সেটা তো শুনবি।

অলীদ বা’ভ্রুটা কুচকে বলে,

– কার সাথে?

– আমাদের পরিচিত মুখ “ওয়াসিম হাসনাত” তার সঙ্গে।

ইনান হাসতে থাকে।কিন্তু মূহুর্তেই মাথায় রাগের সঞ্চার হয়েছে অলীদের।

– হোয়াট?তুই পাগল হয়ে গেছিস?নাকি ওয়াসিম পাগল হয়েছে?ক্লাস নাইনে পড়ুয়া একটি মেয়ের সাথে প্রেমে মশগুল ওয়াসিম কুত্তা*টা আর তুই ডাইরেক জোরজবরদস্তির করে বিয়ে করেনিলি।

– এতকথা তোকে বুঝতে হবে না আগে মেয়েটাকে শায়েস্তা করে আসি।

– কি করবি তুই?খবরদার বাড়াবাড়ি করবি না বলে দিলাম।

– অলীদ তুই ভালো করেই জানিস আমি অবাধ্য ছেলে নিজের মর্জি মত চলাফেরা করি সেখানে তুই বারন করলেও আমি তোর কথা শুনবো না।সো গুড বায়।

– ইনান….

ইনান একছুটে নিজের বেডরুমে প্রবেশ করে, সেখানে স্থির হয়ে মেঝেতে বসে কাদঁছে ইতিকা।ঢেউখেলানো চুলগুলো একপাশটায় দলাপাকিয়ে আছে যার ফলে তার উন্মুক্ত পিঠ সহজে ইনানের চোখে পড়ে আর তা দেখে স্থির চিত্তে তাকিয়ে রইলো সে।হুট করেই অবাধ্য মন তাকে জানান দিচ্ছে এই মেয়েটি তার বিবাহিত স্ত্রী,তাকে ছুঁয়ে দেওয়ার অধীকার ইনানের আছে।আর সেই অধীকার প্রশ্রয় দিয়ে ইতিকার কাছে এগিয়ে যায় সে।তখনি তার কানে আসে তার ইতিবউ ফ্যাচফ্যাচ করে কাদঁছে।

ইনান রাগ জেদ ভুলে ইতিকার সামনে হাটু মুড়ে বসে,
– কাদঁছেন কেন?

ইনানের প্রশ্নে মাথা তুলে তাকায় সে।

– আপনি এটা কেন করলেন?আমি ওয়াসিমকে ভালোবাসি অথচ আপনি সবটা জেনে আমাকে বিয়ে করেছেন?ওয়াসিমের চেয়ে আমাকে কেউ ভালোবাসতেও পারবে না আর কেউ ভালো রাখতেও পারবেনা।

নিভন্ত রাগটা চড়া দিয়ে উঠেছে ইনানের মাথায়।কোন স্বামী কখনোই চাইবে না তার স্ত্রী অন্য পুরুষের জন্য তার সামনে চোখের জল বিসর্জন দেবে।

– আমি তোমার বিবাহিত স্বামী অথচ আমার সামনে তুমি অন্য পুরুষের জন্য চোখের জল ফেলছো?আর এদিকে আমায় ছুড়ে দিচ্ছো অবহেলা।

– আমি তো এই বিয়ে মানি না সরে যান আমার সামনে থেকে।

ইতিকা ইনানের বুকে ধাক্কা দিতেই সে কিছুটা দূরে পিছিয়ে যায়।তার আচরণে ইনানের মাঝে অপমান বোধের সৃষ্টি হয়।ইনান একটানে দাঁড় করায় ইতিকাকে।

– আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?

– আমার সাথে সংসার করার পূর্ব শর্ত হলো তোমার মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

– আমি আপনার সঙ্গে সংসার করতে চাই না।

ইনান ইতিকার হাত টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়।নব ঘুরাতেই ঝরণার পানি ভিজিয়ে দিতে থাকে তাকে।বেশ কিছুক্ষণ পর ইনান ইতিকাকে বাইরে এনে ফ্লোরে ছুড়ে মারে।

– আজ আমি বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত পুরো ঘর অন্ধকার থাকবে আর জানলা খুলেও লাভ নেই এত উপরে তোমার ল্যাম্পপোস্টের আলো পৌছাবে না।

বাইরে থেকে দরজাটা বন্ধ করে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যায় ইনান।এদিকে নিশ্চুপ চোখ বন্ধ করে রাগ সামলাতে ব্যস্ত ইতিকা।

#চলবে…
❌কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ❌

[যারা গল্পটি পড়ছেন অবশ্যই রেসপন্স করবেন]

সবার সঙ্গে আড্ডা দিতে জয়েন হোন এই গ্রুপে👇
https://www.facebook.com/groups/writerpoly/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here