#আগন্তুকের_আসক্তি
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ৬]
থ্যাঁতলানো হাতটা নিয়ে বেশ সাবধানেই দরজা খোলে ইনান।ইতিকা স্কুলে আছে ভেবে সোজাসুজি বেড রুমের দিকে পা বাড়ায়।থ্যাঁতলানো হাতটায় টপটপ করে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।টনটনে ব্যাথায় হাতটা যেন অসাড় হয়ে আসছে।
– ইতিবউ?
ইনানের অবাক কন্ঠে চমকে তাকায় ইতিকা।আজ স্কুলে যাওয়ার কথা থাকলেও স্কুলে যায়নি সে।সুফিয়া বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে ইতিকাকে ভেতরে রেখেই চলে যায়।
ইনানের হাত থেকে গড়িয়ে রক্ত ঝরছে সেদিকে তাকিয়ে চাপা আর্তনাদ করে উঠে সে।
– আ..আপনার কি হয়েছে?হাতের এই অবস্থা কেন?
– ইতিবউ আপনি স্কুলে যাননি কেন?
– আপনি আগে বলুন আপনার হাতে কি হয়েছে?
– সে কথা পরে হবে আগে আপনি বলুন স্কুলে যাননি কেন?
ইতিকা ইনানের প্রশ্নের উত্তর দিল না বরং গায়ের ওড়নাটা দিয়ে ইনানের হাত চেপে ধরে।
– আপনার হাতে কি হয়েছে প্লিজ বলুন।
– তোমার না জানলেও চলবে।সরো সামনে থেকে।
ইনান ইতিকাকে উপেক্ষা করে সরে যায়।ইনানের হাতের এতটাই বাজে অবস্থা হয়েছে হাতে থাকা কাপড়টা সরালে যে ইতিকা আঁতকে উঠবে সে খুব ভালো করেই যানে।
– আপনি আমাকে সরিয়ে দিচ্ছেন কেন?প্লিজ অলীদ ভাইয়াকে ফোন করুন।
– শুনেন ইতিকা পাশের রুমে যান আমার এমন আঘাত অহরহ হয়েছে আমার জন্য নতুন না কিন্তু আপনার জন্য নতুন।আপনি ভয় পাবেন পাশের রুমে যান।
– যাবো না আমি।নাটক করছেন আপনি?দ্রুত অলীদ ভাইকে ফোন করুন।
– আমি অলীদকে ফোন করেছি ডাক্তার নিয়ে আসবে।
ইতিকা আর কিছু বললো না চুপচাপ তাকিয়ে রইলো ইনানের দিকে।কিছুক্ষণ পরে ডাক্তারের সঙ্গে অলীদ ফ্লাটে আসে।ইনান ইতিকাকে আড়ালে যাওয়ার জন্য ইশারা করলে ইতিকা সরে যায়।
_
পর্দার আড়ালে ইনানের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে কাদঁছে ইতিকা।চঞ্চল মানুষটি আজ কেমন শান্ত নিস্তেজ হয়ে গেছে।ইনান বিছানার সাথে হেলান দিয়ে কারো সাথে খুব বাজে ভাবে বকাবকি করছে।কিছুক্ষণ পরেই দ্রুত বিছানা থেকে উঠে গায়ে শার্ট জড়িয়ে রুম থেকে বের হতে নিলেই পথ আটকায় ইতিকা
– কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
– বাইরে যাবো কাজ আছে।
– এই শরীরে বাইরে যাওয়া কি খুব দরকার?
– দেখুন ইতিবউ আপনি যতটা আহামরি ভাবছেন আমার ততটাও চোট লাগেনি।এইসব কাটা – ছেড়া আমার শরীরে সহ্য করার অভ্যাস আছে।
– কিন্তু আমার তো নেই।আপনার এই অবস্থা দেখে আমার কি হাল হয়েছে আপনি জানেন?
ইনান এবার ইতিকার দিকে পূর্ণ দৃষ্টি রাখলো।চোখ গুলো ভিজে চুপসে আছে।নাকটা লাল হয়ে আছে।ইনান এক পা দুই পা করে এগিয়ে আসে তার দিকে।
– আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো বুঝি?
ইনানের প্রশ্নে চনমনিয়ে উঠে ইতিকা।ডানে,বামে তাকিয়ে নিজের অবস্থান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে দু কদম পিছিয়ে যায়।
– পালাতে চাইছেন?
– ন..না।
– তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। ভালোবাসবেন আমায়?
ইতিকা উত্তর দিল না একছুটে পালিয়ে গেলো পাশের রুমে।ইনান রুমে প্রবেশ করার আগেই ঠাসস করে দরজাটা বন্ধ করে দেয়।ইতিকা দরজার সাথে হেলান দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলতে থাকে,
– পুরুষ জাতিটাই এমন একটু আশকারা দিলেই মাথায় চড়ে নাচতে থাকে।
– তুমি না হয় আমার মাথা খাও,আমার মাথায় চড়ে নাচো আমি সহ্য করে থেকে যাবো তবুও আমার প্রশ্নের উত্তর দাও ভালোবাসবে আমায়?
ইতিকা নিজের অজান্তে কথাটা বেশ জোরেই বলে ফেলেছে যার কারনে বাইরে থেকে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে থাকা ইনান কথাটি শুনতে পায়।ইনানের প্রত্যুত্তরে লজ্জায় মিহিয়ে যায় মেয়েটি।
__
বারান্দায় দাঁড়িয়ে গুনগুন শব্দে গান গাইছে ইতিকা।তখনি তার পেছনে হাজির হয় সুফিয়া।
– কি করছো ইতিকা?
– কিছু না আপু।
– তোমার সাথে একটা জরুরি কথা ছিল।ইনান কোথায়?
– তিনি পাশের রুমে ঘুমিয়ে আছেন।
– শুনো তোমার শাশুড়ী মা তোমার সাথে কথা বলতে চাইছে কিন্তু ইনান কিছুতেই দিচ্ছে না।
– কিন্তু কেন?আমি কথা বলতে চাই আপু তুমি প্লিজ ফোন করো।
– তুমি ইনানকে কিছু বলো না প্লিজ।
– ঠিক আছে আগে তুমি ফোন করো।
ইতিকার ভরসায় স্বস্তির শ্বাস ছাড়লো সুফিয়া।দ্রুত ফোন নিয়ে ইনানের মা নাসরিনকে ফোন করেন।
ইতিকাও দ্বিধাহীন ভাবে তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে।
বেশ কিছুক্ষণ পর ইতিকার কানের পাশ থেকে ফোন নিয়ে দেয়ালের দিকে ছুড়ে মারে ইনান।সবটা বুঝে ওঠার আগেই সুফিয়ার দিকে তেড়ে আসে সে কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের মাঝে ইতিকা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
– দ…দোস্ত।
– চুপ!তোর সাহস কম না আমার কথার অমান্য করিস।আমি বলেছিলাম কারো সঙ্গে ইতিকার কথা বলার প্রয়োজন নেই তুই কেন ফোন করলি?আমার অনুমতি নিয়েছিস?
– আন্টি খুব কেঁদেছিল তাই আমি….
– তোর আন্টি কেঁদেছিল বলে তুই আমার অনুমতি নিবি না।বেরিয়ে যা বাসা থেকে।
ইনানের ধমকে চোখের কোনে পানি এসে যায় সুফিয়ার।ইতিকা ঘাবড়ে গিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়।
– সুফু যা করেছিস মাফ নেই তোর।বিশ্বাস করেছিলাম তোকে।আর আসবি না এই বাড়িতে গেট আউট।
ইনান সুফিয়ার হাত ধরে বের করতে নিলে রেগে যায় ইতিকা।
– আপনি কি কোন দিন ভালো হবেন না?সুফিয়া আপুর কাছে ক্ষমা চান।
– এক চড়ে সবকটা দাত ফেলে দেবো তোমার।বেয়াদপ মেয়ে।কথার মাঝে একদম কথা বলবে না।
– ঝগড়াটা যখন আমায় নিয়ে তখন আমি কথা বলতেই পারি।
ইনান আর থেমে রইলো না।বরং টেনে হিঁচড়ে পাশের রুমে তাকে বন্দি করে নেয়।সুফিয়া মুখে হাত দিয়ে বেশ শব্দ করেই কেঁদে উঠলো।তার সামনে দাঁড়িয়ে ইনান দাঁতে দাঁত বলে,
– তুই তো জানিস আমি বেইমানকে ক্ষমা করি না।তোকে ক্ষমা করতে পারবো তো?
– আমি কোন অন্যয় করিনি ইনান।আন্টি তার পুত্রবধূর সাথে কথা বলতে চেয়েছেন আর আমি তার ব্যবস্থা করেছি এখানে আমি কোন অন্যায় দেখছিনা।
সুফিয়া আর দু’বাক্য না করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
.
রাত বেশ গভীর।সেদিনের পর কেটে গেলো দু’দিন।গত দু’দিন সুফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি ইনানের।অলীদ সম্পূর্ণ বিষয়টা ধামাচাপা দিতে চাইলেও কোন কাজ হলো না।এদিকে ইনানের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ইতিকা এখনো তার সঙ্গে কথা বলেনি।গত দুইদিন অনাহারী সে।তাই
যত রাগ,জেদ সব ভুলে ইতিকার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইনান।মেয়েটি কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে আছে
– ইতিবউ?
-….
– ইতিবউ?
-উহ
– উহ কি?উঠুন।
– উমমম?
– কি উমম, উমম করছেন?গায়ে পানি ঢেলে দিলে তখন ঠিকি লাফিয়ে উঠবেন এখন ভালোভাবে ডাকছিত তাই কানেই তুলছেন না।
কথাটা বেশ জোরেই বললো ইনান।যার কারনে বেশ তোড়জোড় করে চোখ খুলে ইতিকা।
– আপনি এখানে কি করছেন?
– আদর করতে এসেছি আপনাকে ইতিবউ।
– আহ, কিসব কথা বলছেন?
– কেন আপনাকে কি আদর করতে পারবো না?
– না পারবেন না।এমন নির্বোধ,হৃদয়হীন স্বার্থপর মানুষের সাথে আমার কোন কথা নেই।
ইতিকার বাজঁখাই কন্ঠে ইনান বেশ রেগে যায়।কিন্তু তবুও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে ইতিকার পাশে সটান হয়ে শুয়ে যায়।
– এখানে শুয়েছেন কেন? নিজের রুমে যান।
-এটাও আমার রুম।আমার রুম আমার খাট,আমার বালিশ আর পাশে আমার বউ। সব যখন আমার তখন আমি কেন অন্য রুমে যাবো?
– ঠিক আছে আমি নিজেই চলে যাচ্ছি।
ইতিকা উঠে যেতে নিলেই ইনান তাকে আঁকড়ে ধরে।তার কানের কাছে মুখ নিয়ে আলতো করে কামড় বসায়।
– আহ্!পাগল হয়ে গেছেন?
– এত হাইপার হচ্ছেন কেন ইতিবউ?আমি ছুঁয়ে দিয়েছি অন্য কেউ নয়।আর অন্য কেউ ছুঁয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হাত কেঁ/টে ফেলবো তার।
– আন্টি ঠিকি বলে আপনি সন্ত্রাস গুন্ডার থেকেও কম না।
– এইজন্যই আমি কথা বলতে বারন করেছি।জানতাম কথা বললেই আপনার কানে বিষ ঢালা হবে।জানেন তো আমার বাবা-মা আমার চাওয়া পাওয়ার মূল্য দেয় না।
– তাই নাকি?তা আপনার চাওয়া-পাওয়াটা কি?
– মামু আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি।তার সঙ্গে থাকবো ধীরে ধীরে মামুর অবস্থানে নিজেকে দাড় করাবো।রাজনীতি করতে চাই।গল্পটি লেখনীতে পলি আনান। কিন্তু বাবা পছন্দ করেন না।ঠিক এক বছর আগে বেশি রাত করে বাড়ি ফেরায় আমাকে বলেছে বেরিয়ে যেতে তিনি নাকি আমার মুখ দেখতে চান না আমিও বিনাবাক্য বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বেরিয়ে আসি।তারপর আর ওই বাড়ির ত্রি-সিমানায় যায় নি।
– বাবা-মা কি কখনো সন্তানের খারাপ চায়?তারা আপনার ভালো চায় বলেই শাসন করে।আপনার কি মায়া লাগে না তাদের জন্য?
– এত কথা শুনতে ভালো লাগছে না আমার।
ইনান কথাটি বলে ইতিকাকে আরেকটু কাছে টেনে নেয়।ইতিকা সরে আসতে চাইলে কৌশলে ইনান তার পেটে হাত রেখে রাগান্বিত স্বরে বলে,
– আপনি আমার উপর রাগ দেখালেন মেনে নিলাম কিন্তু খাওয়া দাওয়া বন্ধ করলেন কেন?
– সেই কৈফিয়ত আপনাকে দিতে চাই না আমি।
– আপনারা মেয়েরা এই একটা গুন ভালো ভাবে কবজা করেছেন।চুন থেকে পান খসলেই গাল ফুলিয়ে থাকবে সাথে খাওয়া দাওয়া বন্ধ।বাজে স্বভাব।
– আমরা আর যাই করি বাড়ি থেকে তো আর বেরিয়ে যাই না।
– যদি আপনারা সুযোগ পেতেন তবে ঠিকি বেরিয়ে যেতেন।কিন্তু ঘরের বাইরে তো আর আপনাদের জন্য নিরাপদ নয়।তাই এই এক কিসিমের রাগ দেখিয়ে ঘরে থাকো।
ইতিকা উত্তর দিলো না।বিরক্ত হয়ে সরে গেলো।ইনান নিজেও বিছানা থেকে উঠে ইতিকাকে সহসা কোলে তুলে নেয়।
– আরে কি করছেন কি?এত রাতে কি মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে?
– চলুন খাবো।
– আমার খিদে নেই।
– আমার আছে।আর একটা কথা বললে ছাদে উঠে আপনাকে নিচে ফেলে দেবো মাইন্ড ইট।
ইতিকা আর কিছু বললো না ইনান ইতিকাকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে যায়।ইতিকার মুখে খাওয়ার তুলে দিতেই হাত ছিটকে দূরে সরিয়ে দেয়।
– খাবো না আমি।
– সরি বলেছি তো ইতিবউ?আমায় মাফ করে দিন এমন রাগ আর দেখাবো না এবার খেয়ে নিন প্লিজ।
– আমি মাফ করার কে?সুফিয়া আপুর কাছে মাফ চান।
ইনান ইতিকার কথা মতো ফোন করে সুফিয়ার কাছে মাফ চাইলো।কথা শেষে ইতিকার মুখে চুপচাপ খাবার তুলে দেয় ইনান।
অপর দিকে দরজাটা ফাঁক করে মুখ গোমড়া করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে অলীদ।এত্ত রাতে ইনানের চাপা ধমকে ঘুম ভাঙ্গে তার।কিন্তু দরজা খুলে ইনান ইতিকাকে একসাথে দেখে রুম থেকে আর বের হলো না।পর্দার সাথে হেলান দিয়ে আফসোস ভঙ্গিতে বলে,
– দূর, এই বাসায় আর থাকা যাবেনা।এক জোড়া দম্পত্তি আমার সামনে খুনশুটি করবে আর আমি তা চুপচাপ গিলবো তা হয় না।মরার জীবনটা আমার সিঙ্গেল হিসবে যাবে।
__
স্কুল গেটের সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে ইতিকা।স্কুল ছুটি শেষে একে একে প্রায় সব শিক্ষার্থী বাসার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েছে কিন্তু ইতিকা এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।ইনান শহরের বাইরে আছে বাহরুল ইসলামের কাজের সূত্রে। সুফিয়া তাকে আজ নেওয়ার কথা থাকলেও এখনো এসে পৌছায় নি।
– হ্যালো ইতিকা।
একটি ছেলের কন্ঠে পাশ ফিরে তাকায় ইতিকা।কলেজ ড্রেস পরা, কাঁধে ব্যাগ, ঠোঁটে ঝুলিয়ে রেখেছে মিষ্টি হাসি।
– কি হলো মিস কথা বলছেন না কেন?
– কি কথা বলবো আমি?
– আমি রাতুল এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।আপনাকে আমি চিনি।
– ওওও।
ইতিকার এমন হেলদোল হীন কথায় বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ছেলেটি।
– আপনি ইতিকা ইয়াসমিন।ক্লাস নাইনে পড়ছেন।আপনি যে ফ্লাটে থাকেন আমি সেখানেই থাকি।প্রায় ১৫ দিন হলো আমি দশ তলায় নতুন এসেছি।
– ওও।
– বাড়ি ফিরছেন না কেন?একা দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক নয়।ওহ আচ্ছা আপনার কাজিন আপনাকে নিয়ে যাবে বুঝি?
– কাজিন?
– একটা মেয়েকে দেখি প্রায় সময় আপনাকে নিয়ে যায়।আচ্ছা চলুন আমরা একসাথে যাবো একই স্থানে বাড়ি যখন আমাদের যাতায়াত একই হোক।
ইতিকা পড়েছে মহা ফ্যাসাদে।ভাগ্য ভালো আজ ইনান নেই যদি ইনান দেখে নেয় তবে আবার আগুন জ্বলবে।ইতিকা কিছু বলার আগেই হুড়মুড় করে তার সামনে দাঁড়ায় অলীদ।
– চলো ইতিকা।আ’ম সরি এত দেরি করার জন্য আসলে সুফু আসার কথা ছিল কিন্তু বেচারি একটা ঝামেলায় পড়ছে।
ইতিকা সুযোগ বুঝে অলীদের আগে হাটতে শুরু করে অন্যদিকে রাতুল তার দিকে আহাম্মক বনে তাকিয়ে আছে।অলীদ বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতিকাকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
– ছেলেটা কে?
– আমি চিনি না
– কথা বলছিলে কেন?ইনান জানলে খবর আছে।
– আমি কথা বলিনি ভাইয়া সে যেঁচে এসে কথা বলছিল।যাই হোক উনি তো নেই জানবেন না আশা করি।
– তোমার উনিকে এই খবর জানানোর মানুষের অভাব হবে না।
– মানে?
– তার দলের লোকেরা তোমাকে পাহারা দিচ্ছে,আমার আর তোমার অন্তরালে।সেটা তুমিও বুঝতে পারবে না আর আমিও বুঝি না।যাই হোক আমি ম্যানেজ করে নেবো বিষটি।
ইতিকা এবার মহা ঝামেলায় পড়েছে।মাথাটা ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে সে আবারো চমকে যায়।রাতুল ছেলেটি তার দিকে এখনো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
#চলবে
❌কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ❌
[বিঃদ্রঃ যারা গল্পটি পড়ছেন অবশ্যই রেসপন্স করবেন]