#আগন্তুকের_আসক্তি
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ৭]
শেষ বিকেলে হঠাৎ করেই আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা বেড়ে চলেছে।দমকা হাওয়া উলটে পালটে দিচ্ছে জানলার পর্দা।চেয়ারের সঙ্গে হেলান দিয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে ইনান।ইতিকা তার পাশেই বসে আছে।তবে আজ ইনানের আচরণ বিধি সুবিধা ঠেকছে না তার কাছে।কেমন যেন ভাব গম্ভীর নিয়ে বসে আছে।তবে কি কালকে রাতুলের সাথে কথা বলার বিষটি তিনি জেনে গেছন?
কিন্তু অলীদ ভাই তো বলেছিলেন ম্যানেজ করবেন বিষটি।
ইতিকার ভাবনার ছেদ ঘটে এক পাশলা ঝুম বৃষ্টিতে।আকাশ বেয়ে নেমে আসা ভারী বর্ষণ ভিজিয়ে দিচ্ছে,মৃত্তিকার উপর থাকা গাছ,গাছালি,দালানকোঠা। এক দৌড়ে ইতিকা ছুটে যায় বারান্দায়।চঞ্চল চোখ দুটি চারিদিকে বিচরণ করতে ব্যস্ত।
– ইতিবউ?
ইনানের ডাকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় সে।
– কিছু বলবেন?
– আপনার ফুফু কথা বলতে চাইছে আপনার সঙ্গে।
– আমি বলবো না। আপনি ফোন রাখুন।
– ইতিবউ!
– ধমকাচ্ছেন কেন?আমি বলেছি আমি কথা বলবো না সেখানে আমার সঙ্গে জোড়াজুড়ি কেন করা হচ্ছে?
ইনান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় ইতিকার দিকে।মেয়েটা ইদানীং বদলে গেছে।
– ঠিক আছে আপনার কথা বলতে হবে না, মিহির সাথে অন্তত কথা বলুন।
ইতিকা মাথা নেড়ে সায় দিয়ে ফোনটা হাতে তুলে নেয়।বেশ কিছুক্ষণ পর কথা শেষে ইনান ইতিকাকে প্রশ্ন করে,
– ফুফির উপর এত রেগে থাকেন কেন সব সময়?
– যে যেমন তার সঙ্গে আমি তেমনি আচরণ করবো।
– কেন আমার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ায় রেগে আছেন বুঝি?
ইতিকা উত্তর দিলো না।বারান্দায় গিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ছুঁয়ে দেওয়ার ছলচাতুরী করলো।
– ইতিবউ?
ইনানের ডাকে আবারো ঘুরে তাকায়।একটি দীর্ঘ শ্বাস আড়াল করে চুপচাপ দাঁড়ায় ইনানের সামনে।
– আমার প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি ইতিবউ।
– মহিলাটি মানুষ হলেও অমানুষ।প্রায় এক বছর আগে আমাকে শহরে কোন এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে উঠে পড়ে লাগে।বিষটি জানতে পেরে আমি পালিয়ে যাই।আবার আমায় ধরে নিয়ে আসে।পালিয়ে যাওয়ার কোন ফাঁদ খুঁজে পাইনি।আবারো মিহির সাহায্য আমি পালিয়ে যাই তখনি দেখা হয় গ্রামের ধনী ব্যবসায়ীর নাতি ওয়াসিমের সঙ্গে।
‘ওয়াসিমের’ নামটা মুখে তুলতেই তীর্যক ভাবে তার দিকে তাকায় ইনান।ইতিকা বিষয়টি বুঝতে পেরে চুপসে যায়।তবুও দ্বিধা ভুলে আবারো বলতে থাকে।
– ওয়াসিম আমাকে নিরাপত্তা দেয়।ধীরে ধীরে আমাদের মাঝে সর্ম্পক গড়ে উঠে।আর সেই সর্ম্পকের কথা গ্রামবাসী সকলেই জানতো এরপর আমাকে কেউ কটূ বাক্য বলা তো দূরের কথা আমার দিকে চোখ তুলে তাকাতেও সাহস পেত না।আমার ফুফা, ফুফি কেউ কখনো আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার সাহস পায়নি।সেদিন গুলো ছিল স্বাধীন এক কথায় আমার জীবন আমার রাজত্ব্য।তারপর কেটে যায় পাচঁ/ছয় মাস।হঠাৎ ওয়াসিম গ্রামে আসে এবং তার সাথে আমার শেষ কথা হয় সে আমেরিকায় যাচ্ছে পারিবারিক বিজনেস সামলাতে।খুব শীঘ্রই ফিরে আসবে।তারপর কেটে যায় এক সাপ্তাহ।
হুট করেই আপনার আগমন তারপর বিয়ে আর আমিও অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে গেলাম অন্য শহরে,অন্য কোন মায়ায়, স্থান হলো অচেনা কারো বুক পাঁজরে।আর সেই অচেনা মানুষটির ভালোবাসা প্রকাশ পেতে থাকে রাগ,জেদ,অভিমানের মাধ্যেমে।
ইতিকা ক্লান্ত ভঙ্গিতে মেঝেতে বসে যায়।পা মুড়িয়ে হাটুতে থুতনি রেখে তাকিয়ে থাকে বারান্দার দিকে।ঝমঝম করে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো আছড়ে পড়ছে জমিনে।ইনান তার দিকে তাকিয়ে আছে বিনাবাক্য।
– একটা প্রশ্ন করবো আপনাকে? আমায় কেন বিয়ে করেছেন?
ইতিকার প্রশ্নে কিঞ্চিৎ হাসে ইনান
– ভালোবাসতে,ভালো রাখতে।আমি জানি আপনি এখনো মানিয়ে উঠতে পারছেন না।সমস্যা নেই সব ঠিক হয়ে যাবে দৈর্য্য ধরুন।
ইতিকা ইনানের কথার পিঠে আর কথা বাড়ালো না।উঠে দাঁড়িয়ে আবারো বারান্দায় চলে যায়।বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ছুঁয়ে দিয়ে ছুটে আসে ইনানের কাছে।
– চলুন আমরা ছাদে যাই।বৃষ্টির ফোঁটায় একটু গা ভাসাই।
ইতিকার হাসিখুশী মুখটা দেখে ইনান কিছু একটা ভাবলো হঠাৎ করেই মুখভার করে বলে,
– দরকার নেই। আমি এখন ঘুমাবো আমার চুলে বিলি কেটে দিন।
ইনানের এমন উত্তর আশা করেনি ইতিকা।মনে রাগ জমা হলেও চুপচাপ ইনানের পাশে বসে যায়।
_
শেষ বিকেলে বৃষ্টির গতিক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।ইতিকার অশান্ত মন বার বার ভিজতে চাইছে তাই ইনানের ভয়কে উপেক্ষা করে এক ছুটে ছাদের দিকে পা বাড়ায়।আকাশ থেকে অস্থির গতিতে আসা বৃষ্টি তাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।ভিজে যাওয়া ইতিকা জুবুথুবু হয়ে ছাদের কোনায় গিয়ে দাঁড়ায়।রেলিং ধরে নিচের দিকে তাকাতেই ভয়ে কুঁকড়ে উঠে।সে বর্তমানে বারো তলা বিল্ডিং এর ছাদে অবস্থান করছে।এত বড় উচুতে সে আগে কখনো উঠেনি।ভেজা চুলগুলো চারিপাশটায় ছড়িয়ে আবারো হাত উচু করে বৃষ্টির পানি জমাট বদ্ধ করে।হঠাৎ করেই তার কানে আসে অচেনা কোন পুরুষের কন্ঠ।
– ঠান্ডা লেগে যাবে তোমার।এবার সবুর করো।
ইতিকা ভয়, সংশয় নিয়ে পেছনে তাকায়।ভিজে যাওয়া জুবুথুবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রাতুলকে দেখে যেন আসমান থেকে টুপ করে পড়েছে সে।
ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে দু’পা পিছিয়ে গিয়ে রেলিং এর সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায় ইতিকা।
– আরে আমায় ভয় পাচ্ছো কেন?
– আ..পনি এখানে?
– আমি তোমার আগেই এসেছিলাম।ওই যে ছাদের কোনায় ছিলাম।তুমি আমায় খেয়াল করোনি।প্রায় বিশ মিনিট তুমি সমান তালে ভিজেছো।ঠান্ডা লেগে যাবে হয়তো।যাও নিচে যাও।আর আমাকে এত ভয় পাচ্ছো কেন?
ইতিকা কি বলবে বুঝতে পারছেনা।হঠাৎ করেই হালকা বাতাসে তার সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছে।
– আচ্ছা একটা কথা বলো তো,তুমি আমায় এত ভয় পাও কেন?কালকেও একই আচরণ করেছো।এখন আবার। আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক যে তোমায় টুপ করে গিলে খাবো?
রাতুলের প্রশ্নে কি বলবে বুঝে উঠে পারছে না ইতিকা।হঠাৎ মাগরিবের আযান পড়ায় ইতিকা এক ছুটে নিচে নেমে যায়।একা ছাদে তাকে আর রাতুলকে যদি ইনান কিংবা ইনানের লোক দেখে নেয় তাহলে কেলেংকারী হয়ে যাবে।
ইতিকাকে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখে তার পেছন পেছন আসতে থাকে রাতুল।
– এই মেয়ে দাঁড়াও।পালিয়ে যাচ্ছো কোথায়?
রাতুলকে কাছে আসতে দেখে ভেজা শরীর নিয়ে দৌড়তে শুরু করে ইতিকা।সব সিড়ি শেষ করে তার ফ্লাটের সামনে শেষ সিড়িটায় পা মুছড়ে পড়ে যায়।ব্যাথায় চাপা আর্তনাদ করে উঠার চেষ্টা করতেই লক্ষ্য করে পা ছিলে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।এদিকে রাতুল উপরের সিড়ি থেকে তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রাতুল কয়েক সিড়ি নেমে আসতেই ইতিকা দ্রুত দরজা খুলে ভেতরে ডুকে যায়।এবং দরজার সঙ্গে পিঠ লাগিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে।
ইনান হয়তো ঘুমাচ্ছে ভেবে ইতিকা স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে চোখ খুলে।কিন্তু চোখ খুলে ইনানের আগুনের চুল্লির ন্যায় মুখ খানা দেখে দুনিয়া আন্ধার হয়ে যায় ইতিকার।
ভয়টা মূহুর্তে তাকে আবারো আঁকড়ে ধরেছে।ইনানের আরক্ত দৃষ্টি তার ভেতরটা নাড়িয়ে তুলছে।ভয়ে প্রায় কান্না করে দেওয়া অবস্থা ইতিকার।ইনানের চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না মেয়েটি।ছুটে গিয়ে আকঁড়ে ধরে ইনানকে।
ইনানের বুকে মুখ গুজে শব্দ করে কেঁদে উঠে সে।ইতিকার চোখের পানি উত্তপ্ত রাগটা যেনো নিভে গেছে ইনানের।
– ইতিবউ কান্না থামান।
ইতিকা কান্না থামায় নি বরং আরো শক্ত করে চেপে ধরে ইনানের টি-শার্ট।
– আ..মি আর ক..খনো ন..না বলে যাবো না কো..থাও।
– ঠিক আছে এবার কান্না থামান।
ইতিকা কান্না থামালো না বরং ছেড়ে দিল ইনানকে ইতিকা কান্নারত মুখটা দেখে ইনানের সব রাগ জেদ হওয়ায় মিলিয়ে গেছে।
ইনান ইতিকার মাথায় হাত রেখে বলে,
– ইতিবউ জামা কাপড় পালটে আসুন
ইতিকা মাথা নেড়ে সায় দিয়ে যেতে নিলেই ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠে।
– পায়ে কি হয়েছে আপনার?
– পড়ে গেছি।পা বোধহয় মুচড়ে গেছে।
ইনান মাথা নুইয়ে পা দেখেই ভড়কে যায়।রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।বাম পা টা নীল হয়ে ফুলে উঠেছে।
__
ইতিকার সামনে নিজেকে শান্ত রাখলেও ইনানের রাগ একটুও কমে নি বরং আরো দিগুন বেড়েছে।ইতিকাকে সুফিয়ার কাছে রেখে,অলীদকে নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়ে ইনান।
– কিরে দোস্ত রেগে আছিস কেন?
– তোরা কি আমার বন্ধু অলীদ?তুই আর সুফিয়া একের পর এক আমার কাছে সব লুকিয়ে যাস কেন?
– ম..মানে কি বলছিস?
– সেদিন বারন করা সত্ত্বেও সুফু মায়ের সঙ্গে ইতিকাকে কথা বলতে দিয়েছে।আর তুই!
– আমি আবার কি করলাম?
– কাল ইতিকার স্কুলের সামনের ছেলেটা কে ছিল?একবার আমায় জানালি না।
অলীদ এবার ভড়কে গেছে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।তার অবস্থা দেখে ইনান ঠোঁট বাকিয়ে হাসে।
– আজকে ইতিকা ছাদে উঠেছে আর ছেলেটা তার পিছু পিছু এসেছে।
– তুই কি করে জানলি?
– ফ্লাটের সিসি ক্যামরা চেক করছি।ছেলেটা রাতুল।
– বাদ দে দোস্ত।হয়তো একই ফ্লাটে তাই ভাবীকে দেখে কথা বলতে চাইছে।সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়।
ইনান অলীদের কথার পিঠে আর কিছু বললো না।চুপচাপ ভাবতে থাকে ইতিকার কথা।
_
প্রায় চারদিন পর ইতিকা বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে পেরেছে।পায়ের ব্যাথাটা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।এক ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত সে।তাই গায়ে হাওয়া লাগাতে বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়।কিছুক্ষণ পরেই তার সামনে হুড়মুড় করে দাঁড়ায় ইনান।গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।ইতিকা অবাক চোখে ইনানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
– কি হয়েছে আপনার?
– শুনুন ইতিবউ নিজের প্রিয় মামুর কথা উপেক্ষা করে আপনাকে বিয়ে করেছি।এক কথায় গ্রামের সবার মুখ বন্ধ করে জোর করে বিয়ে করে এনেছি। নিশ্চয়ই এমনি এমনি তো আর এতটা পাগল হইনি।মায়ায় পড়েছি বলে একান্ত আমার করে এনেছি আপনাকে।আর এখন আমার বউয়ের উপর ইন্টার পড়ুয়া ছেলের নজর পড়েছে।আমি যে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
ইনান কথা গুলো বলেই আবার রুমে চলে যায়।ইতিকা আহাম্মক বনে তাকিয়ে আছে ইনানের দিকে।কিছুক্ষণ পর ইনান আবারো বারান্দায় আসে হাতে তার জ্বলন্ত সিগারেট।ইতিকার দিকে এগিয়ে এসে সিগারেটের ধৌঁয়া তার মুখে উড়িয়ে দেয়।তার অস্থিরতা ভাব বুঝে উঠতে পারছেন না ইতিকা।
– ইন্টার পড়ুয়া ছেলে আমার বউয়ের পেছনে হাটে অদ্ভুত।শুনুন ইতিবউ সাবধানে থাকবেন বাইরের ছেলেদের পেটাতে পেটাতে কখন যে রাগের দরুনে আপনাকে পেটাতে শুরু করি আমি নিজেও জানি না।বি কেয়ারফুল!
তর্জনির আঙুল ঘুরিয়ে ইতিকাকে শাসিয়ে আবারো বারান্দা থেকে রুমে চলে যায় ইনান।বুকের ভেতরের হৃদযন্ত্রটা প্রবল ভাবে কম্পিত হচ্ছে ইতিকার।
বারান্দার দরজা দিয়ে ইতিকা আড়ালে দেখে, ইনান জামাকাপড় কাধে তুলে বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।সুযোগ বুঝে ইতিকা অলীদের রুমের দিকে যায়।
– অলীদ ভাইয়া কি সমস্যা?উনি আমার উপর রেগে আছেন কেন?
– রাতুল তো কেস জন্ডিস করে দিয়েছে।
– মানে?
– ছেলেটা তোমার সম্পর্কে তেমন অবগত নয়।সে জানেও না তুমি বিবাহিত।তোমায় গত কয়েকদিন না দেখে ইনানের কাছে প্রশ্ন করে, “আপনার বোন’কে দেখছি না কেন?স্কুলেও আসছে না।
– তারপর?
– ইনান মাথা গরম করে কিছু বলার আগেই আমি তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসি।ভাবতে পারছো?আজ যদি আমি ইনানকে না নিয়ে আসতাম তবে ছেলেটা নির্ঘাত এতক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি থাকতো।
– অলীদ ভাই আপনার বলা উচিত ছিল ইনান আমার স্বামী।
– দূর আমার তো ভয়ে হাত পা কাঁপছিল।তৎক্ষনাৎ মাথায় কোন বুদ্ধি আসেনি।তুমি।বরং রুমে যাও ইনান তোমায় না দেখলে আরো ক্ষেপে যাবে।
ইতিকা অলীদের রুম থেকে বের হওয়ার আগেই ইতিকা শুনতে পায় ইনান তাকে ডাকছে।
– ইতিবউ কোথায় আপনি?পালিয়ে গেছেন?
#চলবে
সবগুলো পর্ব একসাথে – https://polyanan.com/tag/aguntuker-asokti/
❌কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষিদ্ধ❌
[যারা গল্পটি পড়বেন অবশ্যই রেসপন্স করবেন]