তপ্ত ভালোবাসা #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৬৩

0
107

#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬৩

.
🍁
উনার ডানহাতে আমার গালের সাইড করে গলা স্পর্শ করে সেখানটাই নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে। আমি কেপে ওঠে একহাতে উনার কাঁধ জরিয়ে ধরে ও অন্য হাতে উনার চুলের মুষ্টি শক্ত করে আঁকড়ে ধরি নিজের সাথে। উনি আমাকে এমন করতে দেখে পরপর আরও কয়েকটি চুমু খাই আমার গলায়।

.
আমি শিহরিত হয়ে পুরো দমে উনাতে মন্ত। নিজেকে ধরে রাখার স্বাধ্যটা আজ আর হচ্ছে না। আমি উনাকে আঁকড়ে ধরার সাথে সাথে উনি বেশ কয়েকটি চুমু খাই আমার গলায়। উনি আমাতে মন্ত থাকার মধ্যে দিয়ে নিজের একহাতে আমার ওড়না পিন খুলে নিয়ে আমার গায়ের থেকে আস্তে করে ওড়নাটা খুলে ফেলে দেয় ফ্লোরে। আমি লজ্জা ডুবু হয়ে উনাকে আঁকড়ে ধরে রাখি শক্ত করে লজ্জায় । উনি আমার লজ্জা পাওয়া ফেসটা দেখে মূহুর্তেই ঠোঁট কামড়িয়ে হেসে উঠে আস্তে করে আমার গালের সাথে নিজের গালটা স্পর্শ করে আলতো ভাবে । আমার গালে ঠান্ডা ও সেঁতসেঁতে ভেজা টাইপ কিছুর ছোঁয়া লাগতেই আমি আস্তে করে চোখটা খুলে নিজের ডানহাতে উনার (রিদ) ছুয়ে দেওয়া সেই গালে স্পর্শ করি। চোখে সামনে হাতটা ধরতেই চোখে পড়লো উনার দেখা হলুদ। আমি এক পলক হলুদের দিকে তাকিয়ে উনার দিকে তাকাতেই সাথে সাথে আবারও চমকে উঠি একইভাবে। কারণ আমি উনার দিকে তাকানোর সাথে সাথেই উনি উনার ডানহাতে আমার উম্মুক্ত পেটে ওপর একগাদা হলুদ লেপটে দেয় আমাকে আঁকড়ে ধরে। আমি দ্রুত পেটের দিকে তাকাতেই উনি সাথে সাথে আমার পেট কমড় সম্পূর্ণ জায়গায় হলুদ পুরোপুরি ভাবে লেপ্টে দেয়। আমি উনার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাতেই উনি সাথে সাথে আমাকে উনার পাঁজর কোলে তুলে নিয়ে বাথরুমে চলে যায়। উনি আমাকে নিয়ে বাথরুমে ঢুকতেই বাথরুমের চারপাশটা দেখে মূহুর্তেই চমকে উঠে উনাকে বলে উঠি…..
.

—” আমার বাথরুমটা কে সাজিয়ে এই ভাবে? আপনি সাজিয়েছেন?

.
আমার এমন কথায় উনি বাথরুমে চারপাশটা হালকা দেখে আমার দিকে তাকিয়ে সুপ্ত কন্ঠে বললো……

.
—” হুমমম! বউকে হলুদ লাগানো প্লানিংটা ছিল অটল। তাই আগের থেকে লোক লাগিয়ে করে নিয়েছিলাম।

.
খানিকটা চিন্তিত সুরে বলে উঠি……
.
—” কখন করলেন আমি বুঝতে পারিনি কেন? আর যদি কেউ দেখে নিত তাহলে কি হতো?

.
আমার এমন কথায় তিক্ততা প্রকাশ পাই উনার ফেসে। আর উনি সেই তিক্ততা নিয়ে আমাকে সোজাসাপটা উত্তরের বলে উঠে…….

.
—” কে কি দেখলো বা না দেখলো! আর কে কি করবে! তাতে আমার কিছুই জায় আসে না। তোমার এসবে ভয় থাকতে পারে আমার নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা তোমার জন্য আমার এতো সব লুকোচুরি খেলতে হচ্ছে নয়তো এসব বিষয়ে কখনো আমি পরোয়ানা করিনা।

.
আমি উনার কথার মানে বুঝতে পেরে নরম সুরে বলে উঠি…..
.
—” আমি জানি আপনি করেন না। তারপর যদি ধরা পরে যায় তো….

.
আমার এমন কথায় মূহুর্তেই হতাশ হয়ে যায় উনি। নিরবে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করে স্বাভাবিক কন্ঠে বললো….

.
—” হুমম। বাহিরের তোমাদের মেহমান সদস্য চেয়ে আমার লোক বেশি আছে পাহারা দেয়ার জন্য ছদ্মবেশে। সো তোমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার লোকেরা আমাদের কাছে কাউকে পৌঁছাতে দিবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি চাচ্ছি । এমনকি তোমার পঞ্চ বান্ধবীরা পযন্ত না।

.
উনার এমন কথায় স্বস্থির নিশ্বাস ফেললাম আমি। যাক আর যাই হোক ধরা পড়ার ভয় নেই। উনি আছে আমার সাথে আমি নির্ভর হয়ে থাকতে পারবো উনার সাথে। নিজেকে উনার সাথে সেইফ মনে করতেই চমকে উঠে দ্রুত উনার চোখে দিকে তাকায় আমি। উনার পাগল করা চোখ দুটোতে ছিল উদাসীনতা। কিন্তু সেটা কিসের তা বুঝতে পারছিলাম না। এটা কি আমার জন্য নাকি অন্য কিছুর জন্য? আচ্ছা উনি কি এখনো পৃপ্তীকে চাই নাকি আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। আচ্ছা উনি আমাকে ভালোবাসে এখানে এসেছে নাকি পৃপ্তীকে ভুলানো চেষ্টা করতে? নিজের এমন দ্বিধাহীন প্রশ্নের ভুক্তভোগী হয়ে উনার চোখে দিকে তাকিয়ে থেকে কৌতূহলী হয়ে বলে উঠি…..

.
—” আপনি কি পৃপ্তীকে ভুলানো জন্য আমার কাছে এসেছেন? নাকি আমাকে ভালোবাসতে চান।

.
আমার কথায় উনি আমাকে কিছু না বলে আস্তে করে নিচে নামিয়ে দিয়ে দেয়ালের সাথে আমাকে ঠেকায়। পরে নিজের দু’হাত আমার দুপাশে দিয়ে আমাকে আটকে দেখে আমার দিকে ঝুঁকে আমার চোখে নিজের দৃষ্টি স্থির করে বলে উঠে…..

.
—” আমার ভালোবাসাটা কখনোই পৃথক ছিল। কাল যাহ ছিল আজই তাই আছে। শুধু আমার সময়টাই অবাধ্য ছিল। যার ফল প্রশ্রুত আজ এতো দ্বিধাহীনতা।

.
উনার এমন ঘুরপাক কথায় মূহুর্তেই রাগ উঠে যায় আমার। উনি সবসময় আমাকে একটা ঘুলাক ধাঁধায় আটকিয়ে রাখে যেখান থেকে আমি সহজেই বেড় হতে পারি না। আর এখনো উনি তাই করছে। আমি উনাকে রাগান্বিত ফেসে বলে উঠি….
.

—” আপনি সবসময় আমার সাথে ধাঁধা মূলক কথা বলেন কেন? আপনার ঘুরপাক কথার মানে আমি বুঝি না সেটা কি আপনি বুঝতে পারেন না!

.
আমার কথায় উনি আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমাকে ঘুরিয়ে নেই নিজের সাথে। আমার পিট উনার বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে আমার কাঁধের ওপর নিজের ঠোঁট বুলিয়ে সেখানটায় ঘাড়ভাবে হলুদ লেপ্টে দেয়। আমার পেট, পিঠ, গলা, ঘাড়, গাল, পা সম্পূণ জায়গায় উনার দেয়া হলুদের ছড়াছড়ি। আমাকে সম্পূর্ণ ভাবে হলুদ লেপ্টিয়ে দিয়ে নিজেও আমার সাথে একই ভাবে লেপ্টে যায়। দুইজনেই হলুদের মাখা মাখি হয়ে যায় ডুবু ভাবে। পরে আমার কমড় জরিয়ে ধরে রেখে উনার বাম হাতে পানি টেপ ছেড়ে দেয়। একই ঝর্ণার নিজের দু’জনেই ভিজতে থাকি একে অপরের সাথে লেপ্টে। উনি নিজের হাতে আমাকে হলুদ লাগিয়ে আবার উনি নিজেই আমাকে সেই হলুদ থেকে ছাড়িয়ে নেই গোসল করিয়ে দিয়ে। নিজের হাতে আমাকে গোসল করিয়ে দিয়ে পাশ থেকে টাওয়ালটা নিয়ে আমার গায়ে জরিয়ে দিতে দিতে বলে উঠে…….

.
—” হুমমম! তোমাকে আমার নামের হলুদ ও গোসল দুইটাই নিজের হাতে করিয়ে দিয়ে গেলাম। এখন ডেস চেঞ্জ করে একটা শাড়ী পরে নিচে যাও। নিচে স্টেজেও তোমাকে আমার নামে হলুদ লাগাবে সবাই।

.
উনার কথার পিষ্টে প্রশ্ন করে বলে উঠি…
.
—” আর আপনাকে কার নামের হলুদ লাগাবে সবাই?

.
আমার কথায় উনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় আমার দিকে। পরে নিজের একহাতে নিজের চুল গুলো হালকা হাতে ঝাড়তে ঝাড়তে বলে উঠে….

.
—” সেটা আপাতত তোমার না ভাবলেও চলবে! তোমাকে যেটা করতে বলেছি সেটা করো এখন।

.
উনার এমন দায় সারাভাব উত্তরে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি আমি। আমাকে উনি নিজের নামের হলুদ লাগিয়ে এখন যাবে সে অন্য নারীর নামে হলুদ লাগাতে। আর সেটা আমি মেনে নিব নাকি কখনোই না। তাই আমি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বলি……

.
—” অবশ্যই আমার দেখার দরকার আছে। আমি যদি অন্যের নামে হলুদ লাগাতে না পারি তাহলে আপনি অন্যের নামের হলুদ লাগাতে পারবেন না। আমি এটা মেনে নিব না।

.
একটা ভ্রুঁ উচু করে বলে উঠে…..
.
—” তাই! কিন্তু কেন?

.
উনার এমন প্রশ্নে মূহুর্তে চুপ করে যায় আমি। উনাকে বলার মতো কিছুই নাই আমার। উনাকে কি করে বুঝাবো আমার উনার পাশে কোনো মেয়েকেই পছন্দ নয়। নিজের কথা গুলো উনাকে বুঝাতে না পেরে জিদ্দি সুরের বলে উঠি……

.
—” কেন কোনো কারণ নেই। আমি বললাম আপনি লাগাবেন না ব্যাস।

.
আমার কথা উনি এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…..

.
—” হুমমম! চেঞ্জ করে বাহিরের যাও সবাই অপেক্ষা করছে তোমার।

.
কথা গুলো বলেই বাথরুমের দরজা খুলে বাহিরের যেতে নিবে আমি পিছন থেকে উচ্চ স্বরে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি…..

.
—” ভালোবাসেন আমাকে?

.
আমার এমন প্রশ্নে হঠাৎই থেমে যায় উনি। আমার দিকে না ঘুরে বাথরুমে দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বলে উঠে…..
.

—” যদি বলি হ্যাঁ। তাহলে কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

.
পাল্টা প্রশ্ন করে বলে উঠি……

—” তাহলে পৃপ্তী?

.
—” নামে কিসে আসে যায় আমার মানুষটা প্রয়োজন? আমার তুমি নামক মানুষটা চাই।

.
কথা গুলো বলেই উনি চলে যায় উনি নিজের আপন গন্তব্যে। যেভাবে এসেছিল সেই ভাবে চলে যায় পলকহীন ভাবে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি স্তব্ধ হয়ে। উনার সব কথা গুলো ছিল কিছু ইশারা মূলক যেটা আমার বুঝার স্বাদের বাহিরে

(কাল দেয়ার কথা থাকলেও দিতে পারিনি প্রথম রোজার কারণে)

.

.

.
চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here