#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________22
রনি আর আরিয়ান চা খেয়ে আবার আগের যায়গায় এসে বসলো ।
:+হ্যাঁ,,, এবার বাকি ইস্টুরি সুরু কর ।(রনি)
:+কোথায় যেন রেখে গিয়ে ছিলাম ।(আরিয়ান)
:+নীলা আর তৃপ্তি লিফটের ভিতরে,,,,,,,,,,,,।(রনি)
:+হইছে আর বলতে হবে না ।(আরিয়ান)
—————————————
লিফট এসে থামলো পাঁচ তলায় । কিন্তু তৃপ্তির সেদিকে কোন খেয়ালই নেই । সে নীলাকে ঝাপটে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে । নীলা তৃপ্তির এমন কান্ড দেখে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না । লিফট থামতেই নীলা তৃপ্তিকে বলে উঠলো ।
:+তৃপ্তি আমরা আমাদের ফ্ল্যাটে চলে এসছি । লিফটের দরজা খুলে গেছে । আমাদের নামতে হবে ।(নীলা)
নীলার কথা সুনে চোখ খুললো তৃপ্তি । দেখল সে নীলার গায়ের উপরে উঠে নীলাকে ঝাপটে জরিয়ে ধরে আছে । এটা দেখে তৃপ্তি তাড়াতাড়ি নীলাকে ছেরে উঠে দারালো । এরপর জলদি লিফটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসলো । নীলাও বসা থেকে উঠে লিফট থেকে বেরিয়ে আসে । নীলা লিফট থেকে বেরিয়ে আসতেই তৃপ্তি মাথা নিচু করে নীলাকে বললো ।
:+সরি,,,আপু,,,আসলে আমি এটার ভিতরে অনেক ভয় পাই । তাই,,,,,,,,,,,,,। (তৃপ্তি)
তৃপ্তিকে থামিয়ে নীলা বললো ।
:+হয়েছে আমি বুঝতে পারছি । এবার চলো ।(নীলা)
তৃপ্তি এসে নীলার বাম হাত ধরলো । নীলা তৃপ্তির দিকে ঘুরে তাকালো ।
:+হাত ধরছো কেন ।(নীলা)
:+আসলে আপু ,,,,,এটা আমার অভাস । আমি কোথাও গেলে আমার সাথে যে থাকবে । আমি তার হাত ধরে হাটি ।(তৃপ্তি)
:+ওহ । কিন্তু এটা তো রাস্তা বা বাহিরের কোন যায়গা না । এটা বাড়ি,,,, এখানে হাত না ধরেও হাটতে পারো ।(নীলা)
:+হুম । বাট তোমাদের ফ্ল্যাটে তো আমি আজ নতুন তাই না ।(তৃপ্তি)
নীলা একটু হেসে বললে উঠলো ।
:+তোমার পাকা কথা গুলো অনেক মন মুগ্ধ কর সুইটি ।(নীলা)
:+ সুইটি আবার কে আপু ।(তৃপ্তি)
:+সুইটি হচ্ছো তুমি । আজ থেকে আমি তোমাকে সুইটি বলে ডাকবো ।(নীলা)
:+না আমার নাম তৃপ্তি । আমাকে তৃপ্তি বলেই ডাকবে ।(তৃপ্তি)
:+না আমি তোমাকে সুইটি বলে ডাকবো । এবার চলো ।(নীলা)
এই বলে নীলা তৃপ্তিকে নিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে আসলো । এরপর নীলা তৃপ্তিকে নীলার আম্মুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল । এভাবে পুরো ফ্ল্যাটের সব কিছু তৃপ্তিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলো নীলা ।
★
:+যানিস সুমি মেয়েটা এতো ভালো না তোকে যে কি বলবো ।(নীলা)
:+বাহবা । নীলা তোর কিছু হলো না তো । তোর মুখে ওন্য কারো প্রসংসা সুনছি । এটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না ।(সুমি)
একবার নীলার দিকে তাকিয়ে আবার আলমারিতে নিজের জামা কাপড় গুছাতে গুছাতে বললো সুমি ।
:+আরে তুই চুপ করে শুন না । আমি গিয়েছিলাম ওঁর সাথে ফ্রেন্ডসিপ করে ওকে আমার মায়ায় ফেলতে । কিন্তু আমি উলটো ওর বাচ্চা বাচ্চা সভাবের মায়ায় পরে গেলাম ।(নীলা)
সুমি জামা কাপড় গুছানো বাদ দিয়ে নীলার কাছে এসে বেডের পাসে বসলো ।
:+তাই নাকি । তবে শোন মেয়েটা কিন্তু গ্রামের মেয়ে । এখানের সব কিছুর সাথে ও নতুন । ওর সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করিস না ।(সুমি)
:+ধুর,,,, আমি ওর সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করবো কেন । ও তো এখন আমার ফ্রেন্ড । আর ওকে কিছু করবো মানে । ওর গায়ে কেও যদি হাত দেয় না তার হাত আমি ছিরে ফেলবো ।(নীলা)
সুমি চোখ বড় বড় করে নীলার দিকে তাকালো । এরপর নীলার কপালে গালে নিজের হাতের উলটো পিঠ দিয়ে ছুয়ে দেখলো সুমি ।
:+নীলা সত্যি তোর কিছু হয়নি তো । আমার জন্য তো এতো কেয়ারিং দেখাস না তুই । একদিনে ওই মেয়ের প্রতি এতো কেয়ারিং হয়ে গেলি তুই ।(সুমি)
মুখটা মলিন করে বলে উঠলো সুমি । নীলা সুমিকে টান দিয়ে নিজের কাছে এনে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বললো ।
:+আমার বেস্টু’টা বুজি জেলাস ফিল করছে । তবে যাই বলিস সুমি মেয়েটা কিন্তু মাইন্ড ব্লো ইয়ং ।(নীলা)
:+সা*লি ছার আমারে বের হ আমার রুম থেকে ।(সুমি)
রাগে ফুসতে ফুঁসতে বলে উঠলো সুমি । নীলা সুমিকে আরো একটু শক্ত করে জরিয়ে ধরে । আরো রাগানোর জন্য বললো ।
:+আরে শুন না । মেয়েটা যখন আমার হাত ধরে বাচ্চাদের মতো হাটছিল না । তখন কত কিউট যে লাকছিল তোকে বুলে বুঝাতে পারবো না,,,,, সুমিইইই ।(নীলা)
:+সা*লি এবার তোরে খাইছি । নিজের মাথা যাদি না ফাটাতে চাস । তাহলে এখুনি আমার রুম থেকে বের হ ।(সুমি)
এই বলে নীলার থেকে জোর করে ছুটে কিছু একটা খুজতে লাগলো সুমি । পরিবেশ গরম দেখে নীলা দিলো এক ভৌ দৌড় । এক দৌড় হাসতে হাসতে সিরি বেয়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে চলে আসলো ।
————————————–
সময় চলছে সময়ের গতিতে ।
দিন চলছে দিনের গতিতে ।
রাত চলছে রাতের গতিতে ।
এভাবে পেরিয়ে গেল ১৫ দিন । তৃপ্তি আজ ঢাকা এসছে ১৫ দিন হয়ে গেছে । এই কয়দিনে নীলার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠে তৃপ্তির । কলেজ খুলতে আরো ৩/৪ দিন বাকি । নিদ্র বাসায় না থাকা কালিন সব সময় নীলার সাথে থাকে তৃপ্তি । এই নিয়ে আমেনা কিছু বলে না । নিদ্রকে ডিস্টার্ব করা ছেরে দিয়েছে নীলা । আর তৃপ্তির ফ্রেন্ড হিসেবে নীলাকে পেয়ে আমেনা অনেক খুশি । রাতে তৃপ্তির সাথে এখন আর আমেনা ঘুমায় না । তৃপ্তি একাই রাতে ঘুমায় । তবে সকাল ভোরে আমেনা এসে তৃপ্তিকে ঠিকই ডেকে নামাজ পড়ান । নিদ্রও এখন প্রতি দিন নামাজ পড়ে । তৃপ্তি লিফটে উঠতে এখন আর এতো একটা ভয় পায় না । নীলা আজও ছাদে উঠতে পারেনি । কারন নিদ্র ছাদের চাবি সব সময় নিজের সাথে করে নিয়ে যায় । তৃপ্তি অনেক বার ছাদের চাবি চেয়েছে নিদ্রর কাছে । কিন্তু নিদ্র দিবে দিবে বলে এখনো দেয়নি । বাইকের চাবির সাথে ছাদের চাবিটা ঝুলছে । চাবিটা খোলাও হয়নি আর তৃপ্তিকে দেয়াও হয়নি নিদ্রর । প্রতিদিন বিকেলে আমেনার ফোনে কল করে তৃপ্তির খোজ নেয় সালমা । তৃপ্তি কি করছে । কি খেয়েছে । কি পরছে সব খোজ নেন তিনি । তৃপ্তির সাথেও কথা বলেন সালমা ।
রাতে খাবার টেবিলে বসে আছে নিদ্র – তৃপ্তি – ফরহাদ – আর আমেনা ।
:+তৃপ্তি মামুনি তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো ।(ফরহাদ)
তৃপ্তি প্লেট থেকে মাথা তুলে ফরহাদের দিকে তাকায় । এরপর এক গাল হেসে বলে ।
:+না বড় আব্বু কোন সমস্যা হচ্ছে না । তবে,,,,,।(তৃপ্তি)
তবে বলে থেমে যায় তৃপ্তি । তৃপ্তির দিকে প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকায় ফরহাদ + আমেনা + নিদ্র ।
:+তবে কি মামুনি ।(ফরহাদ)
মাথা নিচু করে খাবার প্লেটের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+ভাইয়াকে কতো বার বলছি ছাদের চাবি’টা দিতে । কিন্তু ভাইয়া আমাকে ছাদের চাবি দিচ্ছে না ।(তৃপ্তি)
আমেনা নিদ্রর দিকে রাগি চোখে তাকায় । নিদ্র একটা সুকনো ঢোক গিলে । ফরহাদ নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+কিরে তুই মামুনিকে ছাদের চাবি দিচ্ছিস না কেন ।(ফরহাদ)
:+ও তো ছোট । ছাদে ওর কি কাজ । আর নীলা মেয়েটাকে নিয়ে ছাদে উঠার ধানদা করছে ও এটা আমি ভালো করেই বুঝি ।(নিদ্র)
তৃপ্তি প্লেট থেকে মাথা তুলে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+আমি এখন আর ছোট নই বুঝচ্ছো । আর নীলা আপুকে নিয়ে ছাদে উঠলে সমস্যা কি ।(তৃপ্তি)
:+ওই মেয়ে ছাদের ফুল গুলো ছিরে ফেলবে ।(নিদ্র)
:+না একটা ফুলও নীলা আপু ছিরবে না । উনি খুব ভালো । তুমি নীলা আপুকে নিয়ে এমন ভাবো । কিন্তু নীলা আপু এমন না । আর আমি থাকতে উনি ফুল ছিরবে কি করে ।(তৃপ্তি)
:+আমি যানি ও কেমন,,,,,,,,,,।(নিদ্র)
:+নিদ্র আর একটা কথাও না । খাবার শেষ হবার পর তুই তৃপ্তিকে ছাদের চাবি দিবি । ও কাকে নিয়ে ছাদে উঠবে আর কাকে নিয়ে উঠবে না, এটা ওর বেপার । মেয়েটা সারাখন বাসায় একা থাকে । তুই তো নিজের ফ্রেন্ডেদের সাথে ঘুরতে চলে যাস । খবর রাখিস মেয়েটা সারাখন কি করে । নীলা আছে বলে আমি এখন চিন্তা মুক্ত আছি । তুই খাবার শেষ হবার পরই ছাদের চাবি দিবি ওকে ।(আমেনা)
কঠিন গলায় বলে আমেনা ।
:+কিন্তু MOM,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।(নিদ্র)
:+আমি আর একটা কথাও শুনতে চাই না । তুই ছাদের চাবি দিবি মানে দিবি ।(আমেনা)
রাগি গলায় বলে উঠে আমেনা । নিদ্র একটু সময় নিয়ে কিছু ভেবে এরপর বললো ।
:+ঠিক আছে ।(নিদ্র)
তৃপ্তির মুখে হাসি ফুটে উঠে । নিদ্র তৃপ্তির দিকে একটু তাকিয়ে আবার নিজের খাওয়ায় মন দেয় । অতপর খাবার শেষ করে নিজের রুমে চলে আসে নিদ্র । ফরহাদও নিজের রুমে চলে যায় । আমেনা খাবার টেবিল ফ্রেশ করার কাজে লেগে পরেন । তৃপ্তি আমেনার সাথে কাজে হাত লাগাতে চেয়েছিল কিন্তু আমেনা ধমক দিয়ে তৃপ্তিকে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেন । সিরি বেয়ে উপরে উঠে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছে তৃপ্তি । অতপর রুমের সামনে এসে দারালো সে । তখনি তৃপ্তির মনে হল সে তো নিদ্রর থেকে ছাদের চাবি নেয়নি । মনে হতেই পিছনে ঘুরে নিদ্রর রুমের দরজা খুলে ভিতরে তাকালো তৃপ্তি । ভিতরে তাকিয়ে দেখে নিদ্র বেডের উপর সুয়ে সুয়ে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে । এটা দেখে তৃপ্তি আসতে আসতে নিদ্রর রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । এরপর নিদ্রর বেডর কাছে গিয়ে দারালো । বেডের কাছে গিয়ে দারাতেই নিদ্র তৃপ্তির ডান হাত ধরে হেঁচকা একটা টান দিয়ে নিজের উপরে ফেলে দিলো । তৃপ্তি মুখে,,,,,, আউচ,,,,,, এমন একটা শব্দ করে নিদ্রর গায়ের উপরে পরে গেল । নিদ্র তার এক হাত দিয়ে তৃপ্তিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ফোনে কথা বলতে লাগলো । আর তৃপ্তি নিদ্রর থেকে ছুটার ব্যের্থ চেস্টা করতে লাগলো । কিছু খন চেস্টা করার পর যখন ছুটতে পারলো না । তখন নিদ্রর বুকে থুতনি ঢেকিয়ে নিদ্রর মুখের দিকে এক দিষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তৃপ্তি । নিদ্রও তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলো । হঠাৎ তৃপ্তির মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি নারা চারা দিয়ে উঠে । সে তার এক হাত নিদ্রর ঠোঁটের কাছে নিয়ে গেল । নিদ্র ফোনের ওপাসে থাকা বেক্তিকে কিছু বলতে যাবে এমন সময় তৃপ্তি নিজের আংগুল দিয়ে নিদ্র নিচের ঠোঁটা একটু নারা দিয়ে দিলো । নিদ্রর কথা আটকে গেল । তৃপ্তি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো । ফোনের ওপাসে থাকা বেক্তি নিদ্রকে বললো ।
:+এই নিদ্র,,,, তোর সাথে মেয়ে মানুষ আওয়াজ । কাহিনি কি ।(রাহুল)
:+আমি তোর,,,,,,,,,।(নিদ্র)
এমন সময় তৃপ্তি আবারো নিদ্রর নিচের ঠোঁট নারা দিলো । নিদ্র কথা আবারও আটকে গেল । তৃপ্তি এবার উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । নিদ্র তাড়াতাড়ি কল কেটে দিলো । তৃপ্তি তখনও হাসছে । নিদ্র এক দৃষ্টিতে তৃপ্তির হাসি দেখছে । তৃপ্তির হাসি দেখে নিদ্রর মুখেও একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে । নিদ্র হাত থেকে ফোন সাইডে রেখে সেই হাত দিয়েও তৃপ্তিকে জরিয়ে নেয় । নিদ্রর কথা বলা থেমে গেছে দেখে তৃপ্তিও আসতে আসতে নিজের হাসি থামায় । নিদ্র এবার তৃপ্তিকে এরো একটু শক্ত করে জরিয়ে ধরে তৃপ্তির দু’চোখে চুমু যায় । হঠাৎ এমন হওয়ায় তৃপ্তি নিদ্র দিকে চোখ গরম করে তাকায় ।
:+এটা কি হলো ।(তৃপ্তি)
:+কি হলো ।(নিদ্র)
:+চুমু খেলে কেন ।(তৃপ্তি)
:+আমার মন চাইলো তাই ।(নিদ্র)
:+না,,,, মন চাইলেও এখন থেকে আর তুমি আমাকে চুমু দিতে পারবে না ।(তৃপ্তি)
:+কেন ।(নিদ্র)
:+কেন । মানে ,,,,,,,,,,,,,, তোমাকে কতো বার বলছি আমাকে ছাদের চাবি দেওয়ার জন্য । কিন্তু তুমি দিলে না । আমার একটা কথাও সুন না তুমি । আর ওই দিন কি বলছিলে যেন । ওহ হ্যাঁ মনে পরছে,,,,,,,, আমি ছাদের দিতিয় মালিক । তাহলে আমাকে ছাদের চাবি দাও না কেন । তাই এবার থেকে তুমি আর আমাকে চুমু দিতে পারবে না ।(তৃপ্তি)
কথা গুলো বলে তৃপ্তি নিদ্রর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো । নিদ্র তৃপ্তির দু’গালে হাত রেখে নিজের দিকে ঘোরালো আবার ।
:+আমার কিউটিটা বুঝি রাগ করছে । আরে বাবা ছাদের চাবি দিবো তো বলছি ।(নিদ্র)
:+তাহলে দাও । এতো বেসি কথা বলো কেন ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তির দু’গাল থেকে হাত সরিয়ে । বেডের সাথে থাকা টেবিল লাইটের পাস থেকে বাইকের চাবিটা হাতে নিলো । এরপর বাইকের চাবির পাস থেকে ছাদের চাবিটা খুললো । বাইকের চাবিটা আবার আগের যায়গায় রেখে তৃপ্তির সামনে ছাদের চাবিটা ধরলো নিদ্র । তৃপ্তি চাবিটা চট করে নিয়ে নিলো । নিদ্র আবার তৃপ্তির পিঠে দু’হাত রেখে তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরল ।
:+হেপি ।(নিদ্র)
তৃপ্তি খুশিতে ডগমগ করতে করতে বললো ।
:+হুম অনেক ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তির গলায় মুখ গুজে তৃপ্তির গায়ের গ্রান নিতে লাগলো । তৃপ্তি নিজের দু’চোখ বুঝে নেয় । কি হচ্ছে সে কিছু বুঝতে পারছে না । সুরসুরী লাগায় কারনে মোচড়াতে থাকে তৃপ্তি । নিদ্র আলতো করে তৃপ্তির গলায় দু’ঠোট চোয়ায় । কেপে উঠে তৃপ্তি । নিদ্র মাথার চুল খপ করে মুঠিতে আবদ্ধ করে তৃপ্তি ।
:+কি করছো ভাইয়া আমার সুরসুরি লাকছে ।(তৃপ্তি)
হঠাৎ তৃপ্তির কথায় বাস্তবে ফিরে নিদ্র । সে তৃপ্তির গলা থেকে মুখ সরিয়ে নিলো তাড়াতাড়ি । তৃপ্তি জোরে একটা নিশ্বাস ছারলো । একটুর জন্য যেন পুরো দম বন্ধ হয়ে গেছিল তৃপ্তির । নিদ্র তৃপ্তির কপালের সাথে নিজের কপাল ঠেকিয়ে বলে উঠলো ।
:+চলে যা ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা সুনে চোখ খুললে নিদ্রর দিকে তাকায় তৃপ্তি । দেখে নিদ্র দু’চোখ বুঝে তার কপালে কপাল ঠেকিয়ে আছে । তৃপ্তি কিছুটা অবাক হয়ে বললো ।
:+মানে ।(তৃপ্তি)
:+রুম থেকে চলে যা তাড়াতাড়ি ।(নিদ্র)
:+কেন,,,, আমার আরো কিছু কথা আছে তোমার সাথে ।(তৃপ্তি)
:+তুই এখন তাড়তাড়ি রুম থেকে চলে যা । আমার নিজেকে কন্ট্রোল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে ।(নিদ্র)
:+মানে,,,,, কি বলছো তুমি আমি কিছু বুঝতে পারছি না ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তিকে ছেরে এক পাসে সুয়িয়ে দিলো । এরপর নিদ্র সুয়া থেকে উঠে বসলো । তৃপ্তিও উঠে বসলো ।
:+কি হয়েছে তোমার ভাইয়া । শরীর খারাপ লাকছে ।(তৃপ্তি)
:+কিছু না । তুই এখন যা । গিয়ে ঘুমিয়ে পর । তোর যা কথা আছে আমি কাল সুনবো ।(নিদ্র)
:+আচ্ছা ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি বেড থেকে নেমে কিছুটা খুশি মনে নিজের রুমে চলে আসে । নিদ্র জোরে একটা নিশ্বাস ছারলো । এরপর ওয়াসরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে আবার রুমে এসে বেডের উপর সুয়ে ঘুমিয়ে পরলো ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
(।কপি করা নিষেধ।)
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]