তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________65

0
70

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________65

:+দেখ রাশেদ । রাত সারে ৯টা বেজে গেছে । আমি আর থাকতে পারবো না ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, রাশেদ সহ সবাই নিদ্রর দিকে তাকালো । সবাই আড্ডা দিচ্ছিল, তখনি নিদ্র কথা’টা বললো ।

:+আচ্ছা আর একটু বস । আমি রেস্টুরেন্টে খাবার অডার করছি, এখনি চলে আসবে ।(রাশেদ)

:+আরে ভাই, এতো হাই পাওয়ার হচ্ছিস কেন? সুমি তো আছে তৃপ্তির কাছে । তাহলে এতো টেনশন করার কি আছে ।(সাব্বির)

সাব্বিরের কথা শুনে, নিদ্র সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ওসব তুই বুঝবি না । তোরা যা করার তাড়াতাড়ি কর ।(নিদ্র)

:+এতো তাড়া কিসের । আজকে তো,,,,,,।(রাহুল)

রাহুল কথা’টা শেষ করতে পারলো না । তার আগে’ই সবাই রাহুলের দিকে চোখ গরম করে তাকালো । নিদ্র কিছু বুঝতে না পেরে সবার মুখের দিকে এক পলক তাকালো । এরপর রাহুলের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আজে তো,,, কি ? থেমে গেলি কেন?(নিদ্র)

:+আরে ও কিছু না । আজকে তো পার্টি দিচ্ছি, তাই বলতে চেয়েছিল, অনেক মজা করবো আজ । এই আর কি ।(রাশেদ)

নিদ্রর কথা শুনে, রাশেদ আমতা আমতা করে বললো । নিদ্র কিছুখন চুপ থেকে রাশেদকে বললো ।

:+এখানে দারিয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি গিয়ে রেস্টুরেন্টে থেকে সব আনার বেবস্থা কর ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, রাশেদ “এখনি যাচ্ছি” বলে ক্লাব থেকে বেরিয়ে গেল । বাকি সবাই আবার বিভিন্ন কথা জুড়ে আড্ডা জমিয়ে দিলো । খনিক বাদে দুই জন ওয়েটার সহ রাশেদ খাবার দাবার সব রেস্টুরেন্ট থেকে নিয়ে ক্লাবে আসলো । সব খাবার দাবারের জিনিস একটা টেবিলের উপর রেখে ওয়েটার’রা চলে গেল । রাশেদ সবাইকে ডেকে খাওয়া সুরু করতে বললো । ফ্রেশ হয়ে এসে সবাই খাওয়া সুরু করলো । খাবারের এক প্রর্যায় নিদ্রর মাথা কেমন ঝিম ধরে উঠলো । নিদ্র মাথা তুলে সবাই’র দিকে তাকালো । মাথা নিচু করে সবাই খাচ্ছে । যেই পানির বোতল থেকে নিদ্র পানি খেয়েছে, সেই পানির বোতলের মুখের কাছে নিদ্র নাক দিলো । বোতল থেকে হালকা কেমন একটা গন্ধ বেরিয়ে আসছে । নিদ্রর আর বুঝতে বাকি রইলো না, যে তাকে ড্রিংক(মদ) খায়িয়েছে সবাই । নিদ্র রাগে গজগজিয়ে বসা থেকে উঠে দারালো । খনিকে’ই দারানো থেকে ক্লাবের মেঝেতে পরে গেলো সে । নিজেকে যথা সম্ভব শক্ত করে আবার উঠে দারালো নিদ্র । এতোখনে সবাই বসা থেকে উঠে নিদ্রর পাসে এসে দারিয়ে গেছে । জেক পাস থেকে নিদ্রকে এক হাতে ধরে বলে উঠলো ।

:+সরি ইয়ার । তোকে না যনিয়ে এটার বেবস্থা করে ফেলেছি । আসলে তোর পানির বোতলে এটা মিশানো ছিল না । তুই ভুল করে আমার পানির বোতল থেকে সব পানি খেয়ে নিয়েছিস ।(জেক)

নিদ্র কিছু না বলে দাঁত কটমট করলো । রাহুল তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে এসে নিদ্রকে আরেক পাস দিয়ে ধরলো । রাহুল ধরছে দেখে, জেক নিদ্রকে ছেরে দিয়ে ক্লাবের বেসিং এ গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আসলো । এরপর নিদ্রকে আবার এক পাস থেকে ধরলো । রাশেদ দাঁত কটমট করে বলে উঠলো ।

:+তোর কোনো আক্কেল নেই জেক । ওর পাসে ওই বোতল’টা রাখার কি দরকার ছিল ।(রাশেদ)

:+আরে আমি কি যানতাম না-কি, ও আমার পাস থেকে বোতল নিয়ে পানি খাবে ।(জেক)

রাশেদের কথা শুনে, রাশেদের দিকে তাকিয়ে বললো জেক । নিদ্র কিছু’টা হাফিয়ে বললো ।

:+আমি বাড়ি যাবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, সাব্বির বললো ।

:+নে এবার ওকে বাড়িতে নিয়ে পৌঁছে দিয়ে আয় যা ।(সাব্বির)

এই বলে সাব্বির আবার খাওয়ার টেবিলে বসে খাবার খাওয়ায় মন দিল । জেক আর রাহুল নিদ্রকে ক্লাবের বেসিং এ নিয়ে আসলো । এরপর নিদ্রকে হাত মুখ ধুয়িয়ে আবার টেবিলের কাছে এনে বসালো । নিদ্র টেবিলের উপর থেকে একটা বোতল নিয়ে মুখের ওপর খানিক পানি ঢেলে দিলো ।

:+আরে আরে কি করছিস । ওটা নরমাল পানি না,,,,,,।(রাশেদ)

নিদ্র চোখ গরম করে রাশেদের দিকে তাকালো । রাশেদের যেন গলা শুকিয়ে গেছে । জেক টিসু দিয়ে হাত মুখ মুছে নিদ্রকে নিয়ে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসলো । জেকের সাথে রাহুলও বেরিয়ে আসলো । জেক বাইকর উপরে উঠে বললো । মাঝখানে নিদ্রকে বসালো । তার পিছনে রাহুল বসলো । নিদ্র হাতের বোতল’টা শক্ত করে ধরে আছে । বোতল’টার মুখ লাগানো । নাহলে এতোখনে ফস করে সব পানি বেরিয়ে যেত । বাড়ির সামনে এসে বাইক দার করালো জেক । রাহুল পিছন থেকে নেমে দারালো । এরপর নিদ্রকে নামালো ।

:+কিছু হবে না তো জেক । আমার কেন যেন ভয় করছে ।(রাহুল)

জেক বাইক থেকে নামতে নামতে বললো ।

:+কিছু হবে না । আংকেল আন্টি বাসায় নেই । এখন চল ওকে ভিতরে নিয়ে যাই ।(জেক)

:+আমি একাই যেতে পারবো এখন । তোরা চলে যা এবার ।(নিদ্র)

জেকর কথা শুনে, ঘোড় লাগানো কন্ঠে বললো নিদ্র । রাহুল নিদ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আরে ভাই তুই যেতে পারবি না । আমরা রুম প্রর্যন্ত দিয়ে আসি ।(রাহুল)

রাহুলের কথা শুনে, নিদ্র রাহুলকে নিজে থেকে ধাক্কা মেরে ছাড়িয়ে বললো ।

:+আমি যেতে পারবো বলছি না । তোরা এবার যা । আমি ঠিক আছি ।(নিদ্র)

:+ওকে ওকে,,, ঠিক আছে । আগে তুই বাড়ির ভিতরে যা তারপর আমরা চলে যাবো ।(জেক)

জেকের কথা শুনে, নিদ্র আর কিছু বললো না । হেলতে দুলতে বাড়ির দরজার কাছে এসে দারালো । কতোখন কলিং বেল বাজালো নিদ্র । কিন্তু কেও দরজা খুললো না । নিদ্র পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো । রাত প্রায় ১২টা ছুই ছুই । ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তৃপ্তির । ফোনের স্কিনে চোখ যেতে’ই ঘুম হারাম হয়ে গেল তৃপ্তির । তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে নিচে আসলো । এরপর দরজা খুলে দিলো । নিদ্র ফোন পকেটে পুরে হেলতে দুলতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো । তৃপ্তি অবাক দৃষ্টিতে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো । জেক দরজার কাছে এগিয়ে এসে তৃপ্তিকে বললো ।

:+আসলে ও ড্রিংক করে ফেলেছে । ভুল করে হয়ে গেছে এটা । একটু মেনেজ করে নাও ওকে । বাড়িতে টক যাতিয় কিছু থাকলে খায়িয়ে দিও ।(জেক)

:+ঠিক আছে ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

জেকের কথা শুনে, মাথা নিচু করে বললো তৃপ্তি । জেক আর রাহুল তৃপ্তির থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল । তৃপ্তি বাড়ির মেন দরজা লাগিয়ে পিছনে ফিরে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র এলো মেলো পা ফেলে হাটছে । তৃপ্তি দৌড়ে নিদ্রর কাছে আসলো । এরপর নিদ্রকে এক পাস থেকে ধরলো । নিদ্র এক পলক তাকালো তৃপ্তির দিকে । নেশা যেন আরো ঘিরে ধরছে নিদ্রকে । তৃপ্তি ধিরে ধিরে অনেক কষ্টে টেনে টুনে নিদ্রকে নিয়ে আসলো দোতলায় নিদ্রর রুমে । তৃপ্তির ছোট শরীর’টা, নিদ্রর এতো বড় শরীরের ভার টানতে হাফিয়ে উঠছে । বেডের উপর নিদ্রকে এনে বসালো তৃপ্তি । নিদ্র ধপাস করে শুয়ে পড়লো । তৃপ্তি জোরে জোরে কয়েক’টা নিশ্বাস ছারলো । এরপর নিদ্রর পা থেকে জুতো খুলে, নিদ্রর পা দু’টো বেডের উপরে তুলে দিলো । হাত থেকে বোতল’টা নিয়ে বেডের পাসে ছোট টেবিলে রেখে দিলো তৃপ্তি । নিদ্র পিট পিট চোখ করে তাকিয়ে আছে এক অপরুপার দিকে । এলোমেলো চুলে মাতাল মাতাল লাগছে মেয়ে’টাকে । টান মেরে তৃপ্তিকে বেডের উপর ফেলে দিলো নিদ্র । মাথার মধ্যে কি কাজ করছে নিদ্রর । সে নিজেও বুঝতে পারছে না । শক্ত করে তৃপ্তির নরম শরীর টাকে জাপ্টে জরিয়ে ধরলো নিদ্র । তৃপ্তি থমথমি খেয়ে ব্যথায় কুকিয়ে উঠলো । নিদ্রর থেকে ছুটার ব্যর্থ চেষ্টা করে তৃপ্তি বলে উঠলো ।

:+ভাইয়া ছারো,,, কি করছো । ব্যথা পাচ্ছি তো ।(তৃপ্তি)

কিন্তু তৃপ্তির কথা যেন নিদ্রর কানে গেল না । হঠাৎ তৃপ্তি অনুভব করলো নিদ্র অন্য ঘোড়ে মধ্যে চলে গেছে । নিদ্রর হাত দু’টো এলো মেলো ভাবে তার শরীরে বিচরন করছে । তৃপ্তি তাড়াতাড়ি নিজের হাত দু’টো নিদ্রর দু’গালে রেখে ফুফিয়ে বলে উঠলো ।

:+তোমাকে আমি এভাবে চাই না কলিজা । প্লিজ আমাকে ছেরে দাও । তোমাকে নিয়ে আমার অনেক সপ্ন । এই নেশার ঘোড়ে তোমাকে চাই না । আমি তোমাকে সেই রাতে চাই । যে রাতে দু’জন স্বামী স্ত্রী পবিত্র মিলনে লিপ্ত হয় । প্লিজ আমাকে এখন ছেরে দাও জান । হুসে ফিরে আসো । হুসে ফিরে আসো ।(তৃপ্তি)

নিদ্রর দু’গালে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিদ্রর মাথা’টা নাড়াতে নাড়াতে বললো তৃপ্তি । কিন্তু তৃপ্তির আকুতি যেন নিদ্রর কানে পৌঁছালো না । চট করে তৃপ্তির অধর জোরা নিজের অধর দ্বারা আবদ্ধ করে নেয় নিদ্র । তৃপ্তি ফুফিয়ে কেদে উঠে । এমন’টা চায়’নি সে ।

————————————————

গুট গুটে অন্ধকার রুমের এক কোনায় বিছার চাদড় গায়ে জরিয়ে বসে কেদে যাচ্ছে এক মানবি । শীতের শীতল ফ্লোরে বসে থরথর করে খনে খনে শরীর কেপে উঠছে তার । শরীরের বিভিন্ন যায়গায় হাত বুলিয়ে ফুফিয়ে কেদে যাচ্ছে সে । বেডের উপর শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আছে এক মানব ।

:+হে আল্লাহ,,। আর কয়’টা দিন পরে হলে হতো না । বড় আম্মু’রা দেশে ফিরে’ই তো আমাদের বিয়ে দিয়ে দিতো । কেন তুমি আমাকে এই দিন’টা দেখতে দিলে । আমার যে দম আটকে আসছে । মন চাচ্ছে এখনি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিজের জীবন দিয়ে দেই । এভাবে তো আমি তাকে চাই নি । স্বামী রুপে তাকে কাছে চেয়েছি । যার জন্য আমি তাকে নিজের থেকে দুরে দুরে রাখার চেষ্টা করছি এই কয়দিন । হ্যাঁ,,আমি মানছি আগে তাকে নিজের কাছে বেশি আসতে দিয়েছি । আর এর কারন হলো, সে যেন অন্য কারো প্রতি দুর্বল না হয় । কিন্তু যখন বড় আম্মু, বড় আব্বুর সাথে আমাদের বিয়ের বেপারে কথা বললো । তখন থেকে আমি তাকে দুরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি । আর আজ সেই দূর্ঘটনা’ই ঘটে গেল । কেন আমার সাথে এমন হলো ।(তৃপ্তি)

কথা গুলো বলে’ই ঠুকরে কেদে উঠলো তৃপ্তি । বেস্থ শহরের কোনো এক মরজিদে ভোরের আজান দিচ্ছে মলবি । আজানের সুর ধিরে গতিতে কানে এসে লাগছে তৃপ্তির ।

:+না আমি কাদছি কেন ? সে তো আর ইচ্ছে করে আমার সাথে এমন করেনি । নেশার কারনে এমন করেছে । কিন্তু মন যে মানছে না । কি করবো আমি এখন । আমার যে সব শেষ ।(তৃপ্তি)

ধিরে ধিরে বসা থেকে উঠার চেস্টা করছে তৃপ্তি । কিন্তু পা দু’টো যেন ভেঙে আসছে তার । হাতে ভর দিয়ে বসা থেকে উঠে দারালো তৃপ্তি । বিছানার চাদর’টা গায়ের উপর আরো ভালো ভাবে জরিয়ে নিলো । এরপর খুড়িয়ে বেডের কোনে এসে দারালো । বাহিরে থেকে একটু একটু আলো কাচের জানালা দিয়ে রুমের ভিতরে আসছে । সেই আলোয় তৃপ্তি ঘুমন্ত নিদ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় । উবু হয়ে শুয়ে আছে নিদ্র । মাথা’টা ডান পাসে কাত হয়ে আছে । পিঠের দিকে চোখ যেতে’ই বুকের ভিতর চিনচিন ব্যথা অনুভব করলো তৃপ্তি । স্পষ্ট নখের আঁচড় দেখা যাচ্ছে সারা পিঠে । দগদগ করছে নিদ্রর পিঠে আচঁড় গুলো । শত চেষ্টা করেও নিজেকে আজ রক্ষা করতে পারেনি তৃপ্তি । নিদ্রর গায়ের উপরে একটা কম্বল টেনে দিলো সে । এরপর ফ্লোর থেকে নিজের জামা কাপড় নিয়ে, খুড়িয়ে নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে আসলো । ওয়াসরুমের ভিতরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো তৃপ্তি । হাতের জামা কাপড় গুলো ওয়াসরুমের এক কোনায় ছুড়ে মারলো । শাওয়ার ছেরে দিয়ে তার নিচে দারিয়ে পড়লো । ঠান্ডা পানি গুলো বিছানার চাদরের উপর দিয়ে শরীরে পড়ায় কেপে উঠলো সে । ঘাড়ের পাসে কামড়ের যায়গা’টা জ্বলে উঠলো । ঠুকড়ে ফুফিয়ে কেদে উঠলো তৃপ্তি । বেশ অনেক’টা সময় শাওয়ার নিয়ে, গায়ে টাওয়াল জরিয়ে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসলো তৃপ্তি । এরপর কাবার্ড থেকে এক সেট থ্রি’ফিজ বের করে পড়ে নিলো । কিছু দিন আগে এই ফ্রি’ফিজের সেট আমেনা কিনে দিয়েছিল তৃপ্তিকে । জায়নামাজ বিছিয়ে তার উপর দারিয়ে পড়লো তৃপ্তি । চোখ দু’টো বাঁধ মানছে না । অঝরে পানি ঢালছে ।

———————————————–

সকাল সারে ৭টা বাজে…………
ঘুমের মধ্যে হঠাৎ তৃপ্তি অনুভব করলো কেও তাকে ডাকছে । ভোড়ে নামাজ পড়া শেষ করে নিদ্রর রুমে আবার গিয়েছিল তৃপ্তি । নিদ্রর পিঠে মলম লাগিয়ে নিজের রুমে ফিরে আসে আবার । এরপর বেডের উপর শুয়ে কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে মনে নেই । পিট পিট করে চোখ খুলে সামনে তাকালো তৃপ্তি । সুমিকে দেখে ঘুম’টা পাতলা হয়ে গেলো । শরীর’টা একটু নাড়াতে নিলে, তৃপ্তি বুঝতে পারলো তার শরীরের বেশ কয়েক যায়গায় ব্যথা করছে । মূহুর্তের মধ্যে মনে পড়ে গেল গতকাল রাতের সব কিছু ।

:+কিরে ঘুম থেকে উঠবি না আজ । গতকাল তো সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে পড়ে ছিলি ।(সুমি)

সুমির কথার উওরে তৃপ্তি কি বলবে বুঝতে পারছে না । শরীর’টাকে কম্বলের ভিতরে গুটিয়ে রেখে’ই তৃপ্তি বললো ।

:+আসলে আপু আজ উঠতে মন চাচ্ছে না । ঘুম একটু বেশি’ই হয়ে গেছে । তুমি মনে হয় অফিসে যাবে । অফিসের বেগ পত্র নিয়ে আসছো দেখছি ।(তৃপ্তি)

:+হুমমম,,অফিসে’ই যাচ্ছিলাম । কিন্তু নিচে তোকে না দেখে উপরে আসলাম । বুয়া বাহিরে দারিয়ে আছে । মেন দরজাতো লাগনো । ভাগ্য ভালো সিরির দরজা লাগাসনি । নাহলে তো আমি এসে এখন তোকে যাগাতে পারতাম না ।(সুমি)

তৃপ্তি ফেলফেল করে তাকিয়ে রইলো সুমির দিকে । সুমি থামতে’ই তৃপ্তি বললো ।

:+আপু তুমি একটু কষ্ট করে বাড়ির মেন দরজা’টা খুলে দাও । আর বুয়াকে বলে দিয়ো । রান্না ঘড়ে সব আছে । সকালের জন্য নাস্তা বানিয়ে নিতে । আমি একটু পড়ে আসছি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, সুমি আর কিছু বললো না । তার অফিসের লেট হয়ে যাবে ভেবে তাড়াতাড়ি তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । এরপর নিচে গিয়ে দরজা খুলে বুয়াকে সব বলে, সুমি নিজের অফিসের দিকে চলে গেল । এদিকে তৃপ্তি বালিশে মাথা ঠেকিয়ে টান টান হয়ে শুলো । এরপর চোখ দু’টো বুঝে নিলো । চোখের কোন বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো । হঠাৎ তৃপ্তির ফোন বেজে উঠলো । বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে গেল তৃপ্তির । চোখ খুলে ডান হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে ফোন হাতে নিলো সে । ফোনের স্কিনে জুই নাম ভেসে আছে । ভ্র-কুচকে গেল তৃপ্তির । এই মেয়ে এতো সকালে ফোন করেছে কেন ? তৃপ্তি বুঝতে পারছে না । কল রিসিভ করে কানে ধরলো তৃপ্তি ।

:+হ্যালো তৃপ্তি ।(জুই)

:+হুমমম বল ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি এমন শব্দ পেয়ে জুই বললো ।

:+এখনো ঘুমচ্ছিস ।(জুই)

:+হুম ঘুমচ্ছি । ভালো লাগছে না শোয়া থেকে উঠতে ।(তৃপ্তি)

:+আর শুয়ে থাকতে হবে না । আমি ১০টার দিকে তোদের বাসায় সামনে আসছি । তোকে নিয়ে একটু পার্কে যাবো ঘুরতে । তুই রেডি থাকিস ।(জুই)

জুই কথা শুনে তৃপ্তির কপাল কুচকে গেল । অসহায় ভাবে তৃপ্তি বললো ।

:+আমি কোথাও যেতে পারবো না জুই । বাসা থেকে আমাকে কোথাও যেতে দিবে না ।(তৃপ্তি)

:+আরে ইয়ার মাত্র এক ঘন্টার বেপার । প্লিজ দোস্ত না করিস না । তুই আমার সাথে গেলে অনেক উপকার হবে । বাসা থেকে তোর নাম বলে বেরোতে পারবো । তুই তো যানিস এখন আমাকে বাসা থেকে বেরোতেই দেয় না mom…। এখন তোর কথা বলে আমি বাসা থেকে একটু ঘুরতে বেরোবো । আর ঘুরার সময় যদি তোকে আমার সাথে আমার পরিচিত কেও না দেখে তাহলে কেলেংকারী হবে । আমাকে আর বাসা থেকে বেরোতেই দেবে না । আর তোর বড় আম্মু’রা তো সিঙ্গাপুর গেছে । তোর কোনো ভয় নেই আমি আছি । নিদ্র ভাইয়াকে একটু মেনেজ করে রেডি থাকিস । প্লিজ প্লিজ প্লিজ ।(জুই)

জুই এতো বড় বক্তব্যে তৃপ্তি কি বলবে বুঝতে পারছে না । মেয়ে’টা এমন করে রিকুয়েষ্ট করছে ফেলতেও পারছে না ।

:+আচ্ছা আমি দেখছি ।(তৃপ্তি)

:+দেখছি না, তোকে আমার সাথে যেতেই হবে ।(জুই)

:+ঠিক আছে বোইন আমি যাবো । তুই বাসার সামনে এসে আমাকে কল দিস ।(তৃপ্তি)

:+থ্যাংস দোস্ত । এখন রাখছি তাহলে । বায় । ১০টায় রেডি থাকিস ।(জুই)

এই বলে জুই খুশি হয়ে কল কেটে দিলো । তৃপ্তির সাথে জুইর প্রায় প্রতি দিনই কথা হয় । জোরে নিশ্বাস ছেরে কান থেকে ফোন সরালো তৃপ্তি । এরপর ধিরে ধিরে শোয়া থেকে উঠে বসলো । ব্যথার শরীর টাকে বেড থেকে নামিয়ে ওয়াসরুমে নিয়ে গেল । ফ্রেশ হওয়ার সময় ঘার থেকে জামা’টা একটু সরিয়ে দেখেছিল তৃপ্তি । দাঁত গুলোর দাগ লাল হয়ে আছে । মলম লাগিয়ে ছিল । হয় তো জামার মধ্যে’ই সব মলম লেগে মুছে গেছে । বিরক্তির নিশ্বাস ফেলে ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসলো তৃপ্তি । এরপর নিজ রুম থেকে বেরিয়ে নিদ্রর রুমের সামনে আসলো । মানুষ’টাকে এক নজর দেখার জন্য । হয়তো এখনো ঘুমিয়ে আছে । তৃপ্তির ভাবনা’ই সঠিক হলো । দরজা হলকা খুলে সামনে তাকিয়ে দেখলো, সেই আগের মতো’ই উবু হয়ে ঘুমিয়ে আছে নিদ্র । তৃপ্তি মাথা নিচু করে দরজা’টা ভেজিয়ে নিচে নেমে এলো । এরপর বুয়া কি করছে তা দেখার জন্য কিচেনে চলে গেল ।

——————————————–

সকাল ১০টা বাজার অল্প কিছু মিনিট বাকি………
তৃপ্তি মিষ্টি কালারের একটা বোরকা পড়ে নিয়েছে । সাথে মেচিং করা হিজার আর নিকাব । সকালের নাস্তা মুখে তুলতে রুচি হচ্ছিল না । একা একা কি খাওয়া যায় । নিদ্রকে ডাকতেও পারছে না । আসলে নিদ্রর কাছে’ই যেতে চাচ্ছে না তৃপ্তি । গা’টা কেমন গুলিয়ে উঠে । দুপুরের জন্য কি রান্না করতে হবে । বুয়াকে সব বুঝিয়ে দিয়েছে । ফোন হাতে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো তৃপ্তি । এরপর নিদ্রর রুমের দিকে উকি দিলো । না কোনো হেল দোল নেই । তবে এক কাত হয়েছে এবার । ঘুমে এখনো বিভোর । তৃপ্তির চোখ দু’টো ছলছল করে উঠে গত কালের রাতের কথা ভেবে । নিদ্রর রুমের দরজা’টা লাগিয়ে নিচে নেমে আসে তৃপ্তি । বুয়াকে বাহিরে যাচ্ছি বলে বাসা থেকে বের হলো । সে যতখন না আসবে ততখন যেন বাসা থেকে বের না হয় এাটও বলে দিয়েছে । তৃপ্তি বাসা থেকে বেরিয়ে গেটের কাছে আসতে’ই দারোয়ান তৃপ্তিকে দেখে বলে উঠলো ।

:+ম্যাডাম কোথায় যাচ্ছেন ।(দারোয়ান)

দারোয়ানের কথায় কপাল কুচকে যায় তৃপ্তির । এই লোক’টাকে কতো বার করে বলে তাকে ম্যাডাম না ডাকার জন্য । কিন্তু এই লোক কোনো কথা’ই শুনে না ।

:+একটু ঘুরতে যাবো চাচা । আপনি একটু বাড়ির দিক’টা খেয়াল রেখেন । একজন ফ্রেন্ড আসবে তার সাথে’ই যাবো ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা ম্যাডাম আপনি যান । আমি দেখে রাখবো ।(দারোয়ান)

এক গাল হেসে বলে দারোয়ান । তৃপ্তি খনিক খন দারিয়ে রইলো গেটের সামনে । কিছুখন পড়েই জুই তার বাবার গাড়ি নিয়ে আসে । তৃপ্তিকে গাড়িতে উঠে বসতে বললো জুই । তৃপ্তিও কোনো কথা ছারা উঠে বসলো সামনের সিটে । জুই গাড়ি ড্রাইভ করছে দেখে তৃপ্তি বেস অবাক হয় । কোতুহল যাগে তৃপ্তির মনে । জুই ড্রাইভ করছে । তৃপ্তি বলে উঠলো ।

:+তুই গাড়ি ড্রাইভ করতে পারিস । আমাকে তো কখনো বলিসনি ।(তৃপ্তি)

:+তুই আবার আমার কাছে জেদ ধরে বসবি গাড়ি চালানো শিখাতে । তাই বলি-নি । কিন্তু তুই শালি কম যাস না । ঠিক’ই বাইক আর গাড়ি চালানো শিখে ছেরেছিস ।(জুই)

জুইট কতা শুনে,,তৃপ্তি চোখ গোল গোল করে জুইর দিকে তাকালো । তৃপ্তি প্রশ্ন করলে এই উওর টাই দেবে, হয়তো আগেই ভেবে রেখেছিল । তৃপ্তি সামনে তাকিয়ে বললো ।

:+এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি ।(তৃপ্তি)

:+বেশি দুরে যাবো না । সামনেই একটা পার্ক আছে । ওখানে একটু ঘুরবো ফিরবো । ফুচকা খাবো । তারপর আবার চলে আসবো ।(জুই)

জুইর কথা শুনে, তৃপ্তি একটা নিরব নিশ্বাস ছাড়লো । কিছুখন পর জুই একটা পার্কের সামনে এসে গাড়ি দার করালো । দু’জনেই গাড়ি থেকে নেমে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলো । কিছু সময় নিঃশব্দে হাটা হাটি করলো দু’জন । সামনে একটা বেঞ্জ দেখে সেখানে এসে বসলো তৃপ্তি আর জুই । তাদের থেকে কিছু’টা সামনে ফুচকার দোকান । জুই গলা উচিয়ে ফুচকাওয়ালাকে দুই প্লেট ফুচকা দিতে বললো । তৃপ্তি তা শুনে মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।

:+আমি খাবো না জুই । তুই খেলে খা । আমার ভালো লাগছে না ।(তৃপ্তি)

:+কিহহহহ । কিন্তু তুই তো বলতি ফুচকা তোর ফেবারিট । তোরা তিনজন বেস্টফ্রেন্ড মিলে ফুচকা খাওয়ার চেলেঞ্জ করতি ।(জুই)

তৃপ্তির কথা শুনে, অবাক দৃষ্টিতে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো জুই । তৃপ্তি কিছু’টা হকচকিয়ে গেল জুইর কথা শুনে । তৃপ্তি নিজেকে যথা সম্ভব শক্ত রাখার চেষ্টা করছে ।

:+না,, আমাকে ওর সামনে এমন হলে চলবে না । আমি আগে ওর সাথে যেমন চলে আসছি এখনো চলতে হবে । নাহলে ও বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করবে ।(তৃপ্তি)

মনে মনে এই বলে তৃপ্তি মুখে বলে উঠলো ।

:+আসলে শরীর’টা ভালো লাগছে না রে । তুই খা আমি বসে থাকি ।(তৃপ্তি)

:+ এটা হয় না । আমি খাবো আর তুই বসে থাকবি । এক প্লেট খাবি এর বেশি না ।(জুই)

:+কিন্তু,,,,,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

:+চুপ,,, আর কোনো কথা না । এক প্লেট মানে এক প্লেট । আমিও এক প্লেট’ই খাবো ।(জুই)

তৃপ্তিকে থামিয়ে দিয়ে বললো জুই । তৃপ্তি আর কিছু বললো না । সুধু মাথা নাড়িয়ে সাই দিলো । জুই ফুচকাওয়ালাকে দুই প্লেট’ই দিতে বললো । ফুচকাওয়ালাও দুই প্লেট ফুচকা এনে তৃপ্তি আর জুইর হাতে দিলো । তৃপ্তি মুখের উপর থেকে নিকাব সরিয়ে খাওয়া সুরু করলো । একটা ফুচকা মুখে পুরে চিবিয়ে খেয়ে । দ্বিতীয় ফুচকা’টা হাতে নিতে’ই, একটু দুরে গাছের নিচে বসে থাকা একজোরা কাপলের দিকে চোখ গেল তৃপ্তির । ফুচকা’টা মুখে পুরে তৃপ্তি জুইকে উদ্দেশ্য করে বললো ।

:+আচ্ছা জুই । আমি তোকে একটা প্রশ্ন করবো,, আমার প্রশ্নের উওর দিতে পারবি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, জুই ফুচকা মুখে পুরে চিবিয়ে খেয়ে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কি প্রশ্ন ।(জুই)

তৃপ্তি জুই দিকে ঘুরে বসলো । এরপর কিছু’টা আমতা আমতা করে বললো ।

:+ধর একটা ছেলে, একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসে । কিন্তু হঠাৎ করে একদিন ছেলে’টা নেশা করে এসে মেয়ে’টার থেকে জোর করে শারীরিক চাহিদা মিটায় । অবশ্য ছেলেটা হুসে নেই তখন । মেয়ে’টা শত চেষ্টা করেও নিজের সতিত্ব রক্ষা করতে পারেনি । এখন আমার প্রশ্ন হলো । মেয়ে’টা এখন কি করে বুঝবে, ছেলে’টা তাকে রিয়েল লাভ করে ?(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, জুই প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়ে । এই মেয়ে হঠাৎ করে এটা যানতে চাইলো কেন । আর এখনি বা বললো কেন । পর খনে’ই জুইর আবার মনে হলো । না ওতো আর ছোট নয় । সাভাবিক এটা জিজ্ঞেস করতে’ই পারে । জুই ফুচকা মুখে পুরে হেসে দিয়ে বললো ।

:+আরে এটা তো সিম্পল ।(জুই)

:+সিম্পল । কিন্তু কিভাবে ।(তৃপ্তি)

জুইর কথা শুনে অবাক হয়ে বললো তৃপ্তি । জুই ফুচকার প্লেট’টা দু’জনের মাঝখানে রেখে বললো ।

:+আরে ইয়ার । ধর ওই ছেলে’টা না বুঝে’ই মেয়ে’টার সাথে জোর করে নেশার ঘড়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে । এখন যদি মেয়ে’টা বুঝতে চায় ছেলেটা তাকে রিয়েল লাভ করে কিনা, তাহলে মেয়ে’টার করনিয় হলো । ছেলে’টার নেশা কেটে যাওয়ার পর আবার ছেলেটার সামনে গিয়ে দারানো । এতে যদি ছেলে’টা সুস্থ থাকার পড়ও । মেয়েটার গায়ে অন্য রকম ভাবে হাত দেয় । মানে বুঝতে’ই পারছিস আমি কিসের কথা বলছি । ধুর কাকে কি বলছি । তুই তো এগুলোর কিছু’ই বুঝিস না । তবুও বলি শুন । যদি ছেলেটা সুস্থ হবার পড়ও মেয়েটার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় । তাহলে বুঝতে হবে । ওই ছেলে মেয়ে’টাকে কখনো ভালোবাসে নি । সুধু মেয়ে’টার শরীরকে ভালোবেসেছে । এসব ভালোবাসাকে আমি হেট করি । থু এসব ভালোবাস কপালে । আমার কাতারে যারা এমন ভাবে মেয়েদের মন নিয়ে খেলা করে তাদের শারীরিক চাহিদা মিটায় । তারা হলো ধর্ষক । তারা মেয়ে গুলোকে ধর্ষণ করছে ।(জুই)

কথা গুলো এক টানে বলে থামলো জুই । তৃপ্তি চুপচাপ শুনছিল কথা গুলো । প্রসংগ পাল্টাতে হবে । তৃপ্তির যা যানার ছিল সে যেনে গেছে । এখন কিছু একটা দিয়ে এই প্রসংগ পাল্টাতে হবে । তা নাহলে জুই এখন তাকে উল্টো প্রশ্ন করতে পারে । তৃপ্তি তাড়াতাড়ি জুইর প্লেট থেকে একটা ফুচকা মুখে পুরে নিলো । জুই চোখ গোল গোল করে তৃপ্তির দিকে তাকালো । এরপর দু’জনের মাঝখান থেকে নিজের প্লেট’টা হাতে নিয়ে বললো ।

:+ওরে শালি । আমারে কথার জালে ফাসাইয়া, আমার ফুচকার প্লেট খালি করার ধান্দা । আমি বুঝে গেছি । যা সর ।(জুই)

এই বলে জুই অন্য দিকে ঘুরে ফুচকা খাওয়া সুরু করলো । সে আর তার পিছনের মেয়েটির মুচকি হাসি দেখলো না । তৃপ্তি হেসে একটা ফুচকা হাতে নিয়ে মুখে পুরে নিলো । আজ সে জুই যা বলেছে । সেটাই ট্রাই করবে । যদি নিদ্র তাকে সত্যি ভালোবেসে থাকে । তাহলে সুস্থ হয়ে নিদ্র তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করবে না । আর যদি সুস্থ হয়েও তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে । তাহলে তৃপ্তি চলে যাবে নিদ্রর লাইফ থেকে । নিদ্রর লাইফের সাথে সে তার নিজের লাইফ যড়াবে না । যা হওয়ার তাতো হয়েছে । বাকিটা আর নষ্ট করবে না তৃপ্তি ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here