তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________64

0
76

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________64

বেলা ৪টা বাজে…….
লিয়া দেশ ছেরেছে আজ প্রায় এক সাপ্তাহ হয়ে গেছে । আমেনা নিজের লাগেজে কয়েক’টা শাড়ী পুরে নিচ্ছেন । ফরহাদের-ও কিছু শার্ট পেন্ট নিয়ে নিয়েছেন । প্রায় ২০ দিনের জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন আমেনা আর ফরহাদ । ডক্টর দেখানোর জন্য । ইদানীং আমেনার শরীর’টা ভালো যাচ্ছে না । তার উপর ফরহাদ কাজ কাজ করে নিজের শরীরের দিকে নজর দিচ্ছে না । তাই আমেনা সিদ্ধান্ত নেয়, কিছুদিনের জন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসতে । নিদ্র তা শুনে সোজা বলে দিয়েছে । সিঙ্গাপুরের কথা । আমেনার ডক্টরও দেখানো হলো । আর ঘুরা ফেরাও হলো । রুমের মধ্যে দরজার এক পাসে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে তৃপ্তি । আমেনা গোট গোট করে তৃপ্তিকে বলছেন ।

:+একদম দুষ্টুমি করবি না । নিজের মতো খাবি, দাবি, চলবি, ফিরবি । সকালে বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যাবে । দুপুরে সুন্দর মতো খেয়ে দেয়ে ঘুমোবি । নিদ্রকে রাগানোর মতো কোনো কাজ করবি না । এই ২০ দিন কোনো মতে ওর থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করবি । আমরা এখন কাছে নেই । কোনো দূর্ঘটনা ঘেটে যাবে ও রেগে গেলে । আমি কি বলছি বুঝতে পারছিস ।(আমেনা)

শেষের কথা লাগেজের চেন আটকে তৃপ্তির দিকে ফিরে বললো আমেনা । তৃপ্তি মাথা নিচু রেখে’ই মুখে হুম আওয়াজ করলো । আমেনা তৃপ্তির সামনে এসে দারালেন । তৃপ্তির মুখ’টা একটু খানি হয়ে আছে । আমেনা তৃপ্তির মুখ’টা নিজের দিকে তুলে বললেন ।

:+কি হয়েছে ।(আমেনা)

:+আমার কেমন যেন ভয় করছে । ভাইয়া সারাদিন বাসার বাহিরে থাকে । আর আমি একা, এই এতো বড় বাসায় কি করে থাকবো ।(তৃপ্তি)

:+আমি নিদ্রকে বলে দেব । যাতে বাসা থেকে বেশি বের না হয় । আর সুমি তো আছে’ই । দরকার হলে ওর কাছে গিয়ে সময় কাটাবি ।(আমেনা)

আমেনার কথা শুনে, তৃপ্তি ঠোঁট উল্টে বললো ।

:+সুমি আপু-ও তো তার কাজে সেই সকালে বেরিয়ে যায় বাসা থেকে । আর ফেরে বিকেল ৫টায় ।(তৃপ্তি)

আমেনা তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ।

:+আচ্ছা,,,,আমি কিছু বলছি মন দিয়ে শোন ।(আমেনা)

:+হুম বলো ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি আগ্রহ নিয়ে উৎকন্ঠিত হয়ে বললো । আমেনা তৃপ্তির কাধে হাত রেখে বললেন ।

:+যখন নিদ্র বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে । তখন সোজা বাসার মেন দরজা লাগিয়ে দিবি । এরপর নিজের রুমের গিয়ে দরজা লাগিয়ে রুমে থাকবি । নিদ্র যখন আবার বাসায় ফিরবে তখন তোকে কল করবে । তখন তুই আবার নিচে এসে দরজা খুলে দিবি । আমি তোকে একা রেখে যেতে চাই না । কিন্তু এখন হুট করে হয়ে গেছে সব । তাই রেখে যাচ্ছি । নাহলে তোকে গ্রামে পাঠিয়ে দিতাম ।(আমেনা)

:+আচ্ছা,,, ঠিক আছে বড় আম্মু । তুমি টেনশন করো না । তুমি যেভাবে বলেছো । আমি সে ভাবে’ই চলবো ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি আমেনার হাত ধরে বললো । আমেনা তৃপ্তির কথা শুনে, কপালে ঠোঁট জোড়া ছুয়িয়ে দিয়ে বললেন ।

:+এই তো গুড । তাহলে এবার চল । আমাদের বিদায় দিয়ে আসবি ।(আমেনা)

তৃপ্তি আর কথা বারালো না । আমেনা লাগেজ নিয়ে নিচে নেমে এলেন । ফরহাদ আর নিদ্র গারির কাছে দারিয়ে ছিল । আমেনা গাড়িতে উঠে বসলেন । তৃপ্তি আস্তে করে আমেনার পাসে বসে পড়লো । ফরহাদ সামনের সিটে বসলো । আর নিদ্র ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি ড্রাইভ করছে । গাড়ির মধ্যে আমেনা তৃপ্তিকে আরো কিছু কথা বলে দিলেন । সাবধানের সাথে চলা ফেরা করতে বলেছেন । এয়ারপোর্টে এসে গাড়ি পার্ক করলো নিদ্র । গাড়ি থেকে নেমে আমেনা নিদ্রকে বললেন ।

:+যেভাবে যেভাবে বলেছি । সেভাবে সেভাবে চলবি । একদম দেরি করে বাসায় ফিরবি না । মেয়ে’টা একা বাসায় । মাথায় যেন এটা সব সময় থাকে ।(আমেনা)

আমেনার কথা শুনে, নিদ্র সুধু মাথা নাড়ালো । আমেনা তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়া দিয়ে এয়ারপোর্টের ভিতরে চলে গেলেন । আমেনার পিছু পিছু ফরহাদ-ও নিদ্র আর তৃপ্তির থেকে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টের ভিতরে চলে গেল ।

:+আর তাকিয়ে থেকে লাভ নেই । গাড়িতে উঠে বসে পড় এবার ।(নিদ্র)

তৃপ্তি মুখ ভেঙচি কেটে গাড়িতে উঠে বসলো । নিদ্র জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে ড্রাইভিং সিটে উঠে বসলো ।

———————————————-

রাত প্রায় ১০টা বাজে…………..
তৃপ্তি নিজ রুমে সুমির সাথে বসে কথা বলছে । সুমি তার অফিসের কলিংদের সাথে কাটানো আজকের মজার কথা শুনাচ্ছে তৃপ্তিকে । দু’জনে’ই হে হে করে হাসছে । এর’ই মধ্যে নীলা কল করে যোগ দিল তাদের সাথে । সুমি কল রিসিভ করে কথা বললো কিছুখন । তৃপ্তিও খানিক খন কথা বললো । এরপর আবার আড্ডা জমিয়ে দিলো । নীলা ফোনের অপর পাস থেকে তৃপ্তি আর সুমির কথা শুনে হাসছে । প্রায় বেশ কিছু সময় কাটানোর পর, হঠাৎ নিদ্র তৃপ্তির রুমে আসলো । তৃপ্তি আর সুমি নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে সুমিকে বললো ।

:+রাত অনেক হয়েছে সুমি । এবার তোমার ফ্ল্যাটে যাও ।(নিদ্র)

নিদ্র কথা শুনে, সুমি তৃপ্তির দিকে ফিরে বললো ।

:+আসি তৃপ্তি । কাল দেখা হবে । আগামী কাল আমার পুরো দিন ছুটি ।(সুমি)

:+ঠিক আছে আপু ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির সাথে কথা শেষ করে চলে গেল সুমি । নিদ্রও তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো ।

:+নিচে গিয়ে খাবার রেডি কর । প্রচুর খিদে পেয়েছে।(নিদ্র)

:+আমি একা যেতে পারবো না । আমার ভয় করে ।(তৃপ্তি)

নিদ্রর কথা শুনে, চট করে বললো তৃপ্তি । নিদ্র হাটা থামিয়ে দিলো । এরপর পিছনে ঘুরে তৃপ্তির দিকে তাকালো । তৃপ্তি মাথা চুলকে মেঝেতে তাকিয়ে আছে । নিদ্র বিরক্তি নিয়ে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে গেল । তৃপ্তি মুখ ভেঙচি কেটে ফোন হাতে নিয়ে গেম খেলা সুরু করলো । কিছুখন পর নিদ্র ফ্রেশ হয়ে এসে দারালো তৃপ্তির রুমের দরজার সামনে । এরপর তৃপ্তিকে ডেকে নিচে যাওয়ার জন্য পা বারালো । তৃপ্তিও আর বসে না থেকে নিদ্রর পিছু পিছু নিচে নেমে এলো । ডাইনিং টেবিলে বসে আছে নিদ্র । তৃপ্তি কিচেন থেকে প্লেটে খাবার বেরে নিয়ে আসলো । নিদ্রর সামনে প্লেট’টা রাখতে’ই, নিদ্র তৃপ্তিকে টান মেরে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো । আচমকা এমন হওয়ায় তৃপ্তি থমথমি খেয়ে কেপে উঠলো । নিদ্রর দিকে প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+এটা কি হচ্ছে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্র দুই দিকে মাথা নাড়ালো । “মানে কিছু না” । তৃপ্তি বিরক্তি কর মুখ নিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো ।

:+তাহলে এভাবে আমাকে চিপকে ধরছো কেন । ছারো,, আমার খিদে পেয়েছে । আমার প্লেট টাও নিয়ে আসি ।(তৃপ্তি)

:+তুই পড়ে খাবি । এখন আমাকে খাইয়ে দে ।(নিদ্র)

তৃপ্তির কথা শুনে নিদ্র বললো । তৃপ্তি চোখ গোল গোল করে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+মানে,,,,। তোমার হাতে কি হয়েছে । আমি খাইয়ে দেব কেন তোমাকে ।(তৃপ্তি)

:+হাত ব্যথা করছে ।(নিদ্র)

:+দেখো আমাকে ছারো । আমি খাইয়ে দেবো তোমাকে । আমার কেমন যেন লাগছে । বড় আম্মু বলেছে গেছে তোমার থেকে এই ২০ দিন দুরে দুরে থাকতে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা শুনে, কপাল কুঁচকে তাকালো নিদ্র । তৃপ্তি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে, নিদ্রর হাত নিজের কোমড় থেকে ছারালো । এরপর কোল থেকে নেমে দারিয়ে, নিদ্রর প্লেটের ভাত মেখে এক লোকমা নিদ্রর মুখের সামনে ধরলো । নিদ্র তৃপ্তির মুখের দিকে তাকিয়ে’ই হাত থেকে ভাত মুখে পুরে নিলো । তৃপ্তি কেয়েক লোকমা নিদ্রকে খায়িয়ে দেওয়ার পর নিদ্র বললো ।

:+হয়েছে আমি খেতে পারবো । তুই নিজের প্লেট নিয়ে আয় ।(নিদ্র)

তৃপ্তি আর কথা বারালো না । সে নিদ্রর প্লেট’টা টেবিলের উপর রেখে কিচনের দিকে চলে গেল । নিদ্র খানিক খন তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো । ডাইনিং টেবিল থেকে কিচেনের ভিতর’টা স্পষ্ট দেখা যায় । মেয়ে’টাকে বুঝে উঠতে পারছে না নিদ্র । তবে এটা বেশ বুঝতে পারছে তৃপ্তির মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে । আগে নিদ্র জরিয়ে ধরলে চুপচাপ থাকতো । কিন্তু এখন ছুটে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে । কিছু বুঝতে পারছে না নিদ্র । খাওয়ায় মন দিলো সে । তৃপ্তিও নিজের প্লেট এনে খাওয়ায় মন দিলো । কোনো কথা বলছে না তৃপ্তি । চুপচাপ মাথা নিচু করে খেয়ে যাচ্ছে । নিদ্র আরচোখে তৃপ্তিকে দেখছে । খাওয়া দাওয়া শেষে তৃপ্তি সব গুছিয়ে রেখে নিজের রুমে এসে ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিলো । এরপর ঠোঁট কামড়ে হাসতে হাসতে বেডের উপর গিয়ে শুয়ে পড়লো । এদিকে নিদ্র কিছু বুঝতে না পেরে নিজ রুমে গিয়ে সেও দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো ।

————————————————

সকাল ১১টা বাজে……………
বুয়া রান্না করবে বলছে । কিন্তু তৃপ্তি দিচ্ছি না বুয়াকে রান্না করতে । সে আজ নিজে রান্না করবে বলে জেদ ধরছে । বুয়াকে কাজে সাহায্য করতে বলছে তৃপ্তি । সুমিও তৃপ্তির সাথে তাল মিলাচ্ছে । আজ অফিস ছুটি থাকায় তৃপ্তির সাথে আছে সুমি । বুয়া উপায় না পেয়ে, কিভাবে কি করতে হবে বলে দিচ্ছে । তৃপ্তি সব শুনে শুনে রান্না করছে । সুমি পাস থেকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৃপ্তিকে হেল্প করছে । যদিও আগে থেকে তৃপ্তির একটু আদটু রান্নার কাজ যানা ছিল । গ্রামে সালমার সাথে রান্নার কাজে হেল্প করার সময় শিখে নিয়েছে তৃপ্তি । তবে কখনো পুরো পুরি রান্না করা হয়নি । নিদ্র সকালে’ই নাস্তা খেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসছে ক্লাবে । ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করে নিদ্র দেখলো রাশেদকে ঘিরে বসে আছে সাবাই ।

:+কিরে, ওকে ঘিরে বসে আছিস কেন তোরা ।(নিদ্র)

নিদ্রর গলার আওয়াজ পেয়ে সবাই নিদ্রর দিকে তাকালো । জেক হো হো করে হেসে উঠে বললো ।

:+আয়, এখানে বস । শুন এই রাশেদ কি কাজ করেছে ।(জেক)

:+কি করেছে ।(নিদ্র)

বলতে বলতে একটা চেয়ার টেনে বসলো নিদ্র । সাব্বির, রাশেদের মাথায় গাঁট্টা মেরে বললো ।

:+এই সালা একটা মেয়ের জন্য নিজের হাত কেটে ফেলছে দেখ ।(সাব্বির)

:+মানে,,,,।(নিদ্র)

কথা’টা বলে রাশেদের হাতের দিকে তাকালো নিদ্র । বাম হাতের কবজির উপরে বেন্ডেজ রাশেদের । সুজন পাস থেকে বলে উঠলো ।

:+এই সালা নিজের খালা তো বোনকে ভালোবাসে । ওই মাইয়ার যেই তেজ রে ভাই । মাইয়া তো রিলেশনে যাবে না,, মানে যাবে’ই না । এই সালা কাইন্দা, হাত মাত কাইটা ওই মাইয়ারে আজ রাজি কারাইছে ।(সুজন)

সুজনের কথা বলার ভঙ্গি দেখে সবাই হো হো করে হেসে উঠলো । রাশেদ অসহায় মুখ করে সুজনের দিকে তাকালো । নিদ্র রাশেদকে হাল্কা করে ধাক্কা মেরে বললো ।

:+আমাদের ট্রিড কৈ রে হারামি ।(নিদ্র)

:+ভালো কথা বলছিস । তোর জন্য’ই বসে ছিলাম । ওই রাশেদ এবার বল ট্রিড কখন দিবি । এতোখন তো বলছিলি নিদ্র আসলে তারপর বলবি । এবার বল ।(রাহুল)

রাহুলের কথা শুনে রাশেদ বললো ।

:+আজ রাতে হবে ক্লাবের মধ্যে ।(রাশেদ)

রাশেদের কথা শুনে, নিদ্র ভাবনার মাঝে পড়ে গেল । সবাই নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো ।

:+কিন্তু রাতে তো আমি থাকতে পাড়বো না । কিউটি একা বাসায় । তোরা তো যানিস MOM..আর পাপ সিঙ্গাপুর গেছে ।(নিদ্র)

:+আরে ভাই লেট করবো না । ১০টার আগে’ই সব কিছু শেষ করে ফেলবো ।(রাশেদ)

নিদ্রর কথা শুনে রাশেদ বললো । নিদ্র হেসে উঠে বললো ।

:+তাহলে সমস্যা নেই ।(নিদ্র)

এভাবে বিভিন্ন ধরনের কথা জুরে দিলো সবাই । আড্ডা জমিয়ে উঠলো ক্লাবের মধ্যে । দুপুরের দিকে বাসায় ফিরে আসলো নিদ্র । শাওয়ার নিয়ে, ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলো । ডাইনিং টেবিলে বসে অবাক হলো নিদ্র । কারন আজ সুমিও ডাইনিং টেবিলে বসা । তৃপ্তি নিদ্রর প্লেটে বিরিয়ানি তুলে দিলো । এরপর সবজি আর সালাত দিয়ে প্লেট’টা সাজিয়ে নিদ্রর সামনে দিলো । নিদ্র চোখ বুঝে জোরে একটা শ্বাস নিলো । বিরিয়ানির ঘ্রাণ বেশ ভালো’ই বেরিয়েছে । নিদ্র চোখ খুলে একটু সবজি নিয়ে বিরিয়ানি মুখে পুরলো । একটু চিবিয়ে ঢোক গিলো নিদ্র । তৃপ্তি আর সুমি উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । টেনশনে ঘাম ছুটে গেছে তৃপ্তি আর সুমির । যদিও সুমি আগে’ই একটু খেয়ে টেস্ট করে নিয়েছে । বেশ ভালো’ই হয়েছে বিরিয়ানি আর সবজি’টা । তবও নিদ্র কি বলে এজন্য অপেক্ষা । নিদ্রর থেকে উওর না পেয়ে তৃপ্তি রিনরিনিয়ে বললো ।

:+কেমন হয়েছে ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

নিদ্র ঘড় থেকে বেরিয়ে আসলো । এরপর আবার বিরিয়ানি সবজি সহ মুখে পুরে বললো ।

:+হুম,,ভালো । কে রান্না করেছে ।(নিদ্র)

নিদ্র আবার বিরিয়ানি মুখে পুরেছে দেখে তৃপ্তি খুশিতে গজগজিয়ে উঠলো । সে বুঝে গেল নিদ্রর কাছে বিরিয়ানি ভালো লেগেছে । তৃপ্তি খুশিতে লাফিয়ে উঠে বললো ।

:+বিরিয়ানি’টা আমি রান্না করেছি । আর সবজি’টা সুমি আপু বানিয়েছে । ওই বুয়া আছে না । উনি একটু আদটু দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের ।(তৃপ্তি)

নিদ্র আরেক লোকমা মুখে পুরতে নিচ্ছিল । তৃপ্তির কথা শুনে, তৃপ্তির দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো নিদ্র । তৃপ্তি রান্না করেছে নিদ্র ভেবে’ই পাচ্ছে না । তৃপ্তির কথায় ঘড় কাটলো নিদ্রর ।

:+সুমি আপু । তুমিও বসে পড়ো, আমি বেরে দিচ্ছি ।(তৃপ্তি)

:+তুমিও বসো । এক সাথে খাবো ।(সুমি)

সুমির কথা শুনে, তৃপ্তি আচ্ছা বললো । এরপর দু’টা প্লেটে বিরিয়ানি আর সবজি, সালাত নিয়ে সাজিয়ে নিলো তৃপ্তি । এদিকে নিদ্র চুপচাপ এক মনে খেয়ে যাচ্ছে । তৃপ্তি নিদ্রর প্লেটের দিকে একবার তাকিয়ে আবার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ভাইয়া আর একটু দেবো ।(তৃপ্তি)

নিদ্র প্লেট থেকে মাতা তুলে তৃপ্তির দিকে তাকালো । খাবার চিবতে চিবতে বললো ।

:+দিবি,, দে ।(নিদ্র)

বলে’ই আবার প্লেটের দিকে তাকালো নিদ্র । তৃপ্তি হেসে ফেললো । সুমিও ঠোঁট টিপে হাসলো । তৃপ্তির এটা ফাস্ট রান্না । যদিও আগে রান্না ঘরে গিয়েছিল । তবে একটু আদটু নাড়া চাড়া দিয়েছে । কখনো ফুললি রান্না করেনি । এবার’ই তৃপ্তির ফাস্ট রান্না । নিদ্রর প্লেটে আরো একটু বিরিয়ানি দিয়ে, সুমির আর তৃপ্তি নিজেদের প্লেট নিয়ে বসে পড়লো । দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সব গুছিয়ে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো তৃপ্তি । প্রিয় মানুষটির থেকে প্রশংসা শুনার ফিলিংটা’ই অন্যরকম ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here