#Addicted_love
Part:৪৮ (২য় খন্ড)
Aarizona Ella
উহহহহহম্মম্মম্ম😭😭
এলার মুখ এমন ভাবে চেপে ধরেছে ইশফাক সে নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারছে।
বল তুই কিভাবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিস?(ইশফাক)
উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম।😭
ইশফাকের বাচ্চা মুখে হাত দিয়ে চেপে রেখেছিস কিভাবে কথা বলবো বেক্কল ব্যাটা।মনে মনে বলছে এলা।
কিছুক্ষন পর ইশফাক এলার ছোয়ায় অনুভব করলো যা ই হোক এটা কোন পুরুষ না।
চমকে গেলো সে।কারন এলার শরীর থেকে খুব সুন্দর ঘ্রান আসছে,,আর এই ঘ্রান টা খুব চেনা লাগছে ইশফাকের কাছে।ঘোর এ পরে যাচ্ছে ইশফাক কারন এটা কোন অচেনা মানুষ এর ছোয়া লাগছে না তার কাছে,,ঘ্রান টা আগেও অনুভব করেছে ইশফাক।
এলার গোংগানি আর হাত পা ছোড়াছোড়ি তে ঘোর কাটলো ইশফাকের।
তুই একটা মেয়ে,,,মেয়ে হয়ে চুরি করিস লজ্জা করে না তোর,, ইশফাক এখনো মুখ চেপে রেখেছে এলার।
ইশফাকের চিল্লানিতে বেরিয়ে এলো আদিয়ান,,আর কএকজন সার্ভেন্ট।গোটা ঘরের ও বাতি জ্বলে উঠলো।
আজকে আমি শেষ ভ্রু কুচকে চোখ মুখ বন্ধ করে রেখেছে এলা।
আমার মুখ চেপে ধরা অবস্তায় মুরগীর বাচ্চার মতো হেচরে হেচরে টেনে নিয়ে আদিয়ান এর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ইশফাক।
ইশফাকের বাচ্চা টানছিস তো টান কিন্তু মুখ থেকে হাত সরাচ্ছিস না কেন হারামজাদা😭😭দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার।মনে মনে।
কি হয়েছে টা কি?কে এটা? চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলো আদিয়ান।
আজকে একটা চোর ধরেছি আদিয়ান,তোর বাড়িতে চুরি করতে এসেছে,মারতে যাবো এমন সময় বুঝলাম এটা মেয়ে,,নাহলে এতক্ষণে মেরে হাড়গুড় গুড়ি করে একটা ঘামাচি পাউডারের ফ্যাক্টরি দিতাম😤(ইশফাক)
উহুম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম।এলা এদিক ওদিক মাথা ঝাকিয়ে আদিয়ান কে ইশারা তে বুঝানোর চেষ্টা করছে যে সে চোর না।
আদিয়ান আতংকিত হয়ে হাব্লুর মতো তাকিয়ে আছে এলার দিকে।কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না সে।কারন এলার গোটা শরীর ময়দা সিয়ে সাজানো।
একে কি করা যাই আদিয়ান?চল পুলিশে দেই।😤আমি মেয়েদের গায়ে হাত তুলি না নাহলে এতক্ষণে মেরে হালুয়া বানাতাম।😡(ইশফাক)
আদিয়ান ভালো ভাবে খেয়াল করতেই এলার হাতের দিকে নজর গেলো,এলার রিং টা দেখতেই আর তার বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা এলা।
আরেহ আরেহ কি কিরছিস তুই ছাড়? এটা চোর না,,ছাড় বলছি।।আতংকিত হয়ে ইশফাক তারাতাড়ি এলাকে ইশফাকের কবল থেকে ছাড়িয়ে নিলো।
এলা বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়ছে আর মনে মনে ইশফাকের চৌদ্দ গুস্টি উদ্ধার করছে।
ইশফাক এলার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে,আর আদিয়ান এলার মুখোমুখি।।
ইশায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,আপনি এখানে কেন?আর এই কি অবস্থা বানিয়ে রেখেছেন নিজের আপনাকে তো চন্তেই পারি নি ভাগ্যিস যদি আপনার হাতের রিং টা চোখে না পরতো তাহলে ইশফাক আপনার কি অবস্থা করতো একবার ভাবেন😬(আদিয়ান)
ইশা?😐(ইশফাক)
হ্যাঁ ইশা,,আপনি এতো রাতে কিচেনে ময়দা মাখা অবস্থায় কি করছিলেন?(আদিয়ান)
এলা হাত নাড়িয়ে আদিয়ান কে ইশারা করে বলছে পরে বলবে।আর আদিয়ান ও খেয়াল করলো এলা নিঃশ্বাস নিতে না পেরে হাঁপাচ্ছে।
ইশফাক এলার সামনে আসছে,আর তা দেখে এলা হুমড়ি খেয়ে আলগা আল্গা পায়ে হাটা ধরলো, কারন সে জানে আর কিছুক্ষন এখানে থাকলে নির্ঘাত কপালে দু:খ আছে।
তুই আন্তাজে এমন করলি ক্যান?আগে চেহারা দেখবি তো।।।অহেতুক মেয়ে টা রে চোরে ধরলি।পুরা সত্য না জেনে এমন করা উচিত হয় নি তোর।(আদিয়ান)
আমি কি জানতাম ইশা খাতুন এভাবে চোরের মতো কিচেনে এসে এতো তান্ডপ করবে?(ইশফাক)
আগে দেখা টা তো উচিত ছিলো, পুরা বাড়ি সিকিউরিড্ চোর ঢুকবে কিভাবে এটা তুই জানিস না?(আদিয়ান)
সরি ইয়ার,,,বুঝতে পারি নি,,মাথা ঠিক ছিলো না।(ইশফাক)
পুরা দিন দেব দাস এর মতো খেতে থাকিস মাথা ঠিক থাকবে কিভাবে/?(আদিয়ান)
নেশা চড়েছে,যেটা আদায় করা ছাড়া নামতে চাইছেই না।
বুঝেছি আমি তুই এখন ওভারলোডেড।যাহ ঘুমিয়ে পড় রাত অনেক হয়েছে।(আদিয়ান)
আচ্ছা আমি কাল মিস ইশা খাতুন কে সরি বলে দিবো।(ইশফাক)
হ হ ঠিক আছে বাপ যাহ এবার।(আদিয়ান)
আদিয়ান এলার রুমের সামনে গিয়ে দরজা নক করছে,এলা দরজা খুলেই আদিয়ান কে দেখতে পেয়ে ঢোক গিলতে শুরু করলো।
আ,,,আ,,আপনি?
আসলে কিছু বুঝতে পারছি না তাই জিজ্ঞেস করতে এসেছি।(আদিয়ান)
এলা ভয় পেয়ে গেলো,
ধরা টরা পরে যায় নি তো কোন?😷😟
জ্বি বলুন?
ময়দা মেখে ভুত্নির মতো অন্ধকারে কিচেনে কি করছিলেন আপনি?(আদিয়ান)হো হো করে হেসে উঠলো আদিয়ান।
আসলে আমি পানির জন্য গিয়েছিলাম,,অন্ধকারে কিছু দেখতে না পেয়ে স্ট্যানারের সাথে বারি খেয়ে ময়দার কনটেইনার আমার উপর পড়ে ওই অবস্থা হয়েছিলো, আর আপনার ওই জিরাফের মতো লম্বা বডিবিল্ডার বন্ধু আমাকে চোর ভেবে কি অবস্থা টা না যে করেছে,,বাপ রে বাপ কি শক্তি ব্যাটার,,এক চুল ভর নড়তে পর্যন্ত পারি নি।।মুখ চেপে ধরে জিজ্ঞেস করছে আমি কে?কেমন বেক্কল আমি কিভাবে উত্তর দিতাম?কি খায় আল্লাহ জানেন, এতো শক্তি কত্থেকে আসে।😤😤এক্নাগাড়ে কথাগুলো বলে ফেল্লো এলা,,আদিয়ানের চেহারার দিকে তাকিয়ে জ্বিব্বাহ ই কামড় দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো সে।
আদিয়ান কিছুক্ষণ ভ্রু কুচকে রেখে হাহা করে খুব জোরেই হেসে দিলো।
আমার বন্ধু জিমিং চ্যাম্পিয়ন ছিলো 😎তাই তো কতো হাজার মেয়ে আমার ইশফাকের পিছে পিছে ঘুরে,,কিন্তু সে পাত্তা দেই না।(আদিয়ান)
হুহ,,দেখেছি আমি লুইচ্চা একটা। বিড়বিড় করে বল্লো কথা গুলো এলা।
কি?কিছু বলেছেন?(আদিয়ান)
ন,,না
ক,,,কই কিছু বলি নি।চাপা হাসি দিয়ে।
আচ্ছা আমি কিছু খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি খেয়ে নিয়েন।(আদিয়ান)
সত্যিই? খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
হুম আপনি কিচেনে কেন গিয়েছিলেন আমি বুঝেছি””(আদিয়ান)😂
না মানে তেমন কিছু না।😣
😂😂😂😂😂😂হায়রে ফরমালিটি😂(আদিয়ান)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এলা ঠোঁট উল্টে দাঁড়িয়ে আছে।
খেয়ে ঘুমিয়ে যান।(আদিয়ান)
হুম।।
আল্লাহ লাখ লাখ মেহেরবানি শুক্রিয়া।।।আমার আহার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য 😌😌😌
চলবে।
দুই খন্ড করে দিয়েছি,এরপরও বলবেন না পর্ব ছোট হয়েছে,,,তাহলে মাইর কিন্তু একটা ও দেয়ালে পরবেনা😒।সব আপনাদের পিঠে পরবো।