#Addicted_love
Part:55
Aarizona Ella
দুজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখছে ইশফাক এর বাবা পেপার হাতে বসে আছেন সোফায়,,দুজন কে আসতে দেখেই উঠে দাঁড়িয়ে গেলো,,,
ইশফাক তোমার অবস্থা এমন হয়েছে কেন?ইশফাক এর বাবা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
আসলে বাবা আমার বউয়ের না হঠাৎ করেই ভীষন খারাপ লাগা শুরু করেছিলো কন্ট্রোল করতে না পেরে বমি করে দিয়েছে,এক্সিডেন্টলি আমার উপর পড়েছে।।😑(ইশফাক)
বউ মা অসুস্থ নাকি?হঠাৎ এভাবে বমি হওয়ার কারন কি?ইশফাক এর বাবা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।😟
এই অবস্থায় এমনটা লাগে বাবা চিন্তার তেমন কিছু নেই।।😁😁(ইশফাক)
মানে বউ মা?আমি দাদা😀😀😀😀ইশফাক এর কানের পাশে ফিস ফিসিয়ে বলছে ইশফাকের বাবা।
কি হচ্ছে এলা কিছুই বুঝতে পারছে না শুধু হাব্লুর মতো তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।
ইশফাক বাকা হাসছে😁ইশফাক এর বাবা ও মহা খুশি,,
বাবা এখনো সিউর না তাই সেই আব্দি কাউ কে কিছু বলো না।(ইশফাক)
আচ্ছা,যা তুই ফ্রেস হয়ে নে বউমার খেয়াল রাখিস।যাও বউ মা ফ্রেস হয়ে খেতে এসেো।(ইশফাক এর বাবা)
জ্বী।।(এলা)
বলেই দুজন রুমে চলে আসলো। তাওয়াল নিয়ে ইশফাক ওয়াস্রুমে ঢুকে গিয়েছে ফ্রেস হতে এলা খাটের সাথে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে আছে,খুব ক্লান্ত লাগছে এলার।
কখন ঘুমিয়ে গিয়েছে এলা নিজেও তা জানে না।
ইশফাক ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে দেখছে এলা ঘুমিয়ে পড়েছে।
এলার এই ঘুমন্ত চেহারাটা ইশফাকের কাছে খুব বেশিই প্রিয়,,যতবার দেখে বার বার তার মায়ায় জড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে ইশফাকের।
ইশফাক আলগা পায়ে এলার সামনে এসে দাঁড়ালো।,,মুখের সামনে চুল এসে পড়েছে এলার,,ইশফাক হাল্কা ঝুকে এলার মুখে আসা চুল গুলা আলতো করে কানে গুজে দিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো এলার মুখোমুখি হয়ে খাটে এক হাত রেখে তার তালুর উপর পাথারে মাথা রেখে অধীর আগ্রহে এলার ঘুমন্ত মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে ইশফাক আর মুচকি হাসছে।।
অন্য হাতের আঙ্গুল দিয়ে এলার গালের একপাশে হাল্কা ঘেঁষছে,,,
তুমি এমন একটা মেয়ে যাকে ছাড়া এখন ইশফাক চৌধুরী এক মুহুর্ত ও থাকতে পারে না,,,তোমাকে আমি আমার কাছ থেকে আর কোথাও হারাতে দিবো না,অতিতে কি হয়ে তা আমি জানি না,বর্তমানে এলা ইশফাক এর আছে ভবিষ্যতেও এলা ইশফাকের থাকবে,কোন ৩য় ব্যাক্তি আমাদের মাঝে আসবে না যদি আসার চেষ্টা করে তবে ইশফাক চৌধুরী তাকে হাজারো টুকরে পরিনত করবে।মনে মনে বলছে ইশফাক কথাগুলো।
এলা নড়ে উঠাতে ধ্যান ভাঙ্গলো ইশফাকের,,।
এলাকে ডাকতে চাইলো কিন্তু আর ডাকলো না এই ভেবে হইতো এলার খারাপ লাগছে,,কিছুক্ষণ ঘুমুলে ভাল্লাগবে।
ইশফাক উঠে কাপড় পড়ে রেডি হয়ে নিলো,,রুম থেকে বেরুবার সময় এলার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
বউমা কোথায়? সে খাবে না?ইশফাক কে একা আসতে দেখে জিজ্ঞেস করলো বাবা।
বাবা আমার বউ ঘুমাচ্ছে হয়তো ক্লান্ত লাগছে তাই নাহলে এভাবে কখনো ঘুমায় না,ওর জন্য খাবার রুমে নিয়ে যেতে এসেছি,ঘুম ভাংলে খাইয়ে দিবো।(ইশফাক)
তুই খাবি না?(ইশফাকের বাবা)
খাবো বাবা,তুমি খেয়ে নাও,,(ইশফাক)
তো আমি একা খাবো?(ইশফাকের বাবা)
তা হবে কেন?তোমার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি আছি তোমার সাথেই,,কফি খাচ্ছি।(ইশফাক)
আচ্ছা,কাল কিন্তু সবাই একসাথেই খাবো।।(ইশফাকের বাবা)
অবশ্যই বাবা।।😊(ইশফাক)
এলার জন্য খাবার নিয়ে রুমে গেলো ইশফাক।এলা এখনো ঘুমিয়ে আছে,,খাবার টেবিলে রেখে এলার মাথায় হাত বুলালো ইশফাক,,,হাত বুলাতেই এলা চমকে উঠে বসলো,,,,
আসলে আমি সরি,,কখন যে চোখ লেগে এসেছিলো তা বুঝতে পারি নি।।বাবা খেয়েছে?(এলা)
হুম খেয়েছে,,আর তোমার এতো অস্থির হওয়ার দরকার নেই তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই আর ডাকি নি,জলদি ফ্রেশ হয়ে এসে খেয়ে নাও দুপুরেও কিছু খাও নি দুর্বল হয়ে পরবে নাহলে।(ইশফাক)
হুম,,বলেই এলা ফ্রেস হতে চলে গেলো,ওয়াস্রুম থেকে বেরিয়ে দেখছে ইশফাক সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।
এলা বেডে বসে প্লেট হাতে নিয়ে খেতে শুরু করলো,ইশফাক এলার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
আস্তে খাও গলায় আটকে যাবে 😂(ইশফাক)
ইশফাক এর কথা শুনে এলা অর্ধেক খেয়ে বাকিটা টেবিলে রেখে হন হন করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,
ইশফাক হাসতে হাসতে প্লেটে রাখা বাকি খাবার গুলো খেয়ে নিলো।ক্ষিদা আমারও পেয়েছিলো, এমনটা না করলে তুমি আমার জন্য বাকি খাবার গুলো বাচিঁয়ে রাখতে কিভাবে?😂😂😂
এলা আন্টির রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো,,বেশ কিছুক্ষন হলো এলাকে রুমে আসতে না দেখে ইশফাক রুম থেকে বেরিয়ে পুরা ঘরে এলাকে খুজতে লাগলো। আন্টির রুম ক্রস করতেই ইশফাক দাঁড়িয়ে গেলো,,
এলা আগে আন্টির রুমে থাকতো হয়তো এখন ও ওখানেই আছে।।
দরজা খোলা ছিলো,, ইশফাক ভিতরে ঢুকে দেখছে এলা ওপাশ হয়ে শুয়ে আছে।।
এলাকে আচমকা এলোপাথারে কোলে তুলে নিয়ে আন্টির রুম থেকে সোজা তার রুমে নিয়ে এলো ইশফাক।এলাকে খাটে বসিয়ে ইশফাক ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে এলার দিকে।
কি সমস্যা হ্যাঁ নিজের কক্ষ ফেলে আন্টির কক্ষে কি করছিলে তুমি?😠😡(ইশফাক)
ঘুমুতে গেছিলাম।।ঘুমানোর জন্য ও কি আপনার পারমিশন লাগবে?😡😡😡আমাকে এভাবে নিয়ে আসার সাহস আপনার কিভাবে হলো আর এটা আপনার রুম আমার না😡😠(এলা)
মানে কি হ্যাঁ,,তুমি আমার দুবার বিয়ে করা বউ।এটা আমাদের রুম আর আমি ইশফাক চৌধুরী আমার সাহসের কি দেখেছো এখনও তুমি?তুমি জানো না আমি কি করতে পারি ভালো আছি,ভালো থাকতে দাও,,মেজাজ গরম করলে কিন্তু অবস্থা অনেক খারাপ করে ফেলবো তোমার আমি।😡😠(ইশফাক)
হ্যাঁ জানি আপনি ইশফাক চৌধুরী তাই যা খুশি তা করতে পারেন,,বদলা নেয়ার জন্য বিয়ে করে কারও জীবন ধ্বংস করতে পারেন,আবার বউ এর সামনে অন্য মেয়ের সাথে রাত ও কাটাতে পারেন আবার নিজের স্বার্থ পুরন করার জন্য ও কাউকে কিডন্যাপ করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিয়েও করতে পারেন।আসলে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন।আর নিজের স্বার্থ আদায়ের জন্য আপনি আরও নিচে নামতে পারবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।আর আপনার কাছ থেকে ভালো কিছুর আশা করা টা ও হবে আমার বোকামি। রাগে এলার চোখ থেকে অঝোরে পানি পড়ছে,,ইশফাক এর চোখ থেকে যেনো এখন ই লাভা বেরুবে।
আমি বদলে গিয়েছি কারন তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসি,অনেক চেয়েছিলাম নিজেকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে কিন্তু পারি নি,তোমাকে নিজের করে রাখার জন্য আমার যত নিচে নামতে হবে আমি নামবো, আর তা যদি আমার স্বার্থপরতা হয় তবে হ্যাঁ আমি স্বার্থপর😠😠আমি অনেক নিচু আমি স্বীকার করছি যে আমি অনেক খারাপ,,আরো খারাপে পরিনত হবো যদি কখনো আমার থেকে দূরে চলে যাওয়ার চিন্তা ভাবনাও করো তো।(ইশফাক)
আমি আপনাকে কখনো ক্ষমা করবো না,,আমার সাথে করা অন্যায়ের প্রতি টি হিসেব আপনাকে মিলিয়ে দিতে হবে।(এলা)
কি করলে তুমি আমাকে ক্ষমা করবে?আমি আর কি করবো? (ইশফাক)
তখনই আমার সাথে জাস্টিস হবে যখন আমিও আপনার সামনে অন্য কোন পর পুরুষ এর সাথে রাত কাটাবো।(এলা)
এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া😠😠ইশফাক এলার গায়ে হাত তুলতে গিয়ে দেয়ালে স্বজোরে ঘুসি মারলো।ইশফাক এর অবস্থা দেখে এলা কিছুটা ঘাবড়ে যাওয়াতে ইশফাক হেচকা টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিলো এলাকে।
এলা এখন রবোট এর মতো থ হয়ে আছে।ঠিক আছে ক্ষমা করো না আমাকে কিন্তু এভাবে নিজেকে আমার কাছে থেকে দূরে সরিয়ে রেখো না।এসব কথা মনে করে নিজেকে আর কষ্ট দিও না,তোমার পেইন আমার সহ্য হয় না।খুব ই শান্ত গলায় বলছে ইশফাক কথা গুলো।
এলা ধাক্কা দিয়ে ইশফাক কে এক ঝাটকায় নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিলো।
না আমি আপনাকে ক্ষমা করবো,না আপনাকে আমার কাছে আসতে দিবো,,😡😡😠😠(এলা)
ঠিক আছে যতদিন তুমি আমাকে ক্ষমা করবে না ততদিন তিলে তিলে নিজেকে ধ্বংস করে দিবো।আমার ভালবাসার নেশা কি তোমাকে আমি বুঝাবো।
বলেই ইশফাক রুম থেকে বেরিয়ে নিজের বারস্ট্যান্ট রুমে গিয়ে প্রবেশ করে এক এর পর এক মদের বোতল শেষ করছে।ইশফাক এর অবস্থা খুব বেশি মাতাল।মদ খেতে খেতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো ইশফাক।
এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,,,i really love u……u Can’t leave me…..i Won’t let u to go away from me…….
ইশফাক এর গলা থেকে রক্ত আসছে।।।
চলবে।