Addicted_love Part:63

1
1999

# Addicted_love
Part:63
Aarizona Ella
পরের দিন সকালে তাদের দুজনকে স্কুলে আনলো ইশফাক।
পাপ্পাপ কিসি দাও (এহনান)
তাদের দুজন এর গালে চুমু দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দুজনকে কোলে করে ক্লাস পর্যন্ত দিয়ে আসলো ইশফাক।স্কুলের সবাই ইশফাক এর দিকে তাকিয়ে থাকে।।(আপনাদের নায়ক ভাই বলে কথা )।তারপর ইশফাক অফিস এর উদ্দেশ্যে চলে গেলো।
অফিসে ইশফাক এর ফোন বাজছে,,স্ক্রিনে তাকাতেই দেখছে এলা কল করেছে।।
হ্যালো জান আজকে অনেকদিন পর নিজে থেকে কল করলা?(ইশফাক)
কেন কল করি না বুঝি?(ফোনের ওপাশ থেকে কথা বলছে এলা)
প্রতিদিন অফিসে নিজ থেকে দৈনিক ৪ বার কল করি তোমাকে ,,তোমার ইচ্ছে করে না,,,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালবাসা কমে গেছে
(ইশফাক)
আপনার প্রতি আমার ভালবাসা বিন্দুমাত্রাও কমে নি না কখনো কমবে,শুধু বাচ্চাগুলো পাগল বানিয়ে দেয় আর কিছু না।(এলা)
সত্যি তো??(ইশফাক)
হুম।।শুনেন?(এলা)
বলো জান(ইশফাক)
বাসায় কখন ফিরবেন?(এলা)
সন্ধ্যায়!কেন মিস করছো বুঝি(ইশফাক)
মিস তো করছি,কিন্তু,,,,,,,,(এলা)
কিন্তু কি জান??চলে আসবো? (ইশফাক)
যদি কাজ খুব বেশি না থাকে তবে বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসবেন একটু প্লিজ(এলা)
আচ্ছা ১০ মিনিটের মধ্যে বের হচ্ছি জান।।(ইশফাক)
thanks ishfaque(এলা)
mention not (ইশফাক)।।
I love u ishfaque….(এলা)
i love u too জান(ইশফাক)
ফোন রেখে দশ মিনিট পর অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো ইশফাক।
স্কুল ছুটির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে ইশফাক।।ছুটির পর দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে ইফতিয়ান আর এহনান।
দুজনের গোটা কাপড়ে কাঁদা লেগে অবস্থা চৌচির।।তাদের অবস্তা দেখে ইশফাক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো
কিরে কোথায় গড়াগড়ি দিয়েছিস তোরা হ্যাঁ?চমকে জিজ্ঞেস করলো ইশফাক???
দুজন গাল ফুলিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
কি হয়েছে বাবা কিছু বলছিস না কেন তোরা?(ইশফাক)
পাপ্পাপ এহনান মালামালি কত্তে,দেভিত এর চাথে,,ও কে চুতাতে চুতাতে (ছাড়াতে)মাতিতে আমিও গলাগলি দিচি (ইফতিয়ান)
আল্লাহ আমার মান সম্মান নালায় ডুবাবি তোরা (ইশফাক)
দুজন কে টেনে গাড়ির পিছনের সীটে বসিয়ে দিলো ইশফাক।
বাসায় পৌছে তাদের দুজন এর অবস্থা দেখে ৪৪০ ভোল্টের টাষ্কি খেলো এলা।
কি হয়েছে তোদের হ্যাঁ এই অবস্থা কে করেছে?(এলা)
দুজন অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছে।ইশফাক এলার দিকে এগিয়ে গেলো।
এলা আমার কথা শুনো(ইশফাক)
কোন কথা শুনবো না আবার কিসের কুন্ডলি পাকিয়েছে দুজন? কাপড় এর কি হাল করেছে?(এলা)
ইশফাক সব খুলে বললো এলা কে।
বাদর ছেলে কোথাকার এতো বান্দ্রামি কেমনে করিস চল গোসল করিয়ে দেই।কান ধরে দুজনকে টানতে টানতে ওয়াস্রুমে নিয়ে গেলো এলা।।।
এলা তাদের গোসল করিয়ে দিচ্ছে আর তারা এলাকে ক্ষেপাচ্ছে
ইশফাক জীম করছে ব্যাস্ততার কারনে সারাদিন করা হয় নি।।
পুশ আপস্ দিচ্ছে সে,,ইশফাক কে পুশ আপস্ করতে দেখে ইফতিয়ান আর এহনান দৌড়ে গিয়ে তার পিঠের উপর ভর করলো।। তাদের অবস্থা দেখে হাসছে ইশফাক।
আমার বাবারা পিঠে চড়তে এসেছে(ইশফাক)
ইয়েচ পাপ্পাপ।।।(ইবলিশ)
তাদের পিঠের উপর নিয়ে আস্তে আস্তে পুশ আপস্ দিচ্ছে ইশফাক।।দুজন তো মহাখুশি।।
কিরে বাবার কষ্ট হচ্ছে না তোরা এভাবে ভর করে আছিস কেন পিঠের উপর হ্যাঁ??আতংকিত হয়ে বললো এলা।।
তোমার মতো পিচকি না আমি,,সবাই কে নিজের মতো পাতলু ভেবেছো???
৫’১১ হাইট,,৭৫ কেজি ওয়েইট।।। আর তুমি ৫,১ মাত্র,,ওজন এর কথা তো বাদ ই দিলাম,,৫২ কেজি ও হবে না ।।পুরা বাচ্চা মেয়ে একটা আবার শক্তির কথা বলতে এসেছো ,,পুশ আপস্ করতে করতে বললো ইশফাক।ইবলিশ গুলো ও হাসছে।।।
আপনার সাথে কথা বলা মানে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না,সারাদিন আপনার বাচ্চাগুলা জ্বালাতন করে সাথে আপনিও খেতে আসুন রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো এলা।
নামো বাবা উঠবো,,,(আদুরে কন্ঠে বললো ইশফাক)
আলেকটু পাপ্পাপ প্লিচ্চচ্চচ্চচ্চ।।।চেচিয়ে বললো ইবলিশ গুলো।
মা আসলে এখন তোদের সাথে আমাকেও কেলাবে,,ব্যাথা পাবি তো বাপ নাম,বাবা কোলে করে নিচে নামিয়ে দিবো।(ইশফাক)
প্লমিচ???(ইফতিয়ান,এহনান)।
হ্যাঁ রে বাপ প্রমিস।।খাটে গুড বইজ দের মতো বসে ৫ মিনিট অপেক্ষা কর,,বাবা ফ্রেশ হয়ে এক্ষুনি আসছি।।
রাতে খাবার খেয়ে ইফতিয়ান আর এহনান কে তাদের রুমে শুইয়ে দিয়ে এসেছে এলা,,,আর ইশফাক রুমে ল্যাপটপ গুতাচ্ছে।।
তাদের ঘুম পাড়িয়ে এলা রুমে ফিরে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো,,বাচ্চাদের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বেলা শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে।
একপাশ হয়ে শুইয়ে আছে এলা,,ইশফাক পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো এলাকে।
কি গো জান আজকাল আমাকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছেও বুঝি চলে গেছে।(ইশফাক)
ইচ্ছে যায় নি আপনার বাদর ছেলেগুলো পাগল বানিয়ে দেই,,ইশফাক এর দিকে ঘুরে তাকালো এলা।
বাদর ছেলেদের বাবাও তো একটু সময় চায় কিন্তু মা তো এখন দূরে দূরে থাকে।(ইশফাক)
আমি কখন দূরে থেকেছি হ্যাঁ??আপনার থেকে দূরে থাকতে পারি না আমি,,আপনি জানেন সেটা (এলা)
এলার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো ইশফাক।।ভালবাসায় মগ্ন হয়ে আছে দুজন।পাশের রুম থেকে খুব জোরে আওয়াজ আসাতে ভয় পেয়ে গেলো ইশফাক আর এলা।
চমকে উঠে কাপড় ঠিক করে দুজন তড়িঘড়ি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
বাচ্চাদের রুমে গিয়ে দেখছে রিডিং টেবিল নিচে পড়ে আছে,,মাটিতে বারবিকিউ চানাচুর এর প্যাকেট ফাটা অবস্থায় চারিদিক ছিটিয়ে আছে।ইশফাক হাসছে আর এলা চোখ উল্টো দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে।বাচ্চা দুজন ভয়ে খাটের পেছনে লুকিয়ে আছে।
কই রে তোরা?? এতো রাতে শান্তিতে ঘুমাতেও দিবি না?(এলা)
ইশফাক দুজন কে খাটের পিছন থেকে বের করে আনলো এলা কোমরে হাত দিয়ে রাগী চোখে দাঁড়িয়ে আছে।
কি করিস তোরা হ্যাঁ মার কষ্ট হয় না?কেন এতো জ্বালাস?কান্না জড়িত কন্ঠে খাটে বসে পড়লো এলা।
মা কষ্ট পেয়েছে বাবা,,মাকে সরি বল তোরা (ইশফাক)
সরি মাম্মাই আল হবে না,,মুখ কালো করে কান ধরে এলার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
দুজনের চেহারা দেখে মায়া লাগলো এলার।দুজন কে বুকে টেনে নিলো সে।
কিছুক্ষন পর এলার মাথায় একটা তেলাপোকা ছেড়ে দিলো তারা,এলা টের পেয়ে চেচিয়ে লাফ দিয়ে উঠলো।
বাচ্চা দুজন হাত তালি দিয়ে উঠলো।।
ইট ওয়াজ এ প্রেংক মাম্মাই।।
ভয়ে এলা ইশফাক কে জড়িয়ে ধরলো,, ইশফাক হাসছে এলাও হেসে দিলো।
বাচ্চা দুজন দৌড়ে তাদের কোলে উঠে পড়লো।
তোরা বাদর ই থাকবি বাবার মতো
(এলা)
হুম ইশফাক চৌধুরীর ছেলে বলে কথা
বাচ্চা দুজনকে বিছানায় শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলো ইশফাক আর এলা।
আই লাভ ইউ সো মাচ জান,,ইশফাক এলার কপালে চুমু দিয়ে বললো।
আই লাভ ইউ টু বাবু।(এলা)
এভাবেই খুব সুন্দর আর সুখে রাঙ্গাতে থাকলো তাদের জীবন।
—————————– সমাপ্ত———————–
অনেকে আমার গল্প সাপোর্ট করে আমাকে ইন্সপায়ার করেছেন তো অনেকে নিন্দা করেছেন।।তবে উভয়কেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারও ভালবাসায় গল্প লিখার মনোবল পেয়েছি তো কারও নিন্দায় নিজেকে শোধ্রাতে শিখেছি।।শিগগিরই আসছি #Addicted_love season 2 নিয়ে আমার সব Addicted lovers দের জন্য,সেই আব্দি সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।।আল্লাহ হাফেজ।।

1 COMMENT

  1. গল্পটা অসাধারণ ছিলো। আমার এই গল্পটি পড়ে নিজেরই নেশা লেগে গিয়েছে 😅 এইরকম গল্প আরো চাই। আপনাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here