#প্রিয়তমা ❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-১৪
*
*
“তোমাকে আমি কতবার বলেছি,কিছু প্রয়োজনীয় কথা আছে।কিন্তু তুমি কি করেছো??আমার কথা একটুও শুনোনি।উল্টো আমাকে ইগনোর করেছো??বারবার রিকুয়েস্ট দিলাম তুমি তাও একসেপ্ট করোনি।তাই আমার তোমাকে এই রুমে আটকানো ছাড়া আর কোনো ওয়ে ছিলো না”।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক প্রকার ছটফট করতে করতে তাসিফ আমাকে কথাগুলো বলতে লাগলো।
কাপড় ঝেড়ে উঠতেই তাসিফকে দেখে আমি বেহুঁশ প্রায়।এমন একটা ছেলে এই কাজ করবে তাও কোচিং এ?
আমি মুখ দিয়ে একটাও শব্দ বের করলাম না। চুপ করে তার কথা শুনছি।যা অবস্থা দেখছি, তাসিফ আমাকে রুম থেকে বের হতে দিবে না। তা ছাড়া এখন ওর সামনে মোবাইলের লক খুলতে পারবো না। ও যদি মোবাইল দেখতে পায়,তবে শেষ আশাটাও চলে যাবে।
খুব কৌশলে মোবাইল বের করে ইমারজেন্সি নাম্বার থেকে সাদিফ ভাইয়াকে কল দিলাম মোবাইলের লক ওপেন করা ছাড়া। ইসলাল ভাই আর রাফসান ভাইকে কল দিয়ে কোনো লাভ হবে না।ওরা আসতে আসতেই দিন চলে যাবে।তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সাদিফ ভাইয়াকে কল দিলাম।আর মোবাইল হাতে নিয়ে লুকিয়ে নিলাম ব্যাগের পিছে।
শেফার কল পেয়ে সাদিফ অবাক হলেও সাথে সাথেই কল রিসিভ করে বলতে লাগলো..
“হ্যালো!তুই ফোন করেছিস আমাকে!বিলিভ হচ্ছে না আমার। রাগ কমেছে তোর”??
শেফার কোনো শব্দ না পেয়ে সাদিফ আবারো বলে উঠলো…
“কি ব্যাপার কথা বলছিস না কেন??ফুল?ইউ দেয়ার”?
আরো কিছু বলতে গিয়ে সাদিফ থেমে গেলো কোনো এক ছেলের শব্দ শুনে।
“শেফা প্লিজ!আমার কথাটা বুঝার ট্রাই করো।আমি অনেক ভালোবাসি তোমাকে।সেই কোচিং এর প্রথম দিন থেকে।তোমার হাসি,চোখ সব কিছুতেই আমি হারাতে চায়।উইল ইউ বি মাইন”?
তাসিফের কথা শুনে আমি জমে পাথর হয়ে গেলাম।তাও আমি সাহস করে বললাম…
“পাগল হয়ে গিয়েছো নাকি?তোমার জন্যে আমার এমন কোনো ফিলিংস নেই। সরো সামনে থেকে,জুমু ওয়েট করছে আমার জন্যে”।
“নাহ। সরবো নাহ। কি করবে তুমি??কে আসবে তোমাকে সেভ করতে?সাউন্ড প্রুফ রুম এটা, কেউ শব্দ শুনবে না।তাছাড়া স্টোর রুমে কেউ আসবে না চেক করতে। সো চিল্লাও বা যা মন চায় করো কেউ আসবে না এইদিকে।
আর আমি যতটুক জানি,তোমার কোনো বিএফ নেই। তা তাসফিয়া থেকে জেনে নিয়েছি আমি”।
কথাগুলো বলেই তাসিফ আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
আর আমি জোরে চিল্লানি দিলাম…
“একদম কাছে আসবে না।দূরে থাকো অমানুষ।ভালোবাসলে কেউ এভাবে আটকে রাখে না!!!আমাকে যেতে দাও”।
এসব কথা সব সাদিফ শুনছে। আর সে একা একাই চিল্লাতে লাগলো কলের মধ্যে।
“ঐ কে তুই?কোন শালা তুই?স্টে এওয়ে ফ্রম হার।বাবুই জুমু কই!!আমি আসছি,স্টে স্ট্রং।কোন মাদা*** তুই!তোকে পেলে একদম নিঃশেষ করে দিবো বাই***”।
কিন্তু আফসোস এসব কথা শেফা বা তাসিফ কেউ শুনতে পারছে না।
এইদিকে এক্সাম শেষে জুমু সারা কোচিং এ শেফাকে খুঁজতে লাগলো। কলও দিয়েছিলো কিন্তু বার বার মোবাইল বিজি বলছে।কোচিং ফাঁকা একদম।এক্সাম শেষ হয়ে বেশ কিছুক্ষণ হলো।এইদিকে সাদিফের কলও বিজি আসছে। সাদিফের অন্য নাম্বারটা নেই জুমুর কাছে।
জুমু আদনান ভাইকে ব্যাপারটা জানালো শেফাকে পাচ্ছে না। কারো মাথায় শেফা যে পানি খেতে গেলো, এই জিনিসটাই আসেনি!
তাসিফ কথা বলতে বলতে শেফার কাছে চলে আসলো আর খুব জোরে শেফার দুই বাহু চেপে ধরলো।
এত জোরে চেপে ধরার কারণে শেফার হাত লেগে কল স্পিকারে হয়ে গেলো, মোবাইলটা নিচে পড়ে গেলো।
আর শেফা আর তাসিফ এতক্ষণে সাদিফের কথা শুনতে পেলো…
“জান প্লিজ তুই শান্ত থাক। প্যানিক হবি না।আমার মাথায় এতক্ষণে টেনশনে আসেইনি আদনানকে জানানোর ব্যাপারটা।আমার আসতে আর দুই মিনিট লাগবে।আমি আদনানকে জানাচ্ছি ও আসবে এখনি”।
কথাগুলো বলেই সাদিফ তার অন্য মোবাইল বের করে আদনান কে জানিয়ে দিলো। আর এসব দেখে তাসিফ প্রচন্ড ক্ষেপে গেলো।
শেফাকে হ্যাঁচকা টানে একদম দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো।এর আগেই শেফার মোবাইলটা পা দিয়ে মুচড়ে দিলো। যার কারণে সাদিফের কল কেটে গেলো।
“ঐ সাদিফ তোমাকে জান ডেকেছে!! ও তোমাকে ভালোবাসে??কিন্তু আমি তা হতে দিবো না।ইউ উইল বি মাইন,ওনলি মাইন।আমার নামও তাসিফ।তোমাকে আমার চাই, খুব করে চায়”।
কথাগুলো শুনে ভয়ে আমি তাকে দূরে ঠেলে বলে উঠলাম…
“আমার কাছ থেকে দূরে সর তুই।কিছু বলছিনা দেখে কি মাথায় উঠে যাবি??কুত্তা একটা তুই।সর”…
বলেই ওকে ধাক্কা দিতে গেলাম।
আর এইদিকে দরজার লক কেউ খুলতে চাচ্ছে,কারণ দরজার হ্যান্ডেল কেউ একজন খুব নাড়াচ্ছে। রুমের ভেতর থেকে তা খুব ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে।কিন্তু আফসোস ভিতর থেকে লক করা।
তাসিফকে ধাক্কা দেওয়ার আগে তাসিফ আমার হাত ধরে জোরে ধাক্কা দিলো যার কারণে আবার গিয়ে পড়লাম ভাঙ্গা বুকশেলফ এর উপরে আর কপালের ব্যাথা পাওয়া স্থানে আবারো ব্যাথা পেলাম।সাথে সাথেই মাথা ঘুরে উঠলো।
যতক্ষণ হুঁশ ছিলো ততক্ষণ চারপাশ দেখতে লাগলাম বাট কিছু আসছে না মাথায়। তাসিফকে দেখলাম পিছের জানালা দিয়ে চলে যেতে।আর বিকট শব্দে কেউ দরজা ভেঙে ফেললো।
চোখ বুঝে আসার আগে শুধুমাত্র একটা সাদা পাঞ্জাবি দেখলাম।আর বাকি সব ঝাপসা হয়ে আসলো।
*
দরজা ভেঙে সাদিফ,আদনান আর জুমু সবাই ভিতরে শুধু শেফাকেই দেখতে পেলো।আর এমন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে শেফাকে, সাদিফ তার নিজের মধ্যেই নেই।
সাদিফ দ্রুত শেফার কাছে গিয়ে শেফার মাথা নিজের কোলে রাখলো।
“যে আমার প্রিয়তমার এই হাল করেছে,তাকে এই সাদিফ ছেড়ে দিবে না।সে যে হোক না কেনো? আইল কিল হিম”।
সাদিফ মনে মনে কথাগুলো বললো।
“বাবুই! জান।ওয়েক আপ!আমি চলে এসেছি। উঠো না বাবু”।
এসব বলে সাদিফ চিল্লাতে লাগলো।আর পাশে দাঁড়ানো জুমু হা করে তার ভাইএর কান্ড দেখছে।সে নিজেও শেফার এমন অবস্থা দেখে অবাক।তারউপর তার ভাইয়ার এই ব্যাবহার তাও শেফার প্রতি!
কিন্তু এসব ভাবলে চলবে না এখন।
আদনান আর জুমু সাদিফকে বুঝাচ্ছে শেফাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
সাদিফের এতক্ষণে হুঁশ হলো।সে দ্রুত শেফাকে কোলে তুলে নিলো।
এক প্রকার দৌড় দিলো সাদিফ শেফাকে নিয়ে।আর তার পিছে পিছে আদনান এবং জুমু আসছে।
সাদিফ শেফাকে কোলে নিয়েই গাড়িতে বসে পড়লো।আর পাশে বসলো জুমু।সে এখনো হা করে তার ভাইকে দেখছে।তার মাথায় তার ভাইয়ার কান্ড কিছুতেই ঢুকছে না।
“দোস্ত,আমার কি আসতে হবে তোর সাথে”?(আদনান)
“না। আইল ম্যানেজ।তুই জাস্ট আমাকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কাহিনীটা বল।আমাকে মেইল করে দে ফুটেজ।তাকে আমি নিজের হাতে মারবো। সাদিফের জানের উপরে হাত দেওয়ার মজা বুঝাবো আমি”।
(সাদিফ)
“ওকে ব্রো।ভালো হয়ে যাবে সে।ডোন্ট টেক স্ট্রেস”।(আদনান)
কথাগুলো বলেই আদনান চলে গেলো আর সাদিফ ড্রাইভারকে যেতে বললো হাসপাতালে।
“ভাই,রুমালটা দিয়ে ওর কপালে চেপে ধরো না”।
জুমু আস্তে করে কথাগুলো বললো তার ভাইকে।অনেক আগে থেকেই বলতে চাচ্ছিলো কথাটা।কিন্তু তার ভাইতো এক পলকে শেফার দিকেই তাকিয়ে আছে।
জুমুর কথায় সাদিফ জুমুর দিকে ফিরে রুমালটা নিয়ে শেফার কপালে চেপে ধরলো।
শেফাকে হসপিটালে নিয়েই সাদিফ দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে বললো।যেহুতু ডাক্তাররা সবাই সাদিফকে চিনে তাই তারা শেফার চিকিৎসা শুরু করে দিলো কোনো ফর্মালিটিস পূরণ করা ছাড়াই।
যা চিকিৎসা করেছে ডাক্তার সব সাদিফের সমানেই করেছে।এত বলেও সাদিফকে ডাক্তাররা বের করতে পারেননি।
শেফার ড্রেসিং শেষেই জুমু আসলো কেবিনে।কেবিনে এসে সে দেখলো, তার ভাই শেফাকে কোলে নিয়ে বেডে হেলান দিয়ে বসে রইল।জুমু তার ভাইকে জিজ্ঞেস করল…
“ভাই! বড় কোনো কিছু হয়নি তো শেফার”?
“নাহ।আল্লাহ্ এর রহমত।জাস্ট কপালে,হাতে ছিলে গিয়েছে,তাই ড্রেসিং করে দিয়েছে।আর সেন্স হারিয়েছে হঠাৎ আঘাত পাওয়াতে। তাছাড়া ওর শরীর উইক ছিলো।
এই স্যালাইন শেষ হলেই বাসায় নিয়ে যেতে পারবো”।
(সাদিফ)
“আচ্ছা ভাইয়া”।
জুমুর মনে অনেককিছু চলছে এখন।কিন্তু তার ভাইয়াকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস নেই।ভাইয়াকে সে বড্ড ভয় পায়। সে খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে শেফা শুধু সাদিফ ভাইয়ের জন্য কাজিন না। তার চেয়েও বড় কিছু।
“এই টাকাগুলো নে।কিছু খেয়ে আয়।শেফা একেবারে সেন্স এলে খাবে।বাসায় আমি কল করে বলেছি,উইকনেসের কারণে শেফা সেন্স হারিয়েছিল তাই আমি ওকে হসপিটালে এনেছি”।(সাদিফ)
“সবাই টেনশন করছে না”?(জুমু)
“না আমি বুঝিয়ে দিয়েছি।তুই তো জানিস,আমার কথা সবাই বিলিভ করে বেশি।যা তুই খেয়ে নে কিছু”।(সাদিফ)
টাকা নিয়ে জুমু চলে গেলো খেতে।আসলেই বড্ড খিদা পেয়েছে।লাঞ্চ করার পর আর কিছুই পড়েনি পেটে।আর এখন প্রায় রাত আটটা বাজে।খিদা লাগাটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
*
শেফার জ্ঞান ফিরতেই সে নিজেকে কারো বুকে আবিষ্কার করলো।
হালকা হালকা চোখ মেলতেই, সে চোখ বুঝার আগের সেই সাদা পাঞ্জাবি দেখতে পাচ্ছে।
মাথাটা বড্ড ভারী লাগছে আমার।কি হচ্ছে কিছুই মনে আসছে না।খুব কষ্ট করে চারপাশ দেখতে লাগলাম।
আমার হাতে ক্যানেল লাগানো,আর হাত বালিশের উপরে রাখা। কারো বুকের ডিপডিপ শব্দ আমার আমার কানে স্পষ্টভাবে আসছে। এই শব্দ আমার খুবই চেনা চেনা।
কিন্তু হঠাৎই মাথায় এলো কোচিং এর ঘটনা। তাসিফের কথা মনে আসতেই আমি খুব জোরে কেঁদে উঠলাম…
“ভাইয়া, বাবা আমাকে বাঁচাও।আমার কষ্ট হচ্ছে খুব”।
শেফার আওয়াজে সাদিফ সোজা হয়ে বসে শেফাকে আরো ভালোভাবে কোলে জড়িয়ে নিলো।
“হুঁশ জান। ইউ আর সেফ নাও।আমি আছি তো।কিছু হইনি তোমার।কিছু হতে দিবো না আমি।রেস্ট নাও। আমি আছি বেবি।কিছু খাবে তুমি”?
সাদিফ ভাইয়ার এমন কথায় আমার কান্না থেমে গেলো।কিন্তু আমি ফোঁপাতে ফোঁপাতে মাথা তুলে উনার দিকে তাকালাম।
সাদিফ ভাইয়া শান্তভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে আবারো বলে উঠলেন..
“কি হলো??কিছু খাবে??নার্সকে আনতে বলবো?ব্যাথা লাগছে কোথাও”?
উনার এতো কথার মাঝে,কেনো জানি হুট করে আবার মনে চলে আসলো, আরে আমি তো উনার সাথে কথা বলি না। আমার মাথা থেকে আপাতত তাসিফের কথা চলে গেলো নিমিষেই।কারণ আমি জানি আমি এখন সেফ, একদম সেফ।আমার কাছে এখন সাদিফ ভাইয়া আছেন।
কিন্তু ঐ যে আমি কোনো কথা সহজে ভুলিনা, তাই আমার মাথায় ঐ শাওন নামক পোকাটা আবারো জেঁকে বসলো।
তাই আমি দেরি না করে উনার কোল থেকে সরতে চাইলাম।কিন্তু উনি আমার পেটের উপর উনার হাত দিয়ে ধরে রাখলেন।
“আরে বাবা!কি সমস্যা তোর??নড়াচড়া করলে ক্যানেল নড়বে আর হাতে রক্ত উঠে যাবে।তাছাড়া উইক অনেক তুই।চুপচাপ বসে থাক কোলে”।
সাদিফ ভাইয়ার কথায় আমি বলে উঠলাম…
“কেনো আমাকে কেনো কোলে নিচ্ছেন।আপনার শাওন কে কোলে নিন।আমার কি দরকার?কোনো মূল্য নেই আমার।শাওন না বাওন ওরে কোলে নিন”।
শেফার কথায় সাদিফের বুঝতে দেরি হলো না কেনো সে এতদিন রেগে ছিলো সাদিফের সাথে।জেলাসির কারণে!
“আমার জান যে তাকে মনে মনে আমাকে এতটা চায় এটা কখনোই আমার জানা ছিল না। সুস্থ্য থাকলে একটু জ্বালানো যেত।কিন্তু এখন কিছু বললে আবার নাচানাচি স্টার্ট করবে।এই নাচানাচির ভয়ে কোন কুত্তা ছিলো ঐটাও আস্ক করার সাহস পাচ্ছিনা। ইটস ওকে।শেফা থেকে আস্ক করা লাগবে না।আমি নিজেই জেনে নিবো।যেকোনো মুহূর্তে প্রুভ চলে আসবে।শুধু শুধু এইসব আস্ক করে বাচ্চাটাকে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই”।
সাদিফ এসব নিয়ে ভাবছে অমনি শেফার আওয়াজ তার কানে এলো।
“যেই নাম শুনেছেন অমনি হারিয়ে গেলেন তার দুনিয়ায়?মনে ভাবেন একজনের কথা আর কোলে নিলেন আরেকজনকে!!নামান আমাকে!আপনি অনেক পঁচা”।
“যার কথা ভাবি তাকেই কোলে নিয়ে বসে আছি।তোর এত সমস্যা কেনো?আরেকটা কথা বলবি তো ঠোঁটে কামড় দিবো।এমনিও কন্ট্রোল করে আছি কষ্ট করে”।
সাদিফের কথা শুনে শেফা তার বাম হাত দিয়ে নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো।আর সাদিফ মুচকি হেসে চলেছে।
আমার ঠোঁট থেকে হাত সরিয়ে আমার মুখ উনার দিকে ফিরিয়ে নিলেন।
“শাওন একটা ছেলের নাম।আমার অফিসের এসিস্ট্যান্ট।এটা নিয়ে আর মন খারাপ করতে হবে না”।
রাগের মাথায় সাদিফ ভাইয়ার সামনে নিজের জেলাসির কথা বুঝিয়ে দিলাম কেমনে? আল্লাহ্!উনি এখন কি যে ভাবছেন!
আমি আমতা আমতা করতে লাগলাম।আর সাদিফ ভাইয়া আমার হাতে কিস করতে যাবেন অমনি কেবিনের দরজা ঠেলে জুমু আসলো।
ব্যস আমি শেষ। সাদিফ ভাইয়ার এমন কাজে আর জুমুর হঠাৎ আগমনে, আমি রাগে আর লজ্জায় কুঁকড়ে উঠলাম।
চলবে…
গল্পের লেট হচ্ছে এটা আমি জানি।কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছিনা এই নিয়ে। আমি যখন টাইম পাচ্ছি আমি তখনই গল্প দিচ্ছি।আর অনেকেই বলছেন এত লেট করে গল্প দিলে.. মজা পান না, ইন্টারেস্ট চলে যায়, পড়তে ইচ্ছা হয় না!এটা আমার বিষয় না।আপনাদের বিষয়।আমি বিজি থাকায় গল্প লিখার টাইম পায় না।লেখিকার কষ্টও একটু বুঝে নিয়েন।তাছাড়া,গল্প ভুলে গেলে আগের পর্ব পড়ে নিলেই তো পারেন।ধন্যবাদ।
হ্যাপী রিডিং 🙂❤️