#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৩৭
*
*
ইতি আপুর বিয়ের তারিখ আসতে আরো দেড় মাস বাকি।কিন্তু এখন থেকেই মুটামুটি সব প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সবাই। সাদিফ এখন অনেক বিজি মিটিং,মিছিল নিয়ে।কারণ এই মাসেই ইলেকশন হবে।তাই সকল প্রতিযোগী তাদের সবচেয়ে ভালো দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টায় আছে জনগণের কাছে।
বিয়ের এতদিন পরেও এখনো পর্যন্ত বাবার বাসায় যেতে পারলাম না।
এই কিছুদিন আগে কতো বললাম উনাকে বাবার বাসায় যাবো।কিন্তু না,উনি রাজি না।
শুধু মুখে একটাই কথা বলেন…
“যাও,যেতে মানা করেছে কে?আমি যতক্ষণ বাসায় থাকি না ততক্ষণ থাকবে ঐবসায়।আমি এসে যেনো তোমাকে বাসায় পায়।নাহলে আমি তোকে কামড়িয়ে শেষ করে দিবো।”
উনার এই কথার মধ্যে আমিই বা কি বলবো।মা এই পর্যন্ত পাঁচবার এসেছে আমাকে দেখার জন্যে।এই লোকটা এতো সেলফিশ কেনো আল্লাহ্ জানে!
ভার্সিটি যাওয়া শুরু করলাম সবে মাত্র এক সপ্তাহ হলো।এতদিনে অনেক পড়া মিস করে ফেললাম।তবে, পড়া সব তাসফিয়া থেকে কালেক্ট করে নিয়েছি।ভার্সিটিতে এখন তাসিফকে দেখা যায় না।তাসফিয়া থেকে আস্ক করতেও ইচ্ছে হয়না।যতই দেখা যাবে না এদের,ততই আমি কম্ফোর্টেবল থাকবো।
তবে ইজহার ভাইয়াকে দেখা যায়।আমি ভুলেও সেদিকে দেখিনা।দুর থেকে তার একটু ছায়া দেখলেই আমি ভুলেও আর সেদিকে তাকিয়ে দেখিনা। জুমুও উনার সাথে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে।
বেশ ভালই চলছে দিনকাল। শুধু এখন উনাকে ঘিরেই যতো চিন্তা।ইলেকশন যতো এগিয়ে আসছে,ততই চিন্তা গভীর হচ্ছে।আল্লাহ্ এর কাছে শুধু এতটুকু দোয়া করি উনাকে যেনো আল্লাহ্ সবসময় ভালো রাখে,সুস্থ রাখে।
আজ ভার্সিটিতে একটি ক্লাস কেন্সেল করেছে।ভার্সিটি অথোরিটির এইসব কাজ কর্মই আমার অসহ্য লাগে।কারণ,ক্লাস কেন্সেল করলে সেটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া উচিত না!আগে থেকে জানা থাকলে একটা ক্লাস করার জন্যে আর আসতে হতো না ভার্সিটি।
জুমু ড্রাইভারকে কল দিয়ে আসার জন্যে বলেছে।জুমু আর আমি ক্যাফেটেরিয়াতে বসে আছি।সামনে তাকিয়ে দেখলাম ইজহার আর ওদের গ্যাং বসে আছে।ঐদিকে তাকাতেই ইজহারের সাথে আই কন্টাক্ট হয়ে গেলো।
উফফ গা জ্বলে উঠলো।আমি ঐপাশ থেকে সরে বসলাম। জুমুর সাথে কথা বলছি আর বার্গার খাচ্ছি।ড্রাইভার আঙ্কেল এখনো ট্রাফিকে আটকা পড়ে আছেন।
আমি ব্যাগ থেকে মোবাইল বাহির করে ফেসবুকে লগ ইন করলাম।একটু নিউজফিড দেখতেই সাথে সাথে সাদিফের কল এলো।
রিসিভ করতেই উনার কণ্ঠ ভেসে এলো..
“হ্যালো জান, কোথায় তুমি?”
“আসলামুঅালাইকুম, আমি তো ভার্সিটিতে আছি।একটা ক্লাস হবে না।জুমু কল করে দিয়েছে ড্রাইভার আঙ্কেলকে।উনি ট্রাফিকে আটকে আছেন এখনো।”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম।ওহহ আচ্ছা। খেয়েছো কিছু?”
“হ্যাঁ,এখনো খাচ্ছি।আপনি কোথায়?আপনি খেয়েছেন কিছু?”
“হুমম খেলাম এখন।আমি এখন মিটিং এ ঢুকবো।ভাবলাম তোমাকে একটা কল দিয়ে দেখি।আচ্ছা সাবধানে থেকো। জুমুর সাথেই থাকবে।একা ঘুরাফিরা করবে না কেমন?”
“আচ্ছা, যথা আজ্ঞা মহারাজা।”
“জ্বী মহারানী।লাভ ইউ জান।উম্মাহ। আল্লাহ্ হাফেজ।”
“আচ্ছা আল্লাহ্ হাফেজ।”
কল কাটতেই,মুখে হাসি ফুটে উঠলো আমার।এই ছেলেটা আসলেই পাগল।যতবার কল দিবে ততবারই ভালোবাসি কথাটি বলবেই বলবে।
আর সামনে থাকলে তো আম্মু আর আপুদের অগোচরেই খোঁচা দিবে নাহলে চুমু দিবে।আর রুমে একা পেলে তো কথায় নেই।নিজের মন মতো আমাকে সাজাবে আবার আদর করবে।
এসব নানা কথা ভেবে শেফা আনমনে হেসে চললো।
এইদিকে ইজহার এক নজরে শেফার দিকে তাকিয়ে ভাবছে…
“তোমার দুনিয়ায় যদি সাদিফ নামের কেউ না থাকতো,তবে তুমি এতদিনে আমার ঘরের বউ হতে।আমার সাথে তোমার ঘর হতো,সংসার হতো।আমাদের দুষ্টু,মিষ্টি ভালোবাসা হতো।কিন্তু এই সাদিফ সব কিছুই নষ্ট করে দিলো।এই আবায়া হিজাবে তোমাকে আরো বেশি মায়াময়ী লাগছে।দিনদিন কি তোমার রূপ বাড়ছে?
কেনো আমায় জ্বালাতন করছো তোমার রূপ দিয়ে?হাহা ভেবো না।আমি একবার হলেও তোমায় ছুঁয়ে দেখবো।আগে সাদিফকে সরাবো রাস্তা থেকে এরপর তুমি তো আমার হবেই।”
বাঁকা হেসে ইজহার আবারো শেফার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
ড্রাইভার আঙ্কেল জুমুকে কল দিতেই, আমি খাবারের বিল পে করে, জুমু আর আমি বের হয়ে গেলাম।
বাসায় পৌঁছাতে দুপুর একটা বেজে গেলো।শাওয়ার নিয়ে বেডে শুয়ে পড়লাম।দুপুরের সময়টায় উনি মাঝে মাঝে আসেন না লাঞ্চ করতে।যার কারণে আমি উনার সাথে রোমান্টিক শাওয়ার নেওয়া থেকে বেঁচে যায়। উনি যেদিন এই সময়ে বাসায় থাকবে সেদিন আমাকে জোর করে ওয়াশ্রূমে নিয়ে যাবেন। আমি যেতে মানা করলে উনি আমাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যান ওয়াশরুমে।
একবার ওয়াশরুমে নিতে পারলেই হলো,শুরু হয়ে যায় উনার রোমান্টিক টর্চার।উনার টর্চারে যতো বার কেঁপে উঠি,উনি সেই টর্চার আরো বেশি করে করেন।
এতো নির্লজ্জ লোক আমি জীবনেও দেখিনি।
“ফুল ঘুমিয়ে পড়লি?”(আম্মু)
আম্মুর শব্দ শুনে আমি শোয়া থেকে বসে পড়লাম।
“না আম্মু,ঘুমায়নি।বসো না।আমি একা একা শুয়ে আছি।”
“হ্যাঁ, জুমুও শাওয়ার নিচ্ছে।আর ইতি ওর বান্ধবীদের সাথে শপিং এ গেলো।”(আম্মু)
“জানি আম্মু।আপু আমাকে বলেছিল সকালে।মায়ের বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে আম্মু।তোমার ছেলেকে একটু ম্যানেজ করো না।আমাকে দুদিন থাকার পারমিশন দিতে বলো।”
আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো…
“আচ্ছা বলবো।ছেলেটা পাগল তো।ঐদিন দেখলি না কেমন করে গর্জন দিলো,বাড়িতে যাবি বলেছিলি তাই।আমাকে কিছু বলার সুযোগ কই দিলো সে।ধুমধাম করে নিজের বক্তব্য দিয়ে চলে গেলো।”
“তোমার ছেলেটা এমন কেনো বলো তো।অন্য মেয়েরা দেখো বিয়ের পরের দিন বাবার বাসায় গিয়ে কিছুদিন থেকে আসে।আর আমি!প্রায় অনেকদিন হলো বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এখনো একরাত থাকতে পারিনি বাবার বাসায়।”
“আচ্ছা আর টেনশন করিস না ।আমি বুঝিয়ে বলবো সাদিকে। এখন শুয়ে থাক কিছুক্ষণ।লাঞ্চ একটু পরে সার্ভ করবো।ততক্ষণ শুয়ে থাক।”(আম্মু)
“তুমি কই যাবে এখন?তুমিও আমার পাশে শুয়ে থাকো।”
“কোনো কাজ নেই আমার এখন।আচ্ছা ঠিকাছে।আমরা মা মেয়ে শুয়ে থাকি।”(আম্মু)
আম্মু আর আমি শুয়ে পড়লাম।আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর নানা গল্প শোনাচ্ছে।
আমাদের কথার মাঝে জুমু এসে আম্মুর অপর পাশে শুয়ে পড়লো।আমরা তিনজন শুয়ে রাজ্যর আলাপ করতে লাগলাম।
“খালা,খালু আইছে।আপনেরে খোঁজে।”
আশা খালার কথা শুনে আম্মু বললো…
“ওমা, ক”টা বাজলো? এতো জলদি তোর খালু তো আসে না।”
“আড়াইটা বাজে খালা।”(আশা খালা)
“এতো দেরি হয়ে গেলো কবে!আচ্ছা যা তুই গিয়ে প্লেট,বাটি ধুয়ে নে।আমি আসছি।”
“আইচ্ছা।”(আশা খালা)
আশা খালা চলে যেতেই,আম্মু আমাদের বললেন..
“অনেক হয়েছে রেস্ট।এবার উঠ দেখি।খাবার খেয়ে দুইবোন ঘুমিয়ে পড়বি।”
“হ্যাঁ আসছি মা।”(জুমু)
আম্মু চলে গেলো নিচে।আর আমি উঠে শাড়ি ঠিক করে নিলাম।চুল এখনো ভিজে আছে।চুলের উপর হালকা চিরুনি চালিয়ে নিলাম।
এরপর জুমু আর আমি মিলে নিচে ডাইনিং এর দিকে চললাম।
ডাইনিং এ গিয়ে আম্মুকে চেয়ারে বসিয়ে,আমি নিজেই সবার জন্যে সার্ভ করে দিলাম খাবার। এরপর আমিও বসে পড়লাম জুমুর পাশে।
“ইতি কোথায়, সাদিফের মা?”(খালু)
“ও শপিং এ গিয়েছে।ঐখান থেকে পার্লারে যাবে।লাঞ্চ রেস্টুরেন্ট থেকে সেরে নিবে বললো।”(আম্মু)
“ওহহ আচ্ছা। সাদি আসবে না?ফুল মা, সাদি কখন আসবে বলেছে?”(খালু)
“খালু,উনি তো বললো মিটিং এ আছেন।কবে আসবে সেটা বলেননি।”(আমি)
“তাই বলো।আমি কল দিয়েছিলাম।রিসিভ করেনি।এখনো মনে হয় মিটিং এ।”(খালু)
এভাবে হাল্কা টুকটাক কথা বলে সবাই লাঞ্চের পর্ব শেষ করলাম।
সব কিছু গুছিয়ে, আমি আর জুমু উপরে জুমুদের রুমে চললাম।কারণ,এখন আমি একা রুমে বসে কি করবো।একা রুমে ঘুমানো সম্ভব না আমার পক্ষে।এখন একা থাকতে পারলেও সন্ধ্যার সময়ে আমি একা জীবনেও থাকতে পারবো না রুমে।তাই, জুমুর সাথে ওর রুমেই গেলাম।
সাদিফকে কল দিতে গিয়েও কল দিইনি। কারণ উনি ফ্রি হলে নিজ থেকেই কল দিতেন।তাছাড়া খালু বললেন,উনি কল করেছিলেন কিন্তু সাদিফ কল রিসিভ করেননি।তার মানে উনি এখনো ব্যস্ত আছেন।
জুমু আর আমি শুয়ে শুয়ে আমার আর সাদিফের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখছি ল্যাপটপে।
বেশ কিছুক্ষণ পরে দরজায় নক পড়লো।
“কে?”(জুমু)
“আপা আমি আশা। বড় ভাইজান আইছে। ভাবীরে যাইতে কইছে রুমে।”(আশা খালা)
“আচ্ছা শুনেছি।আপনি গিয়ে খাবার গরম করুন।”
(আমি বলে উঠলাম)
“আইচ্ছা ভাবী।”(আশা খালা)
আমি রুমে যাওয়ার জন্যে উঠে বসলাম।চুলে হালকা একটা খোঁপা করে নিলাম।
জুমু চোখ টিপ দিয়ে আমাকে বললো…
“যান যান ভাবী।আমার ভাইয়াকে আদর করার টাইম চলে এসেছে।”
আমি জুমুর গায়ে একটা চড় দিলাম।
“ফাজিল।মুখের কোনো শরম নেই?যেমন ভাই তেমন বোন।”
জুমু শোয়া অবস্থায় হেসে উঠলো..
“অফকোর্স আমি আমার ভাইয়ের মতোই হবো।যাও যাও,আমার ভাই অপেক্ষা করছে তোমার জন্যে।”
তোকে আমি পরে এসে মাইর লাগাবো।
শাড়ি ঠিক করে আমি রুমের দিকে এগোলাম।
রুমে গিয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।এই লোক আগে কতো গোছালো ছিলো।আর এখন!বেডের উপর উনার পায়জামা,পাঞ্জাবি,কোটি,গেঞ্জি সব ফেলে রেখেছেন।আশ্চর্য,ক্লথ হ্যাঙ্গার চোখে পড়েনা নাকি!
উনার কাপড়গুলো হ্যাঙ্গারের সাথে রেখে দিলাম। বেড এর চাদর ঠিক করে উনার মোবাইল চার্জে লাগিয়ে দিলাম।
ওয়াশ্রুমের দরজার শব্দ হতেই সেদিকে ফিরলাম। সাদিফ কোমরে তাওয়াল পেঁচিয়ে অন্য তাওয়াল দিয়ে মাথা মুছে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন।
“এই আপনি কি বাচ্চা নাকি?এভাবে ওয়াশরুম থেকে কে বের হয়?কতবার বলেছি আমি,এভাবে বের হবেন না।অন্য কেউ চলে আসলে রুমে?আর নিজের কাপড়গুলো একটু ঠিক করে রাখলে কি হয়!আর যদি কাপড় রেখেছেন বেডে।দেখবেন কি করি আপনাকে!”
সাদিফ আমার কাছে এসে তাওয়াল দিয়ে মাথা মুছে সেটা বেডে রেখে আমার কোমর জড়িয়ে ধরলেন।উনার গায়ে লাগানো বিন্দু বিন্দু পানি আমার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে নিলেন।
“আগে তো বউ ছিলো না।তাই বেশ গোছালো ছিলাম।কিন্তু এখন বউ আছে।আমি যতবার অগোছালো হবো আমার বউ ততো আমাকে গুছিয়ে দিবে।”
উনার ঠান্ডা হাত আমার কোমরে রাখতেই আমি কেঁপে উঠলাম।শুধু স্পর্শ করলে একটা কথা ছিলো।কিন্তু না,উনি এতো ভালো মানুষ না।হালকা করেই একটা খামচি দিলো কোমরে।
আমি রাগী চোখে উনার দিকে তাকাতেই, উনি আমার দিকে ঝুঁকে আমার কপালে উনার ঠোঁট ছোঁয়ালেন।
আমি উনার বুকে ধাক্কা দিতেই , সাদিফ আমার হাত ধরে ফেললেন…
উনি আমার গালে চুমু দিয়ে আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন।
এভাবে আচমকা আক্রমণে আমি পুরোই অবাক হয়ে আছি।উনার বাহুতে জোরে খামচি দিলাম।কিন্তু না,উনার কোনো হেলদুল নেই।
ইচ্ছে মতো আমাকে চুমু দিয়ে এবার আমায় ছাড়লেন উনি।
আমি ঠোঁটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।আর উনি ট্রাউজার পড়তে লাগলেন।
“যতবার আদর দিতে বাধা দিবি,ততবার এভাবে অত্যাচারিত হবি।”
আমি তো উনার সাথে শক্তি দিয়ে পারবো না।তাই আমি উনাকে বলে উঠলাম…
“আদর খাবেন শুধু নাকি ভাতও খাবেন?আশা খালাকে কি মানা করে দিবো খাবার গরম করতে?”
উনি টি শার্ট গায়ে দিয়ে বললেন…
“তোমার ইচ্ছে। তুমি ভাত দিলে খাবো নাহলে খাবো না।কিন্তু আদর আমি করবোই সেটা তোর ইচ্ছে হোক বা না হোক।”
“আপনি এতো পঁচা কেনো?”
“কিজানি!তোকে দেখলে আমার কন্ট্রল হয় না।তাই আদর করি বেশি বেশি।”
“চুপ করুন। আমি খাবার এনে দিচ্ছি।”
“নাহ।নিচে চল।কষ্ট করে আনা লাগবে না উপরে।”
আমি নিচে নামছি আর আমার পিছে উনি মোবাইলে কথা বলে আসছেন।
উনি খাবার শেষ করতেই,আমাকে কিছু করতে হলো না।আশা খালা সব ঠিক করবেন।
তাই উনার পিছু পিছু আমিও রুমে চলে এলাম।
আমি বেডে শুতেই উনি আমার বুকের উপর এসে শুয়ে পড়লেন।
ফোনে কথা বলছেন উনি।
এক হাতে মোবাইল ধরেছেন,আরেক হাত দিয়ে আমার মুখ,গলা ছুঁয়ে দিচ্ছেন।উনার এই স্পর্শগুলো আমার বেশ ভালো লাগে।
আমি আলতো করে উনার মাথায় চুমু দিলাম।
উনার ফোনে কথা বলা শেষ হতেই, শুরু করে দিলেন উনার সেই রোমান্টিক টর্চার।
আমার বুকের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েছেন সাদিফ।আমাকে ইচ্ছেমতো জ্বালিয়ে নিজে এখন শান্তিতে ঘুমুচ্ছে।অবশ্য,একটু পরে আবারো চলে যাবেন উনি অফিসে।আবার আসবেন সেই রাতে,এগারোটার পরে।
উনার ঘন ঘন নিঃশ্বাস আমার বুকে পড়তেই এক অজানা ভালোলাগা কাজ করছে।
সাদিফকে আমার লাইফে দেওয়ার জন্যে আল্লাহ্ এর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া।
এসব ভেবেই, সাদিফের কপালে অনেকগুলো চুমু দিলাম আমি।আর মনে মনে বললাম.. আই লাভ ইউ মাই লম্বু।
চলবে…❤️
কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ গল্প কপি করবেন না।আমার পেজ ছাড়া আমি আর কোথাও গল্প পোষ্ট করবো না।সো,কপি করা নিষেধ।
আমার এক্সাম চলছে ভাই ও বোনেরা। আমি চাচ্ছি,ফাইনাল এক্সাম শুরুর আগেই গল্প শেষ করে দিবো।কারণ তখন আমি চেয়েও গল্প দিতে পারবো না।তখন তোমাদের কষ্ট লাগবে অনেক।আর একটা গল্প অনেক বেশি পার্ট হলে দেখতে ভালো লাগে না।
সো, গেট রেডি ফর দা নেক্সট স্টোরি।