#বৈধ_দৃষ্টি
#পর্বঃ১৮
#ফাতেমা_জান্নাত
—“এই মেয়ে বিয়ের মতো একটা অনুষ্ঠানে ও তুমি এসব আল্লা খাল্লা পরে এসেছো কেন?বিয়ের মতো একটা দিন কি এসব বোরকা না পরলে হয় না?”
রাফিয়ার পাশ থেকে -ই কথা টা বলে উঠে সুবর্ণার শাশুড়ি। রাফিয়া মহিলা টির দিকে চোখ ছোট ছোট করে নজর দেয়।গোলাপি রঙ এর একটা শাড়ি পরা মহিলা টি।মাথার চুল গুলো ও স্টাইল করে পেঁচিয়ে লাগানো।বয়স মোটামুটি হলে ও রাফিয়ার মনে হচ্ছে।মহিলাটি হাইফাই সাজ দিয়ে নিজের বয়স আড়াল করার চেষ্টা করছে।
মহিলা টির দিক থেকে চোখ সরিয়ে রাফিয়া নিজ এর দিকে নজর দেয়।সে নিজে কে পরখ করে দেখে।সে খারাপ কি পরেছে?কালো বোরকা বড় একটা হিজাব দিয়ে সম্পূর্ণ বাহু সহ মাথা ঢাকা।আর সর্ব শেষে নিকাব দিয়ে মুখ ঢেকেছে।এই তো বেশ।এখানে রাফিয়া খারাপ এর কিছু খুঁজে না পেয়ে মহিলা টার উদ্দেশ্যে বলে উঠে,
—কেন আন্টি বোরকা এর মাঝে খারাপ কি আছে?আর আমি তো খারাপ কিছু পড়ি নি।
মহিলাটা চোখ মুখ কুঁচকে নেয় রাফিয়ার কথায়।তার মুখ ভঙ্গি দেখে- ই বুঝা যাচ্ছে রাফিয়ার কথা তার পছন্দ হয়নি। তাই বিরক্ত নিয়ে- ই বলে উঠে,
—আজকে বিয়ের মতো এমন একটা দিনে ও কি বোরকা পরাটা বাধ্যতা মূলক ছিলো নাকি?
রাফিয়া মৃদু হেসে বলে,
—আমার জন্য ছিলো আন্টি। কোথায় বলা আছে যে,বিয়ে তে বোরকা পরা যাবে না।পর্দা সর্বত্র -ই করতে হয় আন্টি।বিয়ে বাড়িতে বিশেষ করে অধিক বেশি পর্দা করতে হয়।বিয়ে বাড়ি তে চার দিকে বেগানা পুরুষ এর আনাগোনা। চাইলে চার দিকে নজর ভুলিয়ে দেখে নিতে পারেন আন্টি।
—তুমি বড্ড বেশি কথা বলো মেয়ে।নিজ এর দিকে তাকিয়ে দেখেছো?এসব আল্লা খাল্লা পরায় তোমায় কেমন লাগছে?
—সমস্যা নাই আন্টি। খারাপ দেখতে লাগলে ও আমার কোনো অসুবিধা নেই।আমি সুন্দর দেখানোর জন্য পর্দা করি না আন্টি। পর্দা আমি ফ্যাশন হিসেবে নিই না আন্টি। পর্দা করি আমি আমার আল্লাহ কে খুশি করার জন্য।আমার স্বামীর হক ঠিক রাখার জন্য।আমার রাসুল (সা:) এর বর্ণিত সকল হাদিস বাণীর সম্মানার্থে কথা গুলা কে মন থেকে মান্য করে -ই আমি পর্দা করে আন্টি।আমার বাবা,স্বামী, ভবিষ্যৎ সন্তান কে আমি দাইউস নামে পরিচিত করতে চাই না।একটা মেয়ে বে পর্দায় চলা ফেরা করলে সেই মেয়ের বাবা,বড় ভাই,স্বামী, বড় ছেলে দাইউস নামে পরিচিত হবে।এবং মেয়ে টাকে পর্দার মাঝে না রাখার শাস্তি দেওয়া হবে তাদের।যা আমি চাই না।তাই আমি এই বোরকা আর আপনার ভাষায় আল্লা খাল্লা পড়ে বেরিয়েছি।কারণ আমি বেগানা পুরুষ দের সামনে আমার চেহারা শরীর এর গঠন প্রদর্শন করতে চাই না আন্টি।
—এই মেয়ে তুমি আমাকে এত কথা কেন শুনালে? তোমাকে আমি মাত্র এক দুই টা কথা জিজ্ঞেস করেছি।অথচ তুমি আমাকে কত গুলো কথা।শুনিয়ে দিয়েছো। বড় দের সাথে এভাবে কথা বলতে- ই শিখেছো নাকি তুমি?
—আন্টি এখানে তো আমি আপনাকে খারাপ কিছু- ই বলি নি।শুধু মাত্র আমার বোরকা পরার কারণ টা বললাম।
—চুপ করো।বে’য়াদপ মেয়ে।আবার মুখে মুখে কথা বলে।
রাফিয়া সুবর্ণার শাশুড়ির দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নিচু করে সেখানে থেকে চলে যায় বাসার ভিতর এর দিকে।সে বাহিরে যেতে চায়নি। কিন্তু তার মামি পাঠিয়েছে বলেছে,মহিলা দের সকল এর খাওয়ার জায়গায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা এক নজর দেখে আসতে।মহিলা দের কে মহিলারা সার্ভ করে দিচ্ছে।রাফিয়া তার মামির কথা রাখতেই রুম থেকে বের হয় বোরকা, হিজাব, নিকাব পড়ে।খাওয়ার জায়গায় এসে দেখলো সব- ই ঠিক ঠাক হচ্ছে।তাই রাফিয়া এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।ঠিক সেই মুহূর্তে -ই সুবর্ণার শাশুড়ি এসে রাফিয়া কে কথা গুলো বলে।রাফিয়ার সাথে মহিলা টার সাথে একবার -ই দেখা হয়েছে বাসার ভিতরে।
–
রাফিয়া নিজ এর রুমে এসে নিকাব খুলে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। মহিলা টির কথা শুনে রাফিয়ার খারাপ লাগছে খানিক টা।চাইলে সে ও আজ মহিলা টা কে হাজার কয়েক কথা শুনিয়ে দিয়ে আসতে পারতো। কিন্তু রাফিয়া তর্কে জড়ায়নি।কারণ হাদিসে বলা আছে যে
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি ন্যায়ের ওপর থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া ছেড়ে দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের জিম্মাদার। যে ব্যক্তি কৌতুকের ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।
রেফারেন্সঃ
(সুনানে আবু দাউদ ৪৮০০)
তাহলে কি দরকার আছে।শুধু শুধু তর্কে জড়িয়ে জান্নাত হারানোর। উনার হিসাব উনি দিবেন।আর রাফিয়ার হিসাব রাফিয়া দিবে।পরকালে কেউ কারো দিকে তাকিয়ে ও দেখার সময় পাবে না।তবু ও একটা মেয়ে হয়ে আরেক টা মেয়ের পর্দা করা নিয়ে এভাবে কথা বলা তে খারাপ লাগছে রাফিয়ার।
রাফিয়া তপ্ত শ্বাস ছেড়ে আকাশ এর দিকে তাকায়।সূর্য এর জন্য ঠিক মতো তাকানো টা দায় হয়ে পড়েছে।তবু ও রাফিয়া চোখ পিট পিট করে তাকায়।চার দিকে আলোক রশ্মি ছড়িয়ে আলোকিত করে রেখেছে ভুবন। রাফিয়া আকাশ পানে তাকিয়ে বলে উঠে,
—আল্লাহ তোমাকে খুশি করতে গিয়ে যদি সবাই আমাকে খারাপ বলে তাতে ও আমার আপসোস নেই আল্লাহ।”হাসবুন আল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল”
– আমার জন্য আমার আল্লাহ’ই যথেষ্ট।
আমি জানি আল্লাহ তুমি সব সময় তোমার প্রতি টা বান্দার সাথে থাকো।আমাকে ধৈর্য দিয়ো আল্লাহ এসব মানুষ দের তিক্ত তা সম্পন্ন কথা গুলো যাতে আমি সহ্য করতে পারি।
কথা গুলো বলে -ই রাফিয়া তার চোখের কোণে আসা পানি গুলো মুছে নেয়।আবার আকাশ এর দিকে তাকায়।শত কথা নিরবে ব্যক্ত করে আল্লাহর কাছে।
🌸🌸
বাইরে পুরুষ মহল এর সকল এর খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ। তবে এখনো পাত্র পক্ষের কেউ যায়নি।সুবর্ণা কে সাজানো কমপ্লিট হয়নি।তাই এখনো সকলে উপস্থিত আছে।
সাফওয়ান মাত্র অবসর হয়েছে।পুরুষ দের প্যান্ডেল থেকে বের বের হয়ে চার দিকে একবার চোখ ভুলিয়ে রাফিয়া কে খুঁজে নেয়।এখানে রাফিয়া কে খুঁজতে গিয়ে ও তার মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার উপক্রম। পাত্র পক্ষের বাড়ি থেকে আসা ঘুটি কিছু মহিলা বোরকা পরে এসেছে। বাকি সবাই বোরকা ছাড়া।শাড়ি পরেছে তা ও কোমড় দেখিয়ে।
সাফওয়ান বিরক্ত হয়ে বাসার ভিতরে চলে যায়।যাওয়ার আগে চম্পার সাথে দেখা হতে- ই চম্পা কে ডেকে বলে,
—শুন চম্পা।
চম্পা সাফওয়ান এর দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে বলে,
—জি ভাইজান বলেন।
—তোকে না আমি বলেছি ভাইজান বলবি না।শুধু ভাইয়া বলে ডাকবি।আর কত দিন তোকে না করতে হবে?এবার থেকে যেন আর ভুল না হয়।
—আচ্ছা ভাইজা…থুক্কু ভাইয়া। এবার থেকে ভাইয়া বলেই ডাকবো।
চম্পার কথায় সাফওয়ান হেসে দিয়ে বলে,
— এখন একদম আমার বোন মনে হচ্ছে তোকে।তোর ভাবি কই?
—ভাবি তো রুমে।
—খেয়েছিস তুই?
—জি ভাইয়া খেয়েছি ।রান্না অনেক ভালো হয়ছে।
সাফওয়ান হেসে দেয় চম্পার কথার শুনে। পর মুহূর্তে আবার বলে,
—আচ্ছা। যদি পারিস তাহলে এক প্লেট ভাত আর সাথে কিছু নিয়ে আমাদের রুম এর দিকে নিয়ে আয়।তোর ভাবি বোধহয় এখনো খায়নি। তুই গিয়ে মাকে বল।মা দিয়ে দিবি তোর হাতে।
—ভাবি তো এখনো খায় নাই।কিন্তু ভাইয়া আপনি যদি পরে আবার বকেন আমাকে রুমের সামনে গেলে?
—বকবো না।তুই নিয়ে আয়।আমি যাচ্ছি।
—আচ্ছা।
বলেই চম্পা চলে যায় সাবিনা আর রাফিয়ার মামির কাছে।সাফওয়ান ও দৃষ্টি নিচের দিকে নত করে উপরে নিজে দের রুমে চলে যায়।চার দিকে মহিলারা ঘুরছে।এই মুহূর্তে কারো দিকে দৃষ্টি ফেলা ও ফিতনায় পড়ে যাওয়া। তাই সাফওয়ান কোনো দিকে না তাকিয়েই রুমে চলে যায়।
🌸🌸
জানালার গ্রিল ধরে হাজার ভাবনা ভেবে চলছে রাফিয়া। ঠিক সেই মুহূর্তে নিজ এর পেটের উপর কারো হাতের ছোঁয়া পেতেই মৃদু কেঁপে উঠে।সাফওয়ান রাফিয়া কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়।রাফিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ।সাফওয়ান কে নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে রাফিয়া বলে উঠে,
—কি দেখছেন এভাবে?
সাফওয়ান কিছু বলে না রাফিয়ার কথার পৃষ্ঠে। বিমোহিত দৃষ্টি পেলে তাকিয়ে থাকে রাফিয়ার দিকে।কতক্ষণ সময় গিয়েছে এভাবে তাকিয়ে থাকার মাঝে জানা নেই দুই জনের কারোর- ই।হুট করে সাফওয়ান রাফিয়ার কপালে ভালোবাসার উষ্ণ পরশ দিয়ে রাফিয়া কে বলে উঠে,
—চারদিকের এতো নারী ফিতনার মাঝে, তবুও আমার মনে আমার স্ত্রী কে ভালোবাসার হাজারো স্বপ্ন সাজে।আলহামদুলিল্লাহ।
সাফওয়ান এর কথায় রাফিয়া মাথা নিচু করে হাসে।চম্পা এসে দরজা নক করতেই সাফওয়ান গিয়ে দরজা খুলে খাবার নিয়ে আবার দরজা আটকে দেয়।রাফিয়া সাফওয়ান এর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে,
—খাবার কে এনে দিলো?
—চম্পা। ওকে বলে এসে ছিলাম। খাবার দিয়ে যেতে।
—আমি বাড়ির মেয়ে দের সাথে খেয়ে নিতাম। এখানে কেন আনতে গেলেন।সবাই কি ভাববে?
—যে যা ইচ্ছা ভাবুক তাতে আমার কি?মেয়েরা সুবর্ণা কে আটা ময়দা লাগানো শেষ করেই খাবে।ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করবেন নাকি খালি পেটে?মোটেও না।তার থেকে ভালো আমি এনে নিয়েছি।এখন বসুন আমি খাইয়ে দিই আপনাকে।
—আমি বাচ্চা নাকি?আমি নিজে হাতে খেতে পারবো।
—জানি তো।কাটা হাতে ঠিক- ই খেতে পারবেন।
—মানে?কিসের কাটা হাত?
—আমার থেকে লুকানোর চেষ্টা করবেন না রাফিয়া। সকালে আপনার মামি যখন আপনাকে ফল গুলো কাটতে দিয়ে গিয়ে ছিলো। তখন-ই ছু’রির দ্বারা হাতের আঙুল কেটেছে।আমি ঠিক- ই লক্ষ করেছি।তবে কাজ হাতে থাকায় আসতে পারিনি।চম্পা যে আপনাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে গিয়ে ছিলো। ওগুলো আমি- ই চম্পা কে দিয়ে পাঠিয়ে ছিলাম আমি কাজের জন্য আসতে পারিনি বিধায়।
রাফিয়া ধরা পড়ে গিয়ে আর কিছু বলেনি।সকালে যখন সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলো তখন না পেরে রাফিয়ার মামি তাকে ফল কেটে রাখতে বলে ছিলো। আর বেখেয়ালি ভাবেই তখন হাত টা কে’টে যায়।সে কাউকে জানায়নি।তবু ও সাফওয়ান এর চোখে তার আ’ঘাত প্রাপ্ত হাত টা এড়ায় নি।সাফওয়ান রাফিয়া কে খাইয়ে দিচ্ছে।আর এটা সেটা নিয়ে টুকটাক কথা চলছে দুই জন এর মাঝে।ঠিক সেই মুহূর্তে আবার দরজায় করাঘা’ত পড়ে।সাফওয়ান রাফিয়া একটু আড়ালে বসতে বলে নিজে গিয়ে দরজা খুলে। দেখে তার-ই বয়সী একটা ছেলে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে হেসে আছে সাফওয়ান ভ্রুকুটি কুঁচকে ছেলে টাকে বলে,,
—কি চাই ভাইয়া?
ছেলেটা আগের ন্যায় হেসে বলে,
—একটু বিশ্রাম নিতে এসেছি ভাইয়া। যদি সরতেন তাহলে একটু রুমে ঢুকে বিশ্রাম নিতাম।বাকি রুম গুলো ব্লক হয়ে গেছে।
সাফওয়ান প্রতি উত্তরে হেসে দিয়ে বলে,
—মাফ করবেন ভাইয়া।এই রুমে প্রবেশ নিষেধ।
ছেলেটা প্রশ্নাত্মক দৃষ্টি নিয়ে ভ্রু কুঁচকে সাফওয়ান কে বলে,
—কেন?
—এই রুমে বাতাস কম আসে।সূর্য এই মুহূর্তে ঠিক এই রুম এর ছাদের উপর কিরণ দিচ্ছে।যার ফলে এই রুমে এখন প্রচুর গরম।বিশ্রাম নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আসলে ও ক্লান্ত হয়ে বের হতে হবে আপনাকে।তাই এই রুমে না প্রবেশ করা টাই বেটার।
—সমস্যা নেই ভাইয়া। আমি থাকতে পারবো।
সাফওয়ান এর এবার বেশ রা’গ হলো ছেলেটা র উপর। তবু ও নিজে কে নিজের রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করে বলে উঠে,
—ভাইয়া ছাদে চিলেকোঠার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ এর জায়গা আছে।আর সেখানে সূর্য এর তাপ ও কম।আপনি সেখানে যেতে পারেন।
—আশ্চর্যজনক কথা বলেন আপনি।আমি যখন বলেছি আমার সমস্যা নেই তাহলে আপনি আমাকে ঢুকতে দিচ্ছেন কেন এই রুমে।
সাফওয়ান মৃদু হাসির রেখা টেনে বলে,
—এখানে আমার শেহজাদী আছে ভাইয়া। আমি উনার পর্দার খেয়ানত করতে চাই না।আপনি আমাকে মাফ করবেন।
সাফওয়ান এর কথা টা শুনে লোকটা অবাক হয়ে গেলো। বউ এর পর্দার খেয়ানত হবে বলে এতক্ষণ তাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এটা সেটা বলে এখান থেকে যেতে বলেছে।তবু ও রুমে ঢুকতে দিবে না।স্ত্রী কে পর্দার আড়ালে রাখার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।লোক টা আর কিছু না সাফওয়ান এর কাঁধে একটা হাত রেখে একটু হাসি দিয়েই স্থান ত্যাগ করে।
সাফওয়ান দরজা আটকে দিয়ে পিছন ফিরে দেখে রাফিয়া ছলছল নয়নে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।সাফওয়ান হেসে দিয়ে আরেক বার রাফিয়ার ললাটে অধর ছোঁয়া দিয়ে বলে,
—বলেছিলাম না।আপনাকে পর্দার মাধ্যমে হেফাজতে রাখার দায়িত্ব আমার।কথা যখন দিয়েছি। খেলাফ কি করে করি কথার।
বলেই রাফিয়া কে জড়িয়ে ধরে সাফওয়ান। রাফিয়া ও সাফওয়ান এর বুকে মাথা এলিয়ে দেয়।
চলবে ইনশাল্লাহ
ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। শুধরে নিবো ইনশাল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।