#আমার_ফুলবাবু❀
#পর্ব_০৭ & ০৮
#লেখনীতে-#ফিহা_আহমেদ
(❌কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ❌)
#০৭.
ঝুমু চইলছে একলা পথে
সঙ্গী হইলে দোষ কি তাতে
রাগ করিস না সুন্দরী গো
রাগলে তোরে লাগে আরও ভালা
ঝুমু চইলছে একলা পথে
সঙ্গী হইলে দোষ কি তাতে।
হার মাইনছে, দিনের আলো
রাগলে তোরে লাগে আরও ভালা
সুন্দরী চইলছে একলা পথে।
গানটি বলতে বলতে খায়ের বাঁকা হেসে ঝুমার সামনে এসে দাঁড়ালো।ঝুমা ভয় পেয়ে হাতে থাকা স্কুল ব্যাগটা শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো।
— কিরে ঝুমু ডরাইছচ।আইজ্জা তো ইভাইন্না নাই।আইজ্জা তোরে কেঠায় বাঁচাইবার আইব।আইজ তো তুই একলা তোর লগে কেউ নাই। আইজ এই খায়েরের থাইকা কেঠায় তোরে বাঁচাইবার আসব।আইজ তো তোরে আই বিয়া কইরা ই ছাড়ুম ঝুমু।(খায়ের ঝুমার হাত ধরে কথাটি বললো)
(ইভান সকালে ই চলে গেছে শহরের উদ্দেশ্যে।লতা বানু সকাল থেকে অসুস্থ তাই ঝুমার সাথে আসতে পারেনি।ঝুমা একাই স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো।)
ঝুমা ভয়ে কান্না করা শুরু করলো। খায়ের ঝুমার হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে তার বাড়ি নিয়ে আসলো।
— বাপ এই বাপ ঘর থাইকা বার হ্ কইতাছি।(খায়ের)
রশীদ খায়েরের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।
— কিতা হইছে খায়ের। এমনে ডাকছ ক্যা?(রশীদ)
— বাপ তাড়াতাড়ি কাজি নিয়া আয়।আই আইজ্জা ঝুমুরে বিয়া করবার চাই।(খায়ের)
— আব্বা তোরে এর থাইকা ভালা মাইয়া আইনা দিমু তুই এই মাইডার পিছ ছাইড়া দে খায়ের।এই মাইয়ার লাই আর মেম্বারি চইলা যাইব।(রশীদ চিন্তিত হয়ে বললো)
— না আই এরে আইজ্জা ই বিয়া করবার চাই। পল্টু পল্টু।আব্বে হালা তুই কোন হানে তাড়াতাড়ি মোর লাই কাজি লইয়া আয় মুই বিয়া করমু। (খায়ের চিল্লিয়ে বললো)
ঝুমা কান্না করেই যাচ্ছে।ঝুমা হাত মোচড়ামুচড়ি করছে খায়েরের হাত থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য।
— ঝুমু চুপ যা।নইলে থাপ্পড়াইয়া তোর দাঁত ফালাইয়া দিয়াম। (খায়ের ধমক দিয়ে বললো)
খায়েরের ধমকে ঝুমা চুপ হয়ে গেল।ঝুমা ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে।
______
— এই লতা উঠ।তোর মাইয়ারে খায়ের আবার তুইলা নিয়া গেছে বিয়া কইওো।
লতা ধড়পড় করে ঘুম থেকে উঠলো।
— মিনা কিতা অইছে আর ঝুমার কিতা অইছে। (লতা চিন্তিত হয়ে বললো)
— খায়ের তোর মাইয়ারে উঠাই নিয়া গেছে।(মিনা)
লতা তড়িঘড়ি করে উঠে রফিকের ঘরে আসলো।
— লতা কিতা অইছে তোর মুখ এরম দেহাইতাছি ক্যা?(রফিক)
লতা কান্না করতে করতে বললো ,,,,,
— ভাইজান আর ঝুমারে খায়ের আবার লই গেছে। ভাই আর ঝুমারে খায়েরের তাই বাঁচান।
— তুই কান্দিস না আই দেখতাছি কিতা করা যায়।(রফিক)
লতা মিনাসহ খায়েরের বাড়ির উদ্দেশ্যে চললো।
______
— আম্মা তুই ঝুমুরে বউ সাজাইয়া নিয়া আয়। পল্টু কাজি নিয়া আইছে।(খায়ের)
ঝুমা নিঃশব্দে কান্না করে যাচ্ছে। বাহির থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে খায়ের বাহিরে আসলো।
— আরেহ্ বাস মোর শাশুড়ী আম্মায় দেহি আইয়া পড়ছে।এই মিন্টু মোর শাশুড়ী আম্মারে গুদামঘরে নিয়া বাইন্ধা রাখ।না অয় আর কাজে ঝামেলা করবার চাইব এই বেডী।সাথে ওই মিনারে ও নিয়া যা।বিয়া শেষ অইলে দুই জনরে ছাইড়া দিবি।যা এহন ই।
মিন্টু সহ আরো কয়েকটা ছেলে লতা বানু আর মিনারে জোর করে গুদামঘরে এনে চেয়ারের সাথে বেঁধে দিল।সাথে কাপড়ের টুকরা দিয়ে মুখ বেঁধে দিল।যেন কথা বলতে না পারে।
______
ফিহা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে সবাই রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
— সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছ তোমরা?(ফিহা)
— আমি বাজারে যাচ্ছি কিছু কাজ আছে আমার।আর ধ্রুব জুঁইকে ভর্তি করাতে নিয়ে যাচ্ছে।খাবার টেবিলে রেখে দিয়েছি তুই খেয়ে ভার্সিটি চলে যাস।(তাহিরা)
— ঠিক আছে যাও।সাবধানে যেও মা।(ফিহা)
ফিহা জুঁইয়ের কাছে এসে জুঁইকে জড়িয়ে ধরে বললো ,,,,,
— এই যে মেম আপনি ও সাবধানে যাবেন।ঠিক আছে।
জুঁই হেসে মাথা নাড়ালো।ধ্রুব জুঁইকে নিয়ে বের হয়ে গেল।
ফিহা মুচকি হেসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে টেবিলে বসে পড়লো খাবার খেতে।খাবার খেয়ে ফিহা ফাহাদের দেওয়া লাল পাড়ের সাদা শাড়িটি সুন্দর করে পড়ে হালকা সাজুগুজু করে বেরিয়ে পড়লো ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।
______
ফিহা ভার্সিটিতে এসে এদিকওদিক তাকিয়ে ফাহাদকে খুঁজে যাচ্ছে। কিন্তু ফাহাদের দেখা পেল না।ফিহার মনটা খারাপ হয়ে গেল।
— ভাইয়া তো বললো আজ ভার্সিটি আসবে।তাহলে কি ভাইয়া আমার সাথে মস্কারা করলো।(ফিহা মন খারাপ করে বললো)
ফিহা ক্লাসে চলে গেল ক্লাস করতে।
ক্লাস শেষে ফিহা মন খারাপ করে ভার্সিটির গেট পেরোতেই কারোর সাথে ধাক্কা খেল।ফিহা সামনে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে ধাক্কা খাওয়া ব্যক্তিকে সরি বলে চলে যেতে নিবে তখন ব্যক্তিটি তার হাত ধরে ফেললো।ফিহার পা থেমে গেল।ফিহা পিছনে ফিরে ফাহাদকে দেখে মনে মনে খুশি হলে ও ওপরে রাগ দেখালো।
— হাত ছাড় ভাইয়া বাড়ি যাব।(ফিহা গম্ভীর কণ্ঠে বললো)
— রেগে আছিস আমার ওপর ফিহু?(ফাহাদ হালকা হেসে বললো)
— আমি কারোর ওপর রেগে নেই। হাত ছাড় আমার। আমি বাড়ি যাব।(ফিহা)
— বাহ্। ভালোই লাগছে তোকে ফিহু।(ফাহাদ)
— শুধু ভালো লাগছে। ভালোই। এখন আমার হাত ছাড় বাড়ি যাব।(ফিহা রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললো)
— রেগে আছিস কেন আমার ওপর ফিহু?(ফাহাদ হেসে বললো)
— বললাম তো কারোর ওপর রেগে নেই আমি।(ফিহা)
ফাহাদ আর কিছু না বলে ফিহার হাত ধরে টেনে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে গাড়ির দরজা লক করে দিল।
— একি আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ তুমি? গাড়ির লক খুলো আমি বের হব।(ফিহা গাড়ির দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো)
ফাহাদ কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দিল।
______
এক ঘন্টা গাড়ি চালানোর পর গাড়ি থামলো চৌধুরী বাড়ির সামনে।
— তুমি আমায় তোমাদের বাড়ি নিয়ে আসলে কেন?তোমার মাথায় কি চলছে আমায় বলবে?(ফিহা)
ফাহাদ কিছু না বলে গাড়ির দরজার লক খুলে দিয়ে ফিহাকে ইশারায় গাড়ি থেকে নামতে বললো।ফিহা গাড়ি থেকে নেমে পড়লো।ফাহাদ ফিহার হাত ধরে বাড়ির ভিতর নিয়ে আসলো।বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে সামনে তাকাতেই ফিহার হাত-পা কাঁপা-কাঁপি শুরু করলো।
®ফিহা আহমেদ
____
#৮.
ফিহা ভীতু দৃষ্টিতে ফাহাদের দিকে তাকালো।ফিহাকে ভয় পেতে দেখে ফাহাদ হাসলো।ফাহাদকে হাসতে দেখে ফিহার রাগ উঠে গেল।ফিহা সামনে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে বলে উঠলো ,,,,,
— মা, ভাইয়া তোমরা এখানে?
ধ্রুব শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে ফিহার দিকে তাকিয়ে বললো ,,,,,,
— কেন এসেছি সেটা তুই নিজে ই বের কর।
ভাইয়ের কথা শুনে ফিহা আরো ভয় পেয়ে গেল।তাহিরা মুচকি মুচকি হাসছে ফিহার অবস্থা দেখে।
— লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছিস অথচ আমরা কেউ ই জানতে পারলাম না।(ধ্রুব গম্ভীর কণ্ঠে বললো)
ফিহা যেন আকাশ থেকে পড়লো এই কথা শুনে।ফিহা তৎক্ষনাৎ বলে উঠলো ,,,,
— ভাইয়া তুমি ভুল ভাবছো।আমার কারো সাথে কোনো রিলেশন নেই।(ফিহা)
— আবারো মিথ্যে বলা হচ্ছে। ফাহাদ নিজে কাল আমায় বললো তোরা দু’জন প্রেম করছিস।(ধ্রুব)
ফিহা রাগী দৃষ্টিতে তাকালো ফাহাদের দিকে। ফাহাদ হেসে যাচ্ছে ফিহার দিকে তাকিয়ে।
— ফাহাদ তোমার মা-বাবাকে নিয়ে এসো।(তাহিরা)
— যাচ্ছি শাশুড়ী আম্মু।(ফাহাদ ফিহার দিকে তাকিয়ে দুষ্ট হেসে বললো)
কয়েক মিনিট পর ফাহাদ আর বাবা-মাকে নিয়ে আসলো।ফিহাকে দেখেই ফাহাদের বাবা বলে উঠলো ,,,,
— মা-শা-আল্লাহ।(জাহের চৌধুরী|ফাহাদের বাবা|)
— মেয়ে পছন্দ হয়েছে?(মিসেস মিরা|ফাহাদের মা|মুচকি হেসে বললো)
— হুম পছন্দ হয়েছে। তাহলে এখন কি আংটি বদল সেরে ফেলব?(জাহের চৌধুরী)
— আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আপনারা রাজি থাকলে আজই আংটি বদল সেরে ফেলি।(মিসেস মিরা)
মিসেস মিরার কথায় ধ্রুব বললো ,,,,
— আমাদের সমস্যা নেই।(ধ্রুব হেসে বললো)
— তাহলে কাজ শুরু করা যাক।(ফাহাদ একগাল হেসে বললো)
সবাই একসাথে হেসে উঠলো ফাহাদের কথা শুনে শুধু ফিহা ছাড়া।ফিহা এখনও ফাহাদের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
— ফিহা মামনি তোমার কোনো আপওি আছে?(মিসেস মিরা)
ফিহা কি বলবে বুঝতে পারছে না। সে ও ফাহাদকে মনে মনে পছন্দ করে কিন্তু হঠাৎ এমন কিছু হওয়াতে ফিহা রেগে আছে সাথে শকট হয়ে গেছে।ফিহার রাগের কারন ফাহাদ মিথ্যে বলেছে সবাইকে। সে আর ফাহাদ রিলেশনে আছে।
— কি হলো মামনি চুপ কেন?(মিসেস মিরা)
— তোমার বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা কিছু করব না।যদি তুমি রাজি না হও তাহলে ,,,,, (জাহের)
জাহের কিছু বলার আগেই ফিহা তড়িঘড়ি করে বলে উঠলো ,,,,,
— আমি রাজি।
অবশেষে ফিহার সম্মতি পেয়ে ই আংটি বদল হয়ে গেল ফিহা-ফাহাদের।সবাই মিষ্টিমুখ করলো।ধ্রুবরা সবাই চলে গেল।
______
— আম্মা এই আম্মা ঝুমুরে নিয়া আয়।(খায়ের চিল্লিয়ে বললো)
শেফালী বেগম(খায়েরের মা) ঝুমুরে নিয়ে আসলো। ঝুমা ঢুলতে ঢুলতে হাঁটছে। কান্না করতে করতে ঝুমার শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে।শেফালী বেগম ঝুমারে খায়েরের পাশে বসিয়ে দিল।
— কাজি বিয়া পড়া।(খায়ের)
কাজি বিয়া পড়ানো শুরু করলো।কাজি খায়েররে কবুল বলতে বললো খায়ের সাথে সাথে কবুল বলে দিল। ঝুমারে কবুল বলতে বললো ঝুমা কবুল না বলে চুপ করে বসে আছে।ঝুমারে কবুল বলতে না দেখে খায়ের বললো ,,,,
— কিরে ঝুমু কবুল কছ না ক্যা?(খায়ের ধমক দিয়ে বললো)
ঝুমা কেঁপে উঠলো খায়েরের ধমকে।
— বুঝছি এমনে তুই কবুল কইতি না।তোরে কেমনে কবুল কওয়াইতে অয় তা আই ভালা কইরা ই জানি।পল্টু ,,,,, (খায়ের বাঁকা হেসে বললো)
— কন ভাইজান।(পল্টু)
— আর শাশু মারে নিয়া আয়।(খায়ের ঝুমার দিকে তাকিয়ে হেসে কথাটি বললো)
ঝুমা ভয় পেয়ে গেল মায়ের কথা শুনে।
— মা কি তইলে এইহানে আইছে।(ঝুমা ভয় পেয়ে মনে মনে বললো)
পল্টু লতা বানুরে নিয়ে আসলো সবার সামনে।
— কেদারায় বসাইয়া বাইন্ধা দে।লোহার টুকরা গরম কইরা নিয়া আয় তো পল্টু।(খায়ের)
খায়েরের কথা শুনে ঝুমার কলিজা কেঁপে উঠলো।
— আর মারে ছাইড়া দেন খায়ের ভাই।(ঝুমা কান্না করতে করতে বললো)
— এলা ঝুমু আই তোর কোন জন্মের ভাই লাগি। ভাই ছাইড়া কথা ক।নইলে থাপ্পড়াইয়া দাঁত ফালাইয়া দিয়াম।
পল্টু খায়েরের কথা মতো লোহার টুকরা গরম করে নিয়ে আসলো।
— ভাইজান নিয়া আইছি।(পল্টু)
লতা বানুর মুখে কাপড় বাঁধা তাই কথা বলতে পাড়ছেন না।ঝুমার দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলছেন লতা বানু।
— আল্লাহ আর মাইডারে বাঁচান।এই জানোয়ারের তাই বাঁচান।(লতা মনে মনে বললো)
— পল্টু শাশু মার সামনে গরম লোহা ধর।ঝুমু এইবার ক তুই কবুল কইবি নাকি তোর মারে গরম লোহার ছেঁকা দিতাম।ক তাড়াতাড়ি ক।(খায়ের)
— আর মারে ছাইড়া দেন খায়ের ভাই। আই আন্নেরে বিয়া করুম।(ঝুমা কান্না করতে করতে বললো)
— এইতো এতক্ষণে ভালা মাইয়ার মতো কথা কইলি। এহন কবুল ক ঝুমু।(খায়ের)
ঝুমু কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো ,,,,,
— ক….. ক ,,,,,
— ক ক করছ ক্যা কবুল কইবি নাকি ছেঁকা দিমু তোর মারে।(খায়ের ধমক দিয়ে বললো)
— ক…. (ঝুমা)
ঝুমা কবুল বলার আগেই পিছন থেকে খায়েররে কেউ পিঠ বরাবর লাথি মারলো।খায়ের মুখ থুবড়ে সামনে গিয়ে পড়লো।ঝুমা বসা থেকে উঠে পিছনে তাকিয়ে কান্নারত কন্ঠে বলে উঠলো ,,,,
— ইভান ভাই।
ইভান রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে খায়েরের দিকে।খায়ের ইভানকে দেখে ভয় পেয়ে গেল।ইভানকে দেখে ভয়ে পল্টুর হাত থেকে গরম লোহার টুকরাটি পড়ে গেল।ইভান খায়েরের কাছে এসে খায়েরকে মারা শুরু করলো।রশীদ-শেফালী ইভানের কাছে এসে কান্নাকাটি শুরু করে দিলো খায়েররে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।ইভান করো কথা শুনছে না খায়েরকে মেরেই চলেছে।
ইভানকে কথা শুনতে না দেখে রশীদ ইভানের বাবার কাছে এসে হাতজোড় করে বলা শুরু করলো ,,,,
— চেয়ারম্যান সাব আন্নের পোলারে কন আর খায়েররে আর না মাইরতে।আর পোলাডা মইরা যাইব।
রফিক কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।মারতে মারতে খায়েররে আধমরা করে ফেললো ইভান।খায়েরের খারাপ অবস্থা দেখে রফিক নিজে এসে ছেলেরে থামালেন।
— আব্বাজান আর মাইর দিছ না।এর ব্যবস্তা আই করতাছি।(রফিক)
রফিক রশীদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো ,,,,,
— তোর পোলারে ক এই গ্রাম ছাইড়া চইলা যাইতো। তা না অইলে তোর পোলারে পুলিশে দিয়াম।
রফিকের কথায় রশীদ ভয় পেয়ে বলে উঠলো ,,,,
— আইজ এহন ই পোলারে গ্রাম থাইকা বাইরে পাঠাই দিয়াম।তবু ও আর পোলাডারে মাইরেন না চেয়ারম্যান সাব।
— ঠিক আছে। তোর পোলারে এহনি এই গ্রাম ছাইড়া চইলা যাইতো ক।(রফিক)
— ঠিক আছে। এহন ই পাঠাই দিতাছি।(রশীদ)
#চলবে….
#ফিহা_আহমেদ(লেখনীতে)
(বানানে ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
[❌কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ❌]/[গল্পের কোনো অংশ ই কপি করা যাবে না।]