#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ২০]
___________________
৩৭.
রাতটা তার যেমন তেমন কেটে গেলো।অনেক চেষ্টা করেও দু’চোখে ঘুম নামলো না তাই বাধ্য হয়ে কাক ডাকা ভোরে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নিলো ঈশান।গায়ে পোলো শার্ট জড়িয়ে নিজেকে আয়নায় দেখলো কিয়ৎক্ষণ।রাসেল তখন ঘুমের মাঝ সাগরে অবস্থান করছে এই ছেলে ঘুম ভাঙিয়ে তীরে ফিরবে কখন কে যানে।ঈশান তাদের বাগানটায় ঘুরলো বেশ কিছুক্ষণ।বাগান করার শখ তার কোন কালে ছিল না।রাসেল বেশ পছন্দ করে গাছগাছালি। চাকচিক্যের জীবনে ব্যস্তময় দিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যখন তখন সরু রাস্তার পাশে সুসজ্জিত ফুল ফলের গাছগুলো তার নজর কাড়ে।এছাড়াও এসব গাছের দেখা শোনা করেন বিশ্বস্ত লোক কাশেম।তিনি নিজেও গাছ প্রেমি তাই যখন যে গাছ পছন্দ হয় নার্সারি থেকে এনে লাগিয়ে রাখেন।প্রতি সাপ্তাহে লোক এনে পরিষ্কার করান।এই মানুষগুলোর সাথে থাকতে থাকতে ঈশান এখন নিজেও গাছ প্রেমি হয়েছে বলা চলে।বিল্ডিং এর পেছন সাইডে একটা পুল আছে।ঈশান এবং রাসেল ছুটির দিন এখানে দাপিয়ে বেড়ায়।বেশ কয়েকদিন হলো ব্যস্ততাকে আকড়ে ধরতে পুলে নামা হলো না তাদের।মনে মনে ঈশান ভেবে রাখলো আজ দুপুরে পুলে নামতে হবে।
হাত ঘড়িতে সকাল ছয়টা বাজতে দেখে দেহটা টান টান করে ছুটে চললো ঈশান।দায়োরায়নের সাথে কাশেমকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো মুহূর্তে।
” ভালো আছেন কাশেম চাচা?”
” আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো।নাস্তা পানি তৈরি হচ্ছে এখন কি বের হবে?”
” হ্যা এক্ষুনি বের হবো।”
” নাস্তা করে যাও বাবা।”
” ফিরে আসবো আমি।একটা বিষয়ে জানার ছিলো এখানে সবচেয়ে বড় বাজার কোথায়?ফ্রেশ মাছ পাওয়া যাবে কোন বাজারে?”
” লাগবে?আমি এনে দিবো কি কি মাছ লাগবে আমাকে লিস্ট দিও।”
” না মাছ লাগবে না তবে আমি আজ বাজার ঘুরতে যাবো।”
“একা যাবে কেন চলো আমি নিয়ে যাই।”
” না চাচা আজ শুধু দেখবো।মা আসছেন ইচ্ছে আছে আমার হাতে বাজার করে মা’কে খাওয়াবো।”
চকচক করে উঠলো কাশেম চাচার চোখ জোড়া।এই দুইটা ছেলে মা বাবাকে ছাড়া কতটা বছর কাটিয়ে দিলো।মাঝে মাঝে মা’কে নিয়ে আফসোস শোনা যায় তার মুখে।
” আমি ড্রাইভার কে বলে রাখবো তোমায় নিয়ে যাবে বাবা।”
ঈশান বাজারে পৌঁছালো সাড়ে ছয়টা নাগাদ।আজ ছুটির দিন বলে বাজারে বেশ ভীড়।ঈশান ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো বাজারের ভেতর।আশেপাশে মানুষের সঙ্গে ধাক্কা লাগতে সাত সকালে মেজাজটা বেশ চড়া হলো।তবে আবার মনে মনে ভাবলো বাজার মানেই এমন। এভাবে রেগে যাওয়া ঠিক নয়।ঈশান পকেট থেকে মাক্স বের করে দ্রুত লাগিয়ে নিলো।
ঈশান মাছ বাজারের সামনে এসে দাঁড়ালো।দোকানিরা সাহেব বাবু দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ার জোগাড়।ঈশানের হাভ ভাবে বোঝাই যাচ্ছে ছেলেটা বাজার সংক্রান্তে অপটু।মাছ দোকানি তাকে খুঁজে খুঁজে নরম মাছগুলো দেখাচ্ছে।তার উপর বলছে চড়া দামে।দোকানিদের চাপার জোরটা এতো যে নরম মাছটাকে ঈশান তাজা মাছ ভেবে কেনার জন্য মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো।দোকানিদের এসব বাটপারি দেখে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য ক্রেতা রেগে গেলেন।
” ছেলেটা বুঝে না বলে তাকে ঠকাচ্ছেন কেন?”
ঈশান চমকে তাকালো পাশে।ঈশার বাবাকে দেখতে পেয়ে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়ে।তবে ঈশার বাবা মুজাহিদ হাসান এখনো চিনলেন না ঈশানকে।হয়তো মাক্সের কারনে।তিনি ঈশানের চোখে চোখ রেখে বলেন,
” এর আগে মাছ কিনো নাই তাই না?”
ঈশান মাথা দুলালো।স্মিথ হাসলেন মুজাহিদ হাসান।
” মাছ কিনতে সবসময় কানকোতে নজর রাখবে।কানকো কাকে বলে চিনো?”
” না আঙ্কেল।”
মুজাহিদ হাসান একটি মাছের কান উলটে দেখালেন ঈশানকে।
” যে মাছের কানকো লাল থাকবে সেটা ফ্রেশ।আর যে মাছের কানকো ফ্যাকাসে মাছটা নরম সেগুলো নষ্ট।কিছু মাছ বরফ দিয়ে রাখা হয় বরফের মাছ অতি প্রয়োজন ছাড়া কিনবে না সবসময় ফ্রেশ মাছ কেনার চেষ্টা করবে।টাটকা মাছ কখনোও শক্ত হবে না, আবার নরমও হবে না। তাজা মাছ হবে বাউন্সি। তুমি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে দেখবে যে মাছ একদম শক্ত, বুঝবে যে সেটা ফ্রিজে রাখা ছিল। আর যদি আঙ্গুল দিলেই দেবে যায় ভেতরে, বুঝবে মাছের বয়স হয়েছে। তাজা মাছে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে দেবে যাবে। কিন্তু আঙ্গুল সরিয়ে নিলেই জায়গাটা ঠিক হয়ে যাবে”
“আমি বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আঙ্কেল।”
ঈশান তার মুখের মাক্স খুলে নিলো সঙ্গে সঙ্গে চমকে তাকালেন মুজাহিদ হাসান।তার বিচলিত মুখখানি দেখে মনে মনে হাসলো ঈশান।
” আসসালামু আলাইকুম স্যার ভালো আছেন?”
মুজাহিদ হাসান সালামের জবাব পেলেন না।ঈশান চুপচাপ তাকিয়ে আছে তার দিকে।
” আমায় আপনি করে ডাকা বন্ধ করুন আঙ্কেল।তাছাড়া স্যার বলবেন না।আপনার সাথে আমার কোন অফিসিয়াল লেনদেন নেই যা ছিল সেটা পূর্বেই মিটমাট।এখন আপনার চোখে আমি সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে থাকতে চাই।একটু আগে যেভাবে কথা বলেছেন সেভাবে কথা বলুন প্লিজ।”
মুজাহিদ হাসান হাসলেন।ঈশানের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার সম্পর্কটা বেশ ভালো হয়ে উঠে।তিনি যেহেতু বাজার করতে এসেছেন সেই ক্ষেত্রে নিজেও ক্রয় করছেন তার সাথে ঈশানকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোনটা ভালো কিংবা খারাপ।মুজাহিদ হাসানের চারটা ব্যাগ হয়েছে দুইটা ঈশান সেচ্ছায় বহন করলো।তিনি রিক্সা ডাকতে চাইলে ঈশান জোরাজোরি করে তাকে গাড়িতে বসালেন।ঈশানের এতটা আন্তরিকতা তিনি এত তাড়াতাড়ি হজম করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
৩৮.
মুজাহিদ হাসানকে কল করেছে ঈশা তিনি নাকি বাসার কাছে এসে গেছেন।প্রতিবার বাবা বাজার করে ফেরার পথে অপেক্ষায় থাকে ঈশা।তার অপেক্ষার স্থানটি হলো গেটের সামনে।বাবা যখন রিক্সা থেকে নেমে দাঁড়ায় তখন সে কিছু ব্যাগ নিয়ে উপরে উঠে যায় এতে বাবার কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় বলা চলে।রাস্তায় ঈশানের গাড়ি থামতে অবাক চোখে তাকালো ঈশা।গতকালের কথা ভেবে ভয়ে কুঁকড়ে উঠলো সে।নিজেকে আড়াল করতে চাইলেও পারলো না ঈশান তাকে দেখে ফেলেছে।ঈশান গাড়ি থেকে নেমে অপর দরজাটি খুলে দেয় তৎক্ষণাৎ মুজাহিদ হাসান বেরিয়ে এসে বাইরে দাঁড়ান।ঈশান ড্রাইভারকে বলে ব্যাগ গুলো ঈশাদের ফ্লাটের সামনে রেখে আসতে।
” ঘরে চলো বাবা এতটা রাস্তা এসেছো যখন ফিরে যেতে দিচ্ছি না যে।”
” আঙ্কেল অন্য দিন আসবো আজ যাই।”
” না তা আমি শুনবো না চলো তুমি।”
মুজাহিদ হাসান ঈশানের হাতটা আঁকড়ে ধরলেন ঈশান আর বারণ করতে পারলো না।ঈশা পূর্ণ দৃষ্টিতে ঈশানের দিকে তাকালেও ঈশান সম্পূর্ণ তাকে এড়িয়ে গেছে যেন এই মেয়েটার সাথে তার পূর্বে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।
সুলতানা দরজার সামনে ঈশানকে দেখে থমকে গেলেন।ঈশান শাহরিয়ার তাদের নিকট এক আতঙ্কের নাম।মুজাহিদ হাসান তাকে নিয়ে সোফায় বসতে বললেন ঈশা তখন তাদের পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলো।
.
সামনে তেল চটচটে আলু পরোটা নিয়ে বসে আছে ঈশান।মুজাহিদ এবং সুলতানা তাকে জোর করে নাস্তা করতে বসিয়েছেন।আজ বন্ধের দিন আর সেই হিসেবে আজকের নাস্তার দায়িত্ব ঈশার।সকালের নাস্তায় আলু পরোটা সাথে গরুর মাংস তাদের কাছে জবরদস্ত লাগলেও ঈশানের কাছে বিষয়টি মোটেও পছন্দ হয়নি।সে কখনোই সকালে খালি পেটে এত তেলের খাবার খায় না অথচ এখানে কাউকে কিছু বলা যাবে না নিশ্চয়ই তারা মনে কষ্ট পাবে।
” লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই আমরা আমরাই তো।”
সুলতানার কথায় স্মিথ হাসলো ঈশান।শাশুড় বাড়ির আপ্যায়ন ভেবে দ্বিধাহীন খেতে শুরু করলো।গরুর মাংসের সাথে আলুর পরোটা মুখে তুলতে আড় চোখে ঈশার দিকে চাইলো ঈশান।মেয়েটা এত ভালো রান্না করে!গতকাল নাজিম আর শ্রেয়ার আংটি বদল শেষে কেক কাটা হয় সেই কেক মুখে তুলে সবাই পঞ্চমুখ ঈশান নিজেও তৃপ্তি নিয়ে কেক খেয়েছিলো আজ আবার আলুর পরোটা না খেলে জানতেই পারতো না এই ঝগড়ুটে মেয়ে এত ভালো রান্না পারে।
ঈশান মনে মনে বেশ হাসলো।তার চোখে মুখে খুশির ঝলক ছড়িয়েছে।
ঈশার দিকে তাকাতে চোখাচোখি হয়ে যায় দুজনের।ঈশানের এত খুশি হওয়ার কারণটা বুঝে এলো না ঈশার।অপর দিকে ঈশান মনে মনে বলে,
” আম্মু তুমি জিতছো তোমার বউমা তো পাক্কা রাধুনি এক কথায় জ্ঞানী,গুনী,লক্ষ্মী।”
৪০.
ঈশান ঈশার অপেক্ষা দাঁড়িয়ে আছে ঘন্টা খানেক।অফিসের কাজ মোটামুটি শেষ করে বাকি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে এসেছে অন্য সদস্যদের।অথচ এই মেয়েটা এতক্ষণ যাবৎ ভার্সিটির ভেতর কি করছে?তার জানা মতে ক্লাস শেষ হওয়ার কথা আধা ঘন্টা আগে।ঈশান না পেরে ভার্সির ভেতর চলে যায়।আশেপাশে কপোত-কপোতীর অভাব নেই।প্রতিটা মেয়ের সাথে একটা করে ছেলে জুড়ে আছে।কোথাও কোথাও দল বেধে ছেলে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ঈশান মাঠের দিকটা খোঁজার চেষ্টা চালালো তবে ঈশাকে পেলো না।অস্থির হয়ে ফোন করলো অনুকে অনু জানায় তারা ক্যান্টিনে আছে আসতে দেরি হবে।
ঈশান ক্যান্টিনের দিকে হাঁটা শুরু করলো।একটু খুঁজতে তাদের পেয়েও গেলো।ক্যান্টিনের ভেতর ঈশার সাথে বেশ কয়েকটি মেয়ে তর্ক করছে ঈশা মাথা নিচু করে কয়েকটি কথার জবাব দিয়ে আবার চুপ হয়ে যাচ্ছে।
দলের একটা মেয়ে আকস্মিক ঈশার কাঁধে ধাক্কা দেয়।মেয়ে গুলো একটু বেশি বাজে ব্যবহার করছিলো দেখে ঈশান এগিয়ে এলো এবং দাঁড়ালো ঈশার পাশাপাশি।হঠাৎ কেউ পাশে দাঁড়াতে চোখ তুলে তাকালো সে ঈশানকে দেখে ঘাবড়ানোর সাথে সাথে অস্বস্থি বাড়লো দ্বিগুণ।
সিনিয়র মেয়েগুলো তর্ক ছেড়ে ঈশানের দিকে তাকালো অবাক চোখে।কালো স্যুট গলায় টাই চোখে কালো সানগ্লাস অফিসিয়াল লুকের এই ছেলেটির সাক্ষাৎ এর আগে পায়নি তারা।ঈশান তাদের নজর পাত্তা না দিয়ে বলে,
” এখানে কি হচ্ছে?”
ঈশা দৃষ্টি নামিয়ে নেয়।সে কখনো চাইবে না তার অপমানের কথা ঈশানের প্রকাশ্যে আসুক।
” কথা বলছো না কেন ঈশা?এরা তোমায় ধাক্কা দিলো কেন?দেখেই বোঝা যাচ্ছে এরা তো তোমার ফ্রেন্ড না।”
ঈশা কাচুমাচু করতে থাকে।দলের মেয়েগুলো একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে।এর মাঝে একজন বলে,
” আপনি এই বেয়াদব মেয়েটার কি হন?”
মেয়েটির কথা শুনে ঈশান চশমা খুলে সন্দিহান গলায় বলে,
” স্যরি বেয়াদব বললেন কাকে?”
” আপনার পাশে যে আছে তাকে।”
” ওঁকে বেয়াদব বলার আপনি কে?কি করেছে সে?”
অনু ভিড়ের মাঝে হাত তুললো।এগিয়ে এলো ঈশানের কাছে।সে কিছু বলতে চায়।
” এই সিনিয়র আপুগুলো কয়েকমাস থেকে আমার জ্বালাচ্ছে অযথা গাল মন্দ করে।”
” তোমরা কি করেছো তাদের সাথে?”
” ওনারা ক্যাম্পাসে স্মোক করছিলেন আমরা দেখেছিলাম ওনারাও আমাদের দেখে ফেলে।এর কয়েকদিন পর স্যারদের কাছে কারা যেন ওনাদের নামে এই বিষয়ে নালিশ করে তবে আমরা করিনি।কিন্তু ওনাদের সন্দেহ আমরা করেছি এরপর থেকে আমাদের সাথে ভীষণ বাজে ব্যবহার করেন।একটু আগে ইচ্ছাকৃত নিজেদের গায়ে পানি ফেলে ঈশার দোষ দিয়ে এখন এত ঝামেলা করছে।”
ঈশান প্রতিটা মেয়েকে পরখ করলো।মেয়েগুলো নিজেদের অতিমাত্রায় স্মার্ট সাজাতে গিয়ে জোকার বানিয়ে ফেলেছে।
” ওরা বলেছে নালিশ করেনি তাহলে শুধু শুধু তাদের বিরক্ত কেন করছেন?”
ঈশানের প্রশ্নে দলের একটি মেয়ে বলে,
” আমাদের ঝামেলা আমরা বুঝবো আপনি কে?”
” আমি কে সেটা আর কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন।এই মেয়ে আপনি ঈশার গায়ে ধাক্কা দিয়েছেন? মেয়ে না হয়ে যদি ছেলে হতেন এতক্ষণ আপনার এই হাত শরীর থেকে আলাদা করে দিতাম।”
ঈশান ঈশার হাত টেনে বেরিয়ে গেলো ক্যান্টিন থেকে।তার পিছু নিলো অনু।আজ দিহান আসেনি যদি দিহান আসতো তবে এ ঝামেলা এতটা দূর যেতো না।ঈশানের সামনে লজ্জায় কান্না পেলো ঈশার।দু’চোখে নেমেছে জলের ফোয়ারা।ঈশা ফুঁপিয়ে উঠলো।ঝটকায় সরিয়ে দিলো ঈশানের হাত।ভার্সিটির গেট থেকে বের হয়ে দ্রুত পায়ে হাটতে থাকলো বাস স্ট্যান্ডের রাস্তার দিকে।ঈশানের সামনে যে অপমানটা হয়েছে এরপর নিশ্চয়ই ঈশানের সাথে উঁচু গলায় কথা বলতে জড়তা কাজ করবে।অনু ঈশার পিছু পিছু ছুটতে থাকে ঈশান পকেট থেকে গাড়ির চাবি বের করে রাসেলের দিকে ছুড়ে মারে এবং বলে,
” রাসেল তোর বউ সামলা।এই মুহূর্তে আমার আর ঈশার মাঝে যেন না আসে ”
#চলবে____