#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৪
হৃদি নিখোঁজ প্রায় ষোল ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। ফারহানা মেয়ের শোকে মুহ্যমান। অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। দু’বার অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। হৃদির চাচু রাশেদ সাহেবের ফোনকল পেয়ে বাড়িতে ডক্টর এলো। চেকআপ করে পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ দিলো ঠিকমতো যত্ন নেয়ার। ইনজেকশন পুশ করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হলো ফারহানা’কে। অন্যথায় শরীর বেশি খারাপ করবে। মা ও বোনের এমন সংবাদ শুনে শ্বশুরবাড়ি থেকে ছুটে এসেছিল রাঈশা। প্রথমত বোন নিখোঁজ। এর ওপর মায়ের নাজুক অবস্থা। অন্তরে সুপ্ত ক্ষো ভ জন্ম নিলো ইরহাম চৌধুরীর প্রতি। সবটা ওনার জন্যই হয়েছে। উনিই প্রকৃত দোষী। ঘুমন্ত মায়ের শিয়রে বসে রাঈশা। আলতো করে মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। চোখে জমে নোনাজল। অথচ কঠিন মুখাবয়ব।
.
হৃদির খোঁজে অনেকেই কাজে লেগে পড়েছে। দেহরক্ষীরা, পুলিশ এমনকি স্বয়ং ইরহাম নিজেও। শহরের আনাচে কানাচে, এক্সিট পয়েন্টসমূহ কোথাও বাদ নেই। তবে মিলছে না হৃদির খোঁজ। সে কোথায় যেতে পারে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। হৃদি যেখান থেকে
কি ড ন্যা প হয়েছিল সে জায়গাটি সিসি ক্যামেরাহীন। ধারণা করা হচ্ছে সবটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আর হৃদির পাশাপাশি আরো একজন নিখোঁজ। ইরহামের এক দেহরক্ষী। মুরাদ। যে কিনা হৃদির গাড়ির পেছনে ছিল। বাইকে। সে-ও ঘটনাস্থল হতে নিখোঁজ। দু’জনে একত্রে উধাও হয়ে গেল! এ কোন অশনিসংকেত!
‘ আনন্দাঙ্গন ‘ আজ দুঃখের সাগরে তলিয়ে। মালিহা, রাজেদা খানম, ইনায়া নফল ইবাদত বন্দেগী করে চলেছে। অবিরাম মহান রবের সহায়তা চাইছে। ক্রন্দনে ক্রন্দনে তাদের দিশেহারা অবস্থা। তন্মধ্যে বাড়িতে আগমন হলো জমিলা বানুর। রাজেদা খানমের ননদ হন উনি। বাস্তব জীবনে আমাদের এমন কিছু আত্মীয় থাকে। যাদেরকে সুখের লগ্নে পাওয়া যায় না। কিন্তু দুঃখের সময় ঠিক হাজির। এরা কিন্তু দুঃখের সময় সান্ত্বনা দিতে আসে না। বরং মজা লুটতে আসে। নিঃসন্দেহে জমিলা বানু এমন কাতারে পড়েন। সুখের দিনে কখনো ওনার দেখা মেলেনি। কিন্তু একটুখানি বিপর্যয় দেখা দিতে না দিতেই হাজির উনি। পরিস্থিতির ফায়দা হাসিল করছেন। অপমান করে চলেছেন বাড়ির বউকে। যা নয় তাই বলে মানসিকভাবে বিধ্ব-স্ত মানুষগুলোকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছেন। এমন মানুষ কারোর কাম্য নয়।
.
অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ঘর। অমানিশায় তলিয়ে ঘরটি। চারিপাশে কি রয়েছে দেখা মুশকিল। শুধু ভুতূড়ে আঁধার আর আঁধার। দৃশ্যমান একমাত্র ঘরের একাংশে অবস্থিত একটি চেয়ার। সে কাঠের চেয়ারে বসে এক সুঠামদেহী মানব। ডান হাতের কনুই ঠেকে চেয়ারের হাতলে। তিন আঙ্গুল ঘষে চলেছে ললাটের ত্বকে। যন্ত্রণা হচ্ছে মাথায়। ছিঁড়ে খানখান অন্দর। আঁধার মাঝে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে সে। আপন করে নিয়েছে আঁধারিয়া চাদর। তার ভেতরকার অবস্থা নিরূপণ করা দুষ্কর। শব্দহীন পরিবেশে একাকী চেয়ারে বসে সে। কিয়ৎক্ষণ বাদে ঘরে প্রবেশ করলো তিনজন আগন্তুক। তারা চমকালো ঘরের অবস্থা দেখে! অনুধাবন করতে পারলো চেয়ারে বসা মানুষটির অবস্থা। কিন্তু তারা যে নিরূপায়! কি থেকে কি করবে সব যেন গোলক ধাঁধা। ঘুরেফিরে এক কেন্দ্রে এসে মিশে যাচ্ছে। চারিদিক হতে ঘিরে ফেলেছে প্রহেলিকা। এক অভেদ্য মায়াজাল। কি করে উদ্ধার করবে ভাবীকে!
মধ্যখানে দাঁড়ানো আগন্তুক অর্থাৎ সাহিল কিয়ৎক্ষণ দোনামোনা করে শেষমেষ ক্ষীণ স্বরে ডেকে উঠলো,
” ভাই? ”
ললাটে ঘর্ষণকৃত আঙ্গুল থেমে গেল। সজাগ কর্ণদ্বয়। তবে মুখ তুলে তাকালো না ইরহাম। সাহিল কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া না পেয়ে হতাশাজনক কণ্ঠে থেমে থেমে বললো,
” ক্ষমা করে দেন ভাই। ভাবীর এখনো কোনো খোঁজ পেলাম না। কোথায় যে.. ”
আর বলা হলো না। লহমায় স্তব্ধ হলো তিন আগন্তুক! আস্তে ধীরে মুখ তুলে তাকালো চেয়ারে বসে থাকা তাদের ‘ ভাই ‘। ইরহাম। এমপি ইরহাম চৌধুরী! মাত্র চব্বিশ ঘন্টায় এ কি হাল হয়েছে মানুষটির! পরিহিত শুভ্র পাঞ্জাবির অবিন্যস্ত দশা। সদা পরিপাটি মসৃণ চুল আজ এলোমেলো। মুখখানা সীমাহীন যন্ত্রণা সয়ে লালাভ রঙে রঙিন। চোখের সফেদ অংশে শান্ত অথচ আ-ক্রমণাত্মক গভীরতা। ভড়কে গেল ওরা। ভাইয়ের এমন ভ-য়ঙ্কর রূপ যে কভু দেখা মেলেনি ওদের। নভোনীল চক্ষুদ্বয়ে আজ যে আ-ক্রমণাত্মক গভীরতা! সে গভীরতায় ডুবে ম র বে অগুণতি শত্রুর দল। ভুলে যাবে শত্রু শত্রু খেলা। শান্ত অথচ দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী চৌধুরী’কে আজ সুবিধার ঠেকছে না। তার অভিব্যক্তি ভিন্নতর। আকর্ষণীয় কিন্তু ভিন্ন রঙা চক্ষু জোড়া বাজপাখির চেয়েও শি’কারি রূপে খুঁজে চলেছে তার হৃদয়ের রাণীকে। অন্তরে বাসা বাঁধছে প্রতিশো’ধ স্পৃহা! শিরায় উপশিরায় ছড়িয়ে অদম্য এক চেতনা। যে করেই হোক খুঁজে বের করবে অর্ধাঙ্গীকে।ইনশাআল্লাহ্!
ভাইয়ের বেহাল দশা অবলোকন করে ঘাম ছুটে গেল তিন আগন্তুকের। মধ্যখানে দণ্ডায়মান সাহিল ভীতসন্ত্রস্ত মৃদু কণ্ঠে বললো,
” ভাই! আপনি ঠিক আছেন তো? চিন্তা করবেন না। ছেলেরা পুরোদমে কাজে লেগে পড়েছে। ভাবী ঠিক.. ”
অসমাপ্ত রইলো বাক্য। তর্জনী ও মধ্যমার দ্বৈত স্পর্শে ইশারা করলো ইরহাম। মাথা নুয়ে বসে সে। শব্দহীন ইশারাটুকু বুঝতে অসুবিধা হলো না ওদের তিনজনের। ইতিবাচক মাথা নেড়ে ধীরপায়ে নিঃশব্দে ঘর হতে প্রস্থান করলো ওরা। আঁধারে নিমজ্জিত ঘরে একাকী রয়ে গেল ইরহাম। ক্লান্ত অবসন্ন দেহ এলিয়ে দিলো চেয়ারে। বদ্ধ হলো আঁখি পল্লব। চেহারার আঁকেবাঁকে যন্ত্রণা আর বিষাদ! মেঘমেদুর মুখখানা লালিমায় ছেয়ে। ফুলে উঠছে কপালের রগ। অসীম তৃষ্ণায় কাতর গণ্ডস্থল। হাহাকার মনের ঘরে। চব্বিশটি ঘন্টা ধরে একজনার অনুপস্থিতি কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তারে। মনের ঘরে বসত করে যে জনা আজ সে দৃষ্টি সীমার বাহিরে। কোথা আছে কেমন আছে নেই জানা। ভাবতেই বিষাদময় অন্তরে জ্ব’লে উঠলো লেলিহান শিখা। ব্যর্থতার অসহনীয় ভার সইতে না পেরে বদ্ধ আঁখি গড়িয়ে পড়লো একফোঁটা রহস্য। বড় আকুলতা প্রকাশ করে ডেকে উঠলো সে,
” হৃদরাণী! ”
আহা! হৃদয়ের একচ্ছত্র অধিকারিণী তার হৃদরাণীকে এমন আকুল হয়ে ডেকে উঠলো মানুষটি। কোথা আছে সে হৃদরাণী! এমন আকুলতা শুনতে পেয়ে ছুটে কি আসতো না!
.
হৃদি নিখোঁজ দেখতে দেখতে চব্বিশ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। অথচ বিন্দুমাত্র ক্লু মেলেনি। তাতেই মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে ইরহাম। বিয়ের পর এ প্রথমবার প্রিয়তমা হতে চব্বিশ ঘণ্টার বিচ্ছেদ। না একপলকের দেখা। না রিনিঝিনি হাস্য কলরবে শান্ত মন। চৌদ্দশো চল্লিশ মিনিটের বিচ্ছেদ যাতনায় ক্লি’ষ্ট অন্তঃস্থল। সদা কাঠিন্যতায় মোড়ানো হৃদয় আজ ভঙ্গুর। ক্ষণে ক্ষণে কু চিন্তা হানা দিচ্ছে মস্তিষ্কে। অসহনীয় মনোবেদনায় পীড়িত অন্তঃস্থল। কোথায় লুকিয়ে তার হৃদরাণী! ফিরে আসুক সে। নিজ উষ্ণতায় শান্ত করুক এই উচাটন করতে থাকা মন। কোথায় সে?
•
শীতাংশু’র মোহনীয় দ্যুতি ছড়িয়ে ধরনীর বুকে। তমসায় আবৃত এক ঘর। ঘরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে কিছু ভগ্ন আসবাব। কাঠের চেয়ার, টেবিল, টুল প্রমুখ। সবই ভগ্ন। জানালা বদ্ধ সে ঘরে শীতাংশু’র দ্যুতি প্রবেশ করতে ব্যর্থ। ভূতুড়ে হিমশীতল সে পরিবেশ। দমবন্ধকর অবস্থা। ভ্যাপসা গরমে পরাণ ওষ্ঠাগত। ঘরের যত্রতত্র ভঙ্গুর আসবাব ঘেঁষে পড়ে রয়েছে কিছু নারী দেহ। বড় অবিন্যস্ত, বেহাল দশা তাদের। শারীরিকভাবে দুর্বল দেহ। চোখেমুখে দৃশ্যমান ষদন্ধকার। এলোমেলো পোশাক এবং চুল। দেখতেই কেঁদে উঠছে হৃদয়। তন্মধ্যে ঘরের ঠিক মাঝ বরাবর অচেতন হয়ে পড়ে এক নারীদেহ। এলোকেশে ছেয়ে মুখের অর্ধ ভাগ। মাথায় বাঁধা হিজাব এলোমেলো রূপে উন্মুক্ত প্রায়। ফলস্বরূপ বেরিয়ে চুলের একাংশ। দেহে জড়ানো ওড়না কোথায় যেন হারিয়ে। জানা নেই। ঘরে অচেতন প্রায় দশজনার মধ্যে অনন্য সে। কারোর আকুলিবিকুল হৃদয়ের হৃদরাণী সে! একচ্ছত্র অধিকারিণী এক কঠিন হৃদয়ের! নাম তার হৃদি।
বর্তমানের পাতায়…
অন্তরীক্ষে আজ কালো মেঘের আধিপত্য। বজ্রপাতের ভ”য়ানক নি ষ্ঠু র শব্দ হানা দিচ্ছে কর্ণ গহ্বরে। লম্ফ দিয়ে উঠছে হৃৎপিণ্ড। চারিদিকে ঘনিয়ে এসেছে ভ’য়াল কালো নিস্তব্ধতা। এই বুঝি ঝমঝমিয়ে বর্ষণ আছড়ে পড়বে ধরনীর বুকে। কিয়ৎক্ষণ বাদে আরম্ভ হলো অসময়ের বর্ষণ। বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ভিজিয়ে দিচ্ছে বসূধা। তেমনই এক মুহুর্তে অকস্মাৎ উন্মুক্ত হলো ‘ আনন্দাঙ্গন ‘ এর সদর দরজা। বিশালাকার দরজা পেরিয়ে বীরদর্পে বেরিয়ে আসছে চৌধুরী। ইরহাম চৌধুরী। পূর্বের ন্যায় পরিপাটি সুদর্শন রূপ! পড়নে শুভ্র রঙা পাঞ্জাবি। চোখে রিমলেস চশমা। চক্ষু জোড়ায় অপরিমেয় আকাঙ্ক্ষা। অন্তরে প্রিয়তমাকে খুঁজে বের করার তীব্র স্পৃহা। জমিনের বুকে বড় বড় কদম ফেলে এগিয়ে চলেছে ইরহাম। মানুষটিকে বৃষ্টির ফোঁটা হতে রক্ষা করতে ছাতা সমেত ছুটে এলো একজন দেহরক্ষী। সুঠামদেহী মানবকে ছাতার তলে আড়াল করে নিলো। সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে নিজ টয়োটা প্রিমিও-তে চালকের আসনে বসলো ইরহাম। ত্বরিত বদ্ধ করে নিলো গাড়ির দ্বার। মুহুর্তের মধ্যেই ক্ষি প্ত গতিতে ছুটলো টয়োটা প্রিমিও। পিছুপিছু দেহরক্ষীদের আরো দু’টো গাড়ি। মূল সড়কে পৌঁছাতেই বিচ্ছিন্ন হলো তাদের পথ। তিনটে গাড়ি ছুটে চলেছে তিন গন্তব্যে। উদ্দেশ্য একটাই। ইরহামের হৃদরাণীকে উদ্ধার।
.
মধ্যাহ্ন প্রহর তখন। অথচ ঘরটিতে ভূতুড়ে আঁধারের আধিপত্য। অসহনীয় যন্ত্রণায় বিকৃত মুখভঙ্গি। নড়াচড়ায় বাঁধা। শরীর যেন পাথরের ন্যায় কঠিন। নড়তে ব্যর্থ। দু চোখের পাতা আঠালো হয়ে আছে কি? খুলতে কেন অপারগ! মুখের অর্ধেক আবৃত ঘামে ভেজা চুলে। অস্বস্তিতে কুঁচকে আসছে মুখ। কিছুটা সময় অসাড় হয়ে পড়ে রইলো মাটিতে। প্রাণহীন এক নিথর দেহের ন্যায়। অতিবাহিত হলো অগণ্য মুহূর্ত। আস্তে ধীরে ফিরতে লাগলো চেতনা। জাগ্রত হলো ইন্দ্রিয় শক্তি। স্তব্ধ হলো হৃদি! ঘন ঘন শ্বাস পড়তে লাগলো। চঞ্চল শ্বাস প্রশ্বাসের গতিবেগ। সে এই মুহূর্তে উঠতে চাইছে। দেখতে চাইছে আশপাশ। পরিস্থিতি অনুধাবন করতে চাইছে। কিন্তু ব্যর্থ। পরপর দু দু’টো চেতনানাশকে’র বিরূপ প্রভাবে অসাড় মস্তিষ্ক। সকল স্নায়ু। ওভাবেই মাটিতে পড়ে রইলো কতক্ষণ। প্যারালাইসিস রোগীর মতো নিজেকে ভরশূণ্য, অকেজো লাগছে। আস্তে ধীরে নোনাজলে ভিজে গেল অক্ষিপুট। অস্ফুট স্বরে ডেকে উঠলো,
” আ-ল্লা-হ্! ”
যন্ত্রণায় চিঁড়ে গেল গণ্ডস্থল। পানির তৃষ্ণায় কাতর মেয়েটির কপোল ছুঁয়ে কান বরাবর নোনাজল পড়তে লাগলো। অজানা ভয়ে হীম তনুমন। আঁধার মাঝে বড় ভয় করছে। এক রা*ক্ষসপুরীতে বন্দী মনে হচ্ছে নিজেকে। এ কোথায় এসে পড়লো সে? কিয়ৎক্ষণ বাদে একটুখানি স্বাভাবিক হলো হৃদি। বহু কষ্টে ডান কাত হতে পারলো। হতবিহ্বল হলো সম্মুখে তাকিয়ে। ঝাপসা চোখে দেখছে সে একাকী নয়। বন্দী আরো অনেকেই। এরা কারা? এ কোথায় এসে বিপদের মুখে পড়লো সে! ইয়া খোদা! ভীতসন্ত্রস্ত মেয়েটির বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে। মানসপটে ভেসে উঠছে আপনজনের মুখখানি। তারা কোথায়? ওকে উদ্ধার করতে কি আসবে না একান্ত মানুষটি? সে কোথায়?
‘ ই-র-হা-ম! ‘
.
জনবহুল এক সড়ক। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় মশগুল সকলে। রাস্তার এক পাশে ফুটপাতে বসে একজন ভিখারি। উচ্চ স্বরে চেঁচিয়ে চলেছে,
‘ আমার আল্লাহ্ নবীজীর নাম! আমার আল্লাহ্ নবীজীর নাম। ‘
ভিক্ষুকটি মধ্যবয়স্ক। পড়নের পোশাকের চরম দুর্দশা। ছেঁড়া ফাঁটা পোশাক। ইয়া বড় চুল। গোঁফ দাঁড়িতে আবৃত মুখের অধিকাংশ। তারস্বরে চেঁচিয়ে চলেছে লোকটি। হাত পেতে পথচারীদের নিকটে ভিক্ষা চাইছে। কেউ দু পয়সা দিচ্ছে কেউবা যাচ্ছে এড়িয়ে। ভিখারির বেশে ভিক্ষা তো চাইছে। তবে তার তীক্ষ্ণ চাহনি সকলের অগোচরে নিবদ্ধ এক চায়ের দোকানে। সেথায়..
চলবে.
[ কি ড ন্যা প পরবর্তী মুহূর্তগুলো শুধু উপভোগ করতে থাকুন। দেখা যাক কি হয়। কি করে ইরহাম খোঁজ পাবে তার হৃদরাণীর? ]
♣️ আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা….
লেখিকার লেখা গল্প-উপন্যাস সম্পর্কিত ছোট-বড় অনুভূতি ব্যক্তকরণ, গল্প নিয়ে আলোচনা, ভুলত্রুটি শুধরে দেয়া, রিভিউ প্রদান এবং গল্পের চরিত্র-দৃশ্য নিয়ে মতামত পেশ করতে জয়েন করুন আমাদের গল্প সংক্রান্ত গ্রুপে…
গ্রুপ লিংক —
https://www.facebook.com/groups/499389245208190/?ref=share