ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_২৯

0
566

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_২৯

,কি হয়েছে তোমার। এমন করছ কেন। আমি সব বুঝি যখন প্রান্তিক শাহারিয়ার এর ভাইয়ের মেয়ে রা তোমায় ছোট মা বলে ডাকছিল আর যখন ফারহান তোমায় জড়িয়ে ধরেছিল ।ওটা ফেলে দাও।
, এখান থেকে যেতে বললাম না।
, কি হয়েছে বলো আমাকে প্লিজ প্রেমা।আর তুমি কে সেটা আমাকে কেন বলনি।

সি, গারেট টা পায়ের নিচে পিসে সামনে তাকিয়ে।
, আমার ইচ্ছা তাই। সব কিছু আমার ইচ্ছে হবে। বুঝেছ।
, ফারহানের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
,হ্যা। বাবা ঠিক করেছে। যতসব ফালতু জিনিস। disgusting বলে চলে যাচ্ছিলাম তখনই।
, ফারহান কে ।ও যেন তোমার ধারে কাছেও না আসে। ওকে বলে দিও তুমি আমার স্ত্রী।
, what বলেই অট্ট হাঁসি দিয়ে you r my husband হা হা হা হা like seriously.are you joking for me.
,প্রেমা সেটা তুমি খুব ভালো করেই জানো। দাঁত কিরমির করে।

, prove it আমি তোমার বউ।হা হা হা সামনে এগিয়ে চোখে চোখ রেখে।সেটা কোনো দিন পারবে না। আমি হতে দেব না। কেন আমার কোনো খোঁজ পেয়েছিলে । পাওনি। Because আমি পেতে দেইনি। কিন্তু আমি সব খোঁজ রেখেছি। তোর তো ভাগ্য ভালো। এখনো বেঁচে আছিস।সব কিছুর শুরু হয়েছে শ্রাবনের থেকে।ওর লাইফ আমি হেল করে দেব।পারলে আমার থেকে বাঁচিয়ে নিস।যা আমি চাই না।সেটা হলে তার পরিনতি ভয়ংকর হয়।

, তুমি কি সাইকো। রেগে। নিজের স্বামী নিয়ে এই কথা বলছ ।
, চিৎকার করে, yes I’m phycho হ্যা আমি সাইকো।
বলেই হন হন করে চলে গেল।

এক ধ্যানে প্রেমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।

আদিত্য ভাবছে প্রেমা এমন কেন করছে। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমন পাগলের মত আচরণ করতে পারে না।প্রতেকটা কথায় জেদ হিংস্রতা রয়েছে।চোখ ও অন্য কিছু বলছে।প্রেমার সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছে।প্রেমা নাকি কোনো মাফিয়ার থেকে কম নয়। রাজনীতে সামনে থেকে কাজ করে না পিছন থেকে গুটি সাজায়।কারি কারি টাকা দিয়ে নেতা বসিয়েছে।সব ওর গুনগান করে।সব কিছু ওর ইশারাতে চলে। অনেকের শত্রুতা আছে।প্রায় সময় ওর উপর হামলা হয়। বিদেশে ত অহরহ হচ্ছে।ও কোনো কিছু থেকে কম যায় না।একাই একশো কে শুয়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।প্রেমার জিম করা বডি মার্শাল আর্ট ক্যারাটে বস্কিং সবই পারে।ও যা বুদ্ধিমতী তাই এখনও তিখনো বুদ্ধি দিয়ে সকল কম্পানি চালায়।কত জনকে মে,রে ফেলেছে তার ঠিক নেই।কত খারাপ মানুষ পেছনে লুকিয়ে আছে ধরাই যায় না। নিজের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না।

আদিত্য, কোন খোবের বসে এমন করছে প্রেমা। এই প্রেমা সম্পূর্ন অচেনা।প্রেমাকে এই সব কিছু থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি আমার সেই স্ত্রী কে চাই যাকে আমি ভালবাসি। আমি ফিরিয়ে আনব আমার প্রেমাকে।

চলে যাবার সময় পায়ের নিচে পড়ে থাকা সি, গারেট এর টুকরো হাতে নিয়ে বলল।

, আমি তোমার সকল খারাপ অভ্যাস দূর করে দেব। সকল অপূর্নতা পূর্ণতা করে দেব। আমি বুঝতে পারছি তোমার কোথাও কষ্ট জমা আছে আছে। চোখ থেকে একটু পানি গড়িয়ে পড়লো।

আদিত্য আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।

,প্রেমা আমি তোমার সব কষ্ট দূর করে দেব। আমি ও যে ভালোবাসার মানুষ কে হাড়িয়ে কম কষ্ট পাইনি আমি বুঝি তোমার অপূর্নতা। তোমার মুখ ফুটে বলার আগেই আমি তোমার মুখ দেখে বুঝতে পেরেছি। চোখ বন্ধ করে প্রেমাকে অনুভব করছে।

সি, গারেট এর টুকরো একটা কাগজে মুড়িয়ে খুব যত্ন করে রেখে দিল নিজের কাছে।

নিচে এসে দেখে সবাই প্রেমাকে পারফরমেন্স করার জন্য জোর করছে।
, তন্ময়,আপু প্লিজ একটা বার ।আর জোর করব না।
, প্রেমা, তন্ময় আমাকে একদম জোর করবি না।
, আয়ান,দেখ দোস্ত প্লিজ রাজি হয়ে যা না।
,সিয়ান, আমার এংগেজমেন্ট এ তুই এরকম করিস না।
, প্রেমা, আমি এসব পছন্দ করিনা। জোর করবি না বলেদিলাম।
, আরুতা,আপু তুমি সব সময় এরকম কর আমাদের কারো কথা তুমি শোন না।
, পূর্ণতা,আপু তুমি আরো আগে আসার কথা বলেছিলে কিন্তু আসোনি।
, টায়রা, টুসি,আপু তুমি খুব পচা। আমাদের কাউকে ভালোবাস না।
,সাইফ,প্লিজ শালিকা রাজি হয়ে যাও। তোমার এই দুলাভাই এর কথাও কি রাখবে না।
,প্রেমা,দেখ সাইফ একদম মজা করিস না। মেজাজটা খারাপ আছে।
, দ্বীপ্ত,আপু আমাদের কারোর কথা শুনবে না।চলো সবাই।
,প্রেমা, আচ্ছা ঠিক আছে আমি রাজী। সবাই খুশি দুহাত তুলে। কিন্তু আমি একটা গান গাইতে পারি আর কিছু নয়।

সবাই রাজি হয়ে গেল। আদিত্য দেখছে হাসছে। শেষ পর্যন্ত সবার ইচ্ছা ই মেনে নিল। আদিত্য মুগ্ধ হয়ে গান শুনছে,

ও ও ও…

যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার

<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<< ব্যথার সমাধিতে বসে এ মন ফোটায় আশার ফুল রাশি রাশি যখন দেখি ওই মুখের হাসি <<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<< স্বপ্ন থেকে আসো নয়নেতে নয়ন থেকে তুমি স্বপ্নে হারাও জাগরণে এসে কাছে দাঁড়াও যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার শিশুকালের রূপকথাগুলো পায়ে পায়ে সব আসে ফিরে তোমার কথা রূপকথা ঘিরে <<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<< ভুলে ভরা যত স্বরলিপি গানের কোকিল হয়ে উঠে ডেকে কাছে এলে তুমি দূরে থেকে যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার সবাই হাতের তালি দিল।এর মধ্যে প্রেমার এসিস্ট্যান্ট ফোন নিয়ে এলো। রাজু,ম্যাডাম একটু দরকার ছিল। ফোন আছে। ,কে করেছে। ,ডেবিট। , এখন এই সময়।দাও। ফোন কানে নিয়ে আরালে চলে গেল। ,কি খবর। ,ডেবিট,প্রেমা ডিল টা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।কি করবো। ,সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে কিভ বেকাতে হয় জানো নিশ্চয়ই। একটা বুলেট ই খেল খতম। , ওকে। ,যখন তখন ফোন করবে না।বাকি টা হ্যান্ডেল কর। See you soon. ফোন কেটে গেল। আদিত্য এতক্ষণ পিছন থেকে দেখেছিল। ,আদিত্য,কে ছিল। ,যেই থাকুক আমার পিছু নেয়া টা বন্ধ কর। , রোমান্টিক মুডে, আমার বউ এর আমি পিছু নেব না ত কে নেবে। এমন ভাবে তাকিয়ো না। নিজেকে ঠিক রাখতে পারবো না জান।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে। , অসভ্যতার সীমা অতিক্রম করছো কিন্তু। , ওহ্ ম্যাডাম স্বামীরা এমনি হয়।হি হি হি হি। , nonsense ,I love you baby. , rabies রেগে চলে গেছে। , উম্মাহ হা হা হা হা। , পাগল একটা চলে আসলাম দেখি শ্রাবনকে ফোন টিপছে। আমি এসেছি জানে না। পেছনে কাঁধে হাত দিলাম। , কেমন আছেন দুলাভাই। শ্রাবন চমকে গেল, পেছনে তাকিয়ে। চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল , শ্রাবন, তুমি,,,ই এখানে। ,কি খবর।এত দিনে আমায় ভুলে গেছ নাকি। আলিশা আর বাকি রাও আসলো। , তুমি ,কি হলো আলিশা ওকে বলো নি আমি কে। , আলিশা,না মানে। , আমি বলছি। শ্রাবন আমি হলাম। আলিশার বড়‌ বোন।মানে ওর বড় কাকাই আসরাফ চৌধুরী আমার বাবা। , শ্রাবন,প্রেমা চোখ বড়বড় করে। ,আহা শ্রাবন you call me আপু। কারণ আমি তোমার থেকে ও বড় যে। সম্পর্কে আমি তোমার বড় শালিকা হই।হা হা হা। , আলিশা এসব কি বলছে। আলিশা,হ্যা ও আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। তোমার থেকে ও। ,ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে, so আলিশা শ্রাবন পাশ ফিরে আর আদি এখন থেকে আমার নাম ধরে ডাকবে না।আপু বলেই ডাকবে বুঝেছ। আশাকরি বড় দের এটুকু রেসপেক্ট করতে পারবে। হুম। চলবে, Exam জন্য দেরি বা ছোট হতে পারে। কপি করা নিষেধ। সকল আপডেট পেতে পেজটি লাইক করে রাখুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here