#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৯
–আমার ডেভিল মার্কা এক্সপ্রেশন দেখে অবনী ভয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলেছে। অবনীর ভয় পাওয়া চেহারা দেখে মনে মনে বললাম, জানু এখন আর ভয় পেয়ে কাজ হবে না। কারন পাগলের মাথায় কোনো ধরনের সিট থাকে না। আর তুমি সেটা জানা সত্বেও পাগলের উপরে মজা নিয়েছো। এবার ঠেলা সামলাও। পাগল এবার বিয়ের আগেই ইতিহাস রচিত করবে। আমি অবনীর দিকে যতোই এগোচ্ছি ততোই সে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। আমি এগোতে এগোতে তার একদম কাছে চলে গিয়েছি। তার কাছে গিয়ে খপ করে তাকে নিজের কাছে নিয়ে নিলাম। মেয়েটার ভারী নিশ্বাস আমার মুখে এসে পড়ছে। যেটা দেখে বুঝতে বাকি নেই মেয়েটা প্রচুর ঘাবড়ে আছে। না হয়তো তার নিশ্বাসের ঘনত্ব এতোটা হতো না। অবনী ভয়ে আমার শরীরে গুটিশুটি মেরে পড়ে আছে। কোনো ধরনের কোনো সাড়াশব্দ করছে না। তার এমন নিরবতা দেখে তাকে বললাম, কি মহারানী এখন চুপ হয়ে গেলেন যে? এতোটা সময় তো বেশ বকবক করছিলেন। তার উপরে আমাকে নিয়ে মজাও নিচ্ছিলেন। আমি নাকি ব্যাঙের ন্যায় লাফিয়ে সার্কাস দেখাচ্ছি। কই এখন কাছে আসায় চুপ হয়ে গেলেন কেন?
–তুমি কাছে আসায় আমার ভিতরে জটলা পেকে গেছে। তোমার কথার প্রতিত্তোরে কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না।
–কাছে আসাতেই আপনার এই অবস্থা? তাহলে একটু পর যে ইতিহাস রচিত করবো তখন কি করবেন?
–জানি না কি করবো! আমার মাথায় কিছুই কাজ করছে না।
–কাজ করতে হবে না। মাথা জ্যাম আছে জ্যাম এই থাকুক। তোমার জ্যাম ঠিক হতে হতে আমি নিজের কাজ সেরে নেই। তাহলে বিয়ের আগেই বিয়ের পরের কাজ সেরে যাবে।
–এই না…না এখন কিছু করিও না প্লিজ।
–তোমার প্লিজের খাতায় আগুন।
আমি তোমায় ছাড়ছি না। আর তোমারো ক্ষমতাও নেই আমাকে আটকানোর। এটা বলেই অবনীর কোমর থেকে হাত উঠিয়ে নিয়ে তার চুলের ভাঁজে হাত ঢুকিয়ে দিলাম। তারপর তাকে নিজের একদম নিকটে টেনে এনে তার ঘাড়ে চুমু খেতে আরম্ভ করলাম। মেয়েটা আমার এমন আচরণে ব্যাঙের ন্যায় ছটপট করছে। একটু আগে যেই মেয়ে কিনা আমায় ব্যাঙ বলেছে, এখন সেই মেয়েই ব্যাঙের মতন আচরণ করছে। অবনী নিজেকে আমার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার বেশ চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দুনিয়ায় প্রিয় মানুষকে কাছে পেলে কে ছাড়তে চায়। তাই অবনীকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার শরীরের বিশেষ কয়েকটা অঙ্গে চুমু একে দিয়েছি। আমার প্রতিটা স্পর্শে সে ভয়ানক ভাবে কেঁপে উঠার পাশাপাশি তার চোখে মুখে কেমন যেনো একটা অস্থিরতার ছাপ ভেসে উঠেছে। যার কারনে তাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গেলাম। যেটা দেখে সে আমায় জিজ্ঞাস করলো,
–কি হলো দূরে সরে গেলে যে?
তোমার তো ইচ্ছে পূরণ হয়নি এখনো।
–অবনী আমি তোমার ভালোবাসার মানুষ। আমি কারোর অস্থিরতা বাড়িয়ে দেওয়ায় দায়িত্বরত হয়নি। তাও আবার বিশেষ করে তোমার ক্ষেত্রে। অবনী আমি তোমায় ভালোবাসি। তাই বলে যে জুলুম করবো তেমন মানুষ কিন্তু আমি নই। আর আমি জানি আমি যাই করি তুমি আমায় কখনো বাঁধা দিবে। কিন্তু তাই বলে যে আমি সেটার ফায়দা উঠাবো এটা ভাবলে তুমি ভুল করবে। আর তাছাড়া তোমার অস্থিরতা আমাকে স্পষ্ট জানান দিচ্ছে তুমি এখনো তৈরী না। আর তৈরী থাকবেই কি করে, তোমার আমার সম্পর্ক তো এখনো বৈধতা পায়নি। বৈধতা পেলে না হয় অস্থিরতার বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু বর্তমানে সেটা করার কোনো মাধ্যম নেই। আগে বৈধতা দেই। তারপর বৈধ ভাবেই স্পর্শ করবো। আর সব চাইতে বড় কথা আমি তোমার সাথে এতোটা সময় দুষ্টুমি করেছি। আমি তোমায় স্পর্শ করেছি সেটা সত্যিই ছিল, তবে স্পর্শ ছাড়া আরো অন্য কিছু করবো সেটা যাস্ট ফান ছিল। তুমি প্লিজ কিছু মনে করিও না।
–আমি জানি তুমি অমন কিছু করবে না। তবে যদি করতেও চাইতে তাহলে আমি আমার শত অস্থিরতাকে এক সাইডে রেখে তোমার মুখে হাসি ফুটাতাম।
–অবনী তোমার ভালোবাসার কখনো কেউ পরিমাপ করতে পারবে না। আমি তোমার মতন একজন মানুষকে নিজের জীবনে পেয়েছি কপালের জোরে। আচ্ছা যাক গে এখন এসব কথা বাদ দিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়ো।
–হুম ঘুমাবো তবে একা নয় তোমাকে সঙ্গে নিয়ে।
–আচ্ছা ঠিক আছে চলো আমিও তোমার সাথে ঘুমাবো।
.
অবনী আর আকাশ একসাথে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে। “অন্যদিকে ক্রাউন সবার চোখের ঘুম হারাম করার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। সে রাতের বেলায় নিজের অনুসারীদেরকে নিয়ে মানুষজনের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে অনেক কয়জনকে নিজের শিকার বানিয়েছে। সবে মাত্র শুরু। আগামীকাল রাতে কোন কালবৈশাখী নেমে আসে তা আল্লাহ-তায়ালাই ভালো জানেন। এক রাতে অসংখ্য মানুষকে মেরে ক্রাউন সেই কফিনের মতন চারকোনা বাক্সের ভিতরে ঢুকে পড়ে ঘুমানোর উদ্দেশ্যে। তার অনুসারীরা তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে তারাও নিজেকে আত্নগোপন করে ফেলে। দেখতে দেখতে সকাল হয়ে এসেছে। সকাল হতেই সংবাদ পত্রে এবং জায়গায় জায়গায় হৈচৈ শুরু করেছে। কারন ক্রাউনের রাতের ক্রিয়াধারায় অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছে। যার জন্য তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা হৈচৈ শুরু করেছে। সবাই সরকারকে দোষারোপ করছে, যে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক রেখে চুপচাপ যে যার মন পড়ে আছে। ক্রাউনের এই হামলার বিষয়টা পুরো শহরে হৈচৈ ফেলে দেয়। উচ্চতর কর্মকর্তা তানভীর সাহেব নিজেকে নিয়ে মানুষের মুখে উল্টাপাল্টা মন্তব্য শুনে রাজকে ফোন দেয়। রাজ তানভীর সাহেবের ফোন রিসিভ করে সরকারি আকাশকে ধরিয়ে দেয়। তখনি তানভীর সাহেব আকাশকে বলে,
–ভাই শহরের যেই ভয়াবহ অবস্থা, তাতে করে তো মনে হচ্ছে ভ্যাম্পায়ার আমাদের ক্ষতি করার আগে মানুষের টর্চারেই আমরা মারা যাবো। সবাই আমাদের নিয়ে নানান রকমের কথাবার্তা বলছে। ভাই আপনি দয়া করে আমাদেরকে এসব থেকে উদ্ধার করেন। আপনি প্লিজ ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো একশান নিন। প্রশাসনিক লোক লাগলে আমরা আপনাকে দিচ্ছি। অস্ত্রশস্ত্র লাগলে তাও দিচ্ছি। তাও প্লিজ আপনি এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা রাস্তা খুঁজে বের করুন।
–তানভীর সাহেব আমি বা আমরাও কিন্তু হাত-পা গুটে বসে নেই। একে একে দু’বার তাঁদের সাথে লড়াই হয়েছে আমাদের। প্রথমবার আমরা তাঁদের কোনো ক্ষতিই করতে পারিনি। কারন আমাদের কাছে তাঁদেরকে মারার মতন অস্ত্র ছিল না। তাই আমরা তাঁদেরকে মারার জন্য এক নতুন অস্ত্র বানিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁদের সাথে লড়াই করেছি। তখন তারা এক রকমের পরাজয় হয়েছে আমাদের কাছে। পরাজয় হওয়ার পর তাঁদের সম্প্রদায়ের নেতা আমাদের বলেছে তারা আর অন্যায় ভাবে মানুষের উপরে হামলা করবে না। কিন্তু তার পরেও গত রাতে মানুষ মেরেছে কেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না!
–ভাই ঐ সকল নিকৃষ্ট প্রজাতির ভ্যাম্পায়ারের কথার এবং কাজের কোনো বিশ্বাস নাই। তারা আপনাকে কথা দিয়ে তার পরেও মানুষের উপরে হামলা করেছে। গতরাতে ভ্যাম্পায়ারের আক্রমণে কয়জন মারা গিয়েছে তাঁদেরকে নিয়ে ছোটখাটো একটা জরিপ করা হয়েছে। আমি সেই জরিপে দেখলাম একশ সতেরো জনকে ভ্যাম্পায়াররা গতরাতে মেরেছে।
–ঠিক আছে আমি বিষয়টা দেখছি। আপনারা আপাদের মতন নিরাপদে থাকুন।
–ঠিক আছে ভাই।
–ফোন রেখে দিচ্ছি ভালো থাকবেন।
.
আকাশ উচ্চতর কর্মকর্তা তানভীরের সাথে কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেয়। ফোন রেখে দিয়ে সে বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। কারন ভ্যাম্পায়ারা কথা দিয়েও মানুষের উপরে হামলা করেছে। তাই সে অবনীকে বলে,
–অবনী এখন কি করা যায়?
–কি আর করা তাঁদের উপরে আবার হামলা করবো আমরা।
–অবনী এভাবে আর কতো? এবার হামলা করলে তিনবার হবে। কিন্তু তারা প্রতিবার কোনো না কোনো ভাবে বেঁচে যাচ্ছে।
–প্রিয় তাঁদের উপরে হামলা করে তাঁদেরকে না মেলে ফেলা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। আমাদেরকে তাঁদের উপরে আবার হামলা করতে হবে। তবে তুমি এবার চিন্তা করো না। আমরা এবার পুরো প্রস্তুতি নিয়েই তাঁদের উপরে হামলা করবো। আর এবারের হামলাটাই শেষ মনে করো। তারপর পৃথিবীর বুকে আর ভ্যাম্পায়ারের কোনো ছিটেফোঁটাই থাকবে না। বড় বড় দানব আকৃতির পশুরা যেমন বহুকাল আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ঠিক তেমনিই ভাবে ভ্যাম্পায়াররাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তুমি খালি একটু ধৈর্য্য ধরো।
–হুম।
–তবে হামলাটা আজ করবো না আমরা। হামলা করবো দু’দিন পর। আগে আরো ভালো করে দেখি তারা কি করতে চায়।
–অবনী এই দুই দিনে যদি তারা আরো মানুষকে মারে?
–তুমি তানভীর সাহেবের মাধ্যমে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের সিরাম দ্বারা তৈরী কিছু অস্ত্র দেশের সৈনিকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করো।
আর তিনাকে বলে দিবে আগামী দু’দিন যেনো সৈনিকরা এই অস্ত্র নিয়ে পাহারায় থাকে। তাহলে ভ্যাম্পায়ার আর কারোর উপরে আক্রমণ করতে পারবে না।
–ঠিক আছে আমি তোমার কথা মতোই কাজ করছি।
.
অবনী আকাশকে যেভাবে যেভাবে বলেছে, সে ঠিক সেভাবেই কাজ করে। তানভীর সাহেবকে ফোন দিয়ে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের অনেক কয়টা অস্ত্র শপে দেয়। আর বলে এসব নিয়ে সৈনিকরা যাতে রাতের বেলায় অলিতে-গলিতে পাহারায় থাকে। তানভীর সাহেব আকাশের বলা কথা অনুয়ায়ী সৈনিকেদর হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিয়ে তাঁদেরকে ফুল নাইট শহরের নজরদারি করতে লাগিয়ে দেয়। দেখতে দেখতে রাত হয়ে এসেছে। সৈনিকরা মাগরিবের আগেই ডিউটিতে লেগে গেছে। “অপরদিকে মাগরিব পেরিয়ে অন্ধকার হতেই ক্রাউন কফিন থেকে বেরিয়ে আসে। কফিন থেকে বেরিয়ে সে সোজা তার অনুসারীদেরকে নিয়ে গড অফ ভ্যাম্পায়ারের মহলে চলে যায়। কিন্তু মহলের প্রহরীরা ক্রাউনের অনুসারীদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেয় না। তবে ক্রাউন সোজা মহলের ভিতরে প্রবেশ করে। কারন তাকে আটকানোর ক্ষমতা কারোর এই নেই। ক্রাউন সোজা মহলের ভিতরে প্রবেশ করে গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কন বাদে বাকি আরেকজন যিনি আছেন তিনার কক্ষে প্রবেশ করে তিনার ঘাড়ের মধ্যে কামড় বসিয়ে দেয়। কামড় বসিয়ে দেওয়ার পর গড অফ ভ্যাম্পায়ারকেও রুস্তমের মতন সেই একই ভাবে মেরে ফেলে। তারপর গড অফ ভ্যাম্পায়ারের লাশ সে কোলে উঠিয়ে নিয়ে তিনার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। সবাই গড অফ ভ্যাম্পায়ার লাশ দেখে তাজ্জব হয়ে যায়। তখনি ক্রাউন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
–আজ থেকে আমিই গড অফ ভ্যাম্পায়ার। আজ থেকে তোরা সবাই আমারই অনুসরণ-অনুকরণ করবি।
না নয়তো তোদের সব কয়টাকে মেরে তোদের সমাধি গড়ে দিব।
.
ক্রাউনের কথায় সবাই ভয়ে তার সামনে ঝুঁকে পড়ে। মহলের প্রহরী থেকে নিয়ে শুরু করে তার অনুসারী সবাই তাকে ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক গড অফ ভ্যাম্পায়ার বলে মেনে নেয়। “অন্যদিকে আকাশ,অবনী এবং অনেকেই মিলে বাংলোর ডাইনিং রুমে এক জায়গায় বসে কথাবার্তা বলছে, এমন সময় হুট করেই আকাশের বাংলোর গার্ডরা দৌড়ে এসে আকাশকে বলে,
–ভাই বাংলোর বাহিরে দানব আকৃতির কিছু ভ্যাম্পায়ার দাঁড়িয়ে আছে। তাঁদের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে তারা আমাদের উপরে হামলা করতে এসেছে। তাই আমরা দৌড়ে বাংলোর ভিতরে ঢুকে পড়েছি।
–কিহহহহহ..
–জ্বি ভাই।
.
গার্ডের কথা শুনে সবাই চটজলদি আলট্রা ভায়োলেট কিরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাংলোর বাহিরে ভ্যাম্পায়ারদের দিকে ছুটে যায়। বাংলোর বাহিরে ছুটে গিয়ে দেখে বিশাল আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলো তাঁদের সামনে সত্যি সত্যিই দাঁড়িয়ে আছে। আর তাঁদের সাথে লিঙ্কন ও রয়েছে। লিঙ্কনকে দেখে আকাশ এবং অবনীর মাথায় আগুন ধরে যায়। কারন এই বাটপার টা তাঁদেরকে কথা দিয়ে বাটপারি করেছে। তাই সবাইকে রেখে তারা দু’জনে মিলে লিঙ্কনের দিকে এগিয়ে যায়। আকাশ লিঙ্কনের কাছে যেতে যেতে কোমড় থেকে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের তৈরী মিনি পিস্তলটা বের করে। তারপর লিঙ্কনের সামনে গিয়ে লিঙ্কনের দিকে সেটা নিশানা করে ধরে। তখনি অদ্ভুত ভাবে লিঙ্কন আকাশের সামনে ঝুঁকে পড়ে। এবং তার সাথে সাথে বিশাল আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলোও আকাশের সামনে ঝুঁকে পড়ে। যেটা দেখে আকাশ এবং বাকি সবার হুঁশ উড়ে যায়….
চলবে…..
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।