গল্প :- #Selfish
পর্ব :- ০৮
Writer :- Kabbo Ahammad
.
.
.
-: কিন্তু হঠাৎ করেই স্বর্না মিরার দিকে একরাস বিরক্তি ও রাগ নিয়ে তাকাচ্ছে।
মিরারও একই অবস্থা মিরাও প্রথমে একটু অবাক হলেও
তার কিছুক্ষণ পরপরই স্বর্নার দিকে একই ভাবে তাকিয়ে আছে।
আর আমি শুধু স্বর্নার দিকে তাকিয়ে আছি।
ওকে দেখে আমার মনের ভিতর যেন আবার নতুন এক ভালবাসার ফুল ফুটতে লাগলো।
কিন্তু যখন ওর অবহেলা আর আমার সাথে যে জঘন্য ভালোবাসার নাটক করেছিলো তা মনে পরতেই সেই ভালোবাসার ফুল ঝরে পরে এক রুক্ষ মরুভুমিতে পরিনত হলো।
তারপর আমার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে স্বর্না বললো…
–শাঁকচূর্ণী তোর সাহস হয় কি করে আমাকে চড় মারার?(রেগে গিয়ে বললো স্বর্না)
–মেরেছি তো বেশ করেছি।
তোর সাহস কি করে হয় কাব্যকে জড়িয়ে ধরার।
আর একবার যদি তুই ওকে জড়িয়ে ধরেছিস বা ওর ১০০ হাতের ভিতরেও আসিস তাহলে সেটা তোর জন্যে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
(মিরা রাগ করে বললো স্বর্নাকে)
–আমি কাব্যকে ১বার কেন হাজার বার জড়িয়ে ধরবো।তাতে তোর কি হ্যাঁ।
আর কি যেন বললি আমি যেন ওর ১০০ হাতের ভিতরেও না আসি। তাহলে শুনে রাখ আমি সব সময় ওর সাথে ছায়া হয়েই থাকবো। তাতে তোর কি।
কে হয় ও তোর।(স্বর্না)
(ওরা দুজন যেভাবে কথা বলছে। তাতে মনে হচ্ছে ওরা দুজন দুজনকে আগে থেকেই চেনে। আর ওদের ভিতর নিশ্চয় আগে কিছু একটা হয়েছিলো)
–কে হয় ও আমার তুই জানতে চাস।
তাহলে শোন ও আমার ফ্রেন্ড হয় ফ্রেন্ড। আর তুই খুব ভালো করেই জানিস আমি যাদের ফ্রেন্ড মন করি।তাদের কাছে তোর মতো কিছু মানুষকে দেখতেই পারি না।(মিরা)
–হা হা হা ফ্রেন্ড হোস ফ্রেন্ডের মত থাকবি।
অযথা উটকো অধিকার দেখাতে আসবি না বুঝেছিস।আর একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ আজকের পর থেকে আমি যেন তোকে কাব্যর আশেপাশেও না দেখি। কাব্য শুধু আমার। আর কারো নয় শুধুই স্বর্নার।(স্বর্না)
–ও তোর মানে কি বলতে চাচ্ছিস তুই?(মিরা)
–মানে এটাই আমি কাব্যকে ভালোবাসি।
আর শুধু আমি যে কাব্যকে ভালোবাসি এটা নয়,
কাব্যও আমাকে ভালোবাসে(স্বর্না)
!
!
এদিকে আমি স্বর্নার মুখে ভালোবাসার কথাটা শুনে আমার মাথায় যেন আগুন জ্বলছে। তবুও নিজেকে শান্ত রেখে বললাম..
–এই যে হ্যালো আপনি কে আপনি?
(স্বর্নাকে উদ্দেশ্য করে)।
…আর পাগলের মত কি সব বলছেন। আমি আপনাকে ভালোবাসি মানে?
আমি তো জীবনে প্রথম আপনাকে দেখছি।
…আর তুই (মিরারকে উদ্দেশ্য করে বললাম)
তুই এই মেয়েটার সাথে এত কথা বলছিস কেন?
কোথায় থেকে যে এসব উটকো ঝামেলা আসে।
(একটু বিরক্ত হয়ে বললাম)
–কাব্য তুমি আমাকে চিনতে পারছো না।
তুমি তোমার ভালোবাসাকে চিনতে পারছো না।
(অবাক হয়ে বললো স্বর্না)
–ঐ শাঁকচূর্ণী তোকে তো বলেই দিয়েছে যে ও তোকে চেনে না। আর জীবনে আজ ই প্রথম তোকে দেখলো। তাহলে আবার কথা বলছিস কেন?
আর দেখ স্বর্না এখনো সময় আছে ভালোয় ভালোয় এখান থেকে চলে যা।(মিরা)
–মিরা তুই চুপ থাক।
আর কাব্য তুমি এতটা কি করে পাল্টে গেলে যে আজ আমাকেই চিনতে পারছো না।
ওহ্ বুঝতে পেরেছি তুমি আমার উপর রাগ অভিমান করে আছো। আসলে এটাই স্বাভাবিক তোমার সাথে আমি যা করেছি তাতে যে কেউ এমনটা করবে।
কিন্তু আমি তোমার পায়ে পরছি তুমি আমাকে মাপ করে দাও কাব্য প্লিজ..(কাঁদতে কাঁদতে বললো স্বর্না)
–আরে আরে আপনি কি বলছেন এসব।
আপনার উপর আমার কিসের রাগ অভিমানের কথা বলছেন। আর আপনাকে তো আজ ই প্রথম দেখলাম মনে হয়, যখন আজ প্রথম বার দেখলাম আপনাকে তাহলে এ সব রাগ..অভিমান.. কোথা থেকে আসছে। আপনার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে দুঃখীত….
আর মিরা আমি বাড়ি গেলাম। কোথায় ভাবলাম আজ ক্লাস করবো কিন্তু তা আর হলো না।
বলেই আবার কলেজ থেকে বের হয়ে আসলাম আমি।
আমি আসার সময় দেখি কলেজের অনেকেই আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
এদিকে স্বর্না কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়।
মিরারও এ ঘটনার পর আর কিছুই ভালো লাগছে না।মনের ভিতর যেন অজানা এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
তাই মিরাও ঠিক করলো সেও আজ আর ক্লাস করবে না। বাড়ি চলে যাবে।
ঠিক তখনি মিরার বান্ধবিরা মানে নীলারা এসে মিরাকে বললো…………
–কিরে কোথায় যাস। ক্লাস করবি না।(রিয়া)
–নারে ভালো লাগছে না। তোরা থাক আমি বাড়ি গেলাম(মিরা)
–আরে আরে কি হয়েছে মিরা শোন তো…(রিয়া)
কিন্তু মিরা কিছু না বলেই চলে যায়।
!
!
আর এদিকে আমি বাড়িতে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছি।স্বর্না এখানে কেন? আবার কি চায় ও।
আমার জীবনটা তো একবার প্রায় নষ্ট করেও কি ওর মনের জ্বালা মেটে নাই।
না আর ভাবতে পারছি না। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে।চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখন আর যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারি নাই। পরের দিন খুব সকালেই আমার ঘুম ভেজ্ঞ যায়। আজ আর কলেজে যাই না। কলেজে না গিয়ে আমি অফিসে যাই। অফিসে এসে নিজের কেবিনে বসতেই পিয়ন চাচা এসে বলল ম্যানেজার স্যার নাকি আমাকে ডেকেছেন। তাই আমি স্যারের সাথে দেখা করতে যাই। স্যারের রুমের দরজা নক করে বললাম..
–মে আই কাম ইন স্যার?
–ইয়েস কাম ইন.! (স্যার)
–স্যার আমাকে ডেকেছিলেন।
(রুমের ভিতরে ঢুকে দেখি স্যারের মুখে চিন্তার ছাপ)
–ওহ্ কাব্য তুমি। তা কেমন আছো?
–এই তো স্যার আলহামদুলিল্লাহ্ আপনাদের দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
…স্যার যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা প্রশ্ন করি?
–হ্যাঁ অবশ্যই। বলো কি জানতে চাও?
–না মানে স্যার আজ আপনাকে দেখে কেন যানি মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে চিন্তায় আছেন?
স্যার একবার আমার দিকে তাকিয়ে একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে আমাকে যা বললো তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তু ছিলাম না। নিমিসেই আমার চোখেমুখে অন্ধকারের কালো মেঘে ঢেকে গেল। কারন.. স্যার আমাকে বললো..
–কাব্য তোমাকে কথাটা কি ভাবে বলবো বুঝতে পারছি না। আর কথাটা শোনার পর তুমি আমাদের কি ভাববে এটাও বুঝতেছিনা।
–স্যার আপনার যা বলার তা আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। যদি আমি কোন অপরাধ করে থাকি তাও..
–না কাব্য তুমি কোন অপরাধ কর নাই।
তুমি তো আমাদের সবার গর্ব। তুমি আমাদের এখানে পাট টাইম জব করেও আমাদের কম্পানিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছো। যার জন্যে কম্পানি তোমার কাছে রিনি। আর আমাদের কম্পানি অনেক ভাগ্য করে তোমার মত একজন কর্মচারি পেয়েছে।
কিন্তু আজ আমাদের কম্পানির জন্য অনেক খারাপ একটা দিন যে তোমার মত একজন সৎ ও ভালো কর্মচারি হারাতে যাচ্ছি বলে।(স্যার)
–স্যার আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।আমি আবার কোথায় হারিয়ে যাবো।
(অবাক হয়ে বললাম)
–কাব্য তোমাকে আমাদের কোম্পানি হারাতে যাচ্ছে মানে হচ্ছে.. আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম যে তোমাকে আর আমরা আমাদের কম্পানিতে রাখতে পারবো না। তোমার সব পাওনা তোমার একাউন্টে ট্যান্সাফার করে দেওয়া হয়েছে।(স্যার)
–স্যার আপনি এসব কি বলছেন।
প্লিজ স্যার এমন টা করবেন না স্যার।
অনেক কষ্টে আমি এই চাকরিটা পেয়েছিলাম স্যার।
আর আজ যদি চাকরিটা চলে যায় তাহলে আমাকে পথে বসতে হবে স্যার।
আমি আমার লক্ষে পৌঁছাতে পারবো না স্যার।
আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আপনি আমাকে যে শাস্তিই দেন না কেন আমি তা মাথা পেতে নেবো। তবুও আপনি আমাকে বের করে দিবেন না স্যার। আমি আপনার পায়ে পড়ছি স্যার।
(কাঁদতে কাঁদতে)
–আরে আরে কাব্য এটা কি করছো তুমি।
তুমি আমার ছোট ভাইয়ের মত। তুমি কোন অপরাধ করো নাই। আসলে কি হয়েছে।
তোমার মনে আছে কি গত মাসে একটা প্রজেক্টের কাজ তুমি সহ আরো চার জনকে দিয়েছিলাম।(স্যার)
–হ্যা মনে আছে স্যার।
আমার প্রজেক্টের ফাইলটা তো আপনাকে দিয়েই দিয়েছি। সেখানে কি কোন..(আমি)
–কাব্য তুমি যেমনটা ভাবছো তেমন কিছুই না…
আর তুমি তো জানতে গতমাসে অন্য একটা কম্পানির একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিলো ঐ প্রজেক্টের উপর।
আর দুর্ঘটনা বসতো মিটিং এর ডেডটা পিছিয়ে যায়।হঠাৎ করেই গতকাল তারা মিটিং এর জন্যে আমাদের কাছে আসে আর প্রজেক্টের ফাইলটা দেখতে চায়।
এবং এই প্রজেক্ট সম্পর্কে আমাদের সাথে তাদের কথা হয়। যাই হোক তোমার ফাইলটা দেখে ওরা খুশি হয়।
আর আমদের সাথে কাজ করতে রাজিও হয়।
সেই সাথে তারা এটাও বলেছে আমরা চাইলে তাদের সাথে একটানা ৫বছরের যেকোনো প্রজেক্টের উপর কাজ করতে পারি।
–কিন্তু স্যার….! এটা তো ভালো খবর।
কিন্তু এটা বুঝতে পারছি না এর সাথে আমার চাকরি যাওয়ার সম্পর্ক কি?
–সম্পর্ক আছে কাব্য।
ওরা বলেছে ওরা আমাদের সাথে কাজ করতে রাজি আছে। কিন্তু তারা আমাদের একটা শর্ত দিয়েছে যে আমরা যেন ভবিষ্যৎতে তোমার সাথে কোন যোগাযোগ না রাখি। আর আজকের মধ্যেই যেন তোমার সব পাওনা মিটিয়ে দেই। এখন তুমি হয়তো বুঝতেই পারছো…(স্যার)
–আপনাকে আর বলতে হবে না স্যার।
আমি সব বুজতে পেরেছি, আমি আসছি।
(আজ নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে স্যার।
কারন আমি হয়তো নিজের স্বপ্নগুলো সত্যি করতে পারবো না।
(আপনারা হয়তো ভাবছেন একটা চাকরি চলে গেছে তো কি হয়েছে। একটা গেছে আর একটা চাকরি পাবো। আরে ভাই এটা বাংলাদেশ এদেশে চাকরি পাওয়া মানে সোনার হরিণ হাতে পাওয়া।
আর তা পাওয়া মুখে বলা যতটা সহজ বাস্তবে ততটা সহজ নয়। যাই হোক মন খারাপ করে চলে যাবো।তখনি স্যার বলল..……
—আরে কাব্য তুমি কই যাও?
আর এতে মন খারাপ করার কি আছে।
দেশে কি আর চাকরির অভাব আছে।
আর যাই হোক তোমাকে তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। তারা আমাদের একটা অফার দিয়েছে (স্যার)
–স্যার অফারটা আপনাদের দিয়েছে।
আমি তো আর আজ থেকে আপনাদের অফিসের সদস্য নই। তাই সেটা আমার না জানলেও চলবে।(আমি)
–কষ্ট করে একটু শুনে তো যাও। হয়তো কথাটা শুনলে তুমিও খুশি হবে।(স্যার)
–ঠিক আছে স্যার এত করে যখন বলছেন বলুন কি বলতে চান(আমি)
–ওরা শর্ত হিসেবে এটা বলেছে যে।
ওরা ওদের কম্পানিতে তোমাকে চাকরি দিতে চায়।আর তোমার বেতন আমাদের থেকে দ্বিগুন দিতে চায়।(স্যার)
–কি বললেন স্যার আবার একটু বলবেন প্লিজ?
–হ্যাঁ ঠিকি বললাম
আমি তো স্যারের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি।
কিন্তু আমি এটা বুজতেছি না তারা আমাকে আমাদের কম্পানি থেকে বের করে দিতে বলে আবার নিজেদের কম্পানিতেই চাকরি দিতে চায় কেন?
(আমার ভাবনার চেদ ঘটয়ে স্যার বললো..)
–আরে ভাই কাব্য এবার তো একটু হাসো।
তোমার মুখে এমন মেঘের ছায়া মানায় না।
(আমি স্যারের কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিলাম)
–আর একটা কথা আগামিকাল ওরা তোমার সাথে কথা বলতে চায়।(স্যার)
স্যারের কথা শুনে মনটা এখন একটু ভালো হলো।
তারপর স্যারের সাথে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে ফুরফুরে ম্যাজাজে বাড়িতে ফিরে আসি।
আর পরের দিক ঠিক সময় মত নতুন অফিসে চলে আসি। অফিসে আসতেই একটা লোক এসে বললো।
–স্যার ম্যাম আপনাকে ভিতরে ঢেকেছেন।
(লোকটার কাপড় দেখে বুজতে পারলাম ইনি এই অফিসের পিয়ন)
–কিন্তু চাচা আমি তো ম্যামের রুম কোনটা তা জানি না। আপনি যদি একটু বলে দিতেন তাহল খুব ভালো হতো।(আমি)
–ঠিক আছে স্যার আপনি আমার সাথে আসুন ।
তারপর পিয়ন চাচা আমাকে সাথে করে ম্যামের রুমে নিয়ে যায়। আর ম্যাম কে বলেন।
–ম্যাম স্যার এসেছেন।(চাচা)
–ঠিক আছে আপনি যান। আমি কথা বলে নিচ্ছি।(ম্যাম)
(তারপর চাচা চলে যান। এবং আমি মাথা নিচু করে আছি)
–আপনার নাম তাহলে কাব্য।
(নাইচ টু মিট ইউ কাব্য) (ম্যাম)
(ম্যামের কন্ঠটা কেন যানি পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে।তাই আমি তাকে দেখার জন্যে যেই মাথা উচু করে তার দিকে তাকালাম।
আমি তাকিয়ে দেখি যে ম্যাম একটা বোরকা পরে আছে। কিন্তু বোরকার আড়ালে কে তা বুঝতে পারছি না। আমার শুধু বারবার মনে হচ্ছে বোরকার আড়ালে যে আছে। তাকে হয়তো আমি চিনি)
–কি হলো কিছু বলছেন না যে আপনাকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করেছি।
(একটু কর্কস কন্ঠে)
–স্যরি ম্যাম।
একটু ট্যানশনে ছিলাম তো। যাই হোক আমার নাম কাব্য আহম্মেদ। যাকে আপনারা..………(আমি)
আমাকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে ম্যাডাম বলতে লাগল।
–আপনাকে কিছু বলতে হবে না। আপনার সম্পর্কে আমি সব কিছুই যানি। আপনি কে, কোথায় থাকেন।কখন কি করেন।(ম্যাম)
আমি অবাক হয়ে বললাম………
–ঠিক বুঝলাম না ম্যাম। আপনি কি ভাবে আমার সম্পর্ক জানেন। আমিতো আজকেই প্রথম..(আমি)
(ম্যাম একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো)
–আমার অফিসে যাকে আমি কাজে রাখবো।
তার সম্পর্কে একটু হলেও তো খোঁজ রাখতে হবে।বলাতো যায় না কখন..।
যাই হোক আপনাকে যে জন্য আজ ঢেকেছি তা হলো আপনার কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
সেই জন্য আমরা আপনাকে আমাদের কম্পানিতে কাজ করার জন্য নিয়েছি। আসা করি আপনি আগের কম্পানিতে যেমন কাজ করতেন আমাদের এখানেও ঠিক তেমনি কাজ করবেন। আর কাজের প্রতি যেন কোন………………………
.
.
.
.
চলবে………………………………♥♥♥♥