আলো_আধারের_খেলা পর্ব_১২

0
199

আলো_আধারের_খেলা
পর্ব_১২
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

চাচ্চু বাকি চিপস আর চকলেট গুলো দিলে না?
–তোমাদের কে তো দিয়েছি।এগুলো তোমাদের চাচীমনির জন্য।
–চাচীমনি কি ছোটো বাচ্চা? যে ওনাকেও চিপস আর চকলেট খেতে হবে।আমি সবগুলোই খাবো।এই বলে হিয়া রুয়েলের হাত থেকে চিপসের প্যাকেট আর চকলেট গুলো নিয়ে নিলো।হঠাৎ হিয়ার চোখ গেলো রুয়েলের পকেটের দিকে।
চাচ্চু!কত সুন্দর লাল গোলাপ।আমার জন্য এনেছো?এই বলে হিয়া ফুলগুলোও নিয়ে নিলো আর তাদের রুমে ঢুকলো।

রুয়েল কিছু বলতেও পারলো না।সে যদি বারণ করতো তাহলে হিয়া কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে গড়াগড়ি দিতো।সেজন্য রুয়েল খালি হাত নিয়েই রুমে প্রবেশ করলো।

রুয়েল তার বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য বাহিরে গিয়েছিলো।তাদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে সে বাসায় আসার সময় কিছু চিপস আর চকলেট বক্স নিয়ে এসেছিলো।সাথে কিছু টকটকে লাল গোলাপ।রুয়েল ভেবেছিলো জান্নাত এসব দেখে ভীষণ খুশি হবে।কিন্তু হিয়া তো বাসায় ঢুকতেই সব কিছু নিয়ে নিলো।রুয়েল ওদের জন্যও আলাদা করে চিপস আর চকলেট এনেছিলো।
রুয়েল হিয়া আর হৃদয়কে দেওয়ার পরও তার হাতে আরো চিপস আর চকলেট দেখে সেগুলোও নিয়ে নিলো হিয়া।
হিয়ার স্বভাবই এমন।সে কাউকে কিছু না দিয়ে সব একাই নিতে চায়।মাঝে মাঝে তো হৃদয়কেও দেয় না।এজন্য দুইভাইবোনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধে।সেজন্য যেকোনো জিনিস হিয়ার জন্য দুই একটা বেশি করে নিতে হয়।যাতে করে ও যখন ঝামেলা করে তখন সেগুলো তাকে দেওয়া যায়।

রুয়েল রুমে ঢুকে দেখে জান্নাত এশার নামায পড়ছে।সেজন্য রুয়েল আবার বাহিরে চলে গেলো।

এদিকে জান্নাত নামায পড়া শেষ করে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করতে লাগলো।সে জানতো না রুয়েল এসেছিলো বাসায়।সেজন্য সে আরো কিছুক্ষন কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করলো।
তারপর কোরআন তেলাওয়াত শেষ করে জান্নাত তার শাশুড়ীর রুমে চলে গেলো।কিন্তু জান্নাতের শাশুড়ীর এখনো নামায পড়া শেষ হয় নি।সেজন্য জান্নাত আবার নিজের রুমে আসলো।

জান্নাত মনে মনে ভীষণ দুশ্চিন্তা করতে লাগলো রুয়েলের জন্য।সেই কখন বের হয়েছে এখনো বাসায় ফেরে নি।জান্নাত তখন মনে মনে ভাবলো ইসঃ তখন যদি ফোনটা নিতাম তাহলে এখন ওনাকে একবার কল করতে পারতাম।এখনো কেনো আসছেন না উনি?
এতো রাতে বাহিরে কি করছেন?এসব চিন্তা করতে করতে জান্নাত একদম শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।

হঠাৎ জান্নাতের শাশুড়ী আসলো জান্নাতের কাছে।আর বললো,জান্নাত রুয়েল আসে নি এখনো?
–না মা।
জান্নাতের শাশুড়ী সেই কথা শুনে বললো, এই ছেলে আর চেঞ্জ হবে না কোনোদিন।ঘরে বউ রেখে এখনো বাহিরে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জান্নাত সেই কথা শুনে বললো, মা উনি কি প্রতিদিন ই এমন দেরীতে আসে?
–তা ঘরে বসে সারাদিন কি করবে?ছয়মাসের জন্য দেশে আসে সেজন্য একটু আনন্দ ফূর্তি করেই কাটিয়ে দেয়।তবে এখন ওর এই অভ্যাস পাল্টাতে হবে।আজ বাসায় ফিরুক,এ নিয়ে কথা বলতে হবে।এই বলে জান্নাতের শাশুড়ী রুম থেকে বের হতেই রুয়েলও প্রবেশ করলো রুমে।

রুয়েল কে দেখামাত্র তার মা বললো,এতো দেরি করে আসলি কেনো?এতোক্ষণ কি করলি?
রুয়েল তখন বললো,অনেক আগেই তো এসেছি বাসায়।এসে দেখি জান্নাত নামায পড়ছে আর তুমিও পড়ছো।সেজন্য নিচে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম।

হঠাৎ রুয়েলের মায়ের চোখ যায় রুয়েলের হাতের ব্যাগটার দিকে।তিনি তখন বললেন,হাতে কিসের ব্যাগ ওটা?
রুয়েল তখন বললো, এমনিতেই আমার কিছু দরকারী জিনিস আছে এখানে।এই বলে রুয়েল ব্যাগটা টেবিলের উপর রাখলো।আর তার মায়ের সাথে গল্প করতে লাগলো।কিছুক্ষন পর রুয়েলের মা বললো,বাবা ফ্রেশ হয়ে নে আগে।আর জান্নাত খাবার রেডি করে সবাইকে ডাইনিং টেবিলে ডেকে আনো।

রুয়েল সেই কথা শুনে বললো,মা, একটু পরে খাবো আমি।তোমরা খেয়ে নাও।
রুয়েলের মা সেই কথা শুনে জান্নাতকে বললো,তাহলে আমাদের জন্য রেডি করো খাবার।ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে।
রুয়েল তখন বললো, মা হেনাকে একটু বলো না।জান্নাত এখন তার বাবা মার সাথে কথা বলবে।ওর বাবা জান্নাতের সাথে কথা বলার জন্য অনেকক্ষন থেকে ফোন দিচ্ছে।
–আচ্ছা ঠিক আছে।এই বলে জান্নাতের শাশুড়ী রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

জান্নাত এবার নিজেই রুয়েলের কাছে এগিয়ে গেলো।আর বললো কই আপনার ফোন?দিন আমাকে।বাবা নাকি কল দিয়েছে।
রুয়েল সেই কথা শুনে হেঁচকা টানে জান্নাতকে কে তার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।আর বললো,আপনার বাবা কল দেয় নি জান্নাত।আমি মিথ্যা কথা বলেছি মাকে।

–কেনো?কেনো মিথ্যা বললেন মাকে?
–জান্নাত, আমি আপনার জন্য কিছু গিফট এনেছি।সেগুলো দেবো বলে।
–এসব গিফট তো পরেও দেওয়া যেতো।তাই বলে আপনি মিথ্যা বলবেন মাকে?আমি মিথ্যা কথা বলা মোটেও পছন্দ করি না।এই বলে জান্নাত রুয়েলের কাছ থেকে সরে গেলো।

রুয়েল তা দেখে কানে ধরে বললো,ওকে।ভুল হয়ে গেছে আমার।আর বলবো না মিথ্যা কথা।গিফটগুলো আগে নিন।এই বলে রুয়েল জান্নাতের হাতে ব্যাগটা দিলো।

জান্নাত ব্যাগ থেকে সবকিছু বের করে টেবিলের উপর রাখলো।সে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলো না।এসব কি এনেছে রুয়েল?লাল চুড়ি,লাল টিপ,লাল লিপিস্টিক আর একটা লাল শাড়ি।শুধু এগুলোই না, তার পছন্দের চিপস আর চকলেট ও আছে।আর কিছু ড্রাই ফ্রুটস।

–কি পছন্দ হয়েছে?
–এসব কেনো এনেছেন?এগুলো দিয়ে কি করবো আমি?
–কি করবেন মানে?সাজবেন।
–না পারবো না আমি সাজতে।এই বলে জান্নাত সরে গেলো।তার ভীষণ লজ্জা লাগছে।রুয়েল কেনো তাকে এসব এনে দিলো?সে কি কখনো সেজেছে নাকি?জীবনের প্রথমবার কাল একটু সেজেছে।আর সেটাও ঊর্মি ভাবি সাজিয়ে দিয়েছে।আজ সে একা একা কি করে সাজবে?

রুয়েল তখন জান্নাতকে জড়িয়ে ধরে বললো, আপনি কি লজ্জা পাচ্ছেন জান্নাত।এখনো তো শাড়ি পড়েনই নি।তাহলে শাড়ি পড়লে আরো কি হবে?

–না মানে আমি পারি না তো শাড়ি পড়তে।
–যেটুকু পারবেন ওটুকুতেই চলবে।আমার ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে আপনাকে।
জান্নাত তখন হাসতে হাসতে বললো আমি তো সামনেই দাঁড়িয়ে আছি।
রুয়েল সেই কথা শুনে বললো,শাড়িতে দেখতে চাই আপনাকে।খুব কাছ থেকে দেখবো আজ।প্লিজ জান্নাত।আমি জানি স্বামীর কথা কখনোই অমান্য করবেন না আপনি।এই বলে রুয়েল জান্নাতের হাতে ফোনটা দিয়ে বললো,ধরুন।আপাতত কথা বলুন বাবার সাথে।আমি একটু বাহির থেকে আসি?

–আবার কেনো বাহিরে যাচ্ছেন?
–আরো একটা জিনিস লাগবে।যেটা নিতে ভুলে গেছি।এই বলে রুয়েল রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

জান্নাত সেজন্য তার বাবাকে কল দিলো।সে তার বাবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বললো মাকে দাও।কিন্তু জান্নাতের মা ঘুমিয়ে পড়েছে।এজন্য জান্নাত বললো বাবা তাহলে কাল কথা বলি মার সাথে।এই বলে জান্নাত কল কেটে দিলো। আর ফোনটা রেখে রুম থেকে বের হলো।

জান্নাত রুম থেকে বের হতেই তার শাশুড়ী বললো,বাবার সাথে কথা বলা শেষ হলো।
–হ্যাঁ মা।
–তাহলে সবাইকে খাবার দাও এখন।আমি সবাইকে ডেকে আনছি।
জান্নাত সেই কথা শুনে বললো, আপনারা এখনো খান নি?
–ভাবলাম তুমি আর রুয়েলকে ছাড়া কি করে খেতে বসি?যাও তাড়াতাড়ি করে খাবারগুলো আনো।
জান্নাত তার শাশুড়ীর কথা শুনে টেবিলে এক এক করে সব খাবার আনলো।এদিকে সবাই এসেও গেছে টেবিলে।শুধু রুয়েল ছিলো না।

জান্নাতের শাশুড়ী তখন বললো, রুয়েল আবার কই গেলো?ওকে ডেকে আনো।
জান্নাত তখন বললো,মা আপনার ছেলে একটু বাহিরে গেছে।
–বাহিরে গেছে মানে?আবার কেনো যেতে দিলে?
জান্নাত কিছু না বলে চুপচাপ থাকলো।আর সবাইকে খাবার সার্ভ করলো।

ঊর্মি হঠাৎ বললো, যার যে স্বভাব।স্বভাব কি আর এক দিনে পরিবর্তন হয়?
রুবেল সেই কথা শুনে বললো, কত করে বলি এসব ছেলেদের সাথে মেলামেশা বাদ দে।তবুও সে ওদের সাথেই চলাফেরা করে।একেক টা ছেলে গাঞ্জাখোর,নেশাখোর।আরো কত কি খায়?

জান্নাতের শাশুড়ী তখন বললো, কি বলছিস এসব রুবেল?রুয়েল এসব নেশা করে না।হ্যাঁ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় এটা ঠিক।কিন্তু সে নেশাখোর নয়।ওর বন্ধুরা যদি এসব আজেবাজে জিনিস খায় তা ও কি করবে?

ঊর্মি সেই কথা শুনে বললো, ওর বন্ধুরা নেশা করে আর আপনার ছেলে বসে বসে তা দেখে।এরকম কথা জীবনেও শুনি নি মা।এই বলেই ঊর্মি জোরে করে হেসে উঠলো।

–নতুন বউ এর সামনে এসব কি বলছো এসব?

–যা সত্য তাই বলছি।একদিন না একদিন তো জানবেই।এই বলে ঊর্মি জান্নাতের দিকে তাকালো।

এদিকে জান্নাত নেশার কথা শুনে একদম থমকে গেলো।তার পুরো শরীর স্তব্ধ হয়ে গেলো।মনে হচ্ছে সে ভুল শুনছে এসব?সে ভাবতেই পারছে না রুয়েল নেশা করে।তবে জান্নাত নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলো।সে কিছুতেই বিশ্বাস করলো না কথাটা।সে রুয়েলকে জিজ্ঞেস করবে।তারপর রুয়েল যেটা বলবে সেটাই সে বিশ্বাস করবে।সেজন্য জান্নাত চুপ করে থাকলো।

জান্নাতের শাশুড়ী হঠাৎ বললো,জান্নাত তুমি এভাবে চুপচাপ আছো কেনো?খাওয়া শুরু করো।
–আপনারা খান সবাই।আমি পরে খাবো।এই বলে জান্নাত তার রুমে চলে গেলো।

জান্নাত কেনো জানি স্থির হতে পারছিলো না।সে শুধু পায়চারি করতে লাগলো।আর রুয়েলের কথা ভাবতে লাগলো।
জান্নাত কিছুক্ষন রুমে পায়চারি করার পর আবার বের হলো রুম থেকে।ইতোমধ্যে সবার খাওয়া শেষ হয়েছে।সবাই যে যার রুমে চলে গেছে।শুধু হেনা একাই আছে ডাইনিং টেবিলে।সে টেবিল পরিষ্কার করছে।আর সকল প্লেট বাটি বেসিনে রাখছে।জান্নাতকে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে হেনা বললো,ভাবি কিছু লাগবে?
–না লাগবে না।

হঠাৎ রুম থেকে ঊর্মি বের হলো।সে এসে হেনাকে বললো,জলদি তোর ভাই এর জন্য এক কাপ চা বানা।এই বলে ঊর্মি জান্নাতের কাছে এগিয়ে গেলো।আর বললো, অযথাই অপেক্ষা করে আছো জান্নাত।খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ো গিয়ে।ওর যখন আসার সময় হবে এমনিতেই আসবে।

জান্নাত তখন বললো,আচ্ছা ভাবি,রুবেল ভাইয়া বাহিরে কোনো আড্ডা দেয় না?
ঊর্মি সেই কথা শুনে বললো, না,তার কি আড্ডা দেওয়ার সময় আছে?সেই সকাল ৯ টায় যায় শো রুমে, আসে আবার রাত ৯ টায়।দুপুরে শুধু খেতে আসে একবার।কখন আড্ডা দেবে?

জান্নাত তখন বললো, তাহলে ভাবি আপনার দেবরকে শো রুমে যেতে বলেন না কেনো?ও একটু বসলেই তো রুবেল ভাই এর কষ্ট কিছুটা কম হয়।
ঊর্মি সেই কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,রুয়েল বসবে দোকানে?ওর মানসম্মান নষ্ট হয়ে যাবে না?তোমার ভাই কতবার বলেছে দোকানে বসার জন্য।কিন্তু ও বলে ছয় মাসের ছুটি কাটাতে দেশে আসি, একটু আরাম আয়াশে থাকবো বলে।আমি ওসব দোকানে বসতে পারবো না।
জান্নাত ঊর্মির কথা শুনে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো,তাহলে ভাবি আপনার দেবর কেনো আর বিদেশ যায়?ওকে কেনো আর যেতে দেন আপনারা?ভাইয়ার সাথে ব্যবসা করলেই তো পারে।

জান্নাতের কথা শুনে ঊর্মির যেনো পায়ের তলার মাটি সরে গেলো।এই মেয়ে বলে কি এসব?বিদেশ না গেলে মাসে মাসে টাকা পাঠাবে কে তাদের?এসব দোকানের টাকায় তাদের চলবে নাকি?

ঊর্মিকে চুপচাপ থাকা দেখে জান্নাত বললো,ভাবি চুপ হয়ে গেলেন যে?
ঊর্মি তখন বললো, দেশে থাকলে রুয়েল আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে।ও যাদের সাথে মেশে তারা একজনও ভালো না।সেজন্য রুয়েল বিদেশ থাকাই ভালো।

জান্নাত তখন বললো,ভাবি ও যখন দেশে ফ্যামিলির লোকের সামনেই এমন টইটই করে ঘুরে বেড়ায় তাহলে বিদেশ কি কি করে বেড়াবে সেসব জানবেন কি করে?বিদেশ গিয়ে তো আরো বেশি খারাপ হতে পারে।

জান্নাতের এমন প্রশ্ন শুনে ঊর্মি মনে মনে ভাবলো,এই মেয়ে তো মোটেও বোকা নয়।এক দিনেই কেমন প্রশ্ন করছে তাকে।না একে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না।এখানেই থামাতে হবে।সেইজন্য ঊর্মি বললো,জান্নাত তুমি হলে অনেক ছোট।তুমি সংসারের নিয়মকানুন কিছুই জানো না এখন।সেজন্য আমাদের পরিবার নিয়ে এতো বেশি মাথা ঘামিও না।তুমি তোমার মতো চুপচাপ থাকলে খুশি হবো।রুয়েল বিদেশ যাবে না দেশে থাকবে সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।রুয়েলের ভালোমন্দ ভাবার জন্য ওর মা আছে,ভাই আছে আর আমিও আছি।আমরা জানি কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক।বুঝেছো?এই বলে ঊর্মি তার রুমে চলে গেলো।

জান্নাত কিছুই বুঝতে পারলো না।হঠাৎ ঊর্মি এভাবে রিয়্যাক্ট করলো কেনো।সে তো খারাপ কিছু বলে নি।

#চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here