সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল #তানিয়া পর্ব:৪

0
556

#সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল

#তানিয়া

পর্ব:৪

মেহুর জন্য আলাদা একটা রুম দেওয়া হয়েছে। ছাদের ওপরের চালাঘরটা।যদিও সেটা স্টোর রুম হিসেবে পরিচিত ছিলো তবে রিসেন্টলি সেটা মেহুর ঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আসলে এতদিন আমেনা খালার সাথে থাকলেও ঘরটা ছোট ছিলো।দুজনের জন্য বেশ অসুবিধা হতো।তাই মেহু লুৎফাকে বলে কয়ে নিজের জন্য চালাঘরের রুমটা নিয়ে নেয়। এটার সাথে এডজাস্ট করা ছোট একটা টয়লেটও আছে। মোটামুটি মেহুর জন্য পারফেক্ট একটা ঘর।

মূলত মেহু আর আমেনা খালার কোনো অসুবিধায় হচ্ছিল না কিন্তু মেহুর পড়াশোনর জন্য রুমটা বেশ সমস্যা করছিলো।আসলে নিচে হওয়াতে মেহুর মনে হয়েছিলো সেখানে পড়াশোনাটা রিস্কি তাছাড়া আমেনা খালা সহ থাকলে সে রাত জেগে পড়তে পারতো না।এখন নিজের রুমে যখন ইচ্ছে রাত জেগে পড়তে পারবে,কেউ ডিস্টার্ব করবে না।সাথে নিরিবিলি পরিবেশ হওয়াতে পড়তেও সুবিধা হবে।

মেহু নিজের মতো করে রুমটাকে সাজালো।এ বাড়ির মানুষজন খুব একটা ছাদে আসে না তাই তার রুমের ব্যাপারে কারে কোনো সন্দেহ হবে না।তবুও রিস্ক না নিয়ে মেহু বইগুলো সব খাটের তলায় রাখলো আর সামনে দিয়ে একটা ট্রাঙ্ক এনে রাখলো যাতে বোঝা না যায় ট্রাঙ্কের পেছনে কি আছে? তাছাড়া মেহু ঠিক করল যাওয়ার আগে তালা দিয়ে যাবে।লুৎফার কাছ থেকে মাস শেষ হওয়ার আগে বেশকিছু টাকা নিয়েছিলো সেগুলো দিয়ে মোটামুটি কিছু বই কেনা হয়েছে। আর আসার সময় যা ছিলো তা দিয়ে ভর্তির ফি জমা দেওয়া হয়েছে যদিও কিছু টাকা বাকি আছে তবে সেটা বেতনের টাকা জমিয়ে পরিশোধ করে দিবে।এ মুহুর্তে মেহুর মাথা থেকে অনেকটা ঝামেলা কমে গেলো।সে শান্তিতে সকালের কোচিং সারাদিনের ঘরের কাজ আর রাতে এ নিরিবিলি পরিবেশে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারবে।তবে সব করতে হবে অনেক সতর্কতার সাথে।

ওয়াশরুমে গিয়ে সে হাত মুখ ধুয়ে গামছা দিয়ে মুখ মুছছে হঠাৎ আয়নায় চোখ পড়তে একটু থেমে দাঁড়ায়।ভালো করে নিজের চেহারাটা দেখে। সারাদিন তো নিজেকে দেখার সময় হয় না।কালো রং এর পেছনে লুকিয়ে থাকা এ সাদা চামড়াটা অনেক বেশি অসহ্যনীয় লাগে মেহুর।কারণ কালো চামড়াটা দিয়ে সে যাচ্ছেতাই করতে পারে কিন্তু এ সাদা চামড়াটা তাকে সবকিছুতে বাধা দেয়।এটা দেখলে রাগ লাগে মাঝে মাঝে নিজের এ রূপকে শেষ করতে মন চায় কিন্তু অনেক সময় অসহায়ের কাছে হার মেনে বাস্তবতাকে মানতে হয়।অনেকদিন পর নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে মেহু।মনে হচ্ছে আড়ালে থেকে লুকটা আরো উজ্জ্বল হয়ে গেছে তাতে মেহুর কি সারাদিন তাকে ঐ কালোই থাকতে হবে?তবুও শান্তি অন্তত বদলোকের নজর নেই।

দুপুরে রান্নার তোরজোর চলছে হঠাৎ লুৎফা এসে জানায় তার মেজ ছেলের রুমটা পরিষ্কার করতে হবে।সে আজই বিকেলে ফিরবে।গতকাল রাতের ফ্ল্যাইটে উঠেছিলো খুব সম্ভাব্য আজই পৌঁছাবে।একটু আগে জানালো তাকে।লুৎফার কথা শুনে আমেনা খালাকে পায় কে?একে রান্নার কাজ তার ওপর ঘর পরিষ্কার। তিনি তাড়াতাড়ি মর্জিনাকে গিয়ে বলেন,

“এ রো মর্জিনা তাড়াতাড়ি যা ওপরে।দুতলার শেষ কোণায় একডা রুম আছে ঐডারে ধুইয়া মুইছা চকচকে কইরা লো।মেজ ভাইজান নাকি সন্ধ্যার মধ্যে আইয়া পরবো।যা মা তাড়াতাড়ি যা।”

মর্জিনা ঝাড়ু আর পানি নিয়ে রুমের সামনে দাঁড়ায়।এ ঘরটা একদম শেষের দিকে।যিনি এ ঘরের মালিক তিনি নাকি কোনো কোলাহল সইতে পারেন না এমনকি অগোছালো অপরিষ্কার থাকাটা তার পছন্দ না।তাই সবসময় নিজের সবকিছুকে পরিষ্কার রাখেন।মেহুর আসার দেড় মাস আগে নাকি ব্যবসার কাজে বাইরে গিয়েছিলেন আজ আসছে।মেহু এ পরিবারের সবাইকে দেখলেও একমাত্র এ মেজ ছেলেটাকে দেখে নি।তাই জানেও না মানুষ হিসেবে লোকটা কেমন?

হাতে থাকা চাবিটা দিয়ে দরজা খুলে সে লেগে যায় কাজে। রুমটা তেমন একটা অপরিষ্কার নয় তবুও অনেক দিন ব্যবহার না হওয়াতে একটু ঘোলাটে দেখাচ্ছে।মেহু প্রথমে বন্ধ জানালা গুলো খুলে দেয়।তারপর বিছানার চাদর পরিবর্তন করে দেয়।ঘরে থাকা সব জিনিসগুলো একটু ঝেড়ে দেয়।ভালো করে ঘরের মেঝেটা মুছে নেয়।এরপর দেয়ালে থাকা ছবিগুলো একে একে মুছতে গিয়ে মেহু পাথর হয়ে যায়। কারণ একটা ছবির সামনে এসে সে থেমে যায়।

ঢাকা শহরে এসে সবার আগে এ লোকটার সাথে তার দেখা হয়েছিল। দেখা নয় এক প্রকার ঝগড়া হয়েছিল। ছোটখাটো একটা ভুলের জন্য দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। দু একজন মানুষও জড়ো হয়েছিল। মেহু তাড়াতাড়ি ছবিটা ঠিক জায়গায় রেখে সোজা আমেনার কাছে চলে যায়। হাঁপাতে থাকে মেহু।আমেনা মেহুকে দেখে পানি নিয়ে আসে।

“কি রে মাইয়া তোরে কি ভূতে তাড়া করছে।এভাবে দৌড়ায় আইলি ক্যান?আর ঘর পরিষ্কার করছোস?”

মেহু কথা বলতে পারে না শুধু হাঁপাচ্ছে।আমেনা খালা মেহুকে টেনে বসায়।

“ও মাইয়া কি হইলো তোর?এমন করতাছোস ক্যান?ভয় পাইসোস?”

“না ”

“তাইলে?”

“ওপরে যে রুমটা পরিষ্কার করছিলাম সেখানে একটা লোককে দেখলাম ছবিতে, লোকটা কে?”

“ওও এ কথা। ওনিই তো এ বাড়ির মেজ পোলা নাম আদ্য।দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মেজজাও খুউব চউড়া।ওনার লগে কথা কইতে সবাই অনেক ডরাই তয় মা ভক্ত। বড় আপা রে কি যে ভালোবাসে।আপা যা কইবো তাই হুনবো।তয় মেজাজি হইলেও খুউব ভালা।কহোনো কারো লগে মন্দ কথা কয় নাই কিন্তু তারে দেইখা তোর ভূত তাড়ার মতো ছুটতে হইলো ক্যান?”

“খালা গো আমি শেষ। যেখানে বাঘের ভয় সেইখানে রাইত হয়।খালা গো এ ঢাকায় যখন আমি প্রথম আসি তখন এ লোকের সাথে আমার প্রথম দেখা হইছিলো।শুধু দেখা না ঝগড়াও হইছিলো।”

আমেনা খালা মুখে হাত দিয়ে হা হইয়া যায়।

“কি কস ছেমড়ি কেমতে?”

“শোনো তাহলে….

মেহু ট্রেন থেকে নামতেই দেখে চারপাশে অনেক লোক ছোটাছুটি করছে। সবাই ব্যস্ততা নিয়ে ছুটছে কারো দিকে কারোর দেখার জো নেই। কোত্থেকে একটা কোর্ট পরা লোক এসে মেহুর হাতের ব্যাগটা নিয়ে নেয়।হঠাৎ এমন করায় মেহু আহাম্মক বনে যায়। যখন বুঝতে পারে তখন টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে ফেলে।

“কি করছেন কি আপনি আমার ব্যাগ নিয়েছেন কেন?পোশাক দেখে তো চোর মনে হয় না দিনে দুপুরে চুরি করছেন?”

“না না আমি চোর না আমি কুলি।স্মার্ট কুলি।আসলে নোংরা পোশাক দেখলে কেউ কাজে নিতে চায় না তাই একটু স্মার্ট হয়ে চলি।তা ম্যাম আপনার ব্যাগটা দিন আমি নিয়ে যাব।”

“না না লাগবে না আমার ব্যাগ আমি নিবো।ধন্যবাদ তবে এভাবে অনুমতি ছাড়া ব্যাগে হাত দিবেন না।”

লোকটা কি শুনলো কে জানে অন্যদিকে দৌড় দিলো।

মেহু ব্যাগ হাতে নিয়ে স্টেশনের বাইরে চলে আসে।উদ্দেশ্য গাড়ি নিয়ে রোকেয়া আপার কাছে যাবে।রোকেয়া আপা তার গ্রামের একজন দুঃসম্পর্কের বোন হয়।বলেছিলো কখনো কোনো সমস্যা হলে যেনো তার কাছে যায়। একটা ঠিকানাও দিয়েছিলো কথা হচ্ছে এখন ঠিকানা অনুযায়ী তাকে পাওয়া যাবে কিনা?

মেহু ব্যাগ নিয়ে কিছুটা পথ হেটে আসে।কিন্তু এতো ভারী ব্যাগ বহন করা সম্ভব নয় তাই আশেপাশে একটা রিকশা খোঁজে। কিছু দূরে একটা রিকশা নজরে পরলে মেহু এগিয়ে যায়।

“এ যে রিকশাওয়ালা কদমতলী ছাত্রী নিবাস হোস্টেলে যাবেন?

লোকটা বিরক্ততার ভঙ্গিতে মেহুর দিকে তাকায়।

“কি বললেন আপনি?”

“বলছি কদমতলী ছাত্রী নিবাসের সামনে যাবেন?”

“ইউ রাসকেল!আমাকে দেখে আপনার কোনদিক দিয়ে রিকশা চালক মনে হচ্ছে।”

” কোনদিক দিয়ে নয়?একটু আগে তো একজন কুলিকে দেখলাম স্মার্ট হয়ে কুলিগিরি করছে যাতে যাত্রীরা ইগনোর করতে না পারে।আপনিও হয়তো এমনভাবে সেজেছেন যাতে সহজে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন তাহলে এখন এভাবে কথা বলছেন কেন?”

“ইউ? আপনার সাহস তো কম না।কাকে কি বলছেন আপনি?”

“একজন রিকশাওয়ালার সাথে কথা বলছি এতে এতো গজগজ করার কি আছে?”

“তোমাকে আমি….”

“স্যার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে আপনি চলুন।”

“ব্লাডি ড্রাইভার! তোমার জন্য আজ আমাকে রিকশাওয়ালা সাজতে হলো।বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গাড়ি চেক করো নি কেন?একে তো কাজের দেরী তার ওপর এ মেয়ে বলে কিনা আমি রিকশাচালক? ”

মেহুকে উদ্দেশ্য করে কথা বলে আদ্য। আদ্যর কথায় মেহু থ হয়ে যায়। বুঝতে পারে ভুল মানুষকে ভুল হিসেবে সম্বধোন করেছে।মেহু আর কিছু না বলে চুপ করে রইলো।আদ্য অগ্নি চোখে মেহুর দিকে তাকায়।

“হেই ইউ তোমাকে আমি দেখে নিব।মনে করো না মুখ ঢেকে রেখেছো বলে তোমাকে চিনবো না।তোমার চোখগুলো মার্ক করে রাখলাম।I sewer, আমাদের আবারও দেখা হবে তখন সুদাসলে সব ফেরত দিব।”

অগ্নি স্বরে কাটাকাটা কথা বলে আদ্য হনহন করে বেরিয়ে যায়। একটু পর বুড়ো মতো একজন লোক রিকশার পাশে এসে দাঁড়ায়,

“আপা কই যাইবেন? ”

“জাহান্নামে যাব।এ রিকশা আপনার?”

“হো আপা ক্যান কি হইছে?”

“বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। রিকশা রেখে কই গেছেন?আপনার জন্য কতো বড় একটা মিসটেক হলো।ইশশশ!”

কথা গুলো বলে ব্যাগ হাতে নিয়ে মেহু চলে যায় আরো সামনে।রাগের চোটে এখন আর ক্লান্তি কাজ করছে না।

আদ্য ব্যবসার কাজে বাইরে যাচ্ছিল।ফ্লাইট ছিলো দুপুর ১২ টা।গাড়ি নিয়ে যেতে মাঝপথে থেমে যায়। ড্রাইভার চেক করতে নেমে দেখে ইঞ্জিনে সমস্যা তাই ঠিক করতে বের হয়।ঠাডা পড়া গরমে আদ্যর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই একটু ছায়া পড়া জায়গায় দাঁড়ায়।যেদিকে দাঁড়ায় সেদিকে একটা রিকশা ছিলো আর মেহু তাকে রিকশাওয়ালা ভেবে কথা বলে।ব্যস লেগে যায় ছোটখাটো যুদ্ধ। তবে মেহুর চিন্তা নেই, সেই লোক চিনবে কেমন করে যেখানে মেহুর মুখই দেখা যাচ্ছে না।আর চোখ দেখে কাকে কে বা মনে রেখেছে শুনি?

মনের মধ্যে নিজেকে সাত্বনা দেওয়ার বাণী তৈরি করে মেহু নিজের গন্তব্যে চলে আসে।হোস্টেলের সামনে দাঁড়াতে গার্ড থাকে প্রশ্ন করে।সে পরিচয় দিলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে।হোস্টেল সুপার এসে মেহুর সাথে কথা বলে তাকে রোকেয়ার কাছে নিয়ে যায়। রোকেয়া মেসেই ছিলো মেহুকে পেয়ে খুশিতে আটখানা।

“তা বল মেহু মেস খুঁজে পেতে সমস্যা হয় নি তো?”

“না আপা তবে অচেনা শহরে একটু এদিক ওদিক হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিলো। ”

“হা হা এ শহরে মানুষ হারায় না শুধু পথ চিনতে ভুল হয়।যায় হোক তোর চিঠি পাওয়ার পর আমি অনেক চেষ্টা করলাম একটা রুমের ব্যবস্থা করার কিন্তু বিশ্বাস কর এখন কোথাও রুম খালি নাই। এখন বছরের শুরুর সময় সব স্টুডেন্ট আর কর্মজীবী মানুষ হোস্টেলে উঠছে।তার ওপর ভর্তির জন্য গ্রাম থেকে ঢালা ঢালা মানুষ শহরে আসছে।তাই রুম পাওয়া কষ্টসাধ্য। তবুও আমি চেষ্টা করছি রে!”

“আপা আমি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি তবে আমার দিকটাও বুঝো।তাছাড়া তুমি তো জানো আমি কোন পরিস্থিতি থেকে এসেছি।’

“হুমম মেহু আমি সব বুঝতে পারছি।তাছাড়া আমার ভয়ও লাগছে তুই যেভাবে পালিয়ে এসেছিস ওদের পক্ষে অসম্ভব না তোকে খুজে বের করা।যাই হোক ওসব বাদ দে আপাতত এ কদিন আমার সাথে থাক।আমি দেখি কি করা যায়? আসলে আমরা এক রুমল দুজন করে থাকি বাড়তি মানুষ রাখা যাবে না কিন্তু আমার রুমমেট বাড়িতে তাই তোর সমস্যা হবে না।তাহলে এ কদিন চেষ্টা করার সুযোগ আছে। হাতে টাকা পয়সা কিছু আছে? ”

“হুমম আপা বেশ খানিকটা আছে। অচেনা জায়গায় আসছি খালি হাতে তো আসা যায় না।তবে তুমি একটু চেষ্টা করে দেখো।”

দিন দুই পার হলো কিন্তু রোকয়া কোনো কিছু ব্যবস্থা করতে পারলো না।ঢাকা শহরে হুট করে চাহিদানুযায়ী বাসা পাওয়া সহজ নয়।তাছাড়া যে পরিমাণ খরচ তাতে অল্প টাকায় কুলানো অসম্ভব। তবুও রোকেয়া চেষ্টার এুটি রাখেনি।এরমধ্যে রোকেয়ার রুমমেটও চলে আসে। হোস্টেল সুপার নোটিশ দেয় যে বাড়তি মানুষ রাখা যাবে না। সেই হিসেবে মেহু একদম ভেঙে পড়ে।

“মেহু আমি আর লোপা দুজনে কাজে যাচ্ছি দেখি আজ কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না নতুবা….”

মেহুর মুখটা এতটুকু হয়ে যায়। তার মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে যায়। রোকেয়ারা কাজে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মেহুর নিজেকে একা লাগে।তাই সে আর আশা না রেখে রোকেয়াকে একটা চিঠি লিখে, হোস্টেল সুপারকে বলে চাবিটা দিয়ে হোস্টেল থেকে বের হয়ে যায়। আর এভাবে হাঁটতে হাঁটতে রাত নেমে আসে।আর ঘটনাক্রমে মাঝখানে অনেকগুলো সমস্যার পর সে আহসান ভিলায় কাজের মেয়ে হিসেবে জায়গা পায়।

সবকথা খুব মন দিয়ে শোনে আমেনা।তার মুখটা এখনো সেই হা আকারে আছে। আসলে ভাগ্য বা কাকতালীয় যায় বলা হোক না কেনো,এ বাড়ির সাথে শুরু থেকে মেহুর একটা যোগসূত্র ছিলো নাহলে সবকিছুর পরও মেহু আবার সেই ছেলের সামনে পড়তে যায়? এখন শুধু একটাই কাজ মেহুকে কোনোভাবে আদ্যর সামনে পড়া যাবে না আর পড়লেও খুব সাবধানে থাকতে হবে কারণ প্রথমে আদ্যর কথা পাত্তা না দিলেও এখন মনে হচ্ছে লোকটা এ বাড়ির সবার থেকে অনেকটা জাদরেল ধরনের হবে।
,
,
,
চলবে……

(রিয়েক্ট করে পালান কেন?ছোট একটা কমেন্ট করতে পারেন না?আপনদের কমেন্ট মানে নাইস নেক্সট টেক্সট…। এগুলো বাদ দিয়ে সুন্দর থেকে দু তিনটা লাইন লিখুন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here