রোদ্দুরের_বৃষ্টি #পর্ব_১২_ও_১৩

0
327

#রোদ্দুরের_বৃষ্টি
#পর্ব_১২_ও_১৩

#পর্ব_১২

রিমির আপার নাকি প্রস্রাবে ইনাফেকশন, আরো অনেক ইন্টারনাল জটিলতা! জরায়ুতেও ভীষণ সমস্যা। ক্যাথেটার করে রাখা হয়েছে। স্যালাইন চলছে!

এই এক সপ্তাহে রিমির জীবন শেষ! হাসপাতালে এত খরচ! ডাক্তারের সাফ কথা.. বেবি এখনো প্রিম্যাচিউর স্টেজে আছে। এখনি কিছু করা যাবেনা! আরো কিছুদিন হাসপাতালেই থাকতেই হবে। আরো মিনিমাম দু-সপ্তাহ। তারপর দেখা যাক্… বেবি হবার পর! জরায়ুতে একটা অপারেশন করাতে হবে!
রিমির মোটামোটি সব জায়গায় ধার করা শেষ। সবথেকে বেশি ধার দিয়েছেন রেহানা মেডাম। অবশ্য রিমি চায়নি অত….

কিন্তু আজ রিমির আর ভালো লাগছে না। হাসপাতাল টু বাড়ি, আবার হাসপাতাল… রান্নাবান্না আবার দৌড়াদৌড়ি। এই ঔষধ, সেই ঔষধ! এই এখন সে ভাত আর সবজি করে নিয়ে এসেছে মায়ের জন্য! রাতে রিমিকে হাসপাতালেই মায়ের সাথে মেঝেতে শুতে হয়। রিমি বারবার করে বলছেই, বাড়িতে থাকতে হবে, পড়াশুনা আছে মা।
একা বাড়িতে মা কিছুতেই থাকতে দিচ্ছেননা।
নাসিমা রিমির আনা টিফিন খুলতে খুলতে খুবই ভীত কণ্ঠে বললেন,
-সিমিরতো আজ দেখি কাশিও হয়ে গেছে, বুকে কফও
বাজে। রাতের রাউন্ডে যখন ডাক্তার আপা আসবেন, তুই একটু খেয়াল করে বলিস! রিস্ক আছে; পেটের বাচ্চার না আবার ঠান্ডা লেগে যায়! অনেক বাচ্চার তো পেটেই নিউমোনিয়া হয়ে যায়।
-হলে হবে মা। সারা দুনিয়ায় তো কত মেয়েরই বাচ্চা হচ্ছে, এত জটিলতা তো নেই; আপার কেন?
-শুধু কি তোর আপার? এই একই রকম সমস্যা তো আমারও ছিল। এ জন্যই তো…. টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারলাম না.. এর ফলাফল কত ভয়ংকর…..

রিমি সাথে সাথে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল… এখানে সে একমুহূর্তু আর থাকবে না। কোথাও একটা গর্ত করে ঢুকে পড়তে পারলে ভালো হতো! সমস্যা হলো, গর্তে ঢুকলেই হবেনা, গর্তের মুখ বন্ধ করতে হবে ভালো করে যাতে করে কেউ যাতে খুঁজে না পায়..!! পুরো পরিবারের মানুষের খালি সমস্যা!
বেরিয়ে যাবার পথেই রিসেপশানে রিমিকে আবার ডাকা হলো। রিমি একটু শক্ত করে বলে এলো, গতকালের থেকে সব একসাথে বিল দিবে। খুচরো করে ঔষধের টাকা আর দিবে না। এই কোন নিয়মরে বাবা…? এরা কোনো ঔষধ বাইরে থেকে কিনতেও দেয়না। যত্তসব…..

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিমি সোজা গেলো টিউশনিতে। বাজার করতে হবে আজ সন্ধ্যায়। ঘরে কিচ্ছু নেই!

#পর্ব_১৩

শোয়েব প্রথমে এসে খোঁজ করলো হাসপাতালে। রিমি নেই, রাতের খাবার নিয়ে আসবে। রিমির মা কে পাওয়া গেল।রিমির বড় বোন সিমির সাথে দেখা করতে গিয়ে শোয়েব ছোটখাটো একটা ধাক্কা খেলো। এই সিমির চেহারা অনেকটা পৃথিলার মত! অনেক মিল। বিশেষ করে চোখদুটো আর নাকটা! দুটো মানুষের মধ্যে এত মিল হয় নাকি? কই রিমিরই তো বোন, রিমির সাথে তো এত মিল নেই… শুধু গড়নে একটু; কিন্তু চেহারায় তো অত নয়… শোয়েব বিড়বিড় করে বলল, কি আশ্চর্য!

রিমি ভাতের মাড়টা ফেলে নিয়ে, ডাল বাটতে বসলো।আজকে রাতের খাওয়া শর্টকাট। পেঁয়াজু আর ডিমভাজা! আর কোনো রান্না সে এখন করতে পারবে না। টিউশন পড়িয়ে বাজার করতে গিয়েই আটটা বেজে গেছে। মাছ এনেছিলো। কেটে হালকা জাল দিয়ে রেখেছে। সকালে মাছেরঝোল করবে। ডাল বাটতে বাটতে রিমির মনে হলো, একটা ফ্রিজ থাকলে ভালো হতো! পেয়াঁজু ভাজতে বসে রিমি চুলোর পাশে বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো একটা টুলের উপর মেলে বসলো। একটু যদি চোখ বুলানো যায়, আগামী পরশুদিন থেকে তার পরীক্ষা। রিমি অবশ্য সব নকল নিয়েই যাবে সাথে, তবুও… একটু পয়েন্টসগুলো দেখা না থাকলে বুঝা যায় না, কোনটা কোন প্রশ্নের উত্তর? খুঁজতে খুঁজতে টাইম নষ্ট! আর রাতে, হাসপাতালে পড়া যায় না। মা সারাক্ষণ বিড়বিড় করে। রিমি কড়াইয়ের পেঁয়াজু তুলতে যাবে, দরজায় নক….. এত রাতে কে? নিশ্চয় মুকুল আন্টিদের বাড়ির কেউ? রিমির মুখ সিটকে একটা দুর্বোধ্য গালি বেড়িয়ে এলো অনায়াসে….. রিমি চেঁচিয়ে বললো,
-দাঁড়ান।
দরজা খুলে রিমি আশ্চর্য। শোয়েব ভাইয়া। সাথে একগাদা বাজার! এত বাজার কেন? রিমি প্রশ্নটা করতে যাবার আগেই শোয়েব বললো,
-সেদিনকার ক্ষতিপূরণ দিতে এলাম।
রিমি কিছু বলল না, চুপচাপ বাজারের ব্যাগগুলো ভেতরের ঘরে নিয়ে গেল। শোয়েব ভেতরে ঢুকবে কিনা বুঝতে পারছে না। এই মেয়েটা এত খারাপ কেন? বাড়িতে আসা মানুষকে ঘরে যেতে বলার ভদ্রতাটুকুও জানে না? ডিসগাস্টিং! শোয়েবের ডিসগাস্টিং ভাবনার মাঝেই রিমি ভেতর থেকে ডাকলো,
-চা-পাতা তো আনেননি; চিনি দুই কেজি ছিল, এখানে তো এক কেজির একটা প্যাকেট। তাহলে ক্ষতিপূরণ কিভাবে হলো?
শোয়েব মনে মনে বললো, ছাগলি পাঠী, চা-পাতার জন্য মরে যাচ্ছে একেবারে। এই যে শোয়েব এতরাতে এতগুলো বাজার করে এলো। আজ দুপুরেই সে সিলেট থেকে এসেছে। তারপর মায়ের কাছ থেকে এড্রেস নিয়ে সোজা হাসপাতাল। তারপর একটুক্ষণের জন্য বাসায় গিয়ে শুধু গোসলটা সেড়ে চেঞ্জ করে বেড়িয়েছে। খাওয়াও হয়নি। এদিকে দেখো,
এই মহারাণী চায়ের পাতার জন্য মরে যাচ্ছেন!

শোয়েব নিজে থেকেই ঘরে এসে বিছানায় বসলো। ঘরের অবস্থা তো আজ হ্যস্ত ন্যস্ত। সবকিছুই অগোছালো। শোয়েব পেছনে এলিয়ে বসে শার্টের বুকের দিকে আরেকটা বোতাম খুলে নিলো। ভ্যাপঁসা গরম লাগছে……
রিমি এলো। পানি একগ্লাস হাতে। এসেই বললো,
-একটু চেয়ারে বসুন ভাইয়া।
শোয়েব উঠে চেয়ারে বসতেই, রিমি বিছানায় কতগুলো খবরের কাগজ পেতে নিলো। শোয়েব একদৃষ্টিতে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে। চূড়ান্ত অভদ্র মেয়ে… কথাবার্তা সব আদেশের মত! কোমরে একটা ওড়না বেঁধেছে, যেন মারতে আসবে এখনি। জামায় হলুদে মশলায় মাখামাখি। গা থেকে মাছ মাছ গন্ধ বেরুচ্ছে। মাছ কেটেছে নিশ্চয়ই……. চুলের অবস্থা আরো খারাপ।অর্ধেক বাঁধা, অর্ধেক খোলা। গালে কি এটা? ধনেপাতা? এই মেয়ের থাকার কথা ছিল, শাড়ি পরে, চুড়ি পরে… টি…

শোয়েবের ভাবনায় ছেদ পড়লো। বিছানায় রিমি ভাত বেড়ে নিয়েছে। ডিমভাজি, মাছভাজি, আবার পেঁয়াজু। সব ভাজাভুজি। গরম ভাত থেকে ধোয়া উড়ছে।
-খেতে বসুন। হাতে মুখে কি পানি দেবেন?
শোয়েব অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
-খাবো না আমি; কি না কি আবার মুখ থেকে বের করে রেখেছেন…
রিমি গ্লাসের পানিটা প্লেটে ঢেলে নিলো। শোয়েব উঠে গিয়ে হাত ধুয়ে বসলো।
রিমি নিজে একটা প্লেট নিয়ে বসতে বসতে বললো,
-বাজার করে ক্ষতিপূরণ দেবার আমার দরকার ছিল না ভাইয়া। টাকা হলে বরং আমার কাজে লাগতো……
শোয়েব জবাব দিলো না। একমনে খাচ্ছে সে। পেঁয়াজু, ধনেপাতা দিয়ে গরম ভাত এত মজা, কখনো খায়নি কেন আগে?
রিমি মনে মনে বললো, হায় হায় এতো দেখি রাক্ষস! সব খেয়ে নিয়েছে। হাসপাতালে নেবার জন্য আবার রাঁধতে হবে। ধুশ্….
-আপনার বাবা কি নেই? নাকি যোগাযোগ বন্ধ?
শোয়েব খুবই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্নটা করলো।
রিমি তার থেকেও স্বাভাবিক ভাবে বললো,
-যোগাযোগ বন্ধ। মায়ের সাথে লিখিত ছাড়াছাড়ি হয়নি। এই বাড়িটা উনারই!
এরপর দুজনেই চুপচাপ!
শোয়েব খাওয়া শেষে বললো,
-চা খাবো আমি। কড়া লিকার!
রিমি জবাব দিলো না। সে প্লেট গুছিয়ে চলে গেল ভেতরে! জামাটা পাল্টে নিয়ে, চুলটা বাঁধলো! বাজারের ব্যাগে সে আরেকটা জিনিস পেয়েছে! শোয়েবভাইয়া কি ইচ্ছে করেই করলো? নাকি ভুলে? আচ্ছা, জিজ্ঞেস করে নিলেই হবে!না থাক্! হয়তো চাচ্ছেন না রিমি সরাসরি বলুক!
হাসপাতালের জন্য টিফিন গুছিয়ে, চা বানিয়ে এসে রিমি দেখে শোয়েব ঘুমিয়ে পড়েছে! রিমি কি ডাকবে? অবশ্যই ডাকবে! সরকারি বাড়ি নাকি এটা?
রিমি মৃদু গলায় ডাকলো,
-শোয়েব ভাইয়া, ভাইয়া…
শোয়েব চোখ বন্ধ রেখেই বললো,
-মিস রিমি আমি আপনার ভাইয়া না। যেখানে আপনার ভাইয়া আছে, সেখানে গিয়ে ডাকুন। আমাকে নয়।
-আপনি উঠুন প্লিজ! আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এই যে চা…
শোয়েব চা হাতে নিতে নিতে বললো,
-আপনি যান হাসপাতালে, আমি রাতে এখানেই থাকবো…. টায়ার্ড লাগছে।
-এখানে থাকবেন মানে?
-থাকবো। রাতে ঘুমোবো। সকালে চলে যাবো।
রিমি অবাক ও আহত!
-প্লিজ মজা করবেন না! প্লিজজজ…. আমার বেরুতে হবে….
রিমির কণ্ঠে তাড়া।
-আপনি এখানে কেন থাকবেন?
-থাকবো কারণ আমার থাকতে ইচ্ছে হয়েছে… তাছাড়া আপনি তো সেদিনরাতে আমার বন্ধুর হাসপাতালে ঠিক থেকে এলেন। রুম ভাড়া ২৪০০টাকা দিতে হয়েছে আমাকে তার বিনিময়ে… সেজন্য আমি এক রাত্তির আপনার বাড়িতে থাকতেই পারি…
রিমি এবার সত্যিই চটে গেল খুব!
-দেখুন বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে! আপনি কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করছেন। কিসের সাথে কি মিলাচ্ছেন? সেদিন কিন্তু আপনিই আমাকে…..
শোয়েব পা লম্বা করে আধশোয়াভাবে আয়েশী ভঙ্গিতে চায়ে চুমুক দিচ্ছে।
-আমি তো আজ ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকতেই এলাম।
রিমির ইচ্ছে করছে এক চড়ে শোয়েবের সব দাঁত ফেলে দেয়……. অনেক রাত হয়ে গেছে। মা নিশ্চয় খাবারের জন্য বসে আছে।…
রিমি ব্যাগটা হাতে নিয়ে দরজার দিকে যেতে যেতে বললো,
-প্লিজ আসুন। আরেকদিন এসে থাকবেন। আজ তো একা বাড়ি…
-একা বাড়িই তো ভালো। আপনি চাবি দিয়ে যান….
রিমি চোখ রাঙিয়ে তাকালো… সেটা উপেক্ষা করে শোয়েব আবার বলতে থাকলো….
-আর তাছাড়া সেদিন ঘুমের মধ্যে আপনি আমায় কি না কি করেছেন? আমি ভালো ছেলে হয়ে ঘুমালাম। উঠে দেখি আমার গায়ের শার্ট খোলা। লোক জানাজানির ভয়ে লজ্জায় বলিনি। শুধু মেয়েদের ইজ্জতই ইজ্জত? ছেলেদের সম্ভ্রমও অনেক বড় ব্যাপার…. আমায় যদি কিছু করে থাকেন, আমার হবু বৌয়ের জন্য কত ক্ষতিকর হবে সেটা… বুঝতে পারছেন?
প্রায় বাকশূণ্য কণ্ঠে রিমি বললো,
-আমি করেছি? আমি? আমাকে বলতে পারলেন…
শোয়েবের নির্লিপ্ত জবাব,
-হু। আরো অনেক কিছুই আপনি আমার জন্য ক্ষতিকারক করেছেন….
রাগে, দুঃখে রিমির ঠোট কাঁপছে। মানুষ এত খারাপ হয়, ছিঃ! এতক্ষণ ব্যাপারটা রিমি নেহাত ফান ভেবেছিলো। কিন্তু.. রাগে রিমি তোতলাতে তোতলাতে কোনোমতে বললো,
-গেট আউট! প্লিজ আউট…. আপনি বেরিয়ে না…
শোয়েব উঠে এসে প্রায় হঠাৎ করেই এক হাতে রিমির কোমর টেনে ধরলো… রিমির হাত থেকে ব্যাগ পড়ে গেল! শোয়েব অন্য হাতে রিমির থুতনিটা শক্ত করে চেঁপে ধরলো। নিজেকে ছাড়াতে রিমি প্রাণপণে চেষ্টা করছে।
এই জুড়াজুড়ির মাঝেই শোয়েব রিমির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
-আমি রাতে থাকলেই দোষ? রিজওয়ান থাকলে দোষ নেই? সকাল সন্ধ্যা তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট, কলেজ….
রিমি প্রায় কুঁই কুঁই করে বললো,
-লাগছে আমার! জামা ছিঁড়ে যাচ্ছে……
-আমি তো চাই-ই লাগুক… সারাক্ষণ ফোন বিজি… ব্যবসায়ী হবে! গামছা ব্যবসায়ী!? লোন চাই! দুনিয়ায় রিজওয়ান ছাড়া আর কেউ লোন দেয়না বুঝি? কোনো গাটস নেই নিজের? পড়াতে গিয়ে রান্নাবান্না। যে যা বলছে, করছে…. কেন?
শোয়েবের চোখ লাল হয়ে গেছে। রিমি একদৃষ্টিতে শোয়েবের চোখের দিকে তাকিয়েই রইলো। নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার কোনো চেষ্টা করলো না আর….

কয়েক মুহূর্ত এভাবে কাটলো। রিমিই বললো,
-বাজারের ব্যাগে টাকার বান্ডেলটা কি আপনিই রেখেছেন?
রিমিকে ছেড়ে দিয়ে শোয়েব এবার আরো চেঁচিয়ে বললো,
-টাকার বান্ডেল। পাগল! আমি কোনো টাকা ফাকা রাখিনি। টাকা আমাকে রিজওয়ানের মত কামড়ায় না…. যত্তসব ফাজলামো……
বলেই সাথে সাথে শোয়েব দ্রুত বেড়িয়ে গেল।
রিমি পেছন ডাকলো,
-আমাকে একটু নামিয়ে দিবেন হাসপাতালে, দরজায় তালা দিয়ে আসছি।
গাড়িতে বসেই রিমি বললো,
-রিজওয়ান সাহেব থাকেননি আমাদের বাড়িতে, ওই লোন ব্যাপারে কথা বলতেই এসেছিলেন। দরিদ্র বাবাহীনা মা মেয়ের বাড়ি তো, লোকজন কথা বানাতে ভালোবাসে আসলে… কেউ হয়তো আপনাকে মিথ্যে করে ফোন করেছে!অথবা আপনার ইনফরমারটাই দুষ্টু!
শোয়েব জবাব দিলো না। চুপ থেকেই রিমির সিট বেল্ট লক করে দিলো.. এত কাছাকাছি!! শোয়েবের গা থেকে মিষ্টি একটা ঘ্রাণ নাকে লাগছে, চুলগুলো ইশ্…..

রিমি মনে মনে ফিসফিস করে বললো,
“আমি খুবই লোভী মেয়ে আল্লাহ। এত লোভী জিনিস কেন আমার সামনে এনে রাখো? আমি লোভ সামলাতে পারলাম না। যা হবার হোক……

শোয়েব গাড়ির বাতিটা নিভিয়ে স্টিয়ারিং হুইলে হাত যেই রেখেছে, রিমি সটান জড়িয়ে ধরলো শোয়েবকে। শোয়েব কিছু বুঝবার আগেই এলোপাথাড়ি কয়েকটা চুমু খেয়ে নিলো। শোয়েব বিড়বিড় করে বললো,
ছিঃ গায়ে এত পেঁয়াজের গন্ধ! সাবান নেই ঘরে? কি খসখসে ঠোঁট! ইশ্ আমার বোধহয় দাগ হয়ে গেছে গালে….. যত্তসব…..

রিমি সোজা হয়ে চোখ বন্ধ করে বসে রইলো। কোনো কথা বলবে না সে………
(চলবে)

#তৃধা_আনিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here