প্রিয়তমা♥️ #writer- সালসাবিল সারা #সিজন_১ পর্ব-৫

0
898

#প্রিয়তমা♥️
#writer- সালসাবিল সারা
#সিজন_১
পর্ব-৫
*
*
সময় চোখের পলকে কিভাবে চলে যায় বুঝা ই যায় না!!!.আর একসপ্তাহ পরেই এক্সাম শুরু..!সুস্থ হওয়ার পর থেকে পড়ালেখা,কলেজ আর এক্সামের প্রিপারেশান সব কিছুই একদম হুরুস্তুলভাবে চলছে…!!আজকে দুপুর বারোটা থেকে এডমিট দিবে তাই কোনো ক্লাস হবে না..!!আজকেও সাদিফ ভাইয়া নিতে আসলো…আমি বুঝিনা উনি আমার জন্যে এত কষ্ট করে কেন?!..এমনি অন্যদিন কলেজে যেতে হলে নয়টার পরে আসেন নিতে এরপর অফিস যান আবার বিকালে চারটায় বাসায় দিয়ে যান…আবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পড়ায়তে আসেন..!!! মানে উনি কি রোবট!!!আরে উনার তো গাড়ি আছে.. বড়লোক মানুষ !!যখন যেখানে ইচ্ছা গাড়িতে করে পিউ করে চলে যেতে পারেন..!!আর আমার বাবাও বেঁচে নেই ভাইয়াও দেশে নেই..তাই হয়ত আমার উপর উনার করুণা হয়!!..তাই আমার উপর দয়া করেই এসব করেন!!!! হুহহহ..বাবা না থাকার কষ্ট.. যার নেই সেই জানেন..!!আজকে বাবাকে বড্ড মনে পড়ছে…!!

🌸

রেডি হয়ে বের হলাম..আজকে আর কলেজ ড্রেস পড়তে হলোনা!একটা লংটপস পড়ে সুন্দর করে হিজাব বেঁধে নিলাম..ঠোঁটে একটু নুড কালার লিপস্টিক দিলাম আর চোখে একদম চিকন করে আইলাইনার!!….. ইউজালি কলেজে একদম সিম্পল করে যায় নো সাজগোজ!!!!কিন্তু আজকে একটা প্ল্যানিং আছে তাই এই আয়োজন..!!কারণ আজকে ঝুমু আমার কলেজ ফ্রেন্ড ওর বার্থডের ট্রিট দিবে… সাথে আরো আমার অনেক ফ্রেন্ডই যাবে…!! আইডি কার্ড টা নিলাম ব্যাগে.. নাহয় এডমিট নিতে ঝামেলা হবে..!! রান্নাঘর থেকে মা কে বিদায় জানিয়ে আগাচ্ছিলাম সামনে..দেখলাম সাদিফ ভাইয়া সোফায় বসে মোবাইল ইউজ করছেন…!!

“সাদিফ ভাইয়া চলেন লেট হয়ে যাচ্ছে”!!..আমার কথায় উনি মাথা উঠে আমাকে চোখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলেন..

“কিরে এইটা কি পড়ছিস..!!আর এত সাজগোজ!!তোর ফিগার ত আমি ভালই স্ক্যান করতে পারছি!!তো আজকে কোন ছেলেকে ফিগার দেখিয়ে তোর রূপের জালে ফাঁসাতে যাচ্ছিস!!!..ডেটিং এ যাবি নাকি”?!!!
উনার কথা শুনে আমার চোখে পানি চলে আসলো…!!আমি এইসব ব্যাপার আমার মাথায়ই আনি নি কখনো..
আর উনি আমাকে কি বলছেন!!!!চোখ মুছে উনার দিকে তাকালাম.. উনি আমাকে এসব বলে মোবাইল চালাচ্ছেন এখনো!!!আজকে তো এই লোক কে কিছু বলবোই!! ডিপ্লি একটা শ্বাস নিয়ে উনাকে বলতে লাগলাম!!!…
“আমি যাবো তো আজকে এই ড্রেস পড়েই যাবো..আমি ডেটিং এ যায় আর যা করি তাতে আপনার কি!!!আর আমি ছেলে পটায়!!!
কলেজে সিনিয়ার,ক্লাসমেট,এলাকার কত ছেলে আমাকে প্রপোজ করে আমি চাইলে অনেক জনের সাথেই প্রেম-রিলেশন করতে পারি..!!আর ইচ্ছা হইলে করবোই..!!আপনি আমাকে এমনিও এসব জিনিসের ট্যাগ লাগিয়ে দিলেন..সো করলেও আপনার কাছে আমি আজ না করে যেমন আছি তেমন ই থেকে যাবো..তাই…”
না আর কথা শেষ করতে পারলাম না।।থাপ্পড় খেয়ে ফ্লোরে পরে গেলাম.. চড়টা এত জোরে লাগেনি কিন্তু তাও ইমব্যালেন্স হয়ে একেবারে ফ্লোরে.. ব্যস চোখে আর পানি বাঁধ মানছে না।।
মায়ের কথা শুনে বুঝলাম চড়টা সাদিফ ভাইয়া না মা মেরেছে…আর আমাকে ফ্লোর থেকে সাদিফ ভাইয়াই জলদি টেনে উঠিয়ে আমার দুই বাহু ধরে বললো … “ব্যথা পেয়েছিস কোথাও”??!!
..উত্তর দিলাম না কিছুই..আমাকে মাইর খাওয়াইছে এখন দরদ দেখায়..!!চোখের পানির জন্যে সব আনক্লিয়ার লাগছে…
*
*
“বেশি বেড়ে গেছিস তুই শেফা..!!বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানিস না!?? সাদিফ কি এমন বললো যে তুই ছেলেটাকে এত কথা বলছিলি!?..কি শিক্ষা দিলাম আমি তোকে..?? বড়দের সাথে বেয়াদবি করা?

মায়ের কথা শুনে বুঝলাম সাদিফ ভাইয়া আমাকে কি বললো তা না শুনেই মা আমাকে মারলো!!তাহলে এখন বলে কি লাভ??মাইর তো খেয়েই ফেলেছি..!!চোখের পানি থামছেনা আমার..কিছু না বলেই রুমে দৌড় দিলাম……

“খালামণি শুধুশুধু মারলে ওকে!!.. ও ছোট মানুষ না বুঝে ভুল করেছে তাই বলে মারবে”..???
সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে গা জ্বলে গেলো…নিজের দোষ আবার আমার নামে সাফাই গাচ্ছে… কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা!!?? হুঃ!!
মা কি উত্তর দিলো আর শুনিনি..রুমে এসে মুখ ধুয়ে নিলাম..একটা আবায়া বোরকা পড়ে হিজাব বেঁধে আবারও একটু নুড লিপস্টিক টা লাগলাম…কারণ ক্যাসুয়াল ড্রেসে লিপস্টিক ছাড়া আমার কেমন জানি একদম রোগা রোগা মনে হই।।।!! এই ড্রেসে দেখে উনি মনে হয় একটু শান্তি পেলেন.. কিছুই বললেন না।।।
বাঁকা চোখে তাকিয়ে দেখলাম উনি আমার দিকে কেমন কোমলভাবে তাকিয়ে আছেন….!!আজকে উনার পাশের সিটে বসলাম না পিছের সিটে বসলাম…উনিও কিছু বললেন না..!! হয়ত সকালের জন্যে আমি রেগে ছিলাম তাই!!!!

🌸

এডমিট নেয়া শেষে সব ফ্রেন্ডসরা মিলে পাশের একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম..সবাই মিলে ঝুমুকে একটা বড় কেক আর বোরকা হিজাব গিফট করলাম…!! সাদিফ ভাইয়া কে বললাম ছুটি তিন টায়…আর এখন একটা – বত্রিশ.. সো ভাইয়া আসতে লেট আছে..অনেক ছবি তুললাম প্লাস অনেক আড্ডাও দিলাম..!!খাবার দেখে মুখ একদম ছোট হয়ে গেলো..এত্তগুলা বিরিয়ানি!!?সব নষ্ট হবে আর গুনাহ্ও হবে!!কিন্তু না এমনটা হলো না..আমি অল্প খেয়ে বাকিগুলা ওদেরকেই দিয়ে দিলাম..যাক গুনাহ্ থেকে বেঁচে গেলাম… দুইটা চল্লিশের দিকে কলেজে চলে গেলাম আবার।।।সাথে দুইজন ফ্রেন্ডও আছে..ঐদিন একা থেকে যে রিস্ক নিয়েছিলাম তা আমি আর সাত জনমেও নিবো না।।হঠাৎ দেখলাম আমাদের ক্লাসের তিনটা ছেলে জুবাইয়ের, মাহি আর রিপন ওরা আমাদের কাছে এসেই কথা বলতেই লাগলো..!।আমি তো ভয়ে শেষ সাদিফ ভাইয়া দেখলে নিশ্চয় আমাকে আবার অপমান করবেন!!?… পাঁচ মিনিট পরেই দেখলাম উনি চলে আসলেন নিতে..ফ্রেন্ডরা তো উনাকে দেখেই কাত!!কারণ আজকেই উনি গাড়ি থেকে নামলেন আর ওদের সাথে প্রথম দেখা!!..আশেপাশের মেয়েরাও উনাকে দেখেই স্টাইল করে কথা বলছে আর হাসছে… উনি এদিকে আগাচ্ছেন আর আমি আশে পাশে মেয়েদের তামাশা দেখছি!!
অবশ্য উনি অসভ্য আর গন্ডার হলে কি হবে উনি দেখতে বেশ স্মার্ট!!!যেমন লম্বা তেমন অনেক বেশি অ্যাট্রাক্টিভ!!..আমার কাছে এসেই অন্যদেরকে বলতে লাগলেন…”আসসালামুআলাইকুম অ্যান্ড হাই এভরিওয়ান!! আই অ্যাম সাদনান সাদিফ..!!শুরু হয়ে গেলো সবার ইন্ট্রোডিউসিং খেলা..!!উফফ!! কি অসহ্য!!..আচ্ছা আমি কী জেলাস কোনো ভাবেই!!?নো নো শেফালী..কি ভাবছিস এগুলা.. ছি!!

উনারা কথা বলছে আর আমি উনার ফেসের দিকে তাকাচ্ছি আর বাকিদের ফেসের দিকে..প্রথমে ভাবলাম উনি এসে দুইটা দিবে চড় ছেলেদের সাথে দাড়িয়ে ছিলাম তাই…কিন্তু এখন দেখি সবার সাথে ফ্রেন্ডলি বিহেভ করছেন!!!যাক হয়ত উনার মধ্যে উন্নতি হচ্ছে..ভেবেই ঠোঁট চেপে হাসলাম…!!উনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন ভ্রু কুচকে…!! মাহি এসে আমার সাথে কথা বলতে নিলেই সাদিফ ভাইয়া এসে আমার হাত ধরে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে টানতে টানতে গাড়ির কাছে নিয়ে গেলেন..উনার থেকে হাত ছাড়িয়ে পিছের সিটের দিকে যাচ্ছিলাম..কিন্তু উনি আমার হাত ধরে রাগীভাবে বললেন!!..

“সকালে কিছু বলিনি বলে ভাবিস না এখন কিছু বলবো না!!!..পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলবো শেফা!! রাগাবি না এখন আর..!!দেরি না করে উঠ আমার ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে”!!!..

কি আর করার উনার পাশের সিটেই বসলাম.. রাগে উনার দিকে দেখতেই ইচ্ছা করে না…!!
*
*
ফুচকার দোকানের সামনে গাড়ি থামাতে দেখে আমি তো সাত আসমান থেকে পড়লাম..উনার ধারণা ফুচকা নালার পানি দিয়ে বানায়.!!. ডামিশ লোক একটা!!উনি কিছু বলার আগেই আমি নেমে দৌড় দিলাম..যদিও আমার ফুচকা খাওয়া মানা!!.কারণ আমার তলপেটে কিছু প্রবলেম আছে যার কারণে জাঙ্ক ফুড খেলে প্রচন্ড অসহনীয় ব্যথা হয় আর পিরিয়ড হলে এই ব্যাথায় আমি অর্ধমৃত হয়ে যায়!!.অবশ্য এই ব্যাপারটা মা খালা আর আপুরা ছাড়া কেউ জানেন না!!এই ব্যাপারটা এখনো চেপে রাখতে হবে নাইলে সাদিফ ভাইয়া আমাকে ফুচকা খেতে জীবনেও দিবেন না..!!নিজের লোভের জন্যে আজ নিজেকেই বলিদান দিবো!! হাহা…!!তিন প্লেট ফুচকা খেয়ে আহহহ খুব শান্তি লাগছে পেটে..!!
উনিও আমাকে মানা করে নি আজকে..কিন্তু কেন!!?? জানা নেই!!?? একদিন আমি ইতি আপু, জুমান আপু উনাকে বলেছিলাম এই দোকানটাতে আনতে…কিন্তু ফুচকার বদলে এক ট্রাক বকা খাওয়ালেন..!!তাই ভাবছি আজকে উনার কি হলো..!!

ওয়েট ওয়েট !!নাকি উনি আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেছে!!?? ফুচকায় কি সামহাও বিষ ছিলো!!??

🌸

“সাদিফ ভাইয়া সত্যি করে বলেন তো আমাকে কেন ফুচকা খাওয়ালেন!??কি মিশিয়ে ছিলেন ফুচকাতে”!!?
কথাগুলা সিটে পা উঠিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে অনেক কৌতূহলী আস্ক করলাম..
“চুপ একদম চুপ..এসব কোন ধরনের ইয়ার্কি..!!??সকালে আমার জন্যে মার খেয়েছিস!!..যা আমার ভাল্লাগেনি..!!কারণ আমার কথা না শুনেই খালামণি তোর গায়ে হাত তুললো..!!তাই তোকে একটা ট্রিট দিলাম নাইলে তোর অভিশাপ লাগতো আমার গায়ে”..!!

এই সামান্য কথার মাঝেও ঝাটকি দিতে হয়!!সোজাসুজি বলা যায় না কিছু!!উফফ এই মানুষটা…!!বুঝি না আমি উনাকে..যাক ফুচকা তো খেলাম..!!একটা প্রশান্তির হাসি দিলাম..আর সাদিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনিও মুচকি হাসছিলেন..!!মনে মনে বললাম..নাইস স্মাইল ভাইয়া..!!

ভেবেছিলাম মায়ের সাথে আজ কথায় বলবো না কিন্তু পেটের যন্ত্রণায় কিছুই ভাল্লাগছে না.!!গাড়িতেই ব্যথা লাগছিল কিন্তু সাদিফ ভাইয়ার ভয় এ কিছুই বলিনি…!!
“ভিসেট” হচ্ছে ডাক্তার থেকে প্রেস্ক্রাইব করা মেডিসিন এই পেইনের জন্য..এইটা খেয়েই পেট চেপে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছি!! ব্যথায় আমি উঠতেই পারছিনা…!!
*
*
একটু পরে খেয়াল করলাম…
সাদিফ ভাইয়া আসলেন আমার রুমে আর মা আমার দিকে এগিয়ে আসলেন.. সাদিফ ভাইয়ার ফেস দেখেই আত্মা কেপে যাচ্ছে…!!পড়াতে এসেছিলেন উনি আর মা হয়ত আমার মেডিক্যাল হিস্টোরি উনাকে বলে দিয়েছেন…!!!এখন আমার কি হবে!!ভাবতেই কান্না পাচ্ছে!!!..

“এইটা কেন করলি তুই আমার সাথে?..তুই তোর হেলথ সম্পর্কে জানতি.. তাও তুই আমাকে বললি না কেনো”!!? ইচ্ছা তো করছে খুব জোরে একটা থাপ্পর দি তোরে…!!আর কোনোদিন যদি এমন করিস না তুই তোকে আমি ঘড়বন্ধি করবো…!!! খুব জোরে চিল্লিয়ে আমাকে কথাগুলা বললেন!!…
“আম সরি ভাইয়া..!! আমার অনেক মন চাচ্ছিলো খেতে তাই আমি আপনাকে বলিনি..আর কখনো এমন হবে না”..!!মাথা নিচু করে কান্না করতে করতে উনাকে বললাম…

“ছোট খালামণি রেডি হও..এখনি ডক্টর দেখাতে যেতে হবে তোমার এই অপদার্থ মেয়েকে… দশ মিনিটে আসো আমি গাড়িতে আছি”…উনার কথা শুনে মা কে মাথা নেড়ে না বলে দিলাম..কিন্তু মাও আজকে আমার সাথে রেগে আছেন আমার ব্যাবহারে…!!!না চাইতেও যেতে হলো ডক্টরের কাছে…আর ডক্টর উনার পরিচিত হবে হয়তো.. নাহয় সিরিয়াল ছাড়া কেউ রোগী দেখে না!!..

আমি আর মা গেলাম ভিতরে..চেকাপ করা শেষে ডক্টর ওষুধ লিখে দিলেন…আমরা বের হলাম আর সাদিফ ভাইয়া ঢুকলো উনার চেম্বারে!!.. আল্লাহ্ জানেন কেনো!!?

এদিকে মা আমাকে বসিয়ে দিয়ে ওষুধ নিতে চলে গেলেন…কারণ আমার হাঁটতেই কষ্ট হচ্ছে..একটু পেটে চাপ পড়লেই ব্যথা!!…

হঠাৎ খেয়াল করলাম সাদিফ ভাইয়া আসলেন আর আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন.!!
আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি..!!
উনি আমার মাথায় বুলিয়ে শান্তভাবে বলতে থাকলেন….”শেফা আর কোনোদিন তুই আমার থেকে কিচ্ছু লুকাবি না..!!নট এ সিঙ্গেল থিং..!!যদি কখনো এমন কাবিলামি করিস তোকে আমি আস্ত রাখবো না”.!!..

আমিও ভয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম… উনি মুচকি হেসে মায়ের দিকে ফার্মেসিতে চলে গেলেন…!!
*
*
পেট প্রচণ্ড ব্যথা করছে..!!ঝিম কেটে বসে আছি..!! সাদিফ ভাইয়া আর মা আসলেন..!!আমি দাড়াতেই পারছি না..এটা ডক্টরের চেম্বার তাই কোনো হুইল চেয়ার নেই..!!আস্তে আস্তে দাড়ালাম আর ঠোঁট চেপে ব্যথাটা সহ্য করছিলাম..অনেক কষ্টে দুই কদম দিলাম মা আর সাদিফ ভাইয়ার সাহায্যে..কিন্তু না পেটটা একদম খিচে আছে..!!

একটু পরই খেয়াল করলাম আমি শূন্যে ভাসছি!!!!মাথা ঘুরিয়ে দেখলাম আমি সাদিফ ভাইয়ার কোলে!!!??উনি আমাকে কোলে নিলেন!!??কি সুন্দর করে আমাকে কোলে নিয়ে হেঁটেই যাচ্ছেন গাড়ির দিকে..!!মনে হচ্ছে আমি উনার কাছে তুলোর বস্তা!!মাও সমান অবাক..!!!

আমি ভেবে পাচ্ছি না আমি সাদিফ ভাইয়ার কোলে?এটা কি বাস্তব নাকি আমার স্বপ্ন!! …পরীক্ষা করে দেখার জন্যে একটা চিমটি কাটলাম নিজের হাতে!!… উফফ কি ব্যথা..!!

তবে উনার স্পর্শে আমার এত্ত ভাল্লাগছে কেন তা আমি বুঝতে পারছি না..!!!

সত্যি সত্যিই আমি সাদিফ ভাইয়ার কোলে!!…এই দিনটাও কি আমার জীবনে আসার কথা ছিল!!??

চলবে…♥️

কেমন হয়েছে গল্প অবশ্যই জানাবেন আমাকে কমেন্টস করে…হ্যাপি রিডিং ♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here