প্রিয়তমা ❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-১৯ *

0
1045

#প্রিয়তমা ❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-১৯
*
*
মায়ের পাশে শুয়ে আছি অনেকক্ষণ হলো। অতীতের কথাগুলো মনে বার বার উঁকি দিচ্ছে আজ। সেদিন ছিলো আমাদের স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান।

লাস্ট দিন স্কুলে সময় কাটাবো বলে অনেক মন খারাপ ছিলো। তার উপর শাড়ি পড়তে হবে বিদায় অনুষ্ঠানে এই কথা শুনে আমার মনে টর্নেডো চলছিলো।কারণ আমি শাড়ি সামলানোর দিক দিয়ে একদম জিরো ছিলাম।কিন্তু স্কুল ফ্রেন্ডের ধমকে শেষমেশ মা থেকে একটা বেগুনী রঙের শাড়ি পড়েছিলাম।

স্কুল আমাদের বাসা থেকে বেশ কাছেই ছিলো।আমি, জুমু,রাইসা,কলি আমরা স্কুল জীবনের সবচেয়ে কাছের বান্ধবী ছিলাম এখনো আছি।তবে এখন রাইসা এবং কলি থাইল্যান্ড থাকে ওদের ফ্যামিলির সাথে। তাই ওদের সাথে খুব কমই যোগাযোগ হয়।
মায়ের সাহায্যে শাড়ি পড়ে সামান্য মেকাপ করে নিলাম। শাড়ি পড়ে হাঁটতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিলাম আমি।
আমি গেটের কাছে দাঁড়াতেই জুমু চলে এলো।সামনে একটু আগাতেই কলি আর রাইসা যোগ দিলো।ওদের দুইজনের বাসা সেম।কারণ ওরা পরস্পরের চাচাতো বোন।আমরা চারজন মিলে হাঁটতে লাগলাম আর এক একজন এক এক গল্প বলে হাসছিলাম।

স্কুলে পৌঁছাতেই দেখলাম,ভীষন সুন্দর করে সাজানো স্কুল।সম্পূর্ণ রূপ বদলিয়ে গিয়েছে স্কুলের।আমরা সবাই হা করে চারপাশ দেখছিলাম।স্কুলের অনুষ্ঠান হিসেবে অনেক অতিথি এসেছেন স্কুলে।

তারমধ্যে অন্যতম অতিথি ছিলেন সাদিফ ভাইয়া।উনার রাজনীতির পাওয়ার তখন আস্তে আস্তে উঁচুতে উঠছিলো। কিন্তু উনি রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি একজন ভালো ব্যবসায়ী হিসেবেও সবার কাছে অনেক সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।এলাকার মধ্যে সম্মানিত রাজনীতিবিদ হিসেবে উনি বেশ ভালো একটা আসনে বসে ছিলেন।আর উনার চারপাশের অতিথিরা বসেছিলেন নরমাল চেয়ারে।সামনের সারিতে সব অতিথিবৃন্দ বসেছিলেন।আর আমরা বেশ কিছু সারি বাদে বসেছিলাম।আমরা নিজেরাই বক বক করতেই ছিলাম,কে কি করছে না করছে এসব ভাবার টাইম ছিলো না আমাদের।
কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম আমাদের পিছে যারা বসেছি তারা আমাদের নামে কিছু বলছিলো। পিছে ফিরে দেখলাম আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলে সাথে আরো কিছু ছেলে তাদের আমরা চিনতাম না।

আমার খেয়াল করার পাশাপাশি জুমু আর কলিও খেয়াল করলো পিছের ছেলেগুলো আমাদের নামে কিছু বলছে…

“এই দোস্ত..এই বেডা গুলো কে?আর ফিস ফিস করে কিসব বলছে”?(কলি)

“জানিনা ধুর বাদ দে। আমরা আপাতত আমাদের পারফরম্যান্সের কথা ভাবি”।(আমি)

“হ্যাঁ ইয়ার, চল আমরা ব্যাক স্টেজে গিয়ে প্রেকটিস করি।নাহলে ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যাবে”।(জুমু)

“ওকে গার্লস। লেটস গো”।(রাইসা)

আমরা যেতে নিলেই ছেলেগুলো বলে উঠলো…

“কোথায় যাচ্ছো তোমরা”?

“মরতে”..
কলি কথাটা বলতেই.. আমরা হন হন করে চলে গেলাম।

ব্যাকস্টেজে যাওয়ার সময় সাদিফ ভাইয়ের সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে গেল। উনার হাসিমাখা মুখ আমকে দেখা মাত্র নিমিষেই গম্ভীর হয়ে গেল। উনার দিকে এক পলক দেখে আমি চলে গেলাম।

কিছুক্ষণ বাদে আমাদের পারফরম্যান্স আরম্ভ হবে। তাই আমরা স্টেজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
স্টেজের পাশ থেকে সাদিফ ভাইয়াকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম।উনি কেমন রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।কই আগে তো কখনো এমন রাগীভাবে আমার দিকে তাকান নি।রাগী ভাবে তাকানো তো দূরের কথা কখনো আমার সাথে রাগ দেখাননি।খুবই ভালো ব্যাবহার করতেন আমার সাথে।

উনার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম।আমাদের নাম ডাকার সাথে সাথেই আমরা স্টেজে গিয়ে আমাদের গান পরিবেশন করছিলাম।
সবাই মুগ্ধ ভাবে আমাদের গান শুনছিলেন।আমরা চারজন মিলে সবাইকে অনেক সুন্দর একটা গান উপহার দিলাম।
গান শেষ হতেই চারপাশ থেকে করতালির শব্দে মন জুড়িয়ে যাচ্ছিলো।

অনুষ্ঠানে সবার জন্যে লাঞ্চের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।অতিথিদের জন্যে আলাদা প্লেস আর বাকিদের জন্যে আলাদা প্লেস ঠিক করা ছিল লাঞ্চের জন্যে।
কিন্তু খাওয়ার আগেই খবর আসলো আমাকে আর জুমুকে আর্জেন্ট সাদিফ ভাইয়ার সাথে দেখা করতে যেতে হবে।

আমি আর জুমু অবাক হলেও চুপচাপ হেঁটে পৌঁছালাম প্রিন্সিপাল রুমে।যেখানে একাই সাদিফ ভাইয়া বসে ছিলেন।
আমরা যাওয়া মাত্রই উনার রাগীমাখা কণ্ঠ আমাদের কান ভেদ করলো…

“সাহস কি করে হয় তোদের শাড়ি পড়া অবস্থায় রাস্তা দিয়ে ঢং করে হেঁটে আসার।বাসায় কি গাড়ির অভাব পড়েছে?ভদ্র ঘরের মেয়েরা শাড়ি পড়ে রাস্তায় ঘুরঘুর করে না”।
জুমু আর আমার তো মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না।কারণ আমরা কখনো এমন বকা খাইনি উনার কাছ থেকে।আজকে এত রাগার কি হলো..কিছুই বুঝতে পারিনি।চুপচাপ বকা শুনছিলাম।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবারো উনি বলে উঠলেন..

“এখন গিয়ে, লাঞ্চ করে চুপচাপ একপাশে বসে থাকবি তোরা।যাওয়ার টাইমে আমার সাথে যাবি।আর বেশি নাচানাচি করবি না।এখানে অনেক বাহিরের মানুষ আছে।আমার আশে পাশেই থাকবি”।

উনার লেকচার দেওয়া শেষ হলে আমি আর জুমু চলে যেতে নিলেই আবারো উনি বলে উঠলেন…

“জুমু তুই বাহিরে দাঁড়া।আর শেফা তুই এখানে থাক।কিছু কথা আছে”।

জুমু চলে গেলেই সাদিফ ভাইয়া আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।

হঠাৎ আমাকে পিছনের দিকে আমাকে ঘুরিয়ে নিলেন।আর আমার কোমরে উনার শীতল হাত অনুভব করলাম।সাথে সাথেই আমি শাড়ি খামচে ধরলাম।কারণ উনার স্পর্শে আমি রীতিমত কাঁপছিলাম।

কোমরের উপরে শাড়ি ঠিক করে দিতেই সাদিফ ভাইয়া বললেন…

“এক্সট্রা পিন হবে”?

উনার কথায় আমি পার্স থেকে পিন বের করে দিলাম।আর উনি সযত্নে আমার কোমরের উপরের দিকে শাড়ি আটকিয়ে দিলেন।সাথে আমার খোঁপা খুলে দিলেন।

আমাকে উনার দিকে ফিরিয়ে আবার বলে উঠলেন…

” এখন ঠিকাছে।পিঠ দেখা যাচ্ছে না আর লম্বা চুলের কারণে।আজকে থেকে বাচ্চাপনা ছেড়ে দিবি।আজকে থেকে তুই শেষ মনে কর।তুই অন্য করো হয়ে গেলি আজ।চাইলেই তুই আর বাকি কারো দিকে তাকানো তো দূরের কথা মাথা উঠাতেই পারবি না।আজ থেকে তুই মাথা উঠাবি তো জাস্ট এই সাদিফের সামনে।তুই যে কবে এতো বড় হয়ে গেলি আমি বুঝলাম না।বাট যায় হোক।আজকে মাকে একটা সুখবর দিবো। মা অনেক হ্যাপী হবে আমার মতে। গেট রেডি ফর মাই টর্চার বেবি”।

কথা বলতে বলতেই আমার গালে উনার দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলেন।

“নাও গো..।আজকে থেকে তোর সব দায়িত্ব আমি নিলাম”।

সেদিন উনার কথার আগা মাথা আমি কিছুই বুঝিনি। বুঝবই বা কিভাবে।আমি তখন সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিবো। বয়সের তুলনায় আমি অনেক ইমমেচুয়র
ছিলাম।আমি সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়িয়ে চলে এসেছিলাম।

লাঞ্চ শেষ করতেই, ঐ প্রিন্সিপালের ছেলে আর উনার বাকি বন্ধু আমাদের সামনে আসলেন।

“কি ব্যাপার কই ছিলে তোমরা”?(প্রিন্সিপালের ছেলে)

“আমরা জাহান্নামে গিয়েছিলাম”।
আমি রেগে বলে উঠলাম।

“উফ পার্পেল কুইন… এত রাগ করো না প্লিজ। রাগলে তোমায় লাগে আরো ভালো”।(ওদের পাশে দাঁড়ানো একটা ছেলে)

“শাট আপ ইউ লুইচ্চা ভুত”।
কথাটা বলেই জুমু আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।আর পিছে আসছে রাইসা,কলি।

সারা অনুষ্ঠানে আর কোন ঝামেলা হয়নি। ওই ছেলেগুলো আর কোন ডিস্টার্ব করেনি। বিকালের দিকে রাইসা আর কলি চলে গেল। সাদিফ ভাইয়ের সাথে আমাদের যাওয়ার কথা ফাইনাল হওয়ায় আমরা অসহায় এর মতো অনুষ্ঠানে বসে ছিলাম।কারণ সাদিফ ভাইয়া স্কুলের অতিথি।অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে সন্ধ্যা নেমে গেলো।
আমাকে আর জুমুকে গাড়ির কাছে রেখেই সাদিফ ভাইয়া আবার স্কুলের ভেতর গেলো।কি কারণে আল্লাহ্ জানে।আমি আর জুমু কথা বলছিলাম আর হাসছিলাম।

হঠাৎ আঁচলে টান পড়ার কারণে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।পাশ ফিরে দেখলাম প্রিন্সিপালের ছেলে।কি পরিমান সাহস তার!তারই বাবার স্কুলের সামনে মেয়েদের উত্যক্ত করছে!

“এই কুত্তা ছাড়!!আমার শাড়ীর আঁচল ধরার সাহস কেমনে হয় তোর”?
রেগে বলে উঠলাম আমি।

জুমু কিছু বলতে যাবে তার আগে আরেকটা ছেলে জুমুর মুখ চেপে ধরলো। দাড়োয়ান চুপচাপ দেখে চলছে কাহিনী।কিন্তু কিছুই করছে না।ইনফ্যাক্ট রাস্তার অনেকই আমাদের কাহিনী দেখছে কিন্তু কেউ আমাদের চিল্লানো শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না।

হঠাৎই আমার পাশের ছেলেটা হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলো।পাশ ফিরে দেখি সাদিফ ভাইয়া।ছেলেটিকে ঘুষি দিয়ে সাদিফ ভাইয়া আমাকে আর জুমুকে জড়িয়ে ধরলো। যে ছেলে জুমুর মুখ চেপে ধরেছিল সে প্রিন্সিপালের ছেলেকে রেখেই দৌড় দিলো। যার কারণে সে মাইর থেকে বেঁচে গেলো।
আমাদের এক সাইড দাঁড় করিয়ে সাদিফ ভাইয়া প্রচন্ড মারলো ছেলেটিকে।প্রিন্সিপাল স্যার অনেক আকুতি মিনতি করলো কিন্তু সাদিফ ভাইয়াকে কেউ থামাতে পারলো না।

“আজই আমি আমার স্বপ্নকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। আর আপনার ছেলে আমার সেই স্বপ্নে হাত দিতে চেয়েছিলো।এই হাতটা আমি রাখতে পারছিনা প্রিন্সিপাল স্যার।সরি ফর দ্যাট”।
সাদিফ ভাইয়া কথাগুলো বলেই প্রিন্সিপালের ছেলের ডানহাতটা দুই টুকরো করে ফেললো। মানে ভেঙে ফেললো।
ঘটনা দেখে রীতিমত সবাই অবাক। আমি আর জুমু একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম।
আশেপাশের সবাইকে আরো এক বালতি বকা দিয়ে সাদিফ ভাইয়া আমাদের নিয়ে চলে গেল বাসায়।

সেদিনের পর থেকে রাজনীতির খাতায় সাদিফ ভাইয়ের নাম আরো বেশি সাইন করতে লাগলো। কারন সবার কথা মতে মেয়েদের অসম্মান করা বা ইভটিজিং করার শাস্তি রাজনীতিবিদ সাদিফ থেকে ভালো কেউ জানে না।
এরপর থেকেই সাদিফ ভাইয়ার সম্মান সবার চোখে অনেক বেড়ে গেলো।

সেই বিদায় অনুষ্ঠানের দিনের পর থেকে, সাদিফ ভাইয়া আমার জীবনের সাথে অনেক গভীরভাবে জড়িয়ে গেলেন। সেই দিনের পর থেকে উনি আমাকে কখনো না একা ছেড়েছেন না কখনো আমার সাথে কর্কশ ভাষা ছাড়া কথা বলেছেন। কিন্তু সব কথা শেষে একটা কথায় বলবো …সেদিনের পর থেকে আমার প্রতি সাদিফ ভাইয়ের কেয়ার দিন দিন বেড়েই চলেছে।


এসব পুরোনো কথা ভাবতে ভাবতেই বিকেলের ঘুম আর যেতে পারলাম না। মাগরিবের আজান দিয়েছে মাত্রই। তাই ফ্রেশ হয়ে ওযু করে নিলাম।

নামাজ পড়া শেষ এই দেখলাম জুমু এসেছে। হাতে তার তিনটা প্যাকেট।

“কিরে বেবি।এগুলো কিসের প্যাকেট”?

আমার কথার উত্তরে জুমু প্যাকেটগুলো বেডের উপরে রেখে বলতে লাগলো..

“প্লিজ সোনা।সিলেক্ট কর শাড়ি এইখান থেকে।তোর জন্যে একটা আর আরেকটা আমার জন্যে”।

আমি প্যাকেট গুলো নিয়ে সেখান থেকে শাড়ি নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলাম।মাথায় জাস্ট আগেরসেই ঘটনা ঘুরপাক খাচ্ছে।

এসব কাজের মাঝে ভাবী এসে ছোট্ট আফ্রাকে আমার কোলে দিয়ে দিলো।কারণ, ভাবী এখন নাস্তা রেডি করবে।

“এই নাও পুন্নুকে।একটু রাখো।আমি নাস্তা রেডি করে আসি।জুমু কি খাবে”?(ভাবী)

“ভাবী পাস্তা করলেই চলবে।আর এই যে শেফা,আমাকে দে আফ্রা কে তুই শাড়ি দেখ”।(জুমু)

“ওকে ননদি। তোমরা কাজ করো আমি আসি”।
বলেই ভাবী চলে গেলো।

আমি আফ্রাকে জুমুর কোলে দিয়ে শাড়ি গুলো নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলাম।
প্রায় তিন বছর পরে শাড়ি পড়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছি। স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের পরে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানেও আমি শাড়ি পড়িনি।শুধুমাত্র সাদিফ ভাইয়ার ভয়ে। কারণ উনি কিভাবে রিয়েক্ট করবে তা আমি কখনো বুঝতে পারি না।
এখন ভার্সিটিতে শাড়ি পড়ে গেলে সাদিফ ভাইয়া আমার কি হাল করবেন আল্লাহ্ জানে।এসব ভাবতেই আমার কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।

চলবে…

রিভিশন করিনি।বানান ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন😊😊।প্রচন্ড বিজি বাট তাও লিখলাম।ছোট মনে হলে সরি।

হ্যাপী রিডিং 🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here