প্রিয়তমা ❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-২০ *

0
1073

#প্রিয়তমা ❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-২০
*
*
অনেক পর্যবেক্ষণের একটা শাড়ি আমার জন্যে আরেকটা শাড়ি জুমুর জন্যে ঠিক করলাম।জুমু অনেক খুশি হলো।কারণ অবশেষে তার শাড়ি নামক যন্ত্রণাটা ইতি টেনেছে।
শাড়িটা হাতে নিয়ে আফ্রাকে আমার কোলে দিয়ে দিলো জুমু।আর এক দৌড়ে সে গিয়ে দাঁড়ালো আয়নার সামনে।শাড়িটা ভালোভাবে গায়ের সাথে জড়িয়ে নিয়ে নানা ভঙ্গিমা করতে লাগলো জুমু।

“ভাই, ব্ল্যাক শাড়ি আসলেই অনেক জোস তাই না”?

“হ্যাঁ।কিন্তু ভাই,আমার না এই শাড়ি নামক বস্ত্রটাকে বড্ড ভয় করে।কারণ শাড়ি পড়লে হাঁটতে কষ্ট হয়, আবার অনেক সময় তো খুলে যাওয়ার ভয় থাকে,আবার পেট পিঠ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি”।
আমি অসহায় ভাবে জুমুকে বললাম।

“আরে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে।আমরা তো আর শর্ট ব্লাউজ পড়ছিনা যে পেট বা কোমর দেখা যাবে। হাই নেক ব্লাউজ পড়বো,সাথে চুল খোলা দিবো। ব্যস,আর কিছুই দেখা যাবে না”।
এক প্রকার ভাব নিয়েই জুমু কথাগুলো বললো।

জুমুর কথা শুনে আমি বলে উঠলাম…

“না ভাই ।আমি এসব চুল খোলা দেওয়াতে নাই। চুল লম্বা অনেক আমার। আর শাড়ির সাথে চুলগুলো আমি একদম সামলাতে পারবো না। বাবা যে হিজাবটা এনেছিলো ইন্ডিয়া থেকে, আমি সেটা পড়ে যাবো।অনেক ভালো মানাবে”।

“ওকে ওকে নো প্রবলেম। আপনাকে শাড়ি পড়তে রাজি করতে পেরেছি এটাই আমার জন্য অনেক”।
জুমু আমার কাছে এসে আমার কাঁধে হাত দিয়ে কথাগুলো বললো।

আমি হেসে জুমুকে জড়িয়ে ধরলাম এক সাইড দিয়ে।

আমি আর জুমু কথা বলছিলাম তখন রুমে এলো মা।আফ্রাকে আমার কাছ থেকে নিজের কোলে নিতে নিতে মা বললো…

“এই যে নাস্তা করবি তোরা আয়।নিচে সাদিফও এসেছে।রাফসানের সাথে বিজনেসের ব্যাপারে কথা বলতে”।

“উনার তো অলরেডি বিজনেস আছেই।তোমার বোনের ছেলের আর কত টাকা লাগবে আল্লাহ্ মালুম”।

“শেফা মুখ সামলে কথা বল। সাদিফ তোর ভাইয়ার বিজনেস সেটেল করতে এসেছে। আর তুই কিনা ওর নামে উল্টাপাল্টা বকছিস। বড্ড ফাজিল হয়েছিস। খেতে আয় তাড়াতাড়ি”।
আমাকে বকা দিয়েই মা আফ্রাকে কোলে নিয়ে চলে গেলো।

মায়ের পিছু পিছু আমি আর জুমু নিজে চলে এলাম।

জুমু ডাইনিং এ না গিয়ে লিভিংরুমে চলে গেলো। যার কারণে আমিও লিভিং রুমে গেলাম।
রাফসান ভাইয়া আর সাদিফ ভাইয়া দুইজন দুই সোফায় মুখোমুখি হয়ে বসে আছে। আর সাদিফ ভাইয়ের কোলে আফ্রা। সাদিফ ভাইয়া মনোযোগ দিয়ে রাফসান ভাইয়ার সাথে কথা বলছে আবার একটু পর পর আফ্রার দিকে তাকিয়ে তার সাথে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলছে আর কেমন কেমন চেহারা বানাচ্ছেন।
আশ্চর্য রকমের সুন্দর লাগছে উনাকে।উনি যে বাবুদের সাথে এতো ভালো ব্যাবহার করে তা আমার জানা ছিল না।

“তো রাফসান তুমি কিসের ব্যবসা শুরু করছো??তুমি না বলেছিলে জব করবে”??
জুমুর এমন প্রশ্নে রাফসান ভাইয়া এবং সাদিফ ভাইয়া আমাদের দিকে তাকালো।

“এই সপ্তাহেই শুরু করবো বিজনেস।চাকরির ইচ্ছা থাকলেও বিজনেসে প্রফিট বেশি পাবো। আগে থেকেই এই ব্যাপারটা সাদিফ ভাইয়াকে জানিয়ে ছিলাম। সাদিফ ভাইয়ার সাপোর্টে বিজনেস করার সাহস পেলাম মনে। সামনের সপ্তাহ থেকেই ইমপোর্ট – এক্সপোর্ট এর বিজনের স্টার্ট করবো ইন শাহ আল্লাহ্”।
রাফসান ভাইয়ার কথায় জুমু ছোট্ট করে “ওহ”বলে উঠলো।

কেউ কিছু বলবে এর আগেই ভাবী এসে বকা দিলো সবাইকে।

“কি ব্যাপার?খেতে আসবে না তোমরা? কয়বার ডাকতে হবে?এইযে আমার দেবর সাহেব আপনারাও আসুন।আর দ্বিতীয়বার যেনো ডাকতে না হয়”।

ভাবী চলে যেতেই আমরা সবাই ডাইনিং এ চলে গেলাম। সাদিফ ভাইয়া এখনো আফ্রাকে কোলে নিয়ে আছেন।

“সাদিফ বাবুকে দিয়ে দে আমার কোলে।তুই ইজিলি বসে নাস্তা কর”।(মা বললো)

সাদিফ ভাইয়া খুবই হালকাভাবে একটা চুমু দিলো বাবুর গালে।আর বাবুও কি বুঝলো সুইট একটা হাসি দিলো।আর সেই হাসি দেখে সবাই কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো। বাবুর হাসি দেখে সাদিফ ভাইয়ার মুখ চিকচিক করে উঠলো।
সবাই একসাথে নাস্তা করতে বসেছে।
সবার নিজের মধ্যে ব্যস্ত আর আমি এখনো সাদিফ ভাইয়াকে দেখছি।কেনো জানি এক অজানা মায়া অনুভব হচ্ছে।আচ্ছা উনার চেহারায় এত মায়া কেনো?
উনার সামনের চেয়ারে বসার সুবিধার্থে উনার চোখের ঘন পাপড়িগুলোও দেখতে পারছি।
উনার সাথে অলরেডি আমার দুইবার চোখাচোখি হয়ে গেলো।কিন্তু আজ উনি আমার দিকে একদম শান্তভাবে তাকিয়ে আবার নাস্তা খেতে লাগলেন।কিছুই বললেন বা আবার চোখ রাগালেন না।

“বেবি..এমন ভাবে আমার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো..?নজর লাগবে আমার ভাইয়ার উপরে”।
জুমু আমাকে ফিসফিসিয়ে বললো।

জুমুর কথায় টেবিলের নিচে দিয়ে জুমুর পায়ে একটা লাথি দিলাম জোরে।
আর জুমু “আল্লাহ্” বলে চিল্লিয়ে উঠলো..

“আরে আরে কি হয়েছে?আর ইউ ওকে জুমু”?(ভাবী)

“হ্যাঁরে..কি হলো তোর?হঠাৎ চিল্লানি দিলি”!(মা)

সবার কথায় জুমু মুচকি হেসে বলল…

“আরে কিছু না।জাস্ট একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম”।
আর সাথে সাথে আমার দিকে তাকিয়ে আমাকে চোখ রাঙালো।
আমি জুমুকে একটা হুহু করে হাসি উপহার দিলাম।

হঠাৎ সাদিফ ভাইয়ার দিকে চোখ যেতেই উনার নজরে চোখ আটকে উনি এক পলকে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আমি ভ্রু কুঁচকে উনার দিকে তাকাতেই উনি অন্যদিকে ফিরে গেলেন।

জুমু আমার পেটে গুতা দিয়ে বললো..

“কি বেব?আমার ভাইয়ার কি হলো?আর তুই বা এমন করে তাকিয়ে আছিস কেনো ওর দিকে?
এরপর যদি আমি ভাবী ডাকি আবার আমাকেই মারার জন্যে ধাওয়া করিস? ও গো ভাবী”!!

জুমু কথাটি বলেই দৌড় লাগালো।আর আমি ওর পিছে পিছে দৌড় লাগালাম।কিন্তু আমি অভাগার পালাজোর সাথে পা আটকে ধপ্পাস করে পড়লাম।ব্যাথার চেয়ে লজ্জা বেশি পেয়েছি।
পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে সবাই এদিকে এগিয়ে আসলো।আর জুমু আমার পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে দৌড়ানো বন্ধ করে আমাকে টেনে তুললো।
সবাই এটা ঐটা জিজ্ঞেস করছে আমাকে কিন্তু আমি লজ্জায় চুপ করে আছি।

“এই অমানুষ? এতজন যে আস্ক করছে ব্যাথা পেয়েছিস কিনা… মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না?এভাবে দৌড়ানোর মানে কি ছিলো?যত্তসব।এই জুমু ওকে ভিতরে নিয়ে দেখ তো কোথাও ফাটিয়েছে নাকি”।(চিল্লিয়ে)
সাদিফ ভাইয়ার ধমকে মাও উনার সাথে তাল মিলিয়ে আমাকে বকতে লাগলেন।কিন্তু আমি মুখ তুলেও তাকালাম না।যেভাবে মাথা নিচু দাঁড়িয়ে ছিলাম,সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলাম মাথা নিচু করে। সাদিফ ভাইয়ার ধমক শুনে আমি জুমুর সাথে আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলাম।হাঁটুতে বেশ ব্যাথা লাগছে।এর আগেরবারও হাঁটুতে ব্যাথা পেয়েছিলাম।

রুমে গিয়ে জুমু আমাকে বেডে বসিয়ে দিলো।আর আমার পালাজো উঠিয়ে হাঁটুতে স্প্রে করে দিতে দিতে বললো…

“সরি ভাই।ব্যাথা পেয়েছিস”?

“নাহ।আরাম পেয়েছি। যতটুকু আমি ব্যাথা পাইনি তার চেয়ে বেশি লজ্জা পেয়েছি। আর তুই কি বলিস আমি তোর ভাবী? দেখেছিস তো নিচে কিভাবে তোর ভাই আমাকে ধমক দিলো”।

“আরে ইয়ার, ও তো এমনই। জানিসই তো।হুটহাট রেগে যায়।আর ওর রাগেই তোর জন্যে কেয়ার লুকিয়ে রাখে।যেদিন বুঝবি সেদিন তোর সুখের কান্নাটা আমাকে ফোন করে শুনিয়ে দিস”।
জুমুর কথায় আমি কিছু বললাম না। চুপচাপ বসে আছি।


পরের দিন শুনলাম সাদিফ ভাইয়া ঢাকা গেলো,কি একটা কাজে।যাক তাহলে উনি তিন-চারদিন থাকবেন না। একদিক দিয়ে ভালোই হলো,ঢাকাতে গিয়েছেন উনি। তার মানে ভার্সিটির প্রোগ্রামে উনি যাবেন না।
ইয়াহু,যাক বেঁচে গেলাম।নাহলে তো উনি ঠিকই পিছে পিছে চলে আসতেন।নিজের মতো করে অনুষ্ঠান ইঞ্জয় করতে পারবো এখন।
মন খারাপ একদম দুর হয়ে গেলো।আজকের দিনটা পার হলেই আগামীকাল ভার্সিটির অনুষ্ঠান হবে। খুবই এক্সাইটেড আমি।

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই মোবাইল হাতিয়ে নিলাম। একি জুমুর দশটা মিসকল??
আল্লাহ্ আল্লাহ্ করে ওকে আবার কল লাগলাম।আর সাথে সাথেই ওর চিৎকার ভেসে এলো..

“সকাল নয়টা বাজে আর সে এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছে।কখন রেডি হবি?? কখন যাবি”?

“এমন করছিস কেন?? মাত্র নয়টা বাজলো। আচ্ছা আমি আসছি শাড়ি নিয়ে।একসাথে রেডি হবো”।

“সত্যি??উম্মাহ জান। আয় আর্লি। আই অ্যাম ওয়েটিং”।

ফোন কেটে, ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।আমি জানতাম জুমুর সাথে রেডি হবো বললে ও কখনোই রাগ করে থাকবে না।
সামান্য নাস্তা করে, সব জিনিস নিয়ে একেবারে বাসা থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম খালামনির বাসায়।

আমি আর জুমু মিলে একসাথে রেডি হয়ে নিলাম।জুমু শাড়ি পড়ে আর মেকাপ করে চুল খোলা রাখলো।আর আমি শাড়ি পড়ে,মেকাপ করে হিজাব পড়ে নিলাম ইরানি স্টাইলে।
হাতে পার্স আর মোবাইল নিয়ে খালামণি আর আপুকে বিদায় জানিয়ে খালামনিদের গাড়ি করে চলে গেলাম ভার্সিটি।

চারদিকে অনেক মানুষ।আর হৈ হুল্লোর চলে।অনেক সুন্দর ভার্সিটি।যে যার যার মতো এঞ্জয় করছে।আমি আর জুমুও অনেক মজা করলাম।অনেক ছবি তুললাম।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান অনেক ভালো করেই কাটালাম আমরা।বিকালের দিকে আমরা বাসার জন্যে রওনা দিলাম।

জুমু আমাকে জোর করে ওদের বাসায় নিয়ে গেলো।শাড়ি পড়েই আমি আর জুমু বসে আছি।হিজাব বাসায় আসার সাথে সাথে খুলে ফেললাম।চুল খুলে শাড়ির আঁচল ফেলে রিলেক্সে শুয়ে আছি।
খালামণি আর আপু বাসায় নেই। ডক্টরের কাছে গিয়েছে ওরা।আর জুমু আমার জন্যে নাস্তা বানাতে চলে গেলো কিচেনে।আমি একা একা শুয়ে আছি আর গান দেখছি।

হঠাৎ “জুমু আমার ল্যাপটপ তুই নি”..এমন আওয়াজ পেয়ে আমি হুড়মুড় করে বসে পড়লাম।
সাদিফ ভাইয়া আমাকে দেখে দরজাতে থমকে দাঁড়ালেন।
আমি এখনো হা করে তাকিয়ে আছি।

হঠাৎ উনি পিছে ফিরে নরম সুরে চেঁচিয়ে বললেন…

“গা…গায়ের উপরে আঁচল দে”!
সাদিফেয়ের বুকটা আজকে বড্ড কাঁপছে। নিজের প্রিয়তমার এই রূপ সাদিফ এই প্রথমে দেখলো।

আমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম আঁচল তো সরানো ছিলো।
নাউজুবিল্লাহ!! ছিঃ ছিঃ ছিঃ উনি আমাকে এই অবস্থায় দেখলেন!ভাগ্যিস ব্লাউজ ফুল কভারেজ ছিলো।নাহলে তো আজকে আমার ইজ্জত যেতো।
তাড়াতাড়ি গায়ের উপর দিয়ে দিলাম আঁচল।

“আপনি না ঢাকায় ছিলেন?কবে আসলেন??আর নক করে আসবেন না”?

“তোর হয়েছে?গায়ের উপরে কাপড় আছে এখন”?(উল্টোদিকে ফিরানো অবস্থায় বললেন)

“হ্যাঁ আছে”।
আমার কথা শুনে উনি আমার দিকে ফিরলেন।

“দরজাটা ফুল খোলা রেখেছিস, আবার বলছিস দরজায় নক করে আসিনি কেন? আর এই অবস্থায় শুয়ে থাকার মানে কি? দরজা বন্ধ করা যায় না”??

“বাসায় তো আমি আর জুমু ছাড়া কেউ নেই। তাই ভয় করছিলো যার কারণে দরজা খোলা রেখেছিলাম। আ.. আপনি ভাবে আসবেন আমি ভাবি নি কখনো।জুমু রান্না করছে”।

“এভাবে শাড়ি পড়ে থাকার মানে কি”??
সাদিফ ভাইয়া দরজায় দাড়িয়ে দুইহাত বুকের উপরে ভাঁজ করে রেখে জিজ্ঞেস করলেন।
পড়নে উনার ব্ল্যাক কোট,সাদা শার্ট আর ব্ল্যাক প্যান্ট।এখনই মনে হচ্ছে ঢাকা থেকে ব্যাক করেছেন উনি।

“কি ব্যাপার??চুপ কেনো”??
উনার কথায় সাদিফ ভাইয়া থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে নিলাম।আর বলে উঠলাম…

“ভার্সিটি গিয়েছিলাম। আজকে অনুষ্ঠান ছিলো”।

“শাড়ি পড়ে ভার্সিটি”??

আমি “হ্যাঁ” বলার সাথে সাথেই .. সাদিফ ভাইয়া জোরে একটা চিল্লানি দিয়ে বললেন “হোয়াট”??
হায় আল্লাহ্! উনার এভাবে চিল্লানোর মানে কি?

চলবে…😊

চেক করা হয়নি। কারো নাম বা বানান ভুল হলে ক্ষমার নজরে দেখবেন।গল্প ভালো লাগল সবাই একটা রিভিউ দিয়ে দিয়েন পেইজে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here