হঠাৎ_তুমি_এলে #লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা #পর্ব-২

0
471

#হঠাৎ_তুমি_এলে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-২

কিছুক্ষণ স্তব্ধ থেকে বলল

সময়ের স্রোতে মানুষের জীবন আচমকা মোড় নেয়। জীবনের সুখের অধ্যায়ের পর পরই কষ্টের অধ্যায়টা ঘনিয়ে আসে। মানুষ চায় এক হয় আরেক। আমার জীবনও এর ব্যতিক্রম না। আমার বিয়ের এক বছরে আমি যে কষ্ট সহ্য করেছি বলে বুঝাতে পারব না।

ফেসবুকে পরিচিত হয়ে আমি আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। প্রথম দেখাতেই আমার স্বামী আমাকে জোরপূর্বক তুলে এনে বিয়ে করেছিল। তখন আমার স্বামীর সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল শুধু। আর সে বন্ধুত্বের দাবি নিয়েই দেখা করতে গিয়েছিলাম।

প্রথম দেখাতেই বসেছিলাম একটা রেস্টুরেন্টে। খাওয়া আর পরিচয় পর্ব শেষে আমার স্বামী আমাকে বলল

“আমি সাথে গাড়ি নিয়ে এসেছি চলো তোমাকে বাসায় নামিয়ে দিই।”

আমিও ভরসা করে গাড়িতে উঠেছিলাম। কিন্তু কে জানত মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষটা এত কুৎসিত। গাড়িতে উঠিয়েই আমাকে তুলে নিয়ে গেল উনার বাসায়। যে রুমে জোর করে বসাল সে রুমটায় খেয়াল করে দেখলাম বাসর সাজানো। বাসর সাজানো দেখে বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম

“আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন কেন?”

লোকটা আমার কাছে এসে বলল-

” আমি তোমাকে প্রথম কথা বলাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তোমাকে যেন না হারাতে হয় তাই এ ব্যবস্থা করেছি। তুলি আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।”

আপনাকে তো আমার পরিচয় দেওয়া হয়নি। আমি তুলি, একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলাম। আর আমাকে যে তুলে এনেছে তার নাম নিলয়। ঘটনার দুমাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল। বলেছিল একটা সরকারি চাকুরি করেন।

ঘটনায় আসা যাক। মুখোশধারী ভদ্রলোকের কথা শুনে আমার শরীরটা রাগে গিজগিজ করতে লাগল। রাগী গলায় বললাম

“আপনার সাথে তো আমার কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না তাহলে এমন করছেন কেন? দয়াকরে আমাকে যেতে দেন।”

আমার স্বামী আমার কোনো কাকুতি মিনতি সেদিন শুনেনি। জোর করে কাজী এনে আমাকে বিয়ে করল। আর রাতে তার পুরুষত্ব দেখাল।
সেদিনের পর থেকে আমার জীবনের কালো অধ্যায়ের শুরু। বিয়েটা যেমন করেই হোক না কেন ভেবেছিলাম বিয়েটা যেহুত হয়ে গিয়েছে তাহলে মেনে নেওয়ায় শ্রেয়। সেদিন রাতে নিলয় ঘুমানোর পর আমার ফোনটা চুপিচুপি নিয়ে মাকে কল দিলাম । মা আমার কন্ঠ শুনে আঁৎকে উঠে বলেছিল

“তুলি তুই কোথায়? তোকে সবাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান।”

ভেবে পাচ্ছিলাম না মাকে কী উত্তর দিব। চুপ করে রইলাম কিছুক্ষণ। মা আমার নীরবতা দেখে ছটফটাতে ছটফটাতে বলল

“কী রে তুলি কথা বলছিস না কেন? তোর ফোন এতক্ষণ বন্ধ পাচ্ছিলাম কেন? এত বড়ো মেয়ে, না বলে বাসার বাইরে থাকলে কতটা চিন্তা হয় সেটা কী তুই জানিস না?”

এভাবে যে আমি ফেঁসে যাব কে জানত? মাকে তো আর এতকিছু বলা যাবে না। তাই মাকে সরাসরি বললাম

“মা আমি পালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। ছেলেটার নাম নিলয়। সরকারি চাকুরি করে।”

মা কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল

“আমাদের বললে কী হত না? সবার কাছে আমাদের মাথাটা এভাবে নীচু করতে পারলি? কাজটা করার আগে আমাদের কথা একবারও ভাবলি না?”

কর্কশ গলায় জবাব দিলাম-

” পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর সকালে কথা হবে। এত রাতে আর কথা বলতে পারব না।”

এ বলে ফোনটা কেটে ঘরে প্রবেশ করে খেয়াল করলাম আমার স্বামী রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমাকে দেখে বলল

“এত রাতে কার সাথে কথা বলেছিস। নিশ্চিত তোর আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে।”

নিলয়ের মুখে এমন ভাষা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ একে তো জোর করে বিয়ে করেছে তার উপর বিয়ের রাতে তুই তোকারি। আমার স্বপ্নের আকাশটা নিমিষেই হুমরি খেয়ে পড়ল। কি বলব খুঁজে না পেয়ে ঠাঁই চুপ হয়ে রইলাম।

নিলয় আমার দিকে তাকিয়ে আমার বাহু দুইটা তার দুহাত দিয়ে চেপে ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল-

“কিরে তুই চুপ হয়ে আছিস কেন?”

আমি নিজেই নিলয়ের এরকম ব্যবহারে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ করতে চাইলেও যেন করতে পারছিলাম না। নিলয় আমার প্রশ্নের কোনো জবাব না পেয়ে আমার গালে একটা চড় দিয়ে বলল-

” মুখ দিয়ে কথা বলছিস না কেন?”

এ বলে দুই আঙ্গুল দিয়ে মুখটা চেপে ধরে বলতে লাগল-

“জবাব না দিলে আজকে তোর মুখটাই ভেঙ্গে ফেলব।”

এমন ভাবে চেপে ধরেছিল যে আমি কোন নিঃশ্বাসেই নিতে পারছিলাম না। কোনো রকমে আওয়াজ করে বললাম-

” মাকে ফোন দিয়েছিলাম।”

আমার উত্তর শুনে মুহুর্তের মধ্যে নিলয় কেমন জানি বদলে গেল। আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলল-

“এ কথাটা আগে বললে কী আমি তোমাকে এভাবে আঘাত করি বলো? মায়ের সাথে কথা বলতে মন চাইলে আমাকে বলেই বলবে।তবে আমাকে না বলে কিছু করলে মোটেও ভালো হবে না।”

সেদিনেই বুঝে গিয়েছিলাম আমার স্বামী মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ। সেদিন রাতটা কোনো রকমে কাটালাম।

সকালে উঠে মাকে কল দেওয়ার পর মা বলল

” তুলি যা করেছিস তো করেছিস আমি তোদের মেনে নিয়েছি। এবার একটা অনুষ্ঠান করে তোকে বিদায় দেই, না হয় মানসম্মান থাকবে না।”

এমন সময় নিলয় আমার কান থেকে ফোন নিয়ে বলল-

” মা কিছু মনে করবেন না। আপনাদের কে কে আসবেন বলুন আমি সব ব্যবস্থা করে রাখব। আমার বাবা,মা কেউ নেই আর আত্নীয়স্বজনও নেই। আপনারা যা করার আমার বাসায় করুন।”

খেয়াল করলাম মা ও নিলয়ের কথায় রাজি হয়ে গেল। পরদিন সকালে আমার মা,বাবা, আর কাছের কাজিনগুলো আসলো আমার বাসায়। নিলয় সব ঠিক করে গুছিয়ে রাখল।

এর মধ্যে হুট করে আমার চাচাতো ভাই পরশ আমার চোখ চেপে ধরে বলল

“বলতো কে আমি?”

পরশ আমার বড়ো চাচার ছেলে। পিঠাপিঠি হওয়ার দরুণ আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বটাও বেশ ছিল।আমি পরশের কন্ঠ শুনে হাসিমাখা গলায় বললাম

“তোরে চিনব না। চোখ খুল পরশ।”

পরশ হতাশ গলায় বলল

“আরে যাহ…চিনে ফেলেছিস।”

ঠিক এ মুহুর্তে আমার স্বামী আমাকে ডাক দিল-

” তুলি একটু রুমে এসো তো। কথা আছে।”

নিলয়ের ডাক শুনে পরশকে বললাম

“তুই এখানে দাঁড়া আমি এখনেই আসতেছি।

কথাটা বলে নিলয়ের কাছে গেলাম। ঘরে ঢুকতেই নিলয় ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিল। মাথার চুলগুলো মুঠি করে ধরে বলে উঠল

“ঐ ছেলের সাথে এত ঢলাঢলির কী আছে।ওর সাথে তোর কী শুনি?”

নিলয়ের এরকম অস্বাভাবিক আচরণের কারণ গুলো আমার অজানা ছিল। আমি নিলয়কে বললাম

“ও আমার চাচাত ভাই হয়। আমি নিজের ভাইয়ের মতো মনে করি। আর তুমি কী না তাকে নিয়ে আমাকে আজেবাজে কথা বলছো। কেন এমন করো তুমি? আমার সাথে এরকম করে কি আনন্দ পাচ্ছ?”

আমার কথাগুলো শুনে নিলয়ের রাগটা আরও বেড়ে গেল আমাকে চেপে ধরে বলল

“আমার কথা মতো থাকলে তোকে মাথায় করে রাখব। কিন্তু আমার অপছন্দের কাজ করলে একদম ভালো হবে না।”

আমি এর জবাব কী দিব বুঝতে পারছিলাম না। শুধু মাথা নেড়ে গেলাম। বাবা মাকেও বিচার দিতে পারব না। কারণ সে মুখ তো আমার নাই। সবকিছু আমি নিজেই নষ্ট করে দিছি। কোনোরকমে সারাটাদিন পরশের থেকে দূরে দূরে থেকে সবাইকে বিদায় দিলাম।

বেশ অশান্তি হচ্ছিল ভিতরে। সেদিন রাতে চুপ হয়ে বিছানার এক কোণায় বসে রইলাম।শুধু একটা ভাবনায় ডুবে রইলাম। কী হবে আমার জীবনে? কী হতে চলেছে? হঠাৎ করে নিলয় রুমে ঢুকল। হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে। খাবারের প্লেট টা নিয়ে আমার কাছে এসে বলল-

“সারাদিন খেয়াল করলাম তেমন কিছু খাও নি।দুপুরেও অল্প ভাত নিয়ে এঁটো করে রেখেছো। এখন এগুলা সব শেষ করতে হবে।”

“মেয়ে মানুষ হচ্ছে আবেগের মোম। সামান্য ভালোবাসায় গলে যায়।”

তেমনি নিলয়ের কথা শুনে আমি একদম গলে গেলাম। নিমিষেই আমার অভিমানটা বেড়ে গেল।

” আমি খাব না। তুমি খেয়ে নাও।”

নিলয় আমার কাছে এসে বলল

“এত রাগ করতে হবে না। আমি কী ইচ্ছা করে তোমার সাথে এমন করি। তুলি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি তোমাকে হারাতে চাই না। তুমি কেন এটা বুঝতে চাও না বলো। তুমি মাঝে মাঝে আমার অপছন্দের কাজ গুলো করো তাই আমার রাগ বেড়ে যায়। আমাকে ক্ষমা করে দাও।”

সেদিন নিলয়ের কথা শুনে মুহুর্তের মধ্যেই আবেগী হয়ে গেলাম।

“মেয়েরা খুব আবেগপ্রবণ। মেয়েদের আবেগের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মায়া। এ মায়ার কারণে মেয়েরা আবেগের অতল তলে নিমজ্জিত হয়ে যায় আর বারবার নিজের মধ্যে থাকা অস্তিত্বকে বিলীন করে দেয়।”

আমিও নিজের স্বামীর এমন কথায় নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না। নিলয়ের হাত দুটো ধরে বললাম-

“আমার শুধু একটাই অনুগ্রহ তুমি আমার সাথে হুট করে এমন ব্যবহার করো না যাতে আমার কষ্ট হয়।আমি এখন তোমার স্ত্রী হই চাইলেও অন্য কারও হওয়া সম্ভব না। বিয়েটা তো ছেলে খেলা না, করলাম আবার ছেড়ে দিলাম।”

নিলয় আমার কথা শুনে তার কান ধরে বলল

“আমার আর কখনও এমন হবে না। দেখে নিও।
কিন্তু কথায় আছে”

“মানুষ অভ্যাসের দাস। অভ্যাস মানুষকে নীচে নামাতেও দ্বিধা করে না”

ঠিক তেমনি নিলয়ের মধ্যে একটা অভ্যাস ছিল আমাকে কারণে অকারণে সন্দেহ করা। কোনো ঝামেলা হলেই প্রশ্নের তীর আমার দিকে ছুরে দেয়া।

সেদিন ডিশ লাইন ঠিক করতে লোক এসেছিল। সে সময় নিলয় বাথরূমে ছিল। যার দরুণ আমি দরজা খুলে দিয়েছিলাম। লোকটা এসে লাইন ঠিক করতে লাগল। নিলয় বাথরুম থেকে এসে লোকটাকে দেখে ক্ষেপে গেল। লোকটার সামনেই আমাকে দু এক ঘা প্রহার করল। লজ্জায় আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে তখন যদি মাটিটা ভাগ হত আর আমি ঢুকে যেতে পারতাম তাহলে হয়ত সবচেয়ে ভালো হত।
প্রহার করা আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং ডিশ লাইনের লোকটাকেও দুই এক ঘা বসিয়ে দিল। লোকটা তো পেটের দায়ে এসেছিল। কে জানত তার কপালে এরকম অপবাদ জুটবে। এরপর থেকে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে লাগল। আমার পরিবার যেন বাসায় আসতে না পারে সেজন্য বাসা বদল করে ফেলেছিল। আমার হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়েছিল। আমি তো এ ব্যথা কাউকে বলে বুঝাতে পারছিলাম না। শারীরিক মানসিক দুইভাবেই নির্যাতিত হয়েছি। কি নির্মম ভাবে আঘাত করা হয়েছে আমাকে সেটা শুধু আমি জানি।

এভাবেই কেটে গেল পাঁচ মাস। একদিন মায়ের জন্য অনেক খারাপ লাগছিল। প্রতি মুহুর্তে মাকে মিস করতেছিলাম। মাকে কল দেওয়ার ও কোন উপায় পাচ্ছিলাম না। সারাদিন বাসার মধ্যে বন্দি করে কোথায় যে যেত উনি জানতাম না। আমি একা বন্দী পাখির মতো ছটফট করতে থাকতাম। আমার যে অস্তিত্ব আছে আমি সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম।
মায়ের কথা মনে হয়ে একটু কাঁদলেও আমার স্বমী মাঝ রাতে উঠে আমাকে পিটাত। ভাবত আমি কোনো প্রাক্তনের জন্য কাঁদছি। বুঝতেই পেরেছিলাম সে এক মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত । কিন্তু সেদিন রাতে একটু সাহস করে চুপি চুপি তার ফোনটা চুরি করে হাতে নিলাম। আস্তে করে বারান্দায় গেলাম। মাকে ফোন করার জন্য অর্ধেক নম্বর সবে মাত্র টাইপ করেছি ঠিক এ মুহুর্তে পিঠে এক অদ্ভূত জ্বলা অনুভব করলাম। নিমিষেই চেঁচিয়ে উঠে খেয়াল করলাম নিলয় আমার পিঠে জ্বলন্ত সিগারেটটা চেপে ধরে রেখেছে। আমি যন্ত্রণার চুটে ব্যাথায় কাঁতরাতে কাঁতরাতে বললাম-

“কী হয়েছে তুমি এভাবে আমার গায়ে সিগারেট ধরে রেখেছ কেন?”

আমার কথা শুনে নিলয় তার চোখ রক্ত বর্ণ করে আমার চুলের মুঠিটা ধরে বলল

“এত রাতে কোন ছেলেকে ফোন দিতেছিলি বল?”

আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। এতটা হিংস্র হয়ে গিয়েছিল যে আমি ভয়ে মোচড়ে গেলাম। একদম চুপ হয়ে রইলাম। আমার নীরবতা দেখে নিলয় আরও ক্ষেপে গেল। ক্ষেপে গিয়ে চুলের মুঠিটা আরও জোরে শক্ত করে ধরে মেঝেতে আঁচড়ে ফেলল। তারপর একের পর এক কিল, ঘুষি, লাথি মারতে লাগল।
মারতে মারতে নিলয় হয়তো এক পর্যায়ে বেশ ক্লান্ত হয়ে গেল তাই আমার গায়ে হাত, পা তোলা বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
সেদিন আমার সারা শরীর ব্যথায় টনটন করতে লাগল। মাথাটা মনে হচ্ছিল ব্যথার চুটে ভেঙ্গে ফেলি।সারাটা রাত ব্যথায় মোচড়াতে মোচড়াতে পার করলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here