ভুল -পর্ব ১৬

0
205

#ভুল ১৬তম পর্ব
#jannat_Nur

আমিরুল ইসলাম আজ খুবই চিন্তিত সে কি জীবনে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে! সেই ভুলের মাশুল এখন তাকে দিতে হবে। যে ভাইবোনের কথায় আজকে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে তারা তো কেউ আজ তার পাশে নেই, সবাই সবার মত ভালো আছে। আমিরুল ইসলামের কথা শেষ হলে সবাই তাদের নিজ নিজ ফ্ল্যাটে চলে গেল। একাকিত্বের মাঝে নিজেকে আজ উপলব্ধি করছে আমিরুল ইসলাম, রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তার জীবনের চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। যাকে আগলে রেখে এতটা বছর পার করেছে সেই ছেলে আজ তার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ের পক্ষ নিয়ে। এই ভয়ের কারণে সে বাংলাদেশে আসতে চায়নি, কিন্তু তাই সত্যি হলো। সিরাত তার মাকে খুঁজতে গিয়েছে, যদি তার মাকে পায় তাহলে তো ভালো! না পেলে, যদি সুফিয়া বেগম মারা যায় তখন কি সিরাত ক্ষমা করবে তাকে। ভাবতে ভাবতে মাথায় চাপ দিচ্ছে সমস্ত টেনশন এসে, প্রেশার হাই হয়ে গেল। ছোট বোন রুমাকে ডেকে বলল তাড়াতাড়ি আমার মাথায় পানি দিয়ে দে। রফিক মিয়াকে বল আমার জন্য প্রেসারের মেডিসিন নিয়ে আসতে। রুমা আক্তার ভাইকে মাথায় পানি দিয়ে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলেন। তারপর রফিক মিয়াকে বললেন মেডিসিন নিয়ে আসতে, রফিক মিয়া জলদি চলে গেলেন ফার্মেসিতে। অবন্তী তার মামার কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে! আমিরুল ইসলামের দুচোখ দিয়ে টপাটপ পানি পড়ছে।

মামা কাঁদবেন না দোয়া করেন সিরাত ভাইয়া যেন তার মাকে খুঁজে পায়, যা ভুল তো করার করেছেন। আমারও মনে হয় মামি নির্দোষ ছিল, এখানে আমার আব্বুর ষড়যন্ত্র ছিল। আপনি যদি ঠান্ডা মাথায় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতেন জীবনটা এরকম হতো না। আজকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখের সংসার থাকতো আপনার। এখন দেখুন আপনার ছেলে আপনাকে ঘৃণা করতেছে সবকিছুর মূল দোষী আপনাকেই ভাবতেছে। সত্যি ই আপনি কি মামিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন? যদি তাই হয় কেন তাকে বিশ্বাস করলেন না। আপনি তো জানতেন মামির চরিত্র কেমন, দেশে এসে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতেন, কিছুদিন সময় নিতেন তাহলে দেখতেন সত্যিটা বের হয়ে আসতো। এখন আফসোস করে আর কি হবে, টেনশন কইরেন না! আল্লাহ যা করবে ভালোর জন্যই করবে, প্রত্যেকটা মানুষের অপরাধের শাস্তি আল্লাহ দিয়ে থাকেন। আপনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার শাস্তি পাবেন! আমার বাবা-মা পরিবারের লোকেরা যদি অপরাধ করে থাকে আল্লাহ কাউকে ছাড় দিবেন না, দুইদিন আগে বা দুদিন পরে। মানুষ মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয় তারা বুঝে না এর শাস্তি একদিন না একদিন হবে। মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া অনেক বড় অন্যায়, এটা শাস্তি হয় অনেক কঠিন।

অবন্তীর কথা শুনে আমিরুল ইসলাম বললেন, মা তুমি আমার ছেলেকে বুঝিও আমি তখন পরিবারের কথায় আর অনেক রাগের মধ্যে তার মাকে ডিভোর্স দিয়ে দেই, এবং তাকে রেখে সুফিয়াকে তাড়িয়ে দেই। সিরাত যেন আমাকে ছেড়ে না যায়, আমি তো তাকে অনেক ভালোবাসি! আমার জীবনের চাইতেও তাকে ভালোবাসি। সে আমাকে ছেড়ে গেলে আমি কি নিয়ে থাকবো, প্লিজ মা তুমি তাকে বুঝিও।

মামা এখন আপনি টেনশন করবেন না, সিরাত ভাইয়া বাসায় ফিরুক তার সাথে পরে কথা বলা যাবে। আমি চাচ্ছি মামিকে সে যেন খুঁজে পায়। আল্লাহ যেন তাদের মা ছেলেকে দেখা করিয়ে দেন, আর এই চক্রান্তের পিছনে যার হাত থাকুক সেই চক্রান্তকারীদের যেন সবার সামনে নিয়ে আসে, তাদের কঠিন শাস্তি হয়। সে যদি আমার বাবা-মাও হয়, তাদের শাস্তি হোক আমি এটাই চাচ্ছি।

সিরাত ঢাকা এয়ারপোর্টে এসে চারপাশটা অনেক খোঁজাখুঁজি করে যাচ্ছে। যেকোনো পাগল মহিলাকে দেখে বিচক্ষণের মতো তার সারা শরীর অবলোকন করছে। তার মামার বর্ণনা অনুযায়ী সেরকম কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। সারাদিন এয়ারপোর্ট এর আশেপাশে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে হোটেলে আসলো খুব খিদে পেয়েছে। খাবার খেয়ে হোটেলে রুম নিয়ে বিশ্রাম করল সিরাত। রাত নয়টার দিকে আবার বের হলো খুঁজতে, রাত একটা পর্যন্ত খুঁজে হোটেল রুমে ফিরে আসলো! তেমন কাউকে দেখতে পেল না যেমনটা তার মামা বলেছিল। সিরাতের মনে হাজারো প্রশ্ন সে কি তার মাকে খুঁজে পাবে, এতটা বছর কি বেঁচে আছে নাকি অনেক আগেই মারা গেছে। মারা গেছে ভাবতেই খুব কষ্ট হচ্ছে তার। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে তার মায়ের সঙ্গে যেন তার দেখা হয়, মাকে যেন জড়িয়ে ধরতে পারে! বলতে পারে মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি, তোমাকে ছাড়া এতটা বছর আমি ভালো ছিলাম না, অনেক ভালবাসি তোমাকে। না ঘুমিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করে রাত পার করলো সিরাত। রাতে অনেকবার কল দিয়েছে অবন্তী, ফোন সাইলেন্ট করা ছিল সেদিকে খেয়াল করেনি সিরাত। সকালে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখে প্রায় ৫৫ টা মিস কল অবন্তীর। মেয়েটা মনে হয় সারা রাত তাকে কিছুক্ষণ পর পর কল দিয়ে গিয়েছে। সিরাত অবন্তীর নাম্বারে কল দিলো, ঘুমঘুম চোখে রিসিভ করলো অবন্তী।

তুমি রাতে কল রিসিভ করলে না কেন, খুব টেনশন হচ্ছিল, রাত চারটা পর্যন্ত আমি তোমাকে কল দিয়েছি। তারপর ঘুমিয়ে গেলাম, এখন তোমার কলের শব্দে ঘুম ভাঙছে। রাতে কল রিসিভ করো নি কেন?

ফোন সাইলেন্ট করা ছিল আমার সেদিকে খেয়াল ছিল না, টেনশন আম্মুকে খুঁজে পাই কিনা।

মামির মত কাউকে দেখতে পাওনি।

তেমন কাউকে খুঁজে পাইনি, শুধু এয়ারপোর্ট নয় এয়ারপোর্টের আশেপাশেও দেখেছি।

তুমি একটা কাজ করতে পারো, আজকে সেখানের আশেপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করবা মামির মত কাউকে কখনো দেখেছিল কিনা, মানে সেখানে অনেক দোকান আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো।

ঠিক আছে আজকে আমি মানুষজনকে জিজ্ঞেস করে দেখব, আসলে কি জানো এতটা বছরের একটা মানুষ অবহেলায় অনাদরে পড়ে থেকে বেঁচে আছে কিনা সেটাই তো আমার জানা নেই।

আগেই ভেঙে পড়ো না চেষ্টা করো আমার মন বলছে মামিকে তুমি খুজে পাবে।

এখানে যদি না পাই পাবনা মানসিক হসপিটালে যাব! গিয়ে দেখবো সেখানে আছে কিনা, আমি সহজে হাল ছাড়বো না।

তুমি খাবার ঠিকমতো খেয়েও, সুস্থ থাকতে হবে! না হলে মামিকে খুঁজবে কিভাবে। তুমি চলে যাবার পর কাল সকালে মামা সবাইকে ডেকে আবার সেই অতীতের কথা জিজ্ঞেস করেছে। মামির ঘর থেকে লোকটাকে বের হতে শুধু আব্বু দেখেছে, আর কেউ দেখেনি এটা শোনার পর মামাতো অনেকটা অনুতপ্ত। বলতেছে শুধু একজনের কথায় আমি আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলাম। তখন তো তোমরা সবাই বলেছিলে লোকটাকে বের হতে দেখেছো। মামা অনেক আপসেট প্রেসার হাই হয়ে গিয়েছিল, মেডিসিন খেয়ে একটু সুস্থ হয়েছে। আমি তার পাশে ছিলাম আমাকে বলল তোমাকে বুঝিয়ে বলতে, তুমি যেন তাকে ছেড়ে না যাও, তোমাকে ছাড়া সে বাঁচবে না।

অবন্তী তুমি কি তোমার মামার পক্ষ হয়ে এখন এগুলো বুঝাতে আসছো আমাকে? আমি যা বলেছি তাই করবো, সন্তান হারানোর কষ্ট তাকে বুঝাবো। আমার মাকে খুঁজে পাই বা না পাই তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।

তুমি আমাকে ভুল বুঝনা আমি মামার পক্ষ হয়ে কথা বলছি না, তুমি কেমন আছো সেটা জানার জন্য আমি সারারাত কল করেছি। নিজেকে ঠিক রেখে মামিকে খুঁজো।

ওকে তোমার সাথে পরে কথা হবে আমি এখন বের হবো খুঁজতে।

সিরাত ফোন রেখে সুফিয়া বেগমকে খুঁজতে বের হলো। সাত দিন ঢাকা শহরের সব জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজে সুফিয়া বেগমের কোন সন্ধান পেল না। সিরাত সিদ্ধান্ত নিল পাবনা মানসিক হসপিটালে যাবে। আমিরুল ইসলাম বারবার সিরাতকে ফোন করে যাচ্ছে বাসায় ফিরে আসতে! কিন্তু সিরাতের কথা আমি আমার মাকে খুঁজতে বের হয়েছি তাকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত বাসায় ফিরব না। আমিরুল ইসলাম বললেন তুমি বাসায় আসো তোমার সাথে আমি সুফিয়াকে খুঁজতে বের হবো, তুমি তোমার মাকে দেখলে নাও চিনতে পারো। এটা শোনার পর ভাবলো কথাটা সত্যি তার তো ভুল হতে পারে কিন্তু তার বাবা যদি সঙ্গে যায় অবশ্যই সে তার মাকে চিনবে। তাই যতই রাগ থাকুক বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গেলে ভালো হবে এটা ভেবে সে বাসায় ফিরে আসলো। বাসায় আসার পর সিরাত বাবার সাথে কোন কথা বলছেন না। আমিরুল ইসলাম নিজ থেকেই ছেলের সাথে কথা বলার জন্য আসলেন।

আমি জানি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছি এখন যদি আমাকে মেরে ফেলো তাহলে কি সে ভুল সংশোধন হবে। আমরা বাপ ছেলে মিলে তোমার মাকে খুঁজতে পারি! আমার সাথে অভিমান করে থেকো না, তুমি আমার সাথে কথা না বলে চুপ করে থাকলে আমার খুব কষ্ট হয়। বাবা তুমি আমাকে এভাবে কষ্ট দিও না, আমি তোমার কাছে লজ্জিত অনুতপ্ত বাবা।

এ কথাগুলো আমার সাথে বললে সে দিনগুলো ফিরে আসবে না, যে দিনগুলোতে আমার মা কষ্ট পেয়েছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে হয়তো আমাকে পাবার জন্য ঘুরেছে। এখন সে বেঁচে আছে কিনা কোথায় আছে, তার সাথে যে অন্যায় হয়েছে সে অন্যায়ের শাস্তি তোমরা কেন পাবে না। সে তো অন্যায় না করে অন্যায়ের শাস্তি পেয়েছে! নিরপরাধ হয়েও অপরাধের তকমা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। সবাই তাকে দেখে দুশ্চরিত্রা বলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। আর তোমরা সবাই তার সাথে অন্যায় করে শাস্তি পাবে না এটা কিভাবে ভাবো। তোমরা অবশ্যই শাস্তি পাবে, আর যে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে মূল হোতা তাকে শাস্তি পেতে হবে, কঠিনতম শাস্তি, তাকে আমি কিছুতেই ছাড়বো না। না তাদের, না তোমাকে কাউকে না।

সিরাত বাসায় এসেছে শুনে অবন্তী আসছে সিরাতের সাথে কথা বলতে। সিরাত এ কয়েকদিনে অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। অবন্তী তাকে বলল তোমাকে না বলেছি নিজের খেয়াল রাখতে, ঠিকমতো না খেয়ে শরীরের কি অবস্থা করেছো তুমি। যদি অসুস্থ হয়ে থাকো মামিকে কিভাবে খুঁজবে? মামিকে খোঁজার জন্য হলেও তোমাকে ঠিক মতন খেয়ে সুস্থ থাকতে হবে।

কি করবো বলো আমার সবসময় এক ভাবনায় মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে! আমি আমার মাকে দেখতে চাই তাকে স্পর্শ করতে চাই তাকে জড়িয়ে ধরতে চাই। মায়ের আদর পায়নি সে আদরটা আমি পেতে চাই! আমার মা দেখতে কেমন আমি দেখতে চাই। এগুলো ভাবতে ভাবতেই আমার খাবার খেতে ইচ্ছা করে না ক্ষুধা লাগে না, মায়ের তৃষ্ণা আমাকে পাগল করে দিয়েছে। আমি আমার মাকে চাই অবন্তী, আমার মাকে আমি চাই, কোথায় পাবো তাকে কোথায় গেলে তার সন্ধান পাব। আমি পাগল হয়ে যাব তাকে না খুঁজে পেলে, আমার মা আমার জন্য যেমন পাগল হয়েছিল আমিও তার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি।

শান্ত হও এরকম করো না, তোমার কষ্ট দেখে আমারও কষ্ট হচ্ছে।

অবন্তী সিরাতের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। সে জানে সব কিছু হয়েছে তার বাবার কারণে, তাই নিজেকে অপরাধী মনে হয় অবন্তীর।
অবন্তী খাবার নিয়ে এসে সিরাতকে খেতে বলছে, তুমি খাবারগুলো খাও আমি তোমার সামনে বসে আছি, সবগুলো খাবে, দেখেছো শুকিয়ে কি হয়েছো! অল্প খেয়ে সিরাত আর খেতে চাচ্ছিলো না, অনেক জোরাজুরি করে সবগুলো ভাত সিরাতকে খেতে বাধ্য করল অবন্তী।
এদিকে রফিক মিয়া খুব ভয়ে আছে, সিরাত যেভাবে তার মাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যদি তার মাকে খুঁজে পায়। সুফিয়া তখন সবাইকে বলবে তার সাথে রফিক মিয়া কি করতে চেয়েছিল। এবং আমিরুল ইসলাম ডিভোর্স দেওয়ার পর সে তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, এ কথাগুলো যদি পরিবারের সবাই জানতে পারে তাহলে সে এ বাসায় থাকবে কিভাবে। কেউ তাকে ক্ষমা করবে না, রফিক মিয়া ভিতরে ভিতরে খুব চিন্তা অনুভব করছে। আর চাইছে সিরাত যেন সুফিয়া বেগমকে খুঁজে না পায়।

পরের দিন আমিরুল ইসলাম এবং সিরাত পাবনার উদ্দেশ্য রওনা দিলো, বাবা ছেলের মধ্যে কোন কথা নেই। আমিরুল ইসলাম ছেলের সাথে কথা বলতে চাইলেও সিরাত তাকে ইগনোর করে চলছে। পাশাপাশি সিটে বসে থাকলেও সিরাত তার বাবার সাথে কথা বলছে না, এতে করে আমিরুল ইসলামের খুব অশান্তি লাগছে। সে কখনো ভাবতে পারেনি এত আদরের সন্তান তার সাথে এরূপ আচরণ করবে। এটাই হয়তো তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত, না হলে কেন এত ভালোবাসার সন্তান তাকে কষ্ট দিবে।

পাবনা হসপিটালে এসে ডাক্তারদের সাথে কথা বলে মহিলা পেশেন্টদের দেখার অনুমতি পেলেন। সিরাত আর তার বাবা সবগুলো পাগল মহিলাদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন কোথাও সুফিয়া বেগমের সন্ধান মিললো না। ছেলেকে বলল এখানে তোমার মা নেই তাকে আমি দেখলে চিনতে পারতাম। বাংলাদেশের ভেতর আরো অনেক বেসরকারি মানসিক হসপিটাল আছে আমরা সেখানেও তার খোঁজ করব, কোন হসপিটাল বাদ দেবো না, তুমি অধৈর্য হয়ো না তোমার মা যদি বেঁচে থাকে অবশ্যই আমরা তাকে পাবো। সিরাতের খুব কষ্ট হচ্ছে, ভাবছিল এখানে এসে হয়তো তার মাকে পাওয়া যাবে।

অনেক বেসরকারি হসপিটালে খোঁজা হলো সুফিয়া বেগমকে। সিরাত তার ফেসবুক আইডিতে তার মায়ের বর্ণনা দিয়ে পোস্ট আপলোড দিয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে এক ব্যক্তি ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে বলেছে তার বর্ণনা অনুযায়ী একজন মানসিক রোগীর তার নিরাময় কেন্দ্রে আছে। সিরাত ও আমিরুল ইসলাম সেখানে যাচ্ছে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here