তুমি শুধু আমার – পর্ব ২০

0
391

#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ২০

দৌড়াতে দৌড়াতে হঠ্যাৎ করেই বৃষ্টি মাথা টা ঘুরে যায়।
নীলা,কিরে বৃষ্টি কি হলো তোর। তুই কি ঠিক আছিস।খারাপ লাগছে না কি তাহলে চল হস্পিটালে নিয়ে যাই।

বৃষ্টি আরে না তেমন কিছুই না মনে হয় বেশি দৌড়ানোর কারনে এমন হয়েছে।আচ্ছা চল এইবার তারাতারি নিচে।বৃষ্টি নীলা দুইজনেই নিচে চলে যায়।

এলিনা;;কি রে এতো দেরি করে এলি?

বৃষ্টি;;কেনো দাদি কি হয়েছে??

এলিনা;;তুই নিজের রুমে যা মনে হয় মেঘ কিছু কাজের জন্য অফিস যাবে।

বৃষ্টি,আচ্ছা দাদি বলেই নিজের রুমে চলে যায়।রুমে ঢুকে দেখে যে মেঘ ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে কোর্ট পরছে।ও হিরো এতো সেজে গুজে কোথায় যাওয়ার হচ্ছে শুনি।

মেঘ;;অফিসে একটু আর্জেন্ট কাজ পরেছে জান তাই আকাশ কে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি।

বৃষ্টি মন টা খারাপ হয়ে যায়।তুমি চলে যাবে।আচ্ছা ঠিক তারাতারি চলে এসো।

মেঘ বৃষ্টি কে কাছে টেনে জরিয়ে ধরে বৃষ্টির কপালে চুমু একে দেয়।মন খারাপ করো না জান কাজ টা যদি জরুলি না হতো তাহলে যেতাম না। আচ্ছা শোন আমি তারাতারি আসার চেষ্টা করবো কেমন তোমরা তিনজন একটু সাবধানে দেখো।মেঘ বৃষ্টি দুইজনের রুম থেকে বের হয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আকাশ কে নিয়ে বের হয়ে যায় আর গার্ডদের কে ভালো করে পাহারা দিতে বলে যায়।

এলিনা, বৃষ্টি আর নীলা তিনজন মিলে বিকেল দিকে বাগানে বসে কথা বলছিল।সেই সময় বৃষ্টির শরীর টা প্রচুর খারাপ লাগতে শুরু করে।এতো টাই খারাপ হতে লাগলো যে বৃষ্টি তার এক হাত মুখে রেখে তারাতারি করে বাসার ভিতরে ঢুকে ওয়াশরুমে চলে যায়,নীলা এলিনাও বৃষ্টির সাথে সাথে বাসার ভিতরে ঢুকে যায়।

এলিনা;;বৃষ্টি কি হয়েছে তোর,এইভাবে দৌড়ে চলে এলে যে।শরীর টা কি বেশি খারাপ লাগছে তাহলে চল হস্পিটালে।

নীলা,হুম বৃষ্টি দাদি ঠিক বলেছে চল তো হস্পিটালে??

বৃষ্টি আরে দাদি তেমন কিছুই না মনে হয় ফু,,আর কিছুই বলতে পারলো না সাথে সাথে বৃষ্টি গলগল করে বমি করে দেয়।

এলিনা;;নীলা বৃষ্টিকে আর এইবাবে রাখা যাবে না মেঘ যদি জানতে পারে তাহলে প্রচুর রেগে যাবে।

নীলা;;হুম দাদি ঠিক বলেছো।এই বৃষ্টি চলতো তুই তারাতারি।

তিন জনকে বাসা থেকে বের হতেই একজন গার্ড এলিনার সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে বলে??কোথায় যাচ্ছেন ম্যাম?মেঘ স্যার আপনাদের বাসা থেকে বের হতে বারন করেছে??

এলিনা;;হুম জানি কিন্তুু বৃষ্টির শরীর টা বেশি ভালো না তাই হস্পিটালে নিয়ে যাচ্ছি। তুমি একটা কাজ করো গাড়ি বের করো আর আমাদের কে হস্পিটালে নিয়ে চলো।

গার্ড;;ওকে ম্যাম?

এলিনা বৃষ্টি নীলা তিনজন গিয়ে গাড়িতে বসেই সোজা হস্পিটালে চলে আসে।গাড়ি থেকে তিনজন নেমেই সোজা ডক্টরের কেবিনে চলে যায়।সব কিছু বলার পর সেখানের ডক্টর কিছু টেস্ট দিলে বৃষ্টি সব টেস্ট গুলা করে নেয়।সব টেস্ট করে বৃষ্টি আবার ডক্টরের কেবিনে চলে আসে।

এলিনা;;কি হয়েছে ডক্টর। কোন খারাপ কিছু?

ডক্টর;;না না তেমন কিছুই না রির্পোট হাতে আসলে আমরা বলতে পারবো আর রির্পোট টা আসতে একদিন সময় লাগবে।

নীলা,দাদি যদি জিজু জানতে পারে যে উনাকে না বলে আমরা বৃষ্টিকে নিয়ে হস্পিটালে এসেছি তাহলে জিজু অনেক হাইপার হয়ে যাবে।আরে তেমন কিছু সিরিয়াল ম্যাটারও না।তাই বৃষ্টি সবাইকে মেঘ কে এইকথা বলতে বারন করে দেয়।তবে বৃষ্টি উপর থেকে খুশি থাকলেও ভিতর দিক থেকে মন টা তার ভার ভার,মনে হচ্ছে কিছু নিয়ে চিন্তিত।

রাতে আকাশ আর মেঘ বাসায় আসে।হলরুমে ঢুকেই দেখে নীলা আর এলিনা বসে কথা বলছে।
মেঘ,দাদি বৃষ্টি কোথায়?তোমরা এইখানে বসে আছো?
নীলা,জিজু বৃষ্টি তো নিজের রুমে?

মেঘ,ও আচ্ছা,আর কিছু না বলে মেঘ উপরে চলে যায়।রুমে গিয়ে দেখে যে বৃষ্টি চুপচাপ বিছানার উপর বসে আছে।বৃষ্টি একবার মেঘের দিকে তাকিয়ে আবার আগের মতো চুপ করে বসে থাকে।কোর্ট টা নিজের উপর থেকে খুলে ফেলে।শার্টের হাতা গুটাচ্ছে আর সরু দৃষ্টিতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

মেঘ;;জানপাখি!কি হয়েছে তোমার??

বৃষ্টি;;___

মেঘ;;জানপাখি!আমি কিছু বলছি তোমায়?কথা বলছো না কেনো?

বৃষ্টি;;হুমমমম শুনছি তো,

মেঘ;;নিচে হলরুমে সবাই বসে কথা বলছে আর তুমি উপরে রুমে বসে একা একা কি করছো বলতো? কি হয়েছে তোমার?

বৃষ্টি;;তেমন কিছুই না,নিচে ভালো লাগছিলো না তাই উপরে এসে বসে আছি।

মেঘ বৃষ্টির এতো টা চুপ থাকা টা যেনো মেনে নিতে পারলো না।তুমি ফ্রেশ হয়ে নেও আমি ডিনারনের ব্যবস্থা করেছি,বৃষ্টি চলে যেতে ধরলেই মেঘ বৃষ্টির বাহু ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে নেয় তারপর মেঘ বৃষ্টিকে বিছানার উপর বসিয়ে দেয়।মেঘ বৃষ্টির সামনে এক হাটু ভাজ করে বসে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সামান্য একটু উচু হয়ে বৃষ্টির কপালে ঠোটঁ আলতো করে চুমু খেয়ে আবার বসে।

মেঘ;;কি হয়েছে জানপাখি।অনেক টাই নরম সুরে বলে উঠে!

বৃষ্টি;;কই কিছুই তো হয়নি?

মেঘ;;আমাকে বলবে না কি হয়েছে তোমার?এতো চুপচাপ থাকার মতো মেয়ে তো তুমি নও।

বৃষ্টি;;মেঘ আমি যা বলবো তা কি তুমি শুনবে?

মেঘ;;হুম শুনবো!বলো কি বলবে?

বৃষ্টি;;তুমি এইসব ছেড়ে দেও।এইসব খুন-খারাবি,মারপিট সব ছেড়ে চলো না আমরা শান্তি পূরর্ন ভাবে সংসার করি।সেইখানে কোন ভয় থাকবেনা শুধু থাকবে ভালোবাসা।

মেঘ;;বৃষ্টি কি হয়েছে তোমার বৃ,,,,,

বৃষ্টি মেঘের কথা শুনে মেঘের সামনে থেকে সরে আসে।তার মানে তুমি এইসব ছাড়তে পারবে না??

মেঘ;;বৃষ্টিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে।বৃষ্টির গালে নিজের দু হাত রেখে বলে,বৃষ্টি তুমি কি আমাকে ভয় পাও।বৃষ্টি কোনো কথা বলে না মাথা নিচু করে রাখে।

কি হলো বৃষ্টি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো তুমি কি আমাকে ভয় পাও??

মেঘ;;কি হলো বলো তুমি কি আমাকে ভয় পাও??

বৃষ্টি মেঘের চোখে চোখ রেখে বলে না আমি তোমাকে ভয় পাই না।

মেঘ;;আমাকে তুমি বিশ্বাস করো তো বৃষ্টি।আমার উপর বিশ্বাস আছে তোমার?

বৃষ্টি;;হুম অনেক টাই বিশ্বাস আছে তোমার প্রতি।নিজের থেকেও বেশি আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।

মেঘ;;তাহলে তো তুমি এইটাও জানো যে আমি বিনা কারনে কাউকে মারি না।

বৃষ্টি;;জানি?কিন্তুু মেরে ফেলার কি আছে।বুঝিয়ে বললেই তো সব মিটমাট হয়ে যায়।শুধু শুধু শক্রূতা বারিয়ে কি লাভ।তুমি জানো না মেঘ আমি প্রতিটা দিন ভয়ে ভয়ে থাকি এই ভেবে যে তোমাকে যদি হারিয়ে ফেলি।

মেঘ;;বৃষ্টি আমার কথা শোন,আমি যেমন তোমাকে ভালোবাসি এইটা সত্যি, ঠিক তেমনি আমি আমার প্রফেশন কেও ভালোবাসি।এন্ড ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন মিসেসঃবৃষ্টি মেঘ আহমেদ আমার প্রফেশন খুন করা না।আর সহজে আমি কাউকে মারি না। না আমি তোমাকে ছাড়াতে পারবো আর না এই প্রফেশন কে এই বলেই মেঘ বৃষ্টিকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।মেঘ এতোক্ষন খেয়াল করে নি যে বৃষ্টি শরীর প্রচুর গরম।বৃষ্টির কপালে হাত রেখে কপাল কুচকে বলে,,,

মেঘ;;বৃষ্টি তোমার কি জ্বর এসেছে?

বৃষ্টি;;কই না তো?আমার জ্বর আসবে কেনো?

মেঘ;;তাহলে বডির টেম্প্রেচার এতো বেশি কেনো? তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে?

বৃষ্টি;;হুম কিছুটা,,

মেঘ;;আচ্ছা তুমি,,,তুমি এইখানে বস আমি তোমাকে ঔষুধ দিচ্ছি।

বৃষ্টি,বিছানায় বসতে যাবে তখনি বৃষ্টির মাথা টা কেমন যেনো ঘুরিয়ে উঠলো মেঘ সাথে সাথে বৃষ্টিকে ধরে ফেলে তারপর আস্তে করে বিছায় শুয়ে দেয়। তুমি আরাম করো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।মেঘ ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে চলে যায় হাতে করে খাবার এনে বৃষ্টির সামনে বসে।নিজে খায় আর বৃষ্টিকেও খাইয়ে দেয়।মেঘ বৃষ্টিকে নিজের বুকে মাঝে রেখে সারাটা রাত ঘুমন্ত বৃষ্টির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।




আর এই দিকে নীলা ছাদে গিয়ে একা একা আকাশের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলা মনে করে মু্চকি মুচকি হাসছে।আর ওই দিকেও আকাশের কিছুই ভালো লাগছে না দেখে রুম থেকে বের হয়ে ছাদে চলে যায়।ছাদে গিয়ে দেখে নীলা ছাদের এক কোনায় দাড়িয়ে আছে।ছাদে তীব্র বাতাস নীলা চুল গুলা বাতাসে উড়ছে।আকাশ আস্তে করে নীলার পিছনে গিয়ে দাড়ায়।হঠ্যাৎ নীলার মনে হলো যে কেউ তার পিছনে দাড়িয়ে আছে। নীলা আর এক মিনিটও দেরি না করে সামনে ঘুরে তাকাতেই আকাশ কে দেখে।নীলা আকাশের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।

আকাশ;;এতো রাতে তুমি ছাদে কেনো?

নীলা;;ভালো লাগছে না।কিন্তুু আপনি এইসময় ছাদে কেনো??

আকাশ;;ঘুম আসছে না তাই?সেই সময় আকাশের ফোনে একটা কল আছে।নীলা কিছুটা কপাল কুচকে বলে,,,

নীলা;;এতো রাতে কে ফোন করেছে?

আকাশ;;আমার গার্লফেন্ড বলেই মুচকি হেসে ফোন টা ধরে একটু দুরে গিয়ে হেসে হেসে কথা বলে।তা দেখে নীলার মন টা খারাপ হয়ে যায়।হ্যা এইটা সত্যি যে নীলা আকাশ কে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেছে কিন্তুু সাহস করে বলতে পারে নি।এতো ঝগড়ার মাঝে কখন যে নীলা আকাশে ভালোবেসে ফেলেছে তা সে নিজেও জানে না।আকাশ ফোন রেখে নীলার কাছে আসে বলে,,,

আকাশ;;নীলা তোমাকে আমার কিছু বলার আছে?
আকাশ কিছু বলার আগেই নীলা তার চোখ বন্ধ করে জোরে নিশ্বাস নেয়।

নীলা;;দেখুন আকাশ আমি যানি না আপনার মনে কি আছে বা আপনি আসলে কি চান?কি এক্সেপেক্ট করেন।আমি এইটাও জানি যে আপনি আর আমি এক সাথে থাকলে শুধুই ঝগড়াই করি।কিন্তুু আপনি জানেন এই ঝগড়া গুলো যে আমার বড্ড ভালো লাগে।জানি না কিভাবে এইসব কিছু ভালো লাগতে শুরু করলো,,ভালো লাগতে শুরু করলো আপনাকে, আপনার নাম কে,আপনার করা সব কাজকে।আকাশ আমি চাইনি এইভাবে আপনাকে বলতে কিন্তুু আমি আর পারছি না।আকাশ আমি আপনাকে ভা,,,,

আকাশ;;তোমাকে ভালোবাসি নীলা।প্রথম দেখাতেই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি?আকাশের মুখে এমন কথা শুনে নীলা তারাতারি করে চোখ মেলে তাকায়।

নীলা;;কিন্তুু আপনি তো এতটু আগে একটা মেয়ের সাথে কথা বললেন।

আকাশ;;ওইটা মেয়ে ছিলো না,,,ফোনে রনি ছিলো?আচ্ছা তুমি কি ভেবে ছিলে।

নীলা;; আমি তো ভেবে ছিলাম আপনি অন্যকাউকে ভালোবাসেন?

আকাশ;;হ্যাঁ ভালোবাসি তো?

নীলা;;কিইইইই,আপনি তাহলে সত্যি অন্য কাউকে ভালোবাসেন আর এতোক্ষন যা বলেছেন সব মিথ্যে ছিলো। নীলার কান্না মাখা চেহারা দেখে আকাশ ফিক করে হেসে দেয়।তবে এক দিক থেকে ভালো হলো তোমাকে জ্যালাস ফিল করাতে পেরেছি।

আকাশ নীলার দিকে দুই হাত মেলে দাড়াতেই নীলা দৌড়ে এসে আকাশ কে জড়িয়ে ধরে।

আকাশ;;ভালোবাসি নীলা খুব ভালেবাসি

নীলা;;আমিও আপনাকে ভিষন ভালোবাসি আকাশ,,

এইভাবে যে তারা দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে কতোক্ষন ছিলো জানা নেই।



বৃষ্টির হঠ্যাৎ করে ঘুম ভেঙে যাওয়াতে আর ঘুম আসছিলো না তাই মেঘ কে বলে তারা দুইজন ছাদে চলে আসে আর ছাদে এসে দুইজনের চোখে পরে আকাশ আর নীলা কে?মেঘ আর বৃষ্টি দুজনেই নীলার পিছনে গিয়ে দাড়ায় আর জোরে একটা গলা খাকাড়ির আওয়াজ দেয়।

নীলা;;আকাশ,,

আকাশ;;হুম বলো,,

নীলা;;আপনার কি গলায় সমস্যা হয়ছে?

আকাশ;;না তো,, কেনো কি হয়েছে?

নীলা;;কেমন যেনো মেয়ে মেয়ে কন্ঠ?

বৃষ্টি;;ওরেএএএএএএ আমার রোমিও জুলিয়েট এইবার দুইজন দুইজনকে ছেড়ে দেও।আর কতো অপেক্ষন এইভাবে জড়িয়ে ধরবে।বিনা টিকেটে তো আমরা দুইজন রোমান্টিক মুভির সিন দেখলাম।আহারে কি ভালোবাসা😁

নীলা;;চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে যে তাদের সামনে বৃষ্টি আর মেঘ দাড়িয়ে আছে।
আ,,আ,,আকাশ,এই আকাশ ছাড়ো বলছি?

আকাশ;;কেনো ছাড়বো নীলা,আর তুমি একটু ও নড়াচড়া করবে না।

নীলা;;আরে পাগল নড়াচড়া কি সাধে করছি পিছনে ঘুরে দেখো কারা এসেছে?
আকাশ নীলা কে ছেড়ে আরে কে এসেছে যে,,,,

আকাশ;;বউমনি তুমি এইসময় এইখানে?

বৃষ্টি,হ্যাঁ ভাইয়া, ঘরে ভালো লাগছিলো না তাই,,,আর কিছু বলার আগেই বৃষ্টি কপাল কুচকে ফেলে মুখে হাত দিয়ে দৌড়ে ছাদ থেকে তারাতারি করে নিচে যেতে থাকে আর তার সাথে সাথে নীলা ও দৌড় দেয় আর এইদিকে আকাশ মেঘ তারা কিছুই বুঝতে না পেরে সোজা বৃষ্টির পিছে ভৌ দৌড় দেয়।

#চলবে~~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here