তুমি শুধু আমার – পর্ব ২৪

0
378

#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ২৪

সবার হাসি খুশিতে দেখতে দেখতেই কেটে যায় পাঁচ-পাঁচটে মাস।এই পাচঁটে মাসে পাল্টে গেছে অনেক কিছুই।আগের থেকে বৃষ্টির পেটে বের হয়ে গেছে।আগের বৃষ্টি আর এখন কার বৃষ্টির মধ্যে অনেক টাই পরির্বতন হয়েছে।কিন্তু তাতেও যে বৃষ্টি সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে দ্বিগুন।মাতৃতের সৌন্দর্য।সবাই যেনো বৃষ্টির আশেপাশেই থাকে।মেঘ বাসায় থাকে অতি গুরুত্ব পূর্ণ কাজ না পরলে অফিসে যাওয়া তো বহুত দূর বাহিরে অব্দি যায় না।বাড়ির সবার এখন কাজ হলো বৃষ্টিকে সময় দেয়া।মেঘতো বৃষ্টি কে নিজের পূর্ণ সময় টা দেয়।সকাল বিকেল দুই বেলা বৃষ্টি কে নিয়ে হাটতে বের হওয়া।বৃষ্টির সময় মতো খাওয়া দাওয়া আর তাকে সব সময় হাসি খুশিতে রাখা।বাড়ির সবাই যেনো বৃষ্টি কে মাথায় করে রাখে।বৃষ্টি যেনো সবার চোখের মনি।বৃষ্টি সবার এতো ভালোবাসা দেখে নিজে নিজেই ভাবে যে জীবনে হয়তো কোন একটা কাজ ভালো করেছে তাইতো আজ এমন একটা পরিবার জুটেছে তার কপালে।মেঘের মতো একজন হাসবেন্ড যে কিনা এতো ভালোবাস তে যানে। তার জন্য পাগলামী করতে পারে তার জন্য নিজের জীবটাও দিতে পিছ পা হবে না এইসব ভেবেই বৃষ্টি অনমনে হেসে দেয়।সার্ভেন্টদের বলে মেঘ বৃষ্টির রুম নিচে শিফট করেছে।এখন যেই অবস্থা বৃষ্টি এই সিচুয়েশনে সিড়ি বেয়ে একবার উপরে আর একবার নিচে নামতে পারবে না।বৃষ্টির না কি রুমে বসে থাকলে তার দম আটকে আসে।সবাই নিচে হলরুমে বসে কথা বলছে।

এখন রাতে বেলা।বৃষ্টির জন্য নীলা খাবার এনে দিলে মেঘ নিজ হাতে খাইয়ে দিতে থাকে।বৃষ্টি মেঘের হাতে খাচ্ছে আর বকবক করছে।খাওয়া শেষ হলে বৃষ্টিকে রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয় আর মেঘ হাতে ফোন টা নিয়ে একটু ছাদে চলে যায়।এইদিকে একটু সামেলা হয়েছে তাই মেঘ রনি কে সব বুঝিয়ে দিয়ে ছাদ থেকে সোজা কিচেনে চলে যায়।কিচেনে গিয়ে নিজ হাতে স্যুপ বানিয়ে তার মধ্যে ঔষুধ দিয়ে নিজের রুমে নিয়ে যায়।রুমে গিয়ে দেখে নীলা বৃষ্টির জন্য আচার নিয়ে এসেছে আর তা মহারানী বেশ আরাম করে আচার খাচ্ছে।

মেঘ;;বৃষ্টি!বৃষ্টি

বৃষ্টি;;হুম হুম

মেঘ;;বৃষ্টি!বৃষ্টি আমি কিছু বলছি তোমায়।

বৃষ্টি;;হুম হুম শুনছি তো।বলো কি হয়েছে?

-নীলা আচ্ছা আমি এখন যাই।বৃষ্টি আমি পরে আসবো কেমন।

নীলা চলে গেলে মেঘ সামনে গিয়ে স্যুপ টা পাশের টেবিলে রেখে বৃষ্টির পাশে গিয়ে বসে।

মেঘ;;এখন কি তোমার আচার খাওয়ার সময়।

বৃষ্টি;;হুম হুম!

মেঘ;;আরে কি হুম হুম করছো।বোবা না কি কথা বলতে পারো না?

বৃষ্টি;;এই তুমি কি বললে আমি বোবা। যে কথা বলতে পারে তাকে বিয়ে করো কেমন?

মেঘ;;যা বাবা এতো দেখি অল্পতেই রেগে যায়।আচ্ছা এইসব বাদ দেও চলো এইবার স্যুপ টা খেয়ে নেও।

বৃষ্টি;;না আমি এইখানে বসে খাবো না?

মেঘ;;তাহলে কোথায় বসে খাবে।

বৃষ্টি বারান্দার দিকে ইশারা করে।মেঘ কিছুটা কপাল কুচকে বৃষ্টি ইশারা অনুশরন করে সেই দিকে তাকায়।আমি বারান্দায় গিয়ে দোলনায় বসে তারপর আরাম করে স্যুপ খাবো।আমাকে নিয়ে চলো।আচ্ছা ঠিক আছে মেঘ সার্টের হাতা গুজাতে গুছাতে করিডড়ের বড় থাইগ্লাস টা খুলে দিয়ে বৃষ্টির কাছে এসে আস্তে করে নামিয়ে বারান্দার সামনে নিয়ে ছোট্ট দোলনাটায় বসিয়ে দেয়।বৃষ্টির পিঠের পিছনে একটা বালিশ দিয়ে দেয় যাতে করে সে আরামে বসতে পাবে।মেঘ তারাতারি করে স্যুপ টা এনে বৃষ্টির সামনে বসে।চারিদিকে বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে ভরা।ফুলের মিষ্টি মিষ্টি ঘ্রান যেনো পুরো বারান্দায় ভরে গেছে।আকাশের চাদঁ টা যেন নিজের আলো দিয়ে চারপাশে আলোকিত করেছে।বৃষ্টি সব কিছু দোলনায় বসে উপভোগ করছে আর মেঘের হাতে স্যুপ খাচ্ছে।স্যুপ খাওয়া শেষ হলে বৃষ্টি একটা ঢেকুর ছাড়ে।

মেঘ;;এইটা কি ছিলো🙂

বৃষ্টি;;কেনো ঢেকুর ছিলো😁

মেঘ রুমে গিয়ে হাতে করে টিস্যু এনে বৃষ্টির মুখ মুছিয়ে দিয়ে স্যুপের বাটি টা নিয়ে কিচেনে নিয়ে যায়।মেঘ কিচেন থেকে বের হয়ে আকাশ কে হলরুমে বসে থাকতে দেখে।মেঘ কপাল কুচকে দ্রুত পায়ে আকাশের পাশে গিয়ে বসে।

মেঘ;;কিরে এইভাবে এইখানে কেনো বসে আছিস?সব ঠিক আছে তো।

আকাশ;;মেঘ রনি তোকে কিছু বলেছে?

মেঘ;;কই না তো।রনি আমাকে কিছুই বলে নি?কেনো কি হয়েছে।

আকাশ;;তোর মনে আছে তুই আর আমি দুইজন মিলে সেইদিন বাসা থেকে বের হওয়া সময় তুই বলেছি না যে কেউ আমাদের ফলো করছে।

মেঘ;;হুম বলেছি।কিন্তুু কি হয়েছে বলবি তো।

আকাশ;;সেইদিন আমাদের দুইজন কে ফলো করেছে কে তুই জানিস।

মেঘ;;আরে আমি কি করে জানবো?আচ্ছা তুই বল কে আমাদের ফলো করেছিলো।

আকাশ;;টিনা!

মেঘ;;কি?তুই কি পাগল হলি না কি!টিনা কেনো আমাদের ফলো করবে।

আকাশ;;হ্যাঁ মেঘ আমি সত্যি বলছি। সেইদিন টিনাই আমাদের গাড়ি ফলো করেছে তাও আবার শফিকের সাথে হাত মিলিয়ে।

মেঘ;;তোর কি মাথা ঠিক আছে কি সব আবোল তাবোল বলছিস।টিনা কেনো শফিকের সাথে হাত মিলাবে।

আকাশ;;বউমনি কে তোর জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য।

মেঘ যেনো আকাশের মুখে বৃষ্টির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।আকাশ মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখে যে সে তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

আকাশ;;কিরে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো? কিছু তো বল?

মেঘ;;তুই এইসব কি ভাবে জানলি।আর টিনাই যদি বৃষ্টির ক্ষতি করতে চাইবে তাহলে টিনাই বা কোথায়?

আকাশ;;টিনার আর নেই।শফিক তাকে মেরে ফেলেছে।

মেঘ যেনো আরও অবাক হয়ে যায়।মানে কি টিনা মারা গেছে।আর তুই এইসব কি ভাবে জানলি।
—আকাশ, আমি রনি কে দিয়ে শফিকের গার্ডের উপর নজর রাখতে বলে ছিলাম।আর আমাদের গার্ড রা শফিকের দলের একজন গার্ড কে ধরে আনে। আর তার মুখেই এইসব জানতে পারি।

মেঘ;;আমাকে কেনো বলিস নি।আর রনি ও তো আমাকে কিছুই বলে নি।

আকাশ;;আমি বারন করেছি যাতে তোকে কিছু না বলে।

মেঘ;;কেনো??

আকাশ;;দেখ মেঘ এখনো কিন্তুু আমাদের উপর থেকে বিপদ যাইনি।আমাদের কে অনেক সাবধানে থাকতে হবে।আর এখন তো বউমনির উপর আর বেশি করে নজর রাখতে হবে।কারন শফিক জানে তোর দূর্বল জায়গাটা হলো বউমনি তাই আমাদের আরও গার্ড বারিয়ে দিতে হবে।আচ্ছা শোন তুই চিন্তা করিস না আমি আর রনি তো আছি আমরা দুইজন মিলে এইদিক টা সামলে নিবো আর তুই আমার বউমনির ভালো করে খেয়াল রাখবি।চল এখন অনেক টাই দেরি হয়ে গেছে বলেই দুই জনে যার যার রুমে চলে যায়।

মেঘ তার রুমে গিয়ে দেখে বৃষ্টি দোলনাতে ঘুমিয়ে পরেছে।মেঘ মুচকি হেসে বৃষ্টিকে পাজাকোলে তুলে বিছানায় শুয়ে দেয়।মেঘ তার ঘুমন্তপরীর কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে।কিছু হবে না তোমার।আমি থাকতে কেউ তোমার কে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।সারাটা রাত যেনো মেঘ নিজের দুইচোখের পাতা এক করেনি তার ঘুমন্তপরীর মুখ দেখে রাত টা পার করে দিয়েছে।ভোরের দিকে মেঘ বৃষ্টির ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আসতে করে চোখ বন্ধ করে ফেলে।হঠ্যৎ করে বৃষ্টি নড়েচড়ে উঠে।বৃষ্টি চোখ খুলে দেখে মেঘ তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।বৃষ্টি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ভোর হয়ে গেছে।এইবার যেনো বৃষ্টি ডাকাডাকি শুরু হয়ে গেলো।

বৃষ্টি;;মেঘ!এই মেঘ!আমার কথা শুনতে পারচ্ছো?

মেঘ;;হুমমম জানপাখি কি হয়েছে?

বৃষ্টি;;এইই মেঘ!আমি না ওয়াশরুমে যাবো?

মেঘ দ্রুত উঠে বৃষ্টির পাশে গিয়ে দাড়ায়।তারপর বৃষ্টিকে ধরে আস্তে করে বিছানা থেকে নামিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়।বৃষ্টি আর একমিনিট যদি বিছানায় বসে থাকতো তাহলে সেইখানেই বমি করে দিতো।বৃষ্টি ওয়াশরুমে গিয়ে দাড়াতেই গরগরিয়ে বমি করে দেয়।মেঘ তা দেখা মাএই অস্থির হয়ে যায়।বৃষ্টির চোখ মুখে পানি দিয়ে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে মেঘ বৃষ্টিকে নিয়ে বের হয়ে আসে।তুমি এইখানে বসো।

মেঘ;;তোমার কি খারাপ লাগছে।ডক্টরের কাছে যাবে।

বৃষ্টি;;না তেমন কিছুই না।ডক্টরের কাছে যেতে হবে না।আমি বাহিরে যাবো।নিয়ে যাবে আমাকে।

মেঘ;;আচ্ছা চলো!বাহিরে গেলে হয়তো তোমার একটু ভালো লাগবে।মেঘ বৃষ্টির উপর একটা চাদড় মুড়িয়ে দেয় যাতে সকালের ঠান্ডা বাতাস বৃষ্টির শরীরে তেমন একটা না লাগে।মেঘ বৃষ্টির কোমড় ধরে আস্তে আস্তে হাটছে।সকালে বাগানে হেটতে পেরে যেনো বৃষ্টির খুব ভালো লাগছে।খুব সুন্দর একটা পরিবেশ, চারপাশে গাছ পালা তারপাশে বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে বাগান টা ভরা।মেঘ বৃষ্টির কে বাগানের দোলনায় বসিয়ে দিয়ে সার্ভেন্ট কে বলে ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসতে।সার্ভেন্ট সাথে সাথেই জুস, ফল,ভারি খাবার নিয়ে এসে মেঘের সামনে রাখে।

বৃষ্টি;;এতো খাবার দেখে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে।

মেঘ;;এইভাবে তাকিয়ে না থেকে তারাতারি খাবার গুলা খেয়ে নেও আজকে তোমাকে নিয়ে হস্পিটালে যেতে হবে আমি ডক্টর কে ফোন করে সব বলেছি।এখন তুমি তারাতারি করে খাবার গুলো খেয়ে রেডি হবে।

—-বৃষ্টি মেঘের কথা মতো সব খাবার খেয়ে সভার করে।দুইজনেই রেডি হয়ে হলরুমে চলে আসে।

এলিনা;;মেঘ কোথায় যাচ্ছিস বৃষ্টি কে নিয়ে।

মেঘ;;দাদি আজকে বৃষ্টির চেকাপ ছিলো তাই ডক্টরের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।

এলিনা;;ওওও আচ্ছা।সাবধানে যেও কেমন?

বৃষ্টি;;হ্যাঁ দাদি তোমরা সবাই সাবধানে থেকো।দাদির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেঘ বৃষ্টির কে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নিজে গাড়ির ভিতর বসে সাথে কিছু গার্ড নিয়ে হস্পিটালে উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
হস্পিটালে পৌছে মেঘ গাড়ি থেকে নেমেই বৃষ্টি কে নামিয়ে সোজা ডক্টরের কেবিনে চলে যায়।

ডক্টর;;আসুন মেঘ স্যার আপনাদের জন্যই অপেক্ষা করতেছি।

মেঘ;;আমি তো আপনাকে ফোন করে সব বলেই দিয়েছি।

ডক্টর;;জ্বি,কিন্তুু ভয় পাওয়ার কিছুই নেই?এই সময়ে এইভাবে হঠাৎ করে শরীর খারাপ করবেই।আপনি এইখানেই বসুন আমি ম্যামের চেকাপ করাবো।ডক্টর বৃষ্টিকে সাথে করে নিয়ে যায়।সব কিছু চেকাপ করে বৃষ্টিকে মেঘের পাশে বসিয়ে দেয়।

বৃষ্টি অনেক টাই শক্ত করে মেঘের হাত ধরে রাখে।মেঘ শুধু ইশারা দিয়ে তাকে শান্ত হতে বলে।

মেঘ;;কেনো সমস্যা হয়েছে ডক্টর?

ডক্টর;;না মেঘ স্যার, কোন সমস্যা হয়নি।ম্যাম আর বেবি দুইজনেই সুস্থ আছে।কিন্তুু সামনে অনেক টাই ম্যামের শরীর আরও ভারি হয়ে যাবে।তখন কিন্তুু আরও কেয়ার ফুল থাকতে হবে।

বৃষ্টি;;সে আর বলছে হবে না ডক্টর দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা আমার পাশেই বসে থাকে।সময় মতো খাওয়া দাওয়া সব কিছুর কেয়ার করে।

ডক্টর বৃষ্টি কথায় হেসে বলে বলে ম্যাম আপনি অনেক লাকী যে মেঘ স্যারের মতো এইরকম একজন কেয়ারফুল হাসবেন্ড পেয়েছেন।আর কিছুক্ষন তারা ডক্টের সাথে কথা বলে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।

মেঘ বৃষ্টিকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে গাড়ির ভিতরে বসে বৃষ্টির কপালে চুমু দিয়ে বলে।

মেঘ;;আমি কি সত্যি সত্যি এতো খুশির ভাগিদার।আমার কাছে সব যেনো স্বপ্নের মতো লাগছে।

বৃষ্টি মেঘের দিকে তাকিয়ে।তুমি হয়তো মাফিয়া জগৎতে ভালো কোন কাজ করেছো তাই হয়তো আল্লাহ খুশি হয়েছে।তাই তো আমি মাতৃতের সাধ গ্রহন করতে পেরেছি।
—মেঘ,আচ্ছা বৃষ্টি আমাদের বেবি আসলে কি আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা কমে যাবে।
বৃষ্টি মেঘের দুগালে হাত রেখে।মেঘ তুমি আমার সব তুমি আমার দুনিয়া।বৃষ্টি কখনই মেঘ কে ছাড়া নিশ্বাস নিতে পারবে না।আর তুমি বলছো বেবি আসলে তোমার প্রতি ভালোবাসা কমে যাবে।মেঘের জন্য এই বৃষ্টির ভালোবাসা কখনই কমবে না বুঝলে আমার মাফিয়া হাসবেন্ড বলেই দুইজনেই হেসে দেয়।তো চলো এখন যাওয়া যাক
-বৃষ্টি হুম চলো??মেঘ গাড়ি চালিয়ে হস্পিটালে থেকে চলে যায়।
তাদের যাওয়ার সাথে সাথেই কেউ আড়াল থেকে বের হলো ফোন করে
ওপাশ থেকে হুম বলো!!
স্যার, মেঘ আজকে বৃষ্টিকে সাথে করে হস্পিটালে নিয়ে এসেছে।আজকে সুযোগ টা হাত ছাড়া হয়ে গেলো।এক মূহতের জন্য মেঘ বৃষ্টির কাছ থেকে আলাদা হয় নি।

—-সব কিছু শুনে ওপাশ থেকে কল টা কেটে দিয়ে রাগে চিৎকার করে সামনে থাকা আয়না টায় ফুলদানি ছুড়ে মারে সাথে সাথে আয়নার গ্লাস গুলা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
-সেই লোক আর কেউ না শফিক ছিলো।বৃষ্টিকে হস্পিটাল থেকে উঠিয়ে আনার জন্যই শফিক লোক গুলো কে পাঠিয়েছে।

#চলবে,,,,,

(না জানি শফিকের কপালে কি আছে🥶।আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট করে যানাবেন।খুব তারাতারি গল্পটা শেষ করে দিবো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here