ত্যাগের সংসার – পর্ব ৩৮-৪২

0
270

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 38+42
!
তা ঠিক বলেছিস ভাই হা হা হা,
!
পরেরদিন ইয়াদ মাকে নিয়ে মর্নিং ওয়ার্কে বেড় হয়,
!
কিছুক্ষণ মা কে নিয়ে হাটাহাটি করার পর একটা আর্জেন্ট কল আসে তার,
!
তখন ও মা কে ছেড়ে যেতে না চাইলে ও বেগম সাহেবা ছেলেকে জোর করে পাঠিয়ে দেয়,
!
কারন বাসা থেকে পার্কের দূরত্ব মাএ পাঁচ মিনিটের,
!
ছেলে কে কাজে পাঠিয়ে কিছুক্ষণ ধরে হাটাহাটি করার পরে বেগম সাহেবার শরীর টা খারাপ করে মাথা ঘুরে পরে যেতে শুরু করে,
!
তখনি কেউ এসে তাকে ধরে সাবধানে পার্কের বেঞ্চে বসিয়ে পানির বোতল এগিয়ে দেয়,
!
বোতল থেকে পানি খেয়ে সামনে তাকিয়ে খান সাহেব কে দেখে,
!
তার মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায়,
!
তখন সে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই খান সাহেব তাকে ধরে বসিয়ে দিয়ে বলে,
!
অনেকদিন পর তোমাকে দেখে কাছে আসার লোভ টা সামলাতে পারিনি,
!
জানো তোমাকে সালোয়ারকামিজে অনেক সুন্দর লাগে,
!
সে যাই হোক তোমার শরীর তো খারাপ তাহলে ছেলে কে পাঠিয়ে দিলে কেন?
তবে ভালোই হয়েছে,
!
ডাব খাবে?
!
না আপনি খান,
!
তখন উনি ওনার হাতের ডাব টা আমাকে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
তুমি খাও তোমার তো ভালো লাগে কচি ডাবের পানি?
!
সবকিছু ছেড়ে তো কবেই চলে এসেছি,
!
তবু ও আমার ভালোলাগার জিনিশ গুলো মনে আছে তার?
!
কি হলো খাও?
!
খাচ্ছি,
!
একটা কথা বলবো?
!
কি বলুন?
!
তোমার স্বাস্থ্য হঠাৎ করে এতো ভালে হলো কি করে?
!
আসলে বাপের বাড়িতে শুধু খাই আর শুই সেখানে তো আর আমাকে দিনরাত চব্বিশঘণ্টা কামলা খাটতে হয় না তাই,
!
তুমি এখনো আমাকে সত্যি টা জানালে না?
তুমি কি বোঝোনা তোমার এমন ব্যবহারে আমার কষ্ট হয়?
!
কি হলো কি ভাবছেন?
!
কিছুনা ডাব টা খাও এই পাইপ দিয়ে খাও,
!
তারপর আমি খেতে শুরু করি,
হঠাৎ করে আমার গালে নরম কিছু অনুভব করি,
!
পাশ ফিরে তাকাতেই দেখি,
!
ওনার গাল আমার গালের সাথে মিশে আছে আর উনি আরেক টা পাইপ দিয়ে ডাবের পানি খাচ্ছেন,
!
আমি ওনাকে রেখে ওঠার চেষ্টা করতই খেয়াল করে দেখি
উনি আমার বা হাত চেপে ধরে বসে আছেন,
!
কি সমস্যা আপনার?আপনি আমার সাথে বেয়াদবি করছেন কেন?
!
মনে করো আমি বখাটে তাই বেয়াদবি করছি?
!
দেখুন আমি বাসায় যাবো,
!
সকালের নাস্তা টা আমার সাথে করে যাও,
!
আমি স্ট্রিট ফুড খেতে পারবোনা,
!
আমাকে বাহানা দিচ্ছ?
একটু একসাথে নাস্তা করার কথা বলেছি এতে কি এমন হয়েছে বলো?
!
আমি তোমার স্বামী সন্তানের বাবা,
আমার সাথে তো তুমি খেতেই পারো,
সমস্যা কোই?
!
আমি আসলে,
!
না করোনা,
ফিরিয়ে দিয়ো না প্লিজ
!

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 39
!
না করোনা
ফিরিয়ে দিয়ো না প্লিজ,
!
তখন কি আর করার?
ওনার মন রাখতে ওনার সাথে নাস্তা করতে চলে যাই,
!
রেস্টুরেন্টে গিয়ে উনি আমার পছন্দের খাবার গুলো ওয়ার্ডার করে,
!
ওয়েটার এসে খাবার গুলো সার্ফ করতেই উনি আমাকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দেয়,
!
তখন খেয়াল করে দেখি ওনার মুখে প্রশান্তির ছাপ ফুটে উঠেছে তবে সেটা কেন?
কিছু তেই বোধগম্য হচ্ছে আমার,
!
বেগম জান আমি জানি তুমি কি ভাবছ?
কি হলো কি ভাবছ?
!
কিছুনা আমি আর খেতে পারছি না প্লিজ আর খাবো না,
আপনি খাবেন না?
!
তুমি খাইয়ে দিবে?
!
আচ্ছা দিচ্ছি,
তখন অনিচ্ছা সত্ত্বে আমি ওনাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেই,
!
তারপর উনি রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে আমাকে নিয়ে গাড়িতে বসেন,
!
তখন আমার হঠাৎ করে বমি চলে আসে আর আমি ওনার গায়ে বমি করে দেই,
জানিনা এখন কি হবে?
!
আমি তো আগেই বলেছি যে আমি বাহিরের খাবার খেতে পারিনা তবু ও জোর করে আমাকে খাওয়াতে নিয়ে এলো,
!
এসব ভাবতে ভাবতে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি,
!
যে খান সাহেব বড্ড চিন্তিত হয়ে আছেন তাই আর কোনো ঝামেলা না বাড়িয়ে টিসু দিয়ে বমি পরিষ্কার করে,
!
আমাকে কোলে তুলে তাড়াতাড়ি কাছের হসপিটালে নিয়ে যায়,
!
হায় আল্লাহ এখন কি হবে?
উনি তো সাবটাই যেনে যাবে,
!
কিন্তু তার কিছুই হলো না বরং উনি আমাকে চমকে দিয়ে ডক্টর কে বলেন,
!
ডক্টর আমার ওয়াইফ ছয়মাসের সন্তান সম্ভাবা,
রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার পরে হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পরেছে ও,
!
তখন ডক্টর আয়াস চৌধুরি আমার চেকাপ করে বলেন,
!
ভয়ের কিছু নেই এটা স্বাভাবিক,
!
তবে বাসায় তৈরিকৃত খাবার খাওয়াটাই বেটার,
যাই হোক ওনার যত্ন নিবেন প্রপার রেস্ট দিবেন তাহলেই উনি একদম সুস্থ হয়ে যাবে,
!
ওকে থ্যাংকস ডক্টর,
!
তারপর উনি আমাকে নিয়ে আমার বাপের বাড়িতে চলে জান,
!
যে মানুষ জীবনে কখনো আমার বাপের বাড়ির ধারেকাছে মারায়নি,
!
তার এমন অবস্থা দেখে আমি বেশ চমকে যাই,
!
বাসায় এসে উনি আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে,
! ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে ধরে বসিয়ে দিয়ে বলে,
!
এখানেই সাড়ি টা চেইঞ্জ করে নাও বাথরুমে যেতে হবেনা,
!
তাহলে আপনি চলে জান,
!
কেন?
!
আপনার সামনে সাড়ি পড়বো?
!
হ্যা পরবে সমস্যা কোই,আমি তোমার স্বামী,
!
জান তাড়াতাড়ি বাহিরে জান বলছি,
!
আচ্ছা আমি যাচ্ছি,
!
উনি যেতেই আমি সালোয়ারকামিজ চেইঞ্জ করে সাড়ি টা পরে নেই,
!
তারপরে খেয়াল করে দেখি উনি চোরের মতো দরজার ফাঁক থেকে উকি মেরে দেখছেন,
!
বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয় সেটা জানতাম বাতিক যে আছে সেটা তো জানতাম না?
!
তুমি এভাবে বলছ কেন?
!
এখানে পরে আছেন কেন?নিজের বাড়ি তে চলে জান,
!
বললেই হলো শশুড় বাড়িতে এসেছি জামাই আদর খাবো না?
খাবো তো হা হা হা

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 40
!
শশুড় বাড়ি তে এসেছি জামাই আদর খানো না
খবো তো হা হা,
!
ভাইয়া তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি মজা দেখছ?
ওনাকে এখনি বিদায় করো,
!
বোন উনি তো সত্যি বলেছেন আমি ওনাকে বিদায় করবো কি করে?
!
করতে হবে না আমি রুমে চলে যাচ্ছি,
পুরাতন পাগলের ভাত নেই নতুন পাগলের আমদানি যতসব,
!
তারপর ওনার মুখের ওপরে দরজা লাগিয়ে আমি কনফ্লেক্স খেয়ে শুয়ে পরি,
!
রাতে দরজা খুলে দেখি উনি খিচুড়ির প্লেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন
!
কি হলো?আপনি এখনো জাননি?
!
না কেন যাবো?
!
ও তাহলে বোঝাপড়া করে যাবেন?
!
না আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না যাচ্ছি না বসে খাইয়ে দিচ্ছি,
!
হঠাৎ এতো প্রেম?
এসবের মানে কি?
আসলে আপনি চান কি?
!
আমি কিছু চাইনা,
তুমি খাবার টুকু খেয়ে নাও,
!
আমার হাত আছে আমি খেতে পারি আপনি জান,
!
আমি খাইয়ে দিচ্ছি হা করোতো দেখি,
!
তখনি মেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে,যা বুঝলাম ওর গায়ে জ্বর আর ও অনেক টা শুকিয়ে গেছে হঠাৎ মেয়ে বলে ওঠে,
!
মা তুমি কেমন আছো?আমাকে তো ভুলেই গেছ,
!
তুমি তোমার বাবাকে নিয়ে এখানে কেন এসেছ?
!
খেয়াল করে দেখি মেয়েী চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে তবুও ফিকে হাসি হেসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
বাড়ে আমার কি আমার মায়ের কাছে মামা বাড়িতে আসতে ইচ্ছে করেনা?
!
বাবা হঠাৎ তোমার বাবার ও তোমার এই ইচ্ছে হলো কি করে?
!
মা তুমি এভাবে বলছ কেন?
!
কারন তোমাদের কান্ড দেখে অবাক হচ্ছি আমি,
!
কি চাও কি তোমরা?
আমাকে কি একটু শান্তিতে দেখতে পারোনা তোমরা?
!
হঠাৎ তোমাদের এতো বাড়াবাড়ি করার করন কি?
!
তুমি মেয়ে কে বকছ কেন?
!
বকছি না বলছি আর হ্যা আমার খাওয়া হয়ে গেছে আপনারা এখন আসতে পারেন গুডনাইট,
!
মাঝরাতে ঘুম ঘুম চোখে দেখি,
!
মেয়ে আর উনি আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন,
!
এসব দেখে মেজাজ টা বিগড়ে যায় আমার তখন মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে দেখি জ্বরে পুরে যাচ্ছে ও,
!
তাই ওর মাথায় জলপট্টি দিয়ে দেই হঠাৎ উনি উঠে আমাকে বলে,
!
তুমি রেস্ট করো আমি দেখে নিচ্ছি, না থাক আমি পাড়বো,
!
বরাবরি তো আপনাদের কামলা আমি খেটে এসেছি তাই আজ ও আমার কাজ টা আমাকে করতে দিন,
!
আপনারা তো এই উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন সেকি আর আমি বুঝি না?
!
এতো বোকা আমি?
তখন হঠাৎ উনি আমার মুখ টা চেপে ধরে বলেন,
!
এতো কথা বলো না তুমি? এই অবস্থায় এতো বকবক করা ভালো না,তাই নাও ধরো আচার খাও,আমের আচার তোমার ফেভারিট?
!
আমি বলছি আমি আচার খাবো?তখন সাথেসাথে উনি আমার মুখে আচার পুরে দেয় আর বত্রিশ টা দাঁত বের করে বলে,
!
চুপ থাকলে তোমাকে বেশি ভালো লাগে বেগম জান,
হা হা হা

41 + 42
#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 41
!
তুমি চুপ করে থাকলে তোমাকে অনেক বেশি ভালোলাগে বেগম জান হা হা হা,
!
ফাজলামো করছেন আপনি আমার সাথে?
!
না কেন?
!
দেখুন আমার শরীর টা ভালো নেই আমি ঘুমবো আর আপনি আপনার মেয়ে কে পাহারা দিন কেমন?
!
যা বাবা একটু মশকরা করা যাবেনা নাকি?
!
আমাকে বিরক্ত করবেননা গুডনাইট,
!
আমি জানি বেগম তুমি আমার ওপরে অভিমান করে এ কথা গুলো বলছ তবে আমি ও জানি তোমার অভিমান কি করে ভাঙাতে হয়,
!
এতো দামিদামি সাড়ি গহনা উপহার দিবো না যে লোভে পরে তোমার অভিমান গুলো বাপবাপ করে পালাবে,
!
শুধু কালকে সকালের অপেক্ষা তারপর দেখে নিও তুমি তোমার স্বামী কি পারে?
!
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,
!
অনেক দামিদামি সাড়ি গহনা আমার বিছানায় সাজিয়ে রাখা সাথে একটা সরি কার্ড ও রাখা,
!
আমি আমার স্বামী কে যা চিনি তাতে এতো ঢং উনি ওনার ইশার জন্যে করতেন,
!
আর শুধু তাই না তার জন্যে বিউটি পার্লারের বাহিরে ও ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন,
!
হয় তো উনি ভেবেছেন ওনার ইশার মতো আমার ও অনেক লোভ তাই কারিকারি টাকা দিয়ে এসব কিনেছেন,
!
আসলেই লোক টা শুধু আমার সাথে থেকেছে আর প্রয়োজনে নিজের চাহিদা মিটিয়েছে আমি মানুষ টা যে কেমন?
সেটা আজো বোধগম্য হয়নি তার,
!
যাই হোক ফ্রেশ হয়ে আমার ছেলের দেওয়া সালোয়ার কামিজ পরে নিচে গিয়ে ওনার দেওয়া জিনিশ গুলো ওনার পায়ে ছুড়ে মারি,
!
তখন উনি ভুত দেখার মতো চমকে গিয়ে আমাকে বলেন,
!
এগুলো ফেলে দিলে কেন?
সবি তোমার তোমার জন্যে আমি এগুলো নিজে পছন্দ করে নিয়ে এসেছি,
আর এগুলো অনেক দামি,
!
এর দাম যাই হোক না কেন?আমার এসবের প্রয়োজন নেই আর হ্যা সবাই কে এক পাল্লায় মাপতে যাবেননা কারন সবাই এক না,
!
মানে?
!
মানে আমি আপনার ইশার মতো জাস্ট ফ্রেন্ড,বেষ্ট ফ্রেন্ড,গার্ল ফ্রেন্ড বা বেড পার্টনার নই যে আপনি আমাকে লোভ দেখিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে বুঝিয়ে নিবেন,
!
আপনার কি আমাকে বোকা বলে হয়?
আমি কিছু বুঝিনা?
!
আপনার এই জাস্ট,বেষ্ট আর গার্ল ফ্রেন্ড যাই বলি সে আপনার বেড পার্টনার হয়ে আপনা কে খুশি করে বলে,
!
তার অভিমান ভাঙাতে আপনি এই পদ্ধতি অবলম্ব করেন সেটা আমার জানা নেই?
!
আপনি যে এতো নোংরা সেটা জানার পরে আমারি দোষ যে আমি আপনার মতো অসভ্য ইতরের সাথে পরেছিলাম,
!
তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ বেগম আমার কথা শোনো?
!
আপনার কথা?
হাসালেন আপনি আমায় অনেক শুনেছি অনেক দেখেছি আর না,
!
মা তুমি বাবাইয়ের সাথে এমন করছ কেন?
!
মেয়ের কথা শুনে রাগ সামলাতে না পেরে ওকে চড় মেরে বলি,
!
তুমি জাননো না বড় দের মাঝে কথা বলতে নেই?
বেয়াদব মেয়ে একটা,
!
মা তুমি শান্ত হও অসুস্থ হয়ে পরবে তো?
!
এদের তাড়িয়ে দে এমনি সুস্থ হয়ে যাবো,
!
তুমি আমাকে আবারো ভুল বুঝেছ বেগম
!
শুনুন আপনি এখান থেকে চলে জান সাথে আপনার এই গুনোধর মেয়ে কে ও নিয়ে জান,
!
#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 42
!
শুনুন আপনি এখান থেকে চলে জান সাথে আপনার এই গুনোধর মেয়ে কেও নিয়ে জান,তারপর আমি আমার রুমে চলে আসি রাতে ভাবি আমাকে খাওয়াতে এসে বলেন,
!
এই অবস্থায় এতো রাগারাগি করা ভালো না ননদিনী,তার ওপরে বাপের রাগ টা মেয়ের ওপরে ঝেড়ে এসেছিস,
মেয়ে টা সারাদিন কিছু খায়নি বরং বসেবসে কেঁদেছে আর গাল ফুলিয়ে লাল করে ফেলেছে,
!
শোনো ভাবি এমন টা হওয়ারি ছিলো ওর ওই বেয়াদব বাপের জন্যে আমি কখনো ওকে শাসন করতে পারিনি,
!
কিছু বললেই ওনার মুখ টা বাংলার পাঁচ হয়ে যেতো
!
সে যাই হোক সময় মতো শাসন করলে আজ এতো বার বাড়ত না ও,
!
অবশ্য ওরি বা দোষ কি?
বাপের বেটি তাই তাড়ি মতো হয়েছে,
!
অসভ্য লোক একটা আমরা আগেই বোঝা উচিত ছিলো,
!
যে ওনার ক্যারেকটারে দোষ আছে,
জানো এই এত বছর বিয়ের বয়সে আমার কখনো মনে হয়নি যে উনি আমাকে সত্যি কখনো ভালোবেসেছেন,
!
আসলে সাবটাই লোক দেখানো,
উনি শুধু ওনার চাহিদার জন্যে আমাকে বিয়ে করেছেন নাহলে কেন উনি অন্যের কথা শুনে আমার দুদুবার অ্যাবশন করাবেন?
!
তুমিবলো কোনো মা কি চায় তার সন্তান কে মেরে ফেলতে?
!
ওই থার্ডক্লাস মেন্টালিটির লোক টাকে কে না কে বলেছে উনি যে দুই বাচ্চার বাপ সেটা বোঝা যায় না,
!
সেটা না বোঝাতেই উনি এই জঘন্য কাজ টি করেছেন,
!
অথচ আমাদের বিয়ের সময়ে নিজের অল্প পাক ধরা চুলে কালার করে এসেছেন,
!
আমি ওনার অবাধ্য হলে ভয় দেখাতো দ্বিতীয় বিয়ে করবেন বলে,
!
আরে দ্বিতীয় কেন?
উনি দশ টা বিয়ে করলে ও আমার কিছু যায় আসেনা,
ফালতু জানি কোথাকার?
!
বাড়িতে অপ্ল বয়সী বৌ থাকলে যা হয় আরকি?
অসহ্য কর বুড়লল ভাম একটা,
!
বেগম যখন কথা গুলো বলছিলেন খান সাহেব তখন দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে চোখেরজল ফেলছিলেন,
!
আর ভাবছিলেন কত বড় ভুল করে ফেলেছেন তিনি,
যার কোনো ক্ষমা হয় না,
!
হয়েছে রাগ কমেছে?
তাহলে এবার একটু থামো আসলে পুরুষ মানুষ তো তাই ভাবে আমরা যেটা করি সেটাই ঠিক,
!
আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের কোনো সম্মান নেই ভাবি,
!
মেয়েদের সম্মান করার মন মানুষিকতা নিয়ে খুব কম পুরুষ মানুষী জন্মায়,
!
নাও ধরো,
!
কি করবো আমি এটা দিয়ে,
!
মেয়ে কে গিয়ে খাইয়ে আসো,
গালে তো পাঁচ টা আঙুলের দাগ ফেলে দিয়েছ জ্বরের মানুষ সারাদিন কেঁদে পার করে দিয়েছে ও,
!
মায়ের মন পাড়লাম না আর মেয়ের ওপরে রাগ করে থাকতে,
!
তাই ওর কাছে গিয়ে বসলাম,
সাথেসাথে ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
আমি আর তোমার অবাধ্য হবো না,
আমি সরি মা,
!
হয়েছে বুঝেছি চুপ করে বসো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি,
জ্বর হয়েছে সারাদিনে কিছু খাওনি কেন?
!
খিদে পায়নি মা,
!
ন্যাকামো করবে না আমি খাইয়ে দিচ্ছি চুপচাপ খেয়ে নাও,
!
ঠিক আছে মা,
!
ভালো মেয়ে
দেখি হা করো?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here