রাগী টিচার যখন রোমান্টিক হাসবেন্ড – পর্ব 44

0
1057

#রাগী_টিচার_যখন_রোমান্টিক_হাসবেন্ড
#পর্ব_৪৪
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
–আপনি আমার সাথে এমন করছেন কেনো।আমি কি কোনো দোষ করছি।আমাকে বলেন আমি শুধ’রে নেওয়ার চেষ্টা করব।এভাবে চুপ করে থাকবেন না।
–আমার সামনে থেকে সরে যা-ও।আমি তোমাকে সবকিছু বলতে বাধ্য নই।
–আপনি সবকিছু আমাকে বলতে বাধ্য।আপনি আমার বাবার অন্যায়ের শাস্তি আমাকে দিতে পারেন না।আমি তো জানতাম’ই না,আপনার আরো একটা ভাই আছে।আর আমি আমার বাবা মা’কে কোনোদিন দেখি নাই।আপনি নিজে’ও জানেন,কয়দিন আগে আমি আমার পরিচয় জেনেছি।
–নাটক করবে না একদম।আমাকে বিরক্ত করবে না।আমার ঘুম পেয়েছে।আমি ঘুমাবো।
–ঘুমান আমি কি আপনাকে ধরে রাখছি নাকি।আমি যদি প্রমাণ করতে পারি,আমার বাবা নির্দোষ তাহলে কি করবেন স্যার।
আয়ান চোখ গরম করে তাকালো,শখ আর কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়ল।আয়ান মাঝখানে কোল বালিশ রেখে শখের উল্টো পাশে শুয়ে পড়ল।শখ ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
–মাঝখানে কোল বালিশ রাখলেন কেনো।
–আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই।
–আচ্ছা ভালো।মানুষ কতো সুন্দর তাই না স্যার।গিরগিটির থেকে-ও দ্রুত রং বদলায়।এই জন্য গিরগিটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে বলে গেছে।মানুষ আমার থেকে-ও বেশি ভয়ংকর।
–বড্ড বেশি কথা বলছো তুমি।রুম থেকে বের হতে না চাইলে চুপ থাকো।
শখ আর কোনো কথা না বলে চুপ করে শুয়ে রইলো।আয়ান মাথায় হাত দিয়ে দু’চোখ বন্ধ করে নিলো।
আড়াল থেকে সবকিছু দেখে ছিলেন,আবরাহাম চৌধুরী।সবকিছু দেখে তৃপ্তির হাসি দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন।
পরের দিন সকাল বেলা আয়ান ঘুম থেকে উঠে শখকে কেনো কিছু না বলে কলেজে চলে গেলো।শখ ঘুম থেকে উঠে বেশ অবাক হলো,একটা মানুষ কি ভাবে এতটা বদলে যেতে পারে।শখ ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো।রুহি,শুভ,মুনতাহা ড্রয়িং রুমে বলে ছিলো,শখ এসে মুনতাহাকে প্রশ্ন করলো।
–আমার বাবা-মা কে আপু।তাদের পরিচয় কি।তারা দেখতে কেমন।তারা কেমন মানুষ ছিলেন।আমার বাবা নাকি খুনি।সত্যি কি উনি খারাপ মানুষ ছিলেন।এই জন্য-ই আল্লাহ উনাকে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন।আর শাস্তি পাওয়ার জন্য আমাদের দুই ভাইবোন’কে রেখে গেছেন।
শখের কথা শুনে মুনতাহা বড় বড় করে তাকাল।
–শখ তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।তুই জানিস বড় আব্বু কতটা ভালো মানুষ ছিলেন।সব সময় সৎ পথে চলতেন।আমি যতটুকু ওনাকে দেখেছি।ওনার মতো খুব কম মানুষ-ই আছে।তোদের জন্য নিজের জীবন শেষ করে দিলো আর তুই এভাবে কথা বলছিস।
–ও তো ভুল কিছু বলে নাই মুনতাহা।তোমার বড় আব্বু একজন খুনি আমার ভাইকে খুন করেছে।আয়ান ভেতরে প্রবেশ করতে করতে বললো।আয়ান পরীক্ষার প্রশ্ন গুলো রেখে গিয়েছিল।সেগুলো নিতে এসে-ই শখের কথা গুলো শুনতে পেলো।
–আয়ান ভাইয়া একদম আমার বড় আব্বুর নামে বাজে কথা বলবেন না।তাহলে আমি কিন্তু আপনাকে ছেড়ে কথা বলবো না।আপনি কতটুকু জানেন আমার বড় আব্বুর সম্পর্কে।তার সম্পর্কে না জেনে একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবে না।
–আয়ান তুই পাগল হয়ে গেছিস।কি সব যা-তা বলছিস।বলল নীলিমা চৌধুরী।
–ভাই তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
–আমার মাথা একদম ঠিক আছে।শখের বাবা একজন খুনি।আর আমি কি-না খুনির মেয়েকে আমি ভালোবাসি।আচ্ছা ওর বাবা আমার ভাইকে খুন করেছে।আমি তাহলে শখের ভাইয়াকে খুন কে শোধ নেই।
–একদম বাজে কথা বলবেন না স্যার।সবকিছু না জেনে শুনে।যাচাই বাছাই না করে আপনি এভাবে কিছু করতে পারবেন না।
–তাই নাকি।বলে’ই আয়ান ভিডিও টি সবার সামনে ধরলো।সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।ভয়ে সবাই চোখ বন্ধ করে দিলো।এর পরে-ও বলবে তোমার বাবা সাধু।
সবাই অবাক হলেও নীলিমা চৌধুরী এতটুকু’ও অবাক হলেন না।
–আয়ান সব সময় নিজের চোখের দেখা’ও ভুল হতে পারে।যাই করবি ভেবে চিন্তে করবি।
–আমার ভাবা হয়ে গেছে মা।এবার যাহ করার আমি করবো।
–আয়ান তুই আমার সাথে আয়।তোকে কিছু বলার আছে।
–কি বলবে নীলিমা।বলল আবরাহাম চৌধুরী।
নীলিমা চৌধুরী ভয়ে চুপ হয়ে গেলেন।রুহি’ও বেশ বিরক্ত হলো।মুনতাহা জেনো নিজের চোখকে’ও বিশ্বাস করতে পারছে না।শুভ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।আয়ান কারো সাথে কোনো কথা না বলে চুপচাপ বেড়িয়ে গেলো।রুহি-ও শখের সাথে কোনো কথা বলল না।
–শখ তোর সাথে আমার জরুরি কথা আছে।তুই সময় করে আমার রুমে চলে আসবি কেমন।বলেই চলে গেলেন নীলিমা চৌধুরী।
–তুই বড় আব্বুকে ভুল বুঝিস না শখ।বিশ্বাস কর উনি এমন মানুষ না।
–কিন্তু ভিডিও-টা মিথ্যা না।উনি যদি আমার বাবা হয়ে থাকে তাহলে সত্যি আমি একজন খুনির মেয়ে।বলে-ই উপরে চলে গেলো।
রাত বারোটায় আয়ান বাসায় আসলো।আয়ানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে না খেয়ে’ই ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটা।আজ আর কেউ তাকে ডেকে খেতে বলে নাই।নীলিমা চৌধুরী আসছিলেন,একবার।
–আয়ান এই না-ও কাগজ।এটাতে শখকে দিয়ে সাইন করিয়ে নিবে।আর এই নাও।আয়ানের হাতে গান ধরিয়ে দিয়ে বললো,সাইন করিয়ে নেওয়ার পড়ে,শখকে মেরে ফেলবে।
আবরাহাম চৌধুরীর কথা শুনে আয়ানের ইচ্ছে করছে তার বাবা-কে খুন করে দিতে।তার সাহস কি করে হয়।তার শখকে মারার কথা বলার।বেশ বিরক্ত নিয়ে আয়ান বললো।
–এটা কিসের পেপার বাবা।এখানে শখের সাইন লাগবে কেনো।
–তুমি চাও না।তোমার ভাইয়ের খুনির মেয়ের শাস্তি হোক।
–হ্যাঁ চাই।
–তাহলে যা-ও।
আয়ান কাঁপা কাঁপা হাতে ধরে নিয়ে উপরে চলে গেলো।রুমে এসে শখের ঘুমন্ত চেহারা দিকে তাকিলে আয়ান পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ,কষ্ট ভুলে যায়।কিভাবে আঘাত করবে।এই নিষ্পাপ ফুলের মতো মেয়েকে।কিন্তু তার বাবা তো আমার ফুলেও মতো ভাইকে ছেড়ে দেয় নাই।
–এত ভাবার কি আছে।বাবা কথায় মেয়েটা’কে মারতে এসেছিস।এত ভাবাভাবির কিছু নেই।ওর বাবা তোর ভাইকে মেরেছে।তুই ওকে মেরে দে।বলে’ই আয়ানের হাত শখের দিকে তাক করলো।
–কি হলো মারছিস না কেনো।শেষ করে দে এই ফুলের মতো মেয়েটা’কে।
আয়ান আর কিছু ভাবতে পারলো না।গান টা ফেলে দিয়ে বললো।
–না আপু আমি একাজ করতে পারবো না।আমাকে মেরে ফেলো।তা-ও আমাকে একাজ করতে বলো না।আমি পারবো না।
–কেনো পারবি না।কাঁদছিস কেনো।বাবার কোথায় তো খুব নাচছিস।শোন একটা কথা বলি।কোনো কাজ করার আগে দশবার ভেবে করবি।বলেই রুহি চলে গেলো।শখ আজকে নিজে থেকে’ই মাঝখানে কোল বালিশ রেখে দিয়েছিলো।আয়ান কোল বালিশ সরিয়ে দিয়ে শখকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।সারা মুখে চুমু খেতে শুরু করলো।শখকে হারানোর ভয় ভেতরে জেঁকে বসেছে।পুরো শরীর কাঁপছে,আয়ানের।আর কোনোকিছু ভাবতে পারলো না।না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।
পরের দিন সকাল বেলা শখ কাউকে কিছু না বলে আহনাফ সাহেবর বাসায় আসলেন।শখকে দেখে আহনাফ সাহেব বেশ খুশি হলেন।মুনতাহা মায়ের মুখ কালো হয়ে গেছে শখকে দেখে।
–কিরে মা কেমন আছিস।আমি জানতাম তুই আমদের ওপরে রেগে থাকতে পারবি না।
–আমার বাবা কে চাচ্চু।কি তার পরিচয়।উনি কে ছিলেন।কেমন মানুষ ছিলেন উনি।সত্যি কি উনি আয়ান স্যারের ভাইয়ের খুনি।
শখের প্রশ্ন শুনে আহনাফ সাহেব বেশ ভয় পেয়ে গেলো।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে।মুনতাহার আম্মু’ও বেশ অবাক হয়ে গেলেন।
–তোকে আমি সব বলছি।আর আগে আমাকে একটু সময় দে।আমি এসে তোকে সবকিছু বলছি।বলে-ই তাড়াতাড়ি করে চলে গেলেন।সারাদিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসছে।আহনাফ সাহেবের আসার নামে কোনো নাম-ই নেই।শখ বেশ বিরক্ত হয়ে বাসায় ফিরে আসলো।চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করতেই রুহি বললো।
–কোথায় গিয়েছিল শখ।
–আপু একটু আব্বুদের বাসায় গিয়ে ছিলাম।শুভ ভাইয়া আর আপুকে দেখছি না যে।
–শুভ ওর বউকে নিয়ে চলে গেছে।এতদিন বাসা পাচ্ছিলো না।তাই ছিলো।আজ নতুন বাসায় উঠছে তারা।
–আমাকে তো কিছু বলে নাই।আচ্ছা বাবা-মা কোথায়।স্যার কি আজকে’ও দেরি করে বাসায় ফিরবে।আজ বাসা-টা এত ফাঁকা ফাঁকা লাগছে কেনো আপু।সব লাইট অফ করে রাখছো কেনো।
–বাবা-মা নিজের রুমে।আয়ান এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছে।বাসায় কেউ নেই।তাই বাসার এই অবস্থা।
–স্যার এয়ারপোর্টের দিকে মানে।
–আয়ান তোমার মুখ দেখতে চাই না।তাই ও দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।আজ রাত আট-টায় আয়ানের ফ্লাইট।
কথা’টা শোনা মাত্রই শখের মনে হলো কেউ তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে নিলো।
–আপু তুমি কি বলছো এসব।মজা করো না।নাকি তুমি’ও এখন সবার মতো বদলে যাবে।
–তোমার কি মনে হয়।আমি তোমাকে মিথ্যা কথা বলছি।বিশ্বাস না হলে এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখতে পারো।শখ আর কোনো কথা না বলে আয়ান কে কল করলো।কিন্তু আয়ান ফোনটা ধরলো না।শখ উপায় না পেয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে আসলো।
–মতিন চাচা।আপনি যানেন স্যার কোন এয়ারপোর্টে গেছে।জানলে আমাকে নিয়ে যাবেন।
–হ্যাঁ জানি,আপনি বললে নিয়ে যাব।
–তাহলে আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে চলুন।বলে’ই বেড়িয়ে পড়ল শখ।রুহি শখের কথা ভেবে সে-ও রেডি হয়ে বেড়িয়ে গেলো।মেয়েটাকে রাত করে একা ছাড়া উচিৎ হবে না।তাই সে-ও আরেকটা গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।
আয়ান এয়ারপোর্টে এসে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছে।এখন সারে সাত-টা বাজে।শখ এয়ারপোর্টে এসে আয়ান’কে পাগলের মতো খুজে লাগলো।অবশেষে খুঁজে পেলো দৌড়ে আয়ানের কাছে চলে গেলো।
–আপনি চলে যাচ্ছেন কেনো স্যার।আমি কি অন্যায় করেছি।আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
–তার কৈফিয়ত আমি তোমাকে দিতে বাধ্য নই।আমি একটা খুনির মেয়ের সাথে থাকতে পারবো না।তোমার মুখ’ও দেখতে চাই না।তোমার মুখ যেনো আমার কোনোদিন দেখতে না হয়।আর আগে যেনো আমার মৃত্যু হয়।
–একদম বাজে কথা বলবেন না।আমি জানি আপনি রাগ করে বলছেন।আপনি আমাকে একটু সময় দিন আমি সবকিছু ঠিক করে দিব।
–পারবে আমার ভাইকে ফিরিয়ে দিতে।
–আপনি আমাকে মেরে ফেলুন।তবু্ও আমার থেকে দূরে সরে যাবেন না।আমি বাঁচতে পারবো না।আমার বেঁচে থাকা’টা মৃত্যুর সমান হবে স্যার।প্লিজ আমাকে এভাবে একা ফেলে চলে যাবেন না।
–আমাকে ঘৃণা করছো না কেনো শখ।
–যাকে ভালোবাসা যায়।তাকে কখনো ঘৃণা করা যায় না।
–কিন্তু আমি তোমাকে ঘৃণা করি।তোমার মুখ দেখতে চাই না।চলে যা-ও আমার মুখের সামনে থেকে।
শখ মাটিতে বসে আয়ানের পা ধরে বসলো সবাই অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।শখ কান্না করতে করতে বাচ্চাদের মতো বায়না ধরে বসলো।
–আমাকে ছেড়ে যাবেন না স্যার।আপনি ছাড়া আমার পৃথিবীতে কেউ নেই।আপনি চলে গেলে,আমি খুব একা হয়ে যাব।আমাকে ভালোবাসার মতো আপনি ছাড়া কেউ নেই।দয়া করে আমার থেকে দূরে সরে যাবেন না।আমার এই ভালোবাসা টুকু কেঁড়ে নিবেন না।আমাকে ছেড়ে যাবেন না।
এখানে বেশিক্ষণ থাকলে দুর্বল হয়ে পড়বো।না এখানে থেকে চলে যেতে হবে।আয়ান শখকে নিজের পা থেকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললো।
–একদম নাটক করবে না।আমার থেকে দূরে থাকো।তোমার মতো মেয়ের মুখ দেখাও পাপ।
–স্যার…
আয়ান কোনো কথা না বলে হাঁটা শুরু করলো,আয়ানের ফ্লাইটের সময় হয়ে এসেছে।শখ উঠে দৌড়ে আয়ানের কাছে আবার গেলো।
–আমি আপনার দু’টো পায়ে পড়ি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না।আপনি যা বলবেন আমি তাই শুনবো।শখ ঠিক মতো কথা’ও বলতে পারছে না।গলায় আটকে যাচ্ছে।শখের এমন করুন অবস্থা দেখে আয়ানের ইচ্ছে করছে সবকিছু ভুলে শখের বুকে ঝাপিয়ে পড়তে।কিন্তু তা-না করে শখকে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে এয়ারপোর্টের ভেতরে চলে গেলো।রুহি এসে শখকে ধরে ফেললো।শখ দৌড়ে আয়ানের কাছে যেতে চাইলে সিকিউরিটি গার্ড শখকে ভেতর যেতে দিলো না।
–আপু উনি চলে যাচ্ছেন কেনো।উনাকে বলো না আমাকে ছেড়ে যেনো না যায়।উনি কি জানে না উনি ছাড়া আমার ভালোবাসার কেউ নেই।আপু ওনাকে আটকা’ও না।আমি তোমাদের সব কথা শুনবো।তুমি শুধু ওনাকে আমার কাছে এনে দাও।
শখের এমন পাগলামি দেখে রুহির চোখে’ও পানি চলে আসলো।কোনো শখকে টেনে বাসায় নিয়ে গেলো।এ-সবকিছু দূর থেকে দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলো মিহু।কিন্তু খুশি হতে পারলো না আবরাহাম চৌধুরী।উনি কি করতে চাইলেন।তার ছেলে ঠিক উল্টো কাজ করে বসলো।এখন জান্নাত’কে কি উত্তর দিবে।সবকিছু আরো কঠিন হয়ে গেলো।এখন কোনো উপায়-ই শখকে দিয়ে সাইন করে নেওয়ার।আহনাফ সাহেব’ও পেছনে সরে গেছে।এটা ভালো করে’ই জানেন ফিয়াজ বা শখের কোনো ক্ষতি করতে পারবো না।শুভ যতদিন আছে মুনতাহার শরীরের একটা ফুলের টোকা’ও দিতে পারবে না সে।মিহুর কথা শুনে কতবড় ভুল করেছে,হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।আয়ানকে পাওয়ার জন্য মেয়েটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।আমি’ও বকার মতো এই মেয়েটার কথা শুনলাম।এখন সবকিছু হারাইলাম।বলেই মাথাই হাত দিয়ে বসে পড়লেন আবরাহাম চৌধুরী।
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here