রাগী টিচার যখন রোমান্টিক হাসবেন্ড – পর্ব 45

0
1079

#রাগী_টিচার_যখন_রোমান্টিক_হাসবেন্ড
#পর্ব_৪৫
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
–আপু তুমি উনাকে এনে দাও।আমি কিছু শুনতে চাই না।আমার ওনাকে চাই।উনি তো জানেন উনি ছাড়া পৃথিবীতে আমার কেউ নেই।তাহলে উনি কেনো ছেড়ে চলে গেলেন।উনি’ও কি বুঝিয়ে দিলেন।সবাই চিরদিন পাশে থাকে না।
–হতে’ও পারে শখ আয়ান তোমার ভালোর জন্য-ই এ-সব কিছু করছে।
–আমার ভালো দিয়ে কি হবে।সেই ভালোতে যদি উনাকে না পাই।
রুহি আর কোনো কথা বলল না।চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলো।এভাবে কেটে গেলো তিন’টি মাস।সেইদিনের পরে শখ আর কারো সাথে কোনো কথা বলে না।চারিদিকে বিশ্বাসঘাতক দিয়ে ভরে গেছে।আবার যদি কেউ ঠকিয়ে দিয়ে চলে যায়।এখন মানুষকে বিশ্বাস করতে খুব ভয় হয় শখের।চারদেয়ালে’র রুমে নিজেকে বন্ধি করে ফেলছে নিজেকে শখ।আজ-কাল শরীর-টাও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।মাথা ঘুরে,বমি বমি পায় শখের।নীলিমা চৌধুরী শখকে কিছু বলতে চায়।কিন্তু আবরাহাম চৌধুরীর জন্য বলতে পারে না।শখ ঠিক করে নিয়েছে।এই বাসায় আর থাকবে না।চলে যাবে।তার জন্য নীলিমা চৌধুরীর কাছে অনুমতি নেওয়ার জন্য রুমের কাছে আসতে’ই শুনতে পেলো রুহি আপু আসছে।
–আম্মু আসবো।
–আরে শখ মা,তাড়াতাড়ি ভেতরে আসো।তোমার সাথে আমার খুব জরুরি কথা আছে।এটা-ই সুযোগ তোমার বাবা বাসায় নেই।
–কি বলবে মা তুমি শখ’কে।আর শখ তোমার হাতে ওটা কিসের কাগজ।
–ডিভোর্স পেপার।
রুহি অবাক হয়ে বলল ডিভোর্স পেপার।কার ডিভোর্স পেপার।তুমি এসব নিয়ে ঘুরছো কেনো।
–আমি ঘরছি না আপু।উনি চলে যাওয়ার পনেরো দিন পরে আমার নামে যে পার্সেল’টা আসছিলো এটা’ই সেটা,উনি আমার থেকে মুক্তি চায়।আমার মুখ কোনোদিন দেখতে চায় না।অনেক তো হলো অপেক্ষা এবার আমি নিজের রাস্তা দেখতে চাই।আম্মু আপনি অনুমতি দিলে আমি আজি চলে যেতে চাই।
–আচ্ছা ঠিক আছে মা।তুমি যেটা ভালো মনে করো।তোমাকে আমি নিজের মেয়ে মনে করি।ছেলের বউ না।তাই আমার মেয়ে যা ভালো মনে করবে,তাই হবে।
–মা তুমি এসব কি বলছো।আর আয়ান ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছে।এটা অসম্ভব আমি যদি মারা’ও যাই।তাহলে’ও বিশ্বাস করবো না।কই দেখি।রুহি শখের হাত থেকে পেপার-টি নিয়ে দেখলো সত্যি।রুহি নিজের চোখকে’ও বিশ্বাস করতে পারছে না।
হঠাৎ করে শখের শরীর’টা গুলিয়ে উঠলো শখ দৌড়ে ওয়াশরুমে বলে গেলো।একটু পরে ফিরে এসে শখ যা শুনলো।খুশিতে শখের চোখ চিকচিক করে উঠলো।পরক্ষনে মনে হলো আয়ান তো তার মুখ দেখতে চায় না।তাহলে সে আর এক মুহুর্ত এ বাসায় থাকবে না এখনি চলে যাবে।রুহি তার মাকে বলছিলো।
–মা তুমি জানো না আজকে আয়ান আসবে।তবু’ও শখকে যাওয়ার অনুমতি দিলে,যে করে’ই হোক শখকে আটকাতে হবে।দুজনকে আবার এক করতে হবে।
–আমরা কেনো ধরে রাখতে যাব।যার বউ সে এসে ধরে রাখবে।কষ্ট তো আর কম দিলো না মেয়েটা’কে।
–মা তুমি এসব কি বলছো।
–বললাম না ওকে ছেলের বউ হিসেবে না।একজন মা হিসেবে বলছি চলে যেতে।যে,তার খারাপ সময়ে একা ফেলে চলে গেছে।এখন শখের’ও উচিৎ নিজেকে কিছু’টা দূরে সরিয়ে নেওয়া।
–মা তুমি আয়ান কে ভুল বুঝছো।সত্যিটা জানতে পারলে সত্যি আফসোস করবে।বলে’ই রুহি চলে গেলো।
শখ তাড়াতাড়ি করে লাগেজ গুছিয়ে নেচে আসলো।নীলিমা চৌধুরীর থেকে বিদায় নিয়ে দরজা খুলে সামনের দিকে এগোতে গিয়ে’ও থেমে গেলো।কলিং বেলে চাপ দেওয়ার আগেই দরজা খুলে যাওয়াতে আয়ান বেশ অবাক হলো।শখ আয়ানকে দেখে তাড়াতাড়ি করে নিজের মুখ লুকিয়ে ফেললো।এতে আয়ান বেশ বিরক্ত হলো প্রকাশ করলো না।ইচ্ছে করছে শখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে।কিন্তু নিজের ইচ্ছেটা নিজর মনে’ই রেখে দিলো।
–রুহি আপু,এই মেয়ে এখনো এ বাসায় কি করছে।কেনো রেখেছো এখনো।পেছনে তাকিয়ে দেখলো শখ নেই।
–আর সমস্যা নেই ভাই।ও চলে গেছে আর আসবে না কোনোদিন।এবার তুই খুশি।
আয়ানের মনটা খারাপ হয়ে গেলো সত্যি চলে গেলো।
–ঐ দিকে কোথায় যাচ্ছিস।তোর রুম উপরে।নাকি আবার চলে যাবি।
–আরে শ…
–আর কোনো কথা না।যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
শখ এক প্রকার দৌড়ে বেড়িয়ে আসছে।প্রচন্ড খারাপ লাগছে।হাত-পা কাঁপছে।কোনো রকম একটা গাড়ি নিয়ে আহনাফ সাহেবের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।খুব কষ্ট হচ্ছে।কষ্টের অনুভুতি গুলো কেনো কাউকে বোঝানো যায় না।এতদিন পরে নিজের প্রিয় মানুষটা’কে সামনে পেয়ে’ও চোখের তৃষ্ণা মেটাতে পারলাম না।শখ আর কোনোকিছু ভাবতে পারছে না।কোনো রকম আহনাফ সাহেবের বাসায় আসলো ক্লান্ত শরীরে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করলো।ভরা সন্ধ্যাবেলা মেয়েকে এভাবে আসতে দেখে আহনাফ সাহেব বেশ ভয় পেয়ে গেলেন।তাড়াতাড়ি করে উঠে শখের কাছে আসলেন।আহনাফ সাহেব কিছু বলতে যাবে।তার আগেই শখ আহনাফ সাহেবর বুকে ঢলে পড়লেন।আহনাফ সাহেব বেশ ভয় পেয়ে গেলো।আবরাহাম চৌধুরী কোনো ক্ষতি করলো না তো।শখের যদি কিছু হয় তাহলে লাশ ফেলে দিব।বলেই শখ শখ বলে ডাকতে শুরু করলো।কিন্তু শখের কোনো সারা শব্দ-ই পাচ্ছে না।
–মুনতাহার আম্মু,দাঁড়িয়ে কি দেখছো।ডক্টর’কে কল করো।তাড়াতাড়ি।
মুনতাহার আম্মু তাড়াতাড়ি করে ডক্টরকে কল করলো।শখকে কোনো রকমে নিজের রুমে শুইয়ে দিলেন আহনাফ সাহেব ও তার স্ত্রী।মুনতাহার আম্মু শখের হাত-পা তেল দিয়ে মালিশ করে দিচ্ছে।তবু’ও জ্ঞান ফিরছে না।একটু পরে ডক্টর এসে শখকে দেখে চিন্তিত হলো।তারপরে খুশি হয়ে আহনাফ সাহেবকে বলল।
–কংগ্রাচুলেশনস আপনি নানু হতে চলেছেন।আপনার মেয়ে তিন মাসের প্রেগন্যান্ট।অতিরিক্ত ভয় আর দুশ্চিন্তার কারনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।একটু পড়ে জ্ঞান ফিরে আসবে।ভয় পাবার কিছু নেই।কিন্তু এই সময়ে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে।কোনো অযত্ন চলবে না।ওনাকে একদম চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে।কিন্তু উনি তো ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না।প্রচুর চিন্তা করে।এভাবে চলতে থাকলে এর বাজে প্রভাব বাচ্চার ওপরে এসে পড়বে।
আহনাফ সাহেব খুশি হয়ে বললো সত্যি বলছেন ডক্টর।আমি নানু হবো।আজ আমি পুরো এলাকায় মিষ্টি খাওয়াবো।আপনি একদম চিন্তা করবেনা না।আজ থেকে কোনো অযত্ন হতে দিব না।আমি থাকতে আমার মেয়েকে আর কোনো চিন্তা করতে দিব না।বলে’ই ডক্টরের বিল মিটিয়ে ডক্টর কে এগিয়ে দিয়ে আসলো।
–এত খুশি হবার কিছু হয় নাই।ও তোমার নিজের মেয়ে না।শুধু শুধু টাকা খরচ করে মিষ্টি কেনার কি দরকার।টাকা গুলো নষ্ট হবে।
আহনাফ সাহেব চোখ গরম করে তাকালো মুনহাতার মায়ের দিকে।উনি মুখ ভেংচি কেটে চলে গেলেন।আহনাফ সাহেব শখের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
–চাচ্চু আমার সন্তানের জন্য তোমার কোনো টাকা নষ্ট করতে হবে না।এমনিতে-ই আমার জন্য যা করেছো তোমরা তার ঋন আমি কোনোদিন শোধ করতে পারবো না।
–কি রে মা এতটাই পর হয়ে গেছি।এখন আর আমাকে বাবা ডাকিস না।খুব বেশি অন্যায় করে ফেলছি।তার জন্য এতবড় শাস্তি দিচ্ছিস।আমাকে চাচ্চু বলে ডাকবি না।আমাকে বাবা বলে ডাকবি।আর একটা কথা শুনতে চাই না।রাহেলার কথায় কিছু মনে করবি না।আমি যতদিন বেঁচে আছি।তোকে কোনো বিপদ স্পর্শ করতে পারবি না।একদম চিন্তা করবি না।এখন তুই একা না।তোর ভেতরে ছোট একটা প্রান আছে।তুই কষ্টে পেলে।সে-ও কিন্তু কষ্ট পাবে না।তুই বস আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।বলে’ই উনি চলে গেলেন।আহনাফ সাহেব চলে যাওয়ার সাথে সাথে শখ পেটে হাত দিয়ে বলতে শুরু করলো।
–তোকে এখনি আসতে হলো।তোকে আমি রাখবো কই।তোর মা নিজে’ই অন্যের বাসায় থাকে।তুই আসলে তোকে আমি কোথায় রাখবো।কি খাওয়াবো।আমার মতো যদি তোর কপাল হয়।ভাবতে’ই শখের চোখে পানি এসে ভরে গেলো।আহনাফ সাহেব খাবার নিয়ে এসে।নিজের হাতে শখকে খাইয়ে দিয়ে চলে গেলো।যাবার আগে শখকে চিন্তা করতে নিষেধ করে গেলো।এজন্য-ই শখ তার বাবাকে বেশি ভালোবাসে।যে কাজ গুলো তার মায়ের করার কথা ছিলো।তার বাবা মা’য়ের দায়িত্ব গুলো নিজে কতোটা যত্ন সহকারে পালন করছে।
আয়ান নিজের রুমে বসে বসে বিরবির করছে।আয়ান কি করছে তা দেখতে এসে রুহি বললো।
–জেগে আছিস যে,ঘুমাস না কেনো।
–বউকে দেখার নেশা লাগছে।কতদিন দেখি না বলো তো আপু।
–তুই তো ওর মুখ দেখতে চাস না।তাই জন্য চলে গেলো।
–বাবা তার বউকে নিয়ে ঠিকি সংসার করছে।দুলাভাই তোমাকে নিয়ে সুখে সংসার করছে।আর আমি কপাল পোড়া ত্রিশ’টা বছর বউকে ছাড়া কাটিয়ে দিলাম।
–আয়ান তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।ত্রিশ বছর কই পাইলি।তিন মাস।
–তোমার কাছে তিন মাস হতে পারে আপু।আমার কাছে ত্রিশ বছরের সামান।আপু আমি বউয়ের কাছে যাব।আমার বউ আমাকে এনে দাও।
–নাটক করিস না তো আয়ান।থাকতে পারবি না।তাহলে ছেড়ে গেলি কেনো।জানিস না মেয়েটা কতটা একা।তুই ছাড়া মেয়েটা’র কেউ ছিলো না।তুইও ছেড়ে গিয়েছিলি মেয়েটাকে।বাচ্চা মেয়ে আর কতটা সয্য করবে।
–যেতে তো আমাকে হতোই।আর সয্য করতে হবে না।এখন আমার বউয়ের কাছে যেতে হবে।বউয়ের নেশা লাগছে।বউ এনে দিবে নাকি আমার বউ আমাকেই নিয়ে আসতে হবে।
–তোর বউ তুই নিয়ে আয়।আমি তোর বড় বোন হয়।লজ্জা সরম করতে শিখ।
–বউয়ের কাছে যাব।এখানে লজ্জা সরমের কি আছে।
তোর সাথে কথা বলা’ই বৃথা।
–হ্যাঁ সবাই বউ নিয়ে সংসার করছে।আর আমি বউয়ের কাছে যেতে চাইলেই দোষ।আয়ানের কথা রুহির কান পর্যন্ত পৌছালো না।
–এবার মনে হয় মরে-ই যাব।আর পারবো না। বউকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।কিন্তু বউ তো আমাকে এত সহজে মেনে নিবে না।আজ ঝগড়া করতে যাই।বলে’ই আয়ান গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো।
শখের ঘুম আসছে না দেখে শখ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আকাশে দিকে তাকিয়ে আছে।কিছু ভালো লাগছে না।একটু ঘুমোনোর চেষ্টা করা উচিৎ।ভেবেই রুমে চলে আসলো শখ।শখ চলে আসতেই আয়ান বেলকনিতে দিয়ে শখের রুমে চলে আসলো।হঠাৎ কাউকে দেখতে পেয়ে শখ চিৎকার করতে যাবে।তার আগে-ই আয়ান শখের মুখ চেপে ধরে শক্ত করে শখকে জড়িয়ে ধরলো।আয়নের মনে হচ্ছে।বহু বছর পরে তার দেহে আবার প্রান ফিরে পেলো।শখ নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দিলো।কিন্তু আয়ানের শক্তির সাথে না পেরে এক পর্যায়ে শান্ত হয়ে গেলো শখ।আয়ানের হাত হালকা হয়ে আসলে শখ নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে আয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
–আপনার সাহস কি করে হয়।আমাকে স্পর্শ করার।কে দিয়েছে আপনাকে অধিকার।আপনি তো আমার মুখ দেখতে চান না।তাহলে কেনো আসছেন।চলে যান।এখনি আমার বাসা থেকে চলে যান।
–আমার বউ,আমার শশুর বাড়ি।আমার যখন ইচ্ছে আসবো।
–আরে আপনি যাবেন নাকি সবাইকে ডাকবো।
–ডাকো।
শখ সাথে সাথে চিৎকার করে আহনাফ সাহেব-কে ডাকতে শুরু করলেন।কিছুক্ষণের মধ্যে-ই আহনাফ সাহেব,রাহেলা বেগম আসলেন।শখ গিয়ে দরজা খুলে দিলেন।
–কি হয়েছে মা।তুমি এত উত্তেজিত হয়ে গেছিস কেনো।
–বাবা তুমি এই লোক’কে এখনি আমার চোখের সামনে থেকে সরে যেতে বলো।আমি এই লোক’কে সয্য করতে পারছি না।
আহনাফ সাহেব আয়ান কে দেখে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো তারপরে বললো।
–আয়ান বাবা তুমি এতরাতে।কোনো সমস্যা হয়েছে।
তখন আয়ান দুঃখী ভাব করে আহনাফ সাহেব কে বললো।
–স্যার আমি আপনার কাছে,একটা বিচার নিয়ে আসছি।আশা করবো।আপনি এর সঠিক বিচার করে দিবেন।
শখ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আয়ানের দিকে।
–কি হয়েছে বাবা।আমাকে খুলে বলো।তখনি আয়ান আহনাফ সাহেবের হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললো।
–দেখুন স্যার।আমি তিন মাসের জন্য একটা কাজে বাহিরে গিয়েছিলাম।শখ আমার সাথে যেতে যেতে চেয়েছিল।আমি নিয়ে যাই নাই।সেজন্য আমাকে বাহিরে যাওয়ার পরের দিন ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিয়েছে।এটা কি ঠিক বলেন।ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে।
শখ আয়ানের দিকে হা করে তাকিয়ে।কি সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে।
–এই একদম বাজে কথা বলবেন না।আমি কোনো ডিভোর্স পেপার পাঠাই নাই।বরং আপনি পনেরো দিন পরে আমাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিয়েছেন।
–প্রমান দেখাও।শখ রুমে গিয়ে পেপারটি এনে আয়ানের হাতে ধরিয়ে দিলো।আয়ান বেশ অবাক হলো শখ সত্যি কথা বলছে।
–দেখছেন কে আসল অপরাধী।বাবা তুমি এর সঠিক বিচার করে দাও।আহনাফ সাহেব বোকা বনে গেলো।
–আয়ান বলছি কি বাবা।এটা তোমাদের ঠিক করে নেওয়া উচিৎ।বলে’ই চলে গেলো উনারা।
–আপনি মিথ্যা কথা বললেন কেনো।আপনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান নাই।সেজন্য আমি আপনাকে ছেড়ে দিব।
–তা নয় তো কি।কতদিন পরে বর-কে কাছে পেয়েছো।মন ভরে আদর করবে।তা-না করে আমাকে একা রেখে চলে আসলে।
–সবাই আপনার মতো স্বার্থপর না।
–শখ।
–চলে যান।আমাকে আমার মতো থাকতে দিন।
–তারমানে ডিভোর্স পেপার’টা তুমি পাঠিয়েছো।
–বিশ্বাস করুন আমি পাঠাই নি।
–তাহলে কে পাঠিয়েছে।
–আমি জানি না।আপনি-ও তো আমাকে পাঠিয়েছেন।
–তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।আমি কেনো পাঠাইতে যাব।আমি না তোমার ওপরে রাগ করে আছি।সেখানে ডিভোর্সের কোনো প্রশ্নই আসে না।
–চলে যান।
আয়ান ঠোঁট এগিয়ে দিয়ে বললো।চুমু দাও চলে যাচ্ছি।
শখ চো বড় বড় করে রাগি চোখ নিয়ে তাকালো।
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here