★★★ক্রাশ_যখন_বড়_আপু★★★
#লেখকঃআসিফ
~~~পর্ব-২~~~~
.
.
— আপনি করে বলবি,,,আর আপু বলে ডাকবি,,,কি নিধি নিধি করছিস।।বলবি নিধি আপু।(নিধি কি সত্যিই রাগ করে আছে,,তাহলে আমার কাছে কেন আইছে)
— সেটা ত আব্বু রাগের জন্য বলছে,,,(আমি নিধিকে বললাম)
— হুম বলছে,,,তর লজ্জা করে না,,,বার বার পরিক্ষায় ফেল করছস?(নিধি)
— নিধি তুই কি রেগে আছিস,,,আগে ত তুমি করে বলতি,,আজ তুই তুকারি করছিস।আমাকে আপু বলে ডাকতে বলছিস?(ব্যাথায় কাপা কাপা কন্ঠে বললাম)
— তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?(বল্লাম না নিধি আমাকে খুব ভালোবাসে,,,)
— নারে পাগলি তুই আছিস ত আমার পাশে,,,সব কষ্ট দুর হয়ে গেছে,?<(নিধির চোখে পানি)
-- তুমি বার বার কেন ফেল করো,,,,এবার থেকে ভালো করে পড়বা কথা দেও?(নিধি,,,আমার হাত তার হাতে রেখে বললো)
-- নিধি আমি আর লেখাপড়া করবো নারে,,,আমাকে দিয়ে হবে না।।।
-- কি বললি,,,তাহলে সারাজিবন বড় আপু বলে ডাকতে হবে,,,আর আমি তর সাথে কথা বলবো না।(নিধি কেটে যাওয়া অংশে তেল দিচ্ছিল,, তবে একটু জোরেই চাপ পড়ছে)
-- ওমাগো,,,নিধি তুই কি আমাকে মারতে আসছিস।।(ব্যাথা লাগছে খুব)
-- কি আমি আসলাম তোমার সেবা করতে আর তুমি বলো মারতে আসছি?) (নিধি চলে যাচ্ছে রাগ করে)
-- নিধি পেটে খুব ক্ষুধা সারাদিন কিছু খাইনি,,,ব্যবস্থা করে দিতে পারবি প্লিজ,,,।(নিধির হাত ধরে)
-- আগে বলবে তো,,,তুমি উঠে বসো আমি খাবার নিয়ে আসি?(নিধি খাবার আনার জন্য গেলো)
আসলে নিধি মেয়েটা সব সময় আমার পাশে থেকেছে,,,।আজ যদি নিধি না আসতো পেটের ক্ষুধায় মরে যেতাম। আর বাসার সবায় চায় আমার মত অপদার্থ মরে যাক।।
নিধি খাবার নিয়ে আসছে,,,
-- ধন্যবাদ নিধি,,,,<(নিধির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে)
-- হুম হয়েছে,,,এই নাও,,,,,?(প্লেটটা আমার হাতে দিয়ে)
আমি খেতে যাবো কিন্তু আমার ডান হাতে খুব ব্যাথা,করছে।।আব্বু ব্যাট দিয়ে যে আঘাত করছে,,,হাত ফুলে আছে।।আমি খেতে পারছিলাম না।।নিধির দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে আছি।
-- দেও আমিমি খাইয়ে দিচ্ছি।।(মেয়েটা কে যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।।মেয়েটা এত ভালোবাসে কেন আমাকে,,আর এত বেশি বুজেই বা কি করে)
নিধি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আমি খাচ্ছি,,,আর নিধির দিকে তাকিয়ে আছি,,,।এই মেয়ে যার বউ হবে সে ছেলের জিবন ধন্য,,,।বউ ত আমার ই হবে।
কিন্তু নিধিতো ভাই হিসেবেও এসব করতে পারে,,,,। তাহলে কি না বলা কথাটা বলে দিবো,,,
খাওয়া শেষ,,
-- নিধি তুই ছাড়া কেউ আমাকে ভালোবাসে না,,জানিস?(নিধিকে বললাম)
--তোমাকে সবাই ভালোবাসে,,,কিন্তু তোমার উপর সবার রাগ রয়েছে।,,ভালো হয়ে যাও সবাই ভালোবাসবে।(নিধি)
-- তুই ত এইই খারাপ টাকেই ভালোবাসিস।।
-- হুম হয়েছে,,,ব্যাথার মলম লাগিয়ে দিচ্ছি ঘুমিয়ে পরো।।।(নিধি রুমের লাইট অফ করে চলে গেলো)
ঘুমিয়ে পরলাম,,,খাওয়া শেষ করে,,,,সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারছিলাম না,,,শরিরের ব্যাথায়।।
সকাল প্রায় ১০ টা,,,কোনো রকম উঠে দাড়িয়েছি।।।পায়েও খুব ব্যাথা খুরিয়ে খুরিয়ে হেটে ফ্রেশ হয়ে,, রুমে সুয়ে আছি।
আজ কেউ আসছে না,,,নিধিও না,,
মোবাইল্টা খুজে পাচ্ছি না,,,,,
কাল রাতে মাইরের চুটে মোবাইল কই পরে গেছে কে জানে,,,,
নিধিকে ডাক দেই,,,
-- নিধি,,,অই নিধি,,,কই তুই আমার মোবাইলটা কোথায় দেখছিস,,(রুম থেকেই চিল্লাইয়া বললাম)
-- অই অপদার্থ তুই কাকে,,,তুই তুকারি করছিস,? নিধি তর সিনিয়র,,,,আপু বলে ডাকবি,,,নয়ত,, এ বাসা থেকে বের করে দিব? <(আম্মু)
-- আম্মু তুমিও,,,তুমি বলো সবাইকে দিয়ে কি সব কাজ হয়?(আম্মুকে বললাম)
-- কি হয় না,,,চাইলেই সব পারা যায়?(আম্মু)
-- নিধি আমার থেকে ছোট,,, আমিমি ফেল না করলে ত,,এক ক্লাস উপরে থাকতাম,,, (আম্মুকে বুঝানোর চেস্টা)
-- লজ্জা করে না তর,,,এই নিয়ে তিন বার ফেল করছস বলতে?
-- আম্মু আমি ক্রিকেটার হতে চাই,,,এটা আমি খুব ভালো করতে পারি?
-- বাধা দিছে কে? কিন্তু লেখাপড়া সবার আগে?(আম্মু আমাকে বুঝাচ্ছে)
-- কিন্তু,,,মন ত বসে না?
-- সোন আসিফ,,তর জন্য তর বাবা আমাকে অনেক কথা সুনাচ্ছে,,,আমি শেষবারের মত সুযোগ নিয়ে এসেছি,,,।আর আমি কথা দিয়েছি, তুই অনেক ভালো কিছু করবি।(আম্মুর কথা সুনে নিজেকে অপরাধি মনে হলো,,,আম্মু কেন আমার জন্য কথা সুনবে)
--আচ্ছা আম্মু নিধিকে দেখেছো?
-- নিধি কলেজে গেছে?(আম্মু চলে গেলো)
নিধি এবার ইন্টার ২য় বর্ষে,,,নিধি লেখাপড়ায় খুব ভালো,,,আর দেখতে পরীর লাহান।।কিন্তু নিধি সাজেনা কোনো কারন ছাড়া,,।এমনে তেই নিধিকে যেই দেখে সেই পছন্দ করে ফেলে,,।আর সেজে গুজে আসলে তো চোখ নামানো যায় না।।নিধি খুব ভালো গান গায়।।যার গানে বাসার সবাই মুগ্ধ।।আমাদের পরিবারে,,,চাচা,,,আব্বু,আম্মু সবাই নিধিকে খুব পছন্দ করে? নিধি হলো সকলের চোখের মনি।
আর আমি হলাম,,,সবার চোখের বিষ,।আসলে প্রথমবার যখন ফেল করি,,,,সবাই বলেছে ব্যপার না পরেরবার ভালো হবে।।লাস্ট দুবছর আমার জিবন উঠতে বসতে শুধু অপমানিত হয়ে যাচ্ছে।।।
নিধির আম্মু মারা গেছে সেই ছোট বেলায়,,,যখন নিধি ক্লাস ফাইভে পরে,,,।আর নিধির আব্বু ব্যবসার কাজে দেশের বাহিরে থাকতে হয়।।
তাই নিধি আমাদের সাথেই থাকে।।আম্মু নিধিকে খুব ভালোবাসে,,,নিজের মেয়ের মতো।।নিধি আম্মুকে বড় আম্মু বলে ডাকে।।
আমাকেও আমারর আম্মু,,আব্বু এতটা ভালোবাসে না যতটা,, নিধিকে বাসে।।কিন্তু আমারর হিংসে হয়না কারন,,নিধিও যে আমাকে খুব ভালোবাসে।আর আমিও।।
বাসার পরিবেশটা খুব ঠান্ডা হয়ে আছে।।,,
আম্মু রুমে খাবার দিয়ে গেছে।।খেয়ে ঘুমিয়ে রইলাম কিছুক্ষন।।।
নিজের মধ্যে কেমন রাগ চলে এসেছে,,,এবার ভালো করে লেখা পড়া করবো।।,,সোজা গিয়ে আব্বুকে বললাম,,,
-- আব্বু আপনি আপনার এই অপদার্থ ছেলেকে আরেকবার সুযোগ দিয়ে দেখেন,,,সে অনেক ভালো করে লেখাপড়া করবে?
-- নিজের মধ্যে এই রাগ টা ধরে রাখিস বাবা।।(আব্বু আমার কথা সুনে মুচকি হেসে বললো,,)
আব্বুর কথা সুনে মন ভালো হয়ে গেছে। নিধি দেখি খুব রাগী চেহারা নিয়ে বাসায় ডুকছে,,,সোজা গিয়ে নিজের রুমে,,,আমিও পিছু নিলাম।
-- নিধি রেগে আছিস কেন? কি হয়েছে?(নিধিকে বললাম)
-- কিছু না,,,(মাথা নিচু করে)
-- আমি খুব বুঝতে পারছি,,,কিছু একটা হয়েছে?তর কি টাকা হারিয়ে গেছে?(নিধির প্রায় সময় টাকা হারিয়ে যায়।।মানে আমি চুরি করি।নিধি ভালো করেই জানে এই কাজ আমার।তাই আব্বুর কাছে এসেই নালিশ করবে,,আর আমার সাথে রাগারাগি)
কিন্তু আজ ত টাকা নেয় নি,,,আব্বুর কাছেও কিছু বলেনি,,,তাহলে কি অন্য ব্যাপার।।
-- আমাদের এলাকার গুন্ডা ছেলেটা আছে না,,,রাসেল? এই গুন্ডা আমাকে উল্টা পাল্টা বলেছে।(নিধির কথা সুনে মাথায় রক্ত উঠে গেলো)
-- তুই বস একটু,,,(আমি খুরাতে খুরাতে,,,রাসেলের কাছে গিয়ে দেখি বাইকে বসে আছে)
,,
বন্ধুবান্ধব সব গুলারে নিয়া গেছি,,,।।গিয়ে কোনো কথা নাই,,,যতক্ষন মন চায় উরাধুরা পিঠাইছি।।,,
রাসেলের বাপে পুলিশ,, তাই তার পাখা গজাইছে,,,রাস্তায় বসে মেয়েদের টিজ করে।আজ নিধিকে করছে।।,,রাসেলকে ধরে বেধে বাসার সামনে নিয়ে আসলাম।
-- নিধি এদিকে আয়?(নিধিকে ডেকে আনলাম)
-- মাফ চা,,বল আর কখনো এমন করবি না।।(রাসেল কে তার চুলে ধরে বললাম)
-- মাফ করে দেন,,আর হবে না।।(রাসেল)
-- শুধু নিধি না কাউকে টিজ করবি না,,,যা সালা,,,(ছেড়ে দিছি রাসেল দৌরে পালাচ্ছে।
আব্বু এসে আমাকে,,,, কসিয়ে চর মেরে দিলো।।
.
.
চলবে.....