অবাধ্য_বাঁধনে #পলি_আনান [পর্ব সংখ্যা ২২ক]

0
600

#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ২২ক]
_____________________
এত করে বোঝানোর পরেও অনুর প্রতি ঈশার তিক্ততা ছাড়াতে পারলো না ঈশান।কত ভাবে কত কি বলে যে বুঝিয়েছে তার ইয়াত্তা নেই।যত যাই হোক এই মেয়ে নিজের জেদে অনড়।ঈশান মনে মনে হাসলো এই জীবনে কাউকে এভাবে বুঝিয়েছে বলে তার মনে হয় না।একবার কি দুইবার এর পরেও যদি কেউ কোন ব্যপারে না মানে তবে ঈশানের তান্ডব শুরু হয়।আশেপাশে যা আছে ভাঙ্গতে থাকে।অথচ ঈশার ক্ষেত্রে সে নিশ্চুপ,তার মাঝে রেগে যাওয়া কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না।রুদবা,রেদোয়ান ফটো বুথে ছবি তুলছে তাদের সাথে যোগ দিয়েছে রুমা।ঈশা ঈশান একই টেবিলে বসে আছে দুজন দুজনার মুখোমুখি।ঈশা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে ফোনের স্কিনে।অনু একের পর এক মেসেজ দিয়ে যাচ্ছে আর ঈশা সবটা সিন করে ফেলে রাখছে।মেসেজ সিন করে রেখে দেওয়া অপর পক্ষকে শায়েস্তা করার মাঝে এই ব্যপারটা আলাদা মজার একটা পৈশাচিক আনন্দ দেয়।অনুর অনুনয় বিনয় কোনটাই ঈশার মান ভাঙালো না।ঈশার দৃষ্টি যখন ফোনের স্কিনে ঈশানের দৃষ্টি তখন ঈশার দিকে।সে মনে মনে ভাবছে এই মেয়ে এত ত্যাড়া এত জেদি কি করে বনিবনা হবে তার সাথে।ঈশান যখন রেগে যায় জেদ ধরে তখন সে চায় অপর পাশের ব্যক্তিটি তার কাছে ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুক অপরদিকে ঈশা তার উলটো।ফোনটা পাশে রেখে চোখ তুললো ঈশা দোতলার কাচ গলিয়ে বাইরের সবটা দেখা যাচ্ছে।রেস্টুরেন্টের বাইরে চারজন বডিগার্ড দেখে ভ্রু কুচকে এলো তার।এরা তো তখন ছিলো না তবে?

” যেখানে যান সেখানে এই গার্ড গুলো নিয়ে যান।ওয়াশরুমে যাওয়ার আগেও কি নিয়ে যান?”

ঈশার ব্যাঙ্গাত্মক কথায় কান দিলো না ঈশান।মাথা ঘুরিয়ে একবার তাকালো গার্ডেদের দিকে।

” আশেপাশে সামনে পিছনে শক্রুরা দল বেঁধে আছে এসবের কারনে সেফটি দরকার।তোমার গোবর মাথায় এসব ঢুকবে না।”

” আপনি কি মন্ত্রী মিনিস্টার এত শক্রু এত নিরাপত্তা কিসের?যাই হোক আমার নাক না গলালেও চলবে।”

” নাক গলিয়ে এখন বলছো না গলালেও চলবে হাসালে।যাই হোক অনুকে কষ্ট দিও না।”

” খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?অনুর কষ্ট কমাতে আপনার ভাই আছে তাকে বলুন।”

” তুমি এত জেদি কেন বলবে?”

” আমি মোটেও জেদ করছি না বরং আমি উচিত কাজটাই করছি।রাসেল আপনার ভাই বন্ধু সে আপনার সব কথা যানে অথচ সে যদি আড়ালে বিয়ে করে নেয় তবে আপনার কাছে কেমন লাগবে?সহ্য করতে পারবেন আপনি?”

” বিয়ে আর প্রেম এক বিষয় নয়।”

” অনু যদি বাইরের কোন ছেলের সাথে প্রেম করতো আমি কখনো এতটা রিয়েক্ট করতাম না।রাসেল ভাই আর আপনার সাথে আমাদের বেশিরভাগ সময় দেখা সাক্ষাৎ হয় সবচেয়ে বড় কথা আপনার সাথে আমার যখন যা হয়েছে শুরু থেকে শেষ সবটা আমি অনুকে বলি আমার তো কোন দ্বিধা থাকে না তবে সে কী করে পারলো আমার সাথে এমনটা করতে।হয়তো আমি তাকে যতটা মূল্যায়ন করেছি সে আমাকে ততটাও করেনি।”

ঈশা থামলো এসব কথা ভাবতেই তার কান্না আসে ঈশান পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিলো তার দিকে। মেয়েটা ঢকঢক শব্দে পুরো পানিটা শেষ করলো।রুদবা ততক্ষনে এগিয়ে এলো ঈশার কাছে টেনে নিয়ে গেলো তাকে ফটো বুথের সামনে।

” ঈশা মনি তোমার সাথে ছবি তুলা হয়নি।”

” আমি ছবি তুলবো না তুমি তুলো রুদবা।”

” এ কথা শুনছি না দাঁড়াও চুপটি করে দাঁড়াও।”

ঈশা দাঁড়ালো তাদের ছবি তোলার মাঝে তিয়াশ এসে উপস্থিত।তিয়াশকে ইনভাইট করেছে রুমা।তিয়াশকে দেখে সবাই খুশি হলেও ঈশানের মুখে কালো মেঘের দেখা মিললো।ফটো বুথ ছেড়ে সবাই টেবিলে বসলো তিয়াশ ঝটপট ঈশার পাশে বসে একগাল হাসে।
রেদোয়ান সবার জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে পুণরায় আড্ডায় মত্ত হয়।তিয়াশ ঈশাকে বলে,

” ঈশা তোমার সাথে দেখা হয়েছে অনেকদিন পর।কেমন আছো তুমি?”

” বেশ ভালো আপনাকে তো অনলাইনে পাওয়া মুশকিল।”

” কাজের চাপটা বাড়ছে বুঝতেই পারছো।”

ঈশা মাথা নাড়ায়।ঈশান স্থির নয়নে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে ভেবেছিলো দুজন একসাথে কিছুটা সময় কাটাবে কিন্তু এই তিয়াশ এসে সবটা ঘেটে ঘ করে দিলো।ঈশান রুমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালো রুমাও চোখ ঈশারায় জানতে চাইলো কি হয়েছে কিন্তু ঈশান প্রত্যুত্তর করলো না।বরং ফোন বের করে পুণরায় গেমস খেলতে থাকে।আধা ঘন্টার মাঝে সব খাবার চলে এসেছে সবাই খাওয়ার পাশাপাশি টুকটাক কথা বলছে।শুধু মাত্র মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে ঈশা।হঠাৎ শরীরটা কেমন খারাপ লাগছে।হাতে পায়ে ব্যথা অনুভব হচ্ছে, মাথাটা ভারী লাগছে গলা দিয়ে যতটুকু খাবার গিলছে তা বেরিয়ে আসতে চাইছে বারংবার।তবুও সবার সামনে ভদ্রতার খাতিরে একটু একটু খাবার মুখে তুলছে ঈশা।রেদোয়ান খুশি মনে এটা ওটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।ঈশার এই নিশ্চুপ হওয়ার কারণ জানতে চোখ ইশারায় কথা বলে দুজনে।ঈশা হাত ইশারায় কপালে হাত রাখে ঈশান সহজে বুঝে নেয় ঈশার জ্বর এসেছে।
প্লেটের খাবার খানিকটা শেষ করে গা ছেড়ে বসলো ঈশান।তখন মাগরিবের আযান পড়েছে সবাই সবার কথা বলা থামিয়ে দিয়েছে।

” আমাকে উঠতে হবে রেদোয়ান ভাইয়া।”

” সে কি কথা খাবার শেষ করেছো? করনি এক্ষুনি শেষ করো।এত খাবারের অর্ডার কি একা আমার জন্য দিয়েছি তোমার জন্যে দিয়েছি।”

” আমি যদি পারতাম খাবারটা শেষ করে যেতাম অনেক সুস্বাদু ছিল খাবারটা আমি বরং আরেকদিন আসবো।”

ঈশান দাঁড়িয়ে যায় ঈশাকে উদ্দেশ্যে করে বলে,

“তোমাদের বাসার রাস্তা দিয়ে যাবো এখন কি আমার সাথে যাবে?”

ঈশা এই সময়টা অপেক্ষা করছিলো জুসের গ্লাস থেকে এক চুমুক জুস মুখে তুলে দ্রুত পায়ে দাঁড়িয়ে যায়।

” হ্যা হ্যা যাবো সন্ধ্যা হয়ে গেছে আব্বু জানলে বকবে আমাকে এক্ষুনি বাসায় যেতে হবে।”

রুমা ভীষণ রেগে গেলো।ঈশার হাত ধরে অভিমান সুরে বলে,

” আমরা নামিয়ে দিবো তোমায় প্লিজ ঈশা যেও না।”

” আপু আজ যাই এই ছোট্ট পেটে আর কতটুকু খাবার যাবে বলো।আমি পেট ভরে খেয়েছি।”

তিয়াশ ঈশানের দিকে একপলক তাকালো ঈশার যাওয়ার এত তাড়া কিসের তার বুঝে এলো না।রুমার সাথে আছে জানলে নিশ্চয়ই ঈশার বাবা বকবেন না।

” ঈশা আমি তোমার পৌঁছে দেবো আর আধা ঘন্টা থাকো।”

তিয়াশের এই বাড়াবাড়িটা মোটেও পছন্দ না ঈশানের।ভেতরটা রাগে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে।মেয়ে মানুষ দেখলেই আদর আদর কথা বের হয় অসহ্যকর লোক।

” মিস ঈশা আপনি না গেলে আমি গেলাম।”

ঈশান পা বাড়ালো ঈশা রুমাকে বুঝিয়ে ছুটলো ঈশানের পেছন পেছন।সবার আড়াল হয়ে ঈশান ধরলো ঈশার হাত।

” এত ছুটছো কেন?জ্বরটা বেড়েছে না।”

” দয়া করে জলদি হাটুন আমার ভীষণ খারাপ লাগছে গাঁ’টা কেমন করছে।”

” জ্বর হলে আসার কি দরকার ছিলো?”

” ভেবেছিলাম ওষুধ খেয়ে বের হবো কিন্তু ভুলে গেছিলাম।”

ঈশান প্রত্যুত্তর করলো না ঈশার হাত ধরে চলে গেলো পার্কিং জোনে গাড়ি নিয়ে চললো দ্রুত।তার মাঝে কল করে রাসেলকে গাড়ি থামিয়ে কল রেখে দুইজনের মাঝে কয়েক মিনিট মেসেজে কথা হয়।
ঈশা সিটে গা এলিয়ে বাইরে চোখ রাখলো তীব্র গরমে সবার যখন ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা তার এই মুহূর্তে ভীষণ শীত লাগছে।জ্বর এলে এই এক সমস্যা শীতকাল গরমকাল সব কাল মিলেমিশে এক হয়ে যায়।

” তিয়াশের সাথে এত কথা কিসের হ্যা?আমি এসব বরদাস্ত করবো না।”

” কেন করবেন না তিয়াশ ভাই কি আপনাকে কামড়েছে?”

” কামড়ালেও এতটা অসহ্য লাগতো না তোমার সাথে কথা বলতে দেখলে যতটা লাগে।”

ঈশা চুপ হয়ে যায় ঈশান যে ঈর্ষান্বিত হচ্ছে ঈশা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারছে।ধীরে ধীরে অন্ধকার নামছে আলোময় শহরটায়।ঈশার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে জ্বরের প্রকপ ধীরে ধীরে বাড়ছে।ঈশান গাড়ি থামায় বহুতল ভবনের সামনে।ঈশা চটপট মাথা তুলে তাকায় এটা তো হসপিটাল!

” আমরা এখানে এসেছি কেন?”

” সিনেমা দেখতে।”

” দেখুন আপনি আপনার সিনেমা আমায় বাসায় দিয়ে আসুন প্লিজ ঈশান।”

ঈশান প্রত্যুত্তর করলো না পার্কিং জোনে গাড়ি রেখে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যায়।আশেপাশে মানুষের অভাব নেই হসপিটাল মানেই ব্যস্তময় স্থান।ঈশাকে দ্রুত নামতে ইশারা করলো ঈশান।তবে ঈশার মনে জেদ চেপেছে সে কিছুতেই নামবে না গাড়ি থেকে।

” কি হলো নামছো না কেন?”

” আমায় বাসায় দিয়ে আসুন এরপর আপনার যা ইচ্ছে করুন আমি বাঁধা দেবো না।”

ঈশান দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে ঈশাকে নামায়।হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় হসপিটালের ভেতর।লিফটে উঠে উপরে যাওয়ার জন্য বাটন প্রেস করে।আশেপাশে অনন্য মানুষজন আছে বিধায় এখানে কথা বাড়ালো না ঈশা।চতুর্থ তলায় উঠতে রাসেলের সাথে দেখা হয় দুজনের।

” আমরা এখানে এসেছি কেন ঈশান, কার কি হয়েছে?”

” তোমার।”

” আমার মানে?”

” এখন ডাক্তারের কাছে যাবো সিনক্রিয়েট একদম করবে না।”

” এসব আদিখ্যেতা একদম ভালো লাগছে না ঈশান।”

” আমার ভালো লাগছে এরপর আরো বেশি বেশি আদিখ্যেতা করবো।”

ঈশা চুপ হয়ে যায় রাসেল হাসছে দুজনের কান্ডে।ঈশাকে পেয়ে মনে চলতে থাকা হাজার খানেক কথা উগড়ে ফেলে সে।

“অনুর সাথে কথা না বলে রাগ ঝারছো তুমি।আর অনু রাগ ঝারছে আমার উপর।”

” আমি কারো উপর রাগ ঝারছি না।”

” মানুষ মাত্র ভুল আমি অনুকে বারণ করেছি আমাদের সম্পর্কের কথা না জানাতে তাই সে জানায়নি।”

” ওহ আচ্ছা এত বছরের বন্ধুত্বের ভরসা আপনার এক আদেশেই পালটে গেলো।আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছিলাম।”

” তোমার আর ঈশানের সম্পর্ক ভালো ছিল না তাই আমি….”

” সরি রাসেল ভাই আমার এখন এসব কথা শুনতে একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না।”

ঈশার দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট ইচ্ছে তাই সরে গিয়ে বসলো।ঈশান চোখ ইশারায় রাসেলকে চুপ থাকতে বললো।রাসেলের পাংশুটে মুখ দেখে ঈশান বলে,

” তুই এত ভেঙ্গে যাচ্ছিস কেন?কয়েকদিন ঈশাকে সময় দে কিছুটা সময় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

ঈশাকে নিয়ে ডাক্তার চেম্বারে গেলো ঈশান।বেশ কিছুটা সময় পর ঈশাকে নিয়ে ফিরলো সে।সব ওষুধপত্র কিনে সঙ্গে কিছু ফল কিনে নিলো।তাদের কাজ শেষ হতে রাত প্রায় আটটা বেজে গেলো।এদিকে ঈশার মা একের পর এক ফোন করে যাচ্ছেন মুজাহিদ হাসান আজ মেয়ের উপর ভীষণ ক্ষেপেছেন সেই সন্ধ্যায় বলেছে বাসায় ফিরছে অথচ এখন আটটা বাজতে চললো।

৪৪.
বাসায় ফিরতে ফির‍তে ঈশার শরীরে জ্বর তীব্র ভাবে বেড়েছে।দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে হাতে ওষুধ ও ফলের প্যাকেটটা নিয়ে গেটের ভেতর চলে যায় সে।ঈশান গাড়ির চাবিটা নিয়ে বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে আসে ঈশার কাছে, ঈশা ঈশানের দিকে তাকালে সেদিকে মন না দিয়ে দ্রুত ঈশার হাত থেকে প্যাকেট গুলো নিয়ে নেয় ঈশান।

” এখানে কি করছেন আপনি?”

” চলো বাসায় দিয়ে আসি তোমায়।”

” প্রয়োজন নেই আপনি এখান থেকে চলে যান বাবা মা দেখলে আমায় হাজারটা প্রশ্ন করবে।”

” আমি আছি তো সব ক্লিয়ার করে দেবো চলো চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।”

বেল বাজাতে দরজা খুলেন সুলতানা।ঈশাকে দেখতে পেয়ে গলা তুলে চিৎকার করে বকতে থাকেন তিনি কিন্তু যখনি ঈশানকে দেখতে পান তখনি চুপসে যান।

” আসসালামু আলাইকুম আন্টি ভালো আছেন?”

সুলতানা ঠোঁট ইশারায় সালাম নিলেন।ঈশা ছোট ছোট পা ফেলে সোফায় গিয়ে বসে মাথাটা ভীষণ যন্ত্রণা করছে।মুজাহিদ হাসান ততক্ষণে উপস্থিত দরজার সামনে ঈশানকে দেখে চমকে গেলেও হাসি মুখে গ্রহণ করে তাকে।

” হঠাৎ এলে?ভেতরে আসো।”

” আসতে তো চাইনি আপনার মেয়ে বাধ্য করেছে আসতে।”

ঈশা চমকে তাকালো।ঈশান কি বলছে এসব সুলতানা তার দিকে কেমন দাঁত খিঁচিয়ে তাকিয়ে আছে।

” আমার মেয়ে?”

” রুমা আপু ওঁকে সাথে করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় বের হওয়ার সময় বাঁধে বিপত্তি আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যায় তারপর আর কি ছুটোছুটি করে হসপিটাল নিয়ে যাই আমরা।রুমা আপু আসতে চেয়েছিলো কিন্তু রুদবা ছোটো তো ঈশার অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গেছে ভীষণ কান্নাকাটি করছে তাই আমি নিয়ে এলাম ওঁকে।”

সুলতানা বিচলিত হলেন দ্রুত গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে।

” মা কি হয়েছে তোর ঘুরে পড়লি কেন?”

ঈশা জবাব দিলো না সবটা যখন ঈশান মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে তখন বাকিটাও সে দিক।

” ওঁর শরীরে জ্বর ডাক্তার বলেছে ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে খুব শীঘ্রই সেরে যাবে।”

ঈশানের কথা শেষ হতে ঈশা কপট রাগ দেখিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে বলে,

” ডাক্তার আরেকটা কথা বলেছে মিথ্যুকদের সাথে কম মেলামেশা করতে।”

এই কথার মাধ্যমে ঈশা যে ঈশানকে টিপ্পনী কেটেছে তা বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারলো ঈশান।ঈশা উঠে চলে গেলো নিজের রুমে।মনে মনে হাসলো ঈশান।

” আমি মিথ্যুক হলে তুমি মিথ্যুকের বউ মিথ্যুকনী হুহ।”
#চলবে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here