অবাধ্য_বাঁধনে #পলি_আনান [পর্ব সংখ্যা ২৪ক]

0
588

#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ২৪ক]
___________________
৪৯.
সম্পর্কের শুরুতে অনুকে যতটা সহজ সরজ ঠান্ডা মাথার ভেবেছিলো সম্পর্ক যতটা গভীর হলো রাসেলের ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে অনুর আসল রূপ বেরিয়ে এলো।মেয়েটা শান্ত সহজ সরলের লেবাস ধরে থাকলেও মেয়েটা প্রচন্ড অশান্ত,রুক্ষ,জেদি এবং রাগী।কিছুক্ষণ আগে ছেলে পক্ষের একটি মেয়ে হাত ইশারায় রাসেলকে হাই জানায় রাসেলের চোখে চোখ পড়ায় সেও হাত তুলে হাই জানায় বিষয়টা এখানে শেষ ছিলো কিন্তু শেষ হতে দিলো না অনু।মেয়েটা এই ব্যপার নিয়ে ভীষণ রেগে আছে রাসেল তাকে কিছুতেই মানাতে সক্ষম হচ্ছে না।না পেরে অনুর পাশে চুপচাপ বসে পড়লো সে।অপরদিকে অনু রাগে ফোঁপাচ্ছে বিড়বিড় করে রাসেলকে বেশ কয়েকটা গালিও দিলো।

” সামান্য একটা বিষয় নিয়ে এত রাগ বেমানান অনু।”

” সামান্য!এটা সামান্য লাগে তোর কাছে?”

” তুই তুকারি করছো কেন?”

” বেশ করেছি।”

” এখনি আমাকে সম্মান দিচ্ছো না বিয়ের পর তো…”

” বিয়ে?কে করবে তোমায় আমি?তোমার সাথে আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ।”

” অনু প্লিজ এসব বলে না।”

রাসেলের অনুর মাঝে ছুটে আসে ঈশা বসে যায় অনু আর রাসেলের মাঝের চেয়ারটায়।হঠাৎ ঈশার আগমনে থতমত খেয়ে যায় রাসেল।

” তোমার আবার কি হলো?আমাদের মাঝে কাবাবে হাড্ডি হচ্ছো কেন?”

” সর্বনাশ হয়ে গেছে রাসেল ভাই।এবার আমি কি করবো পা গ লা ষাড় ক্ষেপেছে।”

” কে ঈশান?”

” হুম ভীষণ ক্ষেপেছে।”

” করেছো কি তুমি?”

ঈশা পুরো ঘটনাটা খুলে বললো তার কথা শুনে কিঞ্চিৎ হাসলো রাসেল
চেয়ারে গা এলিয়ে বলে,

” মাত্র শুরু এর শেষ কোথায় জানা নেই।”

” মানে? কি সব বলছেন।”

” আমি ঈশানের বন্ধু ছিলাম আমি জানি সে কেমন।ছোট থেকে আমি কোন বন্ধু বানাতে পারিনি আমার কোন বন্ধু ছিলো না।আমার আশেপাশে কাউকে ঈশান সহ্য করতো না তার একটাই কথা যেখানে সে আমার জীবনে আছে সেখানে আর কোন বন্ধু থাকতে পারবে না।তারপরেও ক্লাসের কিছু ছেলে মেয়ের সাথে আমার ভাব হয় ঈশান তাদের রেহাই দেয়নি মারামারি ঝগড়া কোন অংশে কম করেনি আমিও সবটা মেনে নিলাম মানিয়ে নিলাম। ঈশান হয়ে উঠলো আমার বন্ধু আর ভাই।এই যে অনুর সাথে সম্পর্কের প্রায় একবছর হতে চললো আগে থেকে আমি ঈশানকে কিছু বলিনি কারণ সে যদি আবার অনুর ক্ষতি করে দেয়।আমার পালা শেষ এবার তোমার পালা।”

” আমার পালা মানে?তাই বলে আমি আমার কাজিনদের থেকে দূরে থাকবো?”

” ঈশান একগুঁয়ে স্বভাবের সে যখন বলেছে ওদের সাথে বেশি মিশতে পারবে না তখন পারবে না।তুমি যদি কথা না শুনো তবে দেখবে জল কত দূর গড়ায়।”

” কি বলেন এমন স্বভাবের মানুষের সাথে সারা জীবন থাকার প্রতিজ্ঞা করেছি আমি ,ওনার সাথে সারাজীবন থাকা অসম্ভব।আমি পারবো না।”

” এসব এখন বলে লাভ কী?তুমি সম্পর্ক ভাঙতে চাও?একবার মুখ থেকে বের করে দেখো তান্ডব চলবে।তার থেকে ভালো ঈশানের সাথে এই ব্যপারে ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করো।”

“হুম।”

ঈশা উঠে দাঁড়ায় হঠাৎ তাদের মাঝে অয়ন আবার উদয় হয়।ছেলেটা আগের বারের ন্যায় ঈশার কোমড় জড়িয়ে ধরে।অয়নের এমন আচরণে অবাক না হয়ে পারলো না ঈশা।অয়ন ভাই কখনোই এমন ছিলেন না এতটা বেয়াদবি করার সাহস তো কখনো করেননি হঠাৎ তার কী হলো।অনু অবাক হয়ে দেখছিলো সবটা।ঈশা ঝটকায় হাত ছাড়ায় অয়নের।

” কি হচ্ছে কি অয়ন ভাই?আপনি হুট হাট এভাবে ধরছেন কেন?”

” অনুষ্ঠান শেষ পর্যায়ে সবাই ডান্স করবে চলো আমরাও করি।”

” আপনার ইচ্ছে থাকলে অন্য কাউকে খুঁজে নাচতে থাকেন গাইতে থাকেন খবরদার পুণরায় আমায় এভাবে জড়িয়ে ধরবেন না বাবার কাছে নালিশ করতে একটুও সময় নেবো না।”

” ঈশা তুমি..”

ঈশা চোখ রাঙায় অয়ন মাথা নেড়ে চলে যায় সেখান থেকে।আশেপাশে ছেলে পক্ষের কিছু মানুষ তার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে মন চাইছে ঈশার।অনু উঠে দাঁড়িয়ে ঈশার হাত ধরে।

” অয়ন ভাইয়ের আচরণ মোটেও স্বাভাবিক লাগছেনা ঈশা।তখনো তোকে কেমন করে ছুঁয়ে দিয়েছে ঈশান ভাইয়ের রেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক।আমার নিজেরি কেমন রাগ লাগছে তুই সাবধানে থাকিস।ঈশান ভাইকে দেখছি না যে উনি কোথায়?”

” আমার সাথে রাগ দেখিয়ে বেরিয়ে গেছে।”
.

হলুদের অনুষ্ঠন শেষ হলো মধ্যরাতে বাড়ির মুরব্বিরা সবাই নিচে চলে গেছেন।অনন্য সদস্যরা ছাদে অপেক্ষা করছে কখনো ডান্স শুরু হবে।পুরো ছাদটা অন্ধকার করে পার্টি লাইট গুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।গান শুরু হতে সবাই সবার নাচ নিয়ে ব্যস্ত ঈশা অনু এক সাথেই ছিলো রাসেল তাদের পাশে ছিলো সবার নাচের তালে তালে অয়ন কিছুটা ঈশার পাশ ঘেষে দাঁড়ায়।বিষয়টা বুঝতে পেরে রাসেল ঈশাকে সরিয়ে দেয় এবং সে অয়নের পাশে দাঁড়ায় বিষয়টা বুঝতে পেরে তাচ্ছিল্য হাসে ঈশা অনু।নাচের তালে তালে সবাই যখন ঘোরের মাঝে ছিলো তখনি ঈশার হাত টেনে ধরে কেউ।চমকে পাশে তাকাতে আবছা আলোতে ঈশানকে দেখতে পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়।আশেপাশে পরখ করে ঈশার হাত টেনে নিয়ে যায় ঈশান ছাদের এক সাইডে প্যান্ডেল করা হলেও অন্য সাইড ছিলো সম্পূর্ণ ফাঁকা সেদিকে তেমন কোন আলো ছিলো না।ঈশাকে রেলিঙের পাশে দাঁড় করিয়ে তার মুখোমুখি দাঁড়ালো ঈশান বাম হাতে জলন্ত সিগারেটটায় নজর এড়ালো না ঈশার।

” আমাকে নিয়ে এলেন কেন?”

” অনেক হয়েছে আর না আর সহ্য করতে পারছি না।”

” কি বলছেন আপনি?”

” শু য়ো রটা তোমাকে আবার ছুঁয়েছে কি ভেবেছিলে আমি চলে গেছি?কিচ্ছু দেখতে পাইনি?”

” ঈশান আমার…”

” চুপ, একদম চুপ ডান্সের সময়েও ও তোমার পাশে এসেছিলো সেটাও আমি স্পষ্ট দেখেছি।তারপরেও বলবে এরা তোমার ভাই?”

” সবাই এক না উনি…”

” মানলাম সবাই এক না কিন্তু আমি যেটা চোখের সামনে দেখেছি সেটা ভুলবো কি করে?”

ঈশানের কথা এলোমেলো হয়ে এলো বাম হাতের সিগারেটটা বেঘোরে টানছে সে ডান হাতে শক্ত করে ধরে আছে ঈশার হাত।ঈশা দ্রুত হাতে ঈশানের সিগারেটটা ছুড়ে ফেললো ছাদের বাইরে।

” আমার সামনে আর কোন দিন স্মোক করবেন না আমার এসব ভালো লাগে না।”

” আমারো ভালো লাগে না কেউ তোমার আশেপাশে ঘুরঘুর করলে।অয়নের সব ডিটেইলস আমায় দাও।”

” কি প্রয়োজন?।”

” তুমি বলবে নাকি আমি খুঁজে নেবো?আমি যদি খুঁজতে থাকি তবে ভালো কিছু হবে না ঈশা।”

ঈশা চুপসে যায় আশেপাশে চোখ বুলায় সতর্ক দৃষ্টিতে।ঈশানকে সরিয়ে সে কিছুটা দূরে দাঁড়ায়।

” ঈশান এসব বাদ দেন অয়ন ভাই…”

প্রচন্ড রেগে গেলো ঈশান।দু কদম এগিয়ে এসে ঈশার বাহু চেপে ধরলো রেলিঙের সাথে দাঁড় করিয়ে থুতনি চেপে রাগে গজগজে বলে,

” কোন বাহানা শুনতে চাই না।আমি যে রেগে আছি তুমি বুঝতে পারছো না?এক্ষুনি অয়নের সম্পর্কে বলো।”

” বলছি বলছি আমাকে ছাড়ুন।

ঈশান দূরে সরে দাঁড়ালো দুই হাত বুকের সাথে ভাজ করে চোখ চোখ রাখলো ঈশার।

” অয়ন ভাই আমাদের কাজিনদের মাঝে সবার বড় মানে ধরা যায় আপনার থেকেও বয়সে অনেক বড়।”

” বয়স কতো তার?”

” চৌত্রিশ পঁয়ত্রিশ হবে।মামির দুই ছেলে এক মেয়ে।বড় ছেলে অয়ন ভাই।তিনি যখন অনার্সে পড়তেন তখন প্রেমে পড়ে পালিয়ে বিয়ে করেন।অয়ন ভাই মা ভক্ত ছেলে মা এখানে বসতে বললে বসবে উঠতে বললে উঠবে ঠিক এমন স্বভাবের।যাকে বিয়ে করেছিলেন সেই মেয়ের বাবা ছিলো না মা ছিলো তারা গরবী ছিলো।মামি অয়ন ভাইয়ের বিয়েটা মেনে নেয়নি এমনকি মামাও না তবুও মেয়েটি একপ্রকার যুদ্ধ করে সংসার চালিয়ে যায়।মামা মামির লোভটা একটু বেশি তারা সবসময় চাইতো মেয়ের বাড়ি থেকে এটা ওটা যেনো পাঠানো হয়।প্রথমে আবদার করলেন বাইক সেটাও আদায় করে ছেড়েছেন।বিয়ের সাত আট মাসের মাথায় খবর এলো ভাবী প্রেগন্যান্ট মামি কিছুতেই চাননা বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসুক তাই অয়ন ভাইকে বলা হয় এব্রোশন করাতে ভাবি নাকি রাজি ছিলো না অয়ন ভাই এতে মারধর শুরু করেন সাথে মামি তো আছেই।মেয়েটা না পেরে নিজের সন্তানকে মা র তে রাজি হয়।এরপর মেয়েটার অত্যাচার বেড়েই চলে কারণে অকারণে মামি এবং অয়ন ভাই ভাবিকে মা র তো।বিয়ের দেড় বছরের সময় আবার প্রকাশ হলো ভাবি প্রেগন্যান্ট এবারেও একই কান্ড হলো সেই মা র ধ র এবার আর বাচ্চা এব্রোশন করাতে রাজি হয়নি ভাবি তবুও বাচ্চাটা বাঁচানো যায়নি।এক পর্যায়ে এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভাবি নিজ থেকেই ডিভোর্স দেন।এর মাঝেও অনেক কাহিনি হয় প্রায় এক বছর হয়ে গেলো অয়ন ভাইয়ের ডিভোর্স হয়েছে। তিনি ভালো জব করেন ভালো স্যালারি পান এই নিয়ে মামির দাম্ভিকতার শেষ নেই।আমাদের পরিবারের সবাই এসব জানেন কিন্তু কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে পারে না মামি মামা দুইজনে প্রচন্ড বেয়াড়া স্বভাবের কেউ তাদের এসব ব্যপারে কিছু বললেও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন।”

সবটা শুনে ঈশান কিছুক্ষণ চুপচাপ রইলো।ঈশা ঈশানের দিকে তাকাতে সে বলে,

” যা বোঝার আমি বুঝেছি আরেকটা কথা তোমাকে বলছি আজ আমি পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কিছু করিনি কিছু বলিনি কিন্তু এরপর এমন যদি আমার চোখে পড়ে তাহলে কি হবে তোমার ধারনার বাইরে।

৫০.
সবাই ফ্রেশ হয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো।ঈশা অনু শ্রেয়া সহ আরো দুইজন একই বিছানায় ঘুমাবে।শ্রেয়ার রুমের মেঝেতে যে যেভাবে পেরেছে ঘুমিয়ে পড়েছে।বিয়ে বাড়ির অবস্থাটাই এমন মেঝেতে পা রাখার জায়গা নেই ঈশা বারান্দায় উঁকি দিয়ে দেখতে পায় সেখানেও একজন ঘুমিয়ে আছে মনে মনে হাসলো সে।শ্রেয়া ফোনটা চার্জে বসিয়ে শুয়ে পড়লো ঈশার পাশে।অনুর দিকে ভ্রু নাচিয়ে হেসে বলে,

” কি গো ডুবে ডুবে জল খাও কি ভেবেছো জানতে পারবো না?”

” মানে কি করেছি আপু?”

” এই মিথ্যা বলবে না রাসেলের সাথে তোমার সম্পর্ক আছে তাই না?”

অনু ঢোক গিললো সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ঈশার দিকে।ঈশা বুঝতে পেরে শ্রেয়ার উদ্দেশ্যে বলে,

” আপু এ কথা কাউকে বলো না প্লিজ।আম্মু আব্বুর কানে গেলে বেচারি বিপদে পড়বে।”

” না না কাউকে বলবো না।আমার জানা মতে রাসেল ভালো ছেলে নাজিম নিজে বলেছে আমায়।”

” শুনলাম নাজিম ভাই নাকি তোমায় সঙ্গে নিয়ে যাবে দেশের বাইরে এটা কি সত্যি?”

” সে তো বলেছে বাকিটা ভাগ্য নির্ভর।”

শ্রেয়ার কথার প্রত্যুত্তর করার আগে থেমে যায় ঈশা বাইরে থেকে শোরগোল পাওয়া যাচ্ছে।সবাই কেমন চিৎকার করছে।ঈশা সহ সবাই উঠে বসলো একে একে সবাই ছুটলো কক্ষের বাইরে।ঘরের বাইরে উঠনে সবাই জড়ো হয়ে গেছে এক পাশে আগুন জ্বলছে বাবুর্চিরা রান্না বসিয়ে দিয়েছে।ভীড় ঠেলে এগিয়ে গেলো ঈশা এবং অনু।ভীড়ে থাকা মধ্যমণি অয়ন ছেলেটার হাত চুইয়ে রক্ত ঝরছে।ডান হাতটা সম্পূর্ণ থেতলে গেছে বাসার সকলের মাঝে হুলুস্থুল বেঁধে গেছে।শ্রেয়ার বাবা কাপড় এনে দ্রুত বেঁধে দিলেন অয়নের হাত।ঈশা ঢোক গিলে এগিয়ে গেলো তার মায়ের কাছে।

” আম্মু অয়ন ভাইয়ের কি হয়েছে?”

” সে রাতে বেরিয়েছিলো তাকে নাকি ছিনতাইকারী ধরেছে পকেটে যা ছিলো সব নিয়ে গেছে হাতটা ইট দিয়ে থেতলে দিয়েছে।বাম হাতে বেশি লাগেনি ডান হাতের অবস্থা খারাপ।”

অয়নকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় ঈশা অনু দুজন দুজনকে চোখ ইশারা করে তারা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে এসব কে করেছে।ঈশা আড়াল হয় দ্রুত ফোন করে ঈশানকে রিং হওয়ার সাথে সাথে ফোন তুলে ঈশান।

” ঘুমাওনি নাকি আমায় ছাড়া ঘুম আসছে না? আসবো ঘুম পাড়িয়ে দিতে?”

” ফা ল তু কথা বলবেন না ঈশান।আপনি অয়ন ভাইয়ের সাথে এটা কি করে করলেন?আপনাকে আমি বারণ করেছিলাম।”

” নিজেকে অনেক মানানোর চেষ্টা করেছি কিছুতেই কিছু হলো না।তাই মন যা চেয়েছে তাই করেছি।”

” আপনার কি ধারণা এসব করে আমার চোখে ভালো থাকবেন আপনি?”

” ভালো থাকার দরকার নেই আজ যা করেছি সেটা মাথায় রাখবে ভবিষ্যৎতে এমন ভুল আর দ্বিতীয়বার কেউ করার আগে তুমি সতর্ক হবে।”

” ভবিষ্যৎ! কিসের ভবিষ্যৎ আমাদের সম্পর্কের কোন ভবিষ্যৎ নেই এই সম্পর্কের শেষ এখানেই।”

” বুঝতে পেরেছি তোমার মাথা গরম আছে উলটা পালটা কথা বলে আমার মাথাটাও গরম করে দেবে।যাও ঘুমাও জান, কাল দেখা হবে।”

” ঈশান…”

দ্রুত ফোন কেটে দিলো ঈশান।ঈশার নাম্বার ব্লকে রেখে শব্দ করে হাসতে থাকে।কিছুক্ষণ আগে গোসল করে ফিরেছে সে। সারা শরীরে তার বিন্দু বিন্দু পানি আয়না নিজেকে দেখে চুলে হাত বুলিয়ে বলে,

” তুমি বললেই আমি ছেড়ে যাবো?আমায় এখনো চিনতে পারোনি মেয়ে।”
#চলবে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here