#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৮
অ্যালার্মের কৃত্রিম কর্কশ ধ্বনি কর্ণ কুহরে পৌঁছাতেই বিরক্ত হলো ঘুমন্ত কন্যা। বিছানায় হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে পৌঁছে গেল পাশে থাকা মোবাইল অবধি। আঙ্গুল ছুঁয়ে তা বন্ধ করে আরামের নিদ্রায় তলিয়ে গেল। মিনিট দশ পর আবারো বেজে উঠলো। বন্ধ করার দশ মিনিট পর আবারো কর্ণ কুহরে কড়া নাড়তে লাগলো। অর্থাৎ সময় হয়ে গেছে। এবার উঠে পড়ো। বিরক্ত হয়ে মোবাইলটি আছাড় মা’রতে উদ্যত হলো মেয়েটি। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো তার ঘোর অপছন্দনীয়। তবে আছাড় মা রা আর হলো না। কেননা অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই স্বস্তিতে ঘুমাতে লাগলো। তবে ঘড়ির কাঁটা আটের ঘরে পৌঁছাতেই হুড়মুড়িয়ে উঠে বসলো মেয়েটি। হঠাৎই এই কর্কশ ধ্বনি কর্ণ তো নয় বরং মস্তিষ্কে গিয়ে বিঁধেছে। দপদপ করে জ্ব লছে ভেতরে। কাঁদো কাঁদো মুখশ্রী বানিয়ে বালিশে ধপ করে শুয়ে পড়লো। খানিক বাদে নিভু নিভু আঁখি জোড়া খুলতেই নিজেকে আবিষ্কার করলো ভিন্ন অপরিচিত কক্ষে। ব্যাস! ঘুম পালালো পেছনের দরজা দিয়ে। বড় বড় চোখ করে কক্ষের সিলিংয়ে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো সে এই মুহূর্তে কোথায়। এই সিলিং, বিছানা, আসবাব দেখতে দেখতে সবটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। মনে পড়লো এ তার স্বামীর ঘর। শ্বশুরবাড়ি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আরামে শুয়ে রইলো।
অতঃপর বিছানা ত্যাগ করে নেমে এলো তখন ঘড়ির কাঁটা আটটা বেজে বিশ মিনিট দেখাচ্ছে। হতাশ হয়ে হাঁটি হাঁটি পায়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোতে গিয়েও থমকে গেল। পিছু ঘুরে ফিরে এলো বিছানার ধারে। অপটু হাতে এলোমেলো কাঁথা, বালিশ ঠিকঠাক করতে লাগলো। সেই সঙ্গে কিছু একটা বিড়বিড় করে চলেছে। বিছানা গুছগাছ সম্পন্ন করে কাবার্ড সংলগ্ন তার লাগেজের কাছে গেল। একসেট চুড়িদার পোশাক এবং তোয়ালে নিয়ে পা বাড়ালো ওয়াশরুমের পানে।
.
সাড়ে সাতটা থেকে অ্যালার্ম সেট করা। প্রতি দশ মিনিট পরপর বেজে উঠছিল। তবুও মিসেস চৌধুরী উঠলেন না। উনি নিজস্ব ধারা অব্যাহত রেখে আটটার পরে উঠলেন। তা-ও ভালো। বাবার বাড়িতে তো ঘড়ির কাঁটা দশ পাড় হলে তার সকাল হয়। এখানে তো নয়ের পূর্বেই সকাল হয়েছে। মন্দ নয় বটে।
সতেজ মনে সিঁড়ি বেয়ে নামছে সদ্য স্নাত মেয়েটি। পড়নে চুড়িদার পোশাক। সিক্ত কেশে এখনো বিন্দু বিন্দু পানির অস্তিত্ব বিদ্যমান। মায়ায় ভরা আঁখি যুগল লিভিং রুমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চেনা জনদের খুঁজে চলেছে। তবে কারোর দেখা মিললো না। ফোঁস করে শ্বাস ফেললো হৃদি। লিভিং রুম পেরিয়ে আন্দাজ মতো কিচেনে গেল। সেথায় মিললো মায়ের দেখা। শাশুড়ি মা।
” গুড মর্নিং মা। ”
মালিহা পরিচারিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন। পুত্রবধূর কণ্ঠ শুনে পিছু ঘুরে তাকালেন। মিষ্টি হাসির রেখা ফুটে উঠলো অধরে।
” গুড মর্নিং। কেমন আছিস মা? আয় কাছে আয়। ”
ডান হাত বাড়িয়ে কাছে আহ্বান করলেন উনি। হৃদি অধর প্রসারিত করে মায়ের কাছে গেল। আলিঙ্গন করলো একপেশে। মালিহা চুমু এঁকে দিলেন ললাট কার্নিশে।
” আমি ভালো আছি মা। তোমার কি খবর বলো? ”
” এই তো আলহামদুলিল্লাহ্। তা এত সকাল সকাল উঠলি কেন মা? আরেকটু ঘুমিয়ে নিতি। ইনুও তো এখনো ওঠেনি। ”
বেজার মনে হৃদি ভাবতে লাগলো এমনি এমনি কি উঠেছে। বিয়ের এক সপ্তাহ পূর্ব হতে আম্মু তাকে একগাদা জ্ঞান দিয়েছে। উপদেশ প্রদান করেছে। তার মধ্যে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা অন্যতম। আম্মু তো আর জানতো না ওর শাশুড়ি মা এত ভালো একজন মানুষ। দেরী করে ঘুম থেকে উঠলেও উনি কিছু মনে করবেন না। ভাবনা ত্যাগ করে হৃদি বললো,
” সমস্যা নেই মা। ঘুম ভেঙ্গে গেল তাই চলে এলাম। এবার তোমাকে একটু ডিস্টার্ব করতে পারি? ”
মালিহা হেসে উঠলেন, ” ডিস্টার্ব! ”
” হাঁ। সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেছে। একদম বোরিং সময় কাটছে। ইনুও ঘুমে। এখন তুমি আমার সঙ্গে এসো তো। গল্প করবে। ”
মা’কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হৃদি বগলদাবা করে নিলো। ওনাকে নিয়ে চললো লিভিং রুমে। বড় এক সোফায় পাশাপাশি বসে দু’জনে। মনের সুখে কত গল্পগুজব করতে লাগলো। তাদের গল্পের আসর ভঙ্গ হলো ব্রেকফাস্ট টাইমে।
.
পরিবারের সদস্যরা সকলে বসে। হৃদি শাশুড়ি মায়ের দেখাদেখি সবাইকে রুটি, সবজি পরিবেশন করতে সহায়তা করলো। ইরহাম ওর পানে একপলক তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। হৃদি রুটির বোল হাতে ওর পাশে দাঁড়ালো। মুচকি হাসি উপহার দিয়ে দু’টো রুটি তুলে দিলো প্লেটে। তবে স্বামী নামক মানুষটার গম্ভীরতা এবং অতি ভাবস্ দেখে সকলের অলক্ষ্যে ভেংচি কেটে দিলো। সবজি আর পরিবেশন করলো না। বেশি ভাব দেখায়! নিজেই নিয়ে খাক। তার আর দরকার পড়লো না। মালিহা নিজে পুত্রের জন্য সবজি পরিবেশন করে দিলেন। এবার ওনার দেখাদেখি হৃদিও চেয়ারে বসলো। রুটি ছিড়ে সবজি সমেত যেই মুখে নিলো ওমনি শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে পৌঁছালো,
” কেউ যদি বিয়ের পরদিনই সবাইকে ব্রেকফাস্ট সার্ভ করে মন গলানোর ভাবনা ভেবে থাকে, তাহলে সেটা ভুলে যাওয়াই ভালো। এসব সিলি ট্রিকস কাজে দেবে না। ”
হৃদি বিস্মিয় মাখা নয়নে তাকালো। বুঝতে অসুবিধা হলো না এসব তাকে উদ্দেশ্য করেই বলা। কৌতুহল দমাতে না পেরে মেয়েটা প্রশ্ন করেই বসলো,
” ক্ষমা করবেন বাবা। আমি কাউকে পটানোর চেষ্টা করছি না। আর কেনইবা পটানোর চেষ্টা করবো? ”
বাবা সম্বোধন শুনে রাগের বহিঃপ্রকাশ করলেন এজাজ সাহেব।
” এই মেয়ে তুমি কাকে বাবা বলছো হাঁ? যেখানে তোমার মতো দু পয়সার মেয়েকে আমি পুত্রবধূ হিসেবে মানিনা, সেখানে কে তোমার বাবা? একদম বাবা বলে ডাকবে না। ”
সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত আচরণে বাকরুদ্ধ হৃদি! তার অক্ষি কোলে জমায়েত হতে লাগলো বিন্দু বিন্দু জল। আচমকা এমনতর আচরণ সে মানতে পারছে না। শ্বশুর বাবা এমন করে কেন বলছেন? সে দুই পয়সার মেয়ে? এতটাই নগণ্য! মূল্যহীন!
” শুধু শুধু রাগ করছো কেন? ও বেচারি এ বাড়িতে নতুন। ওর জানা ছিল না তোমার মতো কোটি টাকার মানুষকে বাবা ডাকতে যোগ্যতা লাগে। আসলে সবাই তো আর বাবা ডাক শোনার যোগ্য নয়। ”
একমাত্র পুত্রের বাক্যমালা ওনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে সিসার ন্যায় প্রবেশ করলো। জ্ব লন অনুভূত হচ্ছে শিরায় শিরায়। ইরহাম ওনার দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে বিপরীত দিকে বসে থাকা অর্ধাঙ্গীর পানে তাকালো। ওর মলিন বদন লক্ষ্য করে ঈষৎ কঠোরতম স্বরে বললো,
” অ্যাই মেয়ে! খবরদার কাঁদবে না। এত বাবার ডাকার কি আছে? তোমার নিজের বাবা আছে না? তাকে আব্বু, বাবা, পাপা যা খুশি ডাকবে। কোনো কোটি টাকার মানুষকে নয়। বুঝতে পেরেছো? ”
হৃদির নেত্রকোণ গড়িয়ে একফোঁটা পানি পড়লো। দ্রুত দৃষ্টি নত করে নিলো সে। লুকালো নোনাজল। রাজেদা খানম পুত্রের পানে অসন্তুষ্ট কণ্ঠে বললেন,
” তুই আর বুঝদার হইলি না। ”
•
কনিষ্ঠ কন্যার বিদায়ের বিশ ঘন্টার বেশি অতিবাহিত হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে এখনই শ্ম’শানে পরিণত হয়েছে গোটা ফ্লাট। চারিদিকে নীরবতা। কোথাও হৈ হুল্লোড়, কিচিরমিচির নেই। সব নীরব। হৈচৈ করার মানুষটি ই যে অনুপস্থিত। নেই। কে করবে শোরগোল? ফারহানা একাকী আপনমনে কর্মরত থাকছেন। সবটুকু যন্ত্রণা, কষ্ট লুকানোর চেষ্টা করে চলেছেন অবিরাম। নাজরিন তা দেখেও নীরব। বুঝতে পারছেন এ যাতনা সহজে দূরীকরণ হওয়ার নয়। যদি না..
ভাবনায় ছেদ পড়লো। ফারহানা’র মোবাইলে রিং হচ্ছে। কল করেছে কেউ। মাতৃ হৃদয় তো। কিচেন হতে একপ্রকার ছুটে গেলেন উনি। লিভিং রুমে টেবিলের ওপর রাখা মোবাইলটি হাতে নিতেই অধর কোণে ফুটে উঠলো তৃপ্তিকর আভা। উনি দ্রুত কল রিসিভ করলেন।
” হ্যালো হৃদি! আমার মা। কেমন আছিস? ”
আবেগতাড়িত হয়ে পড়লো মেয়েটা। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বাহ্যিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে মৃদু স্বরে বললো,
” আমি ভালো আছি আম্মু। তোমরা সবাই কেমন আছো? আব্বু ভালো আছে? ”
এতগুলো ঘন্টা বাদে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ। মনপ্রাণ ঢেলে কথোপকথনে লিপ্ত হলো মেয়েটি। তবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এজাজ সাহেবের আচরণ গোপন করে গেল। প্রশংসা করলো সকলের। ওপাশে থাকা ফারহানা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। শুকরিয়া আদায় করলেন রবের। দোয়া করলেন মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ, সুখের সংসারের জন্য।
•
রবির উত্তপ্ত কিরণে আলোকিত হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা। দলীয় পার্টি অফিসে উপস্থিত ইরহাম। আয়তাকার এক টেবিলকে কেন্দ্র করে বসে দলের উধ্বর্তন সদস্যবৃন্দ। সভাপতি সাহেব বলে চলেছেন,
” নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। মাত্র তিন মাস। এবার প্রথমবারের মতো আমরা তরুণ কাউকে মনোনীত করছি। বিগত বছরগুলোতে অভিজ্ঞতার আলোকে মনোনয়ন করা হয়েছে। এখন সময় বদলেছে। তারুণ্যের জয়গান চারিদিক। যেকোনো খাতে তরুণরা এগিয়ে। রাজনীতিতেও পিছিয়ে নেই। আশা করি তারুণ্যের এই জয়গান অব্যাহত থাকবে চৌধুরীর মাধ্যমে। ”
ইরহাম নম্র স্বরে সম্মতি পোষণ করলো,
” জ্বি ইনশাআল্লাহ্। আমি নিজের সেরাটা দিয়ে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। ”
দলের একজন সিনিয়র সদস্য কিছুটা বিদ্রুপের স্বরে বললো,
” সব জায়গায় তারুণ্যের জয়গান চলছে তা ঠিক। তাই বলে অভিজ্ঞতার দরকার নেই এমনটাও নয়। চৌধুরী তো সবে এ লাইনে এসেছে। এখুনি ওকে দাঁড় করানো উচিত হচ্ছে? তা-ও আবার বিপক্ষে রয়েছে আজগর মল্লিকের মতো বা’ঘা প্লেয়ার। ”
দলীয় সভাপতি বললেন,
” চৌধুরী নাহয় রাজনৈতিক জীবনে নতুন। আমি তো নই। অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতা দুইই আমার রয়েছে। আশা করি আমার দূরদর্শিতা ভুল প্রমাণিত হবে না। ”
নেতিবাচক জবাবে ওই সদস্য সন্তুষ্ট হতে পারলো না। এরমধ্যে আবার কয়েকজন দলীয় সদস্য ইরহাম চৌধুরীর পক্ষে। এতে ওনার অন্তরে জ্ব লন্ত বহ্নি শিখা তোলপাড় করতে লাগলো। আরো কতক্ষন দলীয় মিটিং চললো। অবশেষে সভা ভঙ্গ হলো। উঠে দাঁড়ালো সকলে। প্রস্থান করতে লাগলো সভা কক্ষ হতে। ইরহাম ধীরপায়ে দলের সভাপতির কাছে গেল। সেরে নিলো কিছু দরকার আলাপণ। কথোপকথন সমাপ্ত করে ইরহাম যেই প্রস্থান করবে তখনই সভাপতি বললেন,
” নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা চৌধুরী। আল্লাহ্ তোমাদের দু’জনকে সুখী করুন। ”
ইরহাম মুচকি হেসে শুকরিয়া আদায় করলো। উনি মৃদু হেসে পছন্দের শিষ্যর কাঁধ চাপড়ে দিলেন।
•
‘ আনন্দাঙ্গন ‘ এর স্টাডি রুম। ইরহামের অন্যতম পছন্দের স্থান। নীরব জায়গা। দেশী বিদেশী বইয়ের রকমারি সমারোহ সেথায়। দেয়ালের তিন পার্শ্বে ওয়াল লাইব্রেরী গঠিত। মধ্যখানে টেবিল, চেয়ার, টেবিল ল্যাম্প সহ যাবতীয় আসবাব। প্রায়শ রাতের অনেকটা সময় এখানেই অতিবাহিত করে থাকে ইরহাম। তাই এ কক্ষের পরিচ্ছন্নতা আবশ্যক। যথারীতি মালিহা একজন পরিচারিকার সঙ্গে এখানকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করছেন। সে মুহূর্তে কক্ষে প্রবেশ করলেন পল্লবী। মালিহার ভাবী হন উনি। রাহিদের মা এবং ইরহাম, ইনায়ার মামি। উনি এসে সারা কক্ষে চোখ বুলিয়ে নিলেন।
” বাব্বাহ! বই তো আরো বেড়েছে। ”
মালিহা পিছু ঘুরে ভাবীকে দেখে হাসলেন।
” হাঁ ভাবী। ছেলে আমার বই কিনে কিনে পুরো ঘর ভরে ফেলছে। বইপ্রেমী কিনা! ”
” তাই তো দেখছি। কিনে কিনে ঘর বোঝাই করবে। আর সেসব পরিষ্কারের দায় তোমার। ”
কথাটা মালিহার ঠিক পছন্দ হলো না। তবুও উনি দিরুক্তি করলেন না। কাজে মনোনিবেশ করলেন। সুযোগ পেয়ে পল্লবী বলে উঠলেন,
” তা তুমি একা কেন? তোমার আদরের বৌমা কোথায়? শাশুড়ি এখানে খাটুনি খেটে ম-রছে। আর সে কিনা আয়েশ করছে! ”
চমকালেন মালিহা! এবার জবাব দিতে বাধ্য হলেন,
” তুমি এসব কি বলছো ভাবি? মেয়েটা এ বাড়িতে নতুন এসেছে। সবে দু’দিন। এরমধ্যে ওকে দিয়ে আমি ঘর পরিষ্কার করাবো? এতটা খারাপ ভাবো আমায়? ”
” আরে না না। তা বললাম কোথায়? আমি তো বলছিলাম.. ”
” ও ছোট ভাবি। সংসারের দায়িত্ব নেয়ার জন্য সারাটা জীবন পড়ে আছে। সময় হলে আমি নিজেই ওকে দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হবো। ”
পল্লবী উপহাস করে বললেন,
” আহ্লাদ দিয়ে এতটা মাথায় তুলো না যে নামানো কষ্টকর হয়ে যায়। ”
মালিহা এ কথার পৃষ্ঠে কিছু বলতে উদ্যত হলেন তখনই…
চলবে.
[ আসসালামু আলাইকুম। কেমন লাগছে উপন্যাসটি? আপনারা এতজন পড়ছেন অথচ কোনো গঠনমূলক মন্তব্য নেই। আপনারা মন্তব্য না করলে লেখিকা বুঝবে কি করে কাহিনী আপনাদের কাছে কেমন লাগছে। মনমতো হচ্ছে কিনা। আশা করছি ভুলত্রুটি হলে তা শুধরে দেবেন। আজ কিন্তু গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি বন্ধুরা। ]