#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৬ ( শেষাংশ )
অমানিশায় ছেয়ে বসুন্ধরা। নিত্যদিনের চেয়ে আজ সামান্য দেরী করে বাড়ি ফিরেছে ইরহাম। কলিংবেলের আওয়াজ পেয়ে একজন পরিচারিকা বদ্ধ দ্বার উন্মুক্ত করে দিলো। গৃহে প্রবেশ করলো অন্যমনস্ক মানুষটি। বড় বড় কদম ফেলে লিভিংরুমে সোফায় বসে থাকা মালিহার পাশ কাটিয়ে চলে গেল সে। সালাম আর দিলো না। তাকালো না অবধি। খেয়াল করেনি নাকি? এহেন আচরণে মালিহা কিছুটা অবাক হলেন বটে। এমনটা তো কখনো হয় না। দেখা হলেই গম্ভীর ছেলেটা কথা না বলুক অন্তত সালাম দিয়ে রুমে যায়। তবে আজ! ছেলেটা ঠিক আছে তো? অসুস্থ নাকি! মাতৃহৃদয় তো। উনি দ্রুত দোতলায় ইনায়ার কক্ষে অগ্রসর হলেন। গেলেন সেথায় উপস্থিত হৃদির কাছে। নিজেই ছেলের কাছে যেতেন। তবে গেলেন না। ছেলে এখন বড় হয়েছে। বিবাহিত। ঘরে সহধর্মিণী আছে। কখনো কখনো ওনাকে ছাড় দিতে হবে। ছেলেকে বরং ছেলেবউ দেখে নিলো। বিশেষ প্রয়োজনে উনি গেলেন নাহয়। হৃদিকে কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে চিন্তিত বদনে সোফায় বসলেন মালিহা। উৎকণ্ঠিত ওনার কোমল হৃদয়।
.
চিন্তিত চিত্তে কক্ষে প্রবেশ করলো হৃদি। প্রবেশ করে চমকালো বেশ! আঁধারে তলিয়ে গোটা কক্ষটি। এ কেমন কাণ্ড! হৃদি আন্দাজ মোতাবেক সুইচবোর্ডের ধারে গেল। আলোকিত হলো কক্ষটি। কেটে গেল আঁধার। হৃদি ওয়াশরুমের দ্বার এবং বিছানায় তাকালো স্বভাবত। মানুষটি অনুপস্থিত। তবে! এবার কক্ষের বাঁ পাশে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো সে। চক্ষুতারায় দৃশ্যমান হলো স্বামীর অবয়ব। ডিভানে দেহ এলিয়ে দিয়েছে মানুষটি। পাঞ্জাবি, পাজামা সব পূর্বের ন্যায়। বাহির থেকে যেমন এসেছে তেমনই। শুধুমাত্র চশমা নিখোঁজ। বিছানায় অবহেলিত রূপে পড়ে আছে সেটি। হৃদির চিন্তা আরো বৃদ্ধি পেল এমনতর অবস্থা দেখে। ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে এলো সে। দাঁড়ালো স্বামীর কাছ ঘেঁষে। চক্ষু বুজে শায়িত ইরহাম। ডান হাতটি ঠাঁই পেয়েছে নয়ন জোড়ার ওপরে। বিন্দু বিন্দু স্বেদজলের অস্তিত্ব শুভ্র পোশাকে লেপ্টে। বড় ক্লান্ত দেখাচ্ছে। হয়েছে টা কি? উৎকণ্ঠিত মনোভাব লুকোতে না পেরে হৃদি থেমে থেমে মৃদু স্বরে ডেকে উঠলো,
” শুনছেন? আপনার কি শরীর খারাপ করছে? ”
জবাব এলো না। পূর্বের ন্যায় দেহ এলিয়ে মানুষটি।
” দুর্বল লাগছে খুব? লেবুর শরবত কিংবা ঠাণ্ডা পানি নিয়ে আসবো? ”
এবারো জবাব এলো না। তাই নিজের মতো ভাবনা সাজিয়ে দ্রুত পায়ে কক্ষ ত্যাগ করলো হৃদি। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো।
” হাঁ রে মা! কি হয়েছে? ইরু ঠিক আছে তো? শরীর খারাপ করছে? ”
হৃদি তাকে আশ্বস্ত করতে অধরকোণে হাসির রেখা ফুটিয়ে বললো,
” বঙ্গ মাদার। রিলাক্স। উনি একটু দুর্বল। এই যা। আমি এখুনি লেবুর শরবত বানিয়ে দিচ্ছি। খেয়ে উনি দু মিনিটের মধ্যেই চা’ঙ্গা হয়ে যাবেন। ”
পুত্রবধূর বাচনভঙ্গি দেখে হেসে উঠলেন মালিহা। শান্ত হলো ওনার উচাটন করতে থাকা হৃদয়।
” আচ্ছা বাবা আচ্ছা। তাহলে দেরী কিসের? চটাপট লেবুর শরবত নিয়ে যা। আমার ছেলেটা অপেক্ষা করছে তো। ”
হৃদি মুচকি হেসে কিচেনে প্রবেশ করলো। স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হলো লেবুর শরবত। বেশ সুঘ্রাণ বেরিয়েছে। খেতে নিশ্চয়ই তৃপ্তিকর লাগবে। নিজ কর্মে নিজেই সন্তুষ্ট হলো মেয়েটি। ঠাণ্ডা লেবুর শরবত নিয়ে কিচেন হতে বেরিয়ে এলো। পা বাড়ালো কক্ষের পানে। কক্ষে প্রবেশ করে একদফা হতাশ হলো। গোমড়ামুখো মানুষটা এখনো দেবদাসের মতো বসে। একে নিয়ে আর পারা গেল না। ওর মতো পকপক মুরগির কপালে কিনা শেষমেষ বোবা মোরগ জুটলো! আফসোস! হৃদি স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালো। মোলায়েম স্বরে ডাকলো,
” শুনছেন? এই যে লেবুর শরবত। খেয়ে দেখুন। রিফ্রেশ লাগবে। ভালো ঘ্রাণ বেরিয়েছে। মজাদার স্বাদ। ”
এতক্ষণে মুখ খুললো মানুষটি। গম্ভীর স্বরে আদেশ প্রদান করলো,
” একাকী সময় কাটাতে চাইছি। লিভ মি অ্যালোন। ”
” সে নাহয় যাচ্ছি। কিন্তু শরবতটা খেয়ে নিন। ভালো লাগবে। ”
চক্ষু হতে হাত সরিয়ে নিলো ইরহাম। তাকালো সহধর্মিণীর পানে। আঁতকে উঠলো হৃদি। নভোনীল চক্ষু জোড়ায় অসীম ক্রো’ধের বহ্নি শিখা। চোখের সাদা অংশে র’ক্তিম আভা। অভ্যন্তরীণ অবস্থা যে বেশ ভ-য়ঙ্কর তা বুঝতে অসুবিধা হলো না মেয়েটির। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে দু পা পিছপা হলো। হাতে থাকা ঠাণ্ডা গ্লাসটি ঈষৎ কম্পিত হলো। মায়ায় ভরা আঁখি যুগলে দেখা মিললো ভীতির। ডিভান ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো ইরহাম। এলোমেলো কেশে হাত বুলিয়ে এক কদম অগ্রসর হলো। অত্যধিক রাশভারী কণ্ঠে বললো,
” একবার বললে কথা কানে যায় না? মেলোড্রামা করছো? ধরম পত্নী সাজার শখ হয়েছে? ”
একসঙ্গে তিনটে প্রশ্ন। কণ্ঠে এতখানি গাম্ভীর্য বিদ্যমান যে শিরায় শিরায় কাঁপন ধরে যাচ্ছে। টগবগিয়ে লম্ফ দিচ্ছে হৃৎপিণ্ডটি। স্বয়ংক্রিয় ভাবে জবাব দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেললো মেয়েটি। ইরহাম আরো দু কদম এগিয়ে একদম মুখোমুখি দাঁড়ালো। নয়নে নয়ন স্থির রেখে কঠিন স্বরে বলে গেল,
” রঙঢঙ করছো কার সামনে? ইরহাম চৌধুরীর সামনে? অ্যাজ ইফ আই কেয়ার অ্যাবাউট ইট? হা? ”
অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন বাণে জর্জরিত মেয়েটি মৃদু স্বরে শুধালো,
” আ মি রঙঢঙ করি? ”
উঁচু কণ্ঠে ক্ষি প্ত ভঙ্গিমায় ইতিবাচক সম্মতি জানালো ইরহাম,
” হাঁ করো। রঙঢঙ নয়তো কি? ”
পিছু ঘুরে দাঁড়িয়ে ঘন শ্বাস ফেলতে ফেলতে ইরহাম বললো,
” দুনিয়াটা রঙ্গমঞ্চ পেয়েছে সব। যে যা খুশি করে যাবে। বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। কেউ নেই। ”
শেষোক্ত দু শব্দ জোর প্রদান করে উচ্চারণ করলো। অক্ষিকোল ভিজে উঠলো মেয়েটির। লালাভ রঙ মেখে চোখের সফেদ অংশে। সহসা ওর দিকে ঘুরে অসন্তুষ্ট কণ্ঠে বলে উঠলো ইরহাম,
” এই যে তুমি। বিয়ের আগে কি বলেছিলাম মনে নেই? সব ভুলে খেয়েছো? তাহলে শেষবারের মতো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। ডোন্ট ইয়্যু ডেয়ার ইন্টারফেয়ার ইন মাই লাইফ। সে অধিকার তোমাকে এখনো দিইনি। ”
হাতে থাকা গ্লাসটি শক্ত করে আঁকড়ে হৃদি ভেজা কণ্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো,
” সামান্য এক গ্লাস শরবত এনে আমি আপনার জীবনে ইন্টারফেয়ার করে ফেলেছি? তাহলে আ-আপনি? আপনি কি আমার জীবনে ইন্টারফেয়ার করেননি? ”
ইরহাম তখন বিপরীত দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে। কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া না পেয়ে হৃদি বলে গেল,
” আমি নাহয় মাঝেমধ্যে আপনার সঙ্গে দুষ্টুমি করে থাকি। তাই বলে আপনি কখন কোথায় যান, কি করেন, কার সঙ্গে মেশেন কখনো জানতে চেয়েছি? চাইনি। কারণ আপনার মতো আমিও এই বিয়েটা নিয়ে সিরিয়াস নই। বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে চেয়েছে। আপনায় পছন্দ করে জামাতা বানিয়ে ফেললো। ব্যাস। এতটুকুই। ”
ভিন্ন আরেক সত্যি প্রকাশ করলো না মেয়েটি। দুঃখে জর্জরিত তার অন্তঃস্থল। অবরোধ হয়ে আসছে কণ্ঠনালী। চিনচিনে ব্যথা ক্রমশ গ্রাস করে ফেলছে। তবুও ভাঙা স্বরে বলে চলেছে,
” আমি কিন্তু কখনোই আমার সীমা লঙ্ঘন করিনি। কিন্তু মনে করে দেখুন। আপনি কি করেছেন। বিয়ের পর প্রথমবার আমার বাড়িতে গিয়ে আমার পছন্দের ছবিগুলো ছিঁড়ে ফালাফালা করে দিলেন। কতগুলো কথা শোনালেন। আমি কেমন ওড়না পড়ে বাহিরে যাবো সেটাও ঠিক করে দিলেন। তখনো ডায়লগ ঝাড়লেন। আমি যেন একটুখানি সওয়াব কামাই তাই দিনের পর দিন ধৈর্য ধরে আমায় একটু একটু করে নামাজে অভ্যস্ত করলেন। কেন? এসবে আপনার কি স্বার্থ? আমি বেপর্দায় চলি কিংবা বেনামাজী হই তাতে আপনার কি? আমি তো আর আপনার প্রকৃত সহধর্মিণী কিংবা মনের মানুষ নই। তাহলে কেন আমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে থাকেন? ”
ওষ্ঠ ফাঁক করে ঘনঘন শ্বাস ফেলে নিজেকে কোনোরূপ সামলানোর চেষ্টা করলো হৃদি। দমবন্ধকর লাগছে। ভগ্ন হৃদয়ে সে মৃদু কণ্ঠে বললো,
” আজ আমার জীবনের অন্যতম বড় একটা ভুল করেছি একজনকে ক্লান্ত ভেবে তার অতিরিক্ত খোঁজখবর নিয়ে। ভেবেছিলাম ইন্ট্রোভার্ট মানুষটি নিজের অসুবিধা বলতে নারাজ। তাই নিজের মতো করে ভেবে নিয়েছিলাম। বুঝতে পারিনি এজন্য এত শুনতে হবে। কত তকমা পেতে হবে। যাই হোক। আ’ম স্যরি এতদিনের কুকীর্তির জন্য। হৃদি শেখ আজ আপনায় কথা দিচ্ছে হবু এমপি সাহেব। তার দ্বারা আপনাকে আর কখনো বিন্দুমাত্র বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। নিশ্চিন্তে থাকুন। ”
আর’ক্ত নয়ন বেয়ে টুপ করে গড়িয়ে পড়লো অশ্রু কণা। দ্রুততার সহিত হাতের উল্টো পিঠে তা মুছে নিলো। এ মানুষটিকে মূল্যবান অশ্রু দেখাতে নারাজ সে। বড় বড় কদম ফেলে ওয়াশরুমের পানে এগিয়ে গেল মেয়েটি। উন্মুক্ত দ্বার দিয়ে লেবুর শরবত পুরোটা ফেলে দিলো। শূন্য গ্লাস হাতে বেরিয়ে গেল কক্ষ হতে। একটিবারের জন্যও পিছু ঘুরে তাকালো না। তাকাবে কার জন্যে! ওই নি-ষ্ঠুর মানবের জন্য!
.
রাতের ভোজন পর্বে আজ বড্ড শান্ত ডাইনিং এরিয়া। যেমনটি মাস দুয়েক পূর্বে থাকতো। ডিনারে দু’জন অনুপস্থিত আজ। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ইরহাম চৌধুরী। এজাজ সাহেব প্রথমে অবাক হয়েছিলেন এত নীরবতা অনুধাবন করে। পরক্ষণে উপলব্ধি করলেন এসবের মূল হেতু কি। হৃদি মেয়েটা আজ নেই। সে থাকলে একাকী কত বকবক করতে থাকে। সঙ্গ দিতে তখন বাকিরাও টুকটাক কথা বলে। এভাবেই রমরমা হয়ে যায় পরিবেশ। আজ মেয়েটার অনুপস্থিতিতে সব নীরব, শান্ত। পূর্বের ন্যায় শৃঙ্খল। তবুও কেমন দৃষ্টিকটু লাগছে। কিছু অনুপস্থিত- এ কথাটা যেন মনে বি দ্ধ হচ্ছে বারংবার। এজাজ সাহেব এসবে পাত্তা না দেয়ার প্রয়াস জারি রাখলেন। মুখে নিলেন সবজি পুরে রাখা রুটির টুকরো।
” হাঁ মা। ওদের খাবারটা আমি আলাদা করে বেড়ে রেখেছি। হৃদি ঘুম থেকে উঠলে খেয়ে নেবে। ”
মালিহার কণ্ঠে ঘোর কেটে গেল এজাজ সাহেবের। শুনতে পেলেন রাজেদা খানম বলছে,
” আর তোমার পোলা? হ্যায় খাইতো না? ”
” স্টাডি রুমে কাজ করছে মা। পরে খেয়ে নেবে। ”
” কি যে এত কাম! আল্লাহ্ জানে। ” অসন্তোষ ভাব পরিলক্ষিত হলো ওনার মুখশ্রীতে।
.
অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষটি। বিছানার এককোণে জড়োসড়ো হয়ে শায়িত এক রমণী। তার পৃষ্ঠদেশ ছেয়ে কৃষ্ণবর্ণ কেশে। মাথার নিচে নেই বালিশের অস্তিত্ব। বিছানা চাদরের এক টুকরো প্রবল ভাবে মুঠোবন্দী। দুমড়ে মুচড়ে দুঃখ উপশম করছে কি? ক্ষণে ক্ষণে কম্পিত হচ্ছে তার কোমল কায়া(দেহ)। কেশের পাতলা আস্তরণ লুকিয়ে রেখেছে যন্ত্রণাদায়ক মুখখানি। নোনাজলে ভিজে যাচ্ছে বিছানার একাংশ। নোনতা জলকণা লেপ্টে মুখে। অতি ক্রন্দনের ফলস্বরূপ বেদনা অনুভূত হচ্ছে গলদেশে। চিঁ’ড়ে যাচ্ছে বুঝি কণ্ঠনালী। মনোবেদনা মিশ্রিত সে ক্রন্দনের ফোঁপানি ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে কক্ষের দেয়ালে দেয়ালে। হিমশীতল এক পরিবেশ। পশম দাঁড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম। আঁধারিয়া রজনীতে হৃদি নামক এ রমণীর ক্রন্দন কারোর কর্ণপাত হলো না। অতিথি কক্ষের বদ্ধ দ্বারের মধ্যে চাপা রইলো সবটুকু। তার পীড়ন, দুঃখিনী হাল সবটুকুই…
চলবে.
[ কি থেকে কি হয়ে গেল। বোধগম্য হলো না? সময়মতো ঠিক প্রকাশিত হবে। এবার ভাবুন তো চৌধুরী সাহেবের কি দশা হতে চলেছে। কি করবে হৃদি! নিজ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে? নাকি অতি সহজেই ক্ষমা করে দেবে! জানতে হলে পরবর্তী পর্ব মিস্ করবেন না যেন। ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য। আসসালামু আলাইকুম। ]