#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৫
[ কঠোরভাবে প্রাপ্তমনস্কদের জন্য উন্মুক্ত ]
তমস্র রজনী। ক্লান্ত দেহে কক্ষে প্রবেশ করলো ইরহাম। দু কদম এগোতেই থমকে গেল।
” ইরু বেপ্পি! এই যে। তোয়ালে। ”
ইরহাম চোখ তুলে তাকালো। সম্মুখে দাঁড়িয়ে অর্ধাঙ্গী। বাড়িয়ে ধরেছে শুভ্র তোয়ালে। মানুষটি ভ্রু কুঁচকে শুধালো,
” ইরু বেপ্পি! ”
মাথা নাড়লো হৃদি। ঝকঝকে দাঁত বের করে হাসিমুখে বললো,
” ইয়েস। মায়ের বুড়ো বেপ্পি। আচ্ছা না? ”
গুরুগম্ভীর মানুষটি ধীরপায়ে এগিয়ে এলো। দাঁড়ালো ওর অতি সন্নিকটে। চোখে চোখ রেখে বললো,
” ইউজলেস কথাবার্তা বলবে না। আই ডোন্ট লাইট ইট।”
হৃদি মুখ বাঁকালো তার অলক্ষ্যে। দুষ্টুমি করে বললো,
” তাই নাকি? তাহলে আপনার কি পছন্দ? চটাপট বলে ফেলুন তো। প্রিয় সহধর্মিণী হিসেবে আমি নিশ্চয়ই তা মেনে চলার চেষ্টা করবো। সত্যি বলছি। ”
হৃদি এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে যেন তার কথাটি শতভাগ সত্য। বিন্দুমাত্র মিথ্যে নেই এতে। ইরহাম ওর হাত থেকে তোয়ালে ছিনিয়ে নিলো। নয়নে নয়ন মিলিয়ে বললো,
” ইরহাম চৌধুরীর প্রিয় সহধর্মিণী হওয়া এতটাও সহজ নয়। ”
হৃদির পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল মানুষটা। তখন শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছালো,
” অসম্ভবও তো নয়। ”
বলেই থমকে গেল মেয়েটা। ডান হাতের তেলোয় চেপে ধরলো ওষ্ঠাধর। ইরহামও পিছু ঘুরে তাকালো। অবাক চাহনিতে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে সেথা হতে সরে গেল। হৃদি শ্লথ গতিতে বিপরীত দিকে মুখ করে দাঁড়ালো। ওষ্ঠাধর হতে সরে গেল হাত। আনমনে সে বিড়বিড় করে উঠলো,
” উল্টোপাল্টা এসব কি বলছি আমি? তবে কি আমি অবচেতন মনে খারুস চৌধুরীর সত্যিকারের ওয়াইফ হতে চাইছি? ”
•
গোধূলি লগ্ন। ফ্লাটের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে আফরিন। পা হতে স্যান্ডেল খুলে কলিংবেল বাজালো সে। ওপাশ হতে সাড়া মিললো না। কিছুটা সময় অতিবাহিত হলো। ক্লান্ত দেহ আর সইতে নারাজ। অগত্যা দ্বিতীয়বারের মতো কলিংবেল বাজালো। মিনিট পাড় হতে না হতেই উন্মুক্ত হলো দ্বার। দেখা মিললো মোটাসোটা হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী এক মাঝবয়সী নারীর। সে বাজখাঁই কণ্ঠে ধমকে উঠলো,
” হত*চ্ছাড়ি! দরজা কি ভেঙ্গে ফেলার ফ ন্দি আঁটছিস? তখন নতুন দরজা কিনবে কে? তোর বাপ? ”
আফরিন মায়ের পাশ কাটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত স্বরে বললো,
” আমি এমনও কোনো আচরণ করিনি যে বাপ তুলে কথা বলতে হবে। ”
নারীটি দ্বার বদ্ধ করে ঘুরে দাঁড়ালেন। ক্ষি প্ত স্বরে বলে উঠলেন,
” একদম মুখে মুখে কথা বলবি না আফু। আমার বাড়িতে থাকতে হলে আচার আচরণ ঠিক করে কথা বলবি। ”
আফরিন ডাইনিংয়ে একটি চেয়ার টেনে বসে ছিল। গ্লাস হতে পানি পান করে নম্র কণ্ঠে বললো,
” তোমার নয়। এটা আমার বাবার বাড়ি। ”
মা তেঁতে উঠলেন এহেন মন্তব্যে। ওর দিকে তেড়ে গিয়ে বললেন,
” হাঁ তাই তো সাপের পাঁচ পা দেখছো। মায়ের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করছো। ”
উপহাস করে হেসে উঠলো আফরিন। কাঁধে থাকা ব্যাগটি হাতে নিয়ে পা বাড়ালো নিজ কক্ষের দিকে। এমন নির্লিপ্ততা সইতে না পেরে পেছন হতে চেঁচামেচি করে চলেছেন মা। নিত্যদিনের এ চিত্রে ভ্রুক্ষেপ করলো না আফরিন। নিজ কক্ষে প্রবেশ করে দ্বার বদ্ধ করে নিলো। এগিয়ে গেল বেডের ধারে। শরীরটা একটুখানি বিশ্রামের জন্য বড় আঁকুপাঁকু করছে।
•
মধ্যাহ্ন প্রহর তখন। ভোজন পর্ব সেরে পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ কক্ষে বিশ্রামে। বাড়িতে যথারীতি অনুপস্থিত ইরহাম এবং এজাজ সাহেব। ইনায়া নিজ কক্ষে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে। হাতে মোবাইল। কানে গুঁজে ইয়ারফোন। উপভোগ করে চলেছে জনপ্রিয় হিন্দি গান,
‘ ঢাড়কা ইয়ে দিল, সানস্ থামনে লাগি
ওহ্, কেয়া ইয়ে মেরা পেহলা পেহলা পেয়ার হ্যায়
সাজনা.. কেয়া ইয়ে মেরা পেহলা পেহলা পেয়ার হ্যায় ‘
আর’ক্ত আভা ছড়িয়ে মুখে। ঘন ঘন ঝাপটাতে লাগলো অক্ষি পল্লব (চোখের পাতা)। যান্ত্রিক পর্দায় উপস্থিত কপোত-কপোতীর মাঝে যেন নিজেকে এবং তাকে দেখছে। অনুভব করছে। যে অনুভূতি শিরশিরানি সৃষ্টি করছে অন্তঃস্থলে। রঙবেরঙের বাহারি প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে অভ্যন্তরে। এ কেমন সুখময় অনুভূতি! যা তরঙ্গের ন্যায় বয়ে যাচ্ছে অন্তরের গভীরে। জানা নেই। জানা নেই। সহসা গানের মধ্যিখানে রোমাঞ্চকর মুহূর্তের আগমন হলো। লাজে মরি মরি অবস্থা মেয়েটির। দ্রুত মোবাইল উল্টে ফেললো বিছানায়। শুয়ে পড়লো সোজা হয়ে। বালিশ বিহীন শুয়ে সে। কর্ণে তখনও শ্রবণ হচ্ছে গানের প্রেমময় শব্দমালা। আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে তনু ও মনে। অতিবাহিত হলো এমনই কিছু মুহূর্ত। আচমকা হতভম্ব হলো মেয়েটি।
” ইনু! ঘুমিয়ে পড়েছো? ইনু! ”
বদ্ধ দ্বারের বাহিরে হৃদি। ডেকে চলেছে ওকে। ইনায়া তড়িঘড়ি করে মাথার ডান পাশ হতে মোবাইলটি হাতে নিলো। এলোমেলো ভঙ্গিতে আঙ্গুল চালনা করে বন্ধ করলো প্রেমময় সঙ্গীত। অতঃপর মোবাইলটি পাশে রেখে উঠে বসলো।
” ইনু ঘুমাচ্ছো? ”
দু হাতে এলোকেশ বিন্যস্ত করে বিছানা ছেড়ে নামলো ইনায়া। পরিপাটি রূপে ওড়না জড়িয়ে অগ্রসর হলো দরজার ধারে। দরজার নবে হাত ঘুরিয়ে উন্মুক্ত করতেই দেখা মিললো ভাবীর। ওর থেকে সাড়া না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে মেয়েটা। ইনায়া পিছু ডেকে উঠলো,
” ভাবী! ”
ঘুরে দাঁড়ালো হৃদি। একগাল হেসে ফিরে এলো ওর নিকটে। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অনুতপ্ত স্বরে বললো,
” স্যরি। ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম? ”
” আরে না ভাবী। আমি শুয়ে মোবাইল স্ক্রল করছিলাম।”
” তাই? তাহলে ডাকার পর সাড়া দিলে না কেন? ” কৌতুহল প্রকাশ করলো হৃদি।
ইনায়া মেকি হেসে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলো। ওর হাত ধরে কক্ষে প্রবেশ করতে করতে বললো,
” এসব ছাড়ো তো। এখন এসো। জমিয়ে গল্প করবো দু’জনে। ”
” নাহ্! ” সরাসরি প্রস্তাব নাকচ করলো হৃদি।
ইনায়া ওর পাশে বিছানায় বসে ভ্রু কুঁচকে শুধালো,
” কেন? ”
” গল্প করতে ইচ্ছে করছে না। ”
ইনায়া অবাক কণ্ঠে বললো, ” কিহ্! তোমার গল্প করতে ইচ্ছে করছে না! এ-ও বিশ্বাসযোগ্য? ”
হৃদি হেসে বললো, ” জ্বি ননদিনী। ”
ইনায়া মৃদু হেসে প্রশ্ন করে বসলো,
” তাহলে কি করবে? ”
” ঘুরতে যাবো বিকেলে। যাবে? ”
উচ্ছ্বসিত বদনে (মুখে) ওকে আলিঙ্গন করলো ইনায়া। খুশিমনে বললো,
” নিশ্চয়ই যাবো। কোথায় যাবে? ”
” উম্! ফুচকা পার্টি হয়ে যাক? ”
” নিশ্চয়ই। ”
উৎফুল্ল চিত্তে ওর সঙ্গে হাই-ফাইভ করলো ইনায়া। বিনিময়ে হৃদির অধর প্রসারিত হলো।
•
আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরীক্ষ। মেঘমালার আড়ালে লুকিয়ে শশধর। তমসায় আচ্ছাদিত কক্ষে শুয়ে এক ললনা। বদ্ধ জানালার ওপাড় হতে নৈশাচর পেঁচার কণ্ঠ ভেসে আসছে। কুকুরের ক্ষীণ আর্তনাদে সে এক ভুতূড়ে পরিবেশ। সিলিংয়ে চলন্ত পাখার গতিবেগ দ্রুত গতিসম্পন্ন। ঘুমন্ত ললনার পোশাক ঈষৎ এলোমেলো। ওড়নার একাংশ পড়ে রয়েছে বালিশের পাশে। গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন সে। সহসা কক্ষের ভেজানো দ্বার উন্মুক্ত হতে লাগলো। আঁধারিয়া কক্ষে প্রবেশ করলো এক আগন্তুক। প্রবেশ করামাত্রই তার শি’কারী, লো ভী দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো ঘুমন্ত ললনায়। দ্রুততম পায়ে বিছানার ধারে এগিয়ে গেল সে। ভুলে গেল কক্ষের উন্মুক্ত দ্বার বন্ধ করতে। ঘুমন্ত ললনার পাশে বসেই ব্যস্ত হাতে গ্ৰীবা হতে ওড়নার অবশিষ্ট অংশ সরিয়ে ফেললো। ওষ্ঠ ডুবালো গ্ৰীবাদেশে। অনাকাঙ্ক্ষিত গভীর স্পর্শে বিরক্তিকর শব্দ নিঃসৃত হলো ললনার মুখ হতে। হঠাৎই সে মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো দন্ত দংশন পেয়ে। গ্ৰীবার কোমল ত্বকে রা’ক্ষুসে দন্ত দংশন। মাংস যেন ছিঁড়ে নেবে। চকিতে চক্ষু মেলে তাকালো মেয়েটি। অন্ধকারে মুখাবয়ব দৃশ্যমান না হলেও আগত ভবিষ্যৎ কল্পনা করে আঁতকে উঠলো। দু হাতে ঠেলে দিতে চাইলো অজানা মানুষটিকে। তবে সফল হলো না। পুরুষালি দু’টো হাত তার দু হাত বালিশের দু’পাশে চেপে ধরলো। ওষ্ঠের ঘৃণ্য স্পর্শ নেমে এলো গ্রীবা বেয়ে আরো নিম্নে। ছটফটিয়ে মেয়েটি নিজেকে ছাড়াতে চাইলো। আর্তনাদ করতে লাগলো অনবরত। তবে সফলতা এলো না। উদরের অনাবৃত অংশে পাঁচটি আঙ্গুল জোরপূর্বক ডেবে গেল। র-ক্ত কণিকা বেরিয়ে এলো চামড়া চিঁ’ড়ে।
সে রাতে এক দুর্বল ললনা হেরে গেল পৈ*শাচিক স্বত্ত্বার নিকটে। হারালো অমূল্য সম্ভ্রম। রাতের শেষ প্রহরে অতি সন্নিকটে অ*ত্যাচারী মানবের মুখখানার স্বল্প দর্শন পেল। নিভু নিভু আঁখি জোড়া গড়িয়ে পড়লো অশ্রু কণা। অস্ফুট স্বরে ডেকে উঠলো। তাতেও দমে গেল না ন-রপশুটি। নিজ কুকর্ম জারি রাখলো।
•
ভোরবেলা। ‘ আনন্দাঙ্গন ‘ এর সদস্যবৃন্দ ফজরের সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত হয়েছে। আজ উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে ইরহাম, হৃদির। তাই নিজ কক্ষেই সালাত আদায় করার ভাবনা এসেছে ইরহামের মস্তিষ্কে।
সমতল আরশির সম্মুখে দাঁড়িয়ে ইরহাম। দু হাতে সফেদ পাঞ্জাবি গলিয়ে দেহ আবৃত করে নিলো। স্বল্প সিক্ত কেশ ঢেকে গেল টুপির আড়ালে। পেছনের কেশে হাত বুলিয়ে পিছু ঘুরে দাঁড়াতেই থমকে গেল অপরূপ দৃশ্য দেখে! নামাজের হিজাব পরিহিতা অর্ধাঙ্গী মেঝেতে দু’টো জায়নামাজ বিছিয়ে রাখছে। ওযুর জলকণা এখনো মুখে লেপ্টে। অবর্ণনীয় মায়াবী, স্নিগ্ধ লাগছে! পেলব দু’টো হাত জায়নামাজ বিছিয়ে রাখতে ব্যস্ত। যেকোনো মুসলিম গৃহে এমন দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর! হৃদয়কাড়া। জায়নামাজ বিছিয়ে রেখে ডানে ঘুরে তাকালো হৃদি। স্বামীকে নম্র স্বরে বললো,
” আসুন। ”
মন্ত্রমুগ্ধের মতন এগিয়ে গেল ইরহাম। দাঁড়ালো সামনের জায়নামাজে। তার পেছনের কাতারে জায়গা করে নিলো হৃদি। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে,
” আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ্ (সা.) তাকে এবং তার মা কিংবা খালাকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন এবং নারীকে আমাদের পেছনে দাঁড় করালেন। ” — (মুসলিম, হাদিস: তেরশো সাতাত্তর)
ফজরের সালাত এ প্রথমবারের মতন একত্রে আদায় করলো হালাল যুগল। সালাত আদায় শেষে ইরহাম উঠে দাঁড়ালো। জায়নামাজ ভাঁজ করতে করতে লক্ষ্য করলো হৃদি এখনো মহান রবের দরবারে দু হাতে তুলে প্রার্থনারত। সে আর বিরক্ত করলো না। ধীরপায়ে পাশ কাটিয়ে সরে গেল। যথাস্থানে জায়নামাজ এবং টুপি রেখে ঘুরে দাঁড়ালো। হৃদি তখন জায়নামাজ ভাঁজ করে উঠে পড়েছে। সে-ও হিজাব এবং জায়নামাজ যথাস্থানে রেখে দেহে ওড়না জড়িয়ে নিলো। ইরহাম একপলক ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
” আমি জগিংয়ে যাচ্ছি। ঘুম পেলে দরজা চাপিয়ে শুয়ে পড়ো। ”
” আমি একটু মায়ের কাছে যাচ্ছি। এখন আর ঘুম আসছে না। আপনি সাবধানে যাবেন। ”
প্রসন্ন হয়ে ইতিবাচক মাথা নাড়ল ইরহাম। হৃদি সালাম দিয়ে কক্ষ হতে বেরিয়ে গেল। ইরহাম সালামের জবাব দিয়ে পা বাড়ালো কাবার্ডের ধারে। কাবার্ডের পাল্লা উন্মুক্ত করে জগিংয়ের পোশাক বের করলো। অগ্রসর হলো ওয়াশরুমের পানে।
চলবে.
[ আসসালামু আলাইকুম পাঠকবৃন্দ। সবে তো আরম্ভ। এখন থেকে অল্পস্বল্প রহস্য থাকবে। যথাসময়ে যা হবে উন্মোচন। ধৈর্য ধারণ করে মনোযোগ সহকারে দৃশ্যগুলো পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পরবর্তীতে বুঝতে সুবিধা হবে। আর হাঁ। এটি একটি প্রাপ্তমনস্ক উপন্যাস। কাহিনীর স্বার্থে কিছু অ্যাডাল্ট বিষয়াদি থাকবে। নোংরামি নয়। পাঠকবৃন্দের নিকট অনুরোধ রইলো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরবর্তী পর্বগুলো পড়বেন। ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য। ]